31/08/2024
"সাম্রাজ্যবাদ থেকে গণতন্ত্র: দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক বিবর্তনের ধারার সংক্ষিপ্ত রূপ"
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির ইতিহাস হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত, এবং এর শুরু হয়েছে একাধিক প্রাচীন সাম্রাজ্য থেকে। সময়ের সাথে সাথে এখানকার রাজনীতি অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে—সাম্রাজ্য, উপনিবেশ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, এবং অবশেষে আধুনিক রাষ্ট্রগুলোর উদ্ভব। এবার আসুন আরও বিস্তারিতভাবে এই ইতিহাসের দিকে নজর দেই।
✓ প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় সাম্রাজ্যঃ ক্ষমতার ভিত্তি স্থাপন।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন রাজনীতি শুরু হয় মিশ্র দার্শনিক এবং সামরিক ভাবধারার উপর ভিত্তি করে। প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মৌর্য এবং গুপ্ত সাম্রাজ্য। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য (প্রায় ৩২১-২৯৭ খ্রিস্টপূর্ব) ছিলেন প্রথম একীভূত ভারতীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর শাসনকালের সময়েই কৌটিল্য রচিত 'অর্থশাস্ত্র' রচনা করা হয়, যা প্রাচীন ভারতীয় রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
এরপর আসে গুপ্ত সাম্রাজ্য (প্রায় ৩২০-৫৫০ খ্রিস্টাব্দ), যা ভারতীয় সভ্যতার 'স্বর্ণযুগ' হিসেবে পরিচিত। গৌতম বুদ্ধের ধর্মবাণী ও হিন্দু ধর্মের পুনর্জাগরণের সাথে সাথে এই সময়ের রাজনীতিতে সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির একটি যুগ শুরু হয়। গুপ্ত সাম্রাজ্য ছিল তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী, যা পরবর্তীকালে মুঘল শাসনের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করে।
✓ মুঘল সাম্রাজ্যঃ নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার সূচনা।
মুঘল সাম্রাজ্য (১৫২৬-১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ) দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে। বাবর থেকে শুরু করে আওরঙ্গজেব পর্যন্ত, মুঘল সম্রাটরা ভারতবর্ষের বিশাল অংশ শাসন করেন। আকবর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের অন্যতম সফল শাসক, যিনি ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন ধর্মের লোকদের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলেন।
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে শাসনভার গ্রহণ করে। মুঘলদের দুর্বলতা এবং স্থানীয় রাজ্যের মধ্যে বিভেদ ব্রিটিশদের পক্ষে শক্তি বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দেয়।
✓ উপনিবেশিক যুগঃ ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম।
১৭৫৭ সালের প্লাসির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার, এবং উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে, যা ছিল ভারতবর্ষে ব্রিটিশ আধিপত্যের সূচনা। এরপর ধীরে ধীরে পুরো ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশদের দ্বারা প্রবর্তিত 'ডিভাইড অ্যান্ড রুল' নীতি ভারতীয় সমাজে ভেদাভেদ বাড়িয়ে দেয়।
উনিশ শতকের শেষভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম দিকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা হয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ, এবং মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ১৯৪৭ সালে, বহু বছরের সংগ্রামের পর, ভারত ও পাকিস্তান আলাদা দুটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে।
✓ ভারত-পাকিস্তান বিভাজন ও তার পরিণাম
ভারতের স্বাধীনতা এবং পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে একটি বিশাল পরিবর্তন নিয়ে আসে। বিভাজন প্রক্রিয়া ছিল রক্তক্ষয়ী, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের বাসস্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্রকে চিরতরে বদলে দেয়।
ভারতে, ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত, ভারতীয় রাজনীতি ধারাবাহিকভাবে বিবর্তিত হয়েছে। কংগ্রেস দলের দীর্ঘ শাসনের পর, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান শুরু থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার শিকার হয়েছে। প্রথমে সামরিক শাসন, পরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম এবং অবশেষে ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা—এগুলোই পাকিস্তানের রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছে। ১৯৭১ সালে, পূর্ব পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রে আরেকটি বড় পরিবর্তন আনে।
✓ আধুনিক যুগঃ দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান রাজনীতি
দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান রাজনীতি অত্যন্ত জটিল এবং গতিশীল, যেখানে প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আধুনিক যুগে, এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশ তাদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব বিস্তার করতে সংগ্রাম করছে। এখানে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান দেশগুলোর বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পেছনের কারণসমূহ বিশ্লেষণ করা হলো।
✓• ভারত: গণতন্ত্র, ধর্মীয় মেরুকরণ, এবং জাতীয়তাবাদের উত্থান
ভারত, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় আসে, এবং বিজেপি জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা এবং হিন্দুত্ববাদের প্রচারের মাধ্যমে দেশটির রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে পরিবর্তন করেছে।
কারণসমূহ:
১. ধর্মীয় মেরুকরণ: বিজেপি’র নেতৃত্বে ধর্মীয় মেরুকরণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেখানে মুসলিম সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর প্রভাব বাড়ছে।
২. জাতীয়তাবাদ: বিজেপি’র 'মেক ইন ইন্ডিয়া' এবং 'আত্মনির্ভর ভারত' প্রচারণা জাতীয়তাবাদী অনুভূতির উপর জোর দেয়, যা রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলেছে।
৩. কৃষক আন্দোলন: সম্প্রতি কৃষি আইন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক এবং আন্দোলন দেখা গেছে। কৃষক আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা প্রমাণ করে যে গ্রামীণ ভারতের ভোটাররা সরকারের নীতির প্রতি কতটা সংবেদনশীল।
✓• পাকিস্তান: রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামরিক প্রভাব, এবং অর্থনৈতিক সংকট
পাকিস্তানের রাজনীতি সর্বদা অস্থিতিশীল এবং সামরিক বাহিনীর প্রভাব সেখানে বিশেষভাবে দৃশ্যমান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) সরকার, এবং তার পতন ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেশের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনকে চিহ্নিত করেছে।
কারণসমূহ:
১. সামরিক বাহিনীর প্রভাব: পাকিস্তানের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। ইমরান খানের পতনের পেছনে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জল্পনা রয়েছে, যা প্রমাণ করে যে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষমতা এখনো সামরিক কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
২. অর্থনৈতিক সংকট: পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, এবং ঋণের বোঝা দেশটির অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করছে। এই সংকট মোকাবিলায় দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা সামাজিক অসন্তোষ বাড়িয়ে দিয়েছে।
৩. কট্টরপন্থার উত্থান: পাকিস্তানে কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলির উত্থান এবং তাদের রাজনৈতিক প্রভাব বেড়ে চলেছে। এই গোষ্ঠীগুলির সমর্থন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় হুমকি সৃষ্টি করছে।
✓• বাংলাদেশ: রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং গণতন্ত্রের সংকট
বাংলাদেশের রাজনীতি মূলত দুই প্রধান দলের—আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)—মধ্যে প্রতিযোগিতার দ্বারা চিহ্নিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমানে ক্ষমতাসীন থাকাকালীন সময় থেকেই, গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কারণসমূহ:
১.রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা: আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং সংঘাত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মূল কারণ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারবার সহিংসতা এবং অভিযোগ প্রমাণ করে যে রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং স্বাধীনতা সংকটাপন্ন।
২. গণতন্ত্রের অবনতি: গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ, বিরোধী দলগুলির ওপর নিপীড়ন, এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাব বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবস্থাকে দুর্বল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
৩. অর্থনৈতিক উন্নয়ন বনাম মানবাধিকার: বাংলাদেশের অর্থনীতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে, তবে মানবাধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর লাগাতার চাপ দেশের ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
✓• শ্রীলঙ্কা: রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট
শ্রীলঙ্কা বর্তমানে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। ২০২২ সালের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ফলে ব্যাপক গণবিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়।
কারণসমূহ:
১. অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা: দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, এবং বৈদেশিক ঋণের বোঝা শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে। এর ফলে জীবনযাত্রার মান ব্যাপকভাবে নিচে নেমে গেছে এবং বেকারত্ব বেড়ে গেছে।
২. রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা: গোটাবায়া রাজাপক্ষের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে একচেটিয়া ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রবণতা দেখা যায়, যা জনগণের অসন্তোষ বাড়িয়েছে। রাজাপক্ষের সরকারের পতনের পরও রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে।
৩. আন্তর্জাতিক চাপ: শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা প্রয়োজন, তবে এর সাথে শর্ত জড়িত, যা শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
✓• নেপাল: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জ
নেপালে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে সংগ্রাম করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ এবং ক্ষমতার জন্য লড়াই দেশটির ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
কারণসমূহ:
১. রাজনৈতিক বিভাজন: নেপালের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিভাজন এবং ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে লড়াই রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রধান কারণ। এই বিভাজন নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করছে।
২. সাংবিধানিক জটিলতা: নেপালের নতুন সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠী এবং অঞ্চলের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। সাংবিধানিক সংস্কার এবং সমতার প্রশ্নে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
৩. আঞ্চলিক প্রভাব: চীন এবং ভারতের প্রভাব নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। এই দুই শক্তির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে নেপালের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অত্যন্ত সাবধান হতে হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান রাজনীতি অতি বৈচিত্র্যময় এবং বহুমাত্রিক। প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, যা শুধুমাত্র তাদের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে না, বরং আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং অঞ্চলভিত্তিক রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখার সংগ্রাম এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশের জন্য একটি অব্যাহত চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে।
(চলবে.....)