সহীহ বুখারী

সহীহ বুখারী ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল বোখারী (র) এ?

30/04/2023

পরিচ্ছেদঃ ৪১. আমল নিয়ত ও সাওয়াবের আশা অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের প্রাপ্য তার নিয়ত অনুযায়ী।

৫৪। হাকাম ইবনে নাফি’ (রাহঃ) ... সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেনঃ ‘তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় যা–ই খরচ কর না কেন, তোমাকে তার সাওয়াব অবশ্যই দেওয়া হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যা তুলে দাও, তারও।’

30/04/2023

পরিচ্ছেদঃ ৪১. আমল নিয়ত ও সাওয়াবের আশা অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের প্রাপ্য তার নিয়ত অনুযায়ী।

৫৩। হাজ্জাজ ইবনে মিনহাল (রাহঃ) ... আবু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেনঃ মানুষ তার পরিবারের জন্য সাওয়াবের নিয়তে যখন খরচ করে তখন তা হয় তার সাদ্‌কা স্বরূপ।

26/04/2023

পরিচ্ছেদঃ ৪১. আমল নিয়ত ও সাওয়াবের আশা অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের প্রাপ্য তার নিয়ত অনুযায়ী। অতএব ঈমান, উযু, নামায, যাকাত, হজ্জ, রোযা এবং অন্যান্য আহকাম সবই এর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ বলুন প্রত্যেকেই আপন স্বভাব অনুসারে কর্ম সম্পাদন করে থাকে। (সূরা আল–ইসরাঃ ৮৪) অর্থাৎ নিয়ত অনুযায়ী। মানুষ তার পরিবারের জন্য সাওাবের নিয়তে যা খরচ করে, তা সদাক্বাহ। নবী (ﷺ) বলেছেন, (এখন মক্কা হতে হিজরত নেই) তবে কেবল জিহাদ ও নিয়্যাত অবশিষ্ট রয়েছে।

৫২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলাম (রাহঃ) ... ‘উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেনঃ কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত এবং প্রত্যেক মানুষের প্রাপ্য তার নিয়ত অনুযায়ী। অতএব যার হিজরত হবে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)–এর উদ্দেশ্যে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল –এর উদ্দেশ্যে হয়েছে বলেই গণ্য হবে। আর যার হিজরত হয় দুনিয়া হাসিলের জন্য বা কোন নারীকে বিয়ে করার জন্য, তার হিজরত সে উদ্দেশ্যেই গণ্য হবে যে উদ্দেশ্যে সে হিজরত করেছে।

26/04/2023

পরিচ্ছেদঃ ৪০. গণীমতের এক পঞ্চমাংশ প্রদান ঈমানের অন্তর্ভুক্ত

৫১। আলী ইবনুল জা’দ (রাহঃ) ... আবু জামরা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর সঙ্গে বসতাম্ তিনি আমাকে তাঁর আসনে বসাতেন। একবার তিনি বললেনঃ তুমি আমার কাছে থেকে যাও, আমি তোমাকে আমার সম্পদ থেকে কিছু অংশ দেব। আমি দু’ মাস তাঁর সঙ্গে অবস্থান করলাম। তারপর একদিন তিনি বললেন, আবদুল কায়েসের একটি প্রতিনিধি দল রাসূল (ﷺ) এর কাছে আসলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমরা কোন্ কওমের? অথবা কোন্ প্রতিনিধিদলের? তারা বলল, রাবী‘আ গোত্রের।’ তিনি বললেনঃ মারহাবা সে গোত্র বা সে প্রতিনিধি দলের প্রতি, যারা অপদস্থ ও লজ্জিত না হয়েই এসেছে। তারা বলল, ইয়া রাসূল (ﷺ) নিষিদ্ধ মাসসমূহ ছাড়া অন্য কোন সময় আমরা আপনার কাছে আসতে পারি না। (কারণ) আমাদের এবং আপনার মাঝখানে মুযার গোত্রীয় কাফিরদের বাস। তাই আমাদের কিছু স্পষ্ট হুকুম দিন, যাতে আমরা যাদের পিছনে রেখে এসেছি তাদের জানিয়ে দিতে পারি এবং যাতে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি।

তারা পানীয় সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করল। তখন তিনি তাদের চারটি জিনিসের নির্দেশ এবং চারটি জিনিস থেকে নিষেধ করলেন। তাদের এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার আদেশ দিয়ে বললেনঃ ‘এক আল্লাহ প্রতি ঈমান আনা কিভাবে হয় তা কি তোমরা জানো?’ তাঁরা বলল, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।’ তিনি বললেনঃ ‘তা হল এ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ্ ছাড়া ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল এবং নামায কায়েম করা, যাকাত দেওয়া, রমযানের রোযা পালন করা; আর তোমরা গণীমতের মাল থেকে এক–পঞ্চমাংশ প্রদান করবে। তিনি তাদেরকে চারটি জিনিস থেকে নিষেধ করলেন। তা হলঃ সবুজ কলসী, শুকনো লাউয়ের খোল, খেজুর গাছের গুঁড়ি থেকে তৈরীকৃত পাত্র এবং আলকাতরার পালিশকৃত পাত্র। রাবী বলেন, বর্ণনাকারী (مزفت এর স্থলে) কখনওالمقير উল্লেখ করেছেন (উভয় শব্দের অর্থ একই)। তিনি আরো বলেন, তোমরা এগুলো ভালো করে আয়ত্ত করে নাও এবং অন্যদেরও এগুলি জানিয়ে দিও।

26/04/2023

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. দ্বীন রক্ষাকারীর ফজিলত
৫০। আবু নু’আয়ম (রাহঃ) ... নু’মান ইবনে বশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল (ﷺ)–কে বলতে শুনেছি যে, ‘হালালও স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দেহজনক বিষয়– যা অনেকেই জানেনা। যে ব্যক্তি সেই সন্দেহজনক বিষয়সমূহ থেকে বেঁচে থাকবে, সে তার দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে। আর যে সন্দেহজনক বিষয়সমূহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, উদহারণ সে রাখালের ন্যায়, যে তার পশু বাদশাহ সংরক্ষিত চারণভুমির আশে পাশে চরায়, অচিরেই সেগুলো সেখানে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জেনে রাখ যে, প্রত্যেক বাদশাহই একটি সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে। আরো জেনে রাখ যে, আল্লাহর যমীনে তাঁর সংরক্ষিত এলাকা হল তাঁর নিষিদ্ধ কাজসমূহ। জেনে রাখ, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, সে গোশতের টুকরোটি হল কলব।

26/04/2023

পরিচ্ছেদঃ ৩৮.
৪৯। ইবরাহীম ইবনে হামাযা (রাহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আবু সুফিয়ান ইবনে হারব আমার কাছে বর্ণনা করেন যে, হিরাকল তাঁকে বলেছিলেন, আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তারা (ঈমানদারগণ) সংখ্যায় বাড়ছে না কমছে? তুমি উত্তর দিয়েছিলে, তারা সংখ্যায় বাড়ছে। প্রকৃতপক্ষে ঈমানের ব্যাপার এরূপই থাকে যতক্ষণ না তা পূর্ণতা লাভ করে। আর আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেউ তাঁর দ্বীন গ্রহণ করার পর তা অপছন্দ করে মুরতাদ হয়ে যায় কি–না? তুমি জবাব দিয়েছ, ‘না।’ প্রকৃত ঈমান এরূপই, ঈমানের স্বাদ অন্তরের সাথে মিশে গেলে কেউ তা অপছন্দ করে না।

20/12/2022

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কর্তৃক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ঈমান, ইসলাম, ইহসান ও কিয়ামতের জ্ঞান সম্পর্কে প্রশ্ন। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কর্তৃক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ঈমান, ইসলাম, ইহসান ও কিয়ামতের জ্ঞান সম্পর্কে প্রশ্ন আর তাকে দেওয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উত্তর। তারপর তিনি বললেনঃ জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তোমাদের দ্বীন শিক্ষা দিতে এসেছিলেন। তিনি এসব বিষয়কে দ্বীন বলে আখ্যায়িত করেছেন। ঈমান সম্পর্কে আব্দুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দলকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে বিবরন দিয়েছেন এবং আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ (وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الإِسْلاَمِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ) কেউ ইসলাম ব্যাতিত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল করা হবে না (৩ঃ ৮৫)

৪৮। মূসা’দ্দাদ (রাহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূল (ﷺ) জনসমুক্ষে বসা ছিলেন, এমন সময় তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করলেন ‘ঈমান কি?’ তিনি বললেনঃ ‘ঈমান হল, আপনি বিশ্বাস রাখবেন আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, (কিয়ামতের দিন) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। আপনি আরো বিশ্বাস রাখবেন পুনরুত্থানের প্রতি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইসলাম কি?’ তিনি বললেনঃ ‘ইসলাম হল, আপনি আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং তাঁর সঙ্গে শরীক করবেন না, নামায কায়েম করবেন, ফরয যাকাত আদায় করবেন এবং রমযানের রোযা পালন করবেন। ঐ ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইহসান কি?’ তিনি বললেনঃ ‘আপনি এমন ভাবে আল্লাহর ইবাদত করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন, আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে না পান তবে (বিশ্বাস রাখবেন যে,) তিনি আপনাকে দেখছেন।

ঐ ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কিয়ামত কবে?’ তিনি বললেনঃ ‘এ ব্যাপারে যাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, তিনি জিজ্ঞাসাকারী অপেক্ষা বেশি জানেন না। তবে আমি আপনাকে কিয়ামতের আলামতসমূহ বলে দিচ্ছিঃ বাঁদী যখন তার প্রভুকে প্রসব করবে এবং উটের নগণ্য রাখালেরা যখন বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে। (কিয়ামতের বিষয়) সেই পাঁচটি জিনিসের অন্তর্ভূক্ত, যা আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জাননা। এরপর রাসূল (ﷺ) এই আয়াতটি শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেনঃ (إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ) “কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহই নিকট।” (৩১ : ৩৪) এরপর ঐ ব্যক্তি চলে গেলে তিনি বললেনঃ ‘তোমরা তাকে ফিরিয়ে আন।’ তারা কিছুই দেখতে পেল না। তখন তিনি বললেন, ‘ইনি জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)। লোকদেরকে দ্বীন শেখাতে এসেছিলেন।
আবু আব্দুল্লাহ বুখারী (রাহঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) এসব বিষয়কে ঈমানের অন্তর্ভুক্ত করেছেন৷

20/12/2022

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. অজ্ঞাতসারে মুমিনের আমল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

৪৭। কুতায়বা ইবনে সা’ঈদ (রাহঃ) ... ‘উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) লায়লাতুল কদ্র সম্পর্কে খবর দেওয়ার জন্য বের হলেন। তখন দু’জন মুসলমান পরস্পর বিবাদ করছিল। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের লায়লাতুল কদ্র সম্পর্কে খবর দেওয়ার জন্য বেরিয়েছিলাম; কিন্তু তখন অমুক অমুক বিবাদে লিপ্ত থাকায় তা (নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কিত জ্ঞান) উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। আর হয়তো বা এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর হবে। তোমরা তা অনুসন্ধান কর ২৭, ২৯ ও ২৫ তম রাতে।

Address

Hajiganj

Telephone

01756811084

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সহীহ বুখারী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category