R HASAN BIPPY

R HASAN BIPPY Believes in Democracy.

09/10/2024
09/10/2024

ধর্ম যার যার নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।
-তারেক রহমান

Philosophy এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ (Political Ideology) একে অপরের থেকে বেশ আলাদা হলেও, তারা একে অপরের সাথে জড়িত। দুটোই মানু...
08/10/2024

Philosophy এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ (Political Ideology) একে অপরের থেকে বেশ আলাদা হলেও, তারা একে অপরের সাথে জড়িত। দুটোই মানুষের চিন্তা-ভাবনা এবং সমাজের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য এবং প্রয়োগের ধরণ ভিন্ন।

Philosophy (দর্শন):

দর্শন হচ্ছে একটি চিন্তাশাস্ত্র যা মানুষ কীভাবে জীবনকে বোঝে, কেমন করে পৃথিবী কাজ করে, এবং নৈতিকতা বা সঠিক-ভুলের বিচার কী হওয়া উচিত, সেই সব বিষয়ে আলোচনা করে। এটি তত্ত্ব এবং ভাবনা নিয়ে কাজ করে। দর্শনের মূল লক্ষ্য হলো সত্যের খোঁজ করা এবং জীবনের গভীর প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা। উদাহরণ হিসেবে—মানুষ কেন বেঁচে আছে? জীবনের উদ্দেশ্য কী? সত্য, সৌন্দর্য, এবং ন্যায়বিচার কাকে বলে?

দর্শন সময় এবং স্থান বদলানোর পরেও স্থির থাকে; এটি কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বা সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় না। এটি হলো মৌলিক চিন্তার একটি পথ যা মানুষকে তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে পথ দেখায়।

Political Ideology (রাজনৈতিক মতাদর্শ):

রাজনৈতিক মতাদর্শ হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা দৃষ্টিভঙ্গি যা কীভাবে সমাজ এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করা উচিত, সেই সম্পর্কে ধারনা দেয়। এটি একটি দল বা গোষ্ঠীর চিন্তা-ভাবনা এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় এবং তার লক্ষ্য হলো সেই মতাদর্শ অনুসারে সমাজের নিয়মকানুন, আইন এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গঠন করা।

যেমন, বামপন্থী মতাদর্শে সামাজিক সমানাধিকার এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেওয়া হয়, আর ডানপন্থী মতাদর্শে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং বাজারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। রাজনৈতিক মতাদর্শ সময়ের সাথে সাথে এবং সমাজের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।

মূল পার্থক্য:

1. উদ্দেশ্য:
- দর্শন মানুষের জীবন এবং পৃথিবীর গভীর প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে।
- রাজনৈতিক মতাদর্শ রাষ্ট্র পরিচালনার একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা নীতি নির্ধারণ করে।

2. প্রয়োগ:
- দর্শন মূলত চিন্তা এবং তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
- রাজনৈতিক মতাদর্শ একটি কর্মসূচি বা বাস্তব নীতির মাধ্যমে সমাজ এবং রাষ্ট্র পরিচালনার চেষ্টা করে।

3. পরিবর্তনশীলতা:
- দর্শন সময়ের সাথে খুব একটা পরিবর্তিত হয় না, কারণ এটি গভীর এবং মৌলিক চিন্তাকে ধরে রাখে।
- রাজনৈতিক মতাদর্শ সময়ের সাথে, এবং সমাজ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে।

4. ব্যক্তিগত বনাম সামাজিক:
- দর্শন ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা এবং ব্যক্তিগত জীবনের উপর ভিত্তি করে।
- রাজনৈতিক মতাদর্শ মূলত সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তৈরি হয়।

সুতরাং, সহজ ভাষায় বলতে গেলে, দর্শন হলো মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও জীবনের গভীর বিষয় নিয়ে গবেষণা, আর রাজনৈতিক মতাদর্শ হলো কীভাবে সমাজ ও দেশ চালানো উচিত সেই বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা।

01/10/2024

তেল আবিবের আকাশে ইরানের ২০০ মিসাইল।
(বিস্তারিত কমেন্টে)

27/09/2024

উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করুন
-দেশনায়ক তারেক রহমান।

যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল এর সমন্বয়ে সারাদেশে জেলা ভিত্তিক সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনা মূলক যৌথ কর্মীসভা সফল হোক।

26/09/2024

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর শোকবার্তা

মাই টিভির সিনিয়র সাংবাদিক ইউসুফ আলী’র মাতা মোমেলা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। ইনড়বা লিল্লাহে ওয়া ইনড়বা ইলাইহে রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। মোমেলা বেগম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, “মোমেলা বেগম এর মৃত্যুতে তার পরিবার-পরিজনদের মতো আমিও গভীরভাবে সমব্যাথী। ধর্মপরায়ণা ও পরোপকারী নারী হিসেবে মরহুমা মোমেলা বেগম-কে এলাকার সকলে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতেন। দোয়া করি-মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাকে জানড়বাত নসীব এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদেরকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন।”

বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় মোমেলা বেগম এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

26/09/2024

কীভাবে আ.লীগ আমলের পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধার করতে পারে বাংলাদেশ?
-এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সম্পদ জব্দ করার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত অন্যসব দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায়, তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রায় ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট সহায়তা চাইতে বাধ্য হয়।
একই সময় যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস বাংলাদেশি ঘড়ি সংগ্রহকারী আহমেদ রহমানকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আহমেদ রহমান হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাবশালী উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ভাগনে। বর্তমানে সালমান এফ রহমান কারাগারে রয়েছেন।
দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দামি ঘড়ি ছাড়াও আহমেদের পরিবার যুক্তরাজ্যে কয়েক মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পত্তির মালিক। এর আগে আরেকটি নিউজ সাইট নেত্র নিউজে প্রকাশিত হয়েছিল, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যে রহমান পরিবারের মালিকানাধীন একটি বাড়িতে থাকেন।
কীভাবে আহমেদ এবং তার পরিবার এই বিপুল পরিমাণ অর্থ যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরিত করেছে তা একটি ধাঁধার মধ্যে রয়ে গেছে। কারণ, বাংলাদেশের আইনে সীমিত পরিমাণ অর্থই বিদেশে পাঠানো যায়।
বাংলাদেশে হাসিনার শাসনামলে ক্ষমতাসীন এলিটরা বিদেশে অসৎ উপায়ে অর্থ পাচার করেছিল। আল জাজিরার অনুসন্ধানী তথ্য অনুযায়ী, হাসিনা সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, যার বৈশ্বিক সম্পদের পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। যার বেশির ভাগ অংশ তিনি বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই সরকারকে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে।
ইউনূস সরকার ইতোমধ্যেই অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে।

যেগুলো হলো—
বিতর্কিত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে রদবদল করে আর্থিক খাতের সংস্কার এবং আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ সহায়তা চাওয়া। এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাংলাদেশের রিজার্ভের ওপর চাপ রয়েছে।
সুতরাং ঋণ চাওয়ার পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই পাচার করা অর্থ ফেরত আনার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। যা কেবল অর্থনীতিকেই চাঙা করবে না, ঋণের বোঝা কমাতেও সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে চারটি উপায় রয়েছে—
প্রথমত, বাংলাদেশ স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি ইনিশিয়েটিভ (এসটিএআর)-এর সদস্য। বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিসের (ইউএনওডিসি) মধ্যেও অংশীদারিত্ব রয়েছে। কিন্তু হাসিনা সরকারের অপব্যবহারের কারণে এখনও এগুলোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়নি। সম্পদ পুনরুদ্ধারের পরিবর্তে বিরোধী নেতাদের হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে এগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেতে সহায়তা করেছে।
দ্বিতীয়ত, অন্তর্বর্তী সরকার সন্দেহভাজন অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তাদের সম্পদ জব্দ করতে অন্য দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া তাদের বাংলাদেশে ফেরত আসতে এবং আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
তৃতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি দুর্নীতি অনুশীলন আইন (এফসিপিএ) একটি গেমচেঞ্জার হতে পারে যদি পাচারকৃত অর্থ মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিয়োগ বা লেনদেন করা হয়। এমনকি বাংলাদেশ ফিফার দুর্নীতি কেলেঙ্কারি থেকে শিক্ষা নিতে পারে এবং এটিকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের টার্গেট করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সহযোগী মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ, যিনি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে ২০২০ সালের এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। আরেকজন হলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করেছেন বলে জানা গেছে।
সবশেষ, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অবশ্যই হাসিনার সহযোগীদের অর্থ পাচারের গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সম্পর্কে আর্থিক গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান বাড়াতে হবে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে আইনি সহায়তা এবং অর্থ পাচারকারীদের জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে সরকার থেকে সরকার অংশীদারিত্ব শুরু করতে হবে।
যদিও বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে পশ্চিম, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সরকারেরও পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সদিচ্ছা দেখানো উচিত।

লেখক: শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট ও মানবাধিকার কর্মী
(দ্য ডিপ্লোমেট থেকে বাংলা করা)

26/09/2024

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি

       #বাংলাদেশজাতীয়তাবাদীদল
09/09/2024




#বাংলাদেশজাতীয়তাবাদীদল

নোটিশ / বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি

08/09/2024
08/09/2024

"আমি মেজর ডালিম বলছি" বইয়ের "কলকাতায় অবস্থিত প্রবাসী সরকার এবং মুক্তিযুদ্ধ" অংশে মেজর ডালিম (সৈয়দ ফারুক রহমান) মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন ঘটনাবলী এবং প্রবাসী সরকারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এখানে তিনি মূলত কলকাতায় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম এবং মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সামরিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বর্ণনা দিয়েছেন।

সংক্ষেপে মূল বিষয়গুলো হলো:

১. প্রবাসী সরকারের গঠন: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য একটি প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়। কলকাতায় এই প্রবাসী সরকার কাজ করত, যা বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা করত এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভের চেষ্টা করত।

২. রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা: প্রবাসী সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায় করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালায়। ভারত সরকার এবং অন্যান্য দেশের সমর্থন পেতে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করে।

৩. মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন: প্রবাসী সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করতে এবং যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। তারা সামরিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য পরিকল্পনা করে।

৪. চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিবন্ধকতা: প্রবাসী সরকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, যার মধ্যে ছিল আন্তর্জাতিক সমর্থনের অভাব এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মতবিরোধ।

৫. ভারতের ভূমিকা: ভারত সরকারের সমর্থন এবং সহযোগিতা মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভারত থেকে প্রবাসী সরকারকে সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

এই অংশে মেজর ডালিম প্রবাসী সরকারের অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তাদের ভূমিকা নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন।

Ten Unknown Facts About  1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germa...
07/09/2024

Ten Unknown Facts About
1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.
2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky.
3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and hybrid powertrains.
4. Performance and Motorsport Heritage: BMW has a strong heritage in motorsport, particularly in touring car and Formula 1 racing. The brand's M division produces high-performance variants of their regular models, known for their precision engineering and exhilarating driving dynamics.
5. Global Presence: BMW is a global automotive Company
6. Luxury and Design: BMW is synonymous with luxury and distinctive design, crafting vehicles that blend elegance with cutting-edge technology and comfort.

7. Sustainable Practices: BMW has committed to sustainability, incorporating eco-friendly materials and manufacturing processes into its vehicles, as well as advancing electric vehicle technology with models like the BMW i4 and iX.
8. Global Manufacturing: BMW operates numerous production facilities worldwide, including in Germany, the United States, China, and other countries, ensuring a global reach and localized production.
9. Brand Portfolio: In addition to its renowned BMW brand, the company also owns MINI and Rolls-Royce, catering to a diverse range of automotive tastes and luxury segments.
10. Cultural Impact: BMW's vehicles often become cultural icons.

31/08/2024

"সাম্রাজ্যবাদ থেকে গণতন্ত্র: দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক বিবর্তনের ধারার সংক্ষিপ্ত রূপ"

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির ইতিহাস হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত, এবং এর শুরু হয়েছে একাধিক প্রাচীন সাম্রাজ্য থেকে। সময়ের সাথে সাথে এখানকার রাজনীতি অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে—সাম্রাজ্য, উপনিবেশ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, এবং অবশেষে আধুনিক রাষ্ট্রগুলোর উদ্ভব। এবার আসুন আরও বিস্তারিতভাবে এই ইতিহাসের দিকে নজর দেই।

✓ প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় সাম্রাজ্যঃ ক্ষমতার ভিত্তি স্থাপন।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন রাজনীতি শুরু হয় মিশ্র দার্শনিক এবং সামরিক ভাবধারার উপর ভিত্তি করে। প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মৌর্য এবং গুপ্ত সাম্রাজ্য। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য (প্রায় ৩২১-২৯৭ খ্রিস্টপূর্ব) ছিলেন প্রথম একীভূত ভারতীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর শাসনকালের সময়েই কৌটিল্য রচিত 'অর্থশাস্ত্র' রচনা করা হয়, যা প্রাচীন ভারতীয় রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

এরপর আসে গুপ্ত সাম্রাজ্য (প্রায় ৩২০-৫৫০ খ্রিস্টাব্দ), যা ভারতীয় সভ্যতার 'স্বর্ণযুগ' হিসেবে পরিচিত। গৌতম বুদ্ধের ধর্মবাণী ও হিন্দু ধর্মের পুনর্জাগরণের সাথে সাথে এই সময়ের রাজনীতিতে সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির একটি যুগ শুরু হয়। গুপ্ত সাম্রাজ্য ছিল তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী, যা পরবর্তীকালে মুঘল শাসনের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করে।

✓ মুঘল সাম্রাজ্যঃ নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার সূচনা।

মুঘল সাম্রাজ্য (১৫২৬-১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ) দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে। বাবর থেকে শুরু করে আওরঙ্গজেব পর্যন্ত, মুঘল সম্রাটরা ভারতবর্ষের বিশাল অংশ শাসন করেন। আকবর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের অন্যতম সফল শাসক, যিনি ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন ধর্মের লোকদের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলেন।

মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে শাসনভার গ্রহণ করে। মুঘলদের দুর্বলতা এবং স্থানীয় রাজ্যের মধ্যে বিভেদ ব্রিটিশদের পক্ষে শক্তি বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দেয়।

✓ উপনিবেশিক যুগঃ ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম।

১৭৫৭ সালের প্লাসির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার, এবং উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে, যা ছিল ভারতবর্ষে ব্রিটিশ আধিপত্যের সূচনা। এরপর ধীরে ধীরে পুরো ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশদের দ্বারা প্রবর্তিত 'ডিভাইড অ্যান্ড রুল' নীতি ভারতীয় সমাজে ভেদাভেদ বাড়িয়ে দেয়।

উনিশ শতকের শেষভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম দিকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা হয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ, এবং মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ১৯৪৭ সালে, বহু বছরের সংগ্রামের পর, ভারত ও পাকিস্তান আলাদা দুটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে।

✓ ভারত-পাকিস্তান বিভাজন ও তার পরিণাম

ভারতের স্বাধীনতা এবং পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে একটি বিশাল পরিবর্তন নিয়ে আসে। বিভাজন প্রক্রিয়া ছিল রক্তক্ষয়ী, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের বাসস্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্রকে চিরতরে বদলে দেয়।

ভারতে, ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত, ভারতীয় রাজনীতি ধারাবাহিকভাবে বিবর্তিত হয়েছে। কংগ্রেস দলের দীর্ঘ শাসনের পর, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তান শুরু থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার শিকার হয়েছে। প্রথমে সামরিক শাসন, পরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম এবং অবশেষে ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা—এগুলোই পাকিস্তানের রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছে। ১৯৭১ সালে, পূর্ব পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রে আরেকটি বড় পরিবর্তন আনে।

✓ আধুনিক যুগঃ দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান রাজনীতি

দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান রাজনীতি অত্যন্ত জটিল এবং গতিশীল, যেখানে প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আধুনিক যুগে, এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশ তাদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব বিস্তার করতে সংগ্রাম করছে। এখানে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান দেশগুলোর বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পেছনের কারণসমূহ বিশ্লেষণ করা হলো।

✓• ভারত: গণতন্ত্র, ধর্মীয় মেরুকরণ, এবং জাতীয়তাবাদের উত্থান

ভারত, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় আসে, এবং বিজেপি জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা এবং হিন্দুত্ববাদের প্রচারের মাধ্যমে দেশটির রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে পরিবর্তন করেছে।

কারণসমূহ:
১. ধর্মীয় মেরুকরণ: বিজেপি’র নেতৃত্বে ধর্মীয় মেরুকরণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেখানে মুসলিম সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর প্রভাব বাড়ছে।

২. জাতীয়তাবাদ: বিজেপি’র 'মেক ইন ইন্ডিয়া' এবং 'আত্মনির্ভর ভারত' প্রচারণা জাতীয়তাবাদী অনুভূতির উপর জোর দেয়, যা রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলেছে।

৩. কৃষক আন্দোলন: সম্প্রতি কৃষি আইন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক এবং আন্দোলন দেখা গেছে। কৃষক আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা প্রমাণ করে যে গ্রামীণ ভারতের ভোটাররা সরকারের নীতির প্রতি কতটা সংবেদনশীল।

✓• পাকিস্তান: রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামরিক প্রভাব, এবং অর্থনৈতিক সংকট

পাকিস্তানের রাজনীতি সর্বদা অস্থিতিশীল এবং সামরিক বাহিনীর প্রভাব সেখানে বিশেষভাবে দৃশ্যমান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) সরকার, এবং তার পতন ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেশের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনকে চিহ্নিত করেছে।

কারণসমূহ:
১. সামরিক বাহিনীর প্রভাব: পাকিস্তানের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। ইমরান খানের পতনের পেছনে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জল্পনা রয়েছে, যা প্রমাণ করে যে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষমতা এখনো সামরিক কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

২. অর্থনৈতিক সংকট: পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, এবং ঋণের বোঝা দেশটির অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করছে। এই সংকট মোকাবিলায় দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা সামাজিক অসন্তোষ বাড়িয়ে দিয়েছে।

৩. কট্টরপন্থার উত্থান: পাকিস্তানে কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলির উত্থান এবং তাদের রাজনৈতিক প্রভাব বেড়ে চলেছে। এই গোষ্ঠীগুলির সমর্থন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় হুমকি সৃষ্টি করছে।

✓• বাংলাদেশ: রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং গণতন্ত্রের সংকট

বাংলাদেশের রাজনীতি মূলত দুই প্রধান দলের—আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)—মধ্যে প্রতিযোগিতার দ্বারা চিহ্নিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমানে ক্ষমতাসীন থাকাকালীন সময় থেকেই, গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

কারণসমূহ:

১.রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা: আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং সংঘাত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মূল কারণ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারবার সহিংসতা এবং অভিযোগ প্রমাণ করে যে রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং স্বাধীনতা সংকটাপন্ন।

২. গণতন্ত্রের অবনতি: গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ, বিরোধী দলগুলির ওপর নিপীড়ন, এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাব বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবস্থাকে দুর্বল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

৩. অর্থনৈতিক উন্নয়ন বনাম মানবাধিকার: বাংলাদেশের অর্থনীতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে, তবে মানবাধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর লাগাতার চাপ দেশের ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

✓• শ্রীলঙ্কা: রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট

শ্রীলঙ্কা বর্তমানে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। ২০২২ সালের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ফলে ব্যাপক গণবিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়।

কারণসমূহ:

১. অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা: দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, এবং বৈদেশিক ঋণের বোঝা শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে। এর ফলে জীবনযাত্রার মান ব্যাপকভাবে নিচে নেমে গেছে এবং বেকারত্ব বেড়ে গেছে।

২. রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা: গোটাবায়া রাজাপক্ষের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে একচেটিয়া ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রবণতা দেখা যায়, যা জনগণের অসন্তোষ বাড়িয়েছে। রাজাপক্ষের সরকারের পতনের পরও রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে।

৩. আন্তর্জাতিক চাপ: শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা প্রয়োজন, তবে এর সাথে শর্ত জড়িত, যা শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

✓• নেপাল: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জ

নেপালে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে সংগ্রাম করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ এবং ক্ষমতার জন্য লড়াই দেশটির ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

কারণসমূহ:

১. রাজনৈতিক বিভাজন: নেপালের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিভাজন এবং ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে লড়াই রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রধান কারণ। এই বিভাজন নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করছে।

২. সাংবিধানিক জটিলতা: নেপালের নতুন সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠী এবং অঞ্চলের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। সাংবিধানিক সংস্কার এবং সমতার প্রশ্নে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

৩. আঞ্চলিক প্রভাব: চীন এবং ভারতের প্রভাব নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। এই দুই শক্তির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে নেপালের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অত্যন্ত সাবধান হতে হয়।

দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান রাজনীতি অতি বৈচিত্র্যময় এবং বহুমাত্রিক। প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, যা শুধুমাত্র তাদের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে না, বরং আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং অঞ্চলভিত্তিক রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখার সংগ্রাম এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশের জন্য একটি অব্যাহত চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে।

(চলবে.....)

21/08/2024

✓ বাংলাদেশে প্রতিবছর পানি প্রবাহের পরিমাণ:
- গড় প্রবাহিত পানি: বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১.২ ট্রিলিয়ন ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হয়।

- বাহ্যিক উৎস: এই পানির প্রায় ৯২% ভারত, নেপাল, ভুটান, ও চীন থেকে প্রবাহিত হয়ে আসে, বিশেষত গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, ও মেঘনা নদী থেকে।

- অভ্যন্তরীণ উৎস: বাংলাদেশে প্রতিবছর মোট ১০০-১১০ বিলিয়ন ঘনমিটার পানি দেশের অভ্যন্তরে বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়।

✓ প্রাকৃতিকভাবে নদী প্রবাহ ঠিক রাখা ও বনায়নের সম্পর্ক:
- বনায়নের ভূমিকা: বন ভূমি পানি ধারণে সহায়তা করে, যা মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং নদীতে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। এটি বন্যা ও নদীর ক্ষয় প্রতিরোধেও সহায়ক।

- নদী প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ: বনজঙ্গল নদীর উৎসস্থলে ও তীরবর্তী এলাকায় থাকা পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বনায়ন নদীর পানির গতিবিধি এবং প্রাকৃতিক জলপ্রবাহের দিকনির্দেশ করতে সহায়তা করে, যা প্রাকৃতিকভাবে নদী প্রবাহ ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে।

✓ বাংলাদেশের বর্তমান বনায়নের পরিমাণ ও ঘাটতি:
- বর্তমান বনায়ন: বাংলাদেশে বর্তমান বনায়নের পরিমাণ প্রায় ১৩-১৪% (বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য হতে পারে)।

- প্রয়োজনীয় বনায়ন: দেশের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক জলপ্রবাহ ঠিক রাখতে মোট ভূমির ২৫% বনভূমি থাকা প্রয়োজন বলে ধারণা করা হয়।

- ঘাটতি: দেশের মোট বনায়নের ঘাটতি প্রায় ১০-১২% রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণ করলে বন্যা, নদী ভাঙন ও অন্যান্য পরিবেশগত ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

✓ ভারতের বাঁধে পানি আটকে দেওয়া হলে বৃষ্টিপাতের প্রয়োজনীয়তা:
- পানি ঘাটতি: যদি ভারত বাঁধ দিয়ে পানি আটকে দেয়, তাহলে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা সহ অন্যান্য প্রধান নদীগুলোর পানির প্রবাহে ৩০-৫০% পর্যন্ত ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

- প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত: এই ঘাটতি পূরণে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত দরকার হবে, যা সাধারণত বাংলাদেশের বর্ষাকালে ঘটে। তবে, ঘাটতি পূরণে পুরো বর্ষাকালে গড়ে প্রায় ৩০০০-৩৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টি প্রয়োজন হতে পারে।

- বনায়নের প্রয়োজন: প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের জন্য এবং জল ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বনায়ন প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে যে ১৩-১৪% বনায়ন আছে, তা ২৫% এ নিয়ে গেলে বৃষ্টিপাতের স্বাভাবিক প্রবাহ এবং পানি সংরক্ষণ উভয়ই নিশ্চিত করা সম্ভব।

✓ সারসংক্ষেপ:
ভারতের বাঁধে পানি আটকে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানি প্রবাহে সংকট দেখা দিতে পারে। এই সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজন পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত, যা নিশ্চিত করতে আমাদের দেশে আরো বনায়ন করতে হবে।

বর্তমান বনায়নের পরিমাণ কম থাকায় পরিবেশের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তাই বনায়নের ঘাটতি পূরণ করা জরুরি।

রাজনৈতিক শিষ্টাচার: একটি অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বিশ্লেষণরাজনৈতিক শিষ্টাচার বলতে রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের একে অপরের ...
15/08/2024

রাজনৈতিক শিষ্টাচার: একটি অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বিশ্লেষণ

রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলতে রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের একে অপরের সাথে এবং জনগণের সাথে আচরণ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়মনীতি, ভদ্রতা, এবং সম্মানজনক আচরণকে বোঝানো হয়। এটি শুধু সৌজন্য নয়, বরং রাজনৈতিক পরিবেশে সৌহার্দ্য বজায় রাখার একটি প্রধান উপাদান।

বাংলাদেশসহ যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে, রাজনৈতিক শিষ্টাচার একটি সুস্থ ও কার্যকর রাজনৈতিক সংস্কৃতি গঠনে সহায়তা করে। এখানে আমরা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বিভিন্ন দিক এবং তা কীভাবে বাস্তব জীবনে প্রভাব ফেলে, তার উপর বিস্তারিত আলোকপাত করব।

১. সম্মানজনক ভাষা প্রয়োগ
রাজনৈতিক শিষ্টাচারের প্রথম ধাপ হলো সম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করা। রাজনীতিবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সেই মতপার্থক্য প্রকাশের সময় ভাষার ভদ্রতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, সংসদ অধিবেশনে অনেক সময় উত্তপ্ত বিতর্ক হয়, কিন্তু সেই বিতর্কে প্রতিপক্ষের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন না করে, যুক্তিসংগত ও শালীন ভাষা প্রয়োগ করা উচিত। যেমন, ২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চের সময় অনেক কঠিন আলোচনা হয়েছে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাষার ভদ্রতা বজায় রাখা হয়েছিল।

২. বিরোধী মতকে স্বীকৃতি দেওয়া
একটি সুস্থ গণতন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো মতপার্থক্য। তবে সেই পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, প্রতিপক্ষের মতামতকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাকে গুরুত্ব দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উদাহরণস্বরূপ, শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া দুজনেই তাদের সময়ে একে অপরের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, কিন্তু জাতীয় সংকটে তারা একে অপরের মতামতকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

৩. সঠিক উপাধি ও সম্বোধন
রাজনৈতিক শিষ্টাচারের আরেকটি দিক হলো সঠিক উপাধি এবং সম্মানজনক ভাষায় সম্বোধন করা। এটি শুধুমাত্র শালীনতার জন্যই নয়, বরং এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বা অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে সম্বোধন করা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে। ২০১৫ সালের এক ঘটনায়, সংসদে একজন সংসদ সদস্য স্পিকারকে ‘ম্যাডাম স্পিকার’ না বলে শুধু ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করেছিলেন, যা পরবর্তীতে সমালোচিত হয়েছিল।

৪. অন্যান্যদের কথা শোনা
রাজনৈতিক শিষ্টাচারের একটি প্রধান দিক হলো অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া। এটি শুধু সৌজন্য নয়, বরং একটি কার্যকর রাজনৈতিক আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বশর্ত। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনেছিলেন এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

৫. কূটনীতি ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে কূটনৈতিক এবং বিচক্ষণ ভাষা ব্যবহার করা জরুরি। এতে করে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এবং উত্তেজনা এড়ানো যায়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষায় প্রচণ্ড কূটনৈতিক ছিলেন, যা দেশের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হয়েছিল।

৬. পেশাদারিত্ব
রাজনীতিবিদদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখা শিষ্টাচারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু তাদের ব্যক্তিগত সম্মান নয়, বরং সমগ্র রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান করার সময় যথাযথ পোশাক পরিধান করা এবং অনুষ্ঠান নিয়ম মেনে পালন করা পেশাদারিত্বেরই অংশ।

৭. সফলতার জন্য অভিনন্দন
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে বিজয়ী পক্ষকে অভিনন্দন জানানো একটি সুন্দর রাজনৈতিক শিষ্টাচার। এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক পরিবেশে সৌহার্দ্য বজায় রাখে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর, বিএনপির পক্ষ থেকে অভিনন্দন বার্তা পাঠানো হয়েছিল, যা রাজনৈতিক সৌজন্যের উদাহরণ।

৮. দলমত নির্বিশেষে সহযোগিতা
একটি জাতির সংকটময় মুহূর্তে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সবাই মিলে কাজ করা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের অংশ। এটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময়, সব রাজনৈতিক দল একযোগে কাজ করেছিল, যা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

৯. ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকা
রাজনৈতিক বিতর্কে উত্তপ্ত পরিবেশেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করা উচিত নয়। এটি শিষ্টাচারের লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য ক্ষতিকর। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং মিথ্যা রটনা প্রচারের কারণে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল।

১০. প্রটোকল মানা
প্রটোকল মানা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু শালীনতার পরিচয় নয়, বরং রাজনৈতিক পরিবেশের স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর যথাযথ সম্মান প্রদান করা প্রটোকলের মধ্যে পড়ে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে এই শিষ্টাচারগুলো অনুসরণ করা একটি সুস্থ ও কার্যকর গণতান্ত্রিক পরিবেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি কেবল রাজনৈতিক নেতাদের নয়, বরং সমগ্র জাতির জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

Address

Jashore
Jessore
7400

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when R HASAN BIPPY posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share