Saif er ammu

Saif er ammu .............Assalamualaikum.............
I'm Afrin Rumpa,,,,, Blogger

 #একগুচ্ছ_ভালোবাসা|সূচনা পর্ব|--"জোনাকি, এই জোনাকি উঠ না বোন, অনেক বেলা হয়ে যাচ্ছে তো।"--"উঁহু, আর একটু ঘুমাতে দে আপুই।"...
29/11/2024

#একগুচ্ছ_ভালোবাসা

|সূচনা পর্ব|

--"জোনাকি, এই জোনাকি উঠ না বোন, অনেক বেলা হয়ে যাচ্ছে তো।"

--"উঁহু, আর একটু ঘুমাতে দে আপুই।"

কথাটা বলেই পাশ ফিরে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো জোনাকি। জল, জোনাকির গায়ে থেকে কাঁথা টেনে সরিয়ে দিয়ে বললো,
--"এই আজ না তোর চাকরির ইন্টারভিউ আছে? কখন যাবি তুই? ইন্টারভিউ শেষ হলে?"

ইন্টারভিউ'র কথা শুনে জোনাকি লাফিয়ে উঠলো শোয়া থেকে। পাশ থেকে ফোন হাতে নিয়ে সময় দেখে দ্রুত ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো ফ্রেশ হতে। জল সেদিকে ক্ষানিক সময় তাকিয়ে থেকে বিছানা গোছাতে শুরু করলো। মিনিট দশেক বাদেই জোনাকি দরজা হালকা খুলে একটা হাত বাড়িয়ে দিয়ে চেঁচিয়ে বললো,
--"আপুই আমার চুড়িদারটা দে না, আনতে ভুলে গেছি।"

জল তপ্ত শ্বাস ফেলে ওয়ারড্রব থেকে একটা হালকা গোলাপি রঙের চুড়িদার এগিয়ে দিলো জোনাকির দিকে। জোনাকি জামা নিয়ে আবারো শব্দ করে দরজা বন্ধ করে দিলো। জল রুম থেকে বেড়িয়ে দেখলো ওর মা টেবিলে খাবার দিয়ে দিয়েছেন। জোনাকি ছুঁটে এলো বাইরে, দ্রুত কন্ঠে বললো,
--"মা, আপুই আসছি দোয়া করো এবার যাতে চাকরিটা পেয়ে যাই।"

--"আরে কিছু তো খেয়ে যা।"

--"এখন খাওয়ার সময় নেই মা, আমি সময় করে খেয়ে নিবো চিন্তা করো না তোমরা।"

কথাটা বলেই একপ্রকার দৌড়ে বেরিয়ে গেলো জোনাকি। রাস্তায় এসে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছে। একটা খালি রিকশাও পাচ্ছে না৷ মেজাজ খারাপ হচ্ছে জোনাকির। আজকে একে তো লেট হয়ে গেছে তার উপর রিকশা পাচ্ছে না। আর একটু লেট হলে এবারের চাকরিটাও হাত ফসকে বেরিয়ে যাবে। হঠাৎ করেই এত জোরে একটা গাড়ি গেলো সামনে দিয়ে একটুর জন্য রাস্তার ধারে জমে থাকা বৃষ্টির কাদা পানিগুলো ছিঁটে এসে জোনাকির জামা পুরোপুরি নষ্ট হলো না। ঠিক সময়ে সরে দাঁড়িয়েছিলো, তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কিছুটা পানি এসে জোনাকির জামার নিচের অংশে লাগে। জোনাকি মেজাজ হারিয়ে গাড়ির ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বললো,
--"এই যে মিস্টার কানা নাকি আপনি? দেখেশুনে গাড়ি চালাতে পারেন না?"

জোনাকির কথা শুনে গাড়ি ব্রেক কষলো আঁধার। গাড়িটা পিছিয়ে এনে জোনাকির সামনে থামালো। তারপর গাড়ি থেকে নেমে জোনাকির সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
--"হোয়াট ননসেন্স? কি বললেন একটু আগে? কানা? আর আমি?"

--"তো নয়তো কি? কানা বলবো না তো কি বলবো আপনাকে? এভাবে অন্ধের মতো গাড়ি চালালে রাস্তাঘাটে কানা উপাধি তো নিশ্চয়ই পাবেন।"

আঁধার রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
--"হোয়াট রাবিশ? আপনার কি আমাকে দেখে অন্ধ মনে হচ্ছে?"

জোনাকি এক নজর চোখ বুলালো আঁধারের দিকে। তারপর বললো,
--"এরকম কালো সানগ্লাস চোখে পড়ে গাড়ি চালালে আর চোখে দেখবেন কি করে যে রাস্তার ধারে কাদা পানি ছিলো।"

--"ইউ___"

জোনাকি একটা খালি রিকশা পেয়ে দ্রুত সেটাতে উঠে পড়লো৷ এদিকে আঁধারকে এভাবে ইগনোর করে চলে যাওয়াতে শক্ত চোখে তাকিয়ে রইলো জোনাকির যাওয়ার দিকে। রাগে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিলো। এই অব্দি কেউ আঁধারের সাথে এভাবে কথা বলার সাহস করেনি। আর এই অচেনা মেয়েটা আঁধারকে এতগুলো কথা শুনিয়ে গেলো?

-

রিকশা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে দিলো জোনাকি। ও এখন পাঁচ তালা বিশিষ্ট একটা বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এটাই হচ্ছে এ. আর. গ্রুপের বিল্ডিং। নিচের তিনটে তালা এ. আর. গ্রুপের হোটেল, চার তালায় অফিস এবং পাঁচ তালা এবং ছাদে বিশাল বড় রেস্তোরাঁ। দুদিন আগে এ. আর. এর পিএর পোস্টের জন্যই এপ্লাই করেছিলো জোনাকি। আর আজই ইন্টারভিউ'র জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। এই চাকরিটা জোনাকির ভীষণ দরকার। ওর বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে কাজ থেকে অবসর নিয়েছেন। যদিওবা পেনশনের টাকা পাচ্ছেন, কিন্তু সেগুলো দিয়ে আর কতদিন? তাই জোনাকির ইচ্ছে ও নিজে কিছু করবে পরিবারের জন্য। এসব ভাবতে ভাবতেই ভিতরে ঢুকছিলো জোনাকি। এমন সময় কারো শক্তপোক্ত বুকের সাথে ধাক্কা খেয়ে ক্ষানিকটা পিছিয়ে যায় জোনাকি। যেহেতু জোনাকি অন্যমনস্ক ভাবে হাঁটছিলো তাই ও দ্রুত কন্ঠ বললো,
--"স্যরি স্যরি, আমি আসলে__"

কথাগুলো বলে সামনে তাকিয়ে আঁধারকে দেখতে পেয়ে চোখমুখ কুঁচকে ফেললো জোনাকি। জোনাকি'কে আবারো দেখেই আঁধারের রাগ তড়তড় করে বেড়ে গেলো। দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
--"ব্লাইন্ড পিপলস।"

জোনাকি ভ্রু কুঁচকে ফেললো৷ ওর কথাটাই লোকটা ওকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। ও তো তাও নিজের ভুল বুঝতে পেরে স্যরি বলেছে কিন্তু লোকটা কি করলো? এই ভেবে জোনাকি তেড়ে যেতেই আঁধার হনহনিয়ে চলে গেলো ওখান থেকে। জোনাকি রিসিপশনের মেয়েটির থেকে জেনে নিলো অফিস ফোর্থ ফ্লোরে। তাই ও লিফটের দিকে এগিয়ে গেলো। আঁধারও সেসময়ে লিফটেই ছিলো। জোনাকি সেদিকে যেতে দেখে লিফটের বাটন চেপে দিলো। জোনাকি দৌড়ে গিয়েও লিফটে উঠতে পারলো না। হাত ঘড়িতে সময় দেখে নিলো। ইন্টারভিউ টাইম শুরু হতে আর পাঁচ মিনিট বাকী। জোনাকি এখন লিফটের জন্য অপেক্ষা করলে আর ইন্টারভিউ দিতে হবে না। তাই সিড়ি বেয়েই দৌড়ে দৌড়ে চার তালায় উঠতে লাগলো।

--"মে আই কাম ইন স্যার।"

--"কাম ইন।"

জোনাকি নিজের সার্টিফিকেট দেখতে দেখতে কেবিনে প্রবেশ করলো৷ এমডির চেয়ারে আঁধারকে দেখতে পেয়ে বেশ অবাক হলো জোনাকি। ক্ষানিকটা চেঁচিয়ে বললো,
--"আপনি?"

আঁধার একটা ফাইল চেইক করছিলো। চোখ তুলে তাকিয়ে জোনাকি'কে দেখে রাগ হলো। আজকের দিনটাই খারাপ। ঘুরেফিরে এই মেয়েটার সাথে ওর দেখা হচ্ছে আর ঝগড়া হচ্ছে। আঁধার দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
--"ইয়েস আই এম আঁধার রেজওয়ান। ওনার অফ এ. আর. গ্রুপ।"

জোনাকি আর কিছু বললো না। আঁধার আবারো ফাইল দেখায় মনোযোগ দিলো। নিচ দিকে তাকিয়েই জোনাকির দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো। জোনাকি কাঁপা কাঁপা হাতে ওর সার্টিফিকেটগুলো দিয়ে দিলো আঁধারের কাছে। আঁধার বেশ ভালো করেই দেখলো সার্টিফিকেট গুলো। তারপর বললো,
--"তো মিস জোনাকি, এই চাকরিটা কেন চাই আপনার?"

আঁধারের এমন প্রশ্নে মেজাজ খারাপ হলো জোনাকির। তেজী স্বরে বললো,
--"চাকরি দিয়ে মানুষ কি করে?"

এরকম বাঁকা উত্তর শুনে সার্টিফিকেট থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকালো আঁধার। দাঁড়িয়ে টেবিলে একটা থাবা মেরে বললো,
--"কুয়েশ্চন করেছি আন্সার দিবেন, পালটা কুয়েশ্চন করতে বলিনি।"

আঁধার এমন রিয়্যাক্ট করায় জোনাকি ভয় পেয়ে কিছুটা পিছিয়ে যায়। আঁধার সার্টিফিকেট জোনাকির দিয়ে এগিয়ে দিয়ে বললো,
--"এই পোস্ট আপনার জন্য না, আপনি আসতে পারেন।"

মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো জোনাকির। একে তো ইন্টারভিউ'র জন্য ডেকে ইন্টারভিউ নিচ্ছে না, উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করছে, রাগ দেখাচ্ছে তার উপর আবার বলছে এই পোস্ট আপনার জন্য না। আজকের দিনটাই খারাপ জোনাকির। কোন অলক্ষুণে যে এই আঁধার রেজওয়ান এর সাথে সকাল সকাল দেখা হলো ভেবে পায় না ও। বদ, রাগী রাক্ষস একটা লোক। মনে মনে আরো অনেক কিছু বলেই বকাঝকা করলো আঁধারকে। তারপর আঁধারের হাত থেকে নিজের সার্টিফিকেটগুলো ছোঁ মেরে নিয়ে বললো,
--"আপনার মতো বদ লোকের অফিসে আমিও চাকরি করবো না, হুহ।"

কথাটা বলেই হনহনিয়ে বেরিয়ে গেলো জোনাকি। আঁধার জোনাকির যাওয়ার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে। দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
--"এই মেয়ের সাহস হলো কি করে আমাকে বদ লোক বলার? একে তো সায়েস্তা করতেই হবে।"

কথাগুলো বিড়বিড় করে বলে কাউকে ফোন লাগালো। ফোন রিসিভ হতেই আঁধার বললো,
--"হ্যাঁ সোহেল? একটু আগে আমার কেবিন থেকে যে মেয়েটা বেরিয়ে গেলো ওকে এক্ষুনি আমার কেবিনে পাঠাও।"

--"স্যার মিস জোনাকি তো লিফটে উঠে গেছেন।"

--"নিচে রিসিপশনে ফোন করে জানিয়ে দাও।"

--"ওকে স্যার।"

খট করে লাইন কেটে দিলো আঁধার। চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে ভাবতে লাগলো জোনাকির সাহসের কথা।

লিফট থেকে বেরিয়ে অন্যমনস্ক ভাবে হাঁটছে জোনাকি। এই চাকরিটাও হলো না। খুব শীঘ্রই একটা চাকরি জোগার করতে হবে। পরিবারের হাল ধরতে হবে তো। বাবার পেনশনের টাকায় তো আর বেশিদিন যাবেও না। অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রিসিপশন থেকে একটা মেয়ে এসে বললো,
--"আপনি জোনাকি?"

--"হ্যাঁ, কেন?"

--"স্যার আপনাকে ইমিডিয়েটলি উনার কেবিনে ডেকেছেন।"

জোনাকি ভ্রু কুঁচকে ফেললো। অস্ফুটস্বরে বললো,
--"স্যার আমায় ডেকেছেন___"

--"হ্যাঁ, আঁধার স্যার এক্ষুনি ডেকেছেন আপনাকে। উনি কিন্তু আবার লেট করা একদমই পছন্দ করেন না।"

কথাটা বলেই মেয়েটা চলে গেলো৷ জোনাকি ভাবলো যাবে না আর। পরমূহুর্তেই আবার ভাবলো যদি চাকরিটা দেওয়ার জন্য ডাকে? ওর তো চাকরিটা দরকার। এই ভেবে জোনাকি আবারো আঁধারের কেবিনের যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।

-

--"তো মিস জোনাকি চাকরিটা চাই আপনার?"

আঁধারের কথায় জোনাকি বিরক্তি চোখে তাকালো আঁধারের দিকে। দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
--"এটা জিজ্ঞেস করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন? চাকরিটা চাই বলেই ইন্টারভিউ দিতে এসেছি। সামান্য এইটুকু কমনসেন্স নেই আপনার? আর এত বড় অফিস সামলাচ্ছেন, ভাবার বিষয়।"

--"হোয়াট ননসেন্স।"

--"কেন ডেকেছেন সরাসরি বলেন, নয়তো আমি চললাম, এখানে দাঁড়িয়ে থেকে সময় নষ্ট করার মতো সময় আমার কাছে নেই।"

--"চাকরিটা হবে, তবে কিছু কান্ডিশন আছে আমার।"

জোনাকি ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
--"কি?"

--"লেইটে অফিসে ঢোকা যাবে না, ঠিক সাড়ে নয়টা'র মধ্যে অফিস থাকা লাগবে, কাজে হেরফের চলবে না____"

এরকম আরো শর্ত জুড়ে দিলো আঁধার৷ জোনাকি বেশ কিছুক্ষণ ভেবে বললো,
--"আমি রাজি।"

আঁধার একটা পেপার এগিয়ে দিয়ে বললো,
--"সাইন করুন এখানে।"

জোনাকি কিছু না ভেবেই সাইন করে দিলো। আঁধার পেপারটা নিয়ে বাঁকা হেসে বললো,
--"সো মিস জোনাকি, ইউ উইল জয়েন দ্যা অফিস ফ্রম টুমরো। ইউ ক্যান গো নাউ।"

জোনাকি সম্মতি জানিয়ে নিঃশব্দে বেরিয়ে গেলো কেবিন থেকে। আজ ও ভীষণ খুশি, ফাইনালি একটা চাকরি যোগার করতে পেরেছে৷ এবার সব ভালো হবে। মনে মনে এসব ভেবে প্রশান্তির হাসি হাসলো জোনাকি।

অন্যদিকে আঁধার জোনাকির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বললো,
--"আঁধার রেজওয়ান এর মুখে মুখে কথা বলা? আঁধার রেজওয়ান'কে অন্ধ বলা, আঁধার রেজওয়ান এর সাথে উঁচু গলায় কথা বলার ফল আপনি কাল থেকে হারে হারে টের পাবেন মিস জোনাকি। বি রেডি।"

চলবে~

29/11/2024

"এই দেখ দেখ মেয়েটা কতো সুন্দর " দেখতে পুরাই হেব্বি।

"স্কুলে যাচ্ছিলাম। মাত্র ক্লাস টেনে পা দিয়েছি। হঠাৎ পেছনে কতো গুলো ছেলে উপরোক্ত কথাটি বলেছে। আমি পেছনে না তাকিয়ে সোজা হাঁটতে লাগলাম। তাও ঠিক ছিলো। কিন্তু একই ঘটনা প্রতিদিন ঘটতে লাগলো। মাকে কিছুই বলতে সাহস কুলাচ্ছিলোনা। কারণ মা হয়তো টেনশন করবে আমায় নিয়ে।

" আজকে আবার স্কুলে যাচ্ছিলাম কিন্তু আজ ব্যতিক্রম ঘটেছে। আজ ছেলেগুলো রীতিমতো ইভটিজিং এর চেয়েও বেশি অসভ্যতামো আর বাজে আচরণ করেছে। কোনোরকমে বাসায় এসেছি। মা আমাকে মন মরা দেখে বললো,

"কি হয়েছে মা?

" কিছুনা মা।

"বলনা মা..

" এইবার আর না বলে পারলাম না। কেঁদে কেঁদে সবটা আম্মুকে বলেছি। কিন্তু কিছু করার নেই। থাকি চট্টগ্রামে ভাড়া, পারিবারিক ব্যবসার জন্য। স্থানীয় না বলে মুখ খুলতে ভয় পেয়েছি। মেয়ে মানুষ আমরা। ভয়তো থাকবেই। কিন্তু আমি আর পারছিলাম না। এরপর ভাবলাম না,এইবার কিছু করতে হবে। বোরকা পড়া শুরু করলাম এইসব উত্যক্ত থেকে বাঁচতে। আলহামদুলিল্লাহ.. এখন ইভটিজিং নয়, রেসপেক্ট করে।

#গল্পটা সম্পূর্ণ সত্যি ঘটনা অবলম্বনে।

29/11/2024

স্ত্রীকে কেন ভালো লাগে না পুরুষের.....!!সকল পুরুষের পড়া উচিৎ!

আমার স্ত্রী দেখতে অসুন্দর নয়।তবু কেনো জানি তাকে এখন আর ভালো লাগে না।আমাদের বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর হলো।তিন বছর বয়সী একটা ছেলে সন্তান রয়েছে।

অফিস থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে যাই।ফিরি রাত করে।কারণ বাসায় যেতে ইচ্ছে করে না।অথচ বিয়ের শুরুর দিকে শুধুমাত্র স্ত্রীর টানে অফিস থেকে বেরিয়ে ছুটতাম বাসার দিকে। অফিস না থাকলে সারাদিন বাসায় থাকতাম।ওকে নিয়ে ঘুরতে যেতাম। কী যে ভালো লাগতো স্ত্রীকে তখন!

আর এখন ওর দিকে তাকাতে ইচ্ছে করে না।কথা বলতে ইচ্ছে করে না।ও আশেপাশে থাকলে বিরক্ত লাগে।বাইরে থাকা অবস্থায় ওর ফোন এলে ধরি না।মেসেজ পাঠালে দেখি না।আর বাসায় থাকা অবস্থায় ও কিছু বললে অনাগ্রহের সাথে হু হা করে চুপ করে থাকি।

আর রাতে যদি ও কাছে আসতে চায় আমি রূঢ় ভাষায় বলি জ্বালাতন করো না।সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে আছি। ঘুমাতে দাও।

আসলে ক্লান্তি ট্লান্তি কিছু না স্ত্রীকে ভালো লাগে না এটাই মূল কথা।

কেনো এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না।এই সমস্যা যে একা আমার হচ্ছে তা নয়।আমি আরো অনেক পুরুষের মধ্যে এই সমস্যা দেখেছি।তাদের কেউ কেউ স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে পরকীয়া করছে। আমি নিজে এখনো পরকীয়া করি নি।তবে করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

কেনো পুরুষেরা একটা সময় স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এটা জানার জন্য আমি যতো পুরুষের সাথে কথা বলেছি তাদের সবার উত্তর ছিলো এরকম এটাই তো স্বাভাবিক এক জিনিস কী আর বেশিদিন ভালো লাগে?

তাদের উত্তরটা আমার কাছে সঠিক মনে হয় নি। কারণ এক জিনিস বেশিদিন ভালো না লাগা যদি স্বাভাবিক হতো তাহলে স্ত্রীদের ক্ষেত্রেও সেটা হতো।কিন্তু তা তো হচ্ছে না স্ত্রীরা বিয়ের যতো বছর পরই হোক তারা ঠিকই আগ্রহ নিয়ে স্বামীর সাথে কথা বলতে চায়। ঘুরতে যেতে চায়।মিলিত হতে চায়।

একটা সময় আমার মনে হলো এটা কি পুরুষের কোনো মানসিক সমস্যা? ডাক্তার দেখালে কি ভালো হয়ে যাবে?আমি দ্বিধান্বিত মনে একদিন গোপনে এক মানসিক ডাক্তারের কাছে গেলাম।

ডাক্তার আমার সমস্যার কথা শোনার পর বললেন আপনি কি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন!

বললাম জী করি।

আল্লাহর একটা নির্দেশের কথা আপনাকে বলবো। যদি মানতে পারেন তাহলে আপনার এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।কোনো ওষুধপত্র লাগবে না গ্যারান্টি দিচ্ছি।

কী সেটা?

"সুরা আন নূরে আল্লাহ বলেছেন হে নবী পুরুষদের বলে দাও তারা যেনো নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য বেশি পবিত্র পদ্ধতি

এরপর ডাক্তার দৃঢ় কণ্ঠে বললেন আল্লাহর এই নির্দেশ আপনি এক মাস পালন করুন।তারপর নিজেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।সন্দেহ নিয়ে বললাম এটাতেই কাজ হয়ে যাবে!

ডাক্তার হেসে বললেন অবশ্যই হবে।তবে আমাকে কথা দিতে হবে আল্লাহর এই নির্দেশ আপনি নিখুঁত ভাবে পালন করবেন। কোনো ফাঁকি দেবেন না।কথা দিলাম। ফাঁকি দেবো না।নিখুঁত ভাবে পালন করবো।শেষে ডাক্তার বললেন এক মাস পর আমার কাছে আসবেন।

আসবো কথা দিয়ে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরুলাম। চেম্বার থেকে বেরুনোর সময় দেখলাম একটা যুবতী রূপবতী মেয়ে একজন বৃদ্ধাকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকছে। মেয়েটার দেহ দুর্দান্ত আকর্ষণীয়। আমি লোলুপ দৃষ্টিতে মেয়েটার পুরো অঙ্গের দিকে তাকাতে গেলে আচমকা মনে পড়ে গেলো আল্লাহর নির্দেশের কথা। আমি সঙ্গে সঙ্গে চোখ সরিয়ে নিলাম। এবং মাথা নিচু করে হেঁটে চলে গেলাম। এরপর পথে ঘাটে যদি কোনো মেয়ের দিকে চোখ পড়তো তবে চোখ সরিয়ে নিতাম। দৃষ্টি নত করে হাঁটতাম।

এভাবে দুদিন যাওয়ার পর অনুভব করলাম নারী শরীর দেখার জন্য ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু তখনো স্ত্রীর প্রতি টান বোধ করি নি। অস্থিরতা দূর করার জন্য মোবাইল হাতে নিলাম। এবং পর্ণ দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর হস্তমৈথুন করে নিজেকে শীতল করবো।

গুগলে পর্ণ ওয়েবসাইটের নাম লিখে সার্চ করার মুহূর্তে আল্লাহর নির্দেশের কথা মনে পড়ে গেলো। সাথে সাথে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম। এবং মোবাইল রেখে দিলাম।

এর পরদিনের কথা বলি। আপনাদের বলেছিলাম আমি পরকীয়া না করলেও পরকীয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি ঘটনা হলো আমার এক বন্ধুর পরিচিত এক মেয়ের সাথে গোপন এক সম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করেছে। মেয়েটি প্রবল যৌন আকর্ষণীয়।ঠিক করেছিলাম মেয়েটিকে নিয়ে কয়েকদিনের জন্য কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসবো।আমি যে বিবাহিত এটা মেয়েটিকে বলি নি।

সেই মেয়েটি ঐদিন সন্ধ্যায় ফোন দিলো।আমি তখন অফিস থেকে বেরিয়েছি ওর ফোন দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠলোকিন্তু ফোনটা ধরার সময় মনে পড়লো আল্লাহর নির্দেশের কথা।তৎক্ষণাৎ মনকে শক্ত করলাম।এবং ফোনটা ধরলাম না।মেয়েটা যতোবারই ফোন দিলো ধরলাম না।

এভাবে দৃষ্টি সংযত রেখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে পনেরো দিন কাটানোর পর লক্ষ্য করলাম আমার মাথায় স্ত্রীর ভাবনা ছাড়া আর কিছু কাজ করছে না।

সেদিন অফিস থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের আড্ডায় না গিয়ে উন্মাদের মতো ছুটলাম বাসার দিকে।

বাসায় ঢুকেই ব্যাকুল হয়ে ডাকলাম এষা কোথায় তুমি স্ত্রী তখন রান্নাঘরে ছিলো।আমার চিৎকার শুনে দৌড়ে এলো। কারণ স্ত্রীর নাম ধরে বহুদিন ডাকি নি।

ও আশ্চর্য হয়ে বললো কী হয়েছে তোমার? ডাকছো কেনো?সে কথার জবাব না দিয়ে কাঁধ থেকে অফিসের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে স্ত্রীকে ঝট করে পাঁজা কোলে তুলে নিলাম।বিয়ের শুরুর দিকে যেমন করতাম।

সে ততোক্ষণে আমার উদ্দেশ্য বুঝে গেছে।সে লজ্জায় লাল হয়ে বললো ছেলেটা ঘুমাচ্ছে।ও জেগে যাবে।কী করো কী করো?স্ত্রীকে পাঁজা কোলে করে রুমে যেতে যেতে আচ্ছন্ন স্বরে বলতে লাগলাম "ভালোবাসি এষা। ভালোবাসি।

পরদিন ডাক্তারের কাছে গেলাম।

ডাক্তার বললেন, "এখনো তো এক মাস পার হয় নি।"

হেসে বললাম, "সমস্যা দূর হয়ে গেছে। আমি এখন বুঝতে পেরেছি কেনো পুরুষেরা স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে? অতীতের ভুল আর কখনো করবো না।"

ডাক্তার বললেন, "স্বাগতম আপনাকে। আপনার সংসারের জন্য আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।"

ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে খুশিয়াল গলায় বললাম, "ধন্যবাদ আল্লাহ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।"

___(লেখা: সংগৃহীত)

সন্ধ্যার নাস্তায় কে কি খেয়েছেন আপুরা
24/10/2024

সন্ধ্যার নাস্তায় কে কি খেয়েছেন আপুরা

খিচুরি ডিম ভাজা মাছ ভাজা সেই কি টেস্ট 😋😋😋
24/10/2024

খিচুরি ডিম ভাজা মাছ ভাজা
সেই কি টেস্ট 😋😋😋

আমার দুপুরের খাবার। আলহামদুলিল্লাহ আপনারা কে কি খেয়েছেন?
23/10/2024

আমার দুপুরের খাবার। আলহামদুলিল্লাহ
আপনারা কে কি খেয়েছেন?

কে কে খাবেন 😋
23/10/2024

কে কে খাবেন 😋

23/10/2024

আসসালামু আলাইকুম
শুভ সকাল
কেমন আছেন সবাই

ভেলপুরি.....! ❤️
21/10/2024

ভেলপুরি.....! ❤️

Kmn acen sobai
09/10/2024

Kmn acen sobai

07/08/2024
হাসু আপা মিষ্টি না খেয়েই পালিয়ে গেল😂🇧🇩
06/08/2024

হাসু আপা মিষ্টি না খেয়েই পালিয়ে গেল😂🇧🇩

বাংলাদেশ আজকে থেকে স্বাধীন। আগষ্ট ০৫, ২০২৪
05/08/2024

বাংলাদেশ আজকে থেকে স্বাধীন।
আগষ্ট ০৫, ২০২৪

05/08/2024

আজকে থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করা হলো 🇧🇩
- ৩৬ জুলাই , ২০২৪

04/08/2024

সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের ঘোষণা।VPN ছাড়া কিছু চলে না 🥹🥹🥹

বিকালের নাস্তা..চা পুরি 😋
02/08/2024

বিকালের নাস্তা..চা পুরি 😋

Address

Feni

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Saif er ammu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share