13/06/2024
– স্যার আপনাকে একটা কথা বলি?
– হুম বলো…
– আগে বলুন রাগ করবেন না?
– আচ্ছা ঠিক আছে।
– আমার সাথে একটু শপিংমলে যাবেন?
প্লিজ স্যার না করবেন’না। না করলে আমি কষ্ট পাব। না করার কোনো অপশন নেই! কারন দুইটা টিউশনি করিয়েই আমার লেখাপড়ার খরচ চলে। তাই আইরিনের কথামতো রাজি হয়ে গেলাম।
– আচ্ছা চলো…..
– আপনি খুব ভালো স্যার।
অবাক করার বিষয় হলো আইরিন আজকে যা কিনছে সব ছেলেদের পোশাক, তাও আবার আমার শরীরের মাপ অনুযায়ী। একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, – আমার শরীরের মাপ কেন?
– পরে বলবো।শপিংমল থেকে বের হয়ে একটা রিকশা নিলাম! আইরিনকে তার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমি মেসে চলে যাব। আমার পাশেই বসে আছে মেয়েটি। রিকশা যখন একটা ব্রিজের মাঝ বরাবর গেল! তখন আইরিন বলে উঠলো,
– মামা রিকশা থামান। আমি বললাম,
– এখানে আবার কি?
– স্যার ব্রিজের উপর থেকে নদীর পানি দেখবো।
– ওহ্ আচ্ছা। রিকশা থেকে নেমে কিছুদূর যাওয়ার পর, আইরিন বললো,
– স্যার আপনার হাতটা একটু ধরতে পারি?
আমি বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেলাম! মেয়েটা আমার হাত ধরে হাটছে! দক্ষিণের ধমকা এসে মাঝেমধ্যে ওর চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিচ্ছে! আমি নিরব হয়ে ভাবছি, একটা মেয়ে এতোটা সুন্দর হয় কি করে! সত্যিই তুলনা হয় না। কিছুক্ষণের জন্য ভুলেই গিয়েছিলাম, আমরা যে, ছাত্রী আর শিক্ষক। প্রায় ১০মিনিট পর আদিবা বললো,
– স্যার আপনার জন্য! (শপিংব্যাগ’গুলো হাতে দিতে দিতে)। আমি অবাক হয়ে বললাম,
– কেন???
– গিফট্!
– আমি তোমার উপহার নিবো কেন?
– নিতে পারেন না কেন?
– কারন আমি তোমার শিক্ষক আর তুমি আমার ছাত্রী!
– এতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে!?
– না, তবুও সম্ভব না।
– তাইলে ওই যে নদীটা দেখছেন, ওখানে ফেলে দিন।
ফেললাম না! ভাবছিলাম, যাওয়ার সময় আদিবাকে শপিংগুলো দিয়ে দিব। এই ভেবে রিকশার দিকে হেটে যাচ্ছি! এমন সময় আইরিন বলে উঠলো, – স্যার সকালে যখন আপনি আমাকে পড়াতে আসেন! তখন আপনাকে দেখে আমার খুব খারাপ লাগে! একটা শার্ট প্রতিদিন পড়ে আসেন! জুতাগুলো সেই প্রথম থেকেই দেখছি হঠাৎ মেয়েটাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম! – ওহ্ তাহলে এজন্যেই তুমি আমাকে করুণা করছো?! দেখো তোমার ইচ্ছে না হলে আমার কাছে পড়োনা! কিন্তু আমাকে অপমান করার কোনো অধিকার তোমার নেই!!!
এবার মেয়েটা কেঁদে দিলো! কান্নাজড়ানো কন্ঠে বললো, – না স্যার! আপনাকে অপমান করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। কিন্তু আপনার জন্য আমার বান্ধবীরা আমাকে অপমান করে!!!
চলবে,,,,৷৷৷