Muhammad jakir hossain

Muhammad jakir hossain �� I am muhammad jakir hossain. I am a digital Marketer ��

02/02/2023

follow back to back

11/11/2022

♥"বদরুর রেজা হিফজুল কুরআন ফাউন্ডেশন" কর্তৃক পরিচালিত ইয়ার চাঁন গাউছিয়া (রহঃ) হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রীদের মনোরম ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।যা মন ছুয়ে যায়।
অনেকেই হাফিজা হওয়ার পথে, সবার খাস দোয়া চাই। তারা হাফিজা হলেই মনের পরিপূর্ণ প্রশান্তি মিলবে।আশা করছি একদিন হবে ইনশাআল্লাহ।
#আপনি কি চান না যে, আপনার মেয়ে /বোন/ভাগিনী/ভাতিজি তাদের মতো হউক?
অবশ্যই চাই, কেনই বা চাইব না। এর চেয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জায়গা আর কোথায় আছে!

وَعَنْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَاسْتَظْهَرَهُ فَأَحَلَّ حَلَالَهُ وَحَرَّمَ حَرَامَهُ أَدْخَلَهُ اللَّهُ بِهِ الْجَنَّةَ وَشَفَّعَهُ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ كُلِّهِمْ قَدْ وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং১৮৭ হাদিস নং ২১৪১-[৩৩] ‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে ও একে মুখস্থ করে, এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনে চলে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তার পরিবারের এমন দশ ব্যক্তির জন্য তার সুপারিশ কবূল করবেন, যাদের প্রত্যেকেরই নিশ্চিত ছিল জাহান্নাম। তিরমিযী ২৯০৫, ইবনু মাজাহ ২১৬, আহমাদ ১২৬৮, শু‘আবূল ঈমান ১৭৯৬, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৮৬৮,

عَنْ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُكُمْ من تعلم الْقُرْآن وَعلمه» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং১৮৩ হাদিস নং ২১০৯-[১] ‘উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম, যে কুরআন শিক্ষা করে এবং তা (মানুষকে) শিক্ষা দেয়। সুবহানাল্লাহ
[1] সহীহ : বুখারী ৫০২৭, আবূ দাঊদ ১৪৫২, তিরমিযী ২৯০৭, আহমাদ ৫০০, শু‘আবূল ঈমান ১৭৮৫, সহীহ ইবনু হিব্বান ১১৮, সহীহাহ্ ১১৭৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৪১৫, সহীহ আল জামি‘ ৩৩১৯।

وَعَن معَاذ الْجُهَنِيّ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَعَمِلَ بِمَا فِيهِ أُلْبِسَ وَالِدَاهُ تَاجًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ضَوْءُهُ أَحْسَنُ مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ فِي بُيُوتِ الدُّنْيَا لَوْ كَانَتْ فِيكُمْ فَمَا ظَنُّكُمْ بِالَّذِي عَمِلَ بِهَذَا؟» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং।১৮৬ হাদিস নং ২১৩৯-[৩১] মু‘আয আল জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং এর মধ্যে তাঁর হুকুম-আহকামের উপর ‘আমল করে, তার মাতাপিতাকে কিয়ামতের দিন একটি মুকুট পরানো হবে। এ মুকুটের কিরণ দুনিয়ার সূর্যের কিরণ হতেও উজ্জ্বল হবে, যদি এ সূর্য তোমাদের মধ্যে থাকত (তবে উপলব্ধি করতে পারতে)। যে ব্যক্তি এ কুরআনের উপর ‘আমল করে তার ব্যাপারে এখন তোমাদের কী ধারণা? (
আবূ দাঊদ ১৪৫৩, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৮৬১, মুসতাদারাক লিল হাকিম ২০৮৫, শু‘আবূল ঈমান ১৭৯৭

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ: اقْرَأْ وَارَتْقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَة تقرؤها . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং১৮৬ হাদিস নং ২১৩৪-[২৬] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআন পাঠকারীকে কিয়ামতের দিন বলা হবে, পাঠ করতে থাকো আর উপরে উঠতে থাকো। (অক্ষরে অক্ষরে ও শব্দে শব্দে) সুস্পষ্টভাবে পাঠ করতে থাকো, যেভাবে দুনিয়াতে স্পষ্টভাবে পাঠ করতে। কারণ তোমার স্থান (মর্যাদা) হবে যা তুমি পাঠ করবে শেষ আয়াত পর্যন্ত (আয়াত পাঠের তুলনাগত দিক থেকে)। (
[1] হাসান সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৬৪, তিরমিযী ২৯১৪, সহীহাহ্ ২২৪০, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৭৯০, সহীহ আত্ তারগীব ১৪২৬, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২৪২৫।
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يَقُول: «اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لِأَصْحَابِهِ ا
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং১৮৫ হাদিস নং ২১২০-[১২] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তোমরা কুরআন পড়। কারণ কুরআন পাঠ কিয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশকারী হয়ে আসবে।
[1] সহীহ : মুসলিম ৮০৪, শু‘আবূল ঈমান ১৮২৭, সহীহ ইবনু হিববান ১১৬, সহীহাহ্ ৩৯৯২।

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَوَّلَ زُمْرَةٍ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ضَوْءُ وُجُوهِهِمْ عَلَى مِثْلِ ضَوْءِ القمرِ ليلةَ البدْرِ وَالزُّمْرَةُ الثَّانِيَةُ عَلَى مِثْلِ أَحْسَنِ كَوْكَبٍ دُرِّيٍّ فِي السَّمَاءِ لِكُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ زَوْجَتَانِ عَلَى كُلِّ زَوْجَةٍ سَبْعُونَ حُلَّةً يُرَى مُخُّ سَاقِهَا من وَرَائِهَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ صحیح ، رواہ الترمذی (2535 وقال : حسن صحیح)
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং।৪৯৭ হাদিস নং ৫৬৩৫-[২৪] উক্ত রাবী [আবূ সা'ঈদ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যে দলটি জান্নাতে প্রবেশ করবে, তাদের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মতো আলোকিত হবে। আর দ্বিতীয় দলটির চেহারা হবে আকাশের সর্বাধিক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো ঝকঝকে। তথায় প্রত্যেক লোকের জন্য দু' দু' জন করে স্ত্রী থাকবে, যাদের প্রত্যেক স্ত্রীর পরিধানে সত্তর জোড়া কাপড় থাকবে, যাদের পায়ের নলার মজ্জা কাপড়ের উপর দিয়ে দেখা যাবে।
সহীহ: তিরমিযী ২৫৩৫, সিলসিলাতুস সহীহাহ ১৭৩৬, আত্ তা'লীকুর রগীব ২৬১।

وَعَن ابْن عَبَّاس قَالَ: من تعلم كتاب الله ثمَّ ابتع مَا فِيهِ هَدَاهُ اللَّهُ مِنَ الضَّلَالَةِ فِي الدُّنْيَا وَوَقَاهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ سُوءَ الْحِسَابِ وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: مَنِ اقْتَدَى بِكِتَابِ اللَّهِ لَا يَضِلُّ فِي الدُّنْيَا وَلَا يَشْقَى فِي الْآخِرَةِ ثُمَّ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ: (فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يضل وَلَا يشقى) رَوَاهُ رزين
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং। ৩১ হাদিস নং ১৯০-[৫১] ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের শিক্ষা লাভ করলো, অতঃপর এ কিতাবের মধ্যে যা আছে তা অনুসরণ করলো, আল্লাহ তা‘আলা এ ব্যক্তিকে পৃথিবীতে পথভ্রষ্টতা হতে বাঁচিয়ে রাখবেন এবং ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসে তাকে নিকৃষ্ট হিসাবের কষ্ট হতে রক্ষা করবেন। অন্য এক বর্ণনায় আছে- তিনি বলেছেন, যে আল্লাহ তা‘আলার কিতাবের অনুসরণ করবে, সে দুনিয়াতে পথভ্রষ্ট হবে না এবং আখিরাতেও হতভাগ্য হবে না। অতঃপর এ কথার প্রমাণ স্বরূপ তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ (فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقى) অর্থাৎ- ‘‘যে ব্যক্তি আমার হিদায়াত গ্রহণ করলো, সে (দুনিয়াতে) পথভ্রষ্ট হবে না এবং (পরকালেও) ভাগ্যাহত হবে না’’- (সূরাহ্ ত্ব-হা- ২০: ১২৩)। (রযীন)[1][1] ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৯৯৫৫।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَصَامَ رَمَضَانَ كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ جَاهَدَ فِي سهل اللَّهِ أَوْ جَلَسَ فِي أَرْضِهِ الَّتِي وُلِدَ فِيهَا» . قَالُوا: أفَلا نُبشِّرُ النَّاسَ؟ قَالَ: «إِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ أَعَدَّهَا اللَّهُ لِلْمُجَاهِدِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا بَيْنَ الدَّرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ فَإِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَاسْأَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ فَإِنَّهُ أَوْسَطُ الْجَنَّةِ وَأَعْلَى الْجَنَّةِ وَفَوْقَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ وَمِنْهُ تُفَجَّرُ أنهارُ الجنَّةِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং৩২৫ হাদিস নং ৩৭৮৭-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রসূলের প্রতি ঈমান আনে, সালাত কায়িম করবে, রমাযানের সিয়াম পালন করবে, আল্লাহর পথে জিহাদ করবে বা স্বীয় জন্মভূমিতে অবস্থান করে- তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো আল্লাহর ওপর হক ও দায়িত্ব হয়ে যায়। অতঃপর লোকেরা (সহাবায়ে কিরাম) বললেন, আমরা কি জনগণের মাঝে এ সুসংবাদ জানিয়ে দিব না? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে একশ’ মর্যাদা প্রস্তুত করে রেখেছে। প্রতি দু’ শ্রেণীর মর্যাদার মাঝে দূরত্বের পরিমাণ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান। সুতরাং তোমরা যখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবে, তখন তার নিকট (জান্নাতুল) ফিরদাওস প্রার্থনা করবে। কেননা তা জান্নাতের মধ্যম ও সর্বোত্তম জান্নাত। তার উপরিভাগে আল্লাহর ‘আরশ এবং সেখান থেকে জান্নাতের ঝর্ণাসমূহ প্রবাহিত হয়। (
[1] সহীহ : সহীহুল বুখারী ২৭৯০, মুসনাদ আহমাদ ৮৪৭৪।

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ: «من رَضِي بِاللَّه رَبًّا وَالْإِسْلَام دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ» . فَعَجِبَ لَهَا أَبُو سَعِيدٍ فَقَالَ: أَعِدْهَا عَلَيَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَعَادَهَا عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: «وَأُخْرَى يَرْفَعُ اللَّهُ بِهَا الْعَبْدَ مِائَةَ دَرَجَةٍ فِي الْجَنَّةِ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ» . قَالَ: وَمَا هِيَ يَا رَسُولَ الله؟ قَالَ: «الْجِهَاد فِي سَبِيل الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ الله» . رَوَاهُ مُسلم
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং ৩৮৫১-[৬৪] আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহকে রব্ (প্রতিপালক) হিসেবে, ইসলামকে দীন (জীবন বিধান) হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রসূল (উত্তম আদর্শ) হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করে নিয়েছে, তার জন্য জান্নাত অপরিহার্য হয়ে গেছে। এটা শুনে আবূ সা‘ঈদ অত্যন্ত আনন্দ আতিশয্যে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! এ মাহাত্ম্যপূর্ণ কথাগুলো পুনরায় বলুন! তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পুনরায় তা বললেন। অতঃপর আরো বললেন, আরও একটি উত্তম কাজ রয়েছে যা আল্লাহ তা‘আলা বান্দাকে জান্নাতে একশত গুণের উচ্চাসনে মর্যাদা দিবেন, প্রতিটি মর্যাদা বা স্তরের মাঝে দূরত্ব হলো আকাশমন্ডলী ও দুনিয়ার মধ্যকার সমপরিমাণ। তিনি [আবূ সা‘ঈদ (রাঃ)] জিজ্ঞেস করলেন, সেই (দ্বিতীয়) কাজটি কী, হে আল্লাহর রসূল? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহর পথে জিহাদ, আল্লাহর পথে জিহাদ, আল্লাহর পথে জিহাদ। সহীহ মুসলিম ১৮৮৪, নাসায়ী ৩১৩১, সহীহ আত্ তারগীব ১৩০৬।

وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِي الْجَنَّةِ مائةُ درجةٍ مَا بينَ كلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَالْفِرْدَوْسُ أَعْلَاهَا دَرَجَةً مِنْهَا تُفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ الْأَرْبَعَةُ وَمِنْ فَوْقِهَا يَكُونُ الْعَرْشُ فَإِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَاسْأَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَلَمْ أَجِدْهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ وَلَا فِي كِتَابِ الْحُمَيْدِيِّ اسنادہ صحیح ، رواہ الترمذی (2531) ۔ (صَحِيح)
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং ৫৬১৭-[৬] ‘উবাদাহ্ ইবনুস সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ::.) বলেছেন: জান্নাতের স্তর হবে একশটি প্রত্যেক দুই স্তরের মাঝখানের দূরত্ব হবে আসমান ও জমিনের দূরেত্বের পরিমাণ। জান্নাতুল ফিরদাউসের স্তর হবে সর্বোপরি। তা হতেই প্রবাহিত হয় ঝরনাধারা এবং তার উপরেই রয়েছে মহান প্রভুর ‘আরশ’। অতএব তোমরা যখনই আল্লাহ তা'আলার কাছে প্রার্থনা করবে, তখন ফিরদাউস জান্নাতই চাইবে। সহীহ: তিরমিযী ২৫২৯, সিলসিলাতুস সহীহাহ ৯২২, বুখারী ২৭৯০, সহীহুল জামি ৪২৪৫, সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব ১৩০৫, মুসনাদে আহমাদ ৮৪০০, শু’আবূল ঈমান ৪২৫৮, আল মু'জামুল আওসাত্ব ৮৭৪২, আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ২৪৬১, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী ১৮৯৬৪।

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ مِائَةُ عَامٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صحیح ، رواہ الترمذی (2529) ۔ (صَحِيح)

মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং ৫৬৩২-[২১] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:.) বলেছেন: জান্নাতের একশতটি স্তর আছে, প্রত্যেক দুই স্তরের মধ্যে একশত বছরের দূরত্ব। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান গরীব]
সহীহ: তিরমিযী ২৫২৯, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৯২২, সহীহুল জামি ৪২৪৫, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব ৩৭১০, মুসনাদে আহমাদ ৭৯১০।

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ لَوْ أَنَّ الْعَالَمِينَ اجْتَمَعُوا فِي إِحْدَاهُنَّ لَوَسِعَتْهُمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِي
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং
৫৬৩৩-[২২] আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জান্নাতের একশত স্তর আছে। যদি বিশ্বের লোক একত্রিত হয়ে তার একটিতে (স্তরে) একত্রিত হয় তবুও তা সকলের জন্য যথেষ্ট হবে। ইমাম তিরমিযী ২৫৩২

#এর পেছনে যারাই সাহায্য সহযোগিতা করেছেন কিংবা করবেন মহান আল্লাহ তাআলা সবাইকে কবুল করুন। তাদের জীবনের গুনাহ মাফ করুন।

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا أَحْسَنَ أَحَدُكُمْ إِسْلَامَهُ فَكُلُّ حَسَنَةٍ يَعْمَلُهَا تُكْتَبُ لَهُ بِعشر أَمْثَالهَا إِلَى سبع مائَة ضعف وكل سَيِّئَة يعملها تكْتب لَهُ بِمِثْلِهَا
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং ৪৪-[৪৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ উত্তমভাবে (সত্য ও খালিস মনে) মুসলিম হয়, তখন তার জন্য প্রত্যেক সৎ কাজের সাওয়াব দশ গুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত লেখা হয়। আর তার অসৎ কাজ- যা সে করে থাকে, তার অনুরূপই (মাত্র এক গুণই গুনাহ) ‘আমলনামায় লেখা হয়, যে পর্যন্ত না সে আল্লাহর দরবারে পৌঁছে। (
[1] সহীহ: বুখারী ৪২, মুসলিম ১২৯, আহমাদ ৮২১৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ২২৮, শু‘আবুল ঈমান ৭০৪৬, সহীহুল জামি‘ ২৮৭; হাদীসের শব্দ মুসলিমের।

وَعَن أبي مَسْعُود الْأنْصَارِيّ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ بِنَاقَةٍ مَخْطُومَةٍ فَقَالَ: هَذِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَكَ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ سَبْعمِائة نَاقَة كلهَا مخطومة» . رَوَاهُ مُسلم

মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং ৩৭৯৯-[১৩] আবূ মাস্‘ঊদ আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি স্বীয় উষ্ট্রীর নাকে লাগামসহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এনে বলল, এ উষ্ট্রী আল্লাহর পথে দান করলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, তোমাকে তার বিনিময়ে কিয়ামতের দিনে সাতশত লাগামসহ উষ্ট্রী প্রদান করা হবে। : সহীহ মুসলিম ১৮৯২, দারিমী ২৪৪৬, সহীহাহ্ ৬৩৪।

কোরআন শরীফ নিয়ে আলোচনা হাদিস শরিফের মাধ্যমে
١٨٦ - وَعَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - مُرْسَلًا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا: كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ رَسُولِهِ» ". رَوَاهُ فِي (الْمُوَطَّأِ
মিশকাতুল মাসাবি, পৃষ্ঠা নং ৩০ হাদিস নং১৮৬-[৪৭] মালিক ইবনু আনাস (রাঃ) (রহঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ তোমরা সে দু’টি জিনিস আঁকড়ে ধরে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পথভ্রষ্ট হবে না- আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের হাদীস। [ইমাম মালিক মুয়াত্ত্বায় বর্ণনা করেছেন। হাদিস নং১৬৬১ অধ্যায় নং ৪৬
باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ مَنْ تَعَلَّمَ كِتَابَ الله ثُمَّ اتَّبَعَ مَا فِيْهِ هَدَاهُ الله مِنَ الضَّلَالَةِ فِيْ الدُّنْيَا وَوَقَاهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ سُوْءَ الْحِسَابِ. وَفِيْ رِوَايَةٍ قَالَ مَنِ اقْتَدى بِكِتَابِ الله لَا يَضِلُّ فِيْ الدُّنْيَا وَلَا يَشْقى فِيْ الْاۤخِرَةِ ثُمَّ تَلاَ هذِهِ الاۤية (فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقى) رَوَاهُ رَزِيْن
মিশকাতুল মাসাবি, পৃষ্ঠা নং হাদিস নং১৯০-[৫১] ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের শিক্ষা লাভ করলো, অতঃপর এ কিতাবের মধ্যে যা আছে তা অনুসরণ করলো, আল্লাহ তা‘আলা এ ব্যক্তিকে পৃথিবীতে পথভ্রষ্টতা হতে বাঁচিয়ে রাখবেন এবং ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসে তাকে নিকৃষ্ট হিসাবের কষ্ট হতে রক্ষা করবেন। অন্য এক বর্ণনায় আছে- তিনি বলেছেন, যে আল্লাহ তা‘আলার কিতাবের অনুসরণ করবে, সে দুনিয়াতে পথভ্রষ্ট হবে না এবং আখিরাতেও হতভাগ্য হবে না। অতঃপর এ কথার প্রমাণ স্বরূপ তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ (فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقى) অর্থাৎ- ‘‘যে ব্যক্তি আমার হিদায়াত গ্রহণ করলো, সে (দুনিয়াতে) পথভ্রষ্ট হবে না এবং (পরকালেও) ভাগ্যাহত হবে না’’- (সূরাহ্ ত্ব-হা- ২০: ১২৩)। (রযীন)[1][1] ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৯৯৫৫।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ : أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلٰى رَسُوْلِ اللّٰهِ ﷺ فَقَالَ أَحَدُهُمَا : اِقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللّٰهِ وَقَالَ الْاٰخَرُ : أَجَلْ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ! فاقْضِ بَيْننَا بِكِتَابِ اللهِ وَأْذَنْ لِىْ أَنْ أَتَكَلَّمَ قَالَ : «تَكَلَّمْ» قَالَ : إِنَّ ابْنِىْ كَانَ عَسِيْفًا عَلٰى هٰذَا فَزَنٰى بِامْرَأَتِه فَأَخْبَرُوْنِىْ أنَّ عَلٰى اِبْنِى الرَّجْمُ فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَبِجَارِيَةٍ لِىْ ثُمَّ إِنِّىْ سَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُوْنِىْ أَنَّ عَلٰى اِبْنِى جَلْدَ مِائَةٍ وَتَغْرِيْبَ عَامٍ وَإِنَّمَا الرَّجْمُ عَلٰى اِمْرَأَتِه فَقَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : أَمَا وَالَّذِىْ نَفْسِىْ بِيَدِه لَأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللّٰهِ أَمَّا غَنَمُكَ وَجَارِيَتُكَ فَرَدٌّ عَلَيْكَ وَأَمَّا ابْنُكَ فَعَلَيْهِ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ وَأَمَّا أَنْتَ يَا أُنَيْسُ فَاغْدُ إِلٰى اِمْرَأَةِ هٰذَا فَإِنْ اِعْتَرَفَتْ فَارَجُمْهَا فَاعْتَرَفَتْ فَرَجَمَهَا. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
মিশকাতুল মাসাবি, পৃষ্ঠা নং হাদিস নং৩৫৫৫-[১] আবূ হুরায়রাহ্ এবং যায়দ ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, দুই বিবদমান ব্যক্তি তাদের অভিযোগ নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলো। তন্মধ্যে একজন বলল, আমাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব দ্বারা ইনসাফ করুন। অপরজনও বলল, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! অবশ্যই আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব দ্বারা ইনসাফ করুন এবং আমাকে এতদসম্পর্কে বলার অনুমতি দিন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আচ্ছা বল! লোকটি বলল, আমার ছেলে তার চাকর ছিল এবং সে তার স্ত্রীর সাথে যিনা করেছে। অতঃপর লোকেরা আমাকে বলল, আমার ছেলের শাস্তি হলো ‘রজম’ (পাথর নিক্ষেপে হত্যা), কিন্তু আমি রজমের পরিবর্তে একশত ছাগল ও একটি দাসী ফিদ্ইয়াহ্ হিসেবে আদায় করেছি।পরে আমি ‘আলিমগণের নিকট জিজ্ঞেস করলে তারা জানালেন যে, আমার ছেলের শাস্তি হলো একশত চাবুক এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর তার স্ত্রীর শাস্তি হলো ‘রজম’। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, জেনে রেখো! কসম ঐ আল্লাহর! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই আমি তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী বিচার-ফায়সালা করব। আর তা হলো, তোমার একশত ছাগল ও দাসী ফেরত নিয়ে তোমার ছেলেকে একশত চাবুক মারা হবে এবং এক বছরের জন্যে দেশান্তর করা হবে। আর হে উনায়স! তুমি সকালে তার স্ত্রীর নিকট যাও, যদি সে যিনায় লিপ্ত হওয়াকে স্বীকার করে, তাহলে তার প্রতি ‘রজম’ অবধারিত কর। অতঃপর মহিলাটি স্বীকার করল এবং তিনি তাকে রজম করলেন। ( বুখারী ৬৬৩৩, মুসলিম ১৬৯৭-৯৮, আবূ দাঊদ ৪৪৪৫, নাসায়ী ৫৪১০, তিরমিযী ১৪৩৩, ইবনু মাজাহ ২৫৪৯, আহমাদ ১৭০৩৮, দারিমী ২৩৬৩, ইরওয়া ১৪৬৪।
وَعَنْ أُمِّ الْحُصَيْنِ قَالَتْ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِنْ أُمِّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ مُجَدَّعٌ يَقُودُكُمْ بِكِتَابِ اللّٰهِ فَاسْمَعُوْا لَه وَأَطيْعُوْا». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
মিশকাতুল মাসাবি, পৃষ্ঠা নং হাদিস নং৩৬৬২-[২] উম্মুল হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো বিকলাঙ্গ কুৎসিত গোলামকেও তোমাদের শাসক (নেতা) নিযুক্ত করা হয়। আর সে আল্লাহ তা‘আলার কিতাব অনুযায়ী তোমাদেরকে পরিচালিত করে, তাহলে অবশ্যই তোমরা তার কথা শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে। : মুসলিম ১২৯৮, সহীহ আল জামি‘ ১৪১১।
وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ : أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ لَمَّا بَعَثَه إِلَى الْيَمَنِ قَالَ : «كَيْفَ تَقْضِىْ إِذَا عَرَضَ لَكَ قَضَاءٌ؟» قَالَ : أَقْضِىْ بِكِتَابِ اللّٰهِ قَالَ : «فَإِنْ لَمْ تَجِدْ فِىْ كِتَابِ اللّٰهِ؟» قَالَ : فَبِسُنَّةِ رَسُوْلِ اللّٰهِ ﷺ قَالَ : «فَإِنْ لَمْ تَجِدْ فِىْ سُنَّةِ رَسُوْلِ اللّٰهِ؟» قَالَ : أَجْتَهِدُ رَائِىْ وَلَا اٰلُوْ قَالَ : فَضَرَبَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ عَلٰى صَدْرِه وَقَالَ : «الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ وَفَّقَ رَسُوْلَ رَسُوْلِ اللّٰهِ لِمَا يَرْضٰى بِه رَسُوْلُ اللّٰهِ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالدَّارِمِىُّ
মিশকাতুল মাসাবি, পৃষ্ঠা নং হাদিস নং৩৭৩৭-[৭] মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকে (শাসক নিযুক্ত করে) ইয়ামানে পাঠালেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার নিকট যদি কোনো মুকদ্দামা পেশ করা হয়, তখন তুমি কিভাবে বিচার-ফায়সালা পরিচালনা করবে? তিনি (মু‘আয) বললেনঃ আমি আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী বিচার-ফায়সালা করব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় জিজ্ঞেস করলেনঃ আল্লাহর কিতাবের মধ্যে যদি (তার সুষ্ঠু সমাধান বুঝতে) না পাও, তখন কিভাবে করবে? তিনি (মু‘আয) বলেনঃ তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত (হাদীস) অনুযায়ী সমাধান করব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতের মাঝেও যদি (তার সুষ্ঠু সমাধান বুঝতে) না পাও, তখন কি করবে? এর জবাবে তিনি (মু‘আয) বললেনঃ তখন আমি আমার ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে ইজতিহাদ করব এবং সামান্য পরিমাণও ত্রুটি করব না। তিনি (মু‘আয ) বলেন : আমার এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বুকে হাত মেরে বললেন, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র সে আল্লাহর জন্য যিনি আল্লাহর রসূল-এর প্রতিনিধিরূপে সে কাজটি করার তাওফীক দিয়েছেন, যে সকল কাজে আল্লাহর রসূল সন্তুষ্ট আছেন। : আবূ দাঊদ ৩৫৯৩, তিরমিযী ১৩৩৭, আহমাদ ২২০০৭,
عَنْ أَبِىْ مُوسَى الْأَشْعَرِىِّ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: تَعَاهَدُوا الْقُرْاٰنَ فَوَالَّذِىْ نَفْسِىْ بِيَدِه لَهْوَ أَشَدُّ تَفَصِّيًا مِنَ الْإِبِلِ فِىْ عُقُلِهَا. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
মিশকাতুল মাসাবি, পৃষ্ঠা নং হাদিস নং২১৮৭-[১] আবূ মূসা আল আশ্‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সবসময় কুরআনের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। যাঁর হাতে আমার জীবন নিহিত, তাঁর শপথ, নিশ্চয় কুরআন সিনা হতে এত তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায় যে, উটও তত তাড়াতাড়ি নিজের রশি ছিঁড়ে বের হয়ে যেতে পারে না। বুখারী ৫০৩৩, মুসলিম ৭৯১, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৮৫৬৯, শু‘আবূল ঈমান ১৮০৯, সহীহ আত্ তারগীব ১৪৪৭, সহীহ আল জামি‘ ২৯৫৬।

وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا أَنَّه مَرَّ عَلٰى قَاصٍّ يَقْرَأُ ثُمَّ يَسْأَلُ. فَاسْتَرْجَعَ ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ: مَنْ قَرَأَ الْقُرْاٰنَ فَلْيَسْأَلِ اللهِ بِه فَإِنَّه سَيَجِىْئُ أَقْوَامٌ يَقْرَؤُوْنَ الْقُرْاٰنَ يَسْأَلُونَ بِهِ النَّاسَ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِىُّ
২২১৬-[৬] ‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার তিনি এক গল্পকারের নিকট গেলেন। তিনি দেখলেন, সে গল্পকার কুরআন পড়ছে। আর মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইছে। (এ দৃশ্য দেখে) তিনি দুঃখে ‘ইন্না- লিল্লা-হি’ পড়লেন। এরপর বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে সে যেন বিনিময়ে আল্লাহর কাছে কিছু চায়। খুব তাড়াতাড়ি এমন কিছু লোকের আগমন ঘটবে যারা কুরআন পড়ে বিনিময়ে মানুষের কাছে হাত পাতবে। (আহমদ ও তিরমিযী)[1]
[1] সহীহ লিগয়রিহী : তিরমিযী ২৯১৭, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৩০০০২, আহমাদ ১৯৮৮৫, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৩৭১, শু‘আবূল ঈমান ২৩৮৭, সহীহাহ্ ২৫৭, সহীহ আত্ তারগীব ১৪৩৩, সহীহ আল জামি‘ ৬৪৬৭।

بَاب فَضْلِ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بُدَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ إِنَّ لِلَّهِ أَهْلِينَ مِنَ النَّاسِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ هُمْ قَالَ ‏"‏ هُمْ أَهْلُ الْقُرْآنِ أَهْلُ اللَّهِ وَخَاصَّتُهُ ‏"‏ ‏.‏
৩৭. যে ব্যক্তি কুরআন মাজীদ শিক্ষা করে এবং তা শিক্ষা দেয় তার সম্মান
৫/ইবনে মাজাহ হাদিস নং২১৫। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কতক লোক আল্লাহ্‌র পরিজন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! তারা কারা? তিনি বলেনঃ কুরআন তিলাওয়াতকারীগণ আললাহর পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা।

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: أَشْرَافُ أُمَّتَيْ حَمَلَةُ الْقُرْانِ وَأَصْحَابُ اللَّيْلِ . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
মিশকাতুল মাসাবি, পৃষ্ঠা নং হাদিস নং১২৩৯-[২১] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আমার উম্মাতের মাঝে বেশী সম্ভ্রান্ত অর্থাৎ উন্নত মর্যাদার অধিকারী ব্যক্তি তারাই, যারা কুরআন বহনকারী ও সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের মাধ্যমে রাত জাগরণকারী। (বায়হাক্বী- শু‘আবুল ঈমান)২৯৭৭,আত্ তারগীব ৩৬৬, আল জামি‘ ৮৭২।

٦١٤٠ - وَعَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: «قَامَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَوْمًا فِينَا خَطِيبًا بِمَاءٍ يُدْعَى: خُمًّا، بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ. وَوَعَظَ وَذَكَّرَ، ثُمَّ قَالَ: " أَمَّا بَعْدُ. أَلَا أَيُّهَا النَّاسُ! إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ، يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَنِي رَسُولُ رَبِّي فَأُجِيبَ، وَأَنَا تَارِكٌ فِيكُمُ الثَّقَلَيْنِ: أَوَّلُهُمَا كِتَابُ اللَّهِ، فِيهِ الْهُدَى وَالنُّورُ، فَخُذُوا بِكِتَابِ اللَّهِ وَاسْتَمْسِكُوا بِهِ " فَحَثَّ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَرَغَّبَ فِيهِ، ثُمَّ قَالَ: وَأَهْلُ بَيْتِي، أُذَكِّرُكُمُ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي، أُذَكِّرُكُمُ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي» ". وَفِي رِوَايَةٍ: " «كِتَابُ اللَّهِ هُوَ حَبْلُ اللَّهِ، مَنِ اتَّبَعَهُ كَانَ عَلَى الْهُدَى، وَمَنْ تَرَكَهُ كَانَ عَلَى الضَّلَالَةِ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
মিশকাতুল মাসাবি, পৃষ্ঠা নং হাদিস নং ৬১৪০সূনান আত তিরমিজি হাদীস নং। হে লোকসকল! আমি একজন মানুষ। খুব শিগগিরি আমার প্রভুর নিযুক্ত ব্যক্তি (তথা মৃত্যুর ফেরেশতা) আমার কাছে আসবে এবং আমিও তাঁর আহ্বানে সাড়া দেব। আমি তোমাদের মাঝে দু’টি অতি মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি; যার একটি হল আল্লাহর কিতাব; যাতে রয়েছে নূর এবং হেদায়েত। আল্লাহর কিতাবকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধর। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহী ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর কিতাবের উপর আমল করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অত:পর বলেন: আর অপরটি হলো আমার আহলে বাইত। আমার আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদেরকে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি (অর্থাৎ মহান আল্লাহকে ভয় করে তাদেরকে অনুসরণ কর) এই বাক্যটিকে তিনি তিনবার উচ্চারণ করেন। সূত্র: সহীহ মুসলিম, ৪র্থ খণ্ড, পৃ.১৮০৩। দারেমি এই টেক্সট বা মাতন তথা হাদিসের মূলপাঠটি নিজ ‘সুনান’-শীর্ষক বইয়ে বর্ণনা করেছেন। সূত্র:সুনানে দারেমী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৩১-৪৩২।

الْفَصْلُ الثَّانِي
٦١٥٢ - عَنْ جَابِرٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي حِجَّتِهِ يَوْمَ عَرَفَةَ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءِ يَخْطُبُ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ " إِنِّي تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنْ أَخَذْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا: كِتَابَ اللَّهِ، وَعِتْرَتِي أَهْلَ بَيْتِي» ". رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

মিশকাতুল মাসাবি, পৃষ্ঠা নং হাদিস নং“নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মাঝে দু’টি ভারী (মূল্যবান) জিনিস (আমানত হিসেবে) রেখে যাচ্ছি। যদি তা শক্তভাবে আঁকড়ে ধর তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। সেগুলো একটি অপরটির উপর প্রধান্য রাখে। ( সেগুলো হচ্ছে) আল্লাহর কিতাব যা আসমান হতে জমিন পর্যন্ত প্রসারিত (রহমতের) ঝুলন্ত রশির ন্যায় এবং অপরটি হলো আমার বংশধর; আমার আহলে বাইত। এরা হাউযে কাওসারে আমার সঙ্গে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত কখনও একে অপর হতে আলাদা হবে না। অতএব, তোমরা লক্ষ্য রেখ যে, আমার (ছেড়ে যাওয়া) আমানতের সঙ্গে কিরূপ আচরণ করো। (সূত্র: সুনানে তিরমিযি, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৬৬৩।)

٦١٥٣ - وَعَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " إِنِّي تَارِكٌ فِيكُمْ مَا إِنْ تَمَسَّكْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا بَعْدِي، أَحَدُهُمَا أَعْظَمُ مِنَ الْآخَرِ: كِتَابُ اللَّهِ حَبْلٌ مَمْدُودٌ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ، وَعِتْرَتِي أَهْلُ بَيْتِي، وَلَنْ يَتَفَرَّقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوْضَ، فَانْظُرُوا كَيْفَ تَخْلُفُونِي فِيهِمَا» ". رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ.
মিশকাতুল মাসাবি, পৃষ্ঠা নং হাদিস নং মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহী ওয়াসাল্লাম) বলছেন : আমি দু’টি ভারী ও মূল্যবান বস্তু তোমাদরে মাঝে রখেে যাচ্ছি। আল্লাহর কিতাব (কোরআন) ও আমার বংশধর আহলে বাইত (রক্ত সর্ম্পকীয় অতি নিকট আত্মীয়)। তোমরা যদি এ দু’টিকে আঁকড়ে ধর তবে কখনই বিপথগামী হবে না। এ দু’ইটি আমার সঙ্গে (কিয়ামত) হাউসে কাউসারে মিলিত না হওয়া র্পযন্ত পরস্পর হতে বচ্ছিন্নি হবে না।

(এ হাদসিটি ইসলামী বিভিন্ন সূত্রে কিছুটা বর্ণনার পার্থক্যসহ মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত হয়ছে। যেমন সহীহ মুসলিম,৭ম খণ্ড,পৃ. ১২২;সুনানে দারেমী,২য় খণ্ড,পৃ. ৪৩২;মুসনাদে আহমাদ,৩য় খণ্ড,পৃ. ১৪,১৭,২৬,৫৯; ৪র্থ খণ্ড,পৃ. ৩৬৬,৩৭১;৫ম খণ্ড,পৃ: ১৮২,১৮৯;মুসতাদরাকে হাকেম,৩য় খণ্ড,পৃ. ১০৯,১৪৮,৫৩৩ দ্রষ্টব্য)

٥٩٦٦ - وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: «لَمَّا حُضِرَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَفِي الْبَيْتِ رِجَالٌ، فِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: (هَلُمُّوا أَكْتُبْ لَكُمْ كِتَابًا لَنْ تَضِلُّوا بَعْدَهُ) . فَقَالَ عُمَرُ: قَدْ غَلَبَ عَلَيْهِ الْوَجَعُ، وَعِنْدَكُمُ الْقُرْآنُ، حَسْبُكُمْ كِتَابُ اللَّهِ، فَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْبَيْتِ وَاخْتَصَمُوا، فَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: قَرِّبُوا يَكْتُبْ لَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ مَا قَالَ عُمَرُ: فَلَمَّا أَكْثَرُوا اللَّغَطَ وَالِاخْتِلَافَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: (قُومُوا عَنِّي» ) قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: فَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ: إِنَّ الرَّزِيئَةَ كُلَّ الرَّزِيَّةِ مَا حَالَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَبَيْنَ أَنْ يَكْتُبَ لَهُمْ ذَلِكَ الْكِتَابَ لِاخْتِلَافِهِمْ وَلَغَطِهِمْ.
وَفِي رِوَايَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي مُسْلِمٍ الْأَحْوَلِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: يَوْمُ الْخَمِيسِ، وَمَا يَوْمُ الْخَمِيسِ؟ ثُمَّ بَكَى حَتَّى بَلَّ دَمْعُهُ الْحَصَى. قُلْتُ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ! وَمَا يَوْمُ الْخَمِيسِ؟ قَالَ: اشْتَدَّ بِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَجَعُهُ فَقَالَ: ( «ائْتُونِي بِكَتِفٍ أَكْتُبْ لَكُمْ كِتَابًا لَا تَضِلُّوا بَعْدَهُ أَبَدًا» ) . فَتَنَازَعُوا وَلَا يَنْبَغِي عِنْدَ نَبِيٍّ تَنَازُعٌ. فَقَالُوا: مَا شَأْنُهُ؟ ! أَهَجَرَ؟ اسْتَفْهِمُوهُ، فَذَهَبُوا يَرُدُّونَ عَلَيْهِ. فَقَالَ: ( «دَعُونِي، ذَرُونِي، فَالَّذِي أَنَا فِيهِ خَيْرٌ مِمَّا تَدْعُونَنِي إِلَيْهِ» ) . فَأَمَرَهُمْ بِثَلَاثٍ: فَقَالَ: ( «أَخْرِجُوا الْمُشْرِكِينَ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ، وَأَجِيزُوا الْوَفْدَ بِنَحْوِ مَا كُنْتُ أُجِيزُهُمْ» ) . وَسَكَتَ عَنِ الثَّالِثَةِ، أَوْ قَالَهَا فَنَسِيتُهَا، قَالَ سُفْيَانُ: هَذَا مِنْ قَوْلِ سُلَيْمَانَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ.
মিশকাতুল মাসাবি, পৃষ্ঠা নং হাদিস নং

١٩٦٣ - وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «الصِّيَامُ وَالْقُرْآنُ يَشْفَعَانِ لِلْعَبْدِ، يَقُولُ الصِّيَامُ: أَيْ رَبِّ إِنِّي مَنَعْتُهُ الطَّعَامَ وَالشَّهَوَاتِ بِالنَّهَارِ فَشَفِّعْنِي فِيهِ، وَيَقُولُ الْقُرْآنُ: مَنَعْتُهُ النُّوْمَ بِاللَّيْلِ فَشَفِّعْنِي فِيهِ، فَيُشَفَّعَانِ» ". رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ.
মিশকা

26/10/2022

💥💥💥💥মাশাল্লাহ,, তাহেরি হুজুরের কন্ঠে অসাধারণ আজান💓💓💓💓

25/06/2022

🥀💐রাসুল সাঃ এর চুল মোবারক,,, আশেকে রাসুলদের কলিজা ঠান্ডা করার মহা ঔষধ 💚💚💚💚

10/01/2022

২০২২/২০২৩/২০২৪
এই তিন বছর পহেলা বৈশাখ পালন করা হবে না!🥰
কেননা এই তিন বছর "রমজান" মাস থাকবে!

04/01/2022

জবের পিছনে ঘুরবেন
নাকি ফ্রিল্যান্সিং করবেন
একটা সঠিক সিদ্ধান্ত আপনার নেওয়া দরকার
বিস্তারিত জানতে ইনবক্স কররুন পেইজ এ follow করে রাখতে পারেন

Address

Thana Bahubol Districk Habigon
Habiganj
3301

Telephone

+8801946313502

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Muhammad jakir hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Muhammad jakir hossain:

Videos

Share