Prettiness By Sadia

Prettiness By Sadia "সুযোগ কখনো আপনার হাতে ধরা দেবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি সেগুলো পাওয়ার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা না করবেন"

05/01/2025

জিয়া নিজেকে সরকারপ্রধান ঘোষণা করে যু"দ্ধের ঘোষণা দেন, কিন্তু ইন্ডিয়ার চাপে মুজিবকে প্রধান করে আবার ঘোষণা দিতে বাধ্য হন: ডালিম

নিম্মির ক্যান্সার ছিল, তাকে হাউজ এরেস্ট করে রাখা হয় ১৯৯৬ থেকে; এমনকি খালেদা জিয়াও তাকে পাসপোর্ট দেন নাই, ফলে ক্যান্সারেই...
05/01/2025

নিম্মির ক্যান্সার ছিল, তাকে হাউজ এরেস্ট করে রাখা হয় ১৯৯৬ থেকে; এমনকি খালেদা জিয়াও তাকে পাসপোর্ট দেন নাই, ফলে ক্যান্সারেই মারা যায়।

~ মেজর ডালিম - বীর উত্তম

খালেদা জিয়া নিজেও এতোবছর হাউজ এরেস্টে ছিলো আর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেনাই।

ইলিয়াসের বিশেষ লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)🔥🔥একসাথে ৭ লক্ষের অধিক মানুষ এই লাইভ প্রোগ্রাম দ...
05/01/2025

ইলিয়াসের বিশেষ লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)🔥🔥

একসাথে ৭ লক্ষের অধিক মানুষ এই লাইভ প্রোগ্রাম দেখতেছে, ভাবা যায়!!😱😱

🎉 Just completed level 3 and am so excited to continue growing as a creator on Facebook!
05/01/2025

🎉 Just completed level 3 and am so excited to continue growing as a creator on Facebook!

আলহামদুলিল্লাহ! এই মাত্র নিউইউর্ক সিটিতে আমার রোজাস ব্রাইডাল মেকোভার এন্ড বিউটি কেয়ার সেলুনের ডেকারশন এবং সেটআপের কাজ শে...
05/01/2025

আলহামদুলিল্লাহ! এই মাত্র নিউইউর্ক সিটিতে আমার রোজাস ব্রাইডাল মেকোভার এন্ড বিউটি কেয়ার সেলুনের ডেকারশন এবং সেটআপের কাজ শেষ হল।

সেলফিটা একটু আগেই তুলেছি। সাধারণত আমার অনেক ছবি তোলা হয় কিন্তু আজ এই সেলফিটা তোলার সময় চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। অনেক সময় ধরে কাঁদলাম। কিন্তু কি মনে করে কাঁদছি বা কেন কাঁদছি তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমি বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান তাই সব থেকে আদরের ছিলাম সবার। আর বাবা আমাকে সব সময় বলত “ আমার ছোট্ট পরিটা কইরে”। সেই সময় বরিশাল শহরে আমাদের পরিবারের বেশ প্রভাব ছিল। ছোট বেলায় কখনো কমতি পাই নি। এর বাসায় দাওয়াত, তার বাসায় দাওয়াত আর যেতেই হবে কারণ আমাদের ছাড়া দাওয়াত অসম্পূর্ন হবে। এমন দিন গিয়েছে দিনে ৪ টা দাওয়াতেও অংশ নিয়েছি। শুধু দেখা করে আসার জন্য।

হঠাৎ বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন ওপাড়ে। যতদিনের হায়াত তিনি নিয়ে এসেছেন ততোদিন ছিলেন আমাদের সাথে। অভিযোগতো অনেক জমা আছে, বাবার সেই ছোট্ট পরিটার ,কিন্তু অভিযোগ কার কাছে করব? আর বাবা শুধু আমাদের ছেড়ে চলে যায় নি, সাথে সাথে যে মানুষগুলো আমাদের এতো সম্মান করতেন তাদের ভালোবাসাও চলে গেল আমাদের উপর থেকে। আর সেইদিনটাতেই প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম, যে ভালোবাসা আমরা পেয়েছি তা সবই বাবাকে ঘিরে আর সাথে অনেক অনেক স্বার্থ। বাবা চলে যাবার ঠিক ২ মাসের মাথায় আমার এক রিলেটিভের বিয়ে। আমরা অনেক ঘনিষ্ট ছিলাম একে ওপরের , কিন্তু বিয়েতে দাওয়াত পেলাম না। যে রিলেটিভরা সেই বিয়েতে অংশ নিয়েছে সবাই ফোন করতে শুরু করল মাকে। কেন আমরা গেলাম না, কোথায় আমরা? বরিশালে আছি কিনা এই সেই। সেদিন সারারাত বসে দেখেছি মায়ের সেই সরল মনের কান্না। আপনারা লেখাটা পড়ে ভাবতে পারেন, দাওয়াত পাইনি বলে কাঁদছি? কিন্তু দাওয়াতের জন্য নয় ,একি দালানে সবাই আনন্দ করছে, আমি, মা আর ছোটো ভাই উৎস তখন বাসার এক কোণে। খুব চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল, বাবা তুমি একটু দেখে যাও, যাদের জন্য এতো করেছ তারা আমাদের সব ফিরিয়ে দিচ্ছে।

বাবা আমাদের জন্য অনেক কিছুই রেখে গেছেন, দাদা ভাইর অনেক আছে কিন্তু কিছুই গুছানো না, কে বুঝেছেন যে এতো অকালে উনি চলে যাবেন আমাদের ছেড়ে! আর দাদার সব সম্পত্তিতেই চাচা-ফুফুদের ভাগ আছে। মায়ের খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয়েছে। পড়াশোনার সুযোগ পায় নি। আর আমি চলে আসি তাদের কোলে। আমার মা খুব সরল মনের, দিন দুনিয়ার কিছুই বুঝে না। সে যে নিজের ভয়েস রেইস করবে বা তার সেটা রেইস করার অধিকার আছে সেটা তার ধারনার বাহিরে। কখনো তার সেই সাহস টাই ছিল না যে তার শ্বশুরকে বলবে, বাবা আমাদের সম্পত্তিটুকু আমাদের বুঝিয়ে দেন। আর উৎসতো তখন অনেক ছোট। আমারা দুই ভাইবোন তখন পিচ্চি পিচ্চি। আমাদের পড়াশোনার খরচ তখন একদম হিসাব করে টায় টায় দেয়া হতো মায়ের হাতে। তাই কিছু খেতে ইচ্ছে করলে বলতাম না যাতে উৎস যেটা চায় সেটা যাতে পায়। আমার দিক থেকে একটু কম হলেও সমস্যা নেই।

বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই প্রস্তাব আসা শুরু করে। এই রিলেটিভ একে আনে ঐ রিলেটিভ ওকে আনে। সেই সময় আমি প্রথম ভয়েস রেইস করেছি, যে আমার বয়স কম আর বাবা মারা গিয়েছে কি হয়েছে বাবার আর আমার স্বপ্নতো মারা যায় নি! ঐ দিন কথাটায় খুব মাইন্ড করেছিল আমার কাছে্র লোকজন। বড়দের মুখে মুখে কথা, আমি আর মানুষ হব না। আর সেই থেকেই রটানো হয় কতো কথা। সারাদিন নাকি ছেলেদের সাথে ঘুরি, আমার বন্ধু-বান্ধব সার্কেল ভাল না, পর্দা করি না আরও কতো কি। মেয়েতো নিশ্চয়ই প্রেম করে আর না হলে এতো ভাল প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়? আর প্রতিদিন এভাবেই বাসায় অভিযোগ আসা শুরু করে। কিন্তু আমার ভয়েস রেইসে সবাই এইভাবে রিয়াক্ট করবে বুঝতে পারি নি। আমার মা এতো অভিযোগ শুনতে শুনতে বলল, তুই আমাকে ছুঁয়ে বল এই সব অভিযোগ কি সত্যি। আমি মাকে ছুঁয়ে বললাম না মা সব মিথ্যে। আমিতো স্কুল আর বাসা বাদে কোথাও যাই না। এই বলে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলাম মায়ের সাথে। ওইদিনের পর থেকে মা আমার সাথে নিয়মিত কোচিং এ যেত আবার এসে বাসার সবার জন্য রান্না করতে হতো ,খুব কষ্ট হয়ে যেত তার। তখন নিজের কাছে মনে হত আমি সবার জন্য একটা বোঝা, সব ক্ষেত্রেই আমার দোষ। দিনের পর দিন এভাবেই চলতে থাকে। হঠাৎ দাদাভাই অসুস্থ হয়ে পরেন, আর সেই থেকে আমার সাথে কোচিং এ যাওয়া বন্ধ করে মা কারণ তাদের সেবা যত্ন করতে হতো মাকেই।

তখন থেকেই একা একা চলা শুরু করলাম। একটা ফ্রেন্ড বলল ও স্টুডেন্ট পড়ায় আমি বললাম আমাকে একটা খুঁজে দিবি আমিও শুরু করতে চাই। বেশ একজন খুঁজতে গিয়ে দুজনকে পেয়ে গেলাম, কেজিতে পড়ে খুব অল্প টাকা বেতন। আর কোচিং এর পড়া আমার ভাল লাগত না তাই আমি নিজে নিজে বুঝে পড়তাম কিন্তু বাসার কথা ছিল কোচিং এ পড়তেই হবে। তাই কোচিং এর সময়টা আমি স্টুডেন্ট পরাতাম লুকিয়ে লুকিয়ে আর সেই টাকা জমিয়ে উৎসকে ঘুরতে নিতাম, কিছু একটা পছন্দ করলে কিনে দিতাম। বাবার যে আদর আমি পেয়েছি ও সেই আদর পায় নি তাই বাবার আদর হয়ত দিতে পারতাম না তবে কখনো যাতে আফসোস না করে সেই চেষ্টা চালিয়ে যেতাম। আবার নিজের খরচটাও একটু বাড়ল, ওয়াইফাই ছিল না তাই এমবি কিনে ফেইসবুকিং শুরু করি। এভাবেই তিন মাস চলল। হঠাৎ বাজারে দাদা ভাইয়ের সাথে স্যার এর দেখা, স্যার তো বলল রোজা আসে না কেন? এরপর কি হতে পারে যারা ফেইস করেছেন তারা বুঝবেন। শুরু হয়ে গেল বাসায় বিচার সালিশ। যেহুতু সত্যি আমি কোচিং এ যায় নি তাই আমার জোর গোলায় কথা বলার মুখ ছিল না। আর কোচিং এর টাকা বন্ধ করে দিল আর বলল, তুই তো একা একাই সব পা্রো তো কোচিং এ পড়তে হবে না। আর টিউশন দুইটাও বাদ দিতে হল। এখন স্কুল আর বাসা। স্কুলে আমি অনেক পপুলার ছিলাম নাচের জন্য। ওহ ক্লাস থ্রিতে থাকতে নাচের জন্য আমি জাতীয় পুরুষ্কার পেয়েছিলাম। আর তখন থেকেই একা একা সাজতাম আর যারা আমার সাথে নাচ করত ওদেরকেও সাজিয়ে দিতাম। আর সবাই আমার সাথে চলতে চাইত বিশেষভাবে মেয়েরা কারণ আমি খুব ভাল সাজাতে পারি। আমার এক দূরের কাজিনের বিয়ের প্লান ছিল ঢাকা থেকে আর্টিস্ট আনবে ,তখন বরিশালে ফ্রিলানসার আর্টিস এর নামটার সাথে কেউ পরিচিত ছিল না। কিন্তু শেষ মুহুর্তে মেয়েটা ঢাকার আর্টিস্ট আনতে পারেনি। আমাকে কল দিয়ে খুব মন খারাপ করে বলল, পরিবার বিয়েতে অনেক খরচ করছে, এতো বড় আয়োজন কিন্তু মেকআপের জন্য এতো টাকা দিবে না আর বরিশালের কোন পার্লার এর সাজ আমার পছন্দ না ,তোর সাজটা আমার খুব ভাল লাগে। আমি একটু চুপ থেকে বললাম, আপু তোমার এতো বড় বিয়ের আয়োজনে আমার কাছে সাজবা শিয়র তুমি? বলল হ্যাঁ তোর মতো করে আমাকে সাজিয়ে দিস তাহলেই হবে।সেই থেকে মেকআপের প্রফেশনাল জার্নিটা শুরু। এর পর আপুকে সাজালেও খুব ভয় হচ্ছিল আমি কি বিয়েতে যাব? কারণ কেমন না কেমন হয়েছে সাজ? মা জোর করে নিয়ে গেল। সবার এতো প্রসংশা আর ফিডব্যাক পেয়ে আমি নিজেই হতভম্ব। এরপর থেকেই আপুর অনেক ফ্রেন্ড আমার কাছে সাজা শুরু করল। মাত্র ২০০০ টাকা করে নিতাম। তবে সেই বাসার সমস্যায় আবার পড়লাম। দাদা ভাইকে বলা হল আমি পার্লার এর কাজ করি, পার্লারের মেয়ে আমি। আমি বললাম হ্যাঁ তো? পার্লারে যারা কাজ করে ওরা কি মানুষ না ? তাদের কি পরিবার নাই? দেখ তোমাদের মতো এক একটা পরিবার চালায় তারা। আমি তাদের রেস্পেক্ট করি। সেদিন সবাই অনেক উচ্চ কণ্ঠে আমাকে বলল, এই মেয়ে আমাদের মানসম্মান ডুবাবে। সেদিন অনেক জেদ হলো! শুরু করলাম ফ্রিলান্সার মেকাপ আর্টিস্টের কাজ। বরিশাল শহরে কেউ এই টার্মটার সাথে পরিচিত ছিল না কিন্তু এখন শত মেয়ে ফ্রিলান্সার মেকাপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছে দেখে খুব গর্ব হয়। যেহুতু বিয়েগুলো দুপুরে হতো মেক্সিমাম তাই অনেক সময় ব্রাইডের কাজ করতে গিয়ে স্কুল বন্ধ দিতাম। স্কুল ব্যাগে মেকাপ প্রডাক্ট নিয়ে চলে যেতাম সোজা ক্লাইন্টের বাসায়, ছুটির সময়ে চলে আসতাম বাসায়। আর সেই খবর বাসায় চলে আসে। ওইদিন রাতে বুঝে যায়, আমাকে যদি কিছু বলতে আসে আমি কাউকে ছাড় দিব না। তাই এবার আর আমাকে না বলে আমার মাকে অনেক মন্দ বলে। মায়ের সেই সরল কান্না যতবার দেখেছি নিজের জেদকে আরও শক্তিশালী করেছি। নিজেকে তৈরি করেছি মানুষ হিসেবে, একবারও নারী হিসেবে নয়। ব্রাইডের পরিমাণ বাড়তে থাকে বরিশাল থেকে পুরো দেশে নাম ছড়িয়ে পড়ল। বাসায় ফাইনান্সিয়াল্লি কন্ট্রিবিউশন করা শুরু করলাম। বাহ এবার আমার পরিবারের সবাই আমাকে নিয়ে গর্ব করছে, পরিচয় দিচ্ছে। আমি সবার মধ্যমনি। কিন্তু ঐদিনটাতে বাবার কথা খুব মনে পড়ছিল যে বাবা তোমার মৃত্যুর পর যতো টা কষ্ট পেয়েছি তোমাকে হারিয়ে তার থেকে বেশি কষ্ট পেয়েছি এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে।

ব্রাইডাল মেকাপ ট্রান্সফরমেশন ভিডিও আপলোড শুরু করলাম, নিজের ব্লগ, সব কিছু মিলিয়ে ভাইরাল হওয়া শুরু হল। ঢাকা থেকে ক্লাইন্টের নক আশা শুরু করল। কিন্তু ঢাকাতে তো কারো বাসায় উঠব না অন্যদিকে পরের দিন বরিশালে ৪-৫ টা ক্লাইন্ট তাই সারাদিন কাজ করে রাত ৯ টায় লঞ্চে করে ঢাকা এসে সারাদিন কাজ করে আবার বরিশালে ব্যাক করি। এই যাতায়াতে করতে গিয়ে রাস্তাঘাটে কতো মানুষের কথা শুনেছি, তবে আমাকে কেউ নারী বলে হ্যারেসমেন্ট করার সাহস পায় নি। কারণ আমার চোখ তাদের বলে দিত যে আমি জীবনে কাউকে ছাড় দেই না ,দেব না। তা বাসায় হোক আর বাহিরে হোক। ঢাকার ক্লাইন্টের পরিমাণ বাড়ল, বাজেট বাড়ল।বিবিএ এর স্টুডেন্ট ছিলাম, কাজের পাশাপাশি পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া সব মিলিয়ে বেশ একটা কঠিন সময় যাচ্ছিলো। যাই হোক খুব সাহস করে বসুন্ধরাতে একটা ছোট বাসা নিয়ে স্টুডিও সেটাপ দেই। বাড়িওয়ালা খুব ভাল ছিলেন। তার পরিবার নিয়মিত আমার ব্লগ দেখতেন। কিন্তু এতো ক্লাইন্ট আসত যে পাশের বাসা থেকে কমপ্লেইন আসা শুরু করল। পরে বাসাটা ছেড়ে একটু বড় পরিসরে বাসা নিয়ে আবার নতুন সেটাপ দেই। এবার দারোয়ান মামাকে বেশ ভাল বকশিস দেই তাই আর ঝামেলা হয় না। এভাবেই আস্তে আস্তে রোজাস ব্রাইডালকে ক্লাইন্টের দৌড় গোঁড়ায় নিয়ে যাই। ঢাকা-বরিশাল সব সময় ক্লাইন্ট। পরে ফ্লাইটে যাতায়াত শুরু করি, এমন হয়েছে সকালে বরিশালে ক্লাইন্ট করে দুপুরে ঢাকাতে ক্লাইন্ট করেছি। আর তা সবসম্ভব হয়েছে মনের মধ্যে একটা জেদ ছিল কারণ এই সেক্টরের মেয়েরা অনেক অবহেলিত। আমাকে যে কথা শুনতে হয়েছে আমি আর একটি মেয়েকেও সেই কথা শুনতে দিতে চাই না। তাই শুরু করলাম মেকাপ ক্লাস। এক বছরে ৫০০+ মেয়েকে মেকাপ শিখালাম। শত শত মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াল। হঠাৎ একদিন মায়ের কল, ইউএসএ এম্বাসি তে দাঁড়াতে হবে ইমেগ্রেশন ভিসার জন্য। বড় মামা অনেক আগে থেকে আবেদন করে ছিল। দেখতে দেখতে ভিসা হয়ে গেল। উৎস আর মায়ের জন্য দেশ ছাড়তে হবে। নিজের সাজানো সংসার বলা যায় ,তা ছেড়ে যেতে যেমন লাগে দেশ ছেড়ে আমার যেতে ঠিক তেমন লেগেছে। একটু একটু করে এ দেশে নিজের অবস্থান তৈরি করেছি আর সেই সব ছেড়ে যাব?

মজার কথা হল, যে দিন আমার ফ্লাইট ঐদিনও আমি ব্রাইডের কাজ করি। দেশে আমার সার্কেলটা খুব ভাল, দেশ ছাড়ার সময়ে আমি নিজের লাগেজ পর্যন্ত গুছাই নি। যা কিছু করার সব ওরা করেছে। ওদের ছেড়ে থাকাটাও আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। নিজের ক্যারিয়ার, নিজের সার্কেল আর নিজের স্বপ্ন সব ফেলে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যত নিয়ে চলে আসলাম ইউএসএ তে। এখানে আমি আসার আগেই বার্গার এর দোকানে কাজ থেকে শুরু সব কাজ আমার জন্য দেখা হয়েছিল,আমাকে না জানিয়েই। আমিতো করবোই না, ঐযে আমি খুব জেদি শুরু করলাম নিউইউর্কে প্রচারণা। মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ক্লাইন্ট পেলাম যাওয়ার। আস্তে আস্তে ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানের প্রবাসীরাও আমার কাছে সাজা শুরু করল, ক্লাস করা শুরু করালাম। নিজেকে আবার এই দেশেও একজন প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাড়া করালাম। কসমেটোলজি এর মাধ্যমে স্কিন ,হেয়ার এবং মেকাপ রিলেটেড স্টাডি করলাম কলেজে। আর সেখান থেকেই আজকের স্টুডিও। কসমেটোলজির উপর নতুন করে আবার পড়াশোনা, লাইসেন্স নেয়া সব চ্যালেঞ্জ নতুন করে আবার ফেইস করেছি। সেলুনে সব থেকে এক্সপেন্সিভ এবং কোয়ালিটিফুল প্রডাক্ট দিয়ে সাজিয়েছি সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট।

কথা গুলো খুব আবেক নিয়ে লেখা। শুরুতেই বলেছিলাম আমার মা একজন সরল মানুষ। বাবা মারা যাবার পর জীবনে উচ্চ সরে কথা বলতে পারে নাই, কখনো হাসতে দেখি নি। আর আজ সেই মা উচ্চ গলায় সবাইকে ফোনে বলে 'হ্যাঁ আমার বড় মেয়ে রোজাই তো আমাকে দেখছে, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ অনেক ভালো রাখছেন আমাদের। সে হয়ত স্বপ্ন দেখতে পারে নি কিন্তু তার মেয়ে হিসেবে একটু হলেও নতুনভাবে বাঁচতে শিখাতে সাহায্য করেছি।

আজ খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে, বাবা তোমার সেই ছোট্ট পরিটা অনেক বড় হয়েছে! আমার সব স্বপ্নের কেন্দ্র বিন্দু তুমি বাবা।

আজ যখন সেলফিটা তুলি আমি একটার বেশি ছবি তুলতে পারি নি কারণ এতো কান্না আসছিল।

আমি শুধু একটা কথা বলব, আপনাদেরকে ভেঙ্গে দেবার জন্য হাজার মানুষ থাকবে কিন্তু প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপনাকে একাই চলতে হবে। নিজেকে এমনভাবে গড়তে শিখুন যে যতবার বাধা আসবে ততবার হাসিমুখে মোকাবেলা করুণ, যাতে বাধা দেখলেও আপনাকে ভয় পায়।

Roza Ahmed
4 June , 2024

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যবইয়ে জুলাইয়ের কবিতা।সিঁথি - হাসান রোবায়েত।
05/01/2025

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যবইয়ে জুলাইয়ের কবিতা।

সিঁথি - হাসান রোবায়েত।

বের হচ্ছিলাম বাসা থেকে, এমন সময়বাবা বললো 'তোমার কাছে কি ৫০০ টাকা হবে?'হঠাৎ কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হলো,বাবার দিকে ত...
05/01/2025

বের হচ্ছিলাম বাসা থেকে, এমন সময়
বাবা বললো 'তোমার কাছে কি ৫০০ টাকা হবে?'
হঠাৎ কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হলো,
বাবার দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে গেলো সেই ক্লাস টু'র একটি কথা।
বাবাকে বলেছিলাম 'বাবা ২ টাকা দিবা?'
বাবা 'কেন? কি করবে ২ টাকা দিয়ে?'
আমিঃ আইসক্রিম খাবো। (তখন এক
টাকায় ৪ টা রঙিন আইসক্রিম অথবা ২ টা
বরফের সাথে নারকেল দেয়া আইসক্রিম পাওয়া যেতো)।
বাবা ২ টাকার পরিবর্তে ৫ টাকা দিয়েছিলো।।
বাবা-মা আসলেই বড় অদ্ভুত ক্যারেকটার, তারা সারাজীবন চেষ্টা করেছেন তাদের
সর্বোচ্চটা আমাদের জন্য করার।
সময় কতোটা দ্রুত চলে যায়, আজ বাবা
অবসরপ্রাপ্ত। কেন যেন খুব কান্না পেলো, জানি না।
ওয়ালেট হাতড়ে ১০০ টাকা বাদে যা ছিলো সবটা বাবাকে দিয়ে দিলাম।
বাবাঃ আরে পাগল, এতো দিয়ে আমি কি
করবো?
আমিঃ বাইরে যাও, তোমার দোস্তদের সাথে আড্ডা দিবা, চা নাস্তা খাবা আর কি..
বলেই উল্টো ঘুরে হাঁটা শুরু করলাম, নিজের চোখের পানি এড়াতে।
আপনজনের জন্য সময়মতো কিছু করতে না পারলে কিসের চাকুরী, কিসের ব্যবসা, এসব দিয়ে কি হবে, কিসের প্রাচুর্য, সবই তো ক্ষণস্থায়ী।
আমি মনে করি আমার বলে কিছু নেই, সব সাময়িকভাবে আমাকে ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে মহান রব্বুল আলামিন । সবকিছুই ঠিকঠাক রয়ে যায়, থাকে না শুধু মানুষগুলো....

- Mehraz

যখন আপনি আপনার জীবনের প্রতিটি বিষয় বন্ধুদের জানানো বন্ধ করবেন, তখন শত্রুরা তথ্যের অভাবে অসহায় হয়ে পড়বে।কোনো গসিপ ছড়...
04/01/2025

যখন আপনি আপনার জীবনের প্রতিটি বিষয় বন্ধুদের জানানো বন্ধ করবেন, তখন শত্রুরা তথ্যের অভাবে অসহায় হয়ে পড়বে।

কোনো গসিপ ছড়ানোর সুযোগ থাকবে না।আপনার সিদ্ধান্ত নিয়ে কেউ কটাক্ষ করতে পারবে না।

সবাই, যাদের আপনি বন্ধু মনে করেন বা বন্ধু বলে ডাকেন, তারা সত্যিকারের বন্ধু নয়।

কিছু মানুষ কেবল শত্রুদের খবর পৌঁছানোর জন্যই আপনার বন্ধু সাজে।

আপনার কাকে বন্ধু মনে করবেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন, কারণ পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রুদের মধ্যে একজন হলো সেই ব্যক্তি, যিনি বন্ধু সেজে আপনার আস্থা অর্জন করে।

গোপনীয়তাই আপনার শক্তি; মানুষ যা জানে না, তা তারা নষ্ট করতে পারবে না।

©

আপা যদি আবার কোন মতে ফিরে আসে তাহলে প্রথম আয়না ঘরের বাসিন্দা হবেন তিনি যিনি এই কাজ টা করছেন তারপর আমরা 🥴🥱
04/01/2025

আপা যদি আবার কোন মতে ফিরে আসে তাহলে প্রথম আয়না ঘরের বাসিন্দা হবেন তিনি যিনি এই কাজ টা করছেন তারপর আমরা 🥴🥱

মাশাআল্লাহ অনেক ভালো লাগলো অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইল Tahsan  ভাইয়া🤍❤️
04/01/2025

মাশাআল্লাহ অনেক ভালো লাগলো অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইল Tahsan ভাইয়া🤍❤️

কোনো এক ছুটির দিনে যখন আমি পিয়ানোতে
আমার সুরে নাচের মুদ্রায়, সেই তুমি কে?
যার ছন্দের মুগ্ধতায় কেটে যাবে বাকিটা জীবন
ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে, সেই তুমি কে?

❤️

অবশেষে চাঁদের আলো খুঁজে পেলেন তাহসান খান।বাংলাদেশ ও আমেরিকার জনপ্রিয় মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদ এর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ...
04/01/2025

অবশেষে চাঁদের আলো খুঁজে পেলেন তাহসান খান।

বাংলাদেশ ও আমেরিকার জনপ্রিয় মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদ এর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান।

না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পী সবার প্রিয় অঞ্জনা রহমান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহ...
03/01/2025

না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পী সবার প্রিয় অঞ্জনা রহমান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন মানুষ মুহুর্তেই শেষ। বিমানে হয়তো একজন বড়ো ব‍্যবসায়ী ছিলেন। যিনি বিমানে বসেও ভাব...
02/01/2025

দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন মানুষ মুহুর্তেই শেষ।

বিমানে হয়তো একজন বড়ো ব‍্যবসায়ী ছিলেন। যিনি বিমানে বসেও ভাবছিলেন, কি করে তার ব‍্যবসা দ্বিগুণ-তিনগুণ করা যায়। বিজনেস ক্লাসে বসে তিনি ল‍্যাপটপ হাতে কাজ করে যাচ্ছিলেন। তিনি জানতেনও না, কয়েক মুহূর্ত পরই সব শেষ হতে যাচ্ছে।

হয়তো ৫০ বছর বয়সী একজন ছিলেন। নিজেকে সময় না দিয়ে কাজ করে গেছেন। অনেক টাকা ব‍্যাংকে জমিয়েছেন। ভেবেছেন বয়স হলে সে টাকা খরচ করবেন।

আবার, এই বিমানের টিকেট না পেয়ে যিনি খুবই বিরক্ত ছিলেন, তিনিই এখন নিজেকে সবচেয়ে সৌভাগ‍্যবান ভাবছেন। কোন কোন অপ্রাপ্তি, অনেক বড়ো প্রাপ্তি নিয়ে আসে।

জীবন তো এমনই। প্রতি মুহূর্তে অনিশ্চয়তা। প্রতি মুহূর্তেই নিঃশ্বেস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।

তাই বছর শেষে জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব অর্থহীন মনে হয় আমার। এটা ব‍্যালেন্স শীট না।

জীবন হলো জীবনানন্দ নিয়ে বেঁচে থাকা। যতদিন আছে প্রাণ, ততোদিন কর্মানন্দে বেঁচে থাকা। ভবিষ‍্যতের দুঃশ্চিন্তায়, বর্তমানের বেঁচে থাকার আনন্দ ধ্বংস না করা।

© Rauful Alam

মাত্র এক সপ্তাহে পাঁচটি প্লেন ক্র্যাশ🥹বিমান দুর্ঘটনার একটি হৃদয়বিদারক সিরিজ।১. আজারবাইজান এয়ারলাইনস ফ্লাইট 28243 - এমব...
02/01/2025

মাত্র এক সপ্তাহে পাঁচটি প্লেন ক্র্যাশ🥹
বিমান দুর্ঘটনার একটি হৃদয়বিদারক সিরিজ।

১. আজারবাইজান এয়ারলাইনস ফ্লাইট 28243 - এমব্রার ইআরজে-190AR, বিমানটি বিধ্বস্ত, সন্দেহভাজনভাবে গুলিবিদ্ধ, ৩৮ জন

২। জেজু এয়ার ফ্লাইট 2216 - বোয়িং 737-800, ক্র্যাশ ল্যান্ডিং, ল্যান্ডিং গিয়ার ত্রুটি, ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটি, ল্যান্ডিং গিয়ারের মধ্যে আটকে থাকা একটি পাখি কারণে - 179 জন প্রাণহানি।

৩। কেএলএম ফ্লাইট 1204 - বোয়িং 737-800, অসলোতে উড্ডয়নের পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কিড হয়ে গেছে, হাইড্রলিক ব্যর্থতা, কোন মৃত্যু নেই।

৪. এয়ার কানাডা 2259 - ড্যাশ 8-400, একটি জরুরী অবতরণের সময় আগুন ধরেছিল, তার ল্যান্ডিং গিয়ার ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার পর, শনিবার রাতে নোভা স্কটিয়াতে হ্যালিফ্যাক্স বিমানবন্দরে রানওয়ে বরাবর স্কিডিং, শনিবার রাতে, কোন প্রাণহানি হয়নি।

৫। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ উপকূলে জাজিরাহ এভিয়েশন ক্লাবের একটি হালকা বিমান সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে। দুঃখজনকভাবে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন পাইলট ও কো-পাইলট।

©কপিপোস্ট

নতুন বছরের নতুন স্বপ্ন নতুন সম্ভাবনা, বিগত বছরের সকল সুখ, দুঃখ আনন্দ বেদনা পেছনে ফেলে সবাইকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা ২...
01/01/2025

নতুন বছরের নতুন স্বপ্ন
নতুন সম্ভাবনা,
বিগত বছরের সকল সুখ, দুঃখ আনন্দ বেদনা পেছনে ফেলে সবাইকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা ২০২৫ সাল

সারাদেশ থেকে সবাই মিলিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে!৩১/১২/২০২৪।
31/12/2024

সারাদেশ থেকে সবাই মিলিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে!

৩১/১২/২০২৪।

"থার্টিফার্স্ট নাইটে ১৪৪ ধারার নির্দেশনা চেয়ে রি'ট"রিটকারী আইনজীবী আশরাফ উজ্জামান  রি'টের আরজি তুলে ধরে বলেন, থার্টি ফাস...
31/12/2024

"থার্টিফার্স্ট নাইটে ১৪৪ ধারার নির্দেশনা চেয়ে রি'ট"

রিটকারী আইনজীবী আশরাফ উজ্জামান রি'টের আরজি তুলে ধরে বলেন, থার্টি ফাস্ট নাইটে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত তীব্র সাউন্ড দিয়ে কোনো অনুষ্ঠান না করা এবং বাসা-বাড়ির ছাদে আতশ বা"জি-প"ট"কা ফো-টা-নো ও ফানুস উড়ানো বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে রাত ১০টা থেকে সড়ক, পার্ক ও উন্মুক্তস্থানে জনসমাগম বন্ধের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওইদিন (৩১ ডিসেম্বর) আতশ বা"জি-প'ট:কা ও ফানুস বেচাকেনা বন্ধের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।

সময়ের সেরা সিদ্ধান্ত জোস ভাই।

31/12/2024

জনতার ঢল শহীদ মিনারের দিকে। লোকে লোকারণ্য শহীদ মিনার এলাকা।

Address

Lalbagh Dhaka
Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Prettiness By Sadia posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Prettiness By Sadia:

Videos

Share

Category