Rj Ranojit

Rj Ranojit ₕₑy, ᵢ ₐₘ ᵣⱼ ᵣₐₙₒⱼᵢₜ. ᵢₜ’ₛ ₘy ₒffᵢcᵢₐₗ fₐₙ ₚₐgₑ . ᵢₜ’ₛ ₐ wₐy ₜₒ cₒₙₙₑcₜ wᵢₜₕ ₘy fₐₙₛ ₐₙd wₑₗₗ I'm rj ranojit. photographer & Cinamatographer.
(8)

30/11/2023

লোডশেডিং 💯 🔙

28/11/2023

আমি যখন থাকবো না আর তোমাদের মাঝে 💔🥀😭

টিম Wedding Bazaar   G o b i n d a g a n j একেক জন একেক যায়গা যাবে।
27/11/2023

টিম Wedding Bazaar G o b i n d a g a n j
একেক জন একেক যায়গা যাবে।

26/11/2023

〖ᴷⁱⁿᴳᏆ'Ꮇ ᎡᎬᎠᎪᎽ
ᏴᎪᏟᏦ Ͳϴ ᏴᎪᏟᏦ 💯♚

26/11/2023

পেইজে সমস্যা কারনে হু*দাই লাইভ করলাম।

26/11/2023

আঞ্চলিক ভাষা মায়ের ভাষা ❤️

হরে কৃষ্ণ 🙏 জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ❤️❤️🇧🇩  #নৌকাআবুল কালাম আজাদ প্রিয় লিডার ❤️৩২ গাইবান্ধা০৪ গোবিন্দগঞ্জ।
26/11/2023

হরে কৃষ্ণ 🙏 জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ❤️❤️🇧🇩 #নৌকা
আবুল কালাম আজাদ প্রিয় লিডার ❤️
৩২ গাইবান্ধা
০৪ গোবিন্দগঞ্জ।

25/11/2023

𝐓𝐚𝐫𝐠𝐞𝐭 50
𝐁𝐚𝐜𝐤 𝐓𝐨 𝐁𝐚𝐜𝐤 ➓⓿%✌(◕‿-)

25/11/2023

❤️𝐁𝐚𝐧𝐠𝐥𝐚𝐝𝐞𝐬𝐡 𝐆𝐨𝐨𝐝 𝐦𝐨𝐫𝐧𝐢𝐧𝐠❤️
👉𝐁𝐚𝐜𝐤 𝐭𝐨 𝐁𝐚𝐜𝐤💯🔙🆗

25/11/2023

♞𝑩𝒂𝒄𝒌 𝒕𝒐 𝒃𝒂𝒄𝒌
𝑨𝒄𝒊𝒕𝒗𝒆 𝑵𝒐𝒘♞

25/11/2023

রাত গভীর হতে শুরু করলে রাতজাগা মানুষগুলোর মন বলতে থাকে এ রাত যেন আর না ফুরায়🙂
RRj Ranojit

25/11/2023

হঠাৎ একদিন আবার দেখা হবে হয়তো
কোনো চেনা জনপদে ,
অথবা বাড়ি ফেরার রাস্তায়।
সেদিন আর চোখে চোখ রেখে
আমার মনের কথা জানার চেষ্টা করবে না জানি।

আমার চোখের দৃষ্টি তোমার দৃষ্টি ছুঁয়ে দেবার পরই
জানি চোখ সরিয়ে নেবে,
হয়তো মাটিতে নয়তো অন্য কোথাও ।
তবুও আমার চোখে দ্বিতীয়বার
চোখ রাখার সাহসটা সেদিন করবে না জানি এই ভেবে,
যদি আবার প্রেম হয়ে যায়।
যদি আবার মায়া বেড়ে যায় আমার প্রতি।

হয়তো কথাও হবে আবার
কিন্তু আগের মত আর আমাকে তুমি সম্বোধন করে
"কেমন আছো " জানতে চাইবে না।
সেদিন আমার তাড়া না থাকলেও
তোমার খুব ব্যস্ততা বেড়ে যাবে।
হয়তো ভালো থেকো বলার জায়গায়
"ভালো থাকবেন" বলেই চলে যাবে।

সেদিন আবার আমি নীরবে
ভিতর ভিতর নিঃশব্দে কাঁদতে থাকবো
অবাক হয়ে অসহায়ের মত
দ্বিতীয়বার তোমার চলে যাওয়া দেখবো।

সেদিন আবার আমি বিচ্ছেদের যন্ত্রণায়
বুক ভারি করে আকাশে দৃষ্টি তুলবো।
এভাবে শতবার তোমায় না পাওয়ার ব্যথা সয়েও
আমি আরো একটিবার তোমায় দেখার প্রার্থনা করবো।




24/11/2023

〖ᴷⁱⁿᴳ𝙱𝚊𝚌𝚔 𝚃𝚘 𝙱𝚊𝚌𝚔 ♚
Active Now

24/11/2023

꧁𝑩𝒂𝒄𝒌 𝑻𝒐 𝑩𝒂𝒄𝒌 ꧂
I'm Free

24/11/2023

আমরা যদি একে অন্যকে ফলো করি তাহলে 50k হওয়া কোন ব্যাপার না।
এতে সকলের উপকার।
✅Follow For Follow ✅

23/11/2023

☛𝐁𝐚𝐜𝐤 𝐓𝐨 𝐁𝐚𝐜𝐤 ✯︻╦0╤─

22/11/2023

༺ 𒆜𝐺𝑜𝑜𝑑 𝑁𝑖𝑛𝑔𝒉𝑡𒆜 ༻
EveryoneEveryone

22/11/2023

╰𝑩𝒂𝒄𝒌 𝑻𝒐 𝑩𝒂𝒄𝒌 100%╯

22/11/2023

আমরা প্রতিনিয়ত অন্যের সামনে ভালো থাকার অভিনয় করে যাই। কিন্ত বাস্তবে নিজের কাছে নিজেরই ভালো থাকা হয়ে ওঠে না।

better view
22/11/2023

better view

আমাদের ভিডিওগুলি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, সাবস্ক্রাইব, করে সঙ্গে থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে 🙏গান পাগল চ...

22/11/2023

আমার ছোট ভাইয়ের জয়ের আইডি হ্যাক কে যেন হ্যাক করেছে It's Joy Vlog Official

22/11/2023

হাহাহা,, সব শেষ করে আজ ফকির হলাম

22/11/2023

শুটিং টাইম, আজকে নতুন একটা ভিডিও আসিতেছে সেই রকম ভিডিও Sheikh Abu Hosen পেজে আপলোড করা হবে।

22/11/2023

°°°°একটা কর্নার কিকে গোল ছাড়া আর পুরো ৯০ মিনিট কোনো পাত্তা পাইনি আর্জেন্টিনা তারপরেও ভাগ্যের কাছে হেরে গেছি আমরা 😭😭

Que doçura  princesinha Deus abençoe 🙏🙏
21/11/2023

Que doçura princesinha Deus abençoe 🙏🙏

20/11/2023

জানো..
তুমি চলে যাওয়ার পর আমি একটুও কষ্ট পাইনি একটুও কাঁদিনি তোমার জন্য... একবারের জন্যেও আমার মনে হয়নি তোমার এবারের যাওয়া শেষ যাওয়া হবে তুমি আর কখনো ফিরবে না... প্রিয় নাম ধরে আর কখনো ডাকবে না !!

জানো...
এখন এসব ভাবতে গেলে খুব কষ্ট হয়
চোখ দুটো ভিজে যায়... কেমন যেনো এক যন্ত্রনা বুকের ভিতর চিৎকার দিয়ে উঠে, ফিরে এসো.. তুমি ফিরে এসো।

তুমি চলে যাওয়ার পর আমি ভেবেছিলাম তুমি ঠিকই ফিরে আসবে অভিমান ভুলে কিন্তু তোমার অভিমান যে এতটাই গাঢ় হয়ে যাবে আমি কল্পনাও করিনি !!

আমি ভাবতেও পারিনি তুমি কখনো আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবে যে তুমি প্রতিদিনই অভিমান করে চলে যেতে আবার ঠিক ফিরে আসতে
সেই তুমি আজ ঠিকই আমায় ছেড়ে থাকতে পারো।

জানো..
আমি আজকাল থাকতে পারি না
তোমায় ছাড়া অন্য কিছু এখন আর ভাবতে পারি না, খুব কষ্ট হয় আমার
চোখের জলও ধরে রাখতে পারিনা।
চোখ দুটোও যেনো কেঁদে কেঁদে বলে উঠে ফিরে এসো... তুমি ফিরে এসো !!

সেদিনের তোমার চলে যাওয়াটা আমায় ততটা কাঁদায়নি, ঠিক যতোটা এখন প্রতিনিয়ত কাঁদি আমি তোমায় ভেবে... আমি বুঝতে পারিনি সব অভিমানের রঙ এক হয় না
কিছু কিছু অভিমান খুব গাঢ় হয়।
মানুষ সব সময় অভিমান ভুলে ফিরে আসে না কখনো কখনো অভিমান শেষে আর সম্পর্কটাই আর থাকে না।

তাই তো আজ তোমার আমার মাঝে এত বেশি দুরত্ব অভিমান জমতে জমতে আজ এক দেয়াল উঠে গেছে তোমার আমার মাঝে। দেয়ালের ওপারে তুমি খুব চুপ আর এপারে বসে আমি অশ্রুদের মিছিলে হারিয়ে যাই !!

তবুও হাত বাড়িয়ে যাই কারণ আমার মন প্রতিনিয়ত তোমায় বলে যায়
ফিরে এসো... তুমি ফিরে এসো।

Rj Ranojit

https://youtu.be/-IkY05y5x2A?si=ujvpiLNomNZQ3UGb
20/11/2023

https://youtu.be/-IkY05y5x2A?si=ujvpiLNomNZQ3UGb

কিপ্টা জমিদার চাচা ধান কা**টার জন্য কামলা খোঁজা | কমেডি শর্টফিল্ম | Comady Sortfilm | Ranojit Barmonআমাদের ভিডিওগুলি ভালো লাগলে অবশ্যই ....

জীবনে অনেক মানুষ আসে ভালোবেসে জীবনকে বদলে দিতে,কিন্তু দিন বদলানোর আগেই সেই মানুষ গুলো বদলে যায়। 🌸🖤 িং Rj Ranojit
16/11/2023

জীবনে অনেক মানুষ আসে ভালোবেসে জীবনকে বদলে দিতে,
কিন্তু দিন বদলানোর আগেই সেই মানুষ গুলো বদলে যায়। 🌸🖤

িং
Rj Ranojit

14/11/2023

ফ্রি তে জ্ঞান দেওয়ার অনেক মানুষ পাবেন
দু-টাকা দিয়ে সাহায্য করার মানুষ পাবেন না
Rj Ranojit

13/11/2023

আমি যখন থাকবো না তোমাদের মাঝে ,
তখন একটু একটু করে আমাকে তোমরা ভুলতে থাকবে।
আমার থাকা সময় গুলো একটা সময়ে আর মনে পড়বে না,
মনে পড়বে না আর আমাকে।

আমি যখন থাকবো না তোমাদের কাছাকাছি,
ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে হাসতে ভুলে যাবে,
আমার ছলছল চোখের জল দেখে কাঁদতে ভুলে যাবে।
ভুলতে ভুলতে একদিন এতটাই দুরত্ব বাড়িয়ে দিবে যে,
আমার অস্তিত্ব বলতেও কিছু থাকবে না তোমাদের মনে।

একদিন হয়তো তোমাদের মনে থাকবে না আমার কোনো স্মৃতি
কিংবা আমার না থাকাতে তোমাদের দেয়ালের কোনো ফ্রেমে
ঝুলবে না আমার কোনো ছবি।
আমার না থাকাতে একদিন তোমাদের আর মন খারাপ হবে না,
আমি নেই ভাবতে চোখের কোণে অশ্রু কণা জমবে না।

আমার অনুপস্থিতিতে একদিন,
এমন করে তোমরা আমায় ভুলে যাবে যে,
আমার নামটাই হয়তো আর কখনো মনে পড়বে না।
একদিন হয়তো এভাবেই আমি হারিয়ে যাব
হয়তো এমন নিষ্ঠুর ভাবেই তোমরা ভুলে যাবে আমায়।
িং
Rj Ranojit

13/11/2023

জীবনে অনেক মানুষ আসে ভালোবেসে জীবনকে বদলে দিতে,
কিন্তু দিন বদলানোর আগেই সেই মানুষ গুলো বদলে যায়। 🌸🖤

Happy
12/11/2023

Happy

৬ বছর প্রবাস জীবন পার করার পর যখন দেশে ফিরলাম তখন বাবা মা খুব করে চাইলেন আমি যেন বিয়ে করি। আমিও ভেবে দেখলাম বয়স তো কম হল...
12/11/2023

৬ বছর প্রবাস জীবন পার করার পর যখন দেশে ফিরলাম তখন বাবা মা খুব করে চাইলেন আমি যেন বিয়ে করি। আমিও ভেবে দেখলাম বয়স তো কম হলো না। তাই বিয়ে করার জন্য রাজি হলাম।

আমার খালাতো ভাই সুজনকে সাথে নিয়ে এক জায়গায় মেয়ে দেখতে গেলাম। মেয়ে দেখার আগেই মেয়ের বাবা আমায় বললো,
-” ডুবাইতে তো তোমার রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে তাই না?”
আমি মুচকি হেসে বললাম,
--বিদেশে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করা অনেক ব্যয়বহুল। নিজে ব্যবসা করার মত এতো টাকা আমার এখনো হয় নি।
মেয়ের বাবা অবাক হয়ে বললো,
-”ঘটক যে বললো তোমার সেখানে নিজের রেস্টুরেন্ট আছে?”
আমি তখন বললাম,
--উনি মিথ্যা বলেছেন।বিদেশে আমার নিজের কোন রেস্টুরেন্ট নেই বরং আমি একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করি।
মেয়ের বাবা রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
-”আমি আমার মেয়েকে কোন কামলার কাছে বিয়ে দিবো না।সাহস কত বড়! বিদেশ গিয়ে কামলাগিরি করে দুইটাকা ইনকাম করেছে বলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে আসছে। তোমরা এখন আসতে পারো।”
আমি চুপচাপ মাথা নিচু করে চলে গেলাম।

বাসায় আসার পর মা আর খালা যখন জিজ্ঞেস করলো মেয়ে কেমন দেখেছি তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আমার খালাতো ভাই মুচকি হেসে বললো,
-” মেয়ে দেখার আগেই মেয়ের বাবা পাত্রকে কামলা উপাধি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে”

আমি মন মরা হয়ে মাকে বললাম,
--মা, নেক্সট টাইম এত বড়লোক ঘরের মেয়ে না দেখে আমাদের মত নিন্মমধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে দেখো।তাহলে হয়তো এতোটা অপমান করবে না।

খালা তখন আমায় বললো,
-” কামলাকে তো কামলায় বলবে। আমার ছেলের মতো ভালো করে পড়াশোনা করলে আজ বিদেশ গিয়ে কামলা খাটতে হতো না। তুই পরেরবার মেয়ে দেখতে গেলে আর আমার ছেলেকে সাথে নিয়ে যাস না যে। তোর জন্য আমার ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ুয়া ছেলে অপমানিত হোক সেটা আমি চাই না”

আমি কিছু না বলে মাথা নিচু করে চুপচাপ নিজের রুমে চলে গেলাম।

কয়েকদিন পর অর্পা নামের একটা মেয়েকে দেখতে যায়। মেয়ে আমার খুব পছন্দ হলে মেয়ের সাথে আমাকে একা কথা বলতে বলে। আমি আর মেয়ে যখন আলাদা রুমে যায় তখন মেয়ে সাথে সাথে দরজা লাগিয়ে আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বললো,
-” আপনাদের মত প্রবাসীদের এই এক সমস্যা। বিদেশে গিয়ে সুইপারের কাজ করবে আর দেশে এসে টাকার ফুটানি দেখিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের সুন্দরী আর শিক্ষিতা মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে। আপনার টাকা পয়সা দেখে আমার বাবা মা গলে গেলেও আমি গলবো না। আপনি আমায় বিয়ে করলে আমি আমার পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ের পরের দিন পালাবো বলে দিলাম।তাছাড়া আপনার সাহস কতবড় নিজে ইন্টার ফেল করা ছেলে হয়ে অনার্সে পড়া মেয়েকে বিয়ে করতে চাইছেন?”

আমি মাথা নিচু করে মেয়ের কাছে হাত জোর করে বললাম,
--আমি জানতাম না আপনি অনার্সে পড়েন। জানলে আমি আসতাম না।দয়া করে আমায় আর অপমান করেন না যে।
এই কথা বলে মেয়ের বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম।

রাতে নিজের বাসায় ফিরে এসে দেখি মা, খালা আর খালাতো ভাই সোফাই বসে আছে। মা আমায় দেখে বললো,
-”কিরে, মেয়ে পছন্দ হয়েছে?”
আমি তখন মাকে বললাম,
--শুধু আমার একা পছন্দ হলে তো হবে না। আমাকেও তো মেয়ের পছন্দ হতে হবে। মেয়ে আমার মত ইন্টার ফেল করা প্রবাসী ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে না।

এই কথা শুনে মায়ের পাশে বসে থাকা খালা আর খালাতো ভাই হেসে দিলো।হাসতে হাসতে খালাতো ভাই আমায় বললো,
-”তোমার কপালে আর বউ জুটবে না।”
খালা তখন মুখ বাঁকিয়ে বললো,
-”বউ জুটবে কি করে, বিদেশ গিয়ে রেস্টুরেন্টের থালা বাসন ধুলে কি আর বউ পাওয়া যাবে”

আমি সচরাচর বড়দের মুখের উপর কথা বলি না। কিন্ত খালার বারবার অপমান করে কথা বলা আমার সহ্য হচ্ছিলো না। তাই একটু রেগে গিয়েই খালাকে বললাম,
--হার্ট ব্লক হয়ে যখন হাসপাতালে পড়ে ছিলেন তখন এই কামলায় কামলাগিরি করে আপনাদেরকে দুইলাখ টাকা পাঠিয়েছিলো অপারেশনের জন্য। আপনার ছেলের আইফোনের শখ পূরণ করেছিলো এই কামলায় কামলাগিরি করে। আমি জানি এই দেশের মানুষের চোখে আমরা সকল প্রবাসীরা কামলা। তাই দয়া করে বারবার কামলা কামলা বলে সেটা মনে করিয়ে দিতে হবে না

আমার কথা শুনে খালাতো ভাইটা রেগে গিয়ে বললো,
-” দুইলাখ টাকা আর একটা আইফোন দিয়েছো বলে আমার মাকে যা তা বলে অপমান করতে পারো না। সময় হলে তোমার টাকা আর ফোন তোমার মুখে ছুড়ে মারবো।”

আমি আমার খালাতো ভাইকে কিছু না বলে শুধু একটু হাসলাম। পরদিন সকালে মাকে ডেকে বললাম,
--মা, আমি এখন বিয়ে করবো না। আরো কয়েকবছর প্রবাসে কামলাগিরি করে আসি তারপর একেবারে দেশে এসে বিয়ে করবো।
---
-----
৪বছর পরের ঘটনাঃ-

আমি দেশে এসেছি শুনে আমার খালা আর খালাতো ভাই আমার সাথে দেখা করতে এসেছে। খালা আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
-” তুই যেখানে জব করিস সেখানে সুজনের একটা কাজের ব্যবস্থাব করে দিতে পারবি। পাস করার পর তিন বছর ধরে বেকার ঘুরছে কোথাও কোন চাকরি পাচ্ছে না।”
আমি হেসে খালাকে বললাম,
--তোমার শিক্ষিত ছেলে বিদেশ গিয়ে কামলাগিরি করবে তোমার খারাপ লাগবে না? পরে তো নিজের ছেলের জন্য বউ খুঁজে পাবে না।
খালা আমার কথা শুনে চুপ হয়ে আছে।আমি তখন খালাতো ভাইটাকে বললাম,
--নিজে যখন কষ্ট করে টাকা ইনকাম করবি তখন অন্য কারো মুখে টাকা ছুড়ে ফেলবার ইচ্ছে হবে না। খালা আর খালাতো ভাইটা আমার কথা শুনে মাথা নিচু করে আছে। আমি আর কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।

একটা বিষয়ে পরামর্শের জন্য এক পরিচিত উকিলের কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি ঐ আংকেল যার মেয়েকে আমি বিয়ে করতে গিয়ে ছিলাম বলে আমাকে অপমান করে বের করে দিয়েছিলো উনি উলিকের সাথে কথা বলছে।

আংকেল চলে গেলে আমি উকিলকে জিজ্ঞেস করলাম,
--উনি এইখানে এসেছিলো কেন?
উকিল তখন বললো,
-"উনার মেয়ের ডিভোর্সের বিষয় কথা বলতে। অনেক বড় ঘরে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু জামাইটা নেশাখোর।মেয়েকে অত্যাচার করে বলে মেয়ে সংসার করতে চাইছে না"

তার কয়েকদিন পর বাসায় বসে খবরের কাগজ পরছি। হঠাৎ একটা লেখা দেখে চোখটা আটকে গেলো।
“স্বামীর পরকীয়ার জের ধরে স্ত্রীর আত্মহত্যা” ফ্যানে ঝুলন্ত লাশটার দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা অর্পা। আমি প্রাবাসী দেখে যে মেয়েটা আমায় অপমান করেছিলো।

তারপর কাগজের পেপারটা ভাজ করে পাশে রাখলাম। কিছুক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবলাম, এসব খবর আমাদের প্রবাসিদের পড়ার জন্য না।
কারন২০২০ সালে করনা মহামারীতেও আমরা বাংলাদেশের প্রবাসীরা ২২বিলিয়ন ডলার অর্জন করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখছি।
তবুও দেশে জন্য আমরা প্রবাসিরা বোঝা।
#প্রবাসীর_আত্মকথা

মন ছুঁ'য়ে যেতে নতুন নতুন গল্প পেতে আমার পেজফলো করে রাখুন 🥰 Rj Ranojit Tasrif Khan

12/11/2023

ঘর ফাঁকা তাই নিজেকে অসহায় লাগে ঘরের প্রদিপ ছিলো নিভে গেছে।
Happy

এক মেয়ে নক দিয়ে বললো, “আচ্ছা ভাইয়া, ফ্রী ফেসবুক ইউজ করলে কি মেসেঞ্জার কলে কথা বলা যায়?”🙄বললাম, “একচুয়ালি আমি জানি না আপু...
11/11/2023

এক মেয়ে নক দিয়ে বললো, “আচ্ছা ভাইয়া, ফ্রী ফেসবুক ইউজ করলে কি মেসেঞ্জার কলে কথা বলা যায়?”🙄

বললাম, “একচুয়ালি আমি জানি না আপু।”🙂

মেয়েটা বললো, “আমাকে একটা কল দেন তো, পরীক্ষা করে দেখি!”😒

আমি সাদা মনে তাকে কল দিলাম। 🙂

মেয়েটা সেই কলের স্ক্রিনশট নিয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে পাঠিয়েছে। কিছুক্ষণ পর তার বয়ফ্রেন্ড নক দিয়ে বললো, “এই আপনি আমার গার্লফ্রেন্ডকে কল দিছেন কেন? আমাদের মধ্যে না হয় একটু ঝগড়া হয়েছে, তাই বলে আপনি এন্ট্রি নিবেন?”😑

বললাম, “কেন ভাই কি হয়েছে?”🤔

ছেলেটা বললো, “আমার গার্লফ্রেন্ড আপনি কল দিছেন সেই স্ক্রিনশট আমাকে পাঠিয়ে বলতেছে, দেখ ছোটলোক দেখ, কত বড় বড় ব্যক্তিবর্গ আমাকে কল দেয়, তোর মতো ছ্যাচড়ার সাথে কথা না বললে আমার ঠ্যাকা?”

এই ঘটনার পর আমি পায়ের উপর পা তুলে চি'ত হয়ে শুয়ে আছি। কারণ মেয়েটা বলছে, আমি বড় বড় ব্যক্তিবর্গ! '🙂

কাল থেকে চা বাদ। কফি খাবো!!😑

মন ছুঁ'য়ে যেতে নতুন নতুন গল্প পেতে আমার পেজ ফলো করে রাখুন 🥰

যারা পেজ ফলো না করে গল্প পরছেন নীল লেখায় চাপ দিয়ে পেজ ফলো করেন 👉👉 Rj Ranojit

11/11/2023

আনিস স্যার ক্লাসে ঠুকতেই সব স্টুডেন্ট রা দাঁড়িয়ে গানের সুরে বলে উঠলো।
♬ সালামি নামাস্তে এ এ
♬ সালামি নামাস্তে এ এ

আনিস স্যার বরাবরের মতোই বিরক্ত হলেও কিছু বললো না। কারণ যানে এসব ঘাড়ত্যাড়া পোলাপানকে কিছু বলে লাভ নেই। তাই সে চশমা ঠিক করে ক্লাস নেওয়া শুরু করে দিল।

স্টুডেন্ট দের ব্রেঞ্চের সামনে এসে একে একে সবাইকে প্রশ্ন করতে লাগলো। প্রথমে বল্টুর কাছে এসে বললো।
--এই বল্টু বলতো, ডাক্তার আসিবার পূর্বে রুগী মারা গেল। এটা ইংলিশে ট্রান্সলেশন কর।

বল্টু ন্যাকামি সুরে মেলোড্রামা করে বললো।
--স্যার আপনি এতো নির্দয় কেন? আপনার ভেতর কি সহানুভূতি বলতে কোন সফটওয়্যার নেই?

স্যার ভ্রু কুঁচকে বললো।
--এখানে সহানুভূতির কি আছে?

--স্যার একজন লোক বিনা চিকিৎসায় মারা গেল। আর আপনি কিনা সেটা নিয়ে ট্রান্সলেশন বানাতে বলছেন? আপনার ভেতর কি দয়া মায়া বলতে কিছু নেই? একটু ভাবুন স্যার, আপনাকেও তো এক না একদিন মরতে হবে।

স্যার এক ধমক দিয়ে বললো।
--চুপ কর হারামজাদা। বিটলামি হচ্ছে আমার সাথে? দেব এক থাপ্পড় মেরে।

বল্টু ফিল্মি কায়দায় বললো।
--থাপ্পাড় সে ডার নেহি লাগতা স্যার, পাড়ায় সে লাগতাহে।
(থাপ্পড়ে ভয় লাগে না স্যার, পড়াশোনায় লাগে।)

স্যার এবার বিরক্ত হয়ে অন্য স্টুডেন্ট এর কাছে গেল। মিন্টুর কাছে এসে ওকে বললো।
--এই মিন্টু বলতো, গ্রামারের ভাষায় নাম্বার কাকে বলে?

মিন্টু ফুল কনফিডেন্সের সহিত বলে উঠলো।
--স্যার যে জিনিস টা পাওয়ার জন্য ছেলেরা দিনের পর দিন তাদের পকেট আর জুতো ক্ষয় করে শেষ করে ফেলে। আর মেয়েরা সেটা না দিয়ে পার্ট পার্ট নিতে নিতে হিমালয় পর্বতের চূড়ায় পৌঁছে যায়,তাহাকেই নাম্বার বলে।

পাশ থেকে দিপু মিন্টুর সাথে সায় দিয়ে বলে উঠলো।
--এক্কেরে কারেক্ট কইছস দোস্ত। জানোস আমার টা তো পুরো একমাস লাগাইছিল নাম্বার দিতে। পকেট মানির সব টাকা শেষ কইরা তারপরে না দিছে।

বাপ্পি বলে উঠলো।
--ভাই আমিই সবচেয়ে ভালো কাম করছি। চিঠি লিখে দিয়ে দিছি। নাম্বারের ঝামেলায় নাই।😂

এদের কথায় স্যার যেন মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম। ক্লাস ফাইভের পোলাপান হয়ে কিসব কথা বলছে। সবকয়টা যে বদমাইশের হাড্ডি তা বুঝতে বাকি নেই তার।

স্যার এবার টুটুলের কাছে এসে বললো।
--টুটুল বলতো,তোর মতে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে মহান ব্যাক্তি কে?

টুটুল বলে উঠলো।
--স্যার আমার মতে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে মহান ব্যাক্তি হলো টিভি সিরিয়ালের পরিচালক রা।

স্যার ভ্রু কুঁচকে বললো।
--কিহহ?

--হ্যাঁ স্যার তাদের মতো আর কেও নেই। একমাত্র তারাই পারে মরা ব্যক্তিকে জীবিত করে দিতে। তাও আবার একবার না বারবার মরে আবার জীবিত করে দেয়। এমনটা কি অন্য কেও করতে পারে? বেচারা যমরাজও কনফিউজড হয়ে যায়। কে মৃত আর কে জীবিত সেটা বাছাই করতে। আর এতো বার করে তাদের প্লাস্টিক সার্জারি হয় যে দেশের সব প্লাস্টিকই ফুরিয়ে গেছে তাদের সার্জারী করতে করতে। সব মহিলাদের এমন ভাবে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয় যে তারা সিরিয়াল দেখার সময় অন্য কোন দিকে ধ্যানই দেয় না।সিরিয়াল দেখার সময় আপনি শুধু একবার চ্যানেল টা পাল্টে দেখুন স্যার।ব্যাস খেল খতম, তারপর দেখবেন আপনি পৃথিবীর জন্য ইতিহাস হয়ে যাবেন।

টুটুলের এই মহান বানিতে স্যারও সহমত। সেও যে এটার ভুক্তভোগী। একবার শুধু তার বউয়ের সিরিয়াল দেখার সময় চ্যানেল পাল্টানোর দুঃসাহসিকতা দেখিয়েছিল। ব্যাস সেদিন তার বউয়ের রণচণ্ডী রুপ দেখে তার কলিজায় পানি শুঁকিয়ে গিয়েছিল। হার্ট অ্যাটাক হতে হতে বেঁচেছিল বেচারা।

স্যার এবার আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে এসে বললো।
--এই তুমি নতুন স্টুডেন্ট না? তোমার পরিচয় টা দাও সবাইকে।

ছেলেটা দুই হাত ছড়িয়ে শাহরুখ খানের মতো করে বলে উঠলো।
--আমি হলাম রাজ, নামতো সুনা হি হোগা।

স্যার তাচ্ছিল্যের সুরে বললো।
--হ্যাঁ হ্যাঁ শুনবো না কেন। তোমার মতো মহান স্টুডেন্ট এর নাম কেনা জানে। যাকে পাঁচ টা স্কুল থেকে উষ্টা মেরে বের করে দিয়েছে। তাকে তো সবাই চিনবেই।

কথাটা অপমান স্বরুপ হলেও, রাজ সেটা গর্বের সহিত নিয়ে বললো।
--বাচ স্যার, কাভি ঘামান্ড নেহি কিয়া।🤓
(কখনো অহংকার করিনি)

--বাহ ফেলটু হয়েও নিজের ওপর গর্ব করছিস গাধা।

--অফকোর্স স্যার, সালমান ভাই কি বলেছে শোনেননি? জিন্দেগী মে তিন চিজ কো কাভি আন্ডারেস্টিমেট মাত কারনা,আই, মি এন্ড মাইসেল্ফ।
(জীবনে তিন জিনিস কে কখনো আন্ডারেস্টিমেট করোনা,আই মি এন্ড মাইসেল্ফ)

স্যার এবার লিটনের দিকে তাকিয়ে দেখলো, লিটন পাশের স্টুডেন্ট এর সাথে কি যেন ফুসুরফাসুর করছে।স্যার ওর সামনে এসে ব্রেঞ্চের ওপর বাড়ি মেরে বললো।
--এই কি হচ্ছে এখানে হ্যাঁ? ক্লাসে মন না দিয়ে কি কথা হচ্ছে এতো? শুনেছি তুই নাকি কূটনামি করে বেড়াস? সবার নামে নাকি নানান কথা ছড়িয়ে বেড়াস? কেনরে হ্যাঁ?

লিটন উঠে দাঁড়িয়ে ইনোসেন্ট ফেস করে বললো।
--কি বলছেন স্যার? এই মাছুমের নামে এতোবড় মিছা কথা? জাতি সইবে না স্যার। আমি কখন কার নামে কি বললাম? এই গুজব কে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে? এটা যথাযতই মিথ্যে অপবাদ স্যার। আপনিই বলুন আপনার যে চোখ টিপানোর অসুখ আছে, আমি কাওকে সেটা বলেছি?

স্যার একটু ভরকো উঠে বললো।
--কিহহ? কি বলছিস এসব? আমি কখন চোখ টিপ পারলাম?

--মিথ্যে বলছেন কেন স্যার? আমি নিজের চোখে আপনার চোখ টিপ পারা অসুখ দেখেছি। যদিও সেটা সবসময় হয় না। মিস লিরা যখন আপনার সামনে থাকে তখনই এমনটা হয়।

লিটনের কথায় স্যার বিষম খেয়ে কাশতে শুরু করে দিল। তার স্টুডেন্ট রা যে এতো হায় লেভেলের বদমাশ তা জানা ছিল না তার। কোনরকমে লিটনকে ধমক দিয়ে বসিয়ে ওন্য স্টুডেন্ট এর কাছে এসে দাঁড়াল। গিল্লুর সামনে দাঁড়িয়ে বললো।
--গিল্লু তুই ইংরেজি সংখ্যা গুলো দিয়ে একটা রাইমস বলতো।

গিল্লু হাসি মুখে বললো।
--এটা কোন ব্যাপার হলো? এখুনি শুনুন স্যার।
♬ ওয়ান টু থ্রি ফোর গেট অন দা ডান্সফ্লোর
♬ শোল্ডার হিচিক মিচিক,বডি হিচিক মিচিক
♬ গিভ মি গিভ মি গিভ মি সাম মোর
♬ ওয়ান টু থ্রি ফোর গেট অন দা ডান্সফ্লোর

স্যার একটা ধমক দিয়ে বললো।
--চুপ কর। এগুলো কি করছিস? সবকয়টা বাঁদরের দল।

স্যার এবার হাসুর কাছে এসে বললো।
--এই তুই বলতো নবাব সিরাজুদ্দৌলার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে?

হাসু ভীতু স্বরে বললো।
--স্যার আমি মারিনি, মা কসম।

স্যার শুধু নিজের কপাল চাপড়াচ্ছেন। এ কাদের মধ্যে এসে ফেসে গেছে সে। এগুলো বাচ্চা নাকি যম।

স্যার এবার পল্টুর কাছে এসে বললো।
--এই তুই বলতো, একটা মাঠে এগারো টা ছাগল ঘাস খাচ্ছে। তারমধ্যে দশটা ছাগল চলে গেল। এখন ওখানে কয়টা ছাগল রইলো?

পল্টু বললো।
--একটাও না।

--কিহহ? একটাও না কিভাবে? দশটা চলে গেলে একটা ছাগল তো থাকে।

--স্যার আমার তো মনে হইতাছে আপনি নিজেই একটা ছাগল। আরে দশটা ছাগল চলে গেলে একটা ছাগল কি একা একা ওখানে ঘাস খাবে? সেও তো ওদের সাথে চলে যাবে। এতটুকু কমনসেন্স নেই আপনার? আইছে আবার স্যার হইতে।

স্যারের এবার সত্যি মনে হচ্ছে তাকে কে শিক্ষক বানালো। এরচেয়ে তো মাটি কেটে খাওয়াও ভালো ছিল।

যাইহোক স্যার এবার হিল্টুর কাছে এসে বললো। --এই হিল্টু বলতো টেনস কাকে বলে?

হিল্টু ভয়ে ভয়ে বললো।
--স্যার আমার শুধু শেষের লাইন টুকু মনে আছে।

--আচ্ছা তাই বল।

হিল্টু বললো।
--............তাকেই টেনস বলে।

স্যার এবার রাগে দাঁত কিড়মিড় করে বললো।
--মজা করছিস আমার সাথে? আচ্ছা ঠিক আছে এটা বল, আমি একটি মোবাইল চুরি করেছি এটার ফিউচার টেনস কি হবে?

--পুলিশ এসে আপনাকে ধরে নিয়ে যাবে।

স্যার নিজের কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে গেল। রিজুর কাছে গিয়ে বললো।
--এই রিজু বলতো, পিতা পুত্রের বয়স একত্রে ৩০ বছর। পিতার বয়স ২৬ বছর হলে পুত্রের বয়স কত?

রিজু বলে উঠলো।
--এটা কেমন কথা স্যার? আমি কিভাবে জানবো পুত্রের বয়স কত? আমি কি ওকে জন্ম দিয়েছি নাকি? আমার তো এখনো বিয়েই হয়নি। শেষের কথাটা একটু লাজুক ভঙ্গিতে বললো রিজু।

--থাপড়ায় দাঁত সবগুলো ফেলে দিবো। ইতরামি করস? এইভাবে চললে তো পরিক্ষায় ফেল মারবি। তখন কি হবে?

--কি হবে আবার? তখন আমি বাজিগর হয়ে যাবো।

--মানে?

--মানে, হারকে জিতনে ওয়ালে কো বাজিগর কেহতে হে (হেরে জিতাকে বাজিগর বলে)।

স্যার হার মেনে এবার আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে এলো। লাবুর কাছে এসে বললো।
--এই লাবু বলতো, বাবা মা ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেন কেন?

লাবু বললো।
--কেন আবার প্রতিশোধ নিতে। তারা বিয়ে করে যে যন্ত্রণা সহ্য করেছে। সেটা তারা একা কেন ভোগ করবে, তাইতো প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বাচ্চাদেরও বিয়ে দিয়ে দেয়।

লাবুর কথায় কিছুটা সত্যতা আছে বলে মনে করলো স্যার। স্যার এবার আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে এলো। মনুর কাছে এসে বললো।
--কিরে মনু আজকে তোকে খুব সাফ সুতরা লাগছে।

মনু হাসিমুখে বললো।
--হ্যাঁ স্যার, আসলে হয়ছে কি আজকে স্কুলে আসার সময় আমার মাথায় কেও উপর থেকে পানি ঢেলে দিল। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও গোসল করতে হলো।

--কেন তুই রোজ গোসল করিস না?

--কি যে বলেন স্যার গোসল আবার রোজ করার কি আছে? গোসল কি কোন খাওয়ার জিনিস নাকি যে রোজই করতে হবে?

--আচ্ছা বাদ দে। এখন বলতো ভারতের রাজধানীর নাম কি?

মনু আঙ্গুল গুনে গুনে কিছু ভাবতে লাগলো। সেটা দেখে স্যার বললো।
--কিরে কি ভাবছিস?

--স্যার ভাবছি কোন দিল্লির নাম বলবো?

--মানে? দিল্লি আবার কয়টা হয়? দিল্লিতো একটাই।

-- না স্যার দিল্লি ছয়টা। কেন আপনি ওই ছবি দেখেন নি দিল্লি 6। যার ভেতর সোনাম আপু কবুতর মাথায় নিয়ে নাচে, ♬ মাসাক্কালি মাসাক্কালি....

--চুপ কর বেয়াদব। সবগুলো একেকটা আইটেম হয়েছে।

স্যার বকা দিয়ে আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে এলো। টিপলুর কাছে এসে বললো।
--এই টিপু তুই বলতো সবচেয়ে বড়ো বাদশাহ কে ছিল?

--স্যার পুরোনো দিনের কথা জানিনা তবে এখনকার সবচেয়ে বড়ো বাদশাহ তো একজনই। দ্যা হিট সিঙ্গার সু বয় বাদশাহ...🤘

--এই কি বলছিস এসব গাধা। আর তোরা দুই ভাই পরিক্ষার খাতায় বাবার নাম আলাদা আলাদা লিখেছিস কেন?

--যাতে আপনি আবার এটা না বলেন যে, আমরা একজন আরেকজনের টা কপি করে লিখেছি।

স্যার আবারও কপাল চাপড়ে আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে গেল। ববির কাছে এসে বললো।
--এই ববি তুই ইংলিশে এতো কাচা কেনরে?

ববি বললো।
--কে বললো স্যার? ইংলিশে তো আমি টসটসে পাকা। ইংলিশ তো আমার ফেবারিট সাবজেক্ট। আই ক্যান টক ইংলিশ, আই ক্যান ওয়াক ইংলিশ,আই ক্যান ইট ইংলিশ। ইংলিশ ইজ এ ভেরি ফানি ল্যাঙ্গুয়েজ। হাউ ডু ইউ ডু, হোয়াট ডু ইউডু, ডু ইউ হোয়াট, ডু ইউ ডু দিস, ডু ওয়াটএভার ইউ ডু।

--হইসে হইসে থাম এহন। আচ্ছা ইংরেজিতে একটা রাইম কতো।

--আওয়ার লিটিল রিভার ওয়াক বাকে বাকে,
ইনটু দা বৈশাখ মান্থ নি ওয়াটার থাকে।
গোয়িং কাউ এন্ড গোয়িং কার
টু সাইড আপ এন্ড ডাউন হিজ বিচ

সাইনিং সান্ড হোয়ার নট মাড
টু সাইড কাশবন ফ্লাওয়ার ফ্লাওয়ার হোয়াইট।

ছোট নদী কবিতার এমন যাচ্ছে তাই অবস্থা আর সহ্য করতে পারলোনা স্যার। ববিকেও একটা ধমক দিয়ে আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে এলো। রাজুর কাছে এসে বললো।
--এই রাজু বলতো সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি আছে কিসে?

--স্যার ভিম সাবানে।

--কিহহ?

--হ্যাঁ স্যার। কেন আপনি শোনেননি? ভিম সাবানে আছে একশ লেবু। তাহলে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন তো ভিম সাবানেই আছে তাইনা?

স্যার কপাল চাপড়ে আবার বললো।
--আচ্ছা বাদ দে। এটা বল কোন ফ্রুট খেলে ব্রেইন ভালো থাকে?

--সেন্টার ফ্রুট।

--কিহহ?

--হ্যাঁ স্যার। কেন ওইযে বলে না,সেন্টার ফ্রুট খাও দিমাক কি বাত্তি জালাও।

ব্যাস আর নিতে পারলোনা বেচারা স্যার। ওখানেই বেহুঁশ।

________সমাপ্ত

বিষয়- ফিল্মি স্টুডেন্ট
মেহরুমা নূর

যারা পেজ ফলো না করে গল্প পরছেন নীল লেখায় চাপ দিয়ে পেজ ফলো করেন 👉👉 Rj Ranojit

ছাত্রী'কে পড়াতে গিয়ে তার পাঁচ বছরের ছোট্ট বোনের কাছ থেকে জানতে পারলাম কিছুদিন পর ছাত্রী'র বিয়ে। মেয়েটা সবেমাত্র ইন্টার ফ...
10/11/2023

ছাত্রী'কে পড়াতে গিয়ে তার পাঁচ বছরের ছোট্ট বোনের কাছ থেকে জানতে পারলাম কিছুদিন পর ছাত্রী'র বিয়ে। মেয়েটা সবেমাত্র ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে জানতে পেরে তার মা'কে ডেকে আধাঘন্টা বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বলার পর সে মাথা নেড়ে চলে গেল। কিছু বুঝলো কি-না জানি না, তবে যেভাবে মাথা নাড়লো তাতে মনে হচ্ছে না কিছু বুঝেছে। মূলত বিয়ে হওয়ার জন্য আমার কোনো সমস্যা নেই। টিউশনি চলে যাবে সেজন্য দিলের মধ্যে পাঁচ হাজার টাকার হাহাকার শুরু হয়ে গেছে। ওকে ওর গ্রুপ সাবজেক্টগুলো পড়িয়ে আমি মাসে পাঁচ হাজার করে পাই সাথে প্রতিদিন মুখরোচক নাশতা। ওর বিয়ের পর থেকে এগুলো আর পাবো না ভেবেই দিলের মধ্যে হাহাকারের দলেরা মা'রা'মা'রি শুরু করে দিয়েছে।

এই চিন্তার মধ্যেই হুট করে আমার লাফ দিয়ে আমার সামনে এসে চিৎকার করে বললো,

- স্যার, প্রেজেন্ট।

বিয়ের কথা শুনে এমনিতেই মনখারাপ হয়ে গেছে আমার, তারউপর আবার ছাত্রী হুট করে সামনে এসে চিৎকার করে প্রেজেন্ট বলায় মেজাজটাও খারাপ হয়ে গেল। ছাত্রীর এমন কান্ডে চমকে গিয়ে তার দিকে তাকিয়ে দিলাম এক ধমক। ছাত্রীও আমার ভীষণ ন্যাকা। সাথে সাথেই কেঁদে দিলো ধমক খেয়ে। এটা প্রতিদিনের ঘটনা। পড়াশোনার সাথে সাথে সে খুব ভালো কান্নাও করতেও জানে। তাই তার কান্নায় গুরুত্ব না দিয়ে আবার একটা ধমক দিয়ে বললাম,

- তাড়াতাড়ি বইখাতা নিয়ে আমার সামনে বস। নাহলে তোকে আর পড়াবো না। ( রেগে গেলে মাঝে মাঝে তুই করে বলি ছাত্রীকে)

এমনিতেও আর পড়াতে পারবো না জেনেও হুদাই ডায়লগ মা'র'লা'ম। আর দুর্ভাগ্য, নাকি সৌভাগ্য জানি না, তবে তাকে এভাবে ধমক দেয়ার সময় তার পাঁচ বছরের পিচ্চি বোনটাকে দেখলাম গরম চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। পিচ্চিটা এখানে কখন এসেছে সেটা খেয়ালই করিনি আমি। আগে জানলে এভাবে ধমক না দিয়ে ছাত্রীর গাল টেনে আদর করে দিতাম।

আমি পিচ্চিটাকে কাছে ডাকলাম, কিন্তু এক দৌড়ে সে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। মনে হয় মায়ের কাছে বিচার দিতে গেছে। মেজাজটা আরো ভয়ানক খারাপ হয়ে গেল আমার। কোনো কিছু করতে না পেরে হুদাই ছাত্রীর মাথায় ঠাশ করে বই দিয়ে একটা বাড়ি লাগিয়ে দিলাম। ছাত্রীও সাথে জুড়ে দিলো জিকির। এতো বড় মেয়ে এভাবে কান্না করতে পারে সেটা ওকে না দেখলে আমি কখনো জানতে পারতাম না।

কিছুক্ষণ পর আন্টি এসে আমার সামনেই কোনো কথা নেই বার্তা নেই ছাত্রীর গালে ঠাশঠাশ করে কতগুলো থাপ্পড় লাগিয়ে দিলো। আমার দিকে তাকিয়ে বললো,

- তোমাকে ভালো ভেবেছিলাম আঁধার। বিশ্বাস করে আমার মেয়েটাকে তোমার কাছে পড়াতাম। কিন্তু তুমি বিশ্বাসের এই প্রতিদান দিলে! এজন্যই একটু আগে তুমি ওর বিয়ে না দেয়ার জন্য বলছিলে?

ঘূর্ণিঝড় সিডরের মতো সবকিছু প্রচন্ড বেগে মাথার উপর দিয়ে উড়ে চলে গেল। মেয়েটাকে হুদাই কতগুলো থাপ্পড় দিয়ে এখন আমাকে এসব কী বলছে আন্টি? মেয়ের বিয়ে হয়ে যাবে সেটা ভেবে ভেবে কি উনি এখন থেকেই শোকে পাগল হয়ে যাচ্ছে নাকি? বললাম,

- আন্টি, আমি তো আপনার কথা কিছুই বুঝতে পারছি না।

সে-ও দ্বিগুণ তেজ নিয়ে ধমকের সুরে বললো,

- এখন বুঝবে কী করে? এসব করার সময় মনে ছিলো না? তুমি এখানেই বসে থাকো, কোথাও যাবে না। তিতলীর (ছাত্রী) বাবা আসুক তারপর যা হবার হবে।

বলেই তীতলির হাত ধরে হনহন করে রুম থেকে বের হয়ে গেল। দরজার সাথে লাগানো পর্দার আড়াল থেকে তীতলির ছোট বোনটাও পিছনে পিছনে গেল দেখলাম।

কলিজা শুকিয়ে গেছে আমার। তীতলির বাবা আর্মি অফিসার যথেষ্ট ভদ্রলোক হওয়া সত্ত্বেও তার চেহারা দেখলেই কেন যেন আমার গলা শুকিয়ে যায়, আর আজকে তো না জানি কী আছে কপালে! কিন্তু আমি করলামটা কী সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না। হুট করে আন্টি এমন করলো কেন? সে কখনো আমার সাথে এমন ব্যবহার করে না। আজকে কেন করলো বুঝলামনা!

দুপুর দুইটার দিকে পড়াতে এসেছিলাম আমি। এখন বাজে সন্ধ্যা সাতটা। আন্টি আমাকে এখনো যেতে দেয়নি। এভাবে কেন আমাকে বসিয়ে রেখেছে সেটা এখন পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারিনি। পারবো বলেও মনে হচ্ছে না।

রাত প্রায় এগারোটার দিকে তিতলীর মা তিতলীকে বৌ সাজিয়ে আমার সামনে নিয়ে আসলো। কিছুক্ষণ পর তার বাবাও ঢুকলো ঘরে। সাথে আমার হলের প্রায় চার-পাঁচজন রুমমেট। হুজুরদের মতো দেখতে আরো একজনও আছে সাথে। কেন যেন মনে হলো আজকে আমি জেলখানায় বন্দি হতে যাচ্ছি। আমার রুমমেট জহিরের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকালাম। সে এমন ভাব করলো যেন আমাকে দেখতেই পায়নি।

তিতলীর বাবা ভদ্রলোক আমার সামনে এসে দুইহাত ধরে বললো,

- বাবা আঁধার, আমি জানি তুমি খুব ভালো একজন ছেলে। এই বয়সে এমন একটু-আধটু ভুল হয়ই। সেটা নিয়ে তোমার কোনো চিন্তা করতে হবে না। আমি আমার মেয়ের বিয়েটা ক্যান্সেল করে দিয়েছি। এখন তোমার সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দেবো।

এক বছরের দুধের শিশু দুধ না পেলে যেভাবে অসহায় দৃষ্টিতে তাকায় তার মায়ের দিকে, আমিও সেই দৃষ্টিতেই তাকালাম তিতলীর বাবার দিকে। সে আমার দৃষ্টিলে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে আবার বললো,

- তুমি একটা ভালো ছেলে এবং শিক্ষিত ছেলে। দেখতে-শুনতেও। তুমি আর মেয়ে যেহেতু ভুল করেই ফেলেছো, এখন তোমাদের তো আর আমরা ফেলে দিতে পারি না, তাই না? এজন্য এখন তোমাদের দুজনের বিয়ে হবে। তোমার বাবা-মা এখানে নেই তাই তোমার বন্ধুদের নিয়ে এসেছি যেন তোমার বিয়ের সাক্ষী হতে পারে। আপাতত বিয়েটা পড়িয়ে পরে কোনো একটা সময়ে তোমার বাবা-মা'কে জানানো যাবে।

দুপুর থেকেই কোনো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না আমি। এখনো পারলাম না। রুমমেট জহির হালায় সবখানেই নিজের পাওয়ার দেখায়, কিন্তু এখানে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ওর সাথে বাকিগুলোরও একই অবস্থা। এদিকে আমার যেকোনো মুহূর্তে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। আমি আর তিতলী কী ভুল করেছি একটাবার কেউ আমাকে জানাচ্ছে না কেন? ভয়ের ঠ্যালায় কিছু বলতেও পারছি না।

শেষ পর্যন্ত জোর করেই আমার রুমমেটদের সাক্ষী রেখে বিয়ে পড়িয়ে দিলো তিতলীর আর আমার। বাসর ঘরটাও সাজানো হয়েছে তিতলীর রুমেই। তিতলী আমার ছাত্রী থেকে বৌ হয়ে গেছে তাতে কোনো প্রবলেম নেই। যথেষ্ট রূপবতী একটা মেয়ে তিতলী। কিন্তু কী ভুলের কথা বলছিলো তখন আঙ্কেল সেটা কি বেঁচে থাকতে কেউ বলবে আমাকে? কী এমন করলাম যে, একজন বেকার ছেলের সাথে এমন একজন ধনী পরিবারের রূপবতী মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিলো?

চিন্তাভাবনার মধ্যেই তিতলী আমার সামনে এসে তখনকার মতোই চিৎকার করে বলে উঠলো,

- ওগোওওওও!

এবার আর মেজাজ দেখালাম না। একবার মেজাজ দেখিয়ে বাসর ঘর পর্যন্ত এসেছি। এখন যদি আবার মেজাজ দেখাই তাহলে যে গোরস্থান পর্যন্ত যাবো না তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তাই শান্ত দৃষ্টিতে তাকালাম আমার ছাত্রী'র দিকে। সুন্দর করে বললাম,

- দিন দিন অভদ্রের শেষ সীমায় পৌঁছে যাচ্ছো তুমি।

- কেন, কী হয়েছে তোমার?

- নিজের শিক্ষকের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটা জানো না তুমি?

- সে কী! এখন থেকে তো আমরা আর শিক্ষক-ছাত্রী নেই। এখন থেকে তো আমরা জামাই-বৌ।

হুট করে মনে পড়ে গেল, আসলেই তো ঠিক বলেছে মেয়েটা। আমাদের তো বিয়ে হয়ে গেছে। তাহলে আমি কেন তাকে এখনো ছাত্রী'র চোখেই দেখছি? বৌয়ের নজরে দেখতে পারছি না কেন?

- কীগো, কী হয়েছে তোমার? এমন চুপচাপ কেন?

- তুমি এসব কী শুরু করেছো? "ওগো, কীগো" এসব কী? ভালো করে কথা বলতে পারো না?

- পারি তো স্যার। আপনার জন্য আমার খুব মায়া হচ্ছে স্যার।

- কেন?

- এই যে একটা ভুল শুনার জন্য আমাদের বিয়ে হয়ে গেল তাই।

- কীসের ভুল? আমাকে একটু বুঝিয়ে বলো। কী থেকে কী হয়ে গেল আমি সত্যি বুঝতে পারছি না।

- স্যার, তখন আমি চিৎকার করে বলেছিলাম না, 'প্রেজেন্ট?' আর সেজন্য আপনি আমার মতো কিউট একটা মেয়েকে বই দিয়ে মাথায় বাড়ি মেরেছিলেন, যার জন্য আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। আমার ছোট বোন সেটা দেখে দৌড়ে গিয়ে মাকে বলেছিলো আমি নাকি প্রেগন্যান্ট! প্রেগন্যান্ট হয়ে নাকি আমি কান্না করছিলাম আপনার সামনে বসে বসে। মা ওইটুকু পিচ্চির কথা বিশ্বাস করে নিয়েছে কারণ বাচ্চারা নাকি কখনো মিথ্যা বলে না। মা ভেবেছে পড়াশোনার ভিতরে ভিতরে আপনার আর আমার প্রেমের সম্পর্ক আছে। আর সেখান থেকেই আপনি আমাকে সুযোগ বুঝে প্রেগ্ন্যান্ট করে দিয়েছেন। তাই জোর করে আমাকে আপনার সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। আমি অনেক বুঝিয়েছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

কথাগুলো বলেই হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়লো বিছানায়। সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে কলেজে উঠেছে। এই মেয়ে কতো সহজেই না বলে দিলো, 'আপনি আমাকে সুযোগ বুঝে প্রেগ্ন্যান্ট করে দিয়েছেন!' এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে কি লজ্জাশরম বলতে কিছু নেই?



যারা পেজ ফলো না করে গল্প পরছেন নীল লেখায় চাপ দিয়ে পেজ ফলো করেন 👉👉 Rj Ranojit

Address

Gobindganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rj Ranojit posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rj Ranojit:

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creators in Gobindganj

Show All