Shrabon Hasan mukul

Shrabon Hasan mukul shrabonjhe

25/08/2022
20/07/2022

সলাতে পায়ের সাথে পা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো রসূল (ﷺ) এর নির্দেশ
🛑 সোজা হয়ে দাঁড়ান,📌 ফাঁকা জায়গা বন্ধ করুন,🔹 পায়ে পা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ান, ⭕শয়তানের জন্য জায়গা ফাঁকা রাখিয়েন না।

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان)
হাদিস নম্বরঃ ৭২৫


১০/৭৬. কাতারে কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলানো।

وَقَالَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ رَأَيْتُ الرَّجُلَ مِنَّا يُلْزِقُ كَعْبَهُ بِكَعْبِ صَاحِبِهِ.

নু‘মান ইবনু বশীর (রহ.) বলেন, আমাদের কাউকে দেখেছি পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির টাখ্নুর সাথে টাখ্নু মিলাতে।

৭২৫. আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করে নাও। কেননা, আমি আমার পিছন হতেও তোমাদের দেখতে পাই। আনাস (রাযি.) বলেন আমাদের প্রত্যেকেই তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলাতাম। (৭১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৮৯)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

অধ্যায়ঃ ১০. ছালাতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো

(৫) কাতারের মধ্যে পরস্পরের মাঝে ফাঁক রেখে দাঁড়ানো :

জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করার সময় কাতারের মাঝে পরস্পরের মধ্যে ফাঁক রাখা সুন্নাতের বরখেলাফ। উক্ত মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। পরস্পরের পায়ের মাঝে ‘চার আঙ্গুল’ পরিমাণ ফাঁক রাখতে হবে এবং পায়ে পা মিলালে অন্যকে অপমান করা হয় মর্মে সমাজে যে কথা প্রচলিত আছে, তা এক প্রকার জাহেলিয়াত। এটি সুন্নাতকে অবজ্ঞা করার অপকৌশল এবং চূড়ান্ত মিথ্যাচার। কারণ যারা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, তারা যদি পরস্পরে দাঁড়িয়ে পায়ে পা মিলিয়ে ছালাত পড়তে পারেন, তাহলে আমাদের সম্মানের হানি হবে কেন? আমাদেরকেও তাঁদের পদাংক অনুসরণ করতে হবে। কারণ পায়ে পা, টাখনুর সাথে টাখনু ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছালাতে দাঁড়াতে হবে মর্মে রাসূল (ছাঃ) বহু হাদীছে নির্দেশ করেছেন।

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ سَدَّ فُرْجَةً فِىْ صَفَّ رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً وَبَنَى لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ.

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কাতারের মাঝে ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়াবে, এর বিনিময়ে আললাহ তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন।[1]

🛑🔰সুধী পাঠক! মুরববীরা বলে থাকেন, পায়ের সাথে পা মিলালে সম্মান নষ্ট হয়। আর রাসূল (ছাঃ) বলছেন, আল্লাহ সম্মান বৃদ্ধি করে দেন। আমি তাহলে কার কথা গ্রহণ করব? অতএব সুন্নাতকে অাঁকড়ে ধরুন। রাসূল (ছাঃ)-এর শাফা‘আত লাভে ধন্য হৌন!

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى الَّذِينَ يَصِلُوْنَ الصُّفُوْفَ وَمَنْ سَدَّ فُرْجَةً رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً.

আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এবং ফেরেশতগণ তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, যারা কাতারবন্দী হয়ে ছালাত আদায় করেন। আর যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়ায়, আল্লাহ তা‘আলা এর বিনিময়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।[2]

عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ أَقِيْمُوا الصُّفُوْفَ وَحَاذُوْا بَيْنَ الْمَنَاكِبِ وَسُدُّوا الْخَلَلَ وَلِيْنُوْا بِأَيْدِىْ إِخْوَانِكُمْ وَلاَ تَذَرُوْا فُرُجَاتٍ لِلشَّيْطَانِ وَمَنْ وَصَلَ صَفًّا وَصَلَهُ اللهُ وَمَنْ قَطَعَ صَفًّا قَطَعَهُ اللهُ.

ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা কাতার সোজা করবে, বাহুসমূহকে বরাবর রাখবে, ফাঁক সমূহ বন্ধ করবে এবং তোমাদের ভাইদের হাতের সাথে নম্রতা বজায় রেখে মিলিয়ে দিবে; মধ্যখানে শয়তানের জন্য ফাঁক রাখবে না। যে ব্যক্তি কাতারের মাঝে মিলিয়ে দাঁড়ায়, আল্লাহ তাকে তাঁর নিকটবর্তী করে নেন। আর যে ব্যক্তি কাতারের মাঝে পৃথক করে দেয় আল্লাহও তাকে পৃথক করে দেন।[3]

عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ يَقُوْلُ أَقْبَلَ رَسُوْلُ اللهِ عَلَى النَّاسِ بِوَجْهِهِ فَقَالَ أَقِيْمُوْا صُفُوْفَكُمْ ثَلاَثًا وَاللهِ لَتُقِيْمُنَّ صُفُوْفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللهُ بَيْنَ قُلُوْبِكُمْ قَالَ فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يُلْزِقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ وَرُكْبَتَهُ بِرُكْبَةِ صَاحِبِهِ وَكَعْبَهُ بِكَعْبِهِ.

নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) মুছল্লীদের দিকে মুখ করতেন অতঃপর বলতেন, তোমরা কাতার সোজ কর। এভাবে তিনি তিনবার বলতেন। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করবে অথবা আল্লাহ তোমাদের অন্তরের মাঝে ফাটল সৃষ্টি করে দিবেন। রাবী বলেন, অতঃপর আমি দেখতাম, মুছল্লী তার সাথী ভাইয়ের কাঁধে কাঁধ, হাঁটুর পার্শ্বের সাথে হাঁটুর পার্শ্ব এবং টাখনুর সাথে টাখনু ভিড়িয়ে দিত।[4]

عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ يَتَخَلَّلُ الصَّفَّ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلَى نَاحِيَةٍ يَمْسَحُ صُدُوْرَنَا وَمَنَاكِبَنَا وَيَقُوْلُ لاَ تَخْتَلِفُوْا فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ يَقُوْلُ إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى الصُّفُوْفِ الأُوَلِ.

বারা ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) কাতারের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত বরাবর করতেন। তিনি আমাদের বুক ও কাঁধ স্পর্শ করতেন এবং বলতেন, তোমরা পৃথক পৃথক হয়ে দাঁড়াইয়ো না। অন্যথা তোমাদের অন্তরসমূহ পৃথক হয়ে যাবে। তিনি আরো বলতেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং ফেরেশতাগণ প্রথম কাতারের মুছল্লীদের উপর রহমত নাযিল করেন।[5]

عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ أَقِيْمُوْا صُفُوْفَكُمْ فَإِنِّيْ أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِىْ وَكَانَ أَحَدُنَا يُلْزِقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ وَقَدَمَهُ بِقَدَمِهِ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের কাতার সোজা কর। নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে আমার পিছন থেকে দেখতে পাই। আনাস (রাঃ) বলেন, আমাদের একজন অপরজনের কাঁধে কাঁধ ও পায়ে পায়ে মিলিয়ে দাঁড়াতেন।[6] ইমাম বুখারী (রহঃ) উক্ত হাদীছ বর্ণনা করার পূর্বে নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন,

بَابُ إِلْزَاقِ الْمَنْكِبِ بِالْمَنْكِبِ وَالْقَدَمِ بِالْقَدَمِ فِي الصَّفِّ وَقَالَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيْرٍ رَأَيْتُ الرَّجُلَ مِنَّا يُلْزِقُ كَعْبَهُ بِكَعْبِ صَاحِبِهِ.

‘ছালাতে কাতারের মধ্যে কাঁধে কাঁধ ও পায়ে পা মিলানো অনুচ্ছেদ’। নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, আমি মুছল্লীকে দেখতাম, সে তার টাখনুকে তার পার্শ্বের ভাইয়ের টাখনুর সাথে মিলিয়ে দিত।[7] শায়খ আলবানী (রহঃ) দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,

وَ مِنَ الْمُؤّسِّفِ أَنَّ هَذِهِ السُّنَّةُ مِنَ التَّسْوِيَّةِ قَدْ تَهَاوَنَ بِهَا الْمُسْلِمُوْنَ بَلْ أَضَاعُوْهَا إِلاَّ الْقَلِيْلَ مِنْهُمْ فَإِنِّىْ لَمْ أَرَهَا عِنْدَ طَائِفَةٍ مِنْهُمْ إِلاَّ أَهْلَ الْحَدِيْثِ فَإِنِّىْ رَأَيْتُهُمْ فِىْ مَكَّةَ سَنَةَ ( 1368 ) حِرِّيْصِيْنَ عَلَى التَّمَسُّكِ بِهَا كَغَيْرِهَا مِنْ سُنَنِ الْمُصْطَفَى عَلَيْهِ الصَّلاَةُ وَ السَّلاَمُ بِخِلاَفِ غَيْرِهِمْ مِنْ أَتَبْاعِ الْمَذَاهِبِ الْأَرْبَعَةِ لاَ أَسْتَثْنِىْ مِنْهُمْ حَتَّى الْحَنَابِلَةِ فَقَدْ صَارَتْ هَذِهِ السُّنَّةُ عِنْدَهُمْ نَسْيًا مَنْسِيًّا بَلْ إِنَّهُمْ تَتَابَعُوْا عَلَى هُجْرِهَا وَ الْإِعْرَاضِ عَنْهَا ذَلِكَ لِأَنَّ أَكْثَرَ مَذَاهِبِهِمْ نَصَّتْ عَلَى أَنَّ السُّنُّةَ فِى الْقِيَامِ التَّفْرِيْجُ بِيْنَ الْقَدَمَيْنِ بِقَدْرِ أَرْبَعِ أَصَابِعَ فَإِنْ زَادَ كَرِهَ كَمَا جَاءَ مُفَصِّلاً في " الفقه على المذاهب الأربعة " ( 1 / 207 ) ، وَ التَّقْدِيْرُ الْمَذْكُوْرُ لاَ أَصْلَ لَهُ فِى السُّنَّةِ وَ إِنَّمَا هُوَ مُجَرَّدٌ رَأْيٌ.

‘দুঃখজনক বিষয় হল, কাতার সোজা করার সুন্নাতকে মুসলিমরা অবজ্ঞা করে চলেছে; বরং কিছু সংখ্যক মানুষ ব্যতীত অন্যরা সবাই এই সুন্নাতকে নষ্ট করেছে। নিশ্চয় আমি সেই দলগুলোর মধ্যে ‘আহলেহাদীছ’ ব্যতীত অন্য কারো মধ্যে উক্ত সুন্নাত দেখিনি। আমি মক্কায় (১৩৬৮ হিঃ) তাদেরকে দেখেছি, তারা রাসূল (ছাঃ)-এর অন্যান্য সুন্নাতকে যেমন অাঁকড়ে ধরে আছে, তেমনি এই সুন্নাতকেও অাঁকড়ে ধরার প্রতি অতীব অনুরাগী।
🛑🔰চার মাযহাবের অনুসারীদের বিপরীতে তারাই একে অাঁকড়ে ধরে আছে। হাম্বলীদেরকেও আমি এদের মধ্য থেকে পৃথক করি না। কারণ তাদের মধ্য হতে এটা সম্পূর্ণই উঠে গেছে। বরং তারা এই সুন্নাতকে পরিত্যাগ করা এবং তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার পথ অবলম্বন করছে। অধিকাংশ মাযহাব এই সুন্নাহর বিরুদ্ধে দলীল পেশ করছে যে, কাতারে দাঁড়ানোর সময় উভয় মুছল্লীর পায়ের মাঝে ‘চার আঙ্গুল’ ফাঁক রাখতে হবে। যদি এর অতিরিক্ত ফাঁক হয় তবে অপসন্দনীয়। যেমন ‘আল-ফিক্বহু আলাল মাযাহিবিল আরবা‘আহ’ (১/২০৭ পৃঃ) গ্রন্থের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা এসেছে। অথচ সুন্নাহর মধ্যে উক্ত পরিমাণের কোন ভিত্তি নেই; স্রেফ কল্পনা মাত্র’। [8]

عَنْ أَبِىْ مَسْعُوْدٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ يَمْسَحُ مَنَاكِبَنَا فِى الصَّلاَةِ وَيَقُوْلُ اسْتَوُوْا وَلاَ تَخْتَلِفُوْا فَتَخْتَلِفَ قُلُوْبُكُمْ لِيَلِنِىْ مِنْكُمْ أُولُو الأَحْلاَمِ وَالنُّهَى ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ قَالَ أَبُوْ مَسْعُوْدٍ فَأَنْتُمُ الْيَوْمَ أَشَدُّ اخْتِلاَفًا.

আবু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতে আমাদের বাহুগুলোকে পরস্পরের সাথে মিলিয়ে দিতেন এবং বলতেন, সোজা হয়ে দাঁড়াও; পৃথক পৃথক হয়ে দাঁড়াইয়ো না। অন্যথা তোমাদের অন্তরসমূহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তোমাদের মধ্যে যারা বয়স্ক ও বুদ্ধিমান তারাই যেন আমার নিকটে থাকে। অতঃপর যারা বয়স ও বুদ্ধিতে তাদের ন্যায়, তারা যেন থাকে। অতঃপর যারা উভয় দিক থেকে নিকটবর্তী তারা যেন থাকে। আবু মাসঊদ বলেন, তোমরা আজ অত্যধিক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছ।[9]

عَنْ أَنَسٍ قَالَ أُقِيْمَتِ الصَّلَاةُ فَأَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ بِوَجْهِهِ فَقَالَ أَقِيْمُوْا صُفُوْفَكُمْ وَتَرَاصُّوْا فَإِنِّىْ أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِىْ.

আনাস (রাঃ) বলেন, একদা ছালাতের ইক্বামত দেওয়া হল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের দিকে মুখ ফিরালেন এবং বললেন, তোমরা কাতার সোজা কর এবং পরস্পরে মিলে দাঁড়াও। নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে আমার পিছন থেকেও দেখতে পাই।[10]

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ قَالَ رُصُّوْا صُفُوْفَكُمْ وَقَارِبُوْا بَيْنَهَا وَحَاذُوْا بِالْأَعْنَاقِ فَوَالَّذِىْ نَفْسِىْ بِيَدِهِ إِنِّىْ لَأَرَى الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ مِنْ خَلَلِ الصَّفِّ كَأَنَّهَا الْحَذَفُ.

আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা কাতার সমূহে পরস্পরে মিলে দাঁড়াবে এবং পরস্পরকে কাছে টেনে নিবে। আর তোমাদের ঘাড় সমূহকে সমপর্যায়ে সোজা রাখবে। আমি ঐ সত্তার কসম করে বলছি, যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, নিশ্চয়ই আমি শয়তানকে দেখি সে কাতারের ফাঁক সমূহে প্রবেশ করে, কাল ভেড়ার বাচ্চা ন্যায়।[11]

🔰⭕সুধী পাঠক! কাতারে দাঁড়ানোর সময় পায়ের সাথে পা, টাখনুর সাথে টাখনু এবং কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। উক্ত হাদীছ সমূহ জানার পরও কেউ যদি এই সুন্নাতকে প্রত্যাখ্যান করে, তবে সে সরাসরি রাসূল (ছাঃ)-এর আদেশ লংঘন করবে। হাদীছে সীসা ঢালা প্রাচীরের মত দাঁড়াতে বলা হয়েছে, যেমন একটি ইট আরেকটি ইটের উপর রেখে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। সুতরাং পরস্পরের পায়ের মাঝে কোন ফাঁক থাকবে না। উল্লেখ্য, অনেক মসজিদে শুধু কনিষ্ঠা আঙ্গুলের সাথে মিলানো হয়। উক্ত মর্মেও কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না।

[1]. ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৫৭৯৫; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৩৮২৪; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৮৯২।

🔰⭕ [2]. ইবনু মাজাহ হা/৯৯৫; মুসনাদে আহমাদ হা/২৪৬৩১; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৫৩২। [3]. ছহীহ আবুদাঊদ হা/৬৬৬, ১ম খন্ড, পৃঃ ৯৭, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/১১০২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০৩৪, ৩/৬১ পৃঃ। [4]. 🛑আবুদাঊদ হা/৬৬২, ১ম খন্ড, পৃঃ ৯৭, সনদ ছহীহ। [5]. 🔰⭕আবুদাঊদ হা/৬৬৪, ১ম খন্ড, পৃঃ ৯৭, সনদ ছহীহ। [6]. ছহীহ বুখারী হা/৭২৫, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০০, (ইফাবা হা/৬৮৯, ২/৯৫ পৃঃ)। [7].⭕✅ ছহীহ বুখারী ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৪৭, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০০, (ইফাবা অনুচ্ছেদ-৪৬৮, ২/৯৫ পৃঃ)। [8]. সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩২-এর আলোচনা দ্রঃ। [9]. 🛑⭕ছহীহ মুসলিম হা/১০০০, ১/১৮১ পৃঃ, (ইফাবা হা/৮৫৪), ‘ছালাত’ অধ্যায়-৫, ‘কাতার সোজা করা’ অনুচ্ছেদ-২৮; মিশকাত হা/১০৮৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০২০, ৩য় খন্ড, পৃঃ ৫৭, ‘কাতার সোজা করা’ অনুচ্ছেদ। [10].🔰🛑 ছহীহ বুখারী হা/৭১৯, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০০, (ইফাবা হা/৬৮৪, ২/৯৩ পৃঃ), ‘আযান’ অধ্যায়, অনচ্ছেদ-৪৩; মিশকাত হা/১০৮৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০১৮, ৩য় খন্ড, পৃঃ ৫৬। [11]. ছহীহ আবুদাঊদ হা/৬৬৭, ১ম খন্ড, পৃঃ ৯৭, সনদ ছহীহ ; মিশকাত হা/১০৯৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০২৫, ৩য় খন্ড, পৃঃ ৫৮, ‘কাতার সোজা করা’

ছালাতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো - ১

عَن أَنَسٍ قَالَ: أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَأَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِوَجْهِهِ فَقَالَ: أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ وَتَرَاصُّوا فَإِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِي. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ.

আনাস (রা.) বলেন, একদা ছালাতের তাকবীর বলা হল, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের প্রতি মুখ ফিরালেন এবং বললেন, তোমাদের কাতার সোজা কর এবং পরস্পরে মিলিত হয়ে দাঁড়াও! নিশ্চয়ই, আমি তোমাদেরকে আমার পিছন দিক হতেও দেখে থাকি (বুখারী, মিশকাত হা/১০৮৬)।

عَن أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَوُّوا صُفُوفَكُمْ فَإِنَّ تَسْوِيَةَ الصُّفُوفِ من إِقَامَة الصَّلَاة. وَفِيْ مُسْلِمٍ (مِنْ تَمَامِ الصَّلَاةِ).

আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেন, তোমরা কাতার ঠিক করবে। কেননা কাতার ঠিক করা ছালাত প্রতিষ্ঠার অন্তর্গত। আর মুসলিমে রয়েছে, কাতার ঠিক করাই হচ্ছে ছালাতের পূর্ণতা (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১০৮৭)।

عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ مَنَاكِبَنَا فِي الصَّلَاةِ وَيَقُولُ: اسْتَوُوا وَلَا تَخْتَلِفُوا فَتَخْتَلِفَ قُلُوْبُكُمْ لِيَلِيَنِى مِنْكُم أولُوا الْأَحْلَامِ وَالنُّهَى ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ.

আবু মাসঊদ আনসারী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)ছালাতে আমাদের কাঁধ স্পর্শ করতেন এবং বলতেন, সোজা হয়ে দাঁড়াও এবং বিভিন্নরূপে দাঁড়াইও না, তাতে তোমাদের অন্তরসমূহ বিভিন্ন হয়ে যাবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা বয়স্ক ও বুদ্ধিমান, তারাই যেন আমার নিকটে (প্রথম ছফে) থাকে। অতঃপর যারা বয়স ও বুদ্ধিতে তাদের নিকটবর্তী তারা। অতঃপর যারা উভয় ব্যাপারে এদের নিকটবর্তী তারা (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৮৮)।

عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا لِى أَرَاكُمْ عِزِينَ. ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ أَلاَ تَصُفُّونَ كَمَا تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا. فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا؟ قَالَ يُتِمُّونَ الصُّفُوفَ الأُوَلَ وَيَتَرَاصُّونَ فِى الصَّفِّ.

জাবির ইবনু ছামূরা (রা.) বলেন, একদা রাসূল(সা.) আমাদের নিকট আসলেন এবং দেখলেন আমরা গোল হয়ে দলে দলে বসে আছি। তখন তিনি বরলেন, তোমাদেরকে আমি বিচ্ছিন্নভাবে কেন দেখছি? অতঃপর আর একদিন তিনি আমাদের নিকট আসেন এবং আমাদেরকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখলেন। তিনি বললেন, তোমরা ফেরেশতাদের মত সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াচ্ছ না কেন? যেমন তাঁরা তাদের প্রতিপালকের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়? আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! তাঁরা তাদের প্রতিপালকের সামনে কিভাবে দাঁড়ায়? তিনি বললেন, প্রথমে প্রথম সারিসমূহ পূর্ণ করে এবং সারিতে পরস্পর মিলিয়ে দাঁড়ায় (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৯১)।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: خَيْرُ صُفُوفِ الرِّجَالِ أَوَّلُهَا وَشَرُّهَا آخِرُهَا وَخَيْرُ صُفُوفِ النِّسَاءِ آخِرُهَا وَشَرُّهَا أَوَّلُهَا.

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেন, পুরুষ লোকের কাতারসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম কাতার হল প্রথম কাতার এবং সর্বনিকৃষ্ট কাতার হল শেষ কাতার, আর স্ত্রীলোকের কাতারসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম কাতার হল শেষ কাতার এবং নিকৃষ্ট কাতার হল প্রথম কাতার (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৯২)।

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: رُصُّوا صُفُوفَكُمْ وَقَارِبُوا بَيْنَهَا وَحَاذُوا بِالْأَعْنَاقِ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لَأَرَى الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ مِنْ خَلَلِ الصَّفِّ كَأَنَّهَا الْحَذَفُ. وَفِيْ أَحْمَدَ (وَسُدُّوْا الْخَلَلَ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ فِيْمَا بَيْنَكُمْ بِمَنْزِلَةِ الْحَذَفِ). وَلاَ تَذَرُوْا فُرُجَاتٍ لِلشَّيْطَانِ وَمَنْ وَصَلَ صَفًّا وَصَلَهُ اللهُ وَمَنْ قَطَعَ صَفًّا قَطَعَهُ اللهُ.

আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেন, তোমরা কাতারসমূহে প্রাচীরের মত হয়ে দাঁড়াও এবং সারিসমূহকে নিকটে নিকটে রাখ (অনুমান আড়াই হাত ফাঁক করে)। আর তোমাদের ঘাড়সমূহকে সমপর্যায়ে সোজা রাখ। সেই আল্লাহর কসম, যাঁর হাতে আমার জান আছে- নিশ্চয়ই আমি শয়তানকে দেখি, সে কাতারের ফাঁকসমূহে প্রবেশ করে, যেন কাল ভেড়ার বাচ্চা (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১০৯৩)। আহমাদ গ্রন্থে আছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, আর তোমরা কাতারের ফাঁক বন্ধ কর। কেননা শয়তান তোমাদের মাঝে ছাগলের বাচ্চার ন্যায় প্রবেশ করে। আহমাদ গ্রন্থের অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, আর তোমরা শয়তানের জন্য কাতারের মাঝে ফাঁক রেখো না। যারা কাতারে মিলে মিলে দাঁড়াবে, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করবেন। আর যারা কাতারের মাঝে ফাঁক রাখবে, আল্লাহ তাদের উপর রহমত ছিন্ন করবেন (আহমাদ হা/৫৭২৪)।

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الْأَوَّلِ، قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَعَلَى الثَّانِي قَالَ: إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الْأَوَّلِ، قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَعَلَى الثَّانِي قَالَ: إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الْأَوَّلِ، قَالُوا يَا رَسُولَ الله وعَلى الثَّانِي؟ قَالَ: وعَلى الثَّانِي.

আবু উমামা বাহেলী (রা.) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.)বললেন, প্রথম ছফের প্রতি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণের ‘রহমত’ হৌক। এটা শুনে ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয় ছফের প্রতিও (এরূপ দো‘আ)। তিনি বললেন, প্রথম ছফের প্রতি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণের ‘রহমত’ হৌক। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয় ছফের প্রতিও। তিনি বললেন, প্রথম ছফের প্রতি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণের ‘রহমত’ হৌক। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয় ছফের প্রতিও। তিনি বললেন, হ্যাঁ, দ্বিতীয় ছফের প্রতিও (আহমাদ, মিশকাত হা/১১০১)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيه وسَلَّم لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَفِّ الأَوَّلِ، ثُمَّ لَمْ يَجِدُوْا إِلاَّ أَنْ يَسْتَهِمُوْا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوْا، وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِي التَّهْجِيْرِ لاَسْتَبَقُوْا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا-

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যদি মানুষ জানত আযান দেয়া এবং ছালাত আদায়ের জন্য প্রথম সারিতে দাঁড়ানোর মধ্যে কি নেকী রয়েছে, তাহলে লটারী করা ব্যতীত তাদের কোন উপায় থাকত না। আর যদি তারা জানত প্রথম সময়ে ছালাত আদায় করাতে কি নেকী রয়েছে, তাহলে তারা অন্যের আগে পৌঁছার আপ্রাণ চেষ্টা করত। আর যদি তারা জানত এশা ও ফজর ছালাতের মধ্যে কি নেকী রয়েছে, তাহলে তারা এই ছালাত আদায়ের জন্য হামাগুড়ি দিয়ে হলেও আসত’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬২৮)।

عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسْتَغْفِرُ لِلصَّفِّ الْمُقَدَّمِ ثَلاَثًا وَلِلثَّانِى مَرَّةً.

ইরবায ইবনু সারিয়া (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) প্রথম সারির জন্য তিনবার ক্ষমা চাইতেন আর দ্বিতীয় সারির জন্য একবার ক্ষমা চাইতেন (ইবনু মাজাহ হা/৯৯৬)।

عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ سَدَّ فُرْجَةً فِي صَفٍّ رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً، أَوْ بَنَى لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ.

উরওয়া ইবনু যুবায়ের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা বন্ধ করবে আল্লাহ তার মর্যাদাকে উঁচু করে দিবেন এবং তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা হা/৩৮৪৪)।

عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِيْ جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيْهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ سَدَّ فُرْجَةً فِي الصَّفِّ غُفِرَ لَهُ.

আ‘উন ইবনু আবী জুহায়ফা (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, নবী কারীম (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কাতারের মধ্যে ফাঁকা বন্ধ করবে, তাকে ক্ষমা করা হবে (মুসনাদু বাযযার হা/৪২৩২)।
গ্রন্থঃ উপদেশ
অধ্যায়ঃ ১০. ছালাতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো


ছালাতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো - ২

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه و سلم مَنْ سَدَّ فُرْجَةً فِيْ صَفٍّ رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً وَبَنَى لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ.

আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি যেকোন কাতারে যেকোন ফাঁকা বন্ধ করবে আল্লাহ তার বিনিময়ে তার মর্যাদা উঁচু করে দিবেন এবং তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন (মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৫৭৯৭)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه و سلم لاَ يَصِلُ عَبْدٌ صَفًّا إِلاَّ رَفَعَهُ اللهُ بِهِ دَرَجَةً، وَ ذَرَّتْ عَلَيْهِ الْمَلاَئِكَةُ مِنَ الْبِرِّ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কোন বান্দা যখন কাতারের সাথে মিলে দাঁড়ায়, তখন আল্লাহ তার মর্যাদাকে উঁচু করে দেন এবং ফেরেশতাগণ তার উপর কল্যাণ ছড়িয়ে দেন (তাবরানী, সিলসিলা ছহীহাহ ১৮৯২ হাদীছের অধীনে)।

عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ يَقُولُ أَقْبَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى النَّاسِ بِوَجْهِهِ فَقَالَ أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ ثَلَاثًا وَاللهِ لَتُقِيمُنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللهُ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ قَالَ فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يَلْزَقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ وَرُكْبَتَهُ بِرُكْبَةِ صَاحِبِهِ وَكَعْبَهُ بِكَعْبِهِ.

নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) মানুষ বা মুছল্লীদের দিকে মুখ করে আসলেন এবং বললেন, তোমরা তোমাদের কাতার সোজা কর। কথাটি তিনি তিনবার বললেন। তারপর বললেন, আল্লাহর কসম! অবশ্যই তোমরা তোমাদের কাতার সোজা কর, নইলে আল্লাহ তোমাদের অমত্মরে বিভেদ সৃষ্টি করে দিবেন। তিনি বলেন, আমি মুছল্লীকে দেখেছি তারা কাঁধের সাথে কাঁধ এবং হাটুর সাথে হাটু এবং টাকনুর সাথে টাকনু মিলিয়ে দাঁড়াতেন (আবুদাঊদ হা/৬৬২)।

عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ فَإِنِّى أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِى. وَكَانَ أَحَدُنَا يُلْزِقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ وَقَدَمَهُ بِقَدَمِهِ .

আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের কাতার সোজা কর। নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে আমার পিছন দিক হতে দেখি। তিনি আরো বলেন, আমাদের কোন ব্যক্তি তার সঙ্গীর সাথে কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে এবং পায়ে পা লাগিয়ে দাঁড়াতেন (বুখারী হা/৭২৫)।

ঠিক  কথা
13/07/2022

ঠিক কথা

13/07/2022

😜আমার পক্ষ থেকে😋
সকল😀
ছোট 😃
বড়😄
মোটা😁
পাতলা😆
কালো😅
ফর্সা 🤣
বাচ্চা 😂
বুরো🙂
যুবক🙃
পুরুষ 😉
আর 😊
মহিলা😇
ধনী🥰
গরীব 😍
শহুরে 🤩
গ্রামী😘
এবং😗
আপনাদের☺️
সবার😚
কাকা😙
কাকি😋
জেঠা😛
জেঠি😜
সালা🤪
শালি😝
পিসি🤑
পিসে🤗
মামা🤭
মামি🤫
দেওর🤔
বৌদি🤐
ননদ🤨
জামাইবাবু😐
ভাগ্নে 😑
ভাগ্নি😶
ভাইপো😏
ভাইজি😒
আর🙄
নাতি😬
নাতনি🤥
দাদু😌
দিদা😔
নানা😪
নানি🤤
দাদা😴
দাদি😷
মা💝
বাবা
শশুর💌
শাশুড়ি💗
ভাই💓
বোন🥱সবাইকে
জানাই 😍 অগ্ৰিম ঈদের সুভেচ্ছা 😉
💘💝💖,,, ঈদ মোবারক

ঠিক কথা
05/07/2022

ঠিক কথা

27/06/2022
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রানি
24/03/2022

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রানি

আমি তোমাকে চাই কল্পনাতে নয় বাস্তবে, আমি তোমাকে চাই ছলনাতে নয় ভালোবাসায়, আমি তোমাকে চাই তোমার মত করে নয়, আমার মত করে,...
13/02/2022

আমি তোমাকে চাই কল্পনাতে নয় বাস্তবে, আমি তোমাকে চাই ছলনাতে নয় ভালোবাসায়, আমি তোমাকে চাই তোমার মত করে নয়, আমার মত করে, আমি তোমাকে চাই খনিকের জন্য নয় চিরদিনের জন্য। ♥ ♥ হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে♥ ♥

08/01/2022
10/12/2021

আপনি আপনার ভালোবাসার জন্য কি করেছেন?
তাকে কি আপনার মনের কথা গুলা বলতে পেরেছেন?

কেমন আছেন সবাই
27/05/2021

কেমন আছেন সবাই

04/05/2021
25/04/2021
24/04/2021
23/04/2021
22/04/2021
14/04/2021
11/04/2021
05/03/2021
06/01/2021

Address

Jhenaidah
Jessore
SHRABONMUKULHASAN

Telephone

+8801754433440

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shrabon Hasan mukul posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shrabon Hasan mukul:

Videos

Share

Nearby media companies



You may also like