Probashi Fahim

Probashi Fahim বই, গল্প এবং পাঠক এই তিনটিই আমার ভিষন প্রিয়।
গল্প প্রেমিদের স্বাগতম।

◥◣ ★ ◢◤

☬﷽☬﷽☬
�☬��☬�
� Fahim�
�☬��☬��☬�
�☬�
�☬�
�☬�●F▬▬๑۩۩๑▬▬S●�☬�
☆ ✰ ✯
(1)

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)পর্বঃ ১৭লেখকঃ রাকিব + ফাহিম ১৬তম পর্বের পর থেকে........নীলকে দেখা মাত্র রাইসা মাথা ঘু...
29/12/2024

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)
পর্বঃ ১৭
লেখকঃ রাকিব + ফাহিম

১৬তম পর্বের পর থেকে........

নীলকে দেখা মাত্র রাইসা মাথা ঘুরে নিচে পড়ে গেলো । আরে রাইসা বলে সুমাইয়া একটা চিৎকার দিলো । এই চিৎকারের আওয়াজে সবাই পিছন ফিরে দেখে যে রাইসা অজ্ঞান হয়ে গেছে,,,,,

রাইসা তোর কি হলো চোখ খুল plzz,,,রাইসা,, এই রাইসা,,, (সুমাইয়া)

বলেই কান্না শুরু করলো । আর অন্য দিকে নীল রাইসা কে দেখা মাত্র তার মাথা ব্যাথার পরিমাণ টা খুব বেড়ে গেলো । নীল মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে ।

সুমাইয়া মা তুই শান্ত হো আমি ডাক্তার কে ডেকে আনছি রাইসার কিছু হবে না,,,,,(সুমাইয়ার আব্বু)

10 মিনিট পর ডাক্তার এসে,,,,,,

কি হয়ছে ওর,,,,,(ডাক্তার চৌধুরী সাহেব কে উদ্দেশ্যে করে)

আসলে ডাক্তার রাইসা নীল কে দেখা মাত্র মাথা ঘুরে গেলো । এমন কেনো হয়েছে দেখেন তো একটু,,,,,(চৌধুরী সাহেব)

আচ্ছা দেখতেছি,,,,,(ডাক্তার)

তারপর ডাক্তার চেকাপ করে,,,,

চৌধুরী সাহেব ওকে দেখে যা বুঝলাম ওর সাথে এমন কিছু একটা ঘটেছে যার কারণে ও খুব টেনশন ফিল করেছে । হয়তো ও নীলকে দেখে কোনো কারণে উত্তেজিত হয়ে গেছে । তাই ওকে দেখে এরকম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে । আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না কিছু সময় পর ওর জ্ঞান ফিরে আসবে,,,,,,(ডাক্তার)

বলেই বিদায় নিয়ে চলে গেলো । আর নীল মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে ওর মাথা খুব ব্যাথা করছে ।

নীল তোমার কি সমস্যা হচ্ছে আমাকে বলো,,,,, (সুমন)

নীল মাথা ব্যথার কারণে কিছু বলতে পারছে না ।

সুমাইয়া ভাবছে,,,,,

রাইসা কি নীল ভাইকে কে চিনে ? হঠাৎ নীল ভাইকে দেখে এইরকম হল কেন ওর ।

হঠাৎ রাইসা,,,,,

অভি,,,অভি কোথায় তুমি,,,,(রাইসা)

রাইসা তোর জ্ঞান ফিরছে । কি হয়েছে রে তখন তুই ভাইকে দেখে এরকম করছিস কেনো,,,,,, (সুমাইয়া)

অভি কোথায় এখন,,,,ও কই আমাকে ওর কাছে নিয়ে চল plzzz ,,,,,,(রাইসা)

বলেই কান্না করছিলো ।

কে অভি ? তুই কি বলছিস আমি কিছু বুঝতে পারছি না,,,,,(সুমাইয়া)

তোর ভাইয়া মানে তুই যাকে তোর ভাইয়া বলছিলি,,আমার অভি,,,,(রাইসা)

মানে,,,আমার ভাই তোর অভি,,,,কিন্তু ওর নাম তো নীল,,,এইসব কি হচ্ছে আমি কিছু বুঝতেছি না,,,,,,(সুমাইয়া)

তোর বোঝার দরকার নেই । আগে ওর কাছে আমাকে নিয়ে চল প্লিজ,,,(এই বলে রাইসা কান্না করছিলো সুমাইয়ার হাত ধরে)

সুমাইয়া এইসব রাইসার এসব পাগলামি দেখে রাইসা কে নীলের কাছে নিয়ে গেলো । নীল তখনো মাথায় হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে । ওর মাথার ব্যথা যেন কমছে না । রাইসাকে ওর খুব চেনা চেনা লাগছিল ।

হঠাৎ রাইসা এক দৌড় দিয়ে নীলকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো,,,,,,

অভি এতদিন কোথায় ছিলে তুমি,,,জানো আমাদের কত কষ্ট হয়েছে,,,সবাই বলছে তুমি মারা গেছো কিন্তু আমি আর আম্মু বিশ্বাস করি নাই । সত্যিই আমার বিশ্বাস ছিল তুমি মারা যাও নি,,,,আমি এখনো পযন্ত তোমার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম,,,আম্মু তো তোমার জন্য রাতে ঘুম নেই,, ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে না,,, খুব ভেঙে পড়েছিলাম আমরা,,,,,,(রাইসা নীলকে জড়িয়ে দরে কান্না করে)

আরে আরে কি করছেন,,,ছাড়েন আপনাকে দেখে আমার মাথা ব্যাথার পরিমান টা বেড়ে গেছে,, মনে হচ্ছে আমি আপনাকে কোথায় জেনো দেখেছি,,,,, (নীল)

রাইসা নিলয়ের কথা শুনে তাকে ছেড়ে দিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ।

কী বলছো অভি এইসব,,,,,,(রাইসার চোখের পানি থামছে না)

রাইসা আমি তোকে বুঝিয়ে বলছি আমাকে 5 মিনিট সময় দে,,,,(হঠাৎ সুমাইয়া বলে উঠলো)

তারপর রাইসা আর নীলকে এক জায়গায় বসিয়ে সুমাইয়া,,রাইসা আর নীলকে প্রথম থেকেই কি ঘটেছে সব কিছু খুলে বলল ।

রাইসা তো সব শুনে অবাক । ভাবছে কিভাবে কত কিছু হয়ে গেল অথচ ওরা কিছুই জানলো না ।

আংকেল ওর যাই হোক না কেনো আমি যখন ওকে ফিরে পেয়েছি আমি আর ওকে হারাতে চাই না,,,,(এই বলে কান্না করছিলো রাইসা)

ঠিক আছে তুমি টেনশন করো না । তোমার অভি তোমার কাছেই থাকবে,,,,,(আংকেল)

রাইসা এখন তুই যা গিয়ে ভাইয়ার পাশে বস । দেখ ওকে কিছু মনে করাতে পারিস কিনা,,,,(সুমাইয়া)

আপনি আবার আমার কাছে আসছেন কেন । আপনাকে বলেছি না আমি আপনাকে চিনি না,, আপনাকে দেখলে আমার মাথা ব্যথা করে,, চলে যান এখান থেকে,,,,,(আমি)

অভি তুমি আমাকে চিনতে পারছো না । আমি তোমার রাইসা,,,,,(রাইসা কান্না করে)

একি plzz আপনি কান্না করবেন না । আপনার কান্না দেখে আমার ও একদম ভালো লাগছে না ।ওফফ আমার মাথাটা ব্যাথা করছে plzz আমাকে একটু একা থাকতে দেন,,,,,(আমি)

রাইসা ভাইকে আমি একটু ঘুম পারিয়ে দিচ্ছি,, তাহলে মাথাব্যথা ঠিক হয়ে যাবে কেমন,,,,,(সুমাইয়া)

এই বলে সুমাইয়া আমাকে ধরে রুমে নিয়ে আসছিল পিছনে রাইসা ও আছে ।

ভাইয়া তুমি এখানে শুয়ে পরো একটু রেস্ট নাও,,, (সুমাইয়া)

আমি সুমাইয়ার কথা মতো শুয়ে পরলাম । কিছুক্ষন পর আমার ঘুম চলে আসলো ।

সুমাইয়া বোন তোকে কি বলে ধন্যবাদ দেবো আমার জানা নেই । কিন্তু সত্য কথা যে তোর এই উপকারের জন্য একটি পরিবার বেঁচে গেলো বিশ্বাস কর আমরা সবাই অনেক ভেঙ্গে পড়েছিলাম,,,,,,(রাইসা)

দুরর পাগলী আমরা বন্ধু তাই না । আর বন্ধুত্বের মাঝে নো সরি নো থ্যাংকস সো বন্ধুর জন্য এইটুকু তো কিছুই নয় । তারচেয়ে বড় কথা আমি তো জানতামই না যে তুই ওকে চিনিস,,,,,(সুমাইয়া)

রাইসা সুমাইয়া কে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো । ওদের কর্মকাণ্ড গুলো দেখে সব মেহমান তো অবাক হয়ে রয়েছে । তারা ভাবতেছে এতটা ভালোবাসা কখনোই দেখে নাই ।

এরপর ভালো ভাবে অনুষ্ঠান টি শেষ হওয়ার পরে রাইসা ঘড়ি তে দেখে রাত 1 টা বাজে । এত রাতে রাস্তায় বের হলে খারাপ কিছু হতে পারে ।

[ দেশটাতো জানোয়ার দিয়ে পুরো ভরে গেছে,, কয়েকদিন পর পরই শোনা যায়,, আজ এর মেয়ে তো কাল ওর বোন ধর্ষিত হচ্ছে, ওই জানোয়ারগুলো প্রতিবন্ধী,,বাচ্চা,, কাউকেই ছাড়ে না,,😔🤬সরি,,গল্পের মাঝে এগুলো বলার জন্য) ]

তারপর রাইসা,,,,

সুমাইয়া একটু এই দিকে আই তো,,,,,(রাইসা)

বোন তোকে একটি কথা বলতে চাইছি,,
ইয়ে মানে কথা টা হলো,,,,,(রাইসা)

থাক থাক আমি বুঝতে পারছি,, যা ভাইয়া এখন ঘুমাচ্ছে তুই যা রুমে,,,,,(সুমাইয়া)

ধন্যবাদ রে,,,,(রাইসা)

এই বলে রাইসা আমার রুমে ডুকে । আমাকে দেখে আবার কান্না শুরু করে দিলো আর বললো,,,,

আমার বাবু টা কত শুকায় গেছে,,,,,(রাইসা)

এরপর রাইসা কান্না করতে করতে আমায় জড়িয়ে ধরে আমার বুকে শুয়ে পরলো । সকালে উঠে দেখি যে রাইসা আমার বুকে শুয়ে আছে,,,

একি আপনি আমার রুমে কেনো ? আর আমার বুকে শুয়ে আছেন কেন,,, ,(আমি রাইসা কে ছাড়িয়ে নিয়ে)

আমার বরের বুকে আমি থাকবো না তো কে থাকবে,,,,(রাইসা)

বর মানে পাগল হয়ে গেছেন নাকি,,কে আপনার বর,,,,,(আমি)

কেনো তুমি আমার বর,,,,,(রাইসা)

ধুরর থাকেন আপনি আপনার বর কে নিয়ে,,,,,,(আমি)

এই বলে তাড়াহুড়ো করে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লাম । আমি তাড়াতাড়ি বের হয়ে সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে আবার,,,,,

ঠাস সসসস সস

আমি পড়ে গেলাম । এরপর রাইসা আমাকে দেখেই,,,,

অভ,,ভি,,ভিভিইইইই,,,,,(রাইসা)

চলবে......
To be continue....... Probashi Fahim

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)পর্বঃ ১৬লেখকঃ রাকিব + ফাহিম ১৫তম পর্বের পর থেকে........এরপর সুমাইয়া নীলের দিকে তাকিয়...
25/12/2024

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)
পর্বঃ ১৬
লেখকঃ রাকিব + ফাহিম

১৫তম পর্বের পর থেকে........

এরপর সুমাইয়া নীলের দিকে তাকিয়ে ভাইয়া বলে চিৎকার দিলো । তখন সবাই পাশে তাকিয়ে দেখে যে নিল নিচে পড়ে গেছে ।

সুমাইয়ার চিৎকার এর কারণে চৌধুরী সাহেব পাশে তাকিয়ে নিল কে গিয়ে ধরে বললো,,,,,,

নিল বাবা তোমার কি হয়েছে ? চোখ খুলো বাবা কি হয়েছে,,,,,(চৌধুরী সাহেব অস্থির হয়ে)

তখন আর কোনো উপায় না পেয়ে ডাক্তার কে ফোন করে । তারপর ডাক্তার এসে,,,,,,,

কি হয়েছে ওর চৌধুরী সাহেব,,,,,,(ডাক্তার)

আসলে আমরা সুমাইয়া আর সুমনের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলছিলাম । সো তখন আমি বলছি যে আমার ভাগনী আসবে রাইসা,,,,এই কথা বলা মাত্র ওর মাথা টা ঘুরে গেলো,,,,,,(চৌধুরী সাহেব)

আচ্ছা আপনারা আমাকে একটু দেখতে দেন,,,,,,(ডক্টর)

তারপর ডাক্তার নিল কে দেখার পর,,,,,

চৌধুরী সাহেব ওকে দেখার পর যা বুঝলাম
ও এই নামে হয়তো খুব ভালোভাবেই কাউকে চিনে । তাই এই নামটি শোনার কারণে মাথায় বেশি পেশার করেছেন আর ও জ্ঞান হারিয়েছে ।
সাধারণত এই ধরনের রোগীর এইরকম হয় ।
আপনারা চিন্তা করবেন ওকে সব সময় হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করবেন আর আগে যে ওষুধ গুলো দিয়েছি ওগুলো ও নিয়মিত খাওয়াবেন,,,,,, (ডাক্তার)

হুমম ঠিক আছে আসেন আপনাকে আমি এগিয়ে দিই,,,,,,(সুমন)

ডাক্তার চলে যাওয়ার পর চৌধুরী সাহেব চিন্তিত হয়ে বসে আছে । আর সুমাইয়া কান্না করছিলো ।

সুমাইয়া এতো চিন্তা করো না নিল আমাদের সাথে থাকলে হাসি খুশিই থাকবে আর হাসি খুশি থাকলে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে,,,,(আব্বু)

তখন নিলের জ্ঞান ফিরে আসে । হঠাৎ নীল বললো,,,,

আমি কোথায় এখন,,,,(নীল)

সবাই তাকিয়ে দেখে যে নীলের জ্ঞান ফিরছে ।

ভাইয়া তুই ঠিক আছিস তো,,,,(সুমাইয়া নীলের হাত ধরে)

বাবা তোমার তখন কি হয়েছিলো তখন,,,,,(চৌধুরী সাহেব)

আসলে আমার কিছু মনে পরছে না তখন কি হয়েছিলো,,,,(নীল)

ওকে ঠিক আছে সুমাইয়া তুমি ওকে নিয়ে ওর রুমে দিয়ে আসো তো,,,,,,(সুমন)

তারপর সুমাইয়া নীল কে তার রুমে নিয়ে,,,,,

ভাইয়া তুমি শুয়ে থাকো কিছু দরকার হলে আমাকে বলিও কেমন,,,,,(এই বলে সুমাইয়া চলে গেলো)

এভাবে কাটছিলো দিন ।

আর ওই দিকে,,,,,,

আম্মু চলো না এভাবে কি চুপ করে বসে থাকা যায় । তুমি এত চিন্তা করছো কেন । আমি জানি তোমার ছেলে তোমার কাছে এক দিন না একদিন ঠিক এ ফিরে আসবে,,,,,(রাইসা)

রাইসা মা তুমি যে কেন এভাবে পড়ে আছো । আমার ছেলে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে আজানা দেশে আর চাইলেও ফিরবে না,,,,,(আব্বু)

ওই চুপ একদম চুপ আমার ছেলে আমার কাছে আসবেই আমি জানি,,,,,(আম্মু)

হুমম আম্মু আমার অভি আমার কাছে আসবে ।
আমি এই বাড়ী থেকে কোথাও যাবো না এটা আমার শ্বশুর বাড়ী,,,,,(রাইসা)

তারপর আব্বু ওদের সাথে আর পেরে না ওঠে চলে গেছে । এভাবে ওদের দিন কাল কাটছিলো ।

10 দিন পর,,,,,

ভাইয়া আজকে আমাদের বাসায় অনেক মেহমান আসবে । আর তুমি এখনো এখানে এভাবে বসে আছো,,,,,,(সুমাইয়া)

ধুরর পাগলী ওয়াশ রুমে সুমন আছে তুই যা আমরা আসতেছি,,,,(নীল)

এরপর সুমাইয়া চলে যাওয়ার পর,,,,,,

সুমন হলো তোমার,,,,,(নীল)

এই তো সালা বাবু আরেকটু,,,,,(সুমন)

এরপর নীল আর সুমন রেডি হয়ে নিচে গিয়ে তো অবাক । কারন বাড়িতে কত মেহমান আজকে খুব ভালো লাগছে সুমন আর নীলের কাছে ।

আরে আরে রাইসা যে কেমন আছিস রে পা*গ*লী,,,,,,(সুমাইয়া)

এই তো আল্লাহ রাখছে । তো দুলা ভাই কোথায়,,,,, (রাইসা)

এই তো আছে ভাইয়ার সাথে,,,,,,(সুমাইয়া)

ভাইয়ার সাথে মানে তোর যে কোনো ভাইয়া আছে কোই আগে তো সেটা জানতাম না,,,,,,(রাইসা)

আরে এটা অনেক বড় কথা তোকে পরে সব খুলে বলবো,,,,,,(সুমাইয়া)

ও হা এতক্ষণ শুধু শুধু বক বক করতেছি দাড়া তোকে আমার ভাইয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দি,,,,,, (সুমাইয়া)

কই তোর ভাইয়া,,,,,(রাইসা)

ওই যে ওখানে দাড়িয়ে আছে কালো পাঞ্জাবি পরে,,,,,(সুমাইয়া)

রাইসা নীলের পিছনের দিক টা দেখে তার কেমন যেন লাগছে । মনে হচ্ছে ও তাকে চেনে । বুক কাপতে শুরু করছে । ও যত কাছে যাচ্ছে ততই এক্সাইটেড হয়ে উঠছে ।

ভাইয়া,,,,(সুমাইয়া)

ভাইয়া বলে যখন ডাকালো নীল পিছন ফিরে ঘুরা মাত্রই রাইসা উত্তেজিত হয়ে সোজা মাথা ঘুরে নিচে পড়ে গেল,,,,,,

চলবে,,,,,,,,
To be continue...... Probashi Fahim

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)পর্বঃ ১৫লেখকঃ রাকিব + ফাহিম ১৪তম পর্বের পর থেকে........সুমনের যখন ঘুম ভাঙার পর দেখলো ...
23/12/2024

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)
পর্বঃ ১৫
লেখকঃ রাকিব + ফাহিম

১৪তম পর্বের পর থেকে........

সুমনের যখন ঘুম ভাঙার পর দেখলো সুমাইয়া সুমনের বুকে শুয়ে আছে । সুমন তাড়াহুড়ো করে সুমাইয়া কে নিজে থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে নেওয়ার সাথে সাথে সুমাইয়ার ঘুমটা ভেঙে যায়,,,,

কি হলো সুমন এমন করছো কেনো,,,,(সুমাইয়া)

তুমি এখানে কেন,,,,(সুমন)

আমার বরের বুকে আমি থাকবো না তো কে থাকবে শুনি,,,,,,(সুমাইয়া)

আমাদের তো এখনো বিয়ে হয়নি তাহলে,,,,,(সুমন)

সুমাইয়া যখনি কিছু বলতে যাবে দরজার ওপাশ থেকে সুমাইয়ার আব্বু বললো,,,,,,,

সুমাইয়া মা একটু এদিকে আয় তো,,,,,(সুমাইয়ার আব্বু)

তারপর সুমাইয়া কাছে গিয়ে দরজা খুলে,,,,,

কি হলো আব্বু,,,,,(সুমাইয়া)

সুমন কি ঘুমাচ্ছে,,,,,(সুমাইয়ার আব্বু)

এতক্ষণ ঘুমাই ছিল এখন ঘুম থেকে উঠে গেছে,,,, (সুমাইয়া)

আচ্ছা আজকে তো ডক্টর ফোন করছে আমাদের হাসপাতালে যাওয়ার জন্য,,,,,(সুমাইয়ার আব্বু)

ঠিক আছে তবে সুমন কি নিয়ে যাবো,,,,(সুমাইয়া)

হুমম নিয়ে যাব সমস্যা নেই,,,,,(সুমাইয়ার আব্বু)

তারপর সবাই মিলে রেডি হয়ে তারা হাসপাতালে গিয়ে,,,,

চৌধুরী সাহেব আমার সাথে এদিক আসেন,,,,(ডক্টর)

হুমম ডক্টর ছেলেটির এখন কি খবর ভালো আছে তো,,,,,(সুমাইয়ার আব্বু)

দেখেন ওকে আমরা বাঁচিয়ে তো নিয়েছি ঠিক । কিন্তু ওর এতদিন এই অবস্থায় থাকা এবং মাথার আঘাত খাওয়ার কারণে ছেলেটির স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেছে,,ওর নাম টা পর্যন্ত মনে নেই,,,,, (ডক্টর)

কি বলেন এইসব,,,,(চৌধুরী সাহেব)

আচ্ছা আপনি আমার সাথে কেবিনে আসেন,,,,(ডক্টর)

এরপর চৌধুরী সাহেব কেবিনে ঢুকে দেখে যে ছেলেটা শুয়ে আছে চোখ বন্ধ করে ।

চৌধুরী সাহেব ভাবতেছে,,,,,

এত সুন্দর ছেলেটার এই অবস্থা কি করে হলো । ওর কি মা বাবা নেই । ওনার চোখে পানি চলে আসলো । চৌধুরী সাহেব ছেলেটির মাথায় হাত দেওয়া মাত্র ছেলেটির ঘুম ভেঙে যায় ।

তারপর,,,,,,

কে আপনারা,,,,আর আমি এখানে কি করছি । এটা কোন জায়গা (ছেলেটি)

একটু শান্ত হও । ওনারা তোমার বাড়ির লোক,,,,, (ডক্টর)

ওহ ওনারা আমার বাড়ির লোক । কিন্তু আমি কে ।আমি কেন কোন কিছু মনে করতে পারছিনা,,,,, (ছেলেটি)

একটু চেষ্টা করে বলার চেষ্টা করো,,তোমার নাম কি বাবা মনে করার চেষ্টা করো,,,,,(চৌধুরী সাহেব)

আমার মাথা ব্যাথা করছে,,আমার কিছু মনে পরছে না,,,,,,(ছেলেটি)

চৌধুরী সাহেব আপনারা আমার সাথে আসেন,,,,, (ডক্টর)

এরপর সবাই ডক্টর এর কেবিনে ঢুকে,,,,,

বসেন plzz,,,,,,(ডক্টর)

এরপর সবাই বসার পর,,,,,

আপনাদের এখানে আনার কারন হলো ছেলেটি এখন সুস্থ আছে । তবে ওর আগে অতিতের কিছু মনে নেই । বলছি যে ও যদি এখানে থাকে তাহলে আরো সব সময় এসব নিয়ে ভাববে এতে ওর বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে ওর । তাই ওকে সব সময় হাসি খুশির মাঝে রাখলে ঠিক হয়ে যেতে পারে,,,,(ডক্টর)

হুমম ডক্টর ঠিক বলছেন ওকে আমাদের বাসায় নিয়ে যাই তাহলে ঠিক হয়ে যাবে কি বলো আব্বু,,,,,(সুমাইয়া)

হুমম মা তুই যেটা ভালো মনে করিস ওইটা কর,,,,, (চৌধুরী সাহেব)

এরপর সবাই মিলে ছেলেটিকে হাসপাতাল থেকে তাদের বাসায় নিয়ে আসে ।

এরপর ছেলেটিকে একটু রুমে ঘুমানোর জন্য দেওয়া হয় । হঠাৎ সুমাইয়ার আব্বু সুমাইয়াকে ডাক দেন সাথে সুমন আছে ।

বলছি কি মা ছেলেটাকে দেখ । কি মায়াবি তাই না ওর শরীর এখন ভালো নেই তাই একটা অনুষ্ঠান করলে ওর মন fresh হয়ে যাবে কি বলিস তুই,,,,,,,(চৌধুরী সাহেব)

ঠিক বলছো আব্বু । আর ওর চেহারাটা অনেক মায়াবী আমার খুব ভালো লাগছে । তাই ও এখন থেকে আমার ভাই । আমার কোনো ভাই নেই তো আজ থেকে ও আমার বড় ভাই,,,,,,(সুমাইয়া)

তুই ভাই হলে আমি কি ? আমি ওর আব্বু হবো,,,,,, (চৌধুরী সাহেবর কথা শুনে সবাইকে হেসে দিলো)

এরপর সবাই যার যার রুমে চলে গেলো । সকালে ছেলেটির ঘুম ভাঙার পর ও দেখে যে ও একটা রুমে শুয়ে আছে । হঠাৎ ছেলেটি রুম থেকে বের হয়ে দেখে যে সবাই নিচে বসে আছে । আইমিন সুমাইয়া,,সমন,,চৌধুরী সাহেব ।

হঠাৎ সুমাইয়ার নজর ছেলেটির ওপর গিয়ে,,,,,,

আরে ভাইয়া এখানে দাড়িয়ে আছিস কেনো ?,,,,, (সুমাইয়া)

ভাইয়া নাম টি শুনা মাত্র ওর মাথায় প্রচুর ব্যাথা শুরু । হঠাৎ সুমাইয়া উপরে গিয়ে ছেলেটিকে ধরে নিচে নিয়ে আসে । তারপর সোফায় বসালো,,,,,

বাবা তোমার কি শরীর খারাপ লাগছে,,,,(চৌধুরী সাহেব)

না আমি ঠিক আছি । কিন্তু হঠাৎ মাথাটা একটু ব্যথা করছে,,,,,,(ছেলেটি)

আচ্ছা ভাইয়া তোমার সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয় নি এখন খেয়ে নাও,,,,,(সুমাইয়া)

ছেলেটি টি ভাবতেছে মেয়েটি আমাকে ভাই বলে ডাকতেছে কেনো তাহলে ও কি আমার বোন । আচ্ছা ওর কাছে জিজ্ঞেস করি,,,,,,

আচ্ছা তুমি কি আমার বোন,,,,,(ছেলেটি)

হুমম ভাইয়া আমি তোমার বোন,,,,,(সুমাইয়া)

ও তোমার বোন তাহলে আমি কি হই তোমার,, বলো তো,,,,,,(চৌধুরী সাহেব ছেলেটিকে উদ্দেশ্যে করে)

তাহলে আপনি আমার আব্বু,,,,,(ছেলেটি)

এই তো গুড বয় আমি তোমার আব্বু,,,,,(চৌধুরী সাহেব)

আচ্ছা এনি কে ওনাকে তো চিনলাম না,,,,,(সুমন কে উদ্দেশ্যে করে)

আমি তোমার দুলাভাই আইমিন সুমাইয়ার বর,,,,,, (সুমন)

আপু তোমার বিয়ে গেছে,,,,,(ছেলেটি)

না ভাইয়া হবে । ফিউচার বর,,,,,(সুমাইয়া একটু লজ্জা পেয়ে)

আচ্ছা আমার নাম কী,,,,,(ছেলেটি)

সবাই চুপ হয়ে ভাবতেছে আসলেই তো ওর নামটা কি,,,?

হঠাৎ সুমাইয়া,,,,,,

ভাইয়া তোর নাম তো নিল,,,,,(সুমাইয়া)

ওহ নিল,, তাহলে আমার নাম নিল,,,,(ছেলেটি ভাবতেছে)

আচ্ছা তোমারা কথা বলতে বলতে খাওয়ার কথা ভুলে গেছো । আর নিল ভাইয়া তুমি এত কিছু না বলো খাওয়া শুরু করো,,,,,,(সুমাইয়া)

এরপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে নিলো ।
এরপর চৌধুরী সাহেব যেটা বললো তা শুনে নিল মাথা ব্যাথার কারণে অজ্ঞান হয়ে নিচে পড়ে যায় ।

এরপর,,,
সুমাইয়া ভাইয়া বলে এক চিৎকার,,,,,,,,,,

চলবে,,,,,,,,,
To be continue....... Probashi Fahim

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)পর্বঃ ১৪লেখকঃ রাকিব + ফাহিম ১৩তম পর্বের পর থেকে........আমার লাশ খুজে পাওয়া যাচ্ছে না...
22/12/2024

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)
পর্বঃ ১৪
লেখকঃ রাকিব + ফাহিম

১৩তম পর্বের পর থেকে........

আমার লাশ খুজে পাওয়া যাচ্ছে না এই খবর শুনে তো সবাই অবাক । সবাই ভাবছে একজন মরে যাওয়া মানুষ কিভাবে কোথাও যেতে পারে ?

আমি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হাটতেছি । আর মনে মনে ভাবছি,,,,,,

আমি আর এদের মাঝে থাকবো না অনেক দূরে চলে যাবো । একদিকে আব্বু আমার বিয়ে তার কোন বন্ধুর মেয়ে ঠিক করে রেখেছে । আর অন্যদিকে রাইসা মনি প্রপোজ করে বসলো । আমি এগুলো ঠিক নিতে পারছিনা ।

মাথা টা খুব ব্যাথা করছে ।

(ওহ আপনারা তো কিছুই বুঝেন নাই ।
আমি তো অপারেশনের পর আমি বেঁচে ছিলাম । ডাক্তার কে আমিই বলছি,তিনি যেন সবাইকে বলেন যে আমি মারা গেছি,,সে প্রথমে রাজি না হলেও আমার অনেক রিকোয়েস্টের কারণে শেষ পর্যন্ত রাজি হয় )

এখন বাস্তবে আসা যাক,,,,,,

আমার মাথা বেন্ডিস করা । আমার পুরো শরীর জেনো অবশ হয়ে আছে । আমি ঠিক মতো হাটতে ও পারছি না । মাথা ঝিম ঝিম করছে ।ওই অবস্থাতেই আমি ধীরে ধীরে রাস্তা পার হচ্ছি ।

হঠাৎ,,,,,,

সামনে তাকাতেই একটা সিএনজি এর সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গেলাম । তারপর আমার আর কিছু মনে নেই ।

আর ওই দিকে হাসপাতালে,,,,,,

দেখেন আমরা তো অপারেশন করার পর থিয়েটার থেকে চলে গেছি । এখানে আপনারা তো সবাই রুমের সামনে ছিলেন । সো একটা লাশ কি করে আপনাদের সামনে থেকে হেটে যেতে পারে । এটাতো অসম্ভব,,,,,(ডাক্তার)

তাহলে আমাদের ছেলের লাশ টা কি কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে । আমরা কি আমাদের ছেলের শেষ দাফন টা করতে পরলাম না,,,(আব্বু)

এই বলে আব্বু কান্না করতে করতে নিচে বসে পরলো ।
:
:
:
:
5 মাস পর,,,,,,,
:
:
:
:
সুমন তুমি ঠিক মতো হাটতে পারছো না তারপর ও কেনো বের হয়ছো,,,,(সুমাইয়া)

আরে কি বলো দেখো তো আমি কি সুন্দর করে হাটতে পারছি,,,,,,(সুমন)

এই তো এখন পড়ে যেতে । আমি না ধরলে । তোমাকে নিয়েও আর পারি না । আচ্ছা চলো আব্বু মনে হয় ডাকছে,,,,,,(সুমাইয়া)

হুমম ঠিক আছে চলো,,,,,(সুমন)

তারপর সুমাইয়া সুমন কে নিয়ে বাসায় যাওয়ার পর,,,,,,

কিরে মা সুমন কে নিয়ে কোথায় গেছিস,,,,, (সুমাইয়ার আব্বু)

আর বলো না আব্বু তোমাদের জামাই টাকে নিয়ে আর পারি না আমি কত বার নিষেধ করার পর আমার কথা শুনেই নাই দেখছো এখনি পড়ে গেছে । মনে হয় ব্যাথা পাইছে,,,,(সুমাইয়া সুমনের দিকে রাগি চোখে)

আচ্ছা ঠিক আছে জামাই কে এখন তোর রুমে নিয়ে যা । আর পায়ে একটু মালিশ করে দিস,,,(সুমাইয়ার আব্বু)

এই যে স্যার চলেন,,,,,(সুমাইয়া)

তারপর সুমন সুমাইয়ার সাথে তার রুমে ঢুকে ।

সুমন এখন ভালো ছেলের মতো সোজা হয়ে শুয়ে পড়ো,,,,,(সুমাইয়া)

এমা দিনে দুপুরে তুমি আমাকে শুতে বলছো কেনো,,,,(সুমন)

তোকে শুতে বলছি,,,,,(সুমাইয়া রেগে)

আচ্ছা ঠিক আছে শুয়েছি তো এত রাগ করার কি আছে,,,,,(সুমন)

তুমি কোথায় যাচ্ছো সুমাইয়া,,,,(সুমন)

এই তো চলে আসছি আমি তুমি থাকো 1 মিনিট,,,,(সুমাইয়া)

এই বলে সুমাইয়া রুম থেকে বরে হয়ে গেলো । আর সুমন ভাবছে যে সুমাইয়া হঠাৎ কোথায় গেলো । 2 মিনিট পর সুমাইয়া ভিতরে আসলো সুমন তাকিয়ে দেখে যে,,মালিশ করার সব কিছু নিয়ে সুমাইয়া রুমে ঢুকল ।

সুমাইয়া এগুলো দিয়ে কি করবে,,,,,(সুমন)

কেনো তোমার পায়ে মালিশ করে দেবো,,,,, (সুমাইয়া)

এমা এগুলো দিয়ে মালিস করলে তো আমি মরে যাবোই,,,,,(সুমন)

কু*ত্তা,,,হনু*মান তোকে চুপ থাকতে বলছি না,,,,, (সুমন সুমাইয়ার রাগী চোখ দেখে চুপ হয়ে গেছে)

হঠাৎ সুমন অনুভব করলো সুমাইয়া তার পা টাকে মালিশ করে দিতেছে ।

ছি ছি এইসব কি করছো সুমাইয়া,,,,(সুমন)

সুমনের এইরকম ব্যবহারে সুমাইয়া অবক হলো,,,

কি করছি মানে আমি আমার বরের পা মালিশ করছি,,,,(সুমাইয়া)

কিন্তু আমাদের তো এখনো বিয়ে হয় নাই,,,,,(সুমন)

হয় নাই তবে হবে তো সামনের মাসে । আমার ফিউচার বরের সেবা যত্ন করছি । আর কোনো বলবে না চুপটি করে শুয়ে থকো,,,,,(সুমাইয়া)

সুমন ভাবতেছে এইরকম মেয়ে আর আছে নাকি,,
কে জানে পা*গ*লী একটা ।

মালিস শেষ হওয়ার পর সুমাইয়া সুমন কে নিজের হাতে খাইয়ে তারপর তাকে ওষুধ খাওয়ানোর পর,,,,,

সোনা এবার একটু ঘুমাও,,,,,(সুমাইয়া)

আমার ঘুম আসছে না তো,,,,,(সুমন)

আচ্ছা আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেছি,,,,,(সুমাইয়া)

না তুমি ও আমার পাশে এসে শুয়ে পড়ো,,,,(সুমন)

হুমম ঠিক আছে পা*গ*ল ছেলে,,,,,(সুমাইয়া)

এরপর সুমন কে সুমাইয়া হাত বুলিয়ে দিতে দিতে সুমনের কখন যে ঘুম আসছে সে নিজে ও না । যখন সুমনের ঘুম ভাঙলো সুমন তাকিয়ে দেখে যে,,,,,,,,,

চলবে,,,,,,,,
To be continue....... Probashi Fahim

(বিঃদ্রঃ-আপনাদের সুবিধার্থে বলে দেই এই সুমন কিন্তু আমি নই )

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)পর্বঃ ১৩লেখকঃ রাকিব + ফাহিম১২তম পর্বের পর থেকে........এই বলে আম্মু বেহুস হয়ে নিচে পড...
21/12/2024

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)
পর্বঃ ১৩
লেখকঃ রাকিব + ফাহিম

১২তম পর্বের পর থেকে........

এই বলে আম্মু বেহুস হয়ে নিচে পড়ে গেলো ।তারপর আব্বু এক চিৎকার দিয়ে বললো,,,,,,

এই কি হয়েছে তোমার চোখ খুলো plzzz,,,,,(আব্বু কান্না করে)

এরপর আব্বু পানি নিয়ে আম্মুর চোখে ছিটানোর পর দেখলো যে আম্মু চোখ খুলছে । চোখ খুলা মাত্র বলতে লাগলো,,,,,,,,

অভি,,,আমাকে আমার অভির কাছে নিয়ে যাও plzzz,,,,,(আম্মু একবারে পাগল হয়ে গেছে)

হঠাৎ মেহেদী স্কুল থেকে এসে বললো,,,,,,

আম্মু আব্বু তোমরা কাদতেছো কেনো কি হয়েছে,,,,,(মেহেদী)

এরপর আম্মু ওকে কে জড়িয়ে ধরে কান্না তো থামেছেই না মনে হচ্ছে এখনি মরে যাবে,,,,,,

আর ওই দিকে আমাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় সব নিউজ খবরে দোখানো হচ্ছে ।

রাইসা বাসায় গিয়ে রুম বসে কান্না করছিলো ।
হঠাৎ তার আম্মু কান্না করতে করতে এসে,,,,,,

মারে সব শেষে হয়ে গেছে (আন্টি)

রাইসার আম্মুকে হঠাৎ এভাবে কান্না করতে দেখে রাইসা বেশ অবাক হলো ।

কি হয়েছে আম্মু তুমি কান্না করছো কেনো,,,,,(রাইসা)

রাইসার আম্মুর মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না ।

আম্মু কি হয়েছে আমাকে বলো,,,,,(রাইসা কান্না করে)

এরপর রাইসার আম্মু সামনের দিকে তাকানোর জন্য বলছে সামনের দিকে তাকিয়ে রাইসা দেখলো আর বললো,,,,,

না মা এটা কখনোই হতে পারে না আমি জানি এটা আমার অভি না । আমার অভির কিছু হতে পারে না,,,,,,(রাইসা)

এই বলে রাইসা বাসা থেকে বের সোজা আমাদের বাসায় এসে বলতে লাগলো,,,,,,,,

আন্টি আমার অভি কই । ওর তো কিছু হয় নি তাই না,,,,,(রাইসা)

রাইসার এইসব পাগলামি দেখে আব্বু আম্মুর কান্নার পরিমান বেড়ে গেলো ।

ওহ আপনারাতো ভাবছেন রাইসা অভিদের বাড়িতে গিয়ে এমন কেন করছে । আসলে রাইসাই সেই অভির বাবার বন্ধুর মেয়ে যার সাথে অভির ছোটবেলা থেকে বিয়ে ঠিক করা ছিল । ওরা দুজন কেউই জানত না । যখন রাইসা রুমে বসে কান্না করছিল । তখন তার মা তাকে সব বলে দেয় ।
আবার গল্পে ফেরা যাক,,,,,,,

কি হলো তোমরা বলছো না কেন আমার অভি কোথায়,,,,(রাইসা)

ওকে কোনো ভাবে সামলানো যাচ্ছে না ।

আর ঐদিকে,,,,,,,,

মনি মনে মনে ভাবছে আজকে এই শহর থেকে চলে যাবে । এখানে থাকলে ও অভি কে ছাড়া থাকতে পারবে না । ও সব কিছু নিয়ে যখনি বের হতে যাবে,,,

তখন মনির ফোনে একটা মেসেজ আসে ।
যে মেসেজ টি এমন ছিল,,,,,,,,,

যাওয়ার আগে অভি কে যেন কবর দিয়ে যায় ।

মনি এই মেসেজ টি দেখে তার বুকে জালাতন শুরু করছে । সে ব্যাপার টি এখনো বুঝতে পারছে না । এবার ওর ফোনে একটা ভিডিও আসে ।
ভিডিও টি ওপেন করার পর ভিডিওটি দেখে,,,,,,

অভিভিভি,,,এই বলে নিচে পড়ে গেলো ।

মনির এই অবস্থা দেখে তার মা একটা চিৎকার দিলো মনির নাম ধরে ।

আর এই দিকে আমাকে এম্বুলেন্স এ রাখা হয়েছে । কিছুক্ষন পর হাসপাতালে পৌছে যাওয়ার পর ।আমাকে অপারেশন থিয়েটার এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।

৫ মিনিট পর আব্বু-আম্মু,,রাইসা-মনি,, সবাই হাসপাতালে এসে যায় ।

রাইসা,,,মনি,,,আর আম্মু এই তিন জন কে তো সমলানো যাচ্ছে না । সবাই আমার অপারেশন থিয়েটার এর বাইরে বসে কান্না করছে ।

প্রায় 2 ঘন্টা পর ডাক্তার ও.টি. থেকে বের হয়ে,,,,,,

ডাক্তার আমার ছেলের কি অবস্থা,,,,(আব্বু করুন ভাবে)

সরি । ওকে আমরা বাচাতে পারলাম না,,,,, (ডাক্তার)

ডাক্তার এই কথা বলা মাত্রই আম্মু এসে বললো,,,,,,

ওই কিসের ডক্টর তুই । আমার ছেলের কিছু হতে পারে না । আমার ছেলে বেঁচে আছে আমি জানি,,,,,,(আম্মু ডাক্তারের কলার ধরে)

আরে আরে কি করছেন আমরা তো আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করলাম । কিন্তু ওকে এখানে আনতে অনেক দেরি হয়ে গেছে । আর প্রচুর রক্ত বের হয়ে গেছে । তাই আমরা পারি নাই মাফ করবেন,,,,,,(এই বলে ডক্টর চলে গেলো)

তারপর পুরো হাসপাতাল একটা কান্নার ময়দান হয়ে গেলো । সবার এই অবস্থা দেখে পাশে থাকা একটা নার্স ওনার ও চোখ থেকে এমনিতেই পানি বের হচ্ছে ।

সবাই একদম মূর্তির মতো চুপ হয়ে গেছে । কারো মুখে কোনো কথা নেই । ২ ঘন্টা পর হঠাৎ আব্বু ডাক্তার কে ডেকে বলে আমাদের ছেলের লাশ টা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন ।

হুমম ঠিক আছে আমার সাথে আসেন,,,,(ডাক্তার)

এরপর ডাক্তার আমার লাশ নেওয়ার জন্য ওয়ার্ড বয় কে বলল,,,,,,,

সেলিম,,লাশ টাকে সনাক্ত করে মর্গ থেকে নিয়ে আসো তো ।

সে যখনি আমার লাশ কে আনতে যাবে । তখন রুমে ঢুকে দেখে যে লাশ নেই । এরপর সেলিম দৌড় দিয়ে বাইরে এসে বললো,,,,,,,

স্যার স্যার,,,, (সেলিম)

কি হয়েছে লাশ কই,,,আর তুমি চিল্লাচ্ছে কেন,,,,, (ডাক্তার)

লাশ তো নেই,,,,,(সেলিম)

নেই মানে কি পাগলের মতো কথা বলছো । লাশ কোথায় গেছে । লাস তো আর হেটে যেতে পারে না কোথাও,,,,,,(ডাক্তার)

ডাক্তার আমার ছেলের লাশ কই তাড়াতাড়ি ওর লাশ কে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন না হলে কিন্তু আপনার ভালো হবে না আপনাদের সবাইকে দেখে ছাড়বো ,,,,,,আব্বু)

এই খবর যখন আম্মু শুনেছে আমার লাশ নেই ।

দেখেছো অভির আব্বু আমি বলছি না আমার ছেলে বেঁচে আছে । দেখছো তোমরা আমার কথা সত্য হয়েছে,,,,,(আম্মু)

এই খবরটি শুনে সবাই তো অবাক হয়ে গেছে । এটা কি করে হতে পারে ।

রাইসা আর মনি তো এগুলো শুনে বেহুশ হয়ে পড়ে আছে ।

চলবে.........
To be continue........ Probashi Fahim

(বিঃদ্রঃ-কমেন্টে অনেকেই হ্যাপি ইন্ডিং চেয়েছেন ।
এবং স্যাড এন্ডিং অল্প কয়েকজন চেয়েছেন
এবং মেসেঞ্জারে ও অনেকে হ্যাপি এন্ডিং এর জন্য রিকোয়েস্ট করেছে । যেহেতু অধিকাংশই হ্যাপি এন্ডিং চেয়েছেন তাই গল্পটি হ্যাপি ইন্ডিং ই দেব । যারা স্যাড এন্ডিং চেয়েছেন তারা কষ্ট পাবেন না । ভুল ত্রুটি মার্জনীয় ।)

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)পর্বঃ ১২লেখকঃ রাকিব + ফাহিম১১তম পর্বের পর থেকে........আসলে এরা চায় টা কি,,,?? আমার মা...
20/12/2024

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)
পর্বঃ ১২
লেখকঃ রাকিব + ফাহিম

১১তম পর্বের পর থেকে........

আসলে এরা চায় টা কি,,,?? আমার মাথা ঘুরতেছে ধুরর । আমি এত কিছু না ভেবে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু আমার তো এখন ঘুমই আসছে না আমার মনে একটা কথা ঘুরতেছে এখন । মনি আর রাইসা এরা আমাকে কি এমন বলতে চাই যে ফোনে বলে নাই

আমি এইসব ভাবছিলাম । এইসব ভাবতে ভাবতে রুম থেকে বের হয়ে ছাদে চলে গেলাম । আমার একটি অভ্যাস হলো আমার যখন মন খারাপ থাকে বা কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করি তখন আমি ছাদে গিয়ে বসে থাকি কারন ছাদে পরিবেশ টা ঠান্ডা মন টা একদম fresh হয়ে যায় ।

যাইহোক আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে ছাদে চলে এলাম । তারপর ছাদে এসে এক কোনায় দাড়িয়ে আছি । হঠাৎ আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম তিন টা তারা একসাথে ।

এটা কিভাবে হতে পারে । আমি তো এর আগে তিনটা তারা একসাথে দেখি নাই । মাঝের তারা খুব বড় । দেখতে অবশ্য ভালোই লাগছে । কিন্তু আমার কাছে কি রকম একটা অদ্ভুত ধরনের লাগছে ।

আরো কিছু সময় ছাদে থাকার পরে নিচে নেমে রুমে এসে শুয়ে পরলাম । না হলে সকালে উঠতে দেরি হয়ে যাবে । এইসব বলতে বলতে কখন যে ঘুম লাগছে বুঝতে পারি নাই ।

যখন সকাল হলো দেখলাম মাত্র ৭ টা বাজে ।
আমি উঠে ওয়াশ রুমে ঢুকে গোসল করে বের হলাম । তারপর কলেজের জন্য রেডি হয়ে নিচে যখনি নামতে যাবো সিড়ি বেয়ে পড়ে গেলাম।(হয়তো ওদের নিয়ে একটু বেশি ভাবছি)

আরে আরে অভি এটা কি করে হলো দেখে শুনে হাটতে পারিস না,,,,,,,(আম্মু)

আমি মাথায় ব্যাথা পেলাম । মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি ।

অভির আব্বু তুমি দেখো না আমার ছেলেটার কি হয়েছে,,,,,(আম্মু কান্না করে)

তুমি এত উতলা হয়ো না । ওর কিছু হয় নাই সামান্য মাথায় ব্যাথা পেয়েছে । একটু বরফ আনোতো,,,,(আব্বু)

তারপর দেখলাম আম্মু আমার জন্য খানিক টুকু বরফ এনে বললো,,,,,

বাবা এটা তোর মাথায় দে যে জায়গায় আঘাত পেয়েছিস ঠিক হয়ে যাবে,,,,,(আম্মু)

আব্বু আম্মু তোমরা এত চিন্তা করো না তো আমার কিছু হয় নাই আমি একদম ঠিক আছি । আর ভাই কোথায় সবাই মিলে নাস্তা টা সেরে নিই,,,,(আমি)

না বাবা তুই ঠিক নেই এখনো মাথা ধরে আছিস তুই বস আমি তোকে খাইয়ে দিতেছি,,,,(আম্মু)

তারপর আম্মুর কথার উপরে আমি আর কিছু বলতে পারি নাই । আম্মু খাবার খাইয়ে দিচ্ছে আর আমি খাচ্ছি খুব ভালো লাগছে ।

খাওয়ার পরে,,,,,

আম্মু আব্বু আমি বের হচ্ছি কলেজের জন্য,,, (আমি)

না না তোকে এই শরীর নিয়ে কলেজে যেতে হবে না,,,,,(আম্মু)

আরে আম্মু দেখছো না তোমার ছেলে একদম ঠিক আছে তুমি চিন্তা করো না,,,,,,(আমি)

কিন্তু বাবা তোকে তো আজকে কেনো জানি আমার মন তোকে যেতে দিতে চাইতেছে না,,, (আম্মু)

আম্মু তুমিও এইসব বলছো আব্বু আমি কিন্তু বের হচ্ছি,,,,(এইবলে বের হয়ে পরলাম)

আমি বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হাটতেছি । আম্মুর কথা শুনলাম না । কিন্তু আমার তো আজকে কলেজে যেতে হবে । একটু অন্য রকম লাগছে । খুব নার্ভাস লাগছে ।

এইসব ভাবতে ভাবতে কলেজে এসে দেখি রাইসা গাছের নিচে বসে আছে ওমা হাতে দেখলাম এক জোড়া ফুল ।

কিন্তু ফুল কেনো ? আমি কাছে গিয়ে বললাম,,,,,

রাইসা কেমন আছো,,,,,(আমি)

এই তো ভালো তুমি,,,,,(রাইসা)

সেম কিন্তু কালকে আমাকে কি জেনো বলতে চেয়ে ছিলে এখন বলো,,,,,(আমি)

হুমম বলছি কিন্তু তার আগে তুমি আমার সাথে ওই দিকটাই চলো তো,,,,,(রাইসা)

আচ্ছা ঠিক আছে চলো,,,,,(আমি)

তারপর আমি রাইসার একটু সামনে যাচ্ছি । হঠাৎ রাইসা হাঁটু গুটে বসে বললো,,,,,,

তুমি কি আমার পথ চলার সাথী হবে ?? তুমি কি আমার একসাথে ফুচকা খাওয়ার সাথী হবে ??
তুমি আমার সন্তানের আব্বু হবে ?? মনের গভীর থেকে তোমাকে বলছি অভি,,,,,

l love you Ovi 💗💗

আমি ওর এই ব্যবহারে একদম পাথরের মতো হয়ে গেলাম । আমি মনে মনে যেটা ভাবছিলাম সেটাই হয়ছে ।

কিন্তু না । আমি কাউকে ভালোবাসতে পারবো না । এটা সম্ভব না কারন আমার বাবা তার কোন এক বন্ধুর মেয়ের সাথে আমার বিয়ে ছোটবেলা থেকেই ঠিক করে রেখেছে । আমি আমার বাবাকে খুব ভালোবাসি তাকে আমি কষ্ট দিতে পারব না ।

কি হলো তুমি আমার ভালোবাসা গ্রহণ করবে না,,,,,(রাইসা)

সরি রাইসা আমি কাউকে ভালোবাসতে পারবো না,,,,,(আমি)

এই পুরো কথা বলার আগেই রাইসা পিছের দিকে যেতে লাগলো ।

রাইসা শুনো আমার কথা । (আমি)

দেখলাম কান্না করতে করতে চলে গেলো । আসলে আজকে এমন কিছু হবে সেটা আমি কখনো ভাবতে পারি নাই ক্যাম্পাসের এক কোণে চুপ করে বসে রয়েছি ।

হঠাৎ পিছনে থেকে কে যেনো চোখ ধরলো আমার ।

কে,,,,,(আমি)

ওমম চিনতে পারছো না,,,,,

আমার মনে হচ্ছে এটা মনি ।

না তো,,,,(আমি)

তারপর যখনি আমার সামনে আসলো দেখলাম মনি ।

তুমি,,,,(আমি)

হুমম আমি অন্য কাউকে আশা করছিলে নাকি,,,,, (মনি)

শুনো তোমার যা বলার তাড়াতাড়ি বলো । আমার ভালো লাগছে না,,,,,,(আমি)

ঠিক আছে বলছি তুমি চোখ বন্ধ করো,,,,,(মনি)

ঠিক আছে করলাম এবার বলো,,,,,,,(আমি)

l love you Ovi,, love you so much,,,Do you love me.. please,,,,,(মনি)

আমি চোখ খুলে দেখি মনি ও সেম । আমার সামনে ফুল একটা এগিয়ে দিয়ে । এদের আজকে কি হলো বুঝলাম না ।

শেষ পযন্ত তুমি ও এই কথা বললে । তোমরা দুজনেই এক । আমি কাউকে চাই না । (আমি)

এই বলে হাটা ধরলাম । পিছন থেকে অনেক ডাক ছিলো মনি । কিন্তু আমি শুনি নি ।

আমি কলেজ থেকে বের হয়ে আনমনে হাটতে ছিলাম । ওরা তো আমার বন্ধু । আমি তো ওদের বন্ধু ছাড়া কিছু ভাবি নাই । কিন্তু তারা আমার সাথে এটা কেমন করে করতে পারলো ।

আজকে আমার চোখ থেকে এমনিতেই পানি বের হচ্ছে ।

এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে রাস্তার মাঝখানে চলে গেলাম বুঝতে পারি নাই হঠাৎ সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি একটা বাস ।

ধপাসসস,,,আআআআআ,,,,,,, (আমি)

আমাকে এক ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো আমার শরীর রক্তে ভেসে গেছে । আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসছে । পাশে একবার দেখলাম অনেক মানুষ জড়ো হয়ে গেছে । এখন আমার মায়ের কথা মনে পড়ছে আমার মা আমাকে আজকে আসতে বারন করছিলো কিন্তু আমি তা শুনি নাই।

আম্মু তোমাদের ছেলে কে মনে হয় আর দেখতে পাবে না । আমাকে ক্ষমা করে দিও । আমি কি আমার মা কে আর একবারও আম্মু বলে ডাকতে পারবো না । আমার চোখে বন্ধ হয়ে আসছে,,,,,,,,,,,

আর ওই দিকে আম্মু,,,,,,,

অভির বাবা তোমার ছেলে টা আজ এখনো আসছে না কেনো । আমার কিন্তু মন কেমন জানি করছে । আমার ছেলের কিছু হয়নি তো,,,,,(আম্মু কান্না করে)

আরে কিছু হবে না তো তুমি এত চিন্তা করো না,,,,, (আব্বু)

আব্বু তখন খবর দেখছে সাথে আম্মু ও আছে । হঠাৎ RTV নিউজ এ দেখানো হচ্ছে ঢাকা city কলেজর সামনে একটি এক্সিডেন্ট হয়েছে গুরুতর ভাবে । কিন্তু মানুষের ভীড়ের কারনে মুখ দেখানো যাচ্ছে না ।

ওগো আমার মন মানছে না । কার এক্সিডেন্ট হয়ছে । আমার কেমন কেমন লাগছে,,,,,(আম্মু)

আহা তুমি পুরো খবরটা তো শুনতে দিবা,,,,, (আব্বু)

হঠাৎ আব্বুর মোবাইলে কল আসলো । আব্বু যখনি কলটা রিসিভ করলো এরপর যেটা শুনলো আব্বু এর হাত থেকে মোবাইল টা পরে গেলো ।

কি হলো তুমি কিছু বলছো না কেনো,,,,(আম্মু কান্না করে)

আ,আ,আমাদের অ,অভি এক্সিডেন্ট করেছে,,,,(আব্বু)

না এটা হতে পারে না,,, এই বলে আম্মু একটা চিৎকার দিয়ে বেহুস হয়ে গেলো,,,,,,,,,,,,,,,,

বন্ধুরা ভাবতেছি গল্প টা sad ending দেবো আপনারা কি বলেন,,,

চলবে,,,,,,,
To be continue....... Probashi Fahim

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)পর্বঃ ১১লেখকঃ রাকিব + ফাহিম ১০ম পর্বের পর থেকে........আমি যখনি চলে আসতো যাবো তখন দেখল...
19/12/2024

গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)
পর্বঃ ১১
লেখকঃ রাকিব + ফাহিম

১০ম পর্বের পর থেকে........

আমি যখনি চলে আসতো যাবো তখন দেখলাম দরজা খুলছে । এরপর আমি রুমের ভেতরে তাকিয়ে দেখে ত অবাক । রুমের সব কিছু ভেঙে ফেলছে একদম ।

হঠাৎ কে জেনো আমাকে এসে জড়িয়ে ধরলো ।আমি তাকিয়ে দেখি যে মনি ।

কি হয়েছে মনি তুমি এমন করছো কেন,,,,,,,(আমি)

কিছু না বলে কান্না করতেছে মনি । আমি ওকে আমার থেকে সরিয়ে বললাম,,,,,,

আচ্ছা একটা কথা বলো তো তোমার এইরকম করার মানে কি,,,,,(আমি)

তোমার আমার সাথে এইরকম ব্যবহারটা আমি ঠিক নিতে পারছিলাম না । আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছিলো । তখন আমি আসলে সত্যিই বুঝতে পারি নাই । তাই তো এত বড় শাস্তি পেতে হচ্ছে (মনি কান্না করে)

চুপ একদম কথা বলবা না । এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে কাঁদা লাগে নাকি । বোকা মেয়ে দেখো তো একবার তোমার মা বাবার কি অবস্থা ওনারা তোমাকে এমন অবস্থায় দেখে তো পাগল হয়ে যাচ্ছে তুমি ওদের কথা চিন্তা করবা না একটু,,,,, (আমি রেগে)

ওয়েট ওয়েট আসলে আমি তো কিছুই জানি না আমাকে বলো তো কি হয়েছে,,,,,,(রাইসা)

তারপর আমি কলেজ থেকে আসা থেকে যা যা হয়েছে সব খুলে বললাম সবাইকে ।

হা হা হা । মনি তুমি এতো বোকা কেনো শুনি । তোমাকে জাস্ট বোঝানোর জন্য এটা করছে
আর তুমি,,,,,,(রাইসা)

আসলে আমার মেয়েটা কে আমরা ছোট বেলা থেকে আজ পর্যন্ত ওর গায়ে হাত তুলিনি ও একটু দুষ্ট কিন্তু ওর মন টা খুব নরম । দেখছো এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে আমাদের কত টেনশনে ফেলে দিলো পাগলী মেয়ে,,,,,,(আন্টি)

আন্টি আপনি কোনো চিন্তা করবেন না আমরা আপনার পাগল মেয়েকে ঠিক করতেছি,,,,,,(রাইসা)

রাইসার কথা শুনে আমরা সবাই হেসে উঠলাম ।তারপর আন্টি চলে গেলো নিচে ।

মনি ভাবছিলাম তোমার সাথে একটু গল্প করবো আমরা । কিন্তু তুমি রুমের কি অবস্থা করে রেখেছো,,,,,,(আমি)

সরি সরি,,, আসলে আমি না ঠিক বুঝতে পারি নাই । 5 মিনিট ওয়েট করো আমি সব ঠিক করে দিতেছি,,,,,,(মনি)

তুমি একা পারবা নাকি । যাও তো রাইসা তুমি মনি কে একটু হেল্প করো,,,,,,(আমি)

তারপর তারা দুজন ভিতরে গিয়ে রুম টা পরিষ্কার করতেছে । আমি বাইরে দাড়িয়ে ভাবছিলাম মেয়েটার এত রাগ কোথায় থেকে আসে ধুরর ।

এসব ভাবছিলাম হঠাৎ,,,,,,,

এই যে । হয়ে গেছে (দেখলাম রাইসা ভিতরে যাওয়ার জন্য ডাকছে)

আমি ভিতরে গিয়ে,,,,,,,

বাহ এত অল্প সময়ে রুম টা তো সুন্দর ভাবে গুছিয়েছো তো,,,,,,(আমি)

আসলে রাইসা না থাকলে তো আমি পারতাম না,,,,,,(মনি)

হয়েছে এবার কি বসতে পারি,,,,,,(আমি)

এমা তোমাকে বাধা দিচ্ছে কে,,,,,,(মনি)

রাইসা তুমি দাড়িয়ে আছো কেনো তুমিও বসো,,,,,,, (মনি)

তারপর আমরা বসে আছি হঠাৎ আবার মনি বললো,,,,,

আচ্ছা ভালো কথা তোমরা যে আসছো এখনো তো নাস্তা পানি কিছু দেওয়া হয়নি । ওয়েট করো আমি নিয়ে আসতেছি,,,,,,(মনি)

হা হা হা,,,,,,,(আমি)

এভাবে হাসছো কেনো অভি,,,,,,(মনি)

তো কি করবো আমরা কি এখানে এসেছি নাস্তা করার জন্য,,,,,,(আমি)

না । তারপর তোমরা আমার বন্ধু তোমরা আমাদের বাসায় ফাস্ট এসেছো তাই খালি মুখে চলে যাবা,,,, (মনি)

শুনো মনি আসলে আমাদের এখন খেতে মন চাইতেছে না আসো আমাদের সাথে একটু আড্ডা দাও না হলে কিন্তু আমরা চলে যাচ্ছি,,,,(রাইসা)

না না,,ঠিক আছে,,,,,(মনি)

তারপর আমরা তিনজন মিলে কিছু সময় গল্প করে মনির থেকে বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে,,,,,,

বাব্বাহ,,,,মেয়েটা এত পাগলী আগে তো জানতাম না,,,,,,(আমি)

তুমি এটা না করলে ও পারতে,,,,,,(রাইসা)

রাইসা,, তুমি ও,,,,(আমি)

থাক থাক আর কিছু বলতে হবে না,,,,,,(রাইসা আমাকে থামিয়ে)

তারপর দুজন হাটতেছি হঠাৎ রাইসা বললো,,,,,,,,

অভি আমাকে একটু আমাদের বাসা অবধি পৌছে দেবে । তুমি তো জানো আমাদের ওখানে রাস্তা টা ভালো না,,,,,,(রাইসা)

ঠিক আছে চলো,,,,,,(আমি)

তারপর আমি রাইসা কে তাদের বাসায় ছেড়ে দিয়ে আমি সোজা আমাদের বাসায় সামনে এসে কলিংবেল চাপ দিলাম দরজা খুলল আম্মু । আর বললো,,,,,,,

কিরে বাবা আজকে এত দেরি হলো,,,,,,(আম্মু)

আম্মু আর বলো না অনেক ঝামেলা,,,,,,(আমি)

ঝামেলা মানে কি হয়েছে,,,,,,,(আম্মু)

তারপর কি কি হয়েছে আম্মুকে সব বললাম,,,

এতো কিছু হয়ে গেলো । কিন্তু তুই এটা না করলে ও পারতি,,,,,,(আম্মু)

ধুরর আম্মু তুমিও শেষ পর্যন্ত,,,আচ্ছা বাদ দাও ভাই আর আব্বু কোথায়,,,,,(আমি)

মেহেদী খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পরছে । তোর আব্বু শুয়ে আছে তার নাকি মাথা ব্যাথা করছে,,,,, (আম্মু)

ঠিক আছে আম্মু,,,,,,,(আমি)

কিন্তু তুই খাবি না,,,,,,,(আম্মু)

না আম্মু বাইরে থেকে খেয়ে আসছি,,,,,(আমি)

এই বলে উপরে গিয়ে fresh হয়ে শুয়ে পরলাম
। একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না । হঠাৎ দেখলাম আমার মোবাইলের আলো টা জলতেছে ।

আমি হাতে নিয়ে দেখি রাইসা ফোন করছে । আমি রিসিভ করার পর,,,,

হ্যালো,,অভি কি করছো,,ভালো ভাবে বাসায় গেছো তো,,,,,(রাইসা)

এত গুলো কথা এক সাথে বললে কোনটার উত্তর দেবো,,,,,(আমি)

সরি সরি,,,কি করছো,,,,,(রাইসা)

এই তো শুয়ে আছি,,,,তুমি,,,,,,(আমি)

সেম । আচ্ছা অভি আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই,,,,,(রাইসা)

কি কথা বলো,,,,,(আমি)

না কালকে কলেজে আসলে বলবো,,,,,,(রাইসা)

এখন বলো । কি হলো কথা বলছো না কেন ?,,,,,,,(আমি)

ধুরর ফোন টা কেটে দিলো । রাইসা কী বলতে চায় আমাকে ? কালকে গেলে বুঝা যাবে । এরপর আমি এফবি ফ্রেন্ড দের সাথে চ্যাটিং করছিলাম ।
এবার দেখলাম মনির নাম্বার থেকে কল আসলো । নাহ,,এদের জ্বালায় আর বাঁচি না,,,,,

হুমম মনি বলো,,,,(আমি)

কি করছো,,,,,(মনি)

শুয়ে আছি তুমি,,,,,,(আমি)

বসে আছি,,,খেয়েছো,,,,,(মনি)

হুমম,, তুমি,,,,,(আমি)

হুমম,,অভি কালকে তোমাকে আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই । এখন বাই,,,,,,(মনি)

এই বলে মনি আমাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই কেটে দিলো ফোন । আমি তো অবাক । কি শুরু করছে দুজনে প্রথম রাইসা তারপর মনি ।

আসলে চাই কি এরা,,,,,,???

চলবে………
To be continue...... Probashi Fahim

(বিঃদ্রঃ-পরবর্তী পর্ব থেকেই গল্পের মোড় ঘুরে যাবে) ।

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

Address

Habiganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Probashi Fahim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share