15/12/2024
মাহফিলে গেলাম। এলাকার নাম বললে আমারই ইজ্জত থাকে না। এড়িয়ে গেলাম। সকালে এসে দরস করতে হয় বলে সাধারণত প্রাইভেট ছাড়া যেতে চাই না। গেলাম আ'দত মতই। নসিহত ফরমাইলাম। আমি সেকেন্ড বক্তা। সেকেন্ড হওয়ার আলাদা স্বাদ আছে। মাহফিলের মূল জমায়েতটা তখন হয়। অবশ্য প্রধানের তিনভাগের একভাগ হাদিয়াও সেকেন্ড বক্তা পায় না যদি না চুক্তি করে। আমার মত যারা আছে আর কি!
কণ্ঠ নাই। তবুও সুর দেওয়ার চেষ্টা করি। কাকের সুর আর কি! তবে নস বেশি বলার চেষ্টা করি। যৎসামান্য চিল্লাচিল্লিও করি। যাই হোক, আমার মতো আমি আলোচনা করলাম। স্টেজে যাওয়ার সময় দুই তিনজন ইস্তেকবাল করে নিয়ে গেলেও স্টেজ থেকে নেমে আসার সময় কোনো সঙ্গী নাই। যুবক হিসাবে কারো ধরাধরি করে নেওয়ার দরকার নাই। জাতি ধরাধরির বরকত থেইক্কা বঞ্চিত হইলো আর কি!🥴
এসে রুমে বসে থাকলাম। প্রধান বক্তা মাশাআল্লাহ, বয়ান করছেন। বয়ান চলছে তো চলছে! আমার কাছে মাছি আসতেও এবার ভুলে গেছে। কারো লেঞ্জার হদিস না পেয়ে বিসমিল্লাহ বইলা গাড়িতে উইঠা গন্তব্যে রওয়ানা করলাম। তাদের কাছে আমার নম্বর থাকার পরও একটা ফোনও দেয়নি। হয়তো ভেবেছে, বেচে গেলাম! দুই দিন পরে ফোন দিয়ে বললাম, আমি গরিব মানুষ। নিজের খরচে ওয়াজ করার সাধ্য নাই। ভাড়াটা পাঠায়া দিয়েন। হয়তো আয়োজনগণ বিকাশ করেছেন, কিন্তু এক বছর হলেও আমার গাড়ি ভাড়া ৪৫০০ টাকা এখনো আসেনি। আলহামদুলিল্লাহ।
আত্মমর্যাদাবোধের কারণে আমি আর দ্বিতীয়বার ফোনই দিইনি। সে হিসাবে নম্রভদ্র প্রিয় ভাই মাওলানা উবাইদুর রহমান হুযাইফী শান্তনা লাভ করতে পারে। পাঁচশ টাকার মহাদৌলত তো অর্জন করেছে। 😄