মাসিক মুঈনুল ইসলাম

মাসিক মুঈনুল ইসলাম ... আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম হতে প্রকাশিত মাসিক মুঈনুল ইসলাম

কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার বিতরণ প্রসঙ্গে শিক্ষাসচিব আল্লামা মুফতি কিফায়াতুল্লাহ (দা.বা.) বলেন, “শিক্ষার গুণগত মান উন্ন...
25/12/2024

কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার বিতরণ প্রসঙ্গে শিক্ষাসচিব আল্লামা মুফতি কিফায়াতুল্লাহ (দা.বা.) বলেন, “শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করতে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে পুরস্কার বিতরণ এক অনন্য উদ্যোগ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি এবং তাদের মেধা বিকাশে সহায়ক হতে পারে এই উদ্যোগ। প্রতি বছর কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান তাদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করে, যা অন্যদেরও আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা জোগায়। দারুল উলূম দেওবন্দসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণের প্রচলন আছে। আলহামদুলিল্লাহ, দারুল উলূম হাটহাজারীতেও গত কয়েক বছর ধরে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে”।

আল্লামা মুফতি কিফায়াতুল্লাহ (দা.বা.) আরও বলেন, “পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মেধা, সৃজনশীলতা এবং পরিশ্রমের মূল্যায়ন করা হয়। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের জন্য অনুপ্রাণিত করে। অভিভাবক এবং শিক্ষকরাও এই উদ্যোগের মাধ্যমে সন্তুষ্টি পান। কারণ, এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের মনোযোগী ও উৎসাহিত হওয়ার একটি শক্তিশালী মাধ্যমও বটে”।

তিনি বলেন, “কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মানসিক এবং সামাজিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধু মেধাবীদের জন্য নয়, বরং সকলের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমন উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায় ও লেখা-পড়ার উন্নত মান গঠনের মাধ্যমে দ্বীনি শিক্ষার বিস্তার ও খিদমত আঞ্জামসহ বহুমুখী অগ্রগতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সহায়ক হয় বলে মনে করি”।

আল্লামা মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আগামীকালকের পুরষ্কার বিতরণী সভা সফল ও সার্থক হওয়ার জন্য সকলের বিশেষ দোয়া কামনা করেন।

লেখা-পড়ার উন্নত মান গঠনের মাধ্যমে দ্বীনি শিক্ষার বিস্তার ও খিদমত আঞ্জামসহ বহুমুখী অগ্রগতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে ....

আগামীকাল (২৫ ডিসেম্বর) বুধবার জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীতে দারুল উলূম দেওবন্দের আদলে— বিগত শিক্ষাবর...
24/12/2024

আগামীকাল (২৫ ডিসেম্বর) বুধবার জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীতে দারুল উলূম দেওবন্দের আদলে— বিগত শিক্ষাবর্ষ ১৪৪৪-৪৫ হিজরীর বার্ষিক পরীক্ষায় মুমতাজ বিভাগে উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কৃার বিতরণ করা হবে, ইনশাআল্লাহ।

পুরষ্কার বিতরণী সভায় জামিয়া মহাপরিচালক হযরত আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.), সদরুল মুদাররেসীন ও শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা শেখ আহমদ (দা.বা.), শিক্ষাসচিব হযরত আল্লামা মুফতি কিফায়াতুল্লাহ (দা.বা.)সহ জামিয়ার অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মুহাদ্দিস, মুফতি এবং শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

ইতোমধ্যে পুরস্কার বিতরণী সভার সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে জামিয়ার শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।

আগামী কালকের পুরষ্কার বিতরণী সভা সফল ও সার্থক হওয়ার জন্য সকলের বিশেষ দোয়া কামনা।

তাহকীক: ইলমে পরিপক্কতা অর্জনের পূর্বশর্ত- মুফতি দিহয়াতুল কালবী----------------ইসলামই একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম। একমাত্র ইস...
21/12/2024

তাহকীক: ইলমে পরিপক্কতা অর্জনের পূর্বশর্ত
- মুফতি দিহয়াতুল কালবী
----------------
ইসলামই একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম। একমাত্র ইসলামেই মানব জাতির পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান রয়েছে। ইসলামী শরীয়ত স্বচ্ছ ও সংরক্ষিত। আল্লাহ তাআলা এই ইলম সংরক্ষণের জন্য যুগে যুগে ইলমের ধারক বাহক পাঠিয়েছেন। যারা এই পবিত্র ইলম শিখেছেন এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন, তাঁরাই আমাদের কাছে পরিপূর্ণ ইসলাম খুব স্বচ্ছভাবে পৌঁছিয়েছেন। হাদিস শরীফে এসেছে-

يَحْمِلُ هذَا الْعِلْمَ مِنْ كُلِّ خَلَفٍ عُدُوْلُه، يَنْفُوْنَ عَنْهُ تَحْرِيْفَ الْغَالِيْنَ وَانْتِحَالَ الْمُبْطِلِيْنَ وَتَأْوِيْلَ الْجَاهِلِيْنَ.

প্রত্যেক আগত জামাআতের মধ্যে তাকওয়াসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য মানুষ (কুরআন-সুন্নাহর) এই ইলম সংরক্ষণ করবে। তাঁরা কুরআন-হাদিস থেকে সীমালঙ্ঘনকারীদের বিকৃতি, বাতিলপন্থিদের মিথ্যাচার এবং অজ্ঞদের ভুল ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণকে বিদূরিত করবে। (আল-মাদখাল লিল বাইহাকী, ১/৩৪১, হাদিস- ৭৩১, দারুল ইউসর, দারুল মিনহাজ)।

এই ইলমে শরীয়ত ধারণ ও সংরক্ষণ করার জন্য যে সকল শর্তসমূহ অপরিহার্য, তন্মধ্যে তাহকীক হলো অন্যতম। এই তাহকীকের মাধ্যমেই সহীহ ইলম গ্রহণ করা, এর সঠিক মর্ম বুঝা ও সমস্ত প্রকারের বিকৃতি ও অপব্যাখ্যা থেকে স্বচ্ছ রাখা সম্ভব। উলূমে শরীয়াহ অনেক শাস্ত্রে বিভক্ত। প্রত্যেকটা শাস্ত্রে তাহকীকের নির্দিষ্ট কিছু বিষয়াদি ও নীতিমালা রয়েছে। নিম্নে সামগ্রিকভাবে তাহকীকের কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো।

[সূত্র- মাসিক মুঈনুল ইসলাম/নভেম্বর- ২০২৪ইং সংখ্যা]

জান্নাতে প্রিয়নবীর সান্নিধ্য লাভের উপায়- মুফতি আবদুল্লাহ নোমান------------------------------পৃথিবীর উষালগ্ন থেকে সৃষ্টি ...
21/12/2024

জান্নাতে প্রিয়নবীর সান্নিধ্য লাভের উপায়
- মুফতি আবদুল্লাহ নোমান
------------------------------
পৃথিবীর উষালগ্ন থেকে সৃষ্টি যে প্রিয়তমের জন্য সাজিয়ে রেখেছে হৃদয় সিংহাসন, তিনি আর কেউ নন, তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রিয়তম কামলীওয়ালা হৃদয়ের বাদশাহ হযরত মুহাম্মদ (সা.)। এ শুধু একটি নাম নয়, কল্যাণ ও রহমতের অফুরন্ত ফল্গুধারা। তার প্রেমে কাতর নয় কোন সে মন! তার দর্শন-পিপাসু নয় কোন সে নয়ন! তার মমতার ভিখারি নয় কোন সে রাজা? কোন সে রাজ্য! আচ্ছা, দুনিয়ার বুকে তার দর্শন-সৌভাগ্য লাভে না হয় বঞ্চিত হলাম, তাই বলে স্বপ্নের বাতায়ন পথেও কি একবার নসিব হতে পারে না তাঁর দিদার! পৃথিবীতে তার সঙ্গ না পেলেও জান্নাতেও কি মিলবে না তাঁর সান্নিধ্যের সৌরভ! জান্নাতে প্রিয় নবীজির সান্নিধ্য লাভ আমার-আপনার ব্যাকুল হৃদয়ের নিবেদন নয় কি?

হ্যাঁ, একজন সাধারণ মুমিনও হৃদয়ে লালন করে এই সুপ্ত কামনা। জীবনে-মরণে প্রিয় নবীর সান্নিধ্যই মুমিন-হৃদয়ের তামান্না। মুমিনের হৃদয়-রাজ্য দখল করে আছে পেয়ারা নবী (সা.) এর প্রেম-ভালোবাসা এবং জান্নাতে তাঁর সঙ্গলাভের পবিত্র আশা। হাদিস ও ইতিহাস-গ্রন্থে জ্বলজ্বল করছে এ ধরনের অনেক ঘটনা। জীবনভর প্রিয় নবীর আদর্শে উজ্জীবিত হবে এবং মৃত্যুর পর জান্নাতে তাঁর সান্নিধ্য লাভ করবে- ঈমানদারের জন্য এর চেয়ে বড় কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।

প্রতিটি মুমিন হৃদয়ে আছে নবীপ্রেম, আছে প্রিয় নবীকে মনভরে দেখার ও তাঁর সঙ্গ পাওয়ার অধীর বাসনা। তাইতো সৌভাগ্যবান হজ্জযাত্রীরা যখন মদিনায় রওযা যিয়ারতে যান, তখন অনেকে নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না। নবীজিকে এক নজর দেখার প্রবল ইচ্ছায় তারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন, কান্নায় ভেঙে পড়েন। অশ্রুভেজা কন্ঠে গুনগুনিয়ে গাইতে থাকেন নবীপ্রেমের গীত।

দুনিয়াতে নবীজির সোহবত-ধন্য হয়েছেন শুধু সাহাবায়ে কেরাম। আল্লাহ তাআলার কুদরতী ব্যবস্থাপনার কারণে দুনিয়াতে আমাদের সেই সৌভাগ্য না হলেও নিরাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রিয়নবী আমাদেরকে নিরাশ করে যাননি। আমাদের জন্য অবারিত রেখেছেন জান্নাতে তাঁর সঙ্গ লাভের সুযোগ। তিনি জানতেন, তাঁর অনাগত উম্মত তাঁর সোহবত পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকবে, তাঁর সান্নিধ্য পরশ লাভের জন্য জীবন উৎসর্গ করবে। তাই তিনি আমাদের জন্য এমন কিছু আমল উপহার দিয়ে গেছেন, যা গ্রহণ করলে সহজেই আখেরাতে প্রিয় নবীর সান্নিধ্য পাব। জান্নাতে তাঁর সঙ্গে থাকতে পারব। নবীজির পবিত্র দর্শনে লাভ করতে পারব নয়নের শীতলতা, হৃদয়ের প্রশান্তি। আসুন, সে কাক্সিক্ষত সৌভাগ্য লাভ করতে নবীজির নির্দেশিত আমলগুলো জানি এবং লেগে পড়ি জীবনের পরতে পরতে তা বাস্তবায়নের মধুর প্রতিযোগিতায়।

[সূত্র- মাসিক মুঈনুল ইসলাম/নভেম্বর- ২০২৪ইং সংখ্যা]

“ইজতিমা ময়দানে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে জড়িত সকল আসামীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করুন”: আল্লামা শেখ আহমদ (দা.বা.)-------------------...
21/12/2024

“ইজতিমা ময়দানে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে জড়িত সকল আসামীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করুন”: আল্লামা শেখ আহমদ (দা.বা.)
----------------------------
দেশের বৃহৎ ও প্রাচীন দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার সদরুল মুদাররেসীন ও শায়খুল হাদীস, প্রবীণ আলেম আল্লামা শেখ আহমদ সাদপন্থী কর্তৃক টঙ্গির ইজতিমা ময়দানে ঘুমন্ত ও ইবাদতরত তাবলীগের মুসল্লীদেরকে হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ইজতিমা মাঠে নিষ্ঠুর হত্যাযেজ্ঞে জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রদত্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, খবরে দেখেছি রাতের আঁধারে টঙ্গির ইজতিমা ময়দানে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামী ও পরিকল্পনকারী মোয়াজ বিন নুরকে গ্রেফতার করে ৭ দিনের রিমাণ্ড চাওয়া হয়েছে। কিন্তু আর কোন আসামীকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পার হয়ে গেছে, অথচ আসামীদের গ্রেফতারে উল্লেখযোগ্য তৎপরতা ও অগ্রগতি নেই। প্রশাসনের নাকের ডগায় আসামীদের অনেকেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ও আস্ফালন দেখিয়ে যাচ্ছেন। এটা খুবই হতাশাজনক।

বর্ষীয়ান আলেম আল্লামা শেখ আহমদ সরকার ও প্রশাসনের প্রতি টঙ্গি হত্যাকাণ্ডের আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, টঙ্গির নিষ্ঠুর ঘটনায় পুরো দেশবাসী স্তম্ভিত ও বিক্ষুব্ধ। দেশবাসী এই ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতারে সরকারের কার্যকর তড়িৎ আইনি পদক্ষেপ দেখতে চায়। অন্যথায় আলেম সমাজ, তাওহীদি জনতাসহ দেশবাসীর কাছে সরকার সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতে কোন পক্ষ নেই। উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বাধীন শূরায়ে নেজামের মাধ্যমে পরিচালিত জামাতের মাধ্যমেই বাংলাদেশে তাবলীগের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। কাকরাইলে কেন্দ্রীয়ভাবে তাবলীগের কার্যক্রম একমাত্র তারাই পরিচালনা করবেন। টঙ্গির বিশ্ব ইজতিমা ময়দানে শূরায়ে নেজামের তত্ত্বাবধানেই ইজতিমা অনুষ্ঠিত হবে। এই শূরায়ে নেজামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত জামাতের সাথেই দেশের আলেম সমাজ, মাদ্রাসা ছাত্র ও দ্বীনদার মুসলমানরা আছেন। এছাড়া তাবলীগে কোন পক্ষ নেই। কোন সন্ত্রাসী, আধিপত্যবাদি অপশক্তির দালাল ও ফ্যাসিবাদের এজেন্টের স্থান তাবলীগ জামাতে নেই।

শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ আহমদ বলেন, ভারতের আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদি শক্তি ভারতীয় উপমহাদেশব্যাপী বৃহত্তর হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিবাস্বপ্ন থেকে অত্র অঞ্চলে ইসলাম ও মুসলমানদেরকে দাবিয়ে রাখতে একের পর এক নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে নিরবে ও সুশৃঙ্খলভাবে ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দাওয়াহ কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রভাবশালী ও বৃহৎ ঐক্যবদ্ধ সংগঠন তাবলীগ জামাতে বিভেদ, সন্দেহ ও বিবাদ ঘটিয়ে দুর্বল করার মিশনও তারা হাতে নেয়। ভারতের প্রেসক্রিপশনের পাশাপাশি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উৎখাত হওয়া ফ্যাসিবাদি সরকারও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বিরোধী ইসলামপন্থীদের মাঝে বিভেদ, বিবাদ ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করে নিজেদের ক্ষমতাকে হুমকিমুক্ত রাখতে বাংলাদেশেও তাবলীগের সংকট সৃষ্টি এবং এই সংকটকে জিইয়ে রাখার কৌশল গ্রহণ করে। অথচ ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, তাবলীগ জামাতের কার্যক্রম প্রচলনের শুরু থেকে ২০১৬ সালের আগ পর্যন্ত তাবলীগ জামাতে মতাদর্শগত কোনরূপ বিভেদ ছিল না।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদি সরকারের পতনের পর বিচারক লীগ, আনসার লীগ, গার্মেন্টস লীগ, রিক্সা লীগ, ছাত্রলীগ, ইসকন লীগের মাধ্যমে বিপ্লব ও জন অভ্যুত্থানকে নস্যাত করা এবং অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার দেশবিরোধী নানা চক্রান্তের মতোই ভারতের মদদপুষ্ট ফ্যাসিবাদিরা তাবলীগের কথিত সাদপন্থী বা এতাতি গোষ্ঠিকে দিয়েও একটা বড় গোলযোগের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই এতাতীদের সম্মুখসারির প্রায় সকলেই ফ্যাসিবাদের ঘোর সমর্থক ও ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সাধারণ ছাত্র-জনতা ও প্রশাসনকে দেশবিরোধী এই এতাতি গোষ্ঠির বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সতর্ক থাকতে হবে।

03/12/2024

হাজার হাজার উলামা, তুলাবা ও সাধারণ তাওহিদী জনতার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার উস্তাদ হযরত মাওলানা আবু আহমদ (রহ.)এর নামাযে জানাযা আদায় শেষে মরহুমকে মাকবারায়ে জামেয়ায় দাফন করা হয়েছে......

নামাযে জানাযায় আরো শরীক ছিলেন- জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর মহাপরিচালক হযরত আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.), সদরুল মুদাররেসীন ও শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা শায়খ আহমদ (দা.বা.)সহ জামিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মুহাদ্দিস, মুফতি ও শিক্ষকগণ।

03/12/2024

জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর উস্তাদ মাওলানা আবু আহমদের ইন্তিকাল: জানাযা বাদ ইশা
--------------------------
দেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার উস্তাদ হযরত মাওলানা আবু আহমদ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্তিকালের সময় মরহুমের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী এবং তিন পুত্র, তিন কন্যা সন্তনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। তার পুত্রদের সকলেই হাফেজ ও আলেম।

জানা গেছে, মরহুম মাওলানা আবু আহমদ (রহ.) আজ সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার উস্তাদদের সাধারণ বৈঠকে শরীক ছিলেন। বৈঠকের শেষ দিকে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করছিলেন। এরপর তিনি মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে নিজকক্ষে বিশ্রাম নিতে যান। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকলে দ্রুত তাকে এম্বুলেন্সযোগে চট্টগ্রাম মেডকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১২টায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজণিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মাওলানা আবু আহমদ (রহ.)এর ইন্তিকালের খবর জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকদের এক জরুরি বৈঠক মহাপরিচালকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দ মরহুমের ইন্তিকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে মরহুম মাওলানা আবু আহমদের নামাযে জানাযার সময় নির্ধারণ করা হয়। একই সাথে বৈঠকে মরহুমের লাশ দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দের জন্য নির্ধারিত কবরস্থান “মাকবারায়ে জামেয়া”তে দাফনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর জানাযা ও দাফন সংক্রান্ত কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে সম্পাদনের জন্য নির্ধারিত যিম্মাদারদের মাঝে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।

মরহুম মাওলানা আবু আহমদ (রহ.)এর নামাযে জানাযা আজ (মঙ্গলবার) বাদ ইশা রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাযা শেষে মরহুমের লাশ হাটহাজারী মাদ্রাসার নিজস্ব কবরস্থান “মাকবারায়ে জামেয়া”তে দাফন করা হবে।

এদিকে মাওলানা আবু আহমদের ইন্তিকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.), সদরুল মুদাররেসীন ও শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ আহমদ (দা.বা.) এবং শিক্ষাসচিব ও মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি কিফায়াতুল্লাহ (দা.বা.)।

শোকবার্তায় তাঁরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত ও জান্নাত লাভের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। একই সাথে মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।

03/12/2024
03/12/2024

হাটহাজারী মাদরাসার উস্তাদ হযরত মাওলানা আবু আহমদ (রহ.)এর নামাযে জানাযা আজ (মঙ্গলবার) রাত ৮:৪৫ মিনিটে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।

জানাযা শেষে মরহুমের লাশ মাকবারায়ে জামিয়ায় দাফন করা হবে।

03/12/2024

হাটহাজারী মাদরাসার উস্তাদ হযরত মাওলানা আবু আহমদ সাহেব কিছুক্ষণ আগে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আগামী ২২ নভেম্বর জুমাবার দেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্...
18/11/2024

আগামী ২২ নভেম্বর জুমাবার দেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন।

12/11/2024

দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার ইফতা প্রথম বর্ষের ছাত্র কিশোরগঞ্জের মাওলানা মুহাম্মদ মুস্তাকিম আজ সকালে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তাৎক্ষণিক এক শোকবার্তায় জামিয়া মহাপরিচালক হযরত আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.) ইফতা বিভাগের ছাত্র মাওলানা মুহাম্মদ মুস্তাকিমের আকস্মিক ইন্তিকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।

শোকবার্তায় তিনি মরহুমের মাগফিরাত ও জান্নাতের জন্য দোয়া করেন। একই সাথে মরহুমের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মেহেরবানী করে লাইক ও শেয়ার দিয়ে....উম্মুল মাদারিস জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী আগামী ২২ নভেম্বর জুমাবারের বার্ষিক ...
10/11/2024

মেহেরবানী করে লাইক ও শেয়ার দিয়ে....
উম্মুল মাদারিস জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী আগামী ২২ নভেম্বর জুমাবারের বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনের তারিখটি প্রচারে সহযোগিতা করুন.......

13/10/2024

অনৈক্য গ্রাস করলে ধ্বংসের জন্য বাইরের দুশমনের প্রয়োজন হবে না: আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.)
-------------------------------------
দেশের অন্যতম বৃহৎ ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উম্মুল মাদারিস জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.) বলেছেন, জ্ঞান অর্জনের সাথে সাথে সঠিক তরবিয়ত অর্জন করা জরুরি। আর সেটা একমাত্র কওমি মাদরাসায় শিক্ষা দেওয়া হয়।সঠিক তরবিয়ত না থাকলে জ্ঞান অর্জনের দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়না বরং ক্ষতির শিকার হয়। যার কারনে আজ আমাদের সমাজে চরম অশান্তির বিরাজ করছে। আর এর একমাত্র কারন হচ্ছে সঠিক তরবিয়ত না থাকা।

গতকাল (১২ অক্টোবর) শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মাদ্রাসাতুস শরফ আল ইসলামিয়ার ২ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলাম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিশেষ অতিথির বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।

আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.) আরো বলেন, তারবিয়াত তথা অনুশীলনের কারণে কওমি মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেমদের মধ্যে আলাদা বিশেষত্ব তৈরি হয়। তাঁদের চলাফেরা, কথাবার্তা, আচরণ, লেনদেন এবং নীতি-আদর্শের জায়গায় এক একজন ইসলামের আদর্শবান মডেল হিসেবে সমাজে উপস্থাপিত হন। তাঁরা যে সৎ, নীতিবান, শান্তিপ্রিয় ও আদর্শবান মুসলমান, তাদেরকে দেখলেই সকলে সহজে বুঝতে ও উপলব্ধিতে নিতে পারেন। ইউরোপ, আমেরিকার যেখানেই তারা থাকুক না কেন, তাঁদেরকে সকলে চিনে ফেলেন যে তারা মুসলমান এবং তাঁরা সৎ, নীতিবান ও শান্তিপ্রিয় মানুষ।

তিনি বলেন, অপরদিকে জেনারেল প্রতিষ্ঠানে ইসলাম পড়ুয়ারা শুধু একাডিম জ্ঞান অর্জন করেন, কিন্তু এর পাশাপাশি তারবিয়াতি শিক্ষা অর্জন করতে পারেন না। যে কারণে তারা অনেক বিখ্যাত ইসলামী স্কলার হতে পারলেও তাদেরকে বাহ্যিকভাবে দেখে সেটা বুঝার উপায় নেই। তারা ইসলামের একাডিম জ্ঞান অর্জন করলেও বাস্তব জীবনে এর প্রশিক্ষণ নিতে পারেন না। যে কারণে তাদের চলাফেরা ও আচরণে ইসলাম পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না। তারা ইসলামের আদর্শিক মডেল হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারেন না। তাদেরকে দেখলে কেউ বুঝবে না যে- তারা মুসলমান, না অন্য কোন ধর্মের অনুসারী।

সম্মেলনে মাদ্রাসাতুস শরফ আল ইসলামিয়ার দস্তারে ফযীলত গ্রহণকারী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম বলেন, আপনারা আজ দস্তারে ফযীলত পেয়ে সম্মানিত হয়েছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, এই দস্তার গ্রহণ সাধারণ প্রাপ্তি নয়। বরং এর মধ্য দিয়ে আপনাদের স্কন্ধে আপনাদের উস্তাদগণ ও প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে দ্বীনি বিষয়ে বিশাল দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। আপনাদেরকে যোগ্যতার সনদ দিয়েছেন। সুতরাং শিক্ষাজীবনে যে ইলম ও তরবিয়ত প্রাপ্ত হয়েছেন, তার উপর পরিপূর্ণ রূপে আমল করতে সবসময় সচেষ্ট থাকবেন। সুন্নাহ অনুযায়ী ও তাকওয়ার উপর চলবেন। ইলমি খেদমতে লেগে থাকবেন এবং সাধ্যমতো দ্বীনের ও উম্মাহর খিদমতে লেগে থাকবেন। উলামা, তুলাবা ও মুসলমানদের পারস্পরিক ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রখার উপর কাজ করবেন। আমরা সকলে যদি ঐক্য বজায় রাখতে পারি, দুশমনরা আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি আমাদেরকে অনৈক্য ও বিভেদ গ্রাস করে, তাহলে আমাদের ধ্বংসের জন্য বাইরের দুশমনের প্রয়োজন পড়বে না।

তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.) আরো বলেন, ইসলামের বাইরের সকল শক্তি ইসলামী শিক্ষাকে ভয় পায় না, বরং ইসলামের আদর্শকে ভয় পায়। কারণ, ইসলামের এই আদর্শ যদি জগতের সামনে ফুটে ওঠে, তাহলে পুঁজিবাদ, সম্রাজ্যবাদ ও কমিউনিজমের সকল ধোঁকা, প্রতারণা ও মানবাধিকারের বুলি সকলের চোখের সামনে ভেসে উঠবে এবং ইসলাম অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে গিয়ে বিজয়ী হবে। এতে তাদের লুণ্ঠনের সকল কলাকৌশল ও পলিসি ধুলিস্মাৎ হয়ে ভেসে যাবে।
---------------------
অনুলিখনে- মাওলানা মুনির আহমদ

“উলূমুল হাদিসের উপর দক্ষতা অর্জন তালিবুল ইলমদের জন্য অতীব জরুরি”লিখেছেন জামিয়া দারুল উলূম হাটহাজরীর ইফতা বিভাগের শিক্ষার...
13/10/2024

“উলূমুল হাদিসের উপর দক্ষতা অর্জন তালিবুল ইলমদের জন্য অতীব জরুরি”
লিখেছেন জামিয়া দারুল উলূম হাটহাজরীর ইফতা বিভাগের শিক্ষার্থী- মাওলানা দিহয়াতুল কালবী
--------------------------
‘মাসিক মুঈনুল ইসলাম’-এর চলতি অক্টোবর- ২০২৪ইং সংখ্যায় প্রকাশিত.......

সুন্নাহ পালন করুন, সুস্থ থাকুনলিখেছেন- মুফতি আবদুল্লাহ নোমানমাসিক মুঈনুল ইসলাম/ অক্টোবর- ২০২৪ইং সংখ্যা।
10/10/2024

সুন্নাহ পালন করুন, সুস্থ থাকুন
লিখেছেন- মুফতি আবদুল্লাহ নোমান
মাসিক মুঈনুল ইসলাম/ অক্টোবর- ২০২৪ইং সংখ্যা।

05/10/2024

খুতবা আরবীতে দিতে হবে: এটা শরীয়তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
লিখেছেন- মুফতি আহমদ যাকারিয়া (হাফি.)
----------------------------------------
যারা খুতবা মাতৃভাষায় দেওয়ার কথা বলেন, তাদের যুক্তি হলো- খুতবা একটি সাপ্তাহিক ভাষণ। এর মাধ্যমে মুসলমানদেরকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। রাসুল সা. এর ভাষা আরবী ছিলো, তাই তিনি আরবীতে খুতবা দিতেন। আমাদের ভাষা বাংলা। আমরা বাংলায় খুতবা দেবো। আরবীতে খুতবা দেওয়া হলে আমরা এর কিছুই বুঝি না। এতে খুতবার মূল উদ্দেশ্যই ব্যহত হয়। তাই খুতবা বাংলা ভাষায় হওয়া উচিৎ।

আগে আমাদের সকলের কাছে এ বিষয়টি পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন যে, জুমার খুতবাটি নিছক বক্তৃতা তথা তাজকীর, নাকি জিকিরের অন্তর্ভূক্ত?
আসলে খুতবা শুধু নসিহত নয় বরং তা ইবাদতও বটে। তাই ইবাদত নবীজি সা. এবং সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণে আদায় করা একান্ত অপরিহার্য হওয়ায় সমস্ত ফিকাহবিদ আরবি ভাষায় খুতবা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সূত্র- (উমদাতুর রিআয়াহ : ১/২০০)

খুতবার আভিধানিক অর্থ বক্তৃতা। কিন্তু এর মাধ্যমে খুতবার বাস্তবতা ও পরিচয় পাওয়া যায় না। শরীয়তের দৃষ্টিতে খুতবা সম্পাদিত হওয়ার জন্য শরীয়তের পক্ষ থেকে কিছু নিয়ম-কানুনের অনুসরণ করা অপরিহার্য। এসব নিয়ম-কানুন ও বৈশিষ্টাবলীর প্রতি লক্ষ্য করলে খুতবার শরয়ী তাৎপর্য স্পষ্ট হয়।

শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবী রহ. তাঁর রচিত মুসাফফা কিতাবে উল্লেখ করেন,
لما لا حظنا خطبة النبى صلى الله عليه وسلم وخلفائه رضى الله عنهم وهلم جرا فنجد فيها وجوذ اشياء، منها الحمد والشهادتان والصلاة على النبى صلى الله عليه وسلم والامر بالتقوى وتلاوة آية والدعاء للسملمين والمسلمات وكون الخطبة عربية
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সা.খুলাফায়ে রাশেদীন, তাবেঈন, তাবেতাবেঈন এবং পরবর্তী যুগের ফুকাহায়ে কেরাম ও উলামায়ে দ্বীনের খুতবাসমূহ লক্ষ করলে দেখা যায় যে তাঁদের খুতবায় নিম্নের বিষয়গুলো ছিল। যথা : আল্লাহ তাআলার হামদ , শাহাদাতাইন। (অর্থাৎ তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান করা) রাসূল সা. এর প্রতি দরূদ, তাকওয়ার আদেশ, পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত, মুসলমানদের জন্য দুআ। তাঁরা সকলেই আরবী ভাষায় খুতবা দিতেন। গোটা মুসলিম বিশ্বের বহু অঞ্চলের ভাষা আরবী নয়, তবুও সর্বত্র আরবী ভাষায়ই খুতবা দেওয়া হতো। সূত্র- (মুসাফফা, ১/১৫৪)

ইমাম আবু হানিফা রহ. এর প্রথমে অনারবী ভাষায় নামাজ শুরু (তাকবীরে তাহরীমাহ বলা) এবং ফারসিতে কেরাত পাঠ করার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং সেই অনুমতি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মাকরূহে তাহরীমির সাথে জায়েয। সূত্র- (ফাতাওয়ায়ে শামী, ২/১৮৩)

কিন্তু পরবর্তীতে ইমাম আবু হানিফা রহ. সাহেবাইন (ইমাম মুহাম্মাদ ও আবু ইউসুফ) এর মতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। সুতারাং গ্রহনযোগ্য ভাষ্যমতে এখন আরবী ছাড়া ভিন্ন ভাষায় কেরাত এবং জুমআর খুতবাহ কোনোটাই জায়েয নয়। সূত্র- (দুররে মুখতার ২/১৮২)

সাহাবীগণ বিভিন্ন অনারব দেশ জয় করেন এবং সেখানে গমন করেন, কিন্তু কোন সাহাবী অনারবী ভাষায় খুতবা দিয়েছেন বলে প্রমাণিত নয়।
وصح شروعہ أیضا مع کراہة التحریم بتسبیح وتہلیل ․․․ کما صح لو شرع بغیر عربیة․․․ وشرطا عجزہ، وعلی ہذا الخلاف الخطبة وجمیع أذکار الصلاة، وأما ما ذکرہ بقولہ أو آمن أو لبی أو سلم أو سمی عند ذبح أو شہد عند حاکم أو رد سلاما ولم أر لو شمت عاطسا أو قرأ بہا عاجزا فجائز إجماعا، قید القراء ة بالعجز لأن الأصح رجوعہ إلی قولہما وعلیہ الفتوی․
(درمختار زکریا: ۲/ ۱۸۲تا ۱۸۴)
অনেকে মনে করে খুতবা মানে শুধু বক্তৃতা। কুরআন ও হাদীসে জুমআর খুতবাকে শুধু বক্তৃতা সাব্যস্ত করা হয়নি। বরং কুরআন-হাদিসে খুতবাকে জিকির বলা হয়েছে। আর জিকির মানে হলো ইবাদত। আর ইবাদত মাতৃভাষায় হয় না।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ [٦٢:٩]
মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। (সুরা জুমা আয়াত-৯)

এই আয়াতের মধ্যকার যিকরুল্লাহ দ্বারা প্রায় সকল মুফাসসিরদের মতে খুতবাহ উদ্দেশ্য। (তাফসিরে রাযি ১/৪৪৬, তাফসিরে রুহুল মাআনি ২৮/১০২,)

হাদিসেও খুতবাহকে যিকির হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ।
فإذا خرج الإمام حضرت الملائكة يستمعون الذكر
যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন তখন ফেরেশতারা এসে যিকির শুনে অর্থাৎ খুতবা শোনে। (বুখারি ১/৩০১, মুসলিম -৮০৫)

সুতরাং কুরআন তিলাওয়াত ও জিকির যেমন অন্য ভাষায় দেয়া হয় না। তেমনি খুতবাও অন্য ভাষায় দেয়ার বিধান নেই। এটা জিকির তথা ইবাদত হওয়ার কারণে। তাছাড়া হাদীসে জুমার খুতবাকে দুই রাকাত নামজের স্থলাভিসিক্ত করা হয়েছে। হযরত ওমর রা.থেকে বর্ণিত
حَدِيثُ عُمَرَ وَغَيْرِهِ أَنَّهُمْ قَالُوا إنَّمَا قَصُرَتْ الصَّلَاةُ لِأَجْلِ الْخُطْبَةِ
জুমার নামাজ কে খুতবার জন্য ছোট করে দেওয়া হয়েছে। (তালখিসুল হাবি- ২/১৭৬)

كَانَتِ الْجُمُعَةُ أَرْبَعًا فَجُعِلَتِ الْخُطْبَةُ مَكَانَ الرَّكْعَتَيْنِ
জুমার নামাজ চার রাকাত ছিল অতঃপর খুতবাকে দুই রাকাতের স্থলাভিসিক্ত করা হয়েছে। সূত্র- (বাইহাকি ৫২৫৮)

নবী সা. খোলাফায়ে রাশেদীন, অন্যান্য সাহাবা, তাবেঈন- তবে তাবেঈন সকল মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফুকাহায়ে কিরাম রহ. ধারাবাহিকভাবে আরবী ভাষাতেই খুতবা দিয়ে আসছেন। কাজেই আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুতবা দেয়া শরীয়ত পরিপন্থী বলে বিবেচিত হবে। (আহসানুল ফাতওয়া: ৪/১৫৪)।

সাহাবা, তাবেঈন এবং অপরাপর ইসলামের সিপাহশালার ও শাসকগণ অনেক অনারব রাষ্ট্র জয় করেছিলেন, অনারব দেশসমূহে শ্রোতাদের প্রয়োজনে কোথাও অনারবি ভাষায় খুতবা দান করেছিলেন বলে কোনো প্রমাণ নেই। উপরন্ত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবিগণ দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে চষে বেড়িয়েছেন৷ কিন্তু কোন এলাকায় গিয়ে সে এলাকার মাতৃভাষায় জুমআর খুতবা দিয়েছেন, এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না৷

প্রসিদ্ধ ফিকহী চার মাযহাবের মতেই জুমআর খুতবাহ আরবীতে দেয়া আবশ্যক।
১. মালেকী মাযহাব-
মালেকী মাযহাবে জুম'আ সহীহ হওয়ার জন্য সর্বাবস্থায় উভয় খুতবা আরবী ভাষায় দেয়া শর্ত। যদি উপস্থিত লোকদের মধ্যে কেউ আরবীতে খুতবা দিতে সক্ষম না হয়, তাহলে তারা অন্যান্য দিনের ন্যায় জুমআর দিনও যোহর নামায পড়বে। জুমআ পড়বে না।

মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা গ্রন্থে রয়েছে-
ذَهَبَ الْمَالِكِيَّةُ : إِلَى أَنَّهُ لاَ بُدَّ أَنْ تَكُونَ الْخُطْبَةُ بِاللُّغَةِ الْعَرَبِيَّةِ ، فَوُقُوعُهَا بِغَيْرِ الْعَرَبِيَّةِ لَغْوٌ ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي الْجَمَاعَةِ مَنْ يَعْرِفُ الْعَرَبِيَّةَ وَالْخَطِيبُ يَعْرِفُهَا وَجَبَتْ ، فَإِنْ لَمْ يَعْرِفِ الْخَطِيبُ الْعَرَبِيَّةَ لَمْ تَجِبْ ، وَلاَ بُدَّ أَنْ تَكُونَ جَهْرًا فَإِسْرَارُهَا كَعَدِمِهَا وَتُعَادُ جَهْرًا ، وَلاَ بُدَّ أَنْ تَكُونَ لَهَا بَالٌ. (الموسوعة الفقهية الكويت: ১৯/১৮০) وكذا في (كتاب الفقه علي المذاهب الاربعة: ১/৩৬৯)

২. শাফেয়ী মাযহাব-
আরবী ভাষায় খুতবা দেয়া শর্ত। এটি একটি ফরজ জিকির।
নিহায়াতুল মুহতাজ গ্রন্থে আছে-
ويشترط كونها اي الخطبة عربية لاتباع السلف والخلف ولانها ذكر مفروض فاشترط فيه ذلك كتكبيرة الاحرام. (نهاية المحتاج الي شرح المنهاج،
مذاهب الاربعة: ১/৩৬৯)

৩. হাম্বলী মাযহাব-
হাম্বলী মাযহাবে আরবী ভাষায় খুতবাহ দিতে সক্ষম হলে অনারবীতে খুতবা দেয়ার অনুমতি নেই। তবে উপস্থিত মুসল্লিদের কেউ যদি আরবী ভাষায় খুতবা দিতে সক্ষম না হয়, তাহলে অন্য ভাষায় খুতবা দিলে সহীহ হয়ে যাবে।

কিতাবুল-ফিকহী আলা মাযাহিবিল আরবাআ গ্রন্থে এসেছে;
الحنابلة قالوا : لا تصح الخطبة بغير العربية ان كانوا قادرا عليها فان عجز عن الاتيان بها اتي بغيرها مما يحسنه.
(كتاب الفقه علي مذاهب الاربعة: ১/৩৬৯)
ولا تصح الخطبة بغير العربية مع القدرة عليها بالعربية. (كشف القناع عن متن الاقناع: ২/৩৬، كباب الفروع: ২/১১৩)

৪. হানাফী মাযহাব-
হানাফী মাযহাব মতে আরবী ভাষায় খুতবা দিতে সক্ষম হলে অনারবী ভাষায় খুতবা দেওয়া না জায়েয।

وصح شروعه مع كراهة التحريم بتسبيح وتهليل وتحميد كما صح لوشرع بغير عربية. الدر المختار: ২/১৮২-১৮৩)
وعلي هذا الخلاف الخطبة وجميع اذكار الصلوة. (الدر المختار: ২/১৮৩، البحر الرائق: ১/৫৩৫)
ماذكر في التحفة والذخيرة والنهاية من ان الاصح انه يكره الافتتاح بغير الله اكبر عند ابي حنيفة (رح) فالمراد به الكراهة التحريم. (البحر الرائق: ১/৫৩৪، وفيه ايضا: وقالا لايجوز الا عند العجز وبه قالت الثلاثة. (البحر الرائق: ১/৫৩৫) وكذا (حاشية ابن عابدين: ২/১৮২، المبسوط للسرخسي: ১/১৩৬، الهداية: في هامشه: ১/১০১، حاشيةالطحطاوي: ص২৮০، المحيط البرهاني: ২৩৩، تاتار خانية: ২/৫২، عمدة الرعاية: ১/২০০، كفاية المفتي: ৩/২১৭، فتاوي محمودية: ১২/৩৬৮)

সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, জুমআর খুতবা মূলত একটি ইবাদাত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা অনুসারে এটা শুধুমাত্র বয়ান নয়, বরং জিকির।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَلَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ كَانَ عَلَى كُلِّ بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ الْمَلَائِكَةُ يَكْتُبُونَ الْأَوَّلَ فَالْأَوَّلَ فَإِذَا جَلَسَ الْإِمَامُ طَوَوْا الصُّحُفَ وَجَاءُوا يَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ
আবু হুররায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমআর দিনে মসজিদের প্রত্যেকটি দরজায় ফিরিশতারা থাকেন, তারা আগত মুসল্লিদের নামে নেকি লিখতে থাকেন। যখন ইমাম খুতবা দেওয়ার জন্য বসেন, তারা খাতপত্র গুঠিয়ে চলে আসেন এবং জিকির শুনেন। (বুখারি ৩২১১। মুসলিম,২০২১)

এখানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবাকে জিকির বলেছেন। আর জিকির রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ভাষায় করেছেন, সে ভাষায় করতে হয়।

উদাহরণস্বরুপ সহিহ হাদীসে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলার অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে৷ এখন কেউ সারা দিন যিকির করল বাংলাতে আল্লাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, তাহলে সুবহানাল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ বলার যে ফজিলত রয়েছে, তা সে পাবে না।কারণ জিকির করতে হবে আরবিতে।

এজন্য আজানও আরবিতে দিতে হয়। যদিও আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ আজানের অর্থ বুঝে না। কারণ, আজান হল জিকির। আর জিকির কখনও মাতৃভাষায় হয় না৷ খুতবাহ মুসল্লি না বুঝার কারণে যদি বাংলা ভাষায় দিতে হয়, তাহলে আজানও বাংলা ভাষায় দেওয়া দরকার। কারণ আজানের অর্থও মানুষ বুঝে না।

এ বিষয়ে ইমাম নববি রাহি. বলেন;
حمد الله تعالى ركن في خطبة الجمعة وغيرها ، لا يصح شئ منها إلا به ، وأقل الواجب : الحمد لله ، والأفضل أن يزيد من الثناء ، وتفصيله معروف في كتب الفقه.ويشترط كونها بالعربية.
অর্থাৎ আল্লাহর হামদ হল জুমআর খুতবার রুকন। তা ছাড়া খুতবাহ সহিহ হবে না। আর খুতবার জন্য শর্ত হল, তা আরবি ভাষায় হতে হবে। (আল আযকার, ১/১১২)

ইমাম রাফেয়ি বলেন;
"وهل يشترط كون الخطبة كلها با العربية.والصحيح اشتراطه.
অর্থাৎ বিশুদ্ধ কথা হল, জুমআর খুতবা আরবি ভাষায় হতে হবে।
(ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকীন, ৩/৩২৬)

আমরা এসব আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম যে,
১. খুতবা হলো- যিকরুল্লাহ।
২. খুতবা নামজের স্থলাভিষিক্ত।
৩. খুতবা ইসলামের প্রতীক।
৪. খুতবার ইবাদত কেন্দ্রিক একটি বিশেষ উদ্দেশ্য।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দান করুন।

04/10/2024

জুমার খুতবা আরবী ভাষায় দেয়া জরুরী কেন?
------------------------------
#প্রশ্নঃ আমাদের দেশে জুম্আর খুতবা বাংলা ভাষায় পড়া হয় না কেন? আরবী ভাষায় খুতবা পাঠে শ্রোতামণ্ডলীর কোন উপকার হয় কি? অথচ আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন- “প্রত্যেক রাসূলকে আমি তাদের জাতির ভাষায় প্রেরণ করেছি।” তাছাড়া বাংলা মাআরিফুল কুরআনে বলা হয়েছে, জুম্আর খুতবা নিজ ভাষায় পড়াও জায়েয। সঠিক সমাধান কি?
- মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম রংপুরী, হাটহাজারী মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।

#উত্তরঃ জুম্আর খুত্বা আরবী ভাষায় প্রদান করা সুন্নাত। অন্য কোন ভাষায় জুম্আর খুতবা পাঠ করা মাকরূহ। শ্রোতামণ্ডলীর বোধগম্য হোক বা না হোক, মাতৃভাষায় খুতবা পাঠ করা ঠিক হবে না। কারণ, ফিক্বাহ্ শাস্ত্রে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, খুতবা নামাযেরই মত একটি ইবাদত বিশেষ।

আর একথা বলাই বাহুল্য, ইবাদতের মধ্যে অর্থ বোধগম্য হওয়া যদি লক্ষ্য হয় তাহলে নামাযের সূরা-ক্বিরাত এবং দোয়া-দরূদ ইত্যাদির অর্থ বোধগম্য হওয়া ছাড়া নামাযই বেকার। একথা প্রমাণ করে যে, খুতবা ইবাদত হওয়ার কারণে ‘সালফ’ তথা পূর্বসূরী মনীষীবৃন্দের কাছ থেকে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে ঠিক সেভাবেই আমাদের তা পালন করতে হবে।

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, সাহাবায়ে কিরামদের মধ্যে অনেক সাহাবা বিভিন্ন এলাকার ও বিভিন্ন ভাষাভাষী ছিলেন। অথচ একটি বর্ণনাও এমন পাওয়া যায় না যে, তাঁরা আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় জুম্আর খুতবা পাঠ করেছেন বা হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে স্থানীয় ভাষায় খুতবা পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন।

সুতরাং উল্লিখিত আলোচানার দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, জুম্আর খুতবা আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় পাঠ করা জায়েয নয়, মাকরূহে তাহরীমী।

(তথ্যসূত্র- আল্ ফিক্বহিল ইসলামী-২/২৮৯, ইমদাদুল মুফ্তিয়্যীন-১/৩৮৩, ফাত্ওয়ায়ে শামী-২/১৪৭, জাওয়াহিরুল ফিক্বাহ্-১/৩৫২)।

উত্তর দিয়েছেন- আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন
মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসীর-
জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।

Address

Darul Uloom Mueenul Islam
Hathazari
4330

Telephone

+8801815647211

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মাসিক মুঈনুল ইসলাম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মাসিক মুঈনুল ইসলাম:

Videos

Share

Category