Probashi Fahim

Probashi Fahim বই, গল্প এবং পাঠক এই তিনটিই আমার ভিষন প্রিয়।
গল্প প্রেমিদের স্বাগতম।

◥◣ ★ ◢◤

☬﷽☬﷽☬
�☬��☬�
� Fahim�
�☬��☬��☬�
�☬�
�☬�
�☬�●F▬▬๑۩۩๑▬▬S●�☬�
☆ ✰ ✯

গল্পঃ সন্তান পর্বঃ ০৯ (শেষ) রাকিব + ফাহিম Probashi Fahim """মুমু আমায় জড়িয়ে ধরে আছে ।  একটু পরে যখন ও স্বাভাবিক হলো তখন ...
22/01/2025

গল্পঃ সন্তান
পর্বঃ ০৯ (শেষ)
রাকিব + ফাহিম Probashi Fahim
"
"
"
মুমু আমায় জড়িয়ে ধরে আছে ।
একটু পরে যখন ও স্বাভাবিক হলো তখন আমায় ছেড়ে দিলো ।

আমিঃ নিচে যাও। রুহী একা আছে । ভয় করবে।

মুমুঃ হুম ।

মুমু নিচে চলে আসলো।
আমি আরও কিছু সময় ছাঁদে একা একা দাড়িয়ে থাকলাম ।

রাত হয়ে গেছে। মনে হয় রুহী মুমুও ঘুমিয়ে পড়ছে ।
আমি নিচে চলে আসলাম ।
আমার রুমে এসে দেখি রুহী নেই ।
তাহলে পাশের রুমে আছে ।
নক করলাম ।

আমিঃ আসবো?

মুমুঃ হুম আসুন ।

ভিতরে গিয়ে দেখি মুমু আর রুহী গল্প করছে ।

আমিঃ এখনো ঘুমাও নি কেন?

রুহীঃ ঘুম পাচ্ছে না। জানো বাপি আম্মু অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প জানে।

আমিঃ ওহহ তাই ।

রুহীঃ হুম । আর তুমি তো কিছুই জানো না ।

আমিঃ হুম ।

রুহীঃ বাপি আম্মুর নাকি আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছে । সাথে আমার ও।

আমিঃ এতো রাতে আইসক্রিম খাওয়ার দরকার নেই । শীত করবে ।

রুহীঃ কিছু হবে না । তুমি আমায় আইসক্রিম নিয়ে দাও।

মুমুর দিকে তাকালাম ও শুধু রুহীর দিকে একবার তাকাচ্ছে আর একবার আমার দিকে ।
উপায় নাই
মেয়ে আইসক্রিম খেতে চাইছে এখন নিয়ে আসতেই হবে । নয়তো আমার বাসায় থাকা হারাম হয়ে যাবে।

বাইরে আসলাম আইসক্রিম নেওয়ার জন্য ।
পাশের দোকানটা বন্ধ থাকায় একটু দূরের একটা দোকান থেকে আইসক্রিম নিয়ে বাসায় ফিরলাম ।

বাসায় ফিরে ওদের দরজায় নক করলাম ।

মুমুঃ আসুন ।

আমি ভিতরে আসলাম ।
কিন্তু রুহী ঘুমিয়ে পড়ছে।

আমিঃ কখন ঘুমালো?

মুমুঃ একটু আগেই । আপনার এতো দেরি হলো কেন?

আমিঃ পাশের দোকানটায় ছিলো না । তাই দূরের দোকান থেকে নিয়ে আসলাম ।

মুমুঃ ওহহ।

আমিঃ এই নাও। ( আইসক্রিম গুলো মুমুর দিকে এগিয়ে দিয়ে । ) ফ্রিজে রেখে দাও। আর আমি ঘুমাতে গেলাম ।

আমি পিছনে ফিরলাম আসার জন্য । মুমু পিছনে থেকে আমার হাত টেনে ধরলো ।

আমিঃ কিছু বলবা?

মুমুঃ এখনে থেকে গেলে হয় না?

আমিঃ আমি এখানে থাকলে তোমার সমস্যা হতে পারে ।

মুমুঃ আমার কোনো সমস্যা হবে না । আপনি এখানেই থাকেন। শুয়ে পড়ুন। আমি ফ্রিজে রেখে আসছি।

আমি রুহীর এক পাশে শুয়ে পড়লাম ।
মুমু আইসক্রিম গুলো ফ্রিজে রেখে আসলো। এরপর ও রুহীর অন্য পাশে শুয়ে পড়লো।
আজ মনে হচ্ছে আমাদের পরিবার টা কতটা সুখী ।
রাতে প্রতিদিনের মতোই রুহী আমার বুকের উপর উঠলো। আর মুমুও আমার দিকে চেপে এসে আমার হাতের উপর মাথা রেখে আমায় জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো।

সকাল বেলা আমার ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হলো।
ঘুম থেকে উঠে দেখি রুহীর স্কুলের সময় পেরিয়ে গেছে ।
উঠে তাড়াহুড়ো করে রেডি হচ্ছি।

মুমুঃ এতো তাড়াহুড়ো করছো কেন?

আমিঃ রুহীকে স্কুলে রাখতে হবে ।

মুমুঃ আমি রেখে আসছি। এতো তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই । বাথরুমে গিয়ে ধীরে ফ্রেশ হয়ে আসো। আমি নাস্তা বেড়ে দিচ্ছি ।

আমিঃ হুম ।

রুহী শুধু শুধু মুমুকে আম্মু ডাকে নি । মুমু হুবহু রুহীর আম্মুর মতোই । আজ ওর চুলের স্টাইল দেখে মনে হচ্ছিল যেন স্বয়ং রুহীর আম্মু আমার সামনে দাড়িয়ে আছে ।
যাই হোক। বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বাইরে আসলাম ।
খাওয়া করে রেডি হওয়ার জন্য রুমে আসলাম ।
খাটের উপর আগে থেকেই একটা ড্রেস রাখা আছে ।
ডাইনিং থেকে মুমু বললো

মুমুঃ ওখানে যে ড্রেস টা রাখা আছে সেটাই পড়বা।

আমি তাড়াতাড়ি ড্রেস টা পড়ে অফিসে চলে আসলাম ।
কতই না সুন্দর দিন কাটছিলো আমাদের ।
মুমু রুহী আর আমার সুন্দর সুখের একটা স্বপ্ন ময় পরিবার ।

মুমুর পেটের বাচ্চার বয়স সাত মাস হলো ।
তবে এর মাঝে মুমু বেশ কয়েক বার বাচ্চাটাকে নষ্ট করতে চেয়েছিলো। ওর কথা কোনো বে*ই*মা*নে*র বাচ্চা ও ওর গর্ভে লালন করবে না ।

একদিন অফিসে কাজ করছি।
হঠাৎ রুহী ফোন দিলো।

আমিঃ হ্যাঁ আম্মু বলো।

রুহীঃ বাপি আম্মু কেমন জানি করছে আম্মুর খুব কষ্ট হচ্ছে ।

রুহী কথা গুলো বলছে আর কান্না করছে ।

আমিঃ আম্মু কান্না করিও না আমি আসছি । আমি এখনি আসছি। তুমি আম্মুর পাশে থাকো।

হঠাৎ করে মুমুর আবার কি হলো।

কাজ সব বাদ দিয়ে বাসায় আসলাম ।
বাসায় এসে দেখি মুমু পেটের ব্যাথায় চিৎকার করছে ।
প্রচন্ড পেটে ব্যাথা হচ্ছে ।

ওকে তাড়াতাড়ি গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম ।
এখন রীতিমতো আমাকেও একটু ভয় লাগছে ।
পেটের বাচ্চার বয়স সাত মাস । এই সময় পেটে ব্যাথা হওয়া টা খুবই খারাপ লক্ষন।

ডাক্তার সব কিছু চেক-আপ করলো।
এরপর একটা ইনজেকশন দিয়ে ওর ব্যাথা টা শীতল করে দিলো এবং মুমু ঘুমিয়ে পড়ছে ।

ডাক্তারঃ উনি জেগে উঠলে আল্ট্রাসাউন্ড করে নিয়ে আসবেন ।

আমিঃ জ্বি । রোগীর অবস্থা এখন কেমন?

ডাক্তারঃ আপাতত ভালো । তবে মনে হচ্ছে না খুব বেশি ভালো । আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট গুলো আমায় দেখান।

বেশ কিছু সময় পরে মুমু জেগে গেলো।
এরপর ওর আল্ট্রাসাউন্ড করে নিয়ে রিপোর্ট ডাক্তার কে দেখালাম ।

আমিঃ ডাক্তার কোনো সমস্যা?

ডাক্তারঃ হুম । যেটা ভেবেছিলাম সেটাই ।

আমিঃ কোনো মেজর সমস্যা?

ডাক্তারঃ ওনার পেটে যে বাচ্চাটা ছিল সেটা মরে গেছে । যার ফলে পেটে ব্যাথা হচ্ছে ।
( ডাক্তারের কথা শুনে একটু শক খেলাম)

আমিঃ কিন্তু ডাক্তার ও তো তেমন কোনো কাজ ও করে নি তাহলে বাচ্চা মারা গেলো কিভাবে?

ডাক্তারঃ ওনার বাচ্চা কোনো কাজ করার জন্য নষ্ট হয় নি ।

আমিঃ তাহলে?

ডাক্তারঃ ওনার সামান্য কোনো অসুখ হলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে হতো। কিন্তু উনি সবসময় হায়ার এন্টিবায়োটিক সেবন করছেন। যার ফলে আজ এই অবস্থা ।

ডাক্তারের কথা শুনে বুঝতে পারলাম এটা কোনো অনিচ্ছা কৃত ভুল না। মুমু ইচ্ছে করে এমন টা করছে ।

আমিঃ ডাক্তার এখন তাহলে কি করবো?

ডাক্তারঃ একটা অপারেশন করতে হবে । অপারেশন করে ওনার পেটের ময়লা গুলো বের করে ফেলতে হবে ।

আমিঃ ওহ। কখন করবেন অপারেশন ?

ডাক্তারঃ আপনারা চাইলে আজই।

আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে । আপনি অপারেশন এ ব্যাবস্থা করেন।

সেদিন রাতে মুমুর অপারেশন করে পেটের ময়লা গুলো বের করে ফেললো। সারারাত হসপিটালে ছিলাম ।

সকাল বেলা একজন নার্সকে কিছু টাকা দিয়ে ওকে দেখতে বলে বাসায় আসলাম ।
বাসায় এসে রুহীকে স্কুলে রেখে আসলাম ।
যদিও বা ও যেতে চাইছিলো না তবুও জোর করে রেখে আসলাম ।
এরপর একটু ঘুমালাম ।

দুপুর বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হাসপাতালে আসলাম কিছু ফল নিয়ে । ।

মুমুর কেবিনে এসে ওর পাশে বসলাম ।

আমিঃ এখন কেমন লাগছে?

মুমুঃ হুম ভালোই । শরীর টা একদিনে এতটা শুকিয়ে গেছে কিভাবে?

আমিঃ সারারাত বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম ।

মুমুঃ ওহহ।

আমিঃ এমনটা কেন করছো?

মুমুঃ কি করলাম?

আমিঃ জেনে বুঝে বাচ্চা টা কে মেরে ফেললা?

মুমুঃ তোমায় তো বলছি কোনো বে*ই*মা*নে*র সন্তান আমার গর্ভে পালন করবো না ।

আমিঃ আমি তো তোমায় রাখতে বলছিলাম ।

মুমুঃ না। ও যদি থাকতো তবে আমি কখনো ওকে ভুলতে পারতাম না । তাই ওর শেষ স্মৃতি টা ও মুছে দিলাম ।

আমিঃ ডাক্তার বললো তুমি আর কখনো মা হতে পারবে না ।

মুমু কিছু সময় চুপ থাকলো।

আমিঃ আমি জানি তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে ।

মুমুঃ খুব না। কিছুটা। কারণ আমার খুব ইচ্ছে ছিলো তোমার অস্তিত্ব আমার মাঝে বহন করার। হয়তো আমার ভাগ্য এতটাও ভালো নয়। কিন্তু তাতে কি হইছে রুহী তো আছে । হয়তো আমি ওকে গর্ভে ধারণ করি নি । কিন্তু আমার কাছে ও আর ওর কাছে আমি গর্ভে ধারণ করা মা সন্তানের থেকে কম নই।

আমিঃ হুম । ওকেই আমরা দুজন মিলে আমাদের মতো করে বড় করবো।

মুমুঃ আমাদের নয়। ওকে তোমার মতো করে মানুষ করবো। আমার সন্তান তোমার মতো করে বেড়ে উঠবে।

আমিঃ হুম ।

মুমু আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিয়ে আমার হাতটাকে শক্ত করে ধরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।
"
"
"
"
"
সমাপ্ত ।💝💝💝💝💝💝 । যারা এই গল্পের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাশে থেকেছেন তাদেরকে বিশেষ ধন্যবাদ ।

গল্পঃ সন্তান পর্বঃ ০৮রাকিব + ফাহিম"""আমি ওকে আজ পর্যন্ত স্পর্শ করি নি ।  অথচ মুমু আজ বলছে ও নাকি প্রে*গ*ন্যান্ট ।  আমার ...
21/01/2025

গল্পঃ সন্তান
পর্বঃ ০৮
রাকিব + ফাহিম
"
"
"
আমি ওকে আজ পর্যন্ত স্পর্শ করি নি । অথচ মুমু আজ বলছে ও নাকি প্রে*গ*ন্যান্ট । আমার পৃথিবী টা মনে হয় থমকে গেলো।

আমিঃ কি বলছো তুমি এসব ?

মুমুঃ আমি আপনাকে আগেই বলছি আমার কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি কোনো কথা বলবেন না ।

আমিঃ হুম । বলো।

মুমুঃ বিয়ের পর দিন আপনি আমার সাথে যে ছেলেটাকে দেখেছিলেন ওটা আমার কোনো ভাই নয়। ও আমার বিএফ ছিলো । ওর সাথে আমার প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক । বিয়ের পর যখন আপনারা চলে যেতেন তখন ও বাসায় আসতো । তখনই ও আমায় শা*রী*রি*ক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। আমি না করে দেই। কিন্তু পরবর্তী তে ও আমায় অনেক রিকুয়েষ্ট করে । বিশ্বাসের কথা বলে । এরপর নিজের ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও ওর সাথে শা*রী*রি*ক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি।

গতকাল আপনারা বাইরে যাওয়ার পর আমি ডাক্তারের কাছে যাই। তখন জানতে পারি আমি প্রে*গ*ন্যান্ট । এরপর আমি ওর সাথে দেখা করি আর বাচ্চার কথা বলি। কিন্তু ও কিছুতেই বুঝতে চাইছিলো না। ও বার বার বলছিলো এই বাচ্চা আপনার । ওখানে ওর সাথে এই বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা করি কিন্তু ও কিছুতেই বাচ্চার দায়িত্ব স্বীকার করছে না । তাই রাতে বাসায় এসে সু*ই*সাইড করার চেষ্টা করি। কিন্তু আপনি সেই সময় চলে আসেন। এরপর ভোর রাতে ও আমায় ফোন দেয়।

আমিঃ ফোন দিয়ে কি বলছে?

মুমুঃ তখন ও বাচ্চার দায়িত্ব নিতে চায়। আমায় বাসার টাকা আর গহনা নিয়ে চলে আসতে বলে । প্ল্যান অনুযায়ী আমরা পালাবো কিন্তু ও আবার আমার সাথে চিট করে । আমার থেকে টাকা গহনা সব কিছু নিয়ে আমায় ফেলে চলে যায় ।

মুমু কান্না করেই চলছে ।
আমি কি বলবো কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ।
মুমু বেশ কিছু সময় একা একা কান্না করলো।
আমি ও চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুধু দেখলাম ।
কিছু সময় পর মুমু স্বাভাবিক হয়ে আবার বলা শুরু করলো ।

মুমুঃ ধীরে ধীরে রুহীকে মনে হয় অনেক টা আপন করে ফেলেছি। আজ সকালে আপনি যখন বললেন তখন ভাবলাম নিজের জন্য না হোক রুহীর জন্য হলেও জীবনটা আবার নতুন করে শুরু করবো। আমি আপনার বাসায় কাজের মেয়ের মতই থাকবো। আপনার সব কথা মেনে চলবো। আপনি আমার এই পরাধের জন্য যা শাস্তি দিবেন তাই মাথা পেতে নিবো কিন্তু তবুও আপনি আমায় প্লিজ বাসা থেকে বের করে দিবেন না ।
( মুমু কান্না করতে করতে আমার সামনে হাটু ফেলে হাত জোর করে বললো)

আমি কিছু সময় চুপচাপ থাকলাম । এরপর ওকে তুললাম ।

আমিঃ তোমার পেটে যে বাচ্চা আছে সেটার কি করবা?

মুমুঃ নষ্ট করবো।

আমিঃ দেখো তুমি একে তো একটা পা*প করছো। স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষের সাথে শা*রী*রি*ক সম্পর্কে জড়িয়েছো। তাতে আবার বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলছো। দোষ টা তুমি আর তোমার বেইমান বিএফ করছে । কিন্তু এতে তো এই বাচ্চার বিন্দু মাত্র দোষ নেই । যে দোষ করেই নি তাকে শাস্তি দেওয়া কোনো বিধানে উচিত নয়। সমস্যা নেই তুমিও এই বাসায় থাকবে আর তোমার বাচ্চাও।

মুমু অবাক হয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ।

মুমুঃ আপনি সব কিছু এতো সহজে কি করে মেনে নিলেন?
( মুমুর কথা শুনে আমি মুচকি হাসলাম)

আমিঃ দেখো এখানে তোমার দোষ নেই তা নয়। তোমার ও দোষ আছে । কিন্তু যে তোমার সাথে প্রতারণা করছে তার দোষ টাই বেশি। তুমি তো তোমার বিশ্বাস প্রমাণ করছো কিন্তু যখন তার পালা ছিলো তখন সে তোমায় রেখে চলে গেছে। আর তোমার সাথে এই প্রতারণা করছে কে? কোনো মেয়ে জাতি নয়। পুরুষ জাতি তোমার সাথে প্রতারণা করছে । একজন পুরুষের প্রতারণার শিকার হয়ে তোমার পুরুষটার উপর আস্থা উঠে গেছে আবার যখন আমিও তোমার সাথে বাজে ব্যবহার করে তোমায় বকাবকি করবো তখন তোমার পুরো পুরুষ জাতির উপর থেকে আস্থা উঠে যাবে। যেহেতু দোষ একজন পুরুষ করছে তাই একজন পুরুষ হিসাবে এটা মানিয়ে নেওয়া আমার দায়িত্ব । আর সবাই যদি একই ভাবে প্রতারণা করে যায় তবে পৃথিবী টা আর চলবে না থেমে যাবে নিজ অক্ষের উপর । আর সব থেকে মূল কথা কোনটা জানো? আমারও একটা মেয়ে আছে । আর মেয়েদের বুদ্ধি সচরাচর কম হয় । আজ তোমার সাথে যা হয়েছে কাল যদি আমার মেয়ের সাথেও হয়? আজ আমি তোমায় মেনে নিলাম আর ভবিষ্যতে আমার মেয়ের ভুলটাও ওর কাছের মানুষ মেনে নিবে এই প্রত্যাশা টা করতে পারবো এখন । আজ তুমি অসহায় ঐদিন আমার মেয়েও অসহায় হতে পারে। আজ যদি আমি তোমায় ফিরিয়ে না দেই তাহলে আল্লাহ ঐ দিন আমায় মেয়েকেও ফিরিয়ে দিবে না ইনশাআল্লাহ । আর সব সময় একটা কথা মাথায় রাখবা যখন তোমার সাথে খারাপ কিছু হবে তখন নিজেকে এই বলে শান্তনা দিবে যে আল্লাহ যা করে সব কিছু আমাদের ভালোর জন্য করে ।

মুমু তখন থেকে আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।

মুমুঃ আপনি সব কিছু কেমন সহজ ভাবে ভাবেন। সবাই যদি আপনার মতো করে ভবতো।

আমিঃ জীবন টা যত সহজ ভাবে চিন্তা করবা ততই সহজ হয়ে যাবে।

মুমুঃ হুম । আপনি শুধু আপনার বাসায় কাজের মেয়ের জায়গা টুকু দিয়েন আমায়।

আমিঃ দেখো আমি তোমায় বিয়ে করছি। তাই তুমি এই বাড়ির বউ। আর আমার মেয়ে যদি এই বাড়ির রাজকন্যা হয় তাহলে তুমিও রাণী ।

মুমুঃ আপনাকে দেওয়ার মতো আমার কাছে কিছুই নেই।

আমিঃ এটা পুরোটাই ভুল । শা*রী*রি*ক সম্পর্কটাই সব নয়। শা*রী*রি*ক চাহিদা সর্বোচ্চ ৪০-৫০ বছর বা এর বেশি কিছু দিন থাকবে । এরপর যখন চলতে পারবো না । যখন একজন সঙ্গীর সব সময় প্রয়োজন হবে তখন পাশে থাকার পাওয়া টা সবথেকে মূল্যবান। আর ভুল না করলে কখনো শিখতে পাওয়া যায় না । ভুল করে একজন কিন্তু সেখানে থেকে হাজার মানুষ শিক্ষা নেয়। ।

আমি কথাগুলো বলছি
হঠাৎ মুমু এসে আমায় জড়িয়ে ধরলো ।

মুমুঃ আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে আমায় ক্ষমা করে দিয়েন প্লিজ । আমি হিরা আর কাঁচের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারি নি ।

আমি কিছু না বলে শুধু মুমু কে জড়িয়ে নিলাম ।
"
"
"
"
চলবে,,,,,,,
To be continue,,,,,,, Probashi Fahim

গল্পঃ সন্তান পর্বঃ ০৭রাকিব + ফাহিম """আমিঃ দেখো আমি তোমায় আমার শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য বিয়ে করি নি । যদি শারীরিক চাহ...
16/01/2025

গল্পঃ সন্তান
পর্বঃ ০৭
রাকিব + ফাহিম
"
"
"
আমিঃ দেখো আমি তোমায় আমার শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য বিয়ে করি নি । যদি শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য বিয়ে করতাম তাহলে তোমার ইচ্ছে দেখার অপেক্ষায় থাকতাম না। আমি তোমায় আমার মেয়ের সুখের জন্য বিয়ে করছি। আর এটা একজন বাবা হিসাবে আমি মনে করি আমার মেয়েকে মায়ের ভালোবাসাটা দেওয়া উচিত । আর তুমি তো সব কিছু মানিয়ে নিয়েছো। এখন তুমি যদি আবার আমার মেয়েটাকে কাঁদিয়ে চলে যেতে চাও বা সুইসাইড করতে চাও তবে আমি বাঁধা দিবো না । আমি বাইরে যাচ্ছি তোমায় সুইসাইড করা থেকে কেউ আটকাবে না। যে নিজেকে ভালোবাসে না তার বেঁচে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই ।

আমি কথা গুলো বলে বাইরে চলে আসলাম ।
রাগের মাথায় কি কি যে বললাম কিছুই বুঝতে পারছি না । সারাটা সময় পাশের একটা পার্কে বসে কাটিয়ে দিলাম ।

হঠাৎ করে ফোনে তাকিয়ে দেখি রুহীর স্কুল ছুটির সময় হয়ে গেছে ।
তাড়াহুড়ো করে রুহীর স্কুলে আসলাম ।
আজ আসতে একটু লেট হয়ে গেছে । সব বাচ্চা অলরেডি চলে গেছে ।
আমি চারদিকে রুহীকে খুঁজলাম । রুহীকে না পেয়ে দারোয়ান কে জিজ্ঞেস করলাম

আমিঃ চাচা রুহীকে দেখছেন? ( রুহীর সাথে দারোয়ানের আবার খুব ভালো সম্পর্ক)

দারোয়ানঃ রুহী তো অনেক আগে বাসায় চলে গেছে ।

আমিঃ কি বলেন? কার সাথে?

দারোয়ানঃ আপনি আর একজন মহিলা এসে ওকে রেখে গেলেন। এরপর টিফিন টাইম এ ঐ মহিলা এসে রুহী আপুকে নিয়ে গেছে ।

আমিঃ ওহহ।। আচ্ছা কি বলে নিয়ে গেছে?

দারোয়ানঃ বললো উনি নাকি রুহী আপুর আম্মু । রুহী আপুও তো সেটাই বললো তাই আর বাঁধা করি নি।

আমিঃ ওহহ আচ্ছা । তাহলে আমি আসি।

রুহীর স্কুল থেকে চলে আসলাম ।
বাসায় এসে কলিং বেল বাজাতেই ভিতর থেকে মুমু রুহীকে বললো

মুমুঃ আম্মু দেখো তো কে আসছে ?

রুহী এসে দরজা খুলে দিলো ।

আমিঃ কখন আসছো আম্মু?

রুহীঃ টিফিনের আগে আম্মু গিয়ে নিয়ে আসছে ।

আমিঃ কেন?

রুহীঃ জানো বাপি আজ আম্মু আর আমি অনেক রান্না করছি। সব তোমার পছন্দের ।

আমিঃ ও তাই । আমার আম্মুটা আজ রান্না করছে বুঝি?

রুহীঃ হুম । কিন্তু আমি একা রান্না করি নি তো । সাথে আম্মুও ছিলো।

রুহী আর আমি গল্প করছি তখনি মুমু আসলো

মুমুঃ বাইরে থেকে আসলেন । গোসল করে আসেন খাবার দিচ্ছি ।

আমিঃ হুম । চলো আম্মু গোসল করিয়ে দেই। ( রুহীকে বললাম)

রুহীঃ আমি তো গোসল করছি। আম্মু গোসল করিয়ে দিছে।

আমিঃ ওহহ আচ্ছা ।

আমি রুমে এসে গোসল করে বাইরে আসলাম ।
আমি আর রুহী খেতে বসলাম ।
মুমু আমাদের বেড়ে দিচ্ছে ।

রুহীঃ আম্মু তুমি ও আমাদের সাথে খাবে বসো ।

মুমুঃ আমি এখন খাবো না আম্মু তুমি খেয়ে নাও ।

আমিঃ বসতে বলছে বসো। সকাল থেকে তো কিছু খাও নি ( কথাটা একটু রাগী সুরে বললাম)

আমি বসতে বলার পর মুমু খেতে বসলো।
আমি বুঝতে পারলাম মুমু রুহীকে কি যেন একটা ইশারা করছে ।

রুহীঃ বাপি রান্না কেমন হইছে ?

( ওহহ আচ্ছা তাহলে এটাই ছিলো ইশারার কারণ)

আমিঃ আমার আম্মু রান্না করছে ভালো না হয়ে পারে বলো। খুব সুন্দর হয়েছে।

খাওয়া শেষ করে বসে কিছু সময় টিভি দেখলাম । মুমু আর রুহী ফোনে কম্পিটিশন করে গেমস খেলছে ।

আমি উঠে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম । আর আমি যদি দুপুরে একবার ঘুমাই তাহলে মাগরিবের আজানের আগে আর জাগনা পাই না।

ঘুম থেকে সন্ধ্যায় জাগলাম ।
বাইরে এসে দেখি রুহী আর মুমু কার্টুন দেখছে ।

আমিঃ আম্মু ঘুমাও নি?

রুহীঃ তোমার মতো তো আর আমি সারাদিন ঘুমিয়ে থাকি না। অলস ছেলে একটা ।

আমিঃ হুম । আমার আম্মু তো খুব কর্মট।

আমি রুহীর সাথে কথা বলতে বলতে রান্না ঘরে আসলাম । একটু কফি বানাবো।

পানি গরমে দিলাম ।

মুমুঃ কি করছেন?

আমিঃ কফি বানাবো।

মুমুঃ আমায় বললেই তো বানিয়ে দিতাম ।

আমিঃ তোমরা কার্টুন দেখছিলে তাই ভাবলাম নিজেই বানিয়ে নেই ।

মুমুঃ হুম । আপনি গিয়ে বসেন আমি বানিয়ে দিচ্ছি ।

আমি এসে রুহীর পাশে বসলাম ।
একটু পরে মুমু কফির মগটা আমায় এনে দিলো। এরপর আবার রান্না ঘরে চলে গেল ।

আমিঃ রুহী দেখো তো তোমার আম্মু কি করে রান্না ঘরে ?

রুহীঃ আম্মু খাবার গরম করে।

আমিঃ তুমি কেমনে জানলা?

রুহীঃ তখন আমায় বলেছে তো।

আমিঃ ওহহ আচ্ছা ।

কয়েকটা ঝাড়ি খাওয়ার পর মেয়েটা যে এতটা ভালো হয়ে যাবে আগে বুঝি নি।
বুঝতে পারলে ঝাড়িটা অনেক আগেই দিতাম।

রাতে খাওয়া করে আমি রুহীকে পড়াচ্ছি।
কিন্তু আশেপাশে কোথাও মুমুকে দেখতে পাচ্ছি না ।
ওর রুমেও তো সাড়া পাচ্ছি না ।

আমিঃ আম্মু

রুহীঃ হ্যাঁ বাপি।

আমিঃ তোমার আম্মু কই গেছে ?

রুহীঃ আম্মু তো ছাঁদে গেছে ।

আমিঃ ওহহ আচ্ছা । তুমি পড় আমি আসছি।

রুহীকে পড়তে দিয়ে আমি ছাঁদে আসলাম ।
ছাদে মুমু একা একা আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে ।

আমিঃ সকালে তোমার সাথে বাজে ব্যবহার করার জন্য সরি ।

আমার কন্ঠ শুনে একটু চমকে গেলো আর সাথে সাথে চোখ মুছলো।
মনে হচ্ছে কান্না করছে ।

মুমুঃ আরে না । আপনি তো ঠিকই করেছেন।

আমিঃ তুমি কান্না করছো?

মুমুঃ আপনাকে আমি কিছু কথা বলতে চাই ।

আমিঃ হ্যাঁ বলো।

মুমুঃ আমি জানি আপনি অনেক শান্ত মনের একজন মানুষ । কিন্তু আমার কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি কোনো কথা বলবেন না । প্রমিজ করেন।

আমিঃ কি এমন কথা?

মুমুঃ আগে প্রমিজ করেন।

আমিঃ আচ্ছা বাবা প্রমিজ ।

মুমুঃ আমি প্রেগন্যান্ট ।

এইটুকু বলেই মুমু থেমে গেলো। আমার ও চারপাশ টা মনে হয় ঘুরতে লাগলো । আকাশ থেকে এক টুকরো মেঘ মনে হয় আমার মাথায় এসে পড়লো। আমি কি ভুল শুনলাম ?

চলবে,,,,,,,,
To be continue,,,,,,, Probashi Fahim

আজ আমি অনেক খুশি..যাকে ভালোবাসি তাকে নিজের করে পেলাম.🙈পালিয়ে বিয়ে করতে হইছে.কিন্তু ওর বাড়ির লোকেরা মেনে  নিয়েছে.! ১১ বছর...
16/01/2025

আজ আমি অনেক খুশি..
যাকে ভালোবাসি তাকে নিজের করে পেলাম.🙈
পালিয়ে বিয়ে করতে হইছে.
কিন্তু ওর বাড়ির লোকেরা মেনে নিয়েছে.!

১১ বছর থেকে আমাদের পরিচয়..🙃
তার পর ভালো লাগা—ভালোবাসা. 🥰
ও ওর বাড়িতে জানিয়েছিলো—কেউ রাজি ছিল না
কিন্তু বিয়ের পর এখন সবাই রাজি...👫

খুশিতে আত্মহারা আমি/🥹আর কিছু বলতে পারছি না! আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন 🤲
আমরা যেন সারা জীবন এক সাথে থাকতে পারি..

এ রকম পোস্ট পরতে কার না ভাল্লাগে বলেন ? আমারও ভালো লেগেছিল তাই মাত্র কপি করে পোস্ট করলাম....

যাই হোক, আমার এখনো বিয়ের বয়স হয় নাই.আমি এখনো ছোট বাচ্চা.....
হুদাই আপনাদের ইমোশন করলাম 🤦

#ফান_পোস্ট

গল্পঃ সন্তান পর্বঃ ০৬রাকিব + ফাহিম """সব কিছু তো ঠিকঠাক চলছিলো কিন্তু মুমু হঠাৎ সু*ই*সাইড করতে গেছলো কেন সেটাই তো কিছুতে...
15/01/2025

গল্পঃ সন্তান
পর্বঃ ০৬
রাকিব + ফাহিম
"
"
"
সব কিছু তো ঠিকঠাক চলছিলো কিন্তু মুমু হঠাৎ সু*ই*সাইড করতে গেছলো কেন সেটাই তো কিছুতেই আমার মাথায় আসছে না।

আমিঃ আপনার কি হইছে হঠাৎ এমন বোকামি করতে গেছলেন কেন?

আমি মুমু কে এভাবে বেশ কয়েক বার বললাম । কিন্তু মুমু কোনো কথা বললো না । আচমকা আমায় জড়িয়ে ধরে আরও বেশি করে কান্না করতে শুরু করলো ।

আমার সামনে যদি কেউ কান্না করে তাহলে আমি কেন জানি না আর কিছু বলতে পারি না । যদি আমি খুব রেগেও যাই তবুও তাকে আর কিছু বলি না ।

মুমু যখন আমায় জড়িয়ে ধরে কান্না করতে শুরু করলো তখন আমিও চুপ হয়ে গেলাম ।
আমি শুধু ওর চুল গুলো বুলিয়ে দিচ্ছি আর ওকে কান্না করতে নিষেধ করছি।

বেশ কিছু সময় এভাবেই কেটে গেল ।
ধীরে ধীরে মুমুর কান্না কমে গেছে ।
এখন আর কান্না করছে না । বুকে মাথা রেখে বসে আছে ।

ভাবলাম এবার জিজ্ঞেস করবো।
কিন্তু এর আগেই ও ঘুমিয়ে পড়ছে ।
ওকে ঘুমাতে দেখে আর কিছু বললাম না ।
আমি আর কিছু সময় ওকে ওভাবে বুকে নিয়ে বসে রইলাম ।
এরপর ওকে কোলে তুলে খাটে শুইয়ে দিলাম । ।

ওর গায়ে কম্বল মুড়িয়ে দিয়ে আমি আমার রুমে চলে আসলাম ।
বেশ কিছু সময় এসব নিয়ে ভাবলাম ।
কেন ও এমন করলো এরপর কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম বুঝতে পারি নি ।
ঘুম থেকে উঠলাম রুহীর ডাকে ।

রুহীঃ বাপি এই বাপি

আমিঃ কি হইছে আম্মু

রুহীঃ আম্মু কই গেছে ?

আমিঃ তোমার আম্মু তো রুমেই আছে ।

রুহীঃ আম্মু তো রুমে নেই। তোমায় বলে যায় নি?

আমিঃ কি বলো? রুমে নেই তোমার আম্মু ।

রুহীঃ না।

তারাহুরো করে উঠে মুমুর রুমে আসলাম ।
সত্যি তো মুমু রুমে নেই ।
রুহী ভাবছে ওর আম্মু হয়তো বাইরে গেছে
কিন্তু আমি তো জানি ও বাইরে যায় নি । নিশ্চয়ই আমাদের থেকে দূরে কোথাও চলে গেছে।

মুমুর রুম থেকে আমার রুমে আসলাম ।
ফোনটা টেবিলের উপর থেকে হাতে নিবো এমন সময় দেখি ফোনের নিচে একটা কাগজ ।

কাগজ টা খুললাম ।

কাগজের লেখাটা পড়তে শুরু করলাম,,,,,

আমি খুব খারাপ একটা মেয়ে । আমায় ক্ষমা করে দিও। আর আমায় খুজিও না। আমি চলে যাচ্ছি সবার থেকে অনেক দূরে ।

কাগজ টা পড়ে মাথা হ্যাং হয়ে গেল ।
কই যেতে পারে ?
এতো সকালে বাস তো নেই । তাহলে কি ট্রেন?
হুম যদি মুমু কোথাও যেতে চায় তাহলে এই সকাল বেলা ওকে ট্রেনে যেতে হবে ।
ফোনটা হাতে নিয়ে সময় দেখলাম ৭ঃ১৫ বাজে। আর সকালের ট্রেন সাধারণত ৮ টায় আসে । মাঝে মাঝে ৮ টার পরেও আসে কিন্তু আগে আসার সম্ভবনা নেই ।

আমিঃ আম্মু তুমি রেডি হয়ে নাও আমি আসছি।

রুহীঃ কোথায় যাবা বাপি?

আমিঃ তোমার আম্মুকে নিতে ।

রুহীঃ আম্মু কই গেছে?

আমিঃ একটু বাইরে গেছে । তুমি কার্টুন দেখতে থাকো এর মাঝে আম্মু এসে যাবে।

রুহীকে বাসায় রেখে স্টেশনে আসলাম ।
একজন লোক কে জিজ্ঞেস করলাম ট্রেন আসছে কি না
কিন্তু আসে নি ।

স্টেশনে চারদিকে আমি মুমু কে খুজছি।
হঠাৎ একটা বেঞ্চে আমার চোখ থেমে গেলো হয়তো আমার গন্তব্য পেয়ে গেছি

মুমু বসে আছে । একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি মুমু কান্না করছে ।

আমি সামনে যেতেই আমায় দেখে দাঁড়ালো ।

আমিঃ চলো বাসায় চলো।

এক হাতে মুমুর হাত ধরলাম অন্য হাত দিয়ে ওর ব্যাগ নিলাম । এরপর ওকে নিয়ে বাসায় আসলাম ।

বাসায় আসতেই রুহী দৌড়ে গিয়ে মুমুকে জড়িয়ে ধরলো ।

রুহীঃ আম্মু কই গেছলা তুমি সকাল বেলা

আমিঃ কোথাও যায় নি । তুমি যাও রেডি হয়ে নাও স্কুলে যেতে হবে ।

রুহীকে রেডি করে মুমুকে সাথে করে নিয়ে রুহীর স্কুলে রুহীকে রাখতে আসলাম । যদি বাসায় একা রেখে আসি আর যদি আবার সুইসাইড করার চেষ্টা করে এই ভয়ে সাথে নিয়ে আসলাম ।

রুহীকে স্কুলে রেখে অফিসে ফোন করে বলে দিলাম আমি আজ আসতে পারবো না ।

রুহীর স্কুল থেকে বের হয়ে মুমুকে নিয়ে সোজা বাসায় আসলাম ।

মুমু গাড়ি থেকে নেমে বাসার ভিতরে গেলো।
আমি গাড়িটা পার্ক করে বাসায় আসলাম ।

বাসার ভিতরে এসে দেখি মুমু বসে আছে।
সোজা গিয়ে ওর গালে একটা সজোরে থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম ।
মুমু গালে হাত দিয়ে আমার সামনে দাঁড়ালো ।

আমিঃ সমস্যা কি তোমার হ্যাঁ? কাল সু*ই*সাইড করতে গেছলা আজ আবার বাসা ছেড়ে চলে গেলা মানে কি নাটক শুরু করছো? আরে বাবা মানলাম আমার আগে একটা বউ ছিলো আমার একটা মেয়ে আছে । আর তোমাকেও হয়তো তোমার মতামতের বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু আমি কি তোমার উপর কখনো কোনো বিষয় নিয়ে জোর করছি? কখনো জোর করে অধিকার ফলানোর চেষ্টা করছি? তাহলে এসব নাটকের কারণ টা কি?

মুমু কিছু বলছে না শুধু মাথা নিচু করে আমার কথা শুনছে মাঝে মাঝে আড় চোখে তাকাচ্ছে।
"
"
"
"
চলবে,,,,,,
To be continue,,,,,,, Probashi Fahim

গল্পঃ সন্তান পর্বঃ ০৫রাকিব + ফাহিম """ দরজায় নক করবো কি না ভাবছি।  মুমু ভিতরে এখনো শব্দ করে হাসছে ।  একটু দাঁড়িয়ে থাকলাম...
14/01/2025

গল্পঃ সন্তান
পর্বঃ ০৫
রাকিব + ফাহিম
"
"
"
দরজায় নক করবো কি না ভাবছি।
মুমু ভিতরে এখনো শব্দ করে হাসছে ।
একটু দাঁড়িয়ে থাকলাম । কিছু সময় পরে মুমুর হাসি থামলো ।
এই সুযোগে আমি দরজায় নক করলাম।

আমিঃ আসবো?

মুমুঃ হুম আসুন ।

আমি ভিতরে আসলাম । মুমু আমার দিকে তাকালো আবার হাসতে শুরু করলো ।
এবার একটু বেশি লজ্জা পেলাম । হাসিটা একটু থামিয়ে

মুমুঃ কান ধরলে আপনাকে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগে ।

এটা বলেই আবার হাসতে শুরু করলো ।

মুমুর হাসি থামছে না দেখে আমি চলে আসার জন্য পিছনে ঘুরলাম ।

মুমুঃ চলে যাচ্ছেন যে? যা বলতে আসছেন সেটা তো বলুন ।

আমিঃ হুম । কাল তো শুক্রবার আমার অফিস নেই ।

মুমুঃ তো আমি কি করবো?

আমিঃ রুহী বলছিলো ঘুরতে যাওয়ার কথা ।

মুমুঃ জানি আমি । এরপর বলুন ।

আমিঃ কাল যদি আমাদের সাথে ঘুরতে যেতেন তাহলে খুব খুশি হতাম ।

মুমু কিছু সময় ভাবার ভান ধরলো

মুমুঃ আচ্ছা ঠিক আছে ।

আমি চলে আসলাম ।

পরদিন সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠলাম ।
দূরে কোথাও ঘুরতে যাবো যাতে সারাদিন কেটে যায় ।

যেই ভাবা সেই কাজ ।
মুমু আর রুহীকে নিয়ে শহর থেকে অনেক টা দূরে ঘুরতে আসলাম ।
সারাদিন অনেক মজা করলাম ।
মুমু আর রুহী এতটাই আনন্দ করছে মনে হচ্ছে রুহী যেন ওর আম্মুকে ফিরে পেয়েছে ।
মুমু আর রুহীর অনেক গুলো ছবি তুললাম ।

সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম সবাই । বাসায় ফিরেই মুমু ওর রুমে চলে গেল আর আমি রুহীকে নিয়ে আমার রুমে আসলাম ।
এরপর রুহীকে ফ্রেশ করে দিলাম এরপর আমি ফ্রেশ হলাম । ।

রুহী রুমে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে।
আমি একটু বাইরে বের হলাম ।
ড্রয়িং রুমে এসে টিভিটা অন করলাম ।

অনেক টা সময় হয়ে গেল মুমু রুম থেকে বের হচ্ছে না ।
ও তো রোজ এই সময় ওর সিরিয়াল দেখে।
সোফা ছেড়ে উঠে মুমুর রুমের দরজায় এসে নক করলাম।

আমিঃ আসবো?

মুমুঃ হুম আসুন।

ভিতরে এসে দেখি মুমু কম্বল মুড়িয়ে শুয়ে আছে ।

আমিঃ এইসময় শুয়ে পড়লেন যে? ঘুমাবেন নাকি?

মুমুঃ না। মাথা প্রচন্ড ব্যাথা হচ্ছে।

আমিঃ ওহহ। আমি মাথাটা টিপে দেই একটু ।

মুমুঃ লাগবে না ।

আমিঃ দেখবেন ভলো লাগবে ।

মুমুঃ বললাম তো লাগবে না । আপনি আপনার কাজে যান।

( মুমু একটু রেগে গিয়েই বললো)

আমি চলে আসলাম ।
হয়তো আমার স্পর্শ ও মেনে নিতে পারবে না তাই নিষেধ করলো।
রুমে এসে দেখি রুহী আমার ফোনটা হাতে নিয়ে ফোনের উপর পিএইচডি করছে ।

আমিঃ আম্মু কি করো?

রুহীঃ দেখছো না কাজে ব্যাস্ত আছি ।

আমিঃ তোমার আম্মুর মাথা ব্যাথা হচ্ছে তো।

রুহীঃ কি বলো? আমায় বলো নি কেন?

আমিঃ এই তো এখন বললাম । যাও গিয়ে মাথাটা একটু টিপে দিয়ে আসো। আর একটু তেল দিয়ে দিতে পারবে না?

রুহীঃ কেন পারবো না ।

আমিঃ আচ্ছা তাহলে একটু তেল দিও। আমি ঔষধ নিয়ে আসছি ।

আমি ঔষধ নেওয়ার জন্য বাইরে আসলাম ।
সচরাচর ঔষধ বাসাতেই থকে কিছু শেষ হয়ে গেছে ।
ঔষধ নিয়ে এসে দেখি রুহী এখনো মাথা টিপে দিচ্ছে ।

আমিঃ একটু কষ্ট করে বসে এই ঔষধ গুলো খেয়ে নিন।

মুমু উঠে বসলো আমি ওর হাতে ঔষধ গুলো দিয়ে পানি নিয়ে এসে দিলাম ।
মুমু ঔষধ খেয়ে আবার শুয়ে পড়লো।

আমিঃ রুহী চলো এখন । একটু পরে ঠিক হয়ে যাবে।
রুহীঃ তুমি যাও। আমি আজ এখানে থাকবো আম্মুর সাথে ।

আমিঃ আম্মুর ডিস্টার্ব হবে । চলো।

মুমুঃ সমস্যা নেই । থাক আজ।

রুহীকে মুমুর কাছে রেখে আমি বাইরে আসলাম ।

এভাবেই প্রায় তিন মাস কেটে গেল ।

রুহী আর মুমু এখন খুব ভালো বন্ধু ।
এখন রুহী মুমুকে আম্মু ডাকলে মুমু রাগ করে না ।
শুধু সমস্যা টা আমার বেলায়। আমার সাথে ঠিক ভাবে কথাও বলে না।
এতে আমার কোনো দুঃখ নেই ।
কারণ আমার মেয়েটা তো ওর আম্মুকে পেয়েছে এতেই আমি অনেক খুশি।

এখন মুমু রুহীকে স্কুলে নিয়ে যায় আবার নিয়ে আসে । মুমুই রুহীকে পড়ায়।
দুজন চুপিচুপি আমায় রেখে ঘুরতেও যায়।
আমার সকল দায়িত্ব যেন মুমু এখন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে ।

সময়গুলো খুব সুখেই কাটতে লাগলো আমাদের ।
কিন্তু সেই সুখের সময় টা বেশি দিন স্হায়ী হলো না।

কথায় আছে না সুখ ক্ষণস্থায়ী ।
আমাদের ও সুখের আকাশে কালো মেঘ ছায়া নেমে আসলো।

একরাতে রুহী আর আমি আমার রুমে শুয়ে আছি ।
রুহী ঘুমিয়ে পড়ছে আমি এখনো ঘুমাই নি। রুহীর চুল বুলিয়ে দিচ্ছি ।
যদিও বা রুহী এখন মুমুর সাথে ঘুমায় কিন্তু কি যেন মনে করে আজ হঠাৎ আমার সাথে ঘুমিয়ে পড়লো।

মাঝ রাতে হঠাৎ মুমুর রুমে কিছু একটা জোরে পড়ার শব্দ হলো।
তাড়াতাড়ি উঠে মুমুর রুমে নক করলাম।
কিন্তু ভিতর থেকে কোনো সারা পাচ্ছি না ।
জোরে দরজা ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো।
সামনে তাকাতেই দেখি মুমু ফ্যানের সাথে ওরনা বেঁধে আত্মাহত্যা করার চেষ্টা করছে।
দৌড়ে মুমুর কাছে গেলাম ।

ওকে নামিয়ে ওর গালে সজোরে একটা থাপ্পড় দিলাম ।
মুমু কান্না করতে করতে মেঝেতে বসে পড়লো ।
বুঝতে পারলাম অনেক বড় কিছু একটা হয়েছে ।
তাই রাগারাগি না করে আমিও ওর পাশে বসলাম ।
"
"
"
"
চলবে,,,,,,,,,
To be continue,,,,,,,,, Probashi Fahim

গল্পঃ সন্তান পর্বঃ ০৪রাকিব + ফাহিম """রুহীকে ঘুমাতে দেখে খুব খারাপ লাগলো।  মেয়েটা না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লো।  আমি ও আর খেলাম ...
11/01/2025

গল্পঃ সন্তান
পর্বঃ ০৪
রাকিব + ফাহিম
"
"
"
রুহীকে ঘুমাতে দেখে খুব খারাপ লাগলো। মেয়েটা না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লো।
আমি ও আর খেলাম না। রুহীর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম ।

এভাবেই কাটছিলো আমাদের দিন। তবে রুহী আর আমি যখনি গল্প করতাম তখনই মুমু চুপিচুপি আমাদের কথা শুনতো।
বিষয় টা এতো দিন আমি একা লক্ষ করি কিন্তু এখন সেটা রুহীর ও নজরে পড়ছে।

প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল ।

রাতে আমি আর রুহী আমাদের রুমে শুয়ে গল্প করছি।

রুহীঃ বাপি

আমিঃ হ্যাঁ আম্মু

রুহীঃ আম্মুর রাগ কি এখনো কমে নি ।

আমিঃ কেন?

রুহীঃ তুমি তো ঐদিন বললা আম্মু রেগে আছে তাই আমার সাথে কথা বলছে না ।

আমিঃ ওহহ। আম্মুর রাগ তো এতো সহজে কমবে না মামনি। এর জন্য অনেক সময় লাগবে তো।

রুহীঃ ওহহ আচ্ছা ।

আমি রুহীর কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি রুহী আমার চুলগুলো টেনে দিচ্ছে ।

রুহীঃ আচ্ছা বাপি আমরা যখন গল্প করি তখন আম্মুকে আমাদের সাথে নিলেই তো হয় তাহলে আর আম্মু কে এতো কষ্ট করে লুকিয়ে শুনতে হয় না ।

আমিঃ তুমি কি করে জানলা তোমার আম্মু লুকিয়ে লুকিয়ে আমাদের গল্প শোনে?

রুহীঃ আমি পরশু দিন ও দেখছি আবার কালকেও দেখছি।

আমিঃ ওহহ।

মেয়েটা এতোটা পাকনা যে সব দিকে ওর নজর রাখতে হবে । মাঝে মাঝে মনে হয় এটা আমার মেয়ে নয় আমার আম্মু ।

রুহীঃ বাপি কাল তো তোমার অফিস নেই তাই না?

আমিঃ কেন?

রুহীঃ কাল তো শুক্রবার ।

আমিঃ ওহহ হ্যাঁ তো। তো কাল কি করতে হবে ?

রুহীঃ কাল তুমি আম্মু আর আমায় নিয়ে ঘুরতে যাবা। ঠিক আছে?

( এই তো পড়ে গেলাম বিপদে)

আমিঃ তুমি আর আমি গেলে হয় না?

রুহীঃ না হয় না । আমাদের সাথে আম্মুও যাবে।

আমিঃ না যাবে না ।

রুহীঃ কেন যাবে না?

( এখন তো পড়ে গেলাম মাইনকার চিপায়। এখন কি বলবো? )

আমিঃ তোমার আম্মুর সাথে আমার ঝগড়া হইছে ।

রুহীঃ তোমার সাহস তো কম না তুমি আমার আম্মুর সাথে ঝগড়া করো।

( যা শালা খেলাম বুঝি বাঁশ)

আমিঃ না মানে আম্মু আমি ঝগড়া করি নি । তোমার আম্মু আমার সাথে ঝগড়া করছে।

রুহীঃ তুমি কি বলতে চাচ্ছো আমার আম্মু ঝগড়া করে তোমার সাথে ?

( আমি এখন যেটাই বলবো না কেন সেটাতেই আমার দোষ । )

আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোমার আম্মুর সাথে ঝগড়া করছি।

রুহীঃ তোমায় দেখলেই বোঝা যায় ঝগড়াটে ছেলে একটা ।

আমিঃ বাহ ভালো তো পুরাই আম্মুর পক্ষে?

রুহীঃ হুম । এখন তোমায় শাস্তি পেতে হবে।
আমিঃ কিসের শাস্তি?

রুহীঃ আমার এমন মিষ্টি আম্মুর সাথে ঝগড়া করার জন্য ।

আমিঃ ওহ তাই? তো বলেন শুনি কি শাস্তি দিবেন?

রুহীঃ কান ধরে দশ বার ওঠাবসা করো।

আমিঃ কি? না মানে কেন?

রুহীঃ এটাই তোমার শাস্তি ।

আমিঃ পারবো না ।

রুহীঃ তাহলে ১৫ বার।

আমিঃ থাক বাবা আর বাড়াতে হবে না । ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি

কি আর করার বাধ্য হয়ে কান ধরে ওঠাবসা করতে হচ্ছে ।
আমি কানে ধরে কেবল শুরু করবো এমন সময় কেউ একজন জোরে হেসে উটলো।

দরজার দিকে তাকাতেই মুমু ওর রুমে চলে গেল
কিন্তু ও রুমে গিয়েও জোরে জোরে হাসছে ।

আমিঃ দিলা তো আমার পেষ্টিজ টা ফুটো করে।

রুহীঃ তাই? ভালোই হইছে । কাল ঘুরতে যাবো। এখন আমার ঘুম পাইছে ।

আমিঃ আচ্ছা । তাহলে তুমি শুয়ে পড়ো আমি তোমার আম্মুর সাথে কথা বলে আসি। কাল যাবে কি না সেটা জেনে আসি।

রুহীঃ আচ্ছা ।

রুহীকে রুমে রেখে মুমুর রুমের সামনে দাড়িয়ে আছি ।
এক লজ্জায় ভিতরে যেতে পারছি আর দুই যদি যেতে না করে দেয় তাহলে খুব খারাপ লাগবে ।
কি করবো?

মনে মনে শুধু একটা কথাই বলছি আল্লাহ ও যেন ঘুরতে যেতে রাজি হয়।
"
"
"
"
চলবে,,,,,,,
To be continue,,,,,, Probashi Fahim

গল্পঃ সন্তান পর্বঃ ০৩রাকিব + ফাহিম নিজের সদ্য বিয়ে করা বউকে  অন্য ছেলের সাথে ঘুরতে দেখে একটু নয় অনেক টাই খারাপ লাগলো।  আ...
09/01/2025

গল্পঃ সন্তান
পর্বঃ ০৩
রাকিব + ফাহিম

নিজের সদ্য বিয়ে করা বউকে অন্য ছেলের সাথে ঘুরতে দেখে একটু নয় অনেক টাই খারাপ লাগলো।

আমি যদিও বা ফলো করার জন্য তাদের পিছনে পিছনে আসলাম কিন্তু একটু পরে কি যেন ভেবে আবার ফিরে আসলাম ।

রুহীঃ বাপি আম্মু কই?

আমিঃ তোমার আম্মুর পায়ে কাল কেটে গেছে না। তাই আজ ডাক্তারের কাছে আসলো।

রুহীঃ তাহলে আমি আম্মুর কাছে যাই।

আমিঃ তোমার আম্মু তোমায় আমার সাথে যেতে বললো।

রুহী কে নিয়ে আবার অফিসে ফিরে আসলাম ।
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম ।
বাসায় ফিরে দেখি মুমু বসে বসে টিভি দেখছে ।

রুহী দৌড়ে মুমুর কাছে গেলো।

রুহীঃ আম্মু তোমার পায়ের ব্যাথা কমে গেছে?

রুহী যে মুমুর সাথে কথা বলছে মুমুর সেদিকে কোনো খেয়ালে নেই।
ও ওর মতো টিভি দেখছে ।

আমিঃ রুহী দেখছো না আম্মু টিভি দেখছে। বিরক্ত করিও না । চলো ফ্রেশ হয়ে নিবে।

রুহীকে ডাকার পর রুহী চলে আসলো।

আমিঃ তুমি রুমে যাও আমি আসছি।

রুহী রুমে চলে গেল ।
আমি এসে মুমুর পাশে বসলাম । তবে একটু দূরত্ব রেখে ।

আমিঃ পায়ের অবস্থা এখন কেমন ?

মুমুঃ মোটামুটি ভালোই

আমিঃ ডাক্তার কি বললো?

মুমু আমার কথা শুনে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো । ও হয়তো ভাবছে আমি কিভাবে জানলাম ।

মুমুঃ আপনি কি করে জানলেন?

আমিঃ ঐ রুহীকে নিয়ে আসার সময় দেখলাম ।

মুমুঃ ওহহ। ডাক্তার কিছু ঔষধ দিলো।

আমিঃ ওহ। একটা কথা জিজ্ঞেস করি?

মুমুঃ হুম ।

আমিঃ সাথে ছেলেটা কে? ঐ দিন তো আপনার বাবা সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো কিন্তু ওনাকে তো দেখি নি তাই জানতে চাইলাম ।

মুমু কিছু সময় নিরব থেকে বললো,,,,,

মুমুঃ ওটা আমার কাজিন। ও ঐ দিন আসে নি ।

আমিঃ ওহহ।

রুহী রুম থেকে ডাকছে।
আমি উঠে আসলাম । মুমু আবার টিভির দিকে মনোনিবেশ করলো।
একটু এসে থেমে আবার মুমুকে বললাম ।

আমিঃ রুহী তো বাচ্চা একটা মেয়ে । ওর সাথে প্লিজ এমন করবেন না ।

এবার মুমু আমার দিকে তাকালো
কিন্তু কিছু না বলে আবার টিভির দিকে তাকালো ।

আমি রুমে এসে রুহীকে ফ্রেশ করে দিয়ে ওকে হোম ওয়ার্ক করতে বসিয়ে দিলাম ।
এরপর বাথরুমে গেলাম ।
আমি বাথরুম থেকে বের হতে হতেই রুহীর হোম ওয়ার্ক শেষ হয়।

এরপর রুহীকে আগামী দিনের পড়া করার জন্য বলে বাইরে আসলাম রান্না করার জন্য ।
কিন্তু আমি বাইরে এসে অবাক হয়ে গেলাম ।
মুমু বসে বসে বার্গার খাচ্ছে ।

আমিঃ আপনি বার্গার কই পেলেন?

মুমুঃ আমার কাজিন এসে দিয়ে গেলো।

আমিঃ ওহহ আচ্ছা । তাহলে আপনি কি রাতে আর খাবেন না?

মুমুঃ না।

যেহেতু উনি রাতে খাবে না। আর বাকী রইলাম আমি আর রুহী।
অনেক দিন থেকে বাইরে খাওয়া হয় না। আজ বাইরে গিয়ে খেয়ে আসি ।
আমি রুমে আসলাম ।

আমিঃ আম্মু তোমার পড়া হলো?

রুহীঃ বাপি আর অল্প একটু আছে ।

আমিঃ ওটা এসে পড়িও। চলো বাইরে থেকে খেয়ে আসি।

রুহীঃ সত্যি বাপি? চলো। আম্মু রেডি হয়ে গেছে?( খুশিতে মুখ টা উজ্জ্বল হয়ে গেছে)

আমিঃ তোমার আম্মু যাবে না সোনা।
( আমার কথা শুনে মুহূর্তে মুখটা অমাবস্যা হয়ে গেল)

রুহীঃ তাহলে আমিও যাবো না।

আমিঃ কেন?

রুহীঃ আম্মুকে রেখে আমি একা একা বাইরে খেতে যাবো না ।

বুঝতে পারলাম রুহী মুমুকে ছাড়া কিছুতেই বাইরে যাবে না । মেয়েটা অনেক টা আমার স্বভাবের ।
সাধারণত জিদ করবে না । কিন্তু একবার যেটা জিদ করছে সেটা হওয়া চাই চাই।

রুহী আবার পড়া শুরু করলো ।
আমি রুম থেকে বের হলাম।
কিন্তু মুমু বাইরে নেই।
মনে হয় রুমে গেছে ।

রুমের দরজার সামনে এসে নক করলান ।

আমিঃ আসবো?

মুমুঃ হুম আসেন।

( আমি ভিতরে আসলাম)

মুমুঃ কিছু বলবেন?

আমিঃ আমরা বাইরে যাচ্ছি । আপনি যাবেন?

মুমুঃ না।

( আমি জানতাম উত্তর এটাই আসবে)

আমিঃ আসলে রুহী আপনাকে ছাড়া কিছুতেই খেতে যাবে না । তাই যদি আমাদের সাথে যেতেন তাহলে খুব ভালো হতো। রুহী খুব খুশি হবে।

মুমুঃ আপনার মেয়ের খুশির জন্য আমি যেন যাবো? আপনার মেয়ে কে আপনি যেভাবে পারেন খুশি করুন ।

আমিঃ দেখুন ও তো বাচ্চা । ও আপনার মাঝে হয়তো ওর আম্মুকে খুঁজে পেয়েছে তাই তো আমি আপনাকে বিয়ে করছি। নয়তো আমি কখনোই বিয়ে করতাম না। আর ওর আম্মুর সাথে আপনার অনেক টা মিল আছে ।

মুমুঃ দেখুন আপনার এসব ইমোশনাল কথা শুনতে আমি একদম ইন্টারেস্ট না। সো বিরক্ত করবেন না। প্লিজ আপনি আসুন ।

এভাবে অপমান কখনো কেউ করে নি।
কারণ কখনো কারো থেকে কিছু চাওয়ার প্রয়োজন ও পড়ে নি।
কিন্তু আমার মেয়ের জন্য এর থেকে আরও বেশি অপমানিত হলেও আমার কিছু হবে না ।

আমি আবার যাওয়ার জন্য বললাম ।
কিন্তু কে যেন ফোন করলো আর ও কথা বলতে বলতে বেলকনিতে গেলো।
আমি রুমেই রয়ে গেলাম ।

হয়তো ভাবছেন যে জোর করে রাগ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছি না কেন?

কারো মনের উপর জোর করা অভ্যাস টা আমার অনেক আগেই হারিয়ে গেছে ।

আমি কিছু সময় রুমে দাঁড়িয়ে থাকলাম ।
কিন্তু কথা বলা শেষ হচ্ছে না ।

তাই বের হয়ে বাইরে গিয়ে তিনটা বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে আসলাম ।
মুমুর রুমে এসে দেখি ও এখনো কথা বলছে ।
এতটা সময় ধরে কার সাথে কথা বলে?

রুমের মাঝে একটা প্যাকেট রেখে আমার রুমে আসলাম ।
কিন্তু রুহী ঘুমিয়ে পড়ছে ।



চলবে,,,,,,
To be continued,,,,,,, Probashi Fahim

Address

Habiganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Probashi Fahim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share