Arman Nadir

Arman Nadir সব মনে থাকবে কারা জড়িয়ে ধরেছে এবং কারা এড়িয়ে চলেছে

02/03/2024
06/02/2023

ভার্সিটির হলের খাওয়া দাওয়া তিন আইটেমে সীমাবদ্ধ।মুরগী।মাছ। অথবা মাংস। প্রতিটাই ছোট্ট এক পিস করে।
আম্মাও জানেন। তবু গত চার বছর ধরে প্রতিবেলায় ফোন দিয়ে যে প্রশ্ন দুটো তিনি করবেনই সেগুলো হলো:

‘‘খেয়েছিস? কি দিয়ে খেয়েছিস?’’
জবাব শুনে মা প্রতিবেলায় কষ্ট পান। তবু তার শোনাই লাগবে। আমিও পালটা প্রশ্ন করি। বাসায় ভালো কিছু রান্না হলে মা বলতে লজ্জা পান। যেনো আমি বাসায় না থাকা অবস্থায় ভালো আইটেম রান্না করাটা বিরাট অন্যায় !
আবার অজুহাতও দেন ! আজ মেহমান এসেছিলোতো- তাই এইটা করেছি। আজ দুপুরের রান্নাটা খেয়ে একেবারে রুচি চলে গেছেতো- তাই এইটা করেছি। ছোটবোনের কাছে শুনেছি যেদিন আমার প্রিয় কোনো আইটেম রান্না হয় সেদিন ডাইনিং এ বসলেই মার মন খারাপ হয়ে যায় !
এমনই কোনো একদিন আমার শুধু এক পিস মাছ দিতে ভাত খাওয়ার কথা শুনে সাথে সাথে মায়ের চোখে পানি এসে গিয়েছিলো। এটাও বোনের কাছে শোনা।
অবশ্য জিজ্ঞেস করলে মা স্বীকার করেন না।
সত্যিই পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজটা হলো মা হওয়া। এ কাজে কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নেই, কোনো বেতন নেই,
বোনাস নেই, পদোন্নতি নেই, প্রোমোশন নেই। তবু কিভাবে যে মায়েরা এই কাজটা সারাজীবন করে যান বুঝি না! শুধু কাজটা করে মায়ের মুখে তৃপ্তির হাসি দেখে বুঝি- সবচেয়ে কঠিন এই কাজটাই হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম কাজ.....

06/02/2023

শাড়ি মূলত মেয়েরা ফটোসেশন আর ছেলেদের এটেনশন পাওয়ার জন্যই পরে! 🙂

06/02/2023

২৩ থেকে ২৮ বয়সটা অদ্ভুদ রকমের বেমানান। এই বয়সটাই পড়াশোনা শেষ হয়। চাকরির পীড়া থাকে। প্রিয় মানুষের বিয়ে হয়। বাবার অসুখ হয়। মায়ের রান্না আর মন মতো হয়না। সবকিছু পানসে লাগে। কেউ উপদেশ দিলে সেটা কাটার মত বিঁধে। সবকিছু থেকেও কিছুই নেই মনে হয়।
এই বয়সটাই রাজ্যের যত চাপ একসঙ্গে মাথায় এসে ভড় করে। প্রিয়জন ভালো লাগেনা, বন্ধু ভালো লাগেনা। সবকিছুই কেন যেনো পর পর লাগে। হঠাৎ মন খারাপ হয়। কান্না পায়।
মনে হয় পুরো পৃথিবীর বিপরীতে আমি এক ব্যর্থ সৈনিক। নিজের জীবন ছাড়া হারাবার যেনো কিছুই বাকি নেই।
এই বয়সে বড় বড় স্বপ্ন ছোট হতে হতে লুচির মত চুপসে যায়। এই বয়সে বাবার শান্তনা ভালো লাগেনা। মায়ের আদর আর গায়ে মাখেনা।প্রিয়জনদের উপদেশ করুণার মত লাগে।
এই বয়সে আবেগ দেখানো যায়না, জোরে হাসা যায়না, লোকসম্মুকে কাঁদা যায়না।
সবকিছু ছাপিয়ে এই বয়সটা পার করা মানুষটি আর মানুষ থাকেনা। একটা জীবন্ত মেশিন হয়ে যায়।
যার আবেগ-অনুভূতি পিষে ফেলে ভোরের প্রথম ট্রেন।
যে ট্রেনে করেই আমরা ফিরি পরের স্টেশনে

06/02/2023

আমি তারে জিগাইলাম কী চাও?
সে আমারে চাইলো না, সে চাইলো ইমরানকে।

আমি আর সে গিয়ে ইমরানকে জিগাইলাম, কী চাও?
ইমরান তারে চাইলো না, ইমরান চাইলো স্বর্নাকে।

আমি, সে আর ইমরান গিয়ে স্বর্ণাকে জিগাইলাম, কী চাও?
স্বর্না ইমরানকে চাইলো না, স্বর্না চাইলো সামিয়াকে।

দুনিয়াটা এমনেই চলতেছে আসলে!

06/02/2023

সাকিব মাঝরাতে আমাকে ঘুম থেকে তুলে ঠাস ঠাস করে দুইগালে চারটা থা-প্পড় মারলো। এরপর আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে বললো, আমি স্বপ্নে দেখেছি তুমি ম'রে গিয়েছ। আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকবো বলো। এতো ভালোবাসি তোমাকে। আমিও আর কান্না আটকাতে পারলাম না। পাগলটা বড্ড ভালোবাসে আমাকে। আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

একটু পর আমার ঘুম ভেঙে গেলো। ঘুম থেকে উঠে লা-ত্থি দিয়ে ওকে খাটের থেকে ফে'লে দিলাম। এরপর ইচ্ছামত ওকে পা*ড়ালাম। সাকিব ভ্যাবাচেকা খেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। আমি ওকে খাটে তুলে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ওকে বললাম,
আমি স্বপ্নে দেখি আমি মা!রা যাবার পর তুমি তোমার খালাতো বোনকে বিয়ে করে নিয়েছো। এই ভালোবাসো তুমি আমাকে? আমি তো এটা মানতে পারবো না সাকিব। সাকিব আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে বললো পাগলিটা আমাকে এত ভালোবাসে।🙂

06/02/2023

আমার প্রাক্তনকে আমি দুইবার ঠকিয়েছিলাম।

একবার তার জন্য ফুটপাত থেকে কসমেটিকস নিয়ে বলেছিলাম, বাহির থেকে তার জন্য আনিয়েছি!!!

আরেকবার এক মিলাদে তবারক হিসেবে পাওয়া বিরিয়ানি তার জন্য নিয়ে বলেছিলাম, তোমার জন্য রেস্টুরেন্ট থেকে আনিয়েছি।।।

প্রাক্তন সেই বিরিয়ানি খেয়ে প্রায় সময় বলত, তুমি কোন রেস্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানি আনিয়েছিলে??? আবার আনাও না কেন?😑

আমি তো এড়িয়ে যেতাম। তাকে তো আর বলা যায় না এটা তবারকের বিরিয়ানি ছিল। সে প্রায় সময় বলত, সেই বিরিয়ানি নাকি কুব ট্যাশ ছিল!!!

বিরিয়ানি এত্ত ট্যাশ হবে আগে জানলে আমি নিজেই তো খেয়ে ফেলতাম।।।

তাকে আর দিতাম নাহ।।।😪

06/02/2023

মানুষের নাকি স্পিরিট এনিম্যাল থাকে। অনেক ভেবে মনে হইলো আমার স্পিরিট এনিম্যাল হইলো পাংগাস মাছ।

- পাংগাস মাছ নাদুস নুদুস এবং অনেক চর্বি বা তেল যুক্ত, আমিও বেশ নাদুস নুদুস ও চর্বিযুক্ত।

- পাংগাস মাছ বেশ খাই খাই করে, আমিও সারাদিন খাই খাই করি।

- মাছ সমাজে মাছ হিসেবে খুব একটা ইজ্জত নাই, আমার ও সমাজে খুব একটা ইজ্জত নাই।

- পাংগাস মাছ কে অনেকেই ভালোবাসে কিন্তু লজ্জায় বলে না, আমাকেও অনেকে ভালোবাসে কিন্তু লজ্জায় বলে না :(🤔🤔🤔)

05/02/2023

"বুয়েট থেকে পাশ করছি প্রায় ছয় মাস হতে চললো। এই ছয় মাসে নানান রকমের মানুষের সাথে মিশে আমার উপলব্ধি হলো কোথাও কেউ সুখে নাই। যার চাকরী আছে সে বলতেছে, চাকরি করা পেইন, প্রতিদিন এক জায়গায় যাওয়া বোরিং। যার চাকরি নাই সে বলতেছে চাকরি ছাড়া ঝামেলায় আছে অনেক।

যে বিসিএস এডমিন সে বলতেছে, পাওয়ার কোম্পানীতে বেতন ভালো। যে পাওয়ার কোম্পানীতে আছে, সে বলতেছে এডমিনদের সেই ক্ষমতা আছে হাতে।

যে ইন্ড্রাস্টিয়াল চাকরি করতেছে, সে বলতেছে টিচিং প্রফেশান ভালো বেশি। অল্প পরিশ্রমে বেশি টাকা। যে টিচার সে বলতেছে, কেন শুরুতে ইন্ড্রাস্টিতে ঢুকলাম না, এতদিনে লাখ টাকা বেতন হতো।

যে বিদেশে আছে সে বলতেছে, দেশে একটা সরকারী চাকরি করে আরামে থাকতে পারতাম, হুদাই আসছি বিদেশে। যে দেশে আছে, সে বলতেছে বন্ধুরা সব বিদেশে মজা করতেছে, আর আমি পেইন খাচ্ছি দেশে। কী বিগাড় রে ভাই। আসল সুখ কই আছে তাইলে?"

"প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদের মোহাচ্ছন্ন রাখে, কবরে যাবার আগ পর্যন্ত।"
- সূরা তাকাসুর।

-অনিক চৌধুরি

05/02/2023

১৪ ফেব্রুয়ারী আমার কাছে শুধু মঙ্গলবার, এবং সেদিন আমার ৩ টা ক্লাস আছে

04/02/2023

বেঁচে থাকার জন্য সব কিছুতেই একটা সুন্দর কিছু খুঁজে বের করতে হয় I

বিয়ের পর পর আমরা প্রথম যে বাড়িটিতে উঠেছিলাম, সেটি ছিল একটা ছয় তলা বাড়ি I প্রতি তলায় চারটি করে ইউনিট I আমরা থাকতাম তিন তলায় I বাড়িটির সবচেয়ে সুন্দর যে জিনিসটি, সেটি ছিল, তার ছাদ I
অনেক বড় একটা ছাদ I চারপাশে কোন উঁচু বাড়ি না থাকার কারণে আরো সুন্দর লাগতো I চারদিকে অনেক খোলা বলে আকাশটাকে মনে হতো অনেক বড় I আমরা প্রায় রাতেই ছাদে বসে গল্প করতাম I

কিন্তু, একদিন সেই বাড়ি ছাড়ার সময় হয়ে গেলো I

জীবনের প্রয়োজনে I

সেই বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মনে হয়েছিল, এমন সুন্দর বাসা আমাদের জীবনে আর কোনদিন আসবে না I

কিন্তু পরের বাসাটিতে আরেকটি জিনিস খুঁজে পেলাম I কুমিল্লা শহরের হাউজিং ইষ্টেটের সেই বাসাটির পাশেই একটা বড় পুকুর I আমাদের বেড রুমের জানালা দিয়ে সেই পুকুরটা দেখা যেত I বৃষ্টির দিনে সেই পুকুরে বৃষ্টির পানি পড়ার দৃশ্য ছিল অসম্ভব সুন্দর I আর পূর্ণিমাতে পুকুরে চাঁদের প্রতিচ্ছবি আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখতাম I

সেই বাড়ি থেকে যেদিন বের হয়ে গেলাম, আমাদের দুজনের ভীষণ মন খারাপ I আমার মা পাশে ছিলেন I আমাদের মন খারাপ দেখে মা সেদিন চোখের পানি ফেলে কেঁদেছিলেন I

তৃতীয় বাড়িতে গিয়ে দেখি, বসার ঘরের জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে একটা বড় আম গাছ I
আম গাছটা একা ছিলোনা I প্রায়শঃ দেখতাম, দুইটা শালিক গাছের ডালে বসে গল্প করতো I মাঝে মাঝে দুই একটা তোতা পাখিও আসতো I সেই আম গাছটাই আমাদের পুকুরের মায়া ভুলিয়ে রাখলো I

তারপর একদিন আবারো সময় হয়ে গেলো I
ব্যাগ গোছানো শুরু হলো, আবারো নতুন যাত্রা.........

অস্ট্রেলিয়া এসে পাঁচটা বাড়িতে থাকার পর, এই মেলবোর্ন শহরে প্রথম এসে যে বাড়িটিতে উঠলাম সেই বাড়িটির সামনে দাঁড়ালে খুব কাছেই একটা পাহাড় দেখা যেত I আমার ছোট মেয়েটা মাঝে মধ্যে কি সব বলে বলে সেই পাহাড়টাকে ডাকতো I
যেহেতু বাড়িটা আমরা নিজেরা কিনে উঠেছিলাম, ভেবেছিলাম সেখানেই বাকি সময়টা থাকবো I তাছাড়া পাহাড়টার প্রতি আমাদের একটা মায়া জন্মে গিয়েছিলো I

কিন্তু না I
আবারো ছাড়তে হবে, সেই ঘর !

নিজেদের ও বাচ্চাদের বন্ধু-বান্ধব সহ পাশা-পাশি থাকবো বলে, অন্য মহল্লায় চলে আসলাম I

এখন আমরা এই নতুন বাড়িতেই থাকি I নিজেরা দেখে শুনে, পছন্দ করে বানিয়েছি I
দুইতলা ঘর I উপর তলায় আমাদের মেইন বেড রুমের সাথে একটা বড় বারান্দা আছে I সেই বারান্দায় দাঁড়ালে দেখা যায়, একটা লেইক I
আমাদের আবারো একটা পুকুর I

মেলবোর্নের আকাশ এমনিতেই অনেক নীল, এখানে বৃষ্টিও হয় অনেক I
যেদিন অনেক বৃষ্টি হয়, সেদিন লেইকটা কানায় কানায় পানিতে ভরে যায় I

ভাবছি আমার শেষ বাড়িতে কি থাকবে?

আমার ছোট মাটির ঘর !
আমি কি দেখবো সেখানে?

কবি রুমি ভাবতেন, কবরে যাওয়ার পর তিনি দেখবেন একটা পর্দা I তাঁকে বিদায় দিয়ে সবাই যখন চলে যাবে, তিনি সেই পর্দা তুলে বেহেস্ত দেখবেন I
রুমি সেই বেহেস্তের কল্পনায় বিভোর থাকতেন I
রুমি, আসলে আল্লাহকে ভয় পাওয়ার চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন I

ভালোবেসে তিনি লিখেছেন, তাঁর বিখ্যাত কবিতা ,"When I die"

"When you leave me in the grave
don’t say goodbye
remember a grave is only a curtain
for the paradise behind "

When the sun sets or
the moon goes down
It looks like the end
It seems like a sunset
but in reality it is a dawn"

কেন তিনি আল্লাহর সেই ভালোবাসাটা এমন গভীর ভাবে অনুভব করতেন তার কারন বোধ হয় আমাদের নবীর একটা ছোট গল্প I

একদিন রাসূল (সাঃ) ও ওমর (রাঃ) এবং কয়েকজন সাহাবী দাঁড়িয়ে দেখছেন একজন মহিলা তার সন্তানকে হারিয়ে খুব হন্যে হয়ে খুঁজছেন I কান্না জড়ানো কণ্ঠে
সন্তানের নাম ধরে ডাকছেন I আর সেই বাচ্চাটির বয়েসী যাকেই দেখছেন, তাকেই জড়িয়ে ধরছেন I
আদর দিয়ে দিচ্ছেন I

এই দৃশ্য দেখে আমাদের নবীর চোখে পানি চলে আসলো I তিনি নীরবে কাঁদলেন I
উমর (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আপনি কাঁদছেন?

নবীজি গায়ের চাদরের কাপড় দিয়ে চোখ দুটো একটু মুছে নিয়ে বললেন,

"আচ্ছা, তোমারদের কি মনে হয়, এই মা যখন তার সন্তানকে খুঁজে পাবেন তিনি সেই বাচ্চাটাকে নিয়ে আগুনে ফেলে দিবেন?"

সাহাবীরা সাথে সাথে বললেন,
না, অবশ্যই না I এমন একজন মা সেটা কখনই করবেন না I

নবীজি তখন আরো ভালোবাসার কণ্ঠে বললেন,

"মনে রেখো, আল্লাহ তোমাদেরকে এই মায়ের চেয়েও অনেক অনেক বেশি ভালোবাসেন" (গল্প সূত্র: বোখারী)

রুমির মত কল্পনা করুন I আল্লাহ ভালোবেসে ক্ষমা করে দিলেন I ছোট সেই মাটির ঘরের ডান পাশের দেয়ালে একটা জানালা I সেই জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে দূরের কোন বেহেস্ত..........

"মাটির ঘর, মায়ার ঘর"

-ডা.শামছুল আলম

04/02/2023

ঘুম আর পড়ালেখার সময়:

১. রাত ৯টা থেকে ভোর ৩ টা পর্যন্ত ঘুমাতে হয়। এ সময়ের ঘুমে পিনিয়াল গ্ল্যান্ড থেকে মেলাটনিনের নিঃসরণ ঘটে। ফলে শরীর সতেজ হয়।
২. ভোর ৩ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত পড়ালেখা করতে হয়। এ সময় ব্রেনে আলফা ওয়েভ বেশি থাকে, ফলে পড়ালেখাতে মনোযোগ আসে খুব।

"প্রথম প্রহরে সবাই জাগে,
দ্বিতীয় প্রহরে ভোগী।
তৃতীয় প্রহরে তস্কর (চোর) জাগে,
চতুর্থ প্রহরে যোগী।"

রাতের প্রথম প্রহর মানে ৬টা থেকে ৯টা, দ্বিতীয় প্রহর মানে ৯টা থেকে ১২টা, তৃতীয় প্রহর মানে ১২টা থেকে ৩টা আর চতুর্থ প্রহর মানে ৩টা থেকে ৬টা।

04/02/2023

বিয়ে করার বাসনা লালন করেছিলাম। বিয়ে হলো। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বুঝলাম। এটাতো পূর্ণতা না। সাংসারিক পূর্ণতা আসে সন্তানে।সন্তান আসলো। পিতা হলাম।আবার বুঝলাম। এই ছোট গৃহে সংকুলান হচ্ছেনা। কাজ বাড়িয়ে দিলাম। পরিশ্রমের কমতি নেই।সফল হলাম। ছোট এ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বড় বাড়িতে ওঠলাম। ঘরে স্ত্রী সন্তানদের কোলাহল। চারপাশ মুখরিত।

সময় যায়। দ্রুত যায়। বছরগুলো যেন ঝরাপাতার মতো পড়তে থাকে।সময় যত গেলো।সন্তানরাও বড় হলো। একসময় নিজের বিয়ের বাসনা ছিলো। এখন সন্তানদের বিয়ের বাস্তবতা তাড়া দিলো। দায়িত্বের পর দায়িত্ব । দায়িত্ব নামক জলের ঘটি- পুকুর হয়। পুকুর দীঘী হয়। দীঘী সমূদ্র হয়।এই উন্মাতাল জীবন সমূদ্রে অবসরের সময় কই। এতো পরিশ্রমে শারীরিক শ্রান্তিতে অবসাদ আসতে লাগলো ঝড়োগতিতে। একটু যদি জিরোতে পারতাম। একটু যদি দাঁড়াতে পারতাম। বৃক্ষ যেমন দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক তেমনি। এই বাসনাও পূর্ণ হলো। চাকুরি থেকে অবসর পেলাম। এবার একেবারে অখন্ড অবসর।

এখন, দেখি। এই অবসরে একেবারে একা। চারপাশে কেউ নেই। কেউ পাতা হয়ে ঝরে গেছে। কেউ মেঘ হয়ে ওড়ে গেছে। কেউ একেবারে তারা হওয়ার আগেই তারা হয়ে গেছে।

এই অবসরে- দুয়েক লাইন কোরআন শরীফের আয়াত মুখস্ত করার চেষ্টা করি।পারিনা। স্মরণশক্তি প্রতারণা করে।আত্মশুদ্ধির জন্য উপবাস করারও চেষ্টা করি। পারিনা। শারীরিক দূর্বলতাই জয়লাভ করে। ভোরে ওঠে জায়নামাজে দাঁড়াতে গেলে -কষ্ট হয়। শরীরটা ফেটিগড হয়ে গেছে। বুঝি। আমি মোহের মায়ায়- সময়ের খেয়ায় দৌড়ে দৌড়ে জীবনটা খুইয়েছি। অথচ, আসল জিনিসটাই বুঝি নাই । যা বুঝার জন্য বারবার নবী সাঃ তাগাদা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন- ব্যস্ততার আগে অবসরের, বার্ধ্যকের আগে তারুণ্যের, অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতার , খরচের আগে মিতব্যয়িতার আর মৃত্যুর আগে জীবনের গুরুত্ব দিতে।

কিছুদিন আগে একটা ছবি দেখলাম। লায়ন অব ডেজার্ট। ওমর মুখতারের জীবন কাহিনী। বিশবছর ফ্যাসিস্ট মুসোলিনির বিরুদ্ধে লিবিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রাম করতে গিয়ে যার ফাঁসী হয়। ওমর মুখতার ছাত্রদের তালিম দিয়ে বলছেন- পবিত্র কোরআনে কেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পাল্লার কথা বলেছেন?
ছাত্ররা বলে -কেন?
ওমর মুখতার বলেন- পাল্লা হলো ব্যালেন্স। আর ব্যালেন্স না থাকলে সব কিছু পড়ে যায়।
সবকিছুই একটা ব্যালেন্সের মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছে।
কি একটা গভীর তাৎপর্যময় কথা।

জীবন চালাতে গেলে- সংসার থাকবে, জীবিকা থাকবে। সব ছেড়ে দিয়ে একেবারে সন্যাস হলে চলবেনা। ব্যালেন্সটা ঠিক করতে হবে। আর এই ব্যালেন্স ঠিক রাখতে গিয়ে দুনিয়ার পাল্লা একটু গড়বড়ে হয়ে গেলেও খেয়াল রাখতে হবে- আখেরাতের পাল্লাটা যেন সবসময় ঠিক থাকে। কারণ এটাই স্থায়ী এবং আসল। আর দুনিয়াটা- এক শুণ্যে ভাসা বাবল। বাবলের চাকচিক্য এই আছে এই নাই। জীবনটাও এমন। নিঃশ্বাস এই আছে- এই নাই।

04/02/2023

- টিভি খুললেই ২১ শে ফেব্রুয়ারী.!🧐

- আর ফেসবুকে ঢুকলেই ১৪ ই ফেব্রুয়ারী.!🙄🙄

- আসলে ফেব্রুয়ারী তুমি কার.?🤔

- ভাষার না ভালোবাসার.!🤔

10/01/2023

২০০৮ সালের কথা! আমার ছেলেটা অনারস পরীক্ষা দিয়েছে। আমাকে একদিন জানলো, ও ওর এক সহপাঠি মেয়ের প্রেমে পড়েছে।
তারপর বললো, 'আমি অনার্সের তিনটা পরীক্ষতেই ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছি। শেষেরটতেও পাবো! কিন্তু হিসেব করে দেখেছি, আমার মাস্টার্স পাশ করতে আর চাকরী পেতে কম করে হলেও তিন বছর সময় লাগবে। ওদিকে মেয়েটির বিয়ে ঠিক করেছে মেয়েটার বাবা-মা।'
আমি বলেছিলাম, তুই যদি বলিস, তবে আমি যাই মেয়েটার বাবার কাছে? তোর বাবা-মা তো সমাজে একেবারে ফালতু না!
ও আমাকে বললো, 'না! আমি চাই না, আমার লাভের জন্যে আমি কাউকে অপেক্ষায় রাখবো! ভবিষ্যতে কার ভাগ্যে কি আছে কে জানে? আমি ওকে বলে দিয়েছি, ও যেন ওর বাবা-মা'র মতেই বিয়ে করে।'

পরে অবশ্য ও খুব আস্তে করে আমাকে বলেছিলো, 'খুব কষ্ট হচ্ছে, আব্বু!'

আমি ওকে জড়িয়ে ধরেছিলাম আমার বুকের সাথে!

আমার এতো বিচক্ষণ আর বড় মনের ছেলেটা এই ঘটনার এক বছরের মধ্যেই ক্যান্সারে মারা গেল!

আমার বাবাটা কি জানতে পেরেছিলো ওর ভবিষ্যত?
আমরা কি কেউ জানতে পারি আমাদের ভবিষ্যত?

📝 সিদ্দিক মাহমুদ
#সংগ্রহিত #মেডিকেলিয়ান || মেডিকেলিয়ান ডায়েরী

29/12/2022

বদলে যাও, বদলে দাও

"আমি সেবার এসএসসি দিয়েছি। প্রথম পাবলিক পরীক্ষা, মনে তাই অনেক টেনশন- কী হয় কী হয় কে জানে! তো এরকমই একটা সময়ে, সেদিন এসএসসির রেজাল্ট দেবে-এইরকম একটা দিনে আমি আর আমার বন্ধু রাস্তা দিয়ে হাঁঁটছিলাম।

আমার কোক খেতে অনেক ভালো লাগে। যথারীতি প্রচণ্ড টেনশনে আমার সাথে ছিল একটা কোকের বোতল। রাস্তা দিয়ে হাঁটছি- নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি, কিন্তু আমার মাথা থেকে ওই রেজাল্টের বিষয়টা আর যাচ্ছেই না! টেনশনে হাঁটতে হাঁটতে এক টান দিয়ে পুরো কোকটা শেষ করে বোতলটা ছুঁড়ে মারলাম রাস্তার আরেক কোণায়।

আমার বন্ধুটি কিছুই বললো না। ওকে দেখলাম একটু পরে সেই কোণায় যেতে। রাস্তা পার হলো, আমারই ফেলে দেয়া বোতলটা তুলে নিলো, তারপর আমাকে বললো, “এবার চল, এগোই।”

আমি মনে মনে ভাবলাম, বন্ধুটির বাসায় মনে হয় খালি প্লাস্টিকের বোতল লাগবে, ওর আম্মু বোতল এনে দিতে বলেছে, এইজন্যেই বেচারা কষ্ট করে বোতল কুড়িয়ে নিয়ে আসলো। আমার ধারণা ভুল ছিল।

আমার বন্ধুটি একটু পরে দূরে রাস্তার উল্টোদিকে একটা ডাস্টবিন দেখলো। সে আবারো রাস্তা পার হলো, ডাস্টবিনে বোতলটা ফেললো, তারপর নির্বিকার ভঙ্গিতে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “চল!”

পুরো ঘটনাটা বলতে গেলে আমার বুকের মাঝখানটায় এসে লাগলো। একেবারেই নীরবে আমার বন্ধুটি প্রচ্ছন্ন চপেটাঘাত করলো আমাকে, বিষয়টা বেশ গায়ে লেগেছিলো সেদিন। আম্মু-আব্বু থেকে শুরু করে অনেকেই অনেকবার বলেছে আমাকে, ময়লাগুলো জায়গামতো ফেলতে- কিন্তু সেগুলো এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দিয়েছি, যথারীতি।

কিন্তু আমার এই বন্ধুটি, একেবারেই নীরবে দারুণ একটা কাজ করে ফেলে আমার মধ্যে আমূল একটা পরিবর্তন নিয়ে এলো। সারাজীবন আম্মু বকা দিয়ে যেটা আনতে পারে নি, বন্ধুর এই নীরব প্রতিবাদ দেখে সেই আমি প্রতিজ্ঞা করলাম, যেখানে সেখানে আর ময়লা ফেলবো না। কোনদিন না।

সেই থেকে শুরু। ডাস্টবিন ব্যবহার করতে ভুলি নি আর কোনদিন। আমার এই বন্ধুটির এক নীরব প্রতিবাদই আমার পরিবর্তনের সূতিকাগার হয়ে পড়লো। আমিও আশেপাশের কেউ কোন ময়লা যেখানে সেখানে ফেলে রাখলেই চুপচাপ সেটা তুলে ডাস্টবিনে ফেলে দিতাম।"

লিখেছেন - Ayman Sadiq

29/12/2022

বন্ধু তোমার প্রতিদান দিয়ে গেলাম

অনেক দিন আগের কথা। নীল আকাশের নিচে নীল সাগরের নীল পানিতে নীল জেলের বাস ছিল। তার নাম নীল কেন রাখা হয়েছে তা কেউ জানতনা। কিন্তু কাকতলীয় ভাবে নীল জেলের বেঁচে থাকার মাঝে প্রকৃতির কত নীলেরই সমাগম হয়েছিল।

ছোট্ট নীল জেলে প্রতিদিনই তার বাবাকে মাছ ধরতে সাহায্য করতে সাগরে আসত। সে খুব উদার ছিল। বাবার অলক্ষে অনেক বাচ্চা মাছকেই সে পানিতে ছেড়ে দিত। বাবার জালে আটকে থাকা মাছগুলোকে দেখে তার অনেক কষ্ট হত। কেমন ছট্ ফট্ করত ওগুলো।
একদিন হল কি, নীল জেলের বাবার জালে একটা কচ্ছপ আটকা পরল। কচ্ছপরা সব সময় ভান ধরে থাকতে পছন্দ করে। জালে আটকে যাওয়া কচ্ছপটিও মরার মত চুপটি মেরে রইল। নীল জেলের বাবা সেতিকে মরা মনে করে নৌকাতেই ফেলে রাখল। এদিকে কচ্ছপ ছানার যায় যায় অবস্থা। পানি ছাড়া আর কতক্ষণ বেঁচে থাকা যায়। সেদিন নীল আকাশের প্রখর সূর্যটা একটুকুও বিশ্রাম নিচ্ছিলনা। প্রচণ্ড রোদে কচ্ছপ ছানার শরির শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবার যোগার। কচ্ছপ ছানা দূর্বল হয়ে গেলেও বুদ্ধি লপ পায়নি। সে অনেকক্ষন ধরেই খেয়াল করছিল নীলের কান্ড কারখানা। সে বাবার জাল থেকে চুপ করে মাছ ছেড়ে দিচ্ছে। তাই সে মনে মনে চিন্তা করছিল, কখন সে নীলের চোখে পরবে।

বাবার সাথে মাছ সংগ্রহ করতে করতে নীল জেলে হাপিয়ে উঠেছিল। একটু বিশ্রাম নিবে বলে বসল। কিন্তু ভুল করে কচ্ছপ ছানাটির উপড়েই বসে পড়ল। ছোট্ট কচ্ছপ অনেক কষ্টে নড়ে উঠল। নীল ভয় পেয়ে গেল, তার নিচ থেকে কে নড়ছে? উঠে বসতেই দেখল, সে একটি ছোট্ট কচ্ছপের উপর বসে ছিল। কচ্ছপটির জন্য তার খুব মায়া হল। সে কচ্ছপটিকে আদরের সাথে হাতে নিল। মনে করেছিল কচ্ছপটি মারা গেছে। কিন্তু কচ্ছপটি তার খোলসের ভিতর থেকে মাথা বের করল, তা দেখে নীলের আনন্দ কে দেখে! সে নাচতে লাগল।
নীল হঠাৎ নাচা নাচি বন্ধ করে দিল। কারন কেউ তাকে ডাকছিল কিন্তু কে সে তা বুঝতে পারছিলনা। একসময় বুঝতে পারল তার হাতে থাকা কচ্ছপটি তাকে ডাকছে। কচ্ছপটি মাথা বের করে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল, “ও ভাই ছোট্ট জেলে, আমাকে পানিতে ছেড়ে দেওনা, আমি কচ্ছপদের কাছে ফিরে যাই”। নীলের খুব মায়া হল, সে তাকে পানিতে ছেড়ে দিল।

সন্ধ্যা বেলায় নীল সাগরের মাঝে প্রচণ্ড ঢেউ খেলতে লাগল। ঝড় উঠেছে কিন্তু নীলদের নৌকা তখনও পাড়ে আসতে পারেনি। একসময় নীলদের ছোট্ট নৌকাটা ঝড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ভেসে থাকতে পারলনা। সেটি ডুবে গেল। বাবা নীলের হাত ধরে ছিল, ঢেউয়ের প্রকোপে হাত ছুটে গেল। নীল পানিতে তলিয়ে যেতে লাগল। সে দেখল পানির তলায় পানিগুলো কেমন ভেংচি কাটছে। তার দম বন্ধ হয়ে আসার জোগাড়। ঠিক তখনই কিছু একটা তাকে পানির উপরে তুলে ধরল। নীল চেয়ে দেখল তাকে দুটি কচ্ছপ ভাসিয়ে ডাঙ্গায় নিয়ে যাচ্ছে। আর পাশ থেকে কানের কাছে চুপিচুপি কেউ বলে যাচ্ছে, “বন্ধু তোমায় প্রতিদান দিয়ে গেলাম”

29/12/2022

ভাঙ্গা খেলনা - শিক্ষনীয় গল্প

রাতুল ছিল তার বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। তার কোন কিছুরই অভাব ছিল না। সে যা চাইতো তা হাত বাড়ালেই পেতো। তার আনন্দেরও কোন শেষ ছিলনা।

সারা দিন সে তার নানান খেলনা নিয়ে খেলতো। কোন খেলনা তার পছন্দ না হলে তা নিয়ে খেলত না এবং তা ছুড়ে ফেলে রাখতো। কোন খেলনা যদি পুরনো হয়ে যেত তাতেও তার ছিল ঘোরতর আপত্তি। এই খেলনা দিয়ে খেলতে সে রাজি নয়।

একদিন তার মামা তাদের বাসায় বেড়াতে আসলো। তিনি রাতুলের এইসব দেখে অনেক কষ্ট পেলেন। রাতুল তার মামার সামনেই তার কিছু পুরনো খেলনা ভেঙ্গে ফেললো।

মামা এটি দেখে তাকে তার ভাঙ্গা এবং পুরনো কিছু খেলনাসহ নিয়ে গেলেন পাশের একটি বস্তিতে। সেখানে কিছু দরিদ্র শিশুকে তার ভাঙ্গা, অকেজো খেলনাগুলো ভাগ করে দিলেন খেলতে।

রাতুল দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেল। সে যে সব খেলনা ছুঁয়ে দেখতে চায় না, তা অনেকের কাছে সাত রাজার ধনের মত। খেলনার জন্য তারা হুড়োহুড়ি এবং হালকা ঝগড়াও শুরু করলো একে অপরের সাথে।

এটি দেখে রাতুল তার ভুল বুঝতে পারলো। সে ঠিক করলো যে, তার যা আছে তা সুন্দরভাবে ব্যবহার করবে। কোন কিছুই অকারণে, অবহেলায় নষ্ট করবেনা।

কিছু থাকার পরে আরও বেশি পাওয়ার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করবেনা। কেননা যা তার কাছে ছোট বলে মনে হয়, তা অনেকে ছুঁয়ে দেখারও সুযোগ পায়না।

আসুন আমরা আমাদের যা আছে তার সুষ্ঠু এবং পরিপূর্ণ ব্যবহার করি। কিছু নষ্ট করার আগে একবার ভেবে দেখি তাদের কথা যারা তাদের প্রয়োজনটুকুই পাচ্ছেনা।

নিজের জন্য যতটুকু প্রয়োজন তা থাকলে বাড়তিটুকু, বিশেষ করে যে সব বস্তু আমরা অবহেলায় ফেলে রাখি, তা অন্যদের দিই। হয়তো এতেই তারা তাদের জীবনে অনেক কিছু পেয়েছে বলে মনে করবে।

[গল্পটি ইন্টারনেট হতে সংগ্রহিত]

29/12/2022

ভালবাসার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি

একটা গল্প , হয়ত আমরা অনেকেই শুনেছেন। ছোট একটা সংসার। বাবা, মা, ছোট ছেলে এবং ছেলেটার দাদা।

দাদার অনেক বয়স হয়ে গেছে। কোন কাজ করার শক্তি। নেই। সারাদিন এক বিছানায় পড়ে থাকে। একদিন ছেলেটার বাবা একটা ঝুড়ির উপর বুড়োকে বসিয়ে জঙ্গলের উদ্যেশ্যে রওনা দিল। যাচ্ছে , যাচ্ছে।

বেশ কিছুদুর যাওয়ার পর ছেলেটা হঠাৎ তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, "বাবা, তুমি দাদুকে ঝুড়িতে করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?"

"তোমার দাদুকে আমরা এখন জঙ্গলের ভেতর রেখে আসবো", বাবা উত্তর দেয়।

"কেন?", ছেলেটা অবাক হয়।

"কারন তোমার দাদুতো বুড়ো হয়ে গেছে, কোন কাজ করতে পারেনা। আমাদের কোন উপকারেও লাগেনা। শুধু খায় আর ঘুমায়। কি লাভ তাকে বাসায় রেখে?

তাই তাকে আমরা জঙ্গলে রেখে আসতে যাচ্ছি। "

"ওহ!", কিছুক্ষন কি যেন ভাবে ছোট ছেলেটা, তারপর বলল, "ঠিক আছে বাবা, কিন্তু দাদুকে রেখে আসার সময় আমরা কিন্তু অবশ্যই ঝুড়িটা নিয়ে আসবে।

"কেন", একটু অবাক হয় বাবা।

"কারন, যখন আমি বড় হব, তুমি তো তখন বুড়ো হয়ে যাবে, দাদুর মত। তখন তুমি কোন কাজই করতে পারবানা। শুধু খাবা আর ঘুমাবা। তখন তো তোমাকে বাসায় রেখে আমার কোন লাভই হবে না। শুধু শুধু তখন টাকা খরচ করে নতুন ঝুড়ি কিনতে যাব কেন? এই ঝুড়িতে করেই না হয় তোমাকে জঙ্গলে রেখে যাব।"

ছেলের কথায় চমকে উঠলো বাবা। হঠাৎ করেই নিজের ভূল বুঝতে পারলো। বুঝতে পারলো সে যখন ছোট ছিল, যখন কোন কিছু করারই ক্ষমতা ছিলনা, তখন তার বাবা মা-ই তাকে যত্ন করে বড় করেছে। আজ তার বাবা বুড়ো হয়ে যেন শিশু হয়ে গেছে। ছোটবেলায় যেমন তার বাবা তাকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছিল, এখন তেমনি তার দায়িত্ব হলো তার বাবাকে আগলে রাখা। এই সময়ে তার বাবার প্রতি তার সেবা, হয়ত কিছুটা হলেও তার বাবার প্রতি ঋন শোধ করা হবে।

29/12/2022

ভালো কাজের ফল - শিক্ষণীয় গল্প

স্কটল্যান্ডের এক গরিব কৃষক। তার নাম ফ্লেমিং। একদিন তিনি জমিতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ কাছের পুকুর থেকে চিৎকার ভেসে এলো, ‘বাঁচাও। বাঁ-চা-ও!’

তিনি কাজ ফেলে ছুটে গেলেন। সেখানে একটি ছোট ছেলে পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। পানিতে হাত নাড়ছে আর আতঙ্কে চিৎকার করছে। কৃষক ফ্লেমিং ছেলেটাকে উদ্ধার করলেন। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ছেলেটা রেহাই পেল।

পরদিন সকালে একটা চমৎকার গাড়ি এসে থামল কৃষকের বাড়ির সামনে। মার্জিত পোশাক পরা এক ভদ্রলোক গাড়ি থেকে নেমে এলেন। কৃষক ফ্লেমিং যে ছেলেটিকে বাঁচিয়েছেন, ভদ্রলোক নিজেকে সেই ছেলেটির বাবা হিসেবে পরিচয় দিলেন।

‘আমি আপনাকে প্রতিদান দিতে চাই। আপনি আমার ছেলের জীবন বাঁচিয়েছেন।’ ভদ্রলোক বললেন।

‘না, আমি যা করেছি তার প্রতিদান নিতে পারব না। ক্ষমা করবেন।’ জবাব দিলেন সেই কৃষক। এমন সময় ঘর থেকে বেরিয়ে এলো তার ছেলে।

‘এটা কি আপনার ছেলে?’ ভদ্রলোক জানতে চাইলেন।

কৃষক গর্বের সঙ্গে জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, এ আমার ছেলে।’

‘আমি আপনাকে একটি প্রস্তাব দিতে চাই। আমার ছেলের মতো আপনার ছেলেকেও পড়ালেখা করানোর সুযোগ আমায় দিন। যদি আপনার সামান্য গুণও ওর মধ্যে থাকে

তাহলে নিশ্চয় একদিন এমন বড় মানুষ হবে- আমরা সবাই তাকে নিয়ে গর্ব করব।’

বাস্তবে সেটিই হল। কৃষক ফ্লেমিংয়ের ছেলেকে ভর্তি করানো হল সেরা স্কুলে। যথাসময়ে সেই ছেলেটি স্নাতক পাস করলেন লন্ডনের সেন্ট মেরিজ হসপিটাল মেডিকেল স্কুল থেকে। আর পেনিসিলিন আবিষ্কার করে সারা দুনিয়ায় তিনি পরিচিতি লাভ করলেন স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং হিসেবে।

কয়েক বছর পরের কথা। পুকুর থেকে বাঁচানো ভদ্রলোকের সেই ছেলেটি নিউমোনিয়ায় মারাত্মকভাবে ভুগছিলেন। মর মর অবস্থা।

সে সময়ে তার প্রাণ বাঁচল কিসে? সেই পেনিসিলিনে।

সেই ভদ্রলোকের নাম কী? লর্ড রানডলফ চার্চিল।

তার ছেলের নাম? স্যার উইস্টন চার্চিল।

নীতিকথা : ভালো কাজের ফল অবশ্যই ভালো হয়।

মূল গল্প : হোয়াট গোজ অ্যারাউন্ড কামস অ্যারাউন্ড

29/12/2022

"মানসিক ক্ষত অনেক সময় শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর।"

খুব ছোট্ট এক ছেলে প্রচন্ড রাগী ছিলো। তার বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে।

প্রথম দিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হলো। পরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলো
তা প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো।

সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠের বেড়ায় পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক বেশি সহজ। শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে তার বাবাকে এই কথা জানালো। তারা বাবা তাকে বললো, এখন তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক খুলে ফেলো।

অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বললো, 'তুমি খুব ভালভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছো, এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো, প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্তগুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না। যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে ঠিক এমন একটা আচড় পরে যায়। তাই নিজের রাগতে নিয়ন্ত্রন করতে শেখো।

"মানসিক ক্ষত অনেক সময় শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর।"

29/12/2022

মানুষ তোমার সামনে যা প্রকাশ করে তা দেখে প্রভাবিত হয়ে যেয়ো না।

স্বামী আর স্ত্রী বেড়াতে গেল চিড়িয়াখানায়। তারা দেখল একটি বানর তার সঙ্গীনির সাথে খেলছে, খুনসুটি করছে। স্ত্রী দৃশ্যটা দেখে মুগ্ধ হয়ে স্বামীকে বলল: কী চমৎকার ভালোবাসার দৃশ্য!

এরপর তারা গেল সিংহদের খাঁচার কাছে। দেখল: সিংহ খাঁচার একপাশে চুপচাপ বসে আছে। সিংহীটাও অদূরে অন্য দিকে ফিরে বসে আছে।

স্ত্রী দেখে বলল: আহ! ভালোবাসার কী নির্মম পরিণতি! স্বামী এতক্ষণ চুপচাপ স্ত্রীর পাশে হাঁটছিল। এবার নীরবতা ভঙ্গ করে বললেন: ধরো! এই কাঁচের টুকরাটা সিংহীর দিকে ছুঁড়ে মারো, আর দেখো কী ঘটে!

মহিলাটি যখন কাঁচের টুকরোটা ছুঁড়ে মারল, সিংহ ক্ষিপ্ত হয়ে গেল।
সঙ্গীনিকে বাঁচানোর জন্য গর্জে উঠল। এবার মেয়ে বানরটার দিকে ছুঁড়ে মারো। দেখ কী ঘটে। পুরুষ বানরটার আচরণ লক্ষ্য কর। স্ত্রী কাঁচের টুকরোটা বানরীর দিকে ছুঁড়ে মারল। দেখা গেল ছুঁড়ে মারার আগেই বানরটা আত্মরক্ষার্তে ছুটে পালিয়ে গেল। সঙ্গীনির দিকে ফিরেও তাকাল না।

স্বামী বলল: মানুষ তোমার সামনে যা প্রকাশ করে তা দেখে প্রভাবিত হয়ে যেয়ো না। অনেক মানুষ আছে যারা তাদের বানোয়াট লোক দেখানো আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করে অন্যকে প্রতারিত করে। আবার অনেক মানুষ আছে যারা তাদের ভেতরে গভীর অনুরাগ- ভালবাসা লুকিয়ে রাখে। আর বর্তমানে সিংহদের চেয়ে বানরদের সংখ্যাই বেশি।

ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে আপনজনের সাথে অকৃত্রিম আচরণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন

Address

Jhenida

Telephone

+8801838298888

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Arman Nadir posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Arman Nadir:

Videos

Share