Muhammad Abdul Basir

Muhammad Abdul Basir Welcome to the official page of Muhammad Abdul Basir created to share Islamic content.

We provide legit Islamic sources to enhance the quality of your life and morality. ইসলামিক লেকচার শুনতে আমাদের পেইজে ফলো দিন! আপনার কে জাযায়ে খায়ের দান করুন।

কুকুরের মতো সাজদাহ দিবেন নাহ!
07/02/2022

কুকুরের মতো সাজদাহ দিবেন নাহ!

সেহরি সংক্রান্ত বিদআত▬▬▬▬💠🌀💠▬▬▬▬আমাদের দেশে দেখা যায়, রমাযান মাসের মধ্যরাত থেকেই মুয়াজ্জিনগণ মাইকে কুরআন তিলাওয়াত, গজল, ...
07/02/2022

সেহরি সংক্রান্ত বিদআত
▬▬▬▬💠🌀💠▬▬▬▬
আমাদের দেশে দেখা যায়, রমাযান মাসের মধ্যরাত থেকেই মুয়াজ্জিনগণ মাইকে কুরআন তিলাওয়াত, গজল, ইসলামী সঙ্গীত ইত্যাদি গাওয়া শুরু করে অথবা টেপ রেকর্ডার, মোবাইল, ইউটিউব ইত্যাদি থেকে বক্তাদের ওয়াজ, গজল ইত্যাদি বাজাতে থাকে। সেই সাথে চলতে থাকে অনবরত ডাকাডাকি: রোযাদার ভায়েরা, মা ও বোনেরা, উঠুন, সেহরীর সময় হয়েছে, রান্নাবান্না করুন, খাওয়া-দাওয়া করুন” ইত্যাদি। অথবা কোথাও বা কিছুক্ষণ পরপর উঁচু আওয়াজে হুইশেল বাজানো হয়!

এর থেকে আরো আজব কিছু আচরণ দেখা যায়। যেমন, এলাকার কিছু যুবক রমাযানের শেষ রাতে মাইক নিয়ে সম্মিলিত কণ্ঠে গজল বা কাওয়ালি গেয়ে বা অডিও রেকর্ড বাজিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে চাঁদা আদায় করে অথবা মাইক বাজিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকে! এ ছাড়াও এলাকা ভেদে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম দেখা যায়।

আমাদের জানা উচিত যে, শেষ রাতে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নিচের আসমানে নেমে আসেন। এটি দুআ কবুলের গুরুত্বপূর্ণ সময়। আল্লাহ তাআলার নিকট এ সময় কেউ দুআ করলে তিনি তা কবুল করেন। মুমিন বান্দাগণ এ সময় তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করেন, কুরআন তিলাওয়াত করেন, মহান আল্লাহ তাআলা তায়ালা দরবারে রোনাজারি-কান্নাকাটি করেন।

সুতরাং এ সময় মাইক বাজিয়ে, গজল গেয়ে বা চাঁদা তুলে এ মূল্যবান সময়ে ইবাদতে বিঘ্নিত করা নিঃসন্দেহে গুনাহর কাজ। এতে রোগী, শিশু বা যাদের উপর রোযা ফরয নয় তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এদের হাঁকডাকে অস্থির হয়ে অনেকে সেহরির শেষ সময় পর্যন্ত বিলম্ব না করে আগে ভাগে সেহরি শেষ করে দেয়।

🔰 তাহলে আমাদেরকে জানতে হবে এ ক্ষেত্রে সুন্নত কি?

এ ক্ষেত্রে সুন্নত হচ্ছে, ফজরের আগে সেহরির জন্য আলাদা একটি আযান দেয়া। এই আযান হল সেহরি খাওয়ার জন্য এবং তারপর ফজর সালাতের জন্য আরেকটি আযান দেয়া।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পক্ষ থেকে দুজন মুয়াজ্জিন নিয়োগ করা ছিল। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
« إِنَّ بِلاَلاً يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ ، فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُؤَذِّنَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ »
“বেলাল রাতে আযান দেয়। অত:এব তোমরা বেলালের আযান শুনলে পানাহার করতে থাক ইবনে উম্মে মাকতুমের আযান দেয়া পর্যন্ত।” [বুখারী, অনুচ্ছেদ: ফজরের আগে আযান দেয়া। মুসলিম: অনুচ্ছেদ: ফজর উদিত হলে রোযা শুরু হবে……।]

সহীহ মুসলিমের বর্ণনা রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
إِنَّ بِلَالًا يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ لِيُوقِظَ نَائِمَكُمْ وَلِيَرْجِعَ قَائِمَكُمْ
“বিলাল রা. আযান দেয় এজন্য যে, যেন ঘুমন্ত লোক জাগ্রত হয় আর তাহাজ্জুদ আদায়কারী ফিরে আসে অর্থাৎ নামায বাদ দিয়ে সেহরি খায়।” সহিহ মুসলিম,কিতাবুস সওম, হা/ ১০৯৩)

সুতরাং এ দুটির বেশি কিছু করতে যাওয়া বিদআত ছাড়া অন্য কিছু নয়।
এজন্যই ওলামাগণ বলেছেন: “যেখানে একটি সুন্নত উঠে যায় সেখানে একটি বিদআত স্থান করে নেয়।” আমাদের অবস্থাও হয়েছে তাই। সুন্নত উঠে গিয়ে সেখানে নিজেদের মনগড়া পদ্ধতি স্থান দখল করে নিয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে পুনরায় সুন্নতের দিকে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন। আমীন।

তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, যে এলাকায় দুটি আযান দেয়ার প্রচলন নেই সেখানে রমাযান মাসে হঠাৎ করে দুটি আযান দেয়া ঠিক নয়। কেননা, এতে মানুষের মাঝে সেহরি খাওয়া ও ফজর সালাতের সময় নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। দুটি আযান চালু করার পূর্বে জনগণের মধ্যে পর্যাপ্ত সচেতনতা তৈরি করা আবশ্যক। অন্যথায় ফেতনা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকলে তা না করাই উত্তম।

আল্লাহ আমাদেরকে রমাযান কেন্দ্রিক সব ধরণের বিদাআত ও শরিয়ত গর্হিত কাজ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।

◍ ◍ ◍ ◍ ◍ ◍ ◍ ◍ ◍ ◍ ◍
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
fb/AbdullaahilHadi

আলহামদুলিল্লাহ,  আসাদুল্লাহ আল গালিব স্যারের লেখা ইংরেজি সালাতুর রাসূল (সাঃ) হাদিয়া দেওয়া হয়েছে।অসংখ্য মুবারাকবাদ জানায় ...
07/02/2022

আলহামদুলিল্লাহ,
আসাদুল্লাহ আল গালিব স্যারের লেখা ইংরেজি সালাতুর রাসূল (সাঃ) হাদিয়া দেওয়া হয়েছে।
অসংখ্য মুবারাকবাদ জানায়
Md. Nazmus Saadat

07/02/2022

🕟 কথাগুলো শুনে চোখের পানি সামলাতে পারবেন না! অন্তর কেঁদে উঠবে‼️

👉Jamshed Mojumdar 🍁🍁

07/02/2022
07/02/2022

🎙️ Abdur Razzak Bin Yusuf 🍁🍁

06/02/2022

⚠️কালেমা পড়ে লাইভে এসে আ"ত্ন"হ"ত্যা করায় মুখ খুললেন!

🎙️ শায়েখ জামসেদ মজুমদার[হাফিযাহুল্লাহ্] 🔥🔥

06/02/2022

👉শাইখ আব্দুর রাজ্জাক এর প্রতিষ্ঠান - আল- জামিয়া- আস- সালাফিয়া- ডাঙ্গিপাড়া,পবা,রাজশাহী।

06/02/2022

Naojobillah Astagfirullah≈ এদের বিবেক ও নাই বুদ্ধি ও নাই এরা জন্তু জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট। 🚫 সুরেশ্বর বন্ডদের দরবারে এই পাথরের উছিলায় বলে অনেক মানুষের রোগ বালা বিপদ আপদ ভালো হয়! ❌❌
👉অধিকাংশ মানুষ আল্লাহ কে বিশ্বাস করা সত্ত্বেও মুশরিক।সূরা ইউসুফ:১০৬

06/02/2022

🔰🖋️অগণিত তালেবে ইলমের সম্মানিত উস্তাদ মাওলানা ফযলুল করীম রহ. এর জানাযার ছালাত দেশবরেণ্য আলেমগণ উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়।
🔰🎙জানাযার ছালাতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও ইমামতি করেন
প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,
🔴 শায়েখ আমানুল্লাহ বিন ইসমাইল মাদানীর
🔴 ড.মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
🔴 ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
🔴 শায়েখ মুখলেস বিন আরশাদ মাদানী
🔴 শায়েখ আব্দুল মতীন মাদানী
🔴 শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ
🔴 আব্দুল খালেক সালাফী
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর গুনাহখাতা মাফ করুন এবং জান্নাতুল ফেরদাঊস নছীব করুন। তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে ধৈর্যধারণ করার তাওফীক দান করুন।- আমীন।

05/02/2022

Heart Touching Quran Recitation 2022। Surah Az Zumar।

🎙️ by Sheikh Saeed Al Hashmi 🌹🌹

প্রশ্ন: "আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি-রাজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।" দুআর এ হাদিসটি কি জয়ীফ? এ দুআটি কি পাঠ করা...
05/02/2022

প্রশ্ন: "আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি-রাজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।" দুআর এ হাদিসটি কি জয়ীফ? এ দুআটি কি পাঠ করা যাবে?

উত্তর:
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ
উচ্চারণ: “আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা ফী রাজাবা ওয়া শাবা-না ও বাল্লিগনা রামাযা-ন।”
অর্থ: “হে আল্লাহ তুমি রজব ও শাবানে আমাদেরকে বরকত দাও। আর আমাদেরকে রামাযান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দাও।” (মুসনাদ আহমাদ ১/২৫৯, হিলইয়াতুল আওলিয়া, তবাকাতুল আছফিয়া)

হাদিসটি জয়ীফ বা দুর্বল।

● এ হাদিসের সনদে একজন বর্ণনাকারী রয়েছে যার নাম যায়েদাহ বিন আবুর রিকাদ। তার ব্যাপারে ইমাম বুখারি রহ. বলেন: মুনকারুল হাদিস।

● ইমাম নাসাঈ তার সুনান গ্রন্থে তার নিকট থেকে একটি হাদিস বর্ণনা করার পর বলেন, “চিনি না এই ব্যক্তি কে?” আর তিনি তার যুয়াফা কিতাবে বলেন, “মুনকারুল হাদিস।” কুনা গ্রন্থে বলেন, “তিনি নির্ভরযোগ্য নন।”

● ইবনে হিব্বান বলেন, “তার বর্ণিত কোন হাদিসকে দলিল হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।”
[দ্রষ্টব্য: তাবয়ীনুল আজাব বিমা ওয়ারাদা ফী ফযলি রাজাব, ১২ পৃষ্ঠা। আয যুয়াফাউল কাবীর (২/৮১) তাহযীবুত তাহযীব (৩/৩০)-

➧ জয়ীফ সনদে বর্ণিত এ দুআটি কি পাঠ করা যাবে?

দুআর ক্ষেত্রে জঈফ হাদিস অনুযায়ী আমল করা যায় যদি তার অর্থের মধ্যে কোন সমস্যা না থাকে। যাহোক, উক্ত দুআর ব্যাপারে কথা হল, আমরা রামাযান পর্যন্ত পৌছার জন্য দুআ করতে পারি। এতে সমস্যা নাই। সালাফ বা পূর্বসুরীগণ এই দুআ করতেন। মুআল্লা ইবনুল ফযল বলেন,
كانوا يدعون الله تعالى ستة أشهر أن يبلغهم رمضان ، ويدعونه ستة أشهر أن يتقبل منهم
তারা (সালাফগণ) আল্লাহর কাছে ছয় মাস দুয়া করতেন, তিনি যেন তাদেরকে রমযান পর্যন্ত উপনীত করেন এবং বাকি ছয় মাস দুআ করতেন যেন, (রমাযানের ইবাদত-বন্দেগি) কবুল করেন।"
আর বারো মাসের মধ্যে কেবল রজব ও শাবান মাস নয় বরং সারা বছরই আমাদের বরকত প্রয়োজন। সুতরাং কেবল এই দু মাস নির্দিষ্ট না করে সারা বছরের প্রতিটি দিন বরকত মণ্ডিত হওয়ার জন্য আমরা আল্লাহর দরবারে দুআ করতে পারি।

❑ শাইখ আব্দুল করিম আল খুযাইয়ের (হাফিযাহুল্লাহ) কে প্রশ্ন করা হয়:

“আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রাজাবা ওয়া শাবানা ও বাল্লিগনা রামাযান।” এ হাদিসটি কি সহিহ?
তিনি বলেন:
" هذا حديث لا يثبت ، لكن إن دعا المسلم بأن يبلغه الله عز وجل رمضان، وأن يوفقه لصيامه وقيامه، وأن يوفقه لإدراك ليلة القدر ، أي بأن يدعو أدعية مطلقة فهذا إن شاء الله لا بأس به
"এটি সহিহ হিসেবে সাব্যস্ত নয়। কিন্তু কোনও মুসলিম যদি এই দুআ করে যে, আল্লাহ যেন তাকে রমাযান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেন এবং সে মাসে সিয়াম ও কিয়াম (রোজা ও তারাবিহ সালাত) এর তাওফিক দান করেন, লাইলাতুল কদর পাওয়ার তাওফিক দেন...অর্থাৎ সাধারণভাবে দুআ করে তাহলে ইনশাল্লাহ এতে কোনও সমস্যা নেই।"
আল্লাহু আলাম।
--আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

💞💞সত্যের সন্ধানে আমরা 💞💞আবু হুরায়রা (রাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী (সাঃ) বলেছেনঃ ইযারের বা পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায...
05/02/2022

💞💞সত্যের সন্ধানে আমরা 💞💞

আবু হুরায়রা (রাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী (সাঃ) বলেছেনঃ ইযারের বা পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নীচে থাকবে সে অংশ জাহান্নামে যাবে।
[সহিহ বুখারি হাদিস নং/৫৭৮৭]
[আধুনিক প্রকাশনী হাদিস নং/৫৩৬২]
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদীস নং/৫২৫৮]

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ কিয়ামতের দিবসে সে ব্যক্তির দিকে (দয়ার) দৃষ্টি দিবেন না,যে ব্যক্তি অহংকার বসত ইযার বা পরিধেয় বস্ত্র ঝুলিয়ে পরিধান করে।
[সহিহ বুখারি হাদিস নং /৫৭৮৮]
[আধুনিক প্রকাশনী হাদিস নং/৫৩৬৩]
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদীস নং/৫২৫৯]

05/02/2022

চিত্র*নায়ক রিয়াজের শশুরের আত্ম*হত্যা নিয়ে!

05/02/2022

👉কীভাবে একটা ফ্লাট কিনবে??? কীভাবে এক টুকরা জমি কিনবে???কীভাবে একটা গাড়ি কিনবে??? কীভাবে এই দুনিয়াতে একটু ভালভাবে থাকা যায়??? আফসোস! আফসোস! আফসোস! এই দুনিয়ার পিছনে পড়ে আছি--- অথচ রাসুল সাঃ বলেছেন ----???

শাহাদাৎ হোসাইন খান ফইসাল [রাহিমাহুল্লাহ] আল্লাহ ভাইকে জান্নাত বাসী করুক। [আ-মীন]

আ-মীন।
05/02/2022

আ-মীন।

বয়কট ভ্যা
04/02/2022

বয়কট ভ্যা

04/02/2022

⚠️ মাহফিলে কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিলেন ।👉 ব্রাদার রাহুল হোসেন রুহুল আমিন 🔥🔥

04/02/2022

💥 ১৪ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ব্যভিচার দিবস! 🎙️ আলোচকঃ ইমামুদ্দিন বিন আব্দুল বাশীর 🔥🔥

AssalamuAlaikum Warahmatullahi WabarakatuhuMy Dear all the Friends and Brother and Sister
04/02/2022

AssalamuAlaikum Warahmatullahi Wabarakatuhu
My Dear all the Friends and Brother and Sister

লোকটি মরতে মরতে  আমাদের চরম শিক্ষা দিয়ে গেছে!  # সন্তানদের বাবার প্রতি দায়ীত্ব কি ?   # স্ত্রী'র তার স্বামীর প্রতি দায়ীত...
04/02/2022

লোকটি মরতে মরতে আমাদের চরম শিক্ষা দিয়ে গেছে!

# সন্তানদের বাবার প্রতি দায়ীত্ব কি ?
# স্ত্রী'র তার স্বামীর প্রতি দায়ীত্ব কি ?
# ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের দায়ীত্ব কি ?
একজন বাবা তার সব কিছুই বিলিয়ে দেয়
পরিবারের জন্য কিন্তু অনেক সময় আমরা বাবা
এবং স্বামীদের ভুল বুঝি স্বার্থপর বলি,
বুঝতে চাইনা তার লিমিট কতটুকু ?
তার স্ত্রী সন্তান তাকে ছেড়ে বিদেশে থাকে পাঁচটি বছর অসুস্থতা নিয়ে সে একাকী জীবন পার করে আত্মহত্যার পথ বেচে নিলো 💔

ঘরের দরজা খোলা রেখে ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যা করলো সবাইকে জানিয়ে # কারণ
সে জানতো, সে মরলে, লাশটি একসাপ্তাহ ধরে বাসাতেই পড়ে থাকতো। যখন তার কাছে অর্থ ছিলো তখন সবাই ছিলো অর্থহীন জীবনে কেউ তার পাশে ছিলোনা। পৃথিবীর কোন বাবার যেন এমন করুণ পরিনতি না হয়। এমন মর্মান্তিক ঘটনা এবং এমন মানসিক যন্ত্রণা থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন । আমিন 🤲
©

04/02/2022

🌆 জুমার দিনে প্রথমে আসলে উট কুরবানি নেকি পাওয়া যায় কিন্তু আমরা এমন সময় মসজিদে আসি যখন নেকিবন্ধ হয়ে যায়।

👉শাইখ মাহমুদ বিন কাসিম [হাফিযাহুল্লাহ্] 💓💓

পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার: এক অবশ্য পালনীয় ঐশী নির্দেশ▬▬▬●●❤❤●●▬▬▬ভূমিকা: দীর্ঘ দিন সীমাহীন কষ্ট ও অবর্ণনীয় যাতনা সহ্য...
03/02/2022

পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার: এক অবশ্য পালনীয় ঐশী নির্দেশ
▬▬▬●●❤❤●●▬▬▬
ভূমিকা: দীর্ঘ দিন সীমাহীন কষ্ট ও অবর্ণনীয় যাতনা সহ্য করে মা সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন। মায়ের পেটে সন্তান যতই বৃদ্ধি পেতে থাকে তার কষ্টের মাত্রা ততই বাড়তে থাকে। মৃত্যু যন্ত্রণা পার হয়ে যখন সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তখন এ নবজাতককে ঘিরে মায়ের সব প্রত্যাশা এবং স্বপ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। এই নবজাতকের ভিতর সে দেখতে পায় জীবনের সব রূপ এবং সৌন্দর্য। যার ফলে দুনিয়ার প্রতি তার আগ্রহ এবং সম্পর্ক আরও গভীরতর হয়। পরম আদর-যত্নে সে শিশুর প্রতিপালনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নিজের শরীরের নির্যাস দিয়ে তার খাবারের ব্যবস্থা করে। নিজে কষ্ট করে তাকে সুখ দেয়। নিজে ক্ষুধার্ত থেকে তাকে খাওয়ায়। নিজে নির্ঘুম রাত কাটায় সন্তানের ঘুমের জন্য। মা পরম আদর আর সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে ঘিরে রাখে সর্বক্ষণ। সন্তান কোথাও গেলে আল্লাহর নিকট দুআ করে যেন তার সন্তান নিরাপদে ঘরে ফিরে আসে। সন্তানও যে কোন বিপদে ছুটে আসে মায়ের কোলে। পরম নির্ভরতায় ভরে থাকে তার বুক। যত বিপদই আসুক না কেন মা যদি বুকের সাথে চেপে ধরে কিংবা স্নেহ মাখা দৃষ্টিতে একবার তাকায় তাহলে সব কষ্ট যেন নিমিষেই উধাও হয়ে যায়। এই হল মা।

আর পিতা? তাকে তো সন্তানের মুখে এক লোকমা আহার তুলে দেয়ার জন্য করতে হয় অক্লান্ত পরিশ্রম। মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। সহ্য করতে হয় কতধরণের কষ্ট এবং ক্লেশ। সন্তানের জন্যই তো তাকে কখনো কখনো কৃপণতা করতে হয়। কখনো বা ভীরুতার পরিচয় দিতে হয়। সন্তান কাছে গেলে হাঁসি মুখে তাকে বুকে টেনে নেয়। তার নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য সে যে কোন ধরণের বিপদের সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। ইত্যাদি কারণে আমাদের অস্তিত্বের প্রতিটি কোণা পিতা-মাতার নিকট ঋণী। আর তাই তো আল কুরআনে আল্লাহ তা’আলার ইবাদতের পরই পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ করার কথা উচ্চারিত হয়েছে বার বার।

♦মহাগ্রন্থ আল কুরআনে পিতামাতার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ:

নিম্নে বিশ্বমানবতার পথপ্রদর্শক মহাগ্রন্থ আল কুরআনে পিতামাতার প্রতি সদাচরণ ও আনুগত্য প্রদর্শনের নির্দেশ সম্বলিত কতিপয় আয়াত তুলে ধরা হল:

❖ ১) আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَاناً إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاهُمَا فَلا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلاً كَرِيماً

“আর তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে; তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং ধমক দিও না এবং তাদের সাথে বলো সম্মান জনক কথা।” (সূরা ইসরা/ বনী ইসরাঈলঃ ২৩)

আল কুরআনের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষ্যকার, প্রখ্যাত সাহাবী অব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেনঃ আল কুরআনে এমন তিনটি আয়াত আছে যেখানে তিনটি জিনিস তিনটি জিনিসের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। একটি ছাড়া অন্যটি অগ্রহণযোগ্য।

সে তিনটি আয়াত হল:

ক) আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّـهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَلَا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ
“হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং আনুগত্য কর তাঁর রাসূলের। এবং (তাদের বিরুদ্ধাচরণ করে) নিজেদের আমল বিনষ্ট কর না।” (সূরা মোহাম্মাদ: ৩৩)
কেউ যদি আল্লাহর আনুগত্য করে কিন্তু রাসূলের আনুগত্য না করে তাহলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

খ) আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ
“এবং তোমরা সালাত (নামায) আদায় কর এবং যাকাত দাও।” (সূরা বাক্বারাঃ ৪৩)

কেউ যদি নামায পড়ে কিন্তু যাকাত দিতে রাজী না থাকে তাহলে তাও আল্লাহর দরবারে গ্রহণীয় নয়।

গ) আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ
“আমার কৃতজ্ঞতা এবং তোমার পিতা-মাতার কৃতজ্ঞতা আদায় কর।” (সূরা লোকমান: ১৪)

কেউ যদি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে কিন্তু পিতা-মাতার কৃতজ্ঞতা আদায় না করে তবে তা আল্লাহর নিকট প্রত্যাখ্যাত।

সে কারণেই মহাগ্রন্থ আল কুরআনে একাধিকবার আল্লাহর আনুগত্যের নির্দেশের সাথে সাথে পিতা-মাতার আনুগত্য করার প্রতি নির্দেশ এসেছে। ধ্বনীত হয়েছে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করার প্রতি কঠিন হুশিয়ারী। তা যে কোন কারণেই হোক না কেন।

❖ ২. আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:

وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئاً وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَاناً

“তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর। এবং তার সাথে কাউকে শরীক কর না আর পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর।” (সূরা নিসাঃ ৩৬)।

❖ ৩. আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:

وَوَصَّيْنَا الْأِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حُسْناً

“আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে।” (সূরা আনকাবূতঃ ৮)

❖ ৪. তিনি আরও বলেনঃ

وَوَصَّيْنَا الْأِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْناً عَلَى وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ

“আর আমি তো মানুষকে তার পিতা-মাতার প্রতি সদাচারণের নির্দেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে (সন্তানকে) কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে গর্ভে ধারণ করে এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। প্রত্যাবর্তন তো আমারই নিকট।” (সূরা লোকমানঃ ১৪)

উল্লেখিত আয়াতগুলোতে স্পষ্টভাবে পিতা-মাতার মর্যাদা এবং তাদের প্রতি সন্তানদের অধিকারের প্রমাণ বহন করছে।

♦ প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস থেকে:

নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদিস থেকেও এ ব্যাপারে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়:

◉ ১) পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি:

হাদিসে পিতা-মাতার সন্তুষ্টি অর্জনকে স্বয়ং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ কেউ তার পিতামাতাকে অসন্তুষ্ট রেখে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। যেমন: হাদিসে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:رَضَىَ الرَّبِّ فِىْ رِضَى الْوَالِدِ وَسُخْطُ الرَّبِّ فِىْ سُخْطِ الْوَالِدِ

আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি পিতার সন্তুষ্টিতে এবং প্রতিপালকের অসন্তুষ্টি পিতার অসন্তুষ্টিতে।”
(তিরমিযী ১৮৯৯, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৫১৫, মুসনাদুল বাযযার ২৩৯৪, আল মুসতাদরাক ৭২৪৯)

◉ ২) ফিরে যাও, তাদের মুখে হাঁসি ফোটাও:

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. থেকে বর্ণিত, জনৈক সাহাবী নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, আমি আপনার কাছে এসেছি হিজরত করার জন্য শপথ করতে। আমি যখন আসি আমার পিতা-মাতা কাঁদছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
ارجِعْ إليهما فأضحِكْهما كما أبكَيْتَهما
“তাদের কাছে ফিরে যাও, এবং যেমন তাদেরকে কাঁদিয়েছিলে এখন তাদেরকে গিয়ে হাঁসাও।” (আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ-সহীহ)

◉ ৩) তার পা ধর, ওখানেই তোমার জান্নাত:

মুয়া’বিয়া ইবনে জাহাম সুহামী নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে জিহাদে যাওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি তাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বললেন, “যাও, তোমার আম্মার সেবা কর।” কিন্তু তিনি জিহাদে যাওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ জানাতে থাকলে তিনি বললেন,
ويحَكَ الزَم رِجلَها فثمَّ الجنَّةُ
“হায় আফসোস! তোমার মার পা ধরে থাক। ওখানেই জান্নাত আছে।” (মুসনাদ আহমাদ ও ইবনে মাজাহ্)

◉ ৪) পিতার তুলনায় মার অধিকার তিনগুণ বেশী:

সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, একলোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার উত্তম সংশ্রব পাওয়ার জন্য কে সবচেয়ে বেশী উপযুক্ত? তিনি বললেন, তোমার মা।” লোকটি আবার প্রশ্ন করল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে আবার প্রশ্ন করল, তারপর কে? তিনি বললেন, “তোমার মা।” সে আবার প্রশ্ন করল, তারপর কে? তিনি বললেন, “তোমার পিতা।” (বুখারী-মুসলিম)

অত্র হাদিস প্রমাণ বহন করে, পিতার তুলনায় মা তিনগুণ সদাচরণ পাওয়ার অধিকারী। কারণ, গর্ভে ধারণ, ভূমিষ্ঠ ও দুগ্ধ দানের ক্ষেত্রে কেবল মাকেই অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়। পিতা কেবল সন্তান প্রতিপালনে স্ত্রীর সাথে অংশ গ্রহণ করে। এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَوَصَّيْنَا الْأِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَاناً حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهاً وَوَضَعَتْهُ كُرْهاً وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلاثُونَ شَهْراً

“আমি তো মানুষকে তার পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে (সন্তানকে) গর্ভে ধারণ করেছে কষ্টের সাথে এবং প্রসব করেছে কষ্টের সাথে। তাকে গর্ভে ধারতে ও তার স্তন ছাড়াতে সময় লাগে ত্রিশ মাস।” (আহক্বাফঃ ১৫)

◉ ৫) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তানের প্রতি আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তাকাবেন না:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

“তিন শ্রেণীর লোকের প্রতি আল্লাহ তা’আলা তাকাবেন না। তাদের মধ্যে একজন হল, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান।” (সহীহ-নাসঈ, আহমদ, হাকেম)

◉ ৬) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান জান্নাতে প্রবেশ করবে না:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তাদের মধ্যে একজন হল, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান।” (সহীহ-নাসঈ, আহমদ, হাকেম)

◉ ৭) তবুও অবাধ্যতা নয়:
মুআয রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দশটি বিষয়ে উপদেশ দিয়ে গেছেন তা হল:
لا تُشرِكْ باللَّهِ شيئًا ، وإن قُتِّلتَ وحُرِّقتَ . ولا تَعصِ والديكَ ، وإن أمَراكَ أن تخرجَ من أَهْلِكَ ومالِكَ . ولا تترُكَنَّ صلاةً مَكْتوبةً متعمِّدًا ، فإنَّ من ترَكَ صلاةً مَكْتوبةَ متعمِّدًا ، فقد برئَت منهُ ذمَّةُ اللَّهِ . ولا تَشربنَّ الخمرَ ، فإنَّهُ رأسُ كلِّ فاحِشةٍ . وإيَّاكَ والمعصِيةَ ، فإنَّ بالمعصيةِ حَلَّ سَخَطُ اللَّهِ . وإيَّاكَ والفِرارَ منَ الزَّحفِ ، وإن هلَكَ النَّاسُ ، وإن أصابَ النَّاسَ موتٌ فاثبُت . وأنفِق على أَهْلِكَ مِن طَولِكَ ، ولا ترفَع عَنهُم عَصاكَ أدبًا وأَخِفْهُم في اللَّهِ
"আল্লাহর সাথে শিরক করবে না যদিও তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে দেয়া হয় এবং আগুনে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়া হয় এবং পিতা-মাতার অবাধ্য হবে না যদিও তারা তোমাকে তোমার পরিবার, এবং সম্পদ ছেড়ে চলে যেতে বলে…।" [মুসনাদ আহমদ, শাইখ আলবানী রহ. বলনে: এ হাদিসের সনদের সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য, সূত্র: ইরওয়াউল গালীল ৭/৮৯]

♦ পিতামাতার প্রতি আনুগত্যের ক্ষেত্রে নবী-রাসূলগণ:

🌀 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর মাঃ

পিতা-মাতার সাথে কিরূপ আচরণ করতে হবে সে ব্যাপারে ইতোপূর্বে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একাধিক হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে। এখন দেখব নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মা-জননীর প্রতি বাস্তব জীবনে আমাদের জন্য কী আদর্শ রেখে গেছেন।

সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, হুদায়বিয়া সন্ধির সময় প্রিয় নবী-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- সাহাবীদের সাথে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সাথে আছে এক হাজার ঘোড় সওয়ার। মক্কা ও মদীনার মাঝে আবওয়া নামক স্থানে তাঁর প্রাণ প্রিয় মা-জননী চির নিদ্রায় শায়িত আছেন। সে পথ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি যাত্রা বিরতী করে তাঁর মা’র কবর যিয়ারত করতে গেলেন। কবরের কাছে গিয়ে তিনি কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। তার চর্তুদিকে দাঁড়িয়ে থাকা সাহাবীগণও কাঁদতে লাগলেন। অতঃপর তিনি বললেন:
اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي في أَنْ أَسْتَغْفِرَ لَهَا فَلَمْ يُؤْذَنْ لِي، وَاسْتَأْذَنْتُهُ في أَنْ أَزُورَ قَبْرَهَا فَأُذِنَ لِي، فَزُورُوا القُبُورَ فإنَّهَا تُذَكِّرُ المَوْتَ
“আমি আল্লাহর দরবারে আমার মা’র জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুমতি চেয়েছিলাম কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। কিন্তু তার কবর যিয়ারতের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি তাতে অনুমতি দেন। সুতরাং তোমরা কবর যিয়ারত কর। কারণ, কবর যিয়ারত করলে পরকালের কথা স্মরণ হয়।” (সহীহ মুসলিম)

🌀 ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এবং তার পিতা-মাতা:

ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর পিতা-মাতা কাফের ছিল। তারপরও তিনি তাদের সাথে অত্যন- বিনয় ও ভদ্রতা সুলোভ আচরণ করতেন। তিনি তার পিতাকে শিরক পরিত্যাগ করে এক আল্লাহর ইবাদত করার জন্য আহবান জানাচ্ছেনঃ

يَا أَبَتِ لِمَ تَعْبُدُ مَا لا يَسْمَعُ وَلا يُبْصِرُ وَلا يُغْنِي عَنْكَ شَيْئاً

“আব্বাজান, আপনি কেন এমন জিনিসের ইবাদত করছেন যা শুনে না, দেখে না এবং আপনার কোন উপকারও করতে পারে না?” (সূরা মারিয়াম: ৪২)

কিন্তু সে তা শুধু প্রত্যাখ্যানই করল না বরং তাকে মেরে-পিটে তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিল। তখন তিনি শুধু এতটুকুই বলেছিলেনঃ

سَلامٌ عَلَيْكَ سَأَسْتَغْفِرُ لَكَ رَبِّي إِنَّهُ كَانَ بِي حَفِيّاً

“আপনাকে সালাম। আমি আপনার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করব।” (সূরা মারইয়ামঃ ৪৭)

🌀 ইয়াহিয়া আলাইহিস সালাম:

আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রশংসা করে বলেন:
وَبَرًّا بِوَالِدَيْهِ وَلَمْ يَكُن جَبَّارًا عَصِيًّا
“আর তিনি ছিলেন পিতা-মাতার অনুগত; তিনি উদ্ধত ও অবাধ্য ছিলেন না।” (সূরা মারইয়ামঃ ১৪)

এভাবে অনেক নবীর কথা আল কুরআনে উল্লেখ করে আল্লাহ তা’আলা বিশ্ববাসীর সামনে অনুকরণীয় আদর্শ উপস্থাপন করেছেন।

♦পিতামাতার প্রতি আনুগত্যের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী মনিষীগণ:

আমাদের পূর্ব পুরুষগণ পিতা-মাতার সাথে সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। এসমস্ত মহা মনিষীদের মধ্যে আবু হুরায়রা (রাঃ), আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা., ইবনে হাসান তামীমী রহ., ইবনে আউন মুযানী রহ. প্রমুখের নাম ইতিহাসখ্যাত।

♦ পিতা-মাতার অবাধ্যতার বিভিন্ন রূপ:

পিতা-মাতার অবাধ্যতার বিভিন্ন রূপ হতে পারে যা হয়ত অনেক মানুষের কাছেই অজানা।

■ ১) পিতা-মাতার উপর নিজেকে বড় মনে করা। অর্থ-সম্পদ, শিক্ষা-দীক্ষা, সম্মান-প্রতিপত্তিতে পিতা-মাতার চেয়ে বেশী অথবা অন্য যে কোন কারণেই হোক না কেন নিজেকে বড় বড় মনে করা।
■ ২) পিতা-মাতাকে পিতা-মাতাকে সহায়-সম্বলহীন এবং নিঃস্ব অবস্থায় ফেলে রাখা এবং যার কারণে তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পাততে বাধ্য হয়।

■ ৩) বন্ধু-বান্ধব, স্ত্রী-পুত্র বা অন্য কাউকে, এমনকি নিজের প্রয়োজনকেও পিতা-মাতার উপর অগ্রাধিকার দেয়া তাদের নাফরমানীর অন্তর্ভুক্ত।

■ ৪) পিতা-মাতাকে শুধু নাম ধরে বা এমন শব্দ প্রয়োগে ডাকা যা তাদের অসম্মান ও মর্যাদাহানির ইঙ্গিত দেয়।

■ ৫) পিতা-মাতার সাথে চোখ রাঙ্গিয়ে ধমকের সাথে কথা বলা।

■ ৬) তাদের সেবা-শুশ্রুষা না করা এবং শারীরিক বা মানসিক দিকের প্রতি লক্ষ না রাখা। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে বা রোগ-বধীতে তাদের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করা।

পরিশেষে প্রতিটি জ্ঞানবান মানুষের আছে আহবান জানাবো, আসুন, পিতা-মাতার ব্যাপারে অবহেলা করার ব্যাপারে সাবধান হই। তাদের প্রতি প্রদর্শন করি সর্বোচ্চ সম্মান জনক আচরণ। কারণ এর মাধ্যমেই আমাদের পার্থিব জীবন সুন্দর হবে। গুনাহ-খাতা মাফ হবে। পরকালে মিলবে চির সুখের নিবাস জান্নাত।

মহিমাময় আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানাই হে পরওয়ারদেগার, আমাদেরকে আমাদের পিতা-মাতার সাথে চির শান্তির নীড় জান্নাতে একত্রিত করিও। এটাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা।
▬▬▬✪✪✪▬▬▬
অনুবাদ ও গ্রন্থনা:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব

03/02/2022

স্ত্রীর স্বামীর আনুগত্য করা........!

🎙️ শাইখ ড. সুলাইমান আর রুহাইলি (হাফিজাহুল্লাহ)

সকলেই আমন্ত্রিত।
03/02/2022

সকলেই আমন্ত্রিত।

03/02/2022

🤲🤲 ফরজ নামাজ শেষে সবাই মিলে (সম্মিলিত) মোনাজাত করা কি সুন্নাত নাকি বিদআত?
🔹🔹🔹হানাফি ও সালাফি 🔹🔹🔹
২৭ জন আলিমের বক্তব্য মাত্র ৭ মিনিটে দেখুন-

🎙️শায়খ মতিউর রহমান মাদানী [হাফিজাহুল্লাহ্] 🇸🇦🇸🇦
03/02/2022

🎙️শায়খ মতিউর রহমান মাদানী [হাফিজাহুল্লাহ্] 🇸🇦🇸🇦

02/02/2022

ওহাবী-লা...মাযহাবীদের সালাতের দৃশ্য🙂
সুবহানাল্লাহ এমন দৃশ্য দেখলেই আত্মা ঠান্ডা আর তিলাওয়াতের কথা না-ই বা বললাম🙂💔

যদিও তারা আমাদের লা- মাযহাবি বলে, তারা এটা জানে না, আমাদের মাযহাব রয়েছে, যার নেতা স্বয়ং নবী মুহাম্মদ (সাঃ)।

মা 💔
02/02/2022

মা 💔

02/02/2022

মু’মিনদের জন্য আখিরাতে কোন চাহিদা অপূর্ণ থাকবে না🙂💔

🎙️শায়খ মানসুর আল সালিমী [হাফিয্বাহুল্লাহ্] 🤍🤍

02/02/2022

🏸🏸 ব্যাডমিন্টন খেলার আগে ভিডিও টি অবশ্যই দেখবেন। 🔥🔥

👉আলোচকঃ মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম🍁🍁

02/02/2022

👉জাপানের অনেক লোক জন ইসলাম গ্রহণ করেছেন‼️

🎙️Dr. Zakir Naik ☝️

01/02/2022

নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ধোঁকাবাজ জাহান্নামের যাবে’

(বুখারী ১/২৮ পৃঃ)

Address

Gazipur,
Gazipur
1700

Telephone

+8801914236032

Website

Products

Islamic Video Page

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Muhammad Abdul Basir posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Muhammad Abdul Basir:

Share

Category

Nearby media companies