Sushanta Das Gupta

Sushanta Das Gupta A man of vision...

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য, ধর্মবিষয়ক উপকমিটি ( ২০২৪- চলমান)।

সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, ইউকে (২০১৫- চলমান)।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, লন্ডন আওয়ামী লীগ (২০১৫- চলমান)।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য, ত্রান ও সমাজ কল্যানবিষয়ক উপকমিটি ( ২০১৭- ২০১৯)।

মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ''বাংলাদেশ নিয়ে'' বইয়ের প্রকাশক ও সম্পাদক (২০১৩)।

স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০০০-২০০২)।

সরল প্রশ্ন: জুলাই আন্দোলনের শহীদরা একে একে ফিরে আসছে কেন?জেনজি উত্তর: ৭০ হুরের চাপে। হানিমুন পিরিয়ড শেষে বুঝতে পেরেছে এ...
06/12/2024

সরল প্রশ্ন: জুলাই আন্দোলনের শহীদরা একে একে ফিরে আসছে কেন?

জেনজি উত্তর: ৭০ হুরের চাপে। হানিমুন পিরিয়ড শেষে বুঝতে পেরেছে এক বউই ভালো ছিলো।

#জেনজি_লজিক

20241213

কর্নেল অলি ও আমাদের ভারত বিজয়বেচারা কর্নেল অলি। সর্বদলীয় ঐক্যের আহবানে সাড়া দিয়ে ড. ইউনূসের মিটিংয়ে গিয়ে জানতে পার...
06/12/2024

কর্নেল অলি ও আমাদের ভারত বিজয়

বেচারা কর্নেল অলি। সর্বদলীয় ঐক্যের আহবানে সাড়া দিয়ে ড. ইউনূসের মিটিংয়ে গিয়ে জানতে পারলেন, তিনি সর্বদলের মধ্যে পড়েন না। আওয়ামী লীগারদেরকে ধরে ধরে চাকরিচ্যুত করে কীভাবে দেশ থেকে লীগকে বিনাশ করা যায়, ড. ইউনূসকে সে প্রেসক্রিপশন দিয়েও তার সুজনরে পড়তে পারলেন না। অনেক চেষ্টা করেও মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় ঢাকতে ব্যর্থ হয়ে তিনি ইউনূসের রঙমহলে অপাঙক্তেয়ই রয়ে গেলেন।

তবে আজকের এই অপমানের জন্য ভবিষ্যতে তিনি ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিবেন। ইউনূস ও তার জ-ঙ্গীবাহিনী যতোদিন ক্ষমতায় আছে, ততোদিনে অলির কোনো সমস্যা নেই। তাছাড়া তিনি সাবেক আর্মি। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলেও তার কোনো সমস্যা হয় নি। বিএনপি ছেড়ে নতুন দল গঠন করলেও বিএনপি তাকে তেমন টাইট দেয় নি। কিন্তু আজ সর্বদলীয় ঐক্যের নামে যারা ড. ইউনূসের সাথে ফটোসেশন করলেন, হতে পারে অদূর ভবিষ্যতেই তারা এজন্য নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করবেন। ৪ঠা আগস্টেও কেউ ভাবেনি আওয়ামী লীগ সরকার ফল করবে। ইউনূস ও জামায়াত পরিচয় গোপন করে মেটিকুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে লোকজনকে ক্ষেপিয়ে তুলে আর্মি ক্যু-এর সহায়তায় ক্ষমতা দখল করেছে। স্পষ্টতই এটি জামায়াতের পরিকল্পনা ছিলো, এ তথ্যটি খুব একটা জনপ্রিয়তা পায় নি। মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে শেখ হাসিনা এখন আবার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় ইউনূস আমেরিকার সাপোর্ট পাওয়াও দুষ্কর। অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার সাথে সাথে পাশার দান উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

শেখ হাসিনা আগের ৩ টার্মে বিরোধীপক্ষের অনেককেই অনেক স্বাধীনতা দিয়েছেন। কিন্তু আজ যারা ইউনূসের ফটোসেশনে অংশ নিলো, আপনি লিখে রাখতে পারেন, হাসিনা আবার ক্ষমতা পেলে এই ছবির কোনো লোকের পক্ষেই আর বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে স্বাধীনতা ভোগ করা সম্ভব হবে না। কর্নেল অবঃ অলি হয়তো আজকের অপমানের বদৌলতে ভবিষ্যতের সে দুরবস্থা থেকে বেঁচে গেলেন।

এদিকে আওয়ামী ঠেকানোর প্রেসক্রিপশনে তিনি ভারতকেও হুমকি দিয়ে বলেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বেঁচে আছি। তার হুমকি শুনে অবশ্য ভারতীয়রা হাসবে, নাকি কাঁদবে, সেটা বোধগম্য নয়। মায়ের কাছে মাসির গল্প বলে একটা কথা আছে। যে ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা দিলো, আমাদের পক্ষে যুদ্ধ করলো, তাকে মুক্তিযুদ্ধের থ্রেট দেয়াটা মাসির গল্পই বটে।

তবে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের দামামাকে ড. ইউনূস অবশ্যই একটি অপশন হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। আপনি বিশ্ব রাজনীতির সামান্য কিছু খবর রাখলেও মনে থাকার কথা, ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়ায় পুতিনের ক্ষমতা নিয়ে একটা আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছিলো। নাভালনিকে পয়জন দিয়েও সেটা থামানো যাচ্ছিলো না। কিন্তু সে যখন ইউক্রেন আক্রমণ করে, তখন থেকে কেউ আর পুতিনের পদত্যাগ চায় না। বর্তমানে ইউনূসের অবস্থা পুতিন থেকে হাজার গুণ সঙ্গীন। তার নিজের কোন রাজনৈতিক দল নেই, জনসমর্থন নেই। আওয়ামী লীগ বাদ। বিএনপিও নিশ্চয়ই ইউনূসকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যতোই সংস্কারের মুলা দেখাক, জনগণকে বেশিদিন ঠেকিয়ে রাখা তার পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু ভারতের সঙ্গে যদি যুদ্ধ বাঁধে, তাহলে জনগণ যুদ্ধে মন দিবে, ইউনূসের মসনদ নিরাপদ।

সমস্যা অন্যত্র। পুতিন যেমন দীর্ঘদিন যাবত ইউক্রেনের একটা অংশ দখল করে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পেরেছেন, ইউনূস কি সেটি পারবেন? আপনি কল্পনা করে দেখুন, ভারতের সীমান্তবর্তী দুয়েকটা রাজ্য দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ আর্মি, এবং সেই দখল রক্ষায় বছরের পর বছর ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেটি খুবই কঠিন কাজ হবে। পাকিস্তান থেকে জাহাজ ভর্তি যেসব অস্ত্র এসেছে, যেসব কমান্ডো এসেছে বলে শোনা যায়, তারা বড়োজোর জ-ঙ্গী আক্রমণ করে নিরস্ত্র মানুষকে খুন করতে পারবে; কিন্তু ভারতের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে তারা তেমন কোনো কাজে আসবে না। তাছাড়া জাহাজ ভরে ভরে আর কতো অস্ত্র এবং কমান্ডো পাকিস্তান থেকে ঘুরপথে আমদানী করা সম্ভব!

কর্নেল অলি হুমকি দিয়ে বলেছেন, তাদের বন্ধু রাষ্ট্রের কাছেও পার-মানবিক বো-মা আছে। এ অবস্থায় একটি আংশিক সমাধান হতে পারে বন্ধু রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে পার-মাণবিক বো-মা আমদানী করা। আমাদের আনু মুহাম্মাদ স্যার আবার কয়লার প্ল্যান্টই বসাতে দিতে চান না, সেখানে এই জিনিস আমদানী করতে অবশ্যই বাধা দিবেন। তাকে বুঝানো যেতে পারে, স্যার, এটি রামপালে নেয়া হবে না, ঢাকায় থাকবে। সুন্দরবন নিরাপদ, আপনি এই নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করবেন না। "আর্মি বিষয়টা দেখছে।" তাহলে হয়তো আনু স্যার ক্ষান্ত দিবেন। এরপর ঝটিকা আক্রমণের মাধ্যমে ভারতের ২/৩টি রাজ্য এক রাতের মধ্যে দখল নিয়ে ইউনূস স্যার ও তার জ-ঙ্গীবাহিনী বুকে পার-মাণবিক বো-মা বেঁধে অধিকৃত ভারতের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে যাবে। থ্রেট দিবে, আমাদের দিকে তোমাদের কদম মোবারক এগোলেই আত্মঘাতি হয়ে উড়িয়ে দেবো। আমরা তো শহীদ, আমাদের থ্রেট কে হালকাভাবে নিও না। পার-মাণবিক বো-মা এভাবে বুকে বাঁধা সম্ভব কিনা, সেসব টেকনিক্যালিটি নিয়ে প্লিজ কেউ প্রশ্ন করবেন না। আমরা একটি সিরিয়াস সিনারিও নিয়ে কথা বলছি। সিরিয়াস থাকুন।

এই সিস্টেম কাজ দিলে পুরো ভারত না হোক, আমরা বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত ভারতের একটি করিডোর আস্তে আস্তে দখল করে ফেলবো। তখন দুই দেশের মধ্যে ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট অনেক সহজ হবে। ভারতের আকাশও ব্যবহার করতে হবে না।

তবে সব সুখেরই সমস্যাও আছে। আমরা ভারতের একটি অংশ দখল করে, সে অংশ নিয়ে কী করবো, সেটি আগে থেকেই মেটিকুলাসলি ডিজাইন করে রাখলে ভালো হয়। আমরা ভাঙচুর, জ্বালাও-পোঁড়াওয়ের পর সম্পদ যা বাকি থাকবে, সবই গনীমতের মাল। ২% পাগলা মসজিদে দান করে দিবো। সুন্দরী নারীদেরকেও গনিমতের মাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। তবে তাদের ২%কে দান করা উচিত হবে না। আমাদের মামুনুল হুজুর সামান্য ২টি মেটিকুলাস বিবাহ করেই যে বেইজ্জতি হয়েছেন, আমরা সেটি আর বরদাস্ত করবো না। যদি থাকে নসীবে, তারা সবাই আমাদের বিবি হবে। পুরুষদেরকে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। সেই সাথে দেশের ৪০% আওয়ামী লীগারকেও আমরা এক কাপড়ে পুশব্যাক করবো। জাতীয় পার্টির লোকজনের মধ্যে বেছে বেছে পুশব্যাক করা হবে। তারা সবাই খারাপ না। যেমন, শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বড়োই ঈমানদার লোক।

কর্নেল অবঃ অলিও। তাকে ইউনূস রাজ দরবারে ঢুকতে না দিন, ভারতের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের আইডিয়া দেয়ার জন্য দেশে অবশ্যই থাকতে দিবেন।

20241212

ফ্যাসিবাদের সহজপাঠ... তখন শাহবাগ জমজমাট। কিছু উঠতি ও নব্যবিপ্লবীর সঙ্গে জাতীয়তাবাদ, বাম, শাহবাগ ইত্যাদি নিয়া আলোচনা করতে...
06/12/2024

ফ্যাসিবাদের সহজপাঠ...

তখন শাহবাগ জমজমাট। কিছু উঠতি ও নব্যবিপ্লবীর সঙ্গে জাতীয়তাবাদ, বাম, শাহবাগ ইত্যাদি নিয়া আলোচনা করতেছিলাম। বয়সের ধর্মে তাদের রক্ত গরম, পূর্বসূরীদের অগ্রাহ্য করার তাড়না আছে। কালের ধর্মে তারা বই পাঠক নয়, বরং পত্রিকা পাঠক টাইপের, পরের মুখে ঝাল খায় এবং ‘লিংক দেন প্লিজ’ ঘরানায় জ্ঞান আহরণ করে। তো শাহবাগ কেনো তারুণ্যের আকাঙ্খাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হইতেছে এবং এই ক্ষেত্রে কেনো তাদের নেতৃত্বের উপস্থিতি এবং সেই সুবাদেই বিপ্লব জরুরী এই প্রসঙ্গে যাবতীয় ইডিওটিক লজিক তারা পেশ করতেছিলো। এক যুগ আগে তাদের নেতৃত্বের নেতৃত্বরে যুক্তির পানিতে গোছল করাইয়াও যা মানাইতে পারি নাই তা তারা মানবে- এই স্বপ্নদোষে কদাচিত আমি ভুগি না।

তো তারা সমাজতন্ত্রের কথা বইলা অনলাইনে তাদের কথিত বিপ্লবীচর্চার মাধ্যমে আসলে ডানপন্থীদের পারপাজ সার্ভ করতেছে এইটা তারা ধারণ করতে ব্যর্থ। উল্টা বললো শাহবাগের বর্তমান নেতৃত্ব ফ্যাসিবাদী। তারা ফ্যাসিবাদের মদদে (আওয়ামী লীগ সরকার) এবং ফ্যাসিবাদের প্রতিষ্ঠায় দালালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হইছে বইলা তাদের প্রতিবাদে নামতে হইছে এবং আমি যে তাগো মইধ্যে ছা*গুগিরি আবিষ্কার করতেছি এইটাও ফ্যাসিবাদের স্বরূপ! হা মরণ! আমি যে বারবার ইতিহাসের চাকা ঘুরে এবং তা শুদ্ধ হওয়ার জন্য, সাবধান করার জন্য তা কি এমনি বলি!

তার আগে জানা যাক চিংকুরা ফ্যাসিবাদ বলতে আসলে কী বোঝে, এইটার প্যাটার্ন হিসেবে ব্রিটিশ হিস্টোরিয়ান ইয়ান কেরশের থিওরিরেই এরা ফতোয়া মানে। কমরেড জয়নাল আবেদীন এর একটা অনুবাদ দিছেন এইরকম:

১. তীব্র সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী মতাদর্শ (জয় বাংলা!) যা প্রকাশ্যেই সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের পক্ষে (ভারত?) ওকালতি করে।

২. সমাজতন্ত্র বিরোধী, মার্ক্সবাদ বিরোধী (অমি পিয়াল গং!)।অন্যতম প্রধান লক্ষ্য শ্রমিক সংগঠন ও তাদের মার্ক্সবাদী রাজনৈতিক দর্শনকে (গণসংহতি!) নিশ্চিহ্ন করতে চাওয়া।

৩. একটি গণপার্টি তৈরি করে সমাজের সব অংশের সমর্থন নিয়ে, কিন্তু এদের প্রধান সমর্থন আসে মধ্যবিত্তদের দিক থেকে। কৃষকদের একটা অংশকেও আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। এছাড়া সমাজের নানা মূল্যহীন, অস্থায়ী অনিশ্চিত ভাসমান চরিত্রের মানুষজনকে সংগঠিত করতে পারে।

৪. একজন নেতাকে মহত্ব দিয়ে, প্রচার দিয়ে, তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে (বঙ্গবন্ধু!)।

৫. কোনো বিরোধী কিংবা সম্ভাব্য বিরোধীদের অস্তিত্বটুকু সহ্য করতেও তীব্র অনীহা এবং এই অনীহার বহিঃপ্রকাশ ঘটে তীব্র সন্ত্রাস, প্রকাশ্য হিংসা এবং নির্দয় নিষ্পেষনের মাধ্যমে।

৬. যুদ্ধ এবং সমস্ত সামাজিক বিষয়কে মহত্ব (মুক্তিযুদ্ধ!) দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী তীব্র সামাজিক রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পথ হিসেবে যুদ্ধের পক্ষে ওকালতি করে।

৭. সমাজের অভিজাত, শিল্প ও কৃষিমালিক, সামরিক এবং আমলাতন্ত্রের নেতৃত্বের সঙ্গে জোট তৈরি করে ক্ষমতায় আসে।

৮. শুরুতে প্রতিষ্ঠান বিরোধী জনপ্রিয় বিপ্লবী বক্তৃতা দিলেও, ক্ষমতায় এসে পুঁজিবাদী প্রতিষ্ঠানের একনিষ্ঠ সেবক হিসেবেই কাজ করে। মূল শ্রেণী লক্ষ্য অভিন্ন হলেও এই বৈশিষ্ঠ্যগুলোও আর পাঁচটা বুর্জোয়া শাসনের থেকে ফ্যাসিবাদিদের আলাদা করে দেয়।

ইন্টেরেস্টিং তাই না! এইবার আমরা যদি ফ্যাসিজমের উৎস, উৎপত্তি, ইতিহাস এবং এর আদি কম্পোনেন্টগুলা দেখি তাইলেই আমরা বুঝে যাবো ফ্যাসিবাদের নেপথ্য শক্তি আসলে কারা, কারা গণতন্ত্র হত্যায় প্রতিক্রিয়াশীলদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে, মানুষকে বিভ্রান্ত করে নানারকম অপপ্রচার চালিয়ে। সবার আগে আসি ফ্যাসিবাদের মূল কম্পোনেন্টে যা সমাজতন্ত্রের ভাষায় মধ্যবিত্ত পেটি বুর্জোয়া। বাংলাদেশে সমাজতন্ত্রের চর্চা করে কোন শ্রেণী? এই দেশে সর্বহারাদের জন্য আন্দোলনের কথা বলে কোন শ্রেণী? বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগনের সিংহভাগ কোন শ্রেণী থেকে আসা? মার্কসবাদ-মাওবাদ-বিপ্লব ইত্যাদি পাঠ এবং ধারন করার যোগ্যতা (প্রিভিলেজ বুঝাইতে) কারা রাখে? তাইলে কি দাড়াইলো ব্যাপারটা? মধ্যবিত্ত পাতি বুর্জোয়া শ্রেণী থিকা আইসা, সেই শ্রেণীতে জন্মগ্রহণ ও বড় হইয়া এবং জেনেটিকালি-প্র্যাকটিকালি অ্যান্ড মোরালি ওই শ্রেণীরে ধারণ কইরা বিপ্লবের গলাবাজি অবশ্যই সমাজতন্ত্রের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তো এই কনফ্লিক্ট বা দ্বন্দ্বরে অগ্রাহ্য বা অস্বীকার কইরা বা লুকায়া আর কোনো দ্বন্দ্বের আলোচনা করাটা কত বড় ভন্ডামি তা কি নব্য বিপ্লবীরা বোঝেন?

আরেকটু প্রিসাইসলি বলি, পেটি বুর্জোয়া কারা? লেনিন কিংবা মার্কস-এঙ্গেলসে এই শ্রেণী দিয়া বোঝানো হয় ছোট উৎপাদনকারী কিংবা ব্যবসায়ীদের যারা পুজিবাদের বিকাশে ক্রমশ দুর্বলতর হয়। লেনিন এদের জন্য তাই বিশেষ বিশেষণ ব্যবহার করছেন ট্রানজিশনাল (অতিক্রান্তিকালীন শ্রেণী)। এখন পুজিবাদের বিকাশে পেটি বুর্জোয়াদের এই গ্রুপটা বিপন্ন হইলেও বিস্তার পায় আরেকটা শ্রেণী, তারা হইলো ছাত্র-শিক্ষক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বীমাসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সেবা প্রতিষ্ঠান, সরকারী আধাসরকারী প্রতিষ্ঠানের মাইনে করা কর্মচারী। এরা সরাসরি উৎপাদন কিংবা পুজি সৃষ্টি কিংবা ব্যবসায় জড়িত না হইলেও পেটি বুর্জোয়ার একটা শক্তিশালী উপাদান। পেটের জন্য পেটি বুর্জোয়া হইবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবেন, জাতিসংঘের নানা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করবেন, বিভিন্ন এনজিও খুলবেন, তাগো অনুদানে বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করবেন, সাম্রাজ্যবাদের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত পাওয়া সংবাদপত্রে বড় চাকুরি করবেন, আর বক্তৃতা দিবেন সমাজতন্ত্রের, বিপ্লবের, দিনবদলের! আর সেইটার প্রতিবাদ করলেই অমি পিয়াল খারাপ, ফ্যাসিবাদের দালাল! বিনোদন আর কারে বলে!

তো এই শ্রেণীচরিত্র ব্যবসায়ে মনোপলির বিরুদ্ধে, বড় পুজিবাদের বিরুদ্ধে সে সর্বহারার পর্যায়ে নেমে যাবে এই বিপন্নতাই তারে ‘সবার জন্য সমান অধিকার, সমান সুযোগ’ শ্লোগান দেওয়ায়। কিন্তু কদ্যপি এই সাম্যবাদ সমাজতন্ত্ররে রিপ্রেজেন্ট করে না। কারণ এই শ্রেণী বরাবরই বিপ্লবের বিরুদ্ধে থাকে, তার লক্ষ্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, ধা্পে ধাপে বুর্জোয়া হওয়া, অভিজাত শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়া। তাই সে পরোক্ষভাবে তাদেরই তাবেদারি করে, তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রাণপাত করে এবং এরা লেনিনের ভাষায় পাওয়ার ফেটিশে ভোগে। উচ্চ ও নিম্নবিত্তের মাঝামাঝি অবস্থানে প্রলেতারিয়েত হওয়ার বিপন্নতা থেকেই সে রাষ্ট্রের কাছে আশ্রিত। সে রাষ্ট্রযন্ত্রে ওই অংশকেই আসীন দেখতে চায় যে তারে সবসময় রক্ষা করবে। তাই তাবেদারিতার চূড়ান্ত চর্চায় সে সবসময় ওই অংশকেই প্রাধান্য দেয় ক্ষমতায় আসার জন্য, সেটা নির্বাচনের মাধ্যমেই হোক কিংবা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই হোক। গায়ের জোরে সর্বহারার এবং শ্রমিক সমাজের প্রতিনিধি সাইজা বুর্জোয়াদের সঙ্গে তাদের অধিকারের জন্য মুলামুলি করা এবং ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার কইরা বুর্জোয়াদের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখায় এগো তৎপরতা তো আমরা অহরহই দেখি।

তো ফ্যাসিজমে জনক যিনি সেই বেনিত্তো মুসোলিনিও একসময় ইতালিয়ান সমাজতান্ত্রিক পার্টির (পিএসআই)নেতা ছিলেন। পার্টির মুখপত্র আভান্তির সম্পাদক ছিলেন বিধায় দলের নীতিনির্ধারকদের একজন বাইডিফল্ট। তার দর্শনই ছিলো মিথ এবং মিথ্যা। সবকিছুরে মিথ্যার প্রলেপ দিয়া সাদারে কালো আর কালোরে সাদা বানানোর যে চর্চার শুরু তার হাত ধইরা এই বাংলাদেশে কারা সেইটা করে? যে ফ্যাসিবাদের উত্থান তার হাতে সেইটা বামদের থিকা কোন অংশে কম ছিলো আদর্শে ও নীতিতে? ফ্যাসিস্টদের মূল কম্পোনেন্ট যে র‌্যাডিকাল সিন্ডিকালিস্ট, তাগো থিকা আদর্শ ও রাজনৈতিক চর্চায় কতখানি তফাৎ এখনকার শ্রমিকদের পক্ষে (সর্বশেষ সাভারের রানাপ্লাজার ঘটনায়) গলাবাজি করা বিপ্লবীদের? সিন্ডিকালিস্ট থিওরিতে শ্রমিক ধর্মঘটের মাধ্যমেই বিপ্লব হবে, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, উৎপাদন বন্ধ থাকলে রাষ্ট্র দুর্বল হবে এবং শ্রমিকদের প্রাধান্য মেনে নেওয়া হবে ক্ষমতায়! তো গার্মেন্টসে হরতাল কইরা কী কী হইলো? আমাদের যেসব কনট্রাক্ট আসার কথা সেগুলা চইলা গেলো বিদেশী রাষ্ট্রের কাছে। মালিকের ক্ষতি করতে গিয়া শ্রমিকের পেটে লাথি মাইরা কী আদায় কইরা দিলো বিপ্লবীরা?

১৯১৯ সালের ২৩ মার্চ প্রথম ফ্যাসিস্ট সম্মেলনের যে রেফারেন্ডাম, সেইটার প্রধান দাবিগুলা চলেন দেখি:
১. আইন করে শ্রমিকদের মজুরির স্বীকৃতি
২. নুন্যতম মজুরি নির্ধারণ
৩. শিল্প প্রতিষ্ঠানে কারিগরি পরিচালনার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অধিকার এবং শিল্পপতিদের উপর করের হার বাড়ানো
৪. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।
৫. দরিদ্র ও ভূমিহীনদের জন্য জমির ব্যবস্থা
৬. মেয়েদের সার্বজনীন ভোটাধিকার এবং সংসদে সমান সুযোগ
৭. নতুন সংবিধান তৈরির জন্য নতুন জাতীয় সংসদ গঠন।

ওয়েল এইসব কথাবার্তা এই একশ বছর পরে আইসা কারা নতুন কইরা বলে? পোপের এবং ভ্যাটিকানের বিরুদ্ধে বিপ্লবের ঘোষণা দিয়া সেই ভ্যাটিকানের অস্তিত্ব টিকাইতেই ফ্যাসিবাদের উত্থান এবং অধিষ্ঠান। এই দেশে ধর্ম ব্যবসায়ী জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে কথিত বিপ্লবের ঘোষণা দিয়া কারা তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রাণপাত করতেছে তা কি আমরা দেখি না?

খালি মিথ্যা আর মিথ্যা। মিথ্যা গল্প দিয়া মানুষের চরিত্রহানী, মিথ্যা গল্প দিয়া মানুষরে বিভ্রান্ত করা, মিথ্যা গল্প দিয়া আন্দোলনের বারোটা বাজানো এইসব কবে ছাড়বা? তোমাগো দুই প্রিয় চরিত্রের উদ্ধৃতি দিয়া শেষ করি।

‘কমিউনিস্টদের ব্যক্তিগত ত্যাগ-তিতীক্ষা এত অধিক যে শ্রদ্ধা না করে পারা যায় না। কিন্তু তারা যে মিথ্যার চর্চা করেন, তার জন্য লজ্জিত এবং দুঃখিত হওয়ার প্রয়োজন তারা আদৌ অনুভব করেন না। খুব সম্ভবত সারা দুনিয়ায় আচরণে এবং প্রচারের মধ্যবর্তী যে ফারাক তার জন্যই কমিউনিজমের ভরাডুবি ঘটলো’ - (বদরুদ্দিন উমর প্রসঙ্গে আহমদ ছফা; একাত্তর : মহাসিন্ধুর কল্লোল, মার্চ ১৯৯৩)।

‘বিপ্লবীদের অতিকথনে দোষ নেই’, চারু মজুমদারের এই থিওরিতে আর কতদিন চলবা?

সৎ হও, বিবেকবান হও। যা করতেছো যা বলতেছো তা কার স্বার্থসিদ্ধি করতেছে সেইটা অনুধাবন করো। তারপর আমারে এবং আমাদের গালি দিও, চরিত্রহানী কইরো।

আফসুস, তোমরা চিংকুরা বিপ্লবী আজ, আমরা ফ্যাসিস্ট বটে!...

20241211

https://www.youtube.com/watch?v=j-hm2Qhas_U
06/12/2024

https://www.youtube.com/watch?v=j-hm2Qhas_U

🛑Exclusive: দু'মুখো সাপ ইউনুসের ইন্ডিয়াতে বিজনেসের লিস্ট দেখুন | Muham...

পাকিস্তানীদের তো আসলে বিনা ভিসায়ই বাংলাদেশে আসতে দেওয়া উচিত!
06/12/2024

পাকিস্তানীদের তো আসলে বিনা ভিসায়ই বাংলাদেশে আসতে দেওয়া উচিত!

06/12/2024

AajTak Bangla এর লাইভে থাকছি বাংলাদেশ টাইম ২.৩০ মিনিটে। চোখ রাখুন কমেন্টে দেওয়া লিংকে।

05/12/2024

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরার সংসদ সদস্য হেমা মালিনী ভারতীয় লোকসভায় বাংলাদেশের সনাতনীদের উপর অত্যাচার নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

05/12/2024

The recent draft of White Paper on the State of the Bangladesh Economy: Dissection of a Development Narrative - has sparked widespread attention across Bangladesh and beyond. For researchers dedicated to thorough investigation, the report’s analysis of the country’s macroeconomic trends and policymaking over the past fifteen years raises critical questions.

While the methodology may differ based on specific focus areas, a robust corruption-related white paper must adhere to rigorous standards and be often peer-reviewed to ensure its accuracy, credibility and usefulness for policymakers, researchers, and the public.

Read the detailed report on BDDigest
➡️ https://en.bddigest.com/dissecting-the-biases-in-methodology-is-the-white-paper-credible/

05/12/2024

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকার কারণে বন্দর থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূন কবির এবং যুবদল নেতা ফয়সাল শিকদারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন ভাঙচুর করা হয়েছে।

৪ ডিসেম্বর দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা ভবনে হামলা চালায়।

05/12/2024

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে সেদেশের পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। অথচ বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাটে প্রতিদিন ভারতের পতাকা অবমাননা করা হচ্ছে, পা দিয়ে মাড়ানো হচ্ছে। এসব ঘটনায় বাংলাদেশের পুলিশ কয়জনকে আটক করেছে? একজনকেও না। উল্টো উপদেষ্টারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এ ঘটনাগুলোকে আরও উৎসাহিত করছে।

05/12/2024

আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত সমাজবিজ্ঞানী এবং সর্বজনস্বীকৃত বুদ্ধিজীবী, প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. অনুপম সেন দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্যের পদ অলংকৃত করে এটিকে উচ্চমানে উন্নীত করে একটি মডেল প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছেন। তিনি একজন নিপাট ভদ্রলোক, নিরীহ, নির্বিরোধী, শান্ত, এবং স্থিতধী মানুষ। তিনি অসাধারণ জ্ঞানী ও পণ্ডিত। জ্ঞানচর্চাই তাঁর জীবন ও জগতের কেন্দ্রবিন্দু। এমন পণ্ডিত ব্যক্তিকেও অপমান করতে ছাড়ছে না জামায়াত-বিএনপি-হিজবুতের কর্মীরা। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করার জন্য স্বাধীনতা-বিরোধী উগ্র শক্তি নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে।

05/12/2024

কেউ বলে দাদা 'এটা' জরুরি পোস্ট দেন, আবার আরেকজন এসে বলে দাদা 'এটা' ডিলেট দেন, যারে নিয়ে পোস্ট দিলেন সে বিপদে পড়বে। এরকম পরিস্থিতিতে নিয়মিতই পড়ছি। দেশে যে অরাজকতা চলছে হয় এটা মেনে নেন, অথবা প্রতিবাদ করেন। মধ্যবর্তী অবস্থান আমার অপছন্দ।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এলাকাটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা যাতে প্র...
05/12/2024

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এলাকাটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা যাতে প্রকাশ না পায়, সেজন্য বাইরের কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারাও ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না, স্কুল শিক্ষকসহ অন্য পেশার মানুষও এই বিধিনিষেধের আওতায় রয়েছেন।

গতকাল গোবিন্দ দাস নামের এক ব্যক্তি হিন্দু বাড়িঘর ভাঙচুরের ভিডিও ধারণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিপ্র এবং সবুজ মোটরবাইক করে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গেলে, তাদেরও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আটকে রাখা হয়। সবুজ ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, কিন্তু বিপ্রকে এখনো আটকে রাখা হয়েছে।

সংযুক্ত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে বিপ্রকে আটকে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি উদাহরণ।

আপডেট: বিপ্রকে ইতোমধ্যে ছেড়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী। সে নিরাপদ ও ভালো আছে।

এই সংবাদে আশ্চর্য হওয়ার কী আছে?  20241210
05/12/2024

এই সংবাদে আশ্চর্য হওয়ার কী আছে?

20241210

05/12/2024

মামা, আছি আমরা। সাহস রেখো।

05/12/2024

মির্জা আব্বাস বললেন, ইলিয়াস আলীকে বিএনপির কিছু নেতাই গুম করেছে! খাইলায় নি কামাই?

05/12/2024

ব্রেকিং: বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত রাতে এক বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, একটি জেলার যুবলীগ সভাপতির দেশত্যাগের পরিকল্পনা নিয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়। তিনি থাইল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন এবং এই কাজে একজন সমন্বয়কের সহায়তা নিচ্ছিলেন।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, যুবলীগ নেতা একটি চুক্তির মাধ্যমে এক সমন্বয়কের সহায়তায় ইমিগ্রেশন পার হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। শর্ত ছিল, তিনি উড়োজাহাজে চড়ার পরই সমন্বয়ককে ৪৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। তবে অভিযানের আগাম তথ্য ফাঁস হওয়ায় তিনি ইমিগ্রেশনে উপস্থিত হননি, এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে ধরতে ব্যর্থ হয়।

সূত্র আরও জানায়, ওই যুবলীগ নেতা পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে অন্ধকারে ছিলেন এবং সমন্বয়কের ফাঁদে পড়েছিলেন। এমনকি এই সমন্বয়ক নিজের কয়েকজন বন্ধুকে বিনা খরচে থাইল্যান্ডে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরও অর্থ আদায়ের চেষ্টাও করছিল। উক্ত সমন্বয়ক একদিকে অভিযুক্তের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তথ্য সরবরাহ করেন।

এটি বর্তমান পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট উদাহরণ, যেখানে ব্যক্তিগত স্বার্থে অবৈধ কার্যকলাপ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার অতি সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে।

04/12/2024

আজ সকালে এক শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে একটা গভীর আলাপ হলো। তিনি আমাকে বেশ কৌশলী একটা পরামর্শ দিলেন। বললেন, "আওয়ামী লীগের রাজনীতি যদি তুমি সত্যিই করতে চাও, তাহলে ভুলেও প্রো-অ্যাকটিভ কোনো কাজ করার চেষ্টা করো না। এখানে গা ভাসিয়ে চলাটাই ভালো। নিজের থেকে কোনো নতুন কাজ শুরু করলে তা মঙ্গলের বদলে অমঙ্গলই ডেকে আনবে। কেউ তোমাকে দলের জন্য কাজ করতে বলেনি। তাই ভুলেও নতুন কোনো ইনিশিয়েটিভ নিতে যেও না। করলে চারদিক থেকে বাঁশ খাবে।"

আমি শুনে একটু অবাক হলাম। তাকে বললাম, "আমি তো দেশের জন্য কাজ করছি। দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে যদি সেটা আওয়ামী লীগের উপকারে আসে, তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই।"

তিনি আমার কথায় কিছুটা থামলেন, তারপর বললেন, "হ্যাঁ, সেটা করতে পারো। কিন্তু মনে রেখো, তোমাকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে যে, ভবিষ্যতে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে, তোমার কোনো দাবি থাকবে না।"

আমি হেসে বললাম, "অবশ্যই! আমার তো আওয়ামী লীগের কাছে কোনো দাবী নেই। আমি তো ইউকে-তে ভালো আছি। ভবিষ্যতেও আমার কোনো দাবী থাকবে না। আমি শুধু দেশের জন্য কাজ করি। দল নিয়ে আমার কোনো স্বার্থ নেই।"

কিন্তু তার ভরসা যেন তাতেও পুরোপুরি হয়নি। তিনি বললেন, "দেখো, রাজনীতিতে যারা প্রো-অ্যাকটিভ হয়, তাদের প্রতি সন্দেহ দলে খুব স্বাভাবিক। তুমি যদি আগ বাড়িয়ে কিছু করো, তাহলে তা অন্যদের জন্য হুমকি মনে হতে পারে। বড় দলগুলোতে নিজে থেকে কিছু করার চেয়ে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলাটাই নিরাপদ। দলের ভেতরকার প্রতিযোগিতা খুব জটিল। কেউ চাইবে না তুমি তার ওপর কোনো প্রভাব ফেলো।"

তিনি আরও যোগ করলেন, "তুমি যদি দেশের জন্য কাজ করো, সেটা ভালো। কিন্তু সরাসরি দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করলে, তা নিয়ে বিরোধ হতে পারে। কারণ এতে অনেকে মনে করবে, তুমি রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি করতে চাও। রাজনীতিতে এমনিতেই বিশ্বাসের ঘাটতি। কোনো দাবী না রেখেও কাজ করলে অনেকে সন্দেহ করে।"

তার এই কথাগুলো শুনে আমি বুঝতে পারলাম, তার পরামর্শ আসলে আমার সুরক্ষার জন্য। তিনি আমাকে আরও বললেন, "ডিসক্লেইমার দিয়ে রেখো। ভবিষ্যতে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তোমার কাজের কৃতিত্ব দাবি করো না। এমনকি তোমার ভালো কাজও অনেকে হুমকি ভাবতে পারে।"

আমি তাকে নিশ্চিত করলাম, "আমার দাবি করার কিছু নেই। আমি দেশের জন্য কাজ করছি, কোনো দলের জন্য না। আর ভবিষ্যতে যদি দলের জন্য কিছু কাজে লাগে, তবুও আমি সেটা নিয়ে কোনো দাবি করব না। আমার লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন, দলের রাজনীতি নয়।"

তিনি শেষবার বললেন, "ভালো কথা। তবে সব সময় মনে রাখবে, রাজনীতি খুব পরিবর্তনশীল। আজ যেটা নিরাপদ, কাল সেটা বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে। নিজের অবস্থান পরিষ্কার রেখো।"

এই কথোপকথন থেকে আমি শিখলাম, রাজনীতিতে সততা আর নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হলে কৌশলী হওয়া জরুরি। দেশের জন্য কাজ করতে গেলে অনেক সময় দলের উপকার হয়, তবে নিজের থেকে কোনো প্রত্যাশা বা দাবি না রাখাই সঠিক পথ। রাজনীতির বাস্তবতায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট রাখা, এবং দলের অংশীদার না হয়ে, দেশের সেবায় মনোনিবেশ করাটাই নিরাপদ।

Address

Habiganj Sadar, Sylhet Division
Habiganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sushanta Das Gupta posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sushanta Das Gupta:

Videos

Share

I write to express, not to impress.

A Social Media specialist in politics. Founded AmarMP, AmarBlog, AmarProkashoni, AmarFilm, AmarNews, E-Bangladesh, Genocide Bangladesh Archive etc.

Nearby media companies