29/12/2024
গল্পঃ অহংকারী মেয়ে (Arrogant Girl)
পর্বঃ ১৭
লেখকঃ রাকিব + ফাহিম
১৬তম পর্বের পর থেকে........
নীলকে দেখা মাত্র রাইসা মাথা ঘুরে নিচে পড়ে গেলো । আরে রাইসা বলে সুমাইয়া একটা চিৎকার দিলো । এই চিৎকারের আওয়াজে সবাই পিছন ফিরে দেখে যে রাইসা অজ্ঞান হয়ে গেছে,,,,,
রাইসা তোর কি হলো চোখ খুল plzz,,,রাইসা,, এই রাইসা,,, (সুমাইয়া)
বলেই কান্না শুরু করলো । আর অন্য দিকে নীল রাইসা কে দেখা মাত্র তার মাথা ব্যাথার পরিমাণ টা খুব বেড়ে গেলো । নীল মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে ।
সুমাইয়া মা তুই শান্ত হো আমি ডাক্তার কে ডেকে আনছি রাইসার কিছু হবে না,,,,,(সুমাইয়ার আব্বু)
10 মিনিট পর ডাক্তার এসে,,,,,,
কি হয়ছে ওর,,,,,(ডাক্তার চৌধুরী সাহেব কে উদ্দেশ্যে করে)
আসলে ডাক্তার রাইসা নীল কে দেখা মাত্র মাথা ঘুরে গেলো । এমন কেনো হয়েছে দেখেন তো একটু,,,,,(চৌধুরী সাহেব)
আচ্ছা দেখতেছি,,,,,(ডাক্তার)
তারপর ডাক্তার চেকাপ করে,,,,
চৌধুরী সাহেব ওকে দেখে যা বুঝলাম ওর সাথে এমন কিছু একটা ঘটেছে যার কারণে ও খুব টেনশন ফিল করেছে । হয়তো ও নীলকে দেখে কোনো কারণে উত্তেজিত হয়ে গেছে । তাই ওকে দেখে এরকম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে । আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না কিছু সময় পর ওর জ্ঞান ফিরে আসবে,,,,,,(ডাক্তার)
বলেই বিদায় নিয়ে চলে গেলো । আর নীল মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে ওর মাথা খুব ব্যাথা করছে ।
নীল তোমার কি সমস্যা হচ্ছে আমাকে বলো,,,,, (সুমন)
নীল মাথা ব্যথার কারণে কিছু বলতে পারছে না ।
সুমাইয়া ভাবছে,,,,,
রাইসা কি নীল ভাইকে কে চিনে ? হঠাৎ নীল ভাইকে দেখে এইরকম হল কেন ওর ।
হঠাৎ রাইসা,,,,,
অভি,,,অভি কোথায় তুমি,,,,(রাইসা)
রাইসা তোর জ্ঞান ফিরছে । কি হয়েছে রে তখন তুই ভাইকে দেখে এরকম করছিস কেনো,,,,,, (সুমাইয়া)
অভি কোথায় এখন,,,,ও কই আমাকে ওর কাছে নিয়ে চল plzzz ,,,,,,(রাইসা)
বলেই কান্না করছিলো ।
কে অভি ? তুই কি বলছিস আমি কিছু বুঝতে পারছি না,,,,,(সুমাইয়া)
তোর ভাইয়া মানে তুই যাকে তোর ভাইয়া বলছিলি,,আমার অভি,,,,(রাইসা)
মানে,,,আমার ভাই তোর অভি,,,,কিন্তু ওর নাম তো নীল,,,এইসব কি হচ্ছে আমি কিছু বুঝতেছি না,,,,,,(সুমাইয়া)
তোর বোঝার দরকার নেই । আগে ওর কাছে আমাকে নিয়ে চল প্লিজ,,,(এই বলে রাইসা কান্না করছিলো সুমাইয়ার হাত ধরে)
সুমাইয়া এইসব রাইসার এসব পাগলামি দেখে রাইসা কে নীলের কাছে নিয়ে গেলো । নীল তখনো মাথায় হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে । ওর মাথার ব্যথা যেন কমছে না । রাইসাকে ওর খুব চেনা চেনা লাগছিল ।
হঠাৎ রাইসা এক দৌড় দিয়ে নীলকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো,,,,,,
অভি এতদিন কোথায় ছিলে তুমি,,,জানো আমাদের কত কষ্ট হয়েছে,,,সবাই বলছে তুমি মারা গেছো কিন্তু আমি আর আম্মু বিশ্বাস করি নাই । সত্যিই আমার বিশ্বাস ছিল তুমি মারা যাও নি,,,,আমি এখনো পযন্ত তোমার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম,,,আম্মু তো তোমার জন্য রাতে ঘুম নেই,, ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে না,,, খুব ভেঙে পড়েছিলাম আমরা,,,,,,(রাইসা নীলকে জড়িয়ে দরে কান্না করে)
আরে আরে কি করছেন,,,ছাড়েন আপনাকে দেখে আমার মাথা ব্যাথার পরিমান টা বেড়ে গেছে,, মনে হচ্ছে আমি আপনাকে কোথায় জেনো দেখেছি,,,,, (নীল)
রাইসা নিলয়ের কথা শুনে তাকে ছেড়ে দিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ।
কী বলছো অভি এইসব,,,,,,(রাইসার চোখের পানি থামছে না)
রাইসা আমি তোকে বুঝিয়ে বলছি আমাকে 5 মিনিট সময় দে,,,,(হঠাৎ সুমাইয়া বলে উঠলো)
তারপর রাইসা আর নীলকে এক জায়গায় বসিয়ে সুমাইয়া,,রাইসা আর নীলকে প্রথম থেকেই কি ঘটেছে সব কিছু খুলে বলল ।
রাইসা তো সব শুনে অবাক । ভাবছে কিভাবে কত কিছু হয়ে গেল অথচ ওরা কিছুই জানলো না ।
আংকেল ওর যাই হোক না কেনো আমি যখন ওকে ফিরে পেয়েছি আমি আর ওকে হারাতে চাই না,,,,(এই বলে কান্না করছিলো রাইসা)
ঠিক আছে তুমি টেনশন করো না । তোমার অভি তোমার কাছেই থাকবে,,,,,(আংকেল)
রাইসা এখন তুই যা গিয়ে ভাইয়ার পাশে বস । দেখ ওকে কিছু মনে করাতে পারিস কিনা,,,,(সুমাইয়া)
আপনি আবার আমার কাছে আসছেন কেন । আপনাকে বলেছি না আমি আপনাকে চিনি না,, আপনাকে দেখলে আমার মাথা ব্যথা করে,, চলে যান এখান থেকে,,,,,(আমি)
অভি তুমি আমাকে চিনতে পারছো না । আমি তোমার রাইসা,,,,,(রাইসা কান্না করে)
একি plzz আপনি কান্না করবেন না । আপনার কান্না দেখে আমার ও একদম ভালো লাগছে না ।ওফফ আমার মাথাটা ব্যাথা করছে plzz আমাকে একটু একা থাকতে দেন,,,,,(আমি)
রাইসা ভাইকে আমি একটু ঘুম পারিয়ে দিচ্ছি,, তাহলে মাথাব্যথা ঠিক হয়ে যাবে কেমন,,,,,(সুমাইয়া)
এই বলে সুমাইয়া আমাকে ধরে রুমে নিয়ে আসছিল পিছনে রাইসা ও আছে ।
ভাইয়া তুমি এখানে শুয়ে পরো একটু রেস্ট নাও,,, (সুমাইয়া)
আমি সুমাইয়ার কথা মতো শুয়ে পরলাম । কিছুক্ষন পর আমার ঘুম চলে আসলো ।
সুমাইয়া বোন তোকে কি বলে ধন্যবাদ দেবো আমার জানা নেই । কিন্তু সত্য কথা যে তোর এই উপকারের জন্য একটি পরিবার বেঁচে গেলো বিশ্বাস কর আমরা সবাই অনেক ভেঙ্গে পড়েছিলাম,,,,,,(রাইসা)
দুরর পাগলী আমরা বন্ধু তাই না । আর বন্ধুত্বের মাঝে নো সরি নো থ্যাংকস সো বন্ধুর জন্য এইটুকু তো কিছুই নয় । তারচেয়ে বড় কথা আমি তো জানতামই না যে তুই ওকে চিনিস,,,,,(সুমাইয়া)
রাইসা সুমাইয়া কে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো । ওদের কর্মকাণ্ড গুলো দেখে সব মেহমান তো অবাক হয়ে রয়েছে । তারা ভাবতেছে এতটা ভালোবাসা কখনোই দেখে নাই ।
এরপর ভালো ভাবে অনুষ্ঠান টি শেষ হওয়ার পরে রাইসা ঘড়ি তে দেখে রাত 1 টা বাজে । এত রাতে রাস্তায় বের হলে খারাপ কিছু হতে পারে ।
[ দেশটাতো জানোয়ার দিয়ে পুরো ভরে গেছে,, কয়েকদিন পর পরই শোনা যায়,, আজ এর মেয়ে তো কাল ওর বোন ধর্ষিত হচ্ছে, ওই জানোয়ারগুলো প্রতিবন্ধী,,বাচ্চা,, কাউকেই ছাড়ে না,,😔🤬সরি,,গল্পের মাঝে এগুলো বলার জন্য) ]
তারপর রাইসা,,,,
সুমাইয়া একটু এই দিকে আই তো,,,,,(রাইসা)
বোন তোকে একটি কথা বলতে চাইছি,,
ইয়ে মানে কথা টা হলো,,,,,(রাইসা)
থাক থাক আমি বুঝতে পারছি,, যা ভাইয়া এখন ঘুমাচ্ছে তুই যা রুমে,,,,,(সুমাইয়া)
ধন্যবাদ রে,,,,(রাইসা)
এই বলে রাইসা আমার রুমে ডুকে । আমাকে দেখে আবার কান্না শুরু করে দিলো আর বললো,,,,
আমার বাবু টা কত শুকায় গেছে,,,,,(রাইসা)
এরপর রাইসা কান্না করতে করতে আমায় জড়িয়ে ধরে আমার বুকে শুয়ে পরলো । সকালে উঠে দেখি যে রাইসা আমার বুকে শুয়ে আছে,,,
একি আপনি আমার রুমে কেনো ? আর আমার বুকে শুয়ে আছেন কেন,,, ,(আমি রাইসা কে ছাড়িয়ে নিয়ে)
আমার বরের বুকে আমি থাকবো না তো কে থাকবে,,,,(রাইসা)
বর মানে পাগল হয়ে গেছেন নাকি,,কে আপনার বর,,,,,(আমি)
কেনো তুমি আমার বর,,,,,(রাইসা)
ধুরর থাকেন আপনি আপনার বর কে নিয়ে,,,,,,(আমি)
এই বলে তাড়াহুড়ো করে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লাম । আমি তাড়াতাড়ি বের হয়ে সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে আবার,,,,,
ঠাস সসসস সস
আমি পড়ে গেলাম । এরপর রাইসা আমাকে দেখেই,,,,
অভ,,ভি,,ভিভিইইইই,,,,,(রাইসা)
চলবে......
To be continue....... Probashi Fahim
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।