19/12/2024
✅ "এন্টিবায়োটিক নিয়ে কিছু কথা"
আমার পেইজের আপু, ভাইয়েরা এবং বন্ধুরা আমার এবং কি সাধারণ জনগণ এ লেখাটি পড়ার জন্য সবার কাছে আমার অনুরোধ রইল!
আমাদের বাংলাদেশের মানুষ একটু ধৈর্যশীল কম। শরীরে কোন কিছু সমস্যা হলেই আমারা নিজে নিজেই ঔষধের ফার্মেসীর দোকানে গিয়ে এন্টিবায়োটিকের নাম বলে ঔষধটি ক্রয় করে থাকি, তারপর সেবন বা খেতে থাকি। একটি মানুষের শরীরে বিভিন্ন কারণে, বিভিন্ন রোগ বাসা বাধে। আপনার শরীরে কি রোগের বাসা বেধেছে সেটা কিন্তু আপনিও জানেন না।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে ধরে নিলাম আপনার শরীরে জ্বর ধরেছে বা হয়েছে সে বলে কি এন্টিবায়োটি খেতে হবে? জ্বর কিন্তু রোগ নয়, জ্বরে জন্য দায়ী টক্সিন, রোগের উপসর্গ মাত্র। যেকোনো রোগের জন্য আপনার শরীরে জ্বর আসতে পারে। আশা করি লেখাটি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
এক একটি এন্টিবায়োটিক এক একটি রোগের জন্য কাজ করে, সেই ঔষধ কার্য ক্ষমতা সাধারণ মানুষের জন্য জানা অসম্ভব।
একটি মানুষের বডিতে বিভিন্ন ধরনের যেহেতু রোগ হয়ে থাকে সেহেতু বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ও বিজ্ঞানীগণ আবিষ্কার করেছেন। এন্টিবায়োটি সাধারণত দু -ধরনের হয়ে থাকে।
✅ ব্রড-স্পেকট্রাম এন্টিবায়োটিকঃ
যারা বিস্তৃত প্রকারের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী হয়ে বা করে থাকে।
✅ ন্যারো-স্পেকট্রাম এন্টিবায়োটিকঃ যারা নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী হয়ে থাকে বা করে থাকে।
✅
এগুলি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, কিন্তু ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক কার্যকরী নয়।
(১) প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিকঃ এই ধরনের এন্টিবায়োটিক প্রকৃতিতে পাওয়া জীবাণু বা ছত্রাক থেকে উদ্ভূত বা তৈরি করা হয়ে থাকে। যেমন, পেনিসিলিন, স্ট্রেপটোমাইসিন ইত্যাদি।
বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে এই জাতীয় ঔষধ গুলোকে বাজারজাতকরণ করে।
Tab Penvik, Tab Oracyn -K, Tab penicillin ইত্যাদি।
(২) কৃত্রিম বা সিনথেটিক এন্টিবায়োটিকঃ এই এন্টিবায়োটিকগুলি মানুষের তৈরি, যা প্রাকৃতিক উপাদান থেকে পরিবর্তন বা সংশ্লেষণ মাধ্যমে করে প্রস্তুত করে থাকে। যেমন সেফালোস্পোরিন, কুইনোলোন ইত্যাদি।
সেফালোস্পোরিন এবং কুইনোলোন হল দুই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক যাহা ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে কাজ করে।
(১) সেফালোস্পোরিনঃ
এটি একটি ব্যাকটেরিয়া-নাশক অ্যান্টিবায়োটিক শ্রেণী, যাহা সেফালোস্পোরিনেসের গ্রুপের অন্তর্গত।
সেফালোস্পোরিন গুলো মূলত ব্যাকটেরিয়া কোষের প্রাচীরের গঠন, নষ্ট করে তাদের লড়াই করে ধ্বংস করে।
এগুলি বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ বা রোগের কাজ করে যেমন, শ্বাসতন্ত্রের, মূত্রনালীর, ত্বকের, এবং রক্তসঞ্চালন, চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ব্যবহার করে থাকে বা ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণঃ Example
Group name and gCiprofloxacinCeftriaxone, √Cefalexin, √Cefuroxime.
(২) কুইনোলোনঃ এটি ও কিন্তু একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়ার ডি,এন,এ সিন্থেসিস বাধা দিয়ে তাদের বৃদ্ধি রোধ করে।
✅ কুইনোলোনগুলি প্রধানত শ্বাসতন্ত্র, মূত্রনালী, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ট্র্যাক্ট, এবং অন্যান্য সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এবং বিশেষ্যকর চিকিৎসকরা প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
এই কুইনোলোন এন্টিবায়োটিক গুলি কিন্তু গ্রাম পজিটিভ ও নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
উদাহরণঃ Example:
Group name generation: ★Ciprofloxaci, ★Levofloxacin, ★Moxifloxacin.
এই জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডায়াগনস্টিক করার পরে রিপোর্ট দেখে রোগের ধরন বা ব্যাকটেরিয়ার উপর নির্ভর করে এন্টিবায়োটি প্রেসক্রাইব করে থাকেন বা রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন।
✅
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
👉 সতর্কতা ও সাধারণ রোগীদের জন্য পরামর্শ ও শেষ কথা।
অতএব, দয়া করে নিজে নিজে এন্টিবায়োটি কেউ কিনে খাবেন না।
এন্টিবায়োটিক কোন রোগের জন্য যদি খাইতেই হয় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন করে নিবেন। সেই প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ঔষুধ কিনে নিয়মিত সেবন করবেন।
ডা. গনেশ চন্দ্র রায়
ডি,এইচ, এম,এস
এবং বি,এইচ,বি (ঢাকা)
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক
গভঃ রেজিঃ ২৯৪৪৩
সি- ফার্মাসিস্ট
এল,এম,পি এবং
আর,এম, পি(পিসি)-পল্লী চিকিৎসক
২০-১২-২০২৪ ইং