SobuZ সমাপ্তি মানে শেষ নয় --🤟🤟!
'END'শব্দটির অর্থ হচ্ছে-----👉👇
Effort never dies -অর্থাৎ -:-প্রচেষ্টার মৃত্যু নেই🤟!

কুয়াশার দিন অল্পেই শেষফুরোয় নাতো নিশীর রেশ                   ধান পেকেছে মাঠে,নাইওরী মেয়ে ফিরছে বাড়িশ্বশুর গাঁয়ের ওপার ছ...
20/11/2024

কুয়াশার দিন অল্পেই শেষ
ফুরোয় নাতো নিশীর রেশ
ধান পেকেছে মাঠে,
নাইওরী মেয়ে ফিরছে বাড়ি
শ্বশুর গাঁয়ের ওপার ছাড়ি
কুয়াশা ঢাকা ঘাটে।

মায়ের হাতে বানানো পিঠা
খাইতে লাগে বেজায় মিঠা
এইতো হেমন্ত,
ভোরের সময় আযান হলে
উঠে পর খোকা পিঠা নিলে
সে কী সোহাগ অনন্ত!

খালামনিরা ফিরছে বাড়ি
খেজুরের রস আনগে পাড়ি
বলছে ডেকে মায়,
ধান কাটানোর পরে পরে
নবান্ন ক্ষণ ঘরে ঘরে
কেই'বা কারে পায়!

ভাপা পিঠার সঙ্গে পু্লি
খেতে দারুণ!... বলছে তুলি
বাড়ির ছোট্ট খুকি,
দাদীর মুখে শুনেছে রাতে
পিঠা গড়াবে মায়ের সাথে
ঘুমেও উঁকিঝুঁকি!

বঙ্গ মায়ের সমস্ত রুপ
দেখেই কবি নিরলে চুপ
এ তো আমোদে নবান্ন!
বাংলা মায়ের বুকে থেকে
জননীর গড়া পিঠা খেতে
আহা! কী যে অনন্য!

কবিতাঃ- "নবান্নের দিন"(২০১৮)
কলমেঃ- আমি,আব্দুল কুদ্দুস রবি

[ রচনাকালঃ- ২৬ শে নভেম্বর ২০১৮ ইং]
||ছবি সংগৃহীত||

আবারও চলে এলো সেই শীতের সকাল, গাছি গাছ থেকে হাঁড়ি নামাবে মিষ্টি মধুর খেজুরের রস।
19/11/2024

আবারও চলে এলো সেই শীতের সকাল, গাছি গাছ থেকে হাঁড়ি নামাবে মিষ্টি মধুর খেজুরের রস।

"হ্যালো,হোটেল রিসেপসান থেকে বলছি। স্যার,  একটি স্থানীয় মাছধরা জেলে, অনেকক্ষণ ধরে এসে বসে আছে, আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চ...
19/11/2024

"হ্যালো,হোটেল রিসেপসান থেকে বলছি। স্যার, একটি স্থানীয় মাছধরা জেলে, অনেকক্ষণ ধরে এসে বসে আছে, আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চায়। বলছে কী নাকি খুব একটা জরুরি দরকার।"
"আমাদের সঙ্গে আবার কিসের দরকার! না, না আমাদের কারো সঙ্গে কোনও দরকার নেই। বলুন এই ভরদুপুরে আমরা কারও সঙ্গে দেখা করবো না।"
"না স্যার, দুপুরে নয়, ওরা প্রায় সেই সকাল সাড়ে দশটা থেকেই এসে বসে আছে। প্রথমে তো ভাগিয়েই দিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু ওরা নাছোড়বান্দা।"
"বসে আছে মানে? না না আমরা কারুর সঙ্গে দেখা করবো না। আমাদের মনমেজাজ ঠিক নেই। "
"বলেছি স্যার সব বলেছি।
কতোবার তো একই কথা বললাম। কতবার বোঝালাম, স্যার, ম্যামের মনখারাপ, ওঁরা কারো সঙ্গে দেখা করবেন না। ডাইনিংরুমে খেতেও নামছেন না, রুম সার্ভিস, ঘরে গিয়ে লাঞ্চ, ডিনার ব্রেকফাস্ট সব কিছু পৌঁছে দিয়ে আসছে, আর তাঁরা কিনা তোমার কথায়, দোতলা থেকে একতলায় নেমে রিসেপসানে আসবেন তোমাদের সঙ্গে দেখা করতে! তবুও স্যার, ওরা কিছুতেই কিছু মানতেই চালছে না। গোঁ ধরে বসে আছে। কেবলই বলে চলেছে, কী নাকি খুব জরুরি একটা দরকার।
ছেঁড়া ফতুয়া আর ময়লা ধুতি পরা একটা লোক যদি, বৌ, বাচ্চা সমেত, আমাদের এই ঝাঁ চকচকে রিসেপসানের মেঝেতে বসে থাকে, তা হলে আমাদের কী অবস্থা হয় ভাবুন তো । আমাদের রেপুটেশানের তো বারোটা বেজে যাবে।"
"তা বসে থাকতে দিচ্ছেনই বা কেন! ভাগিয়ে দিন। আপনাদের দারোয়ান নেই?"
"হ্যাঁ স্যার, তাই করেছি। যেতে কী চায়। এই ঠা ঠা রোদ্দুরেও রাস্তার ওপারে, পাঁচিলের এক পাশে বসেই আছে। বলছে খুব দরকার, দেখা না করে নাকি নড়বেই না। আরও বলছে, পাঁচ মিনিটের বেশি সময় নেবে না। তাতে যদি সারারাতও রাস্তায় বসে থাকতে হয়, তাই থাকবে। ব্যাপারটা একটু যদি বোঝার চেষ্টা করেন স্যার। সম্ভব হলে একবার কথা বলে ব্যাপারটা যদি মিটিয়ে নেওয়া যায়...।"
" বুঝেছি, বুঝেছি। আরে বাবা, গতকাল সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে আর একটু হলে যে দুর্ঘটনাটা ঘটে যেতে পারতো, মানে আপনাদের ম্যাডাম আর একটু হলেই, মানে ওই নুলিয়াটারই জন্যেই বেঁচে ফিরেছেন আর কী। তা সেটা তো আর অস্বীকার করছি না! কালই তো ওকে, টাকাপয়সা দিয়ে খুশি করে দিতে চেয়েছিলাম, ইয়ে মানে যতটা সম্ভব আর কী! বলতে গেলে সাধাসাধিও করা হলো, তখন তো নিল না কিছুতেই। উল্টে বড়ো বড়ো জ্ঞানের কথা বললো। মানুষের প্রাণ ঈশ্বরের দান, রাখলে নাকি তিনিই রাখেন। ও তো নিমিত্ত মাত্র! প্রাণ বাঁচানো নাকি পুণ্যের কাজ! তা আজ আবার কী হলো! আফশোষ হয়েছে বুঝি! তা বেশ তো, ডেকে আনো ওকে, দেখি কত টাকায় রফা হয়!"
হোটেলের লোক রাস্তার ওপার থেকে ওদের ডেকে আনতে গেছে। হুঁহ্ মহান হওয়া যেন অতোই সোজা! অবশ্য কিছু টাকা দিয়ে দিতে পারলে ভালোই হয়, ঋণের বোঝাটা একটু হ্ হালকা হয় যদি, আফটার অল তার স্ত্রীর প্রাণটা তো বাঁচিয়েছে। যদিও সেভাবে ভেবে দেখলে ক'টা টাকায় প্রাণের মূল্য হয় না, তবুও অত ভাবলে কি আর চলে!"
কালকের সেই নুলিয়াটা, তার স্ত্রী তাদের বাচ্চা ছেলেটাকে নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
" শুনলাম সকাল থেকেই বসে আছো। তা কী কী বলবে বলো।"
"ম্যাডাম কোথায় ?"
"আবার ম্যাডামকে কী দরকার, যা বলার আমাকেই বলো না! "
"না স্যার, ওঁকেও দরকার।"
মেজাজটা ক্রমশ চড়ছে। তাঁর স্ত্রীর প্রাণটা বাঁচিয়েছে বলে মাথাটা কিনে নিয়েছে যেন! হঠাৎ সচেতন হলেন, নাঃ এভাবে ভাবাটাও ঠিক না। দেখাই যাক না কী বলে। মোটাসোটা, দাঁও মারতে এসেছে সে বিষয়ে এখন আর কোনও সন্দেহই নেই, তবে আবার ম্যাডামকে কেন! প্যাঁচ কষছে সে তো বোঝাই যাচ্ছে। তার স্ত্রীর মনটা আবার বড্ড নরম। বড়ো কোনোও প্রতিশ্রুতি দিয়ে না বসে। নাঃ মাথাটা ঠান্ডা রাখা দরকার। একটা রফা তো করতেই হবে।
মোবাইলে স্ত্রীকে, ডেকে পাঠালেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নেমে এলেন তিনি। মুখটা একেবারে শুকিয়ে গেছে। হবেই তো কাল যা মানসিক ধকল গেছে, প্রাণটা কোনওমতে বেঁচেছে তাই না কতো! সেই মুহূর্তগুলো মনে আনতে চান না মোটেও তবুও যতোই জোর করে সরাতে চান, কিছুতেই যেন সরে না, তার উপরে দিদিশ্বাশুড়ির দেওয়া পাঁচভরির সোনার চেনটাও গেছে। কলকাতায় তো আর সাহস করে পরা হয় না, ভেবেছিলেন বেড়াতে এসেই না হয় ক'টা দিন একটু গলায় ঝোলাবেন। সমুদ্রের স্নানের সময় খুলে রেখে যেতে ভুলে গেছিলেন। সেটা গলাতেই ছিলো। আসলে হঠাৎ ঢেউয়ের টানে যে এভাবে ভেসে যাবেন তা কি ভেবেছিলেন! প্রাণে বাঁচার ধস্তাধস্তির সময় কখন যে খুলে পড়ে গেছে, নাকি ওই জল খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকার সময়ে যখন পেটে চাপ দিয়ে জল বের করছিল লোকটা, তখন ও-ই টেনে নিল! তাই মনে হয় কোনো বখশিশ নিতে চায় নি! আর ভাবতে পারেন না। শরীরটা যেন আর চলে না, কোনওমতে নীচে রিসেপশনে এসে দাঁড়ালেন।
"এবার তাড়াতাড়ি বলো তো কি বলার আছে। আমাদের শরীর, মন কোনটাই ভালো নেই।"
এবার নুলিয়ার বৌটি সামনে এগিয়ে এলো , তারপর কোল আঁচলের খুঁটে বাঁধা একটা ময়লা কাগজের ঠোঙা বের করে তার হাতে দিয়ে, নিজস্ব ভাষায় বললে,
"দেখে নাও, তোমার জিনিস ঠিক আছে কিনা।"
মোড়কটি খুলতেই ঝিকিয়ে উঠলো সেই পাঁচভরির হার। হতভম্ব হয়ে সবাই চেয়ে রইলো, মলিনবেশী শীর্ণকায়া দরিদ্র সেই মহিলাটির মুখের দিকে।
"কোথায় পেলে,"
স্খলিতকন্ঠের কথাগুলো যেন ভেসে এলো কোন সুদূর হতে।
"আজ সকালে আমরা, হাঁড়ি নিয়ে ঢেউয়ে ভেসে আসা মাছ ধরছিলাম, আমাদের ছেলেটা তীরের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ঝিনুক তুলছিলো। হারটা বালির মধ্যে গেঁথে গিয়েছিল তো, সামান্য একটু অংশ বের হয়ে ছিল,তখনই ওর নজরে পড়ে। বালি খুঁড়ে বের করে আমাকে দেখায়। আমি দেখেই চিনতে পেরেছিলাম। কাল তোমার গলায় ছিলো তো, আর তোমরা যে এই হোটেলে উঠেছো, সেটাও কাল তোমাদের এখানে পৌঁছে দেবার সময় দেখে গেছিলাম। ভাগ্যিস! যাক্ যার জিনিস, তাকে ফিরিয়ে দিতে পেরে বাঁচলাম। বড্ডো দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আসি তাহলে!"
পড়ন্ত সূর্যকে পিছনে ফেলে ওরা তিনজন হেঁটে ফিরে যাচ্ছিলো। ওদের ছায়াগুলো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। হোটেলের সিঁড়িতে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো নিশ্চুপে শুধু চেয়েছিল সেইদিকে। কারুর মুখে কথা সরছে না। তারা শুধু দেখছিল তিনটি প্রকৃত ধনী মানুষ, এগিয়ে যাচ্ছে। পিছনে পড়ে থাকছে তাদের দীর্ঘ ছায়া।

|| অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি গরু'র রচনা ||একদিন আই এস সি পড়ার ক্লাসে এলেন বাংলার অধ্যাপক চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। অফ পিরীয়ড।...
19/11/2024

|| অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি গরু'র রচনা ||

একদিন আই এস সি পড়ার ক্লাসে এলেন বাংলার অধ্যাপক চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। অফ পিরীয়ড। এসেই বললেন রচনা লেখো। যদিও সেই ক্লাসের সবার পাঠ্য বিষয় ছিল অঙ্ক, রসায়ন ও উদ্ভিদবিদ্যা।

ছাত্রদের প্রশ্ন, ‘ কি লিখব স্যার? ’
স্যার বললেন, “ গরুর রচনা লেখো ”।
শুনেই সবার মাথায় হাত। স্যার বলছেন কী ? এই উচু ক্লাসে, বুড়ো বয়সে গরু রচনা! কেউ কেউ মুখ টিপে হাসতেও লাগলো।
হাসলো না শুধু একটি ছাত্র। সে বললো, “স্যার, রচনা মানে গদ্য হতে হবে এমন মানে আছে কি ?”
স্যার বললেন, “সেরকম তো কথা নেই।”
খানিক বাদে ছাত্রটি হাজির করল তার লেখা। ক্লাসে বসে বাকিরা তখনও ভাবছে স্যার বুঝি তাদের সাথে ঠাট্টা তামাশা করছেন।
হঠাৎ স্যার বললেন, “ শোনো শোনো, কী লিখেছে তোমাদের বন্ধু...”

“ মানুষ তোমায় বেজায় খাটায়
টানায় তোমায় লাঙ্গল গাড়ি,
একটু যদি দোষ করেছ
অমনি পড়ে লাঠির বাড়ি।
আপন জিনিস বলতে তোমার
নেই কিছু এই বিশ্বেতে,
তোমার বাঁটের দুধটুকু তা-ও
বাছুর তোমার পায়না খেতে।
মানুষ তোমার মাংস খাবে,
অস্থি দেবে জমির সারে,
চামড়া দিয়ে পরবে জুতো বারণ কে তায় করতে পারে?
তোমার পরেই এই অত্যাচার হে মর্তের কল্পতরু।
কারণ ? নহ সিংহ কি বাঘ,
কারন তুমি নেহাৎ গরু। ”

স্যার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন, “ অনেক বড় হও বাবা।”
বড় হয়েও ছিল সেই ছেলেটা ডাক্তার হয়েছিল.. হয়েছিলো বড়ো সাহিত্যিকও।

বাংলা ছোটগল্পের প্রানপুরুষ ‘ডা: বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়’ ওরফে ‘বনফুল’।
বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ ‘ গরুর ’ রচনাগুলোর মধ্যে আজও অবস্থান করছে এই রচনাটি..।

#ধারকরা

Yes. Engineers and architectures learn from nature 😆😆
19/11/2024

Yes. Engineers and architectures learn from nature 😆😆

সময়
18/11/2024

সময়

"ফা ইন্না মা আল উসরি ইউসরা" __❝নিশ্চয়ই ক'ষ্টের সাথে স্বস্তি আছে❞🌸🌿আলহামদুলিল্লাহ্🖤🥰
29/10/2024

"ফা ইন্না মা আল উসরি ইউসরা"
__❝নিশ্চয়ই ক'ষ্টের সাথে স্বস্তি আছে❞🌸🌿

আলহামদুলিল্লাহ্🖤🥰

01/10/2024

Love

03/08/2023

Welcome

Address

Jamalpur Sadar Upazila

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SobuZ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share