09/12/2024
সাবধান....
দিনের আলোতেই গাইবান্ধা নতুন নিয়মে ভয়ংকর ছিনতাইকারীর আবির্ভাব হয়েছে কিছু সুনসান রাস্তায় বা যানবাহনে ।
এদের প্রধান টার্গেট হলো আমাদের সহজ-সরল মা-বোন-ভাবি-ফুপুরা.....
ছিনতাইকারীরা একা বা কোনো একটা গ্রুপ আকারেও থাকতে পারে। প্রথনে মাটি থেকে পড়ে থাকা বা যানবাহনে উঠে সেখানে পড়ে থাকা টাকা বা সুন্দর ভাঁজ করা কাগজ পাওয়ার ভান করবে। এর পর ভিকটিম এর সামনেই সেই টাকা বা কাগজে মোড়ানো একটা সোনার বার পাওয়ার এমন ভাব করবে যেনো সে এখোনি লাখোপতি হয়ে গেলো (আর যে কেউ সহজেই তা বিশ্বাস করতে পারে এমন অভিনয় করবে)। এটাকে সাপোর্ট দেওয়ার মতো আবার আরো ১/২জন থাকে। এর পর কৌশলে ঐ মোড়ানো কাগজে থাকা ছোট্ট একটা চিরকুট বের করে সে পড়াশোনা জানে না এমন ভাব করে ভিকটিমের সাহায্য নিয়ে পড়তে বলে। ছোট অক্ষরে লেখা কাগজে কিছু লেখা পড়তেই ভিকটিম সম্মোহিত হয়ে যায় এবং তাকে যা বুঝানো হয় তাই বোঝে, এক সময় নানার কথার মায়ায় তাকে সেই সোনার বার-টি হাতে দিয়ে লোভে ফেলিয়ে বোকা বানিয়ে ভিকটিমের পরনে থাকা কানের দুল+নাকফুল+চেন+বালা+আংটি ও নগত অর্থ সহ সব কিছু ছিনতাইকারী নিয়ে নেয়।😥 যখন তার হুশ হয় ততক্ষনে ছিনতাইকারী সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এমন ঘটনা গুলো মূলত ঘটছে:
সাদুল্যাপুর> নলডাঙ্গা> বামনডাঙ্গা রোড,
গোবিন্দগঞ্জ ও তার আশেপাশের নির্জন কিছু রাস্তা,
মজুমদার> হাতিয়া চৌরাস্তা,
গাইবান্ধা> লক্ষীপুর> বালাঃছীরা> সুন্দরগঞ্জ রোড
মীরগঞ্জ > চৌধুরানী,
গাইবান্ধা> সাঘাটা-ফুলছড়ি রোড,
গাইবান্ধা> নাকাইহাট> গোবিন্দগঞ্জ রোড সহো আরো অনেক ফাঁকা রাস্তা গুলোতে প্রায়ই এমন ঘটনার কথা শোনা যায়।
কিন্তু এই ব্যপারে প্রশাসনের সহায়তা না চাওয়ার মূল কারণ হলো লোক-লজ্জা ও নিজের করা ভূল (লোভে পরার বিষয়টা) প্রাধান্য দিয়ে ভিকটিম কারো কাছে প্রকাশ করতে পারে না। ফলে আইনি সহায়তা পাবার সম্ভাবনা কমে যায়।
তাই সবাই সচেতন হোন এবং এমন কিছু হলেই পুলিশকে জানান। আপনার দেওয়া তথ্য-ই হয়তো এসব চক্রকে আইনের আওতায় আনতে সহায়তা করবে।
'tBeFooled