স্বামী ও স্ত্রীর আদর্শ জীবন

  • Home
  • Bangladesh
  • Feni
  • স্বামী ও স্ত্রীর আদর্শ জীবন

স্বামী ও স্ত্রীর আদর্শ জীবন আল্লাহর দ্বীন সঠিকভাবে প্রচার করাই এ পেইজের মূল উদ্দেশ্য

তালাক প্রাপ্তা মেয়ের অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইলে বরপক্ষকে কি পূর্বের বিয়ে সম্পর্কে জানানো জরুরি?▬▬▬🔹💔🔹▬▬▬প্রশ্ন: একটা মেয়ের ...
25/11/2024

তালাক প্রাপ্তা মেয়ের অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইলে বরপক্ষকে কি পূর্বের বিয়ে সম্পর্কে জানানো জরুরি?
▬▬▬🔹💔🔹▬▬▬
প্রশ্ন: একটা মেয়ের আগে খোলা তালাক হয়েছিলো। বিয়েটা ছোট থাকতেই দেওয়া হয়েছিলো। সে বাবার বাড়িতেই থাকতো। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে তার খোলা তালাক নেয়া হয়। এখন মেয়েটির অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে হলে কি বরপক্ষকে আগের কথাগুলো সব জানানো আবশ্যক?

উত্তর:
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য 'মেয়েটির পূর্বে একবার বিয়ে হয়েছিলো' এ কথা নিজ থেকে বর পক্ষকে জানানো জরুরি না হলেও ভবিষ্যৎ বিশৃঙ্খলা ও সমস্যা থেকে বাঁচার স্বার্থে বিষয়টি তাদের সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন মনে করি- স্বচ্ছতা রক্ষা এবং সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে। কেননা বিয়ের সময় যদি তা গোপন করা হয় এবং বরপক্ষকে বলা হয় যে, মেয়েটি কুমারী/অবিবাহিত কিন্তু বাস্তবে কুমারী/অবিবাহিত না হয় তাহলে তা প্রতারণা এবং মিথ্যা হিসেবে পরিগণিত হবে-যা এক দিকে গুনাহের কারণ হবে, অপর দিকে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে তাদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
সুতরাং ভবিষ্যতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর যেন এ নিয়ে সমস্যা তৈরি না হয় তাই অগ্রিম মেয়ের অবস্থা সম্পর্কে বরপক্ষকে জানানো ভালো।

উল্লেখ্য যে, ইসলামের বিধান হল, বিয়ের সময় বর যদি শর্ত করে যে, মেয়েকে কুমারী হতে হবে (যেমন: কাবিন নামায় যদি লেখা থাকে যে, "কনে কুমারী না কি বিবাহিত" তাহলে এটাই শর্ত হিসেবে পরিগণিত হবে।) কিন্তু বিয়ের পরে যদি প্রমাণিত হয় যে, মেয়েটি কুমারী নয় (বিবাহের মাধ্যমে হোক অথবা জিনার মাধ্যমে হোক) তাহলে শর্ত লঙ্ঘন হওয়ার কারণে স্বামীর অধিকার রয়েছে উক্ত স্ত্রীকে তালাক দেয়ার। আল্লাহু আলাম।
▬▬▬🔹💔🔹▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

14/11/2024

প্রশ্ন:ইসলামী শরীয়ত স্ত্রী সহবাসের সুন্নাহ সম্মত প্রদ্ধতি কি?স্ত্রী গর্ভবতী হলে সহবাসে কোন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কি?সহবাসের নিষিদ্ধ কোন সময় আছে কি? বিস্তারিত জানতে চাই।
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করার সাথে সাথে তার জীবন ধারণের জন্য কিছু চাহিদা দিয়েছেন এবং চাহিদা মিটানোর পদ্ধতিও বলে দিয়েছেন। মানব জীবনে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যায় জৈবিক চাহিদাও গুরুত্বপূর্ণ। এই চাহিদা পূরণের জন্য ইসলাম বিবাহের বিধান দিয়েছে। ইসলামের প্রতিটি কাজের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সহবাস তার ব্যতিক্রম নয়।ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে দিবারাত্রে স্বামী স্ত্রীর যখন সুযোগ হয়, তখনই সহবাস বৈধ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেত স্বরূপ। সুতরাং তোমরা তোমাদের ক্ষেতে যেভাবে ইচ্ছা গমন কর’[সূরা বাক্বারাহ ২২৩] আল্লাহ এখানে স্ত্রীদের সাথে সংগমের কোন সময়, দিন তারিখ বা নিয়মনীতি বেঁধে দেননি।তবে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত কয়েকটি নিষিদ্ধ সময় আছে, যাতে স্ত্রী সম্ভোগ বৈধ নয়।সেটা শেষে উপস্থাপন কবরো তার পূর্বে সহবাসের সুন্নাহ সম্মত প্রদ্ধতি ইনশাআল্লাহ। যেমন:-

▪️(১)- নিয়ত খালেস করে নেয়া। অর্থাৎ, কাজটির মাধ্যমে নিজেকে হারাম পথ থেকে বিরত রাখার, মুসলিম উম্মাহর সংখ্যা বৃদ্ধি করার এবং সাওয়াব অর্জনের নিয়ত করা। এ মর্মে হাদীস দেখুন [সহীহ মুসলিম ১০০৬, আহমাদ ২১৪৮২,সিলসিলা সহীহা ৪৫৪,মিশকাত,১৮৯৮]

▪️(২)- সহবাসের সময় শৃঙ্গার তথা চুম্বন, আলিঙ্গন, মর্দন ইত্যাদি করা। হাদিসে এসেছে, كان رسول الله ﷺ يُلاعبُ أهله ، ويُقَبلُها রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করতেন। [বুখারী ১৯২৭, মুসলিম ১১০৬, আবূ দাঊদ ২৩৮২,তিরমিযী ৭২৯ যাদুল মা’আদ ৪/২৫৩]

▪️(৩)- সহবাসের শুরু করার সময় দোয়া পড়া– بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আমাদেরকে তুমি শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে তুমি যা দান করবে (মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে) তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখ।[সহীহ বুখারী হা/১৪১, ৫১৬৫; মুসলিম হা/১৪৩৪; বুলূগুল মারাম হা/১০২০]

▪️(৪)- যেকোনো আসনে স্ত্রী সহবাসের অনুমতি ইসলামে আছে। মুজাহিদ রহ. نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ (তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেতস্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই ইচ্ছা তোমাদের ক্ষেতে গমণ কর।)-এই আয়াতের তফসিরে বলেন, قَائِمَةً وَقَاعِدَةً وَمُقْبِلَةً وَمُدْبِرَةً فِي الْفَرْجِ ‘দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায়, সামনের দিক থেকে এবং পিছনের দিক থেকে (সঙ্গম করতে পারো, তবে তা হতে হবে) স্ত্রীর যোনিপথে অন্য পথে নয় [তাফসীর তাবারী ২/৩৮৭-৩৮৮ মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৪/২৩২]

▪️(৫).স্ত্রী সহবাসের পর ঘুমানোর পূর্বে ওযূ করা : সহবাসের পরে ঘুমাতে ও পানাহার করতে চাইলে কিংবা পুনরায় মিলিত হ’তে চাইলে মাঝে ওযূ করে নেওয়া সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,তিন ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে না; কাফের ব্যক্তির লাশ, জাফরান ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র ব্যক্তি যতক্ষণ না সে ওযূ করে’।[আবুদাউদ হা/৪১৮০; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৭৩, সনদ হাসান।

▪️(৬)-.একবার সহবাসের পর পুনরায় সহবাস করতে চাইলে অজু করে নেয়া মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,যখন তোমাদের কেউ নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর আবার সহবাস করতে চায় তখন সে যেন এর মাঝখানে ওযু করে নেয়। কেননা, এটি দ্বিতীয়বারের জন্য অধিক প্রশান্তিদায়ক।[সহীহ মুসলিম,৩০৮ মিশকাত,৪৫৪]তবে গোসল করে নেয়া আরো উত্তম। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, هَذَا أَزْكَى وَأَطْيَبُ وَأَطْهَرُ এরূপ করা অধিকতর পবিত্র, উত্তম ও উৎকৃষ্ট। [মুসনাদে আহমেদ, ২৩৩৫০ আবু দাউদ ২১৯ মিশকাত,৪৭০]

▪️(৭)সহবাসের সময় স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো জায়েয আছে এতে স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতিও নেই[আবূ দাঊদ ৪০১৯, তিরমিযী ২৭৯৪ আল মুগনী ৭/৭৭] ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৭৬৬]

🔰শরী‘আতে সহবাসের কিছু শিষ্টাচার ও নীতিমালা নির্দেশ করা হয়েছে।সেই নির্দেশনার আলোকে স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধ সময় যেমন,
_____________________________
(ক) প্রসবোত্তর স্রাব অথবা ঋতু স্রাব থাকাকালীন সহবাস করা হারাম [সূরা আল-বাক্বারাহ,২২২]।

নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঋতুবতী নারীর সাথে সহবাস করে সে মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা (কুরআন) অবিশ্বাস করে’[তিরমিযী, হা/১৩৫; ইবনু মাজাহ, হা/৬৩৯, সনদ সহীহ]। তবে এমতাবস্থায় শুধু সহবাস ছাড়া অন্যান্য সব কাজ করা যাবে (ছহীহ মুসলিম, হা/৩০২)।কিন্তু কেউ যদি এই অবস্থায় সঙ্গম করে,তাহলে তার উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।এমন অবস্থায় তওবার পাশাপাশি কাফফারা স্বরূপ এক দীনার বা অর্ধ দীনার গরীব-মিসকীনকে দান করতে হবে [তিরমিযী, আবুদাঊদ হা/২৬৪; ইরওয়া হা/১৯৭; মিশকাত হা/৫৫৩]। আর এক দীনার হ’ল ৪.২৫ গ্রাম স্বর্ণের সমপরিমাণ। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৪/১৫ তবে শারঈ বিধান না জেনে অজ্ঞতাবশতঃ কিংবা ভুলক্রমে করে ফেললে তওবা করাই যথেষ্ট হবে [সহীহ মুসলিম হা/১২৬; ইবনুল উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতি‘ ১/৫৭১]

🔸(খ) স্ত্রীর পায়ুপথে সঙ্গম করা হারাম। বর্তমানে যাকে ‘এন্যাল সেক্স’ বা পায়ূ সেক্স বলে। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِيْ دُبُرِهَا فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‘যে তার স্ত্রীর পশ্চাদদ্বারে সঙ্গম করে, সে যেন আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক মুহাম্মদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর নাযিলকৃত দ্বীন হতে মুক্ত হয়ে গেল’[আবূ দাঊদ, হা/৩৯০৪; তিরমিযী, হা/১৩৫; ইবনু মাজাহ, হা/৬৩৯]

এমনকি আল্লাহ তা‘আলা তার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না এবং সে অভিশপ্ত [তিরমিযী, হা/১১৬৬; ইবনু মাজাহ, হা/১৯২৩, সনদ হাসান; আবূ দাঊদ, হা/২১৬২] অতএব স্ত্রীর পায়ুপথে সঙ্গম করা কোনক্রমেই বৈধ নয়। এটা অসভ্য ও বিজাতীয়দের ঘৃণ্য অপকর্ম।

🔸(গ) স্বামী-স্ত্রীর লজ্জাস্থানে মুখ লাগানো উচিত নয়। যাকে বর্তমানে ‘ওরাল সেক্স’ বলে। মুখ গহ্বর কিংবা জিহ্বা দ্বারা একে অপরের যৌনাঙ্গ চুষা (ঝঁপশ) বা লেহন করা। যা কোন সভ্য ও রুচিশীল মানুষের আচরণ হতে পারে না। এটা অপবিত্র এবং অন্যজন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা অপবিত্র বস্তুসমূহকে হারাম করেছেন [সূরা আল-আ‘রাফ : ১৫৭] অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘নিজের কোন অনিষ্টতা বা ক্ষতি এবং পরস্পরে কারোর ক্ষতি করা যাবে না’[ইবনু মাজাহ, হা/২৩৪০,২৩৪১; সনদ ছহীহ, ছহীহুল জামে‘, হা/৭৫১৭; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৫০; বিস্তারিত দ্র. : ইসলাম ওয়েব, ফাতাওয়া নং-২১৪৬, ৫০৭০৮] এটা রুচিহীন, বিকারগ্রস্ত বেহায়া জাতির অপকর্ম।

🔸(ঘ) রামাযান মাসের দিনের বেলায় ছিয়াম থাকাবস্থায় সহবাস করা হারাম [সূরা আল-বাক্বারাহ :১৮৭]। কেউ যদি সিয়াম অবস্থায় সঙ্গম করে,তাহলে সিয়ামের কাযা কাফফারা ওয়াজিব, এতে স্বামী স্ত্রী উভয়ের সম্মতি থাকলে তাদের তাহলে উভয়ের উপর কাযা,কাফফারা অপরিহার্য হবে। কিন্তু যদি শুধু স্বামী জোর করে সহবাস করে তাহলে শুধু স্বামীর উপর কাযা কাফফারা ওয়াজিব ।
হবে স্ত্রী শুধু উক্ত সিয়ামের কাযা আদায় করবে [সহীহ বুখারী হা/১৯৩৬; মুসলিম হা/১১১১; মিশকাত হা/২০০৪; আব্দুল্লাহ বিন বায, মাজমূ ফাতাওয়া ১৫/৩০৭]

🔸(ঙ) হজ্জ বা উমরার ইহরাম অবস্থায় সহবাস হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, “সুবিদিত মাসে (যথাঃ শাওয়াল, যিলক্বদ ও যিলহজ্জে) হজ্জ হয়। যে কেউ এই মাস গুলোতে হজ্জ করার সংকল্প করে, সে যেন হজ্জ এর সময় স্ত্রী সহবাস (কোন প্রকার যৌনাচার), পাপ কাজ এবং ঝগড়া বিবাদ না করে।[সূরা আল-বাক্বারাহ :১৯৭]
কেননা যৌনমিলনের ফলেই ইহরাম বাতিল হবে

🔸(চ) যৌন মিলনের গোপন রহস্য ফাঁস করা হারাম। কেনন এই সম্পর্কে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।[সহীহ মুসলিম, হা/১৪৩৭; বিস্তারিত দ্র. : ইসলাম সুওয়াল জাওয়াব, ফাতাওয়া নং-৫৫৬০]

🔰উল্লেখ্য যে,বিভিন্ন সময়ে সহবাস করা যাবেনা মর্মে সমাজে যা কিছু চালু আছে যার শারঈ কোন দলিল নেই
সবই নিজের বানানো মনগড়া কথা যেমন:-
_____________________________
🔸(১).গর্ভবতী নারীর সাথে সহবাসের ক্ষেত্রে প্রথম তিন
মাস, শেষ তিন মাস বা এর মধ্যবর্তী সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মিলন উচিত নয় মর্মে যা বলা হয় এই বক্তব্যের শারঈ কোন দলিল নেই।বরং শারঈ নিষিদ্ধ সময় ব্যাতিত
সর্বদা সহবাস করা যায়।যদি গর্ভকালীন অবস্থা স্বাভাবিক ভাবে চলমান থাকে তাহলে সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত সহবাস করা যায়। সহবাসের সময় স্বাভাবিক নড়াচড়া গর্ভের শিশুর কোন ক্ষতি করে না। হবে এ ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা নিঃসন্দেহে উত্তম।যেমন জুযামাহ বিনতু ওয়াহাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেছেন, কিছু লোকের মধ্যে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে উপস্থিত ছিলাম, আর তিনি বলছিলেন, ‘আমি অবশ্য তোমাদেরকে ‘গীলা’ করার ব্যাপারে নিষেধ করার ইচ্ছা করেছিলাম। তারপর দেখলাম রোম ও পারস্যের লোকেরা ‘গীলা’ করে থাকে তাতে তাদের শিশু সন্তানদের কোন ক্ষতি করে না। এরপর তাকে আয্‌ল সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, -এটাতো গোপন শিশু হত্যা![মুসলিম ১৪৪২, তিরমিয়ী ২০৭৬,২০৭৭, নাসায়ী ৩৩২৬, আর দাউদ ৩৮৮২, ইবনু মাজাহ ২০১১,আহমাদ ২৬৪৯৪,
২৬৯০১,মালেক ১২৯২]
উক্ত হাদীসে গীলা' শব্দের অর্থ সন্তানকে দুধ খাওয়ান অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম করা। আবার কেউ বলেছেন, যে গর্ভবতী স্ত্রী সন্তানকে দুধ খাওয়াচ্ছে সেই মুহূর্তে তার সঙ্গে সঙ্গম করা।

🔸(২).স্বামী স্ত্রীর একে অন্যের লজ্জাস্থান দেখতে নেই, বা হযরত আয়েশা (রঃ) কখনও স্বামীর গুপ্তাঙ্গ দেখেননি, উলঙ্গ হয়ে গাধার মত সহবাস করো না, বা উলঙ্গ হয়ে সহবাস করলে সন্তান অন্ধ হবে। সঙ্গমের সময় কথা বললে সন্তান তোৎলা বা বোবা হয়’ ইত্যাদি বলে যে সব হাদীস বর্ণনা করা হয়, তার একটিও সহীহ ও শুদ্ধ নয়। [দেখুন, তুহফাতুল আরুশ ১১৮ –১১৯ পৃঃ]

🔸(৩).শুক্রবারে মিলিত হওয়ার ব্যাপারে আলী (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি ‘মুনকার’ তথা যঈফ [সিলসিলা যঈফাহ হা/৬১৯৪]

🔸(৪).বিভিন্ন দিনে মিলনের বিভিন্ন ফযীলত সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, তা শী‘আদের তৈরী জাল বর্ণনা মাত্র [খোমেনী, তাহরীরুল ওয়াসায়েল, বিবাহ অধ্যায়]

🔸(৫).স্ত্রীর সাথে রাতের প্রথম প্রহরে সহবাস করলে সন্তান মেয়ে হয় আর শেষ প্রহরে করলে সন্তান ছেলে হয় এই কথার কোন শারঈ ভিত্তি নেই। কেননা ছেলে-মেয়ে দেয়ার মালিক কেবল মাত্র আল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন [সূরা শূরা ৪৯-৫০]

🔸(৬)পশ্চিম দিকে মাথা রেখে স্ত্রী সহবাস নাজায়েজ মর্মে সমাজে যে বক্তব্য চালু আছে তার কোন ভিত্তি নেই কেননা এ বিষয়ে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখিত হয়নি [ফাতাওয়া ইমাম নববী ১৯০-১৯১ পৃ.] এছাড়াও এর বাহিরে যা কিছু সমাজে প্রচলিত রয়েছে তার সবই ভিত্তিহীন।

🔸(৭)স্ত্রীকে উপুড় করে পিছনের দিক থেকে যদি তার সাথে সঙ্গম করা হয়,তাহলে (সেই সঙ্গমে সন্তান জন্ম নিলে) তার চক্ষু টেরা হয়। এই ধারণার কোন ভিত্তি নেই যার প্রমানে মহান আল্লাহ বলেন,তোমাদের স্ত্রী তোমাদের ফসলক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের ফসলক্ষেত্রে গমন কর, যেভাবে চাও [সূরা বাকারা,২২৩]

অবশেষে,মহান আল্লাহ সবাইকে কুরআন সুন্নার আলোকে ইসলামী বিধিনিষেধ পালন করার তৌফিক দান এবং সমাজে প্রচলিত যাবতীয় কুসংস্কার থেকে হেফাজত করুন আমীন।(মহান আল্লাহই অধিক জ্ঞানী)
_____________________
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি

আসসালামু আলাইকুম,এটা খুবই বিশস্ত পেইজ।এখানে শুধু মহিলাদের দ্বীন শিক্ষা দেয়া হয়।আপনাদের মা বোনদেরও এরকম প্রতিষ্ঠানে ঘরে ব...
07/11/2024

আসসালামু আলাইকুম,

এটা খুবই বিশস্ত পেইজ।এখানে শুধু মহিলাদের দ্বীন শিক্ষা দেয়া হয়।আপনাদের মা বোনদেরও এরকম প্রতিষ্ঠানে ঘরে বসে কুরআন ও আরবী ভাষা শেখাতে পারেন।ক্লাস জুমে হয়।দক্ষ শিক্ষিকা ক্লাস নেন।
নিচের পেইজটা ফলো করতে পারেন।

https://www.facebook.com/Islamarbani72?mibextid=ZbWKwL

প্রশ্ন: কোনো এতিম মেয়েকে বিয়ে করতে চাওয়া এবং বিয়েতে কুফু মিলানো কতটা জরুরি? উত্তর: এতিম বলতে হয়ত আপনি বুঝচ্ছেন, এমন মেয়ে...
05/11/2024

প্রশ্ন: কোনো এতিম মেয়েকে বিয়ে করতে চাওয়া এবং বিয়েতে কুফু মিলানো কতটা জরুরি?

উত্তর: এতিম বলতে হয়ত আপনি বুঝচ্ছেন, এমন মেয়ে যার বাবা নেই। আসলে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরে কোনও ছেলে বা মেয়েকে শরিয়তের দৃষ্টিতে এতিম বলা যায় না। যাহোক, আপনি যদি এমন পিতৃহীন মেয়েকে বিয়ে করতে চান তাহলে তাতে কোনও সমস্যা নেই। বরং যদি আপনার উদ্দেশ্য হয়, এর মাধ্যমে একটি অসহায় পরিবারকে সাহায্য করা তাহলে এই নিয়তের কারণে অতিরিক্ত সওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ।

-ইসলামে শরিয়তের দৃষ্টিতে বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের মধ্যে কুফু (সমতা)-এর গুরুত্ব রয়েছে তবে কুফু বা সমতা বলতে কী বুঝায় এ ব্যাপারে আলেমদের দ্বিমত থাকলেও অধিক বিশুদ্ধ মতে, কুফু কেবল দ্বীনদারীর ক্ষেত্রে সমতা থাকাকে বুঝায়। অর্থাৎ আপনি এমন মেয়েকে বিয়ে করবেন, যে দ্বীনদারীর ক্ষেত্রে আপনার সমপর্যায়ের হবে। (অধিক বিশুদ্ধ মতে, বংশ, পেশা, চেহারা-সৌন্দর্য ইত্যাদি কোনও কিছুই কুফু-এর অন্তর্ভুক্ত নয়।)
সুতরাং আপনি যদি দ্বীনদার-পরহেজগার ও ইলম পিপাসু ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সমপর্যায়ের ও সম মন-মানসিকাতার স্ত্রী খুঁজবেন। যদি কোনও ফাসেক ও বদকার ও ভিন্ন মানসিকতার নারীকে বিয়ে করেন তাহলে আপনাদের দাম্পত্য জীবন দূর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। আল্লাহ ক্ষমা করুন।
আল্লাহু আলাম।

উত্তর প্রদানে :
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।

আজানের সময় আজানের জবাব আগে না কি স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া আগে? সহবাসের সময় আজানের জবাব দেয়া যাবে কি?----------------------...
01/11/2024

আজানের সময় আজানের জবাব আগে না কি স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া আগে? সহবাসের সময় আজানের জবাব দেয়া যাবে কি?
-------------------------
প্রশ্ন: আজানের সময় আজানের জবাব দিচ্ছি। এমন সময় স্বামী ডাকল অথবা কল দিল। আমার জন্য উত্তম কোনটা হবে-আজানের জবাব দেওয়া নাকি তার কল ধরা বা ডাকে সাড়া দেয়া? আর সহবাসের সময় আজানের জবাব দেয়া যাবে কি?

উত্তর:

যদি মনে হয়, স্বামীর কল ধরতে বিলম্ব হলে তিনি রাগ করবেন বা মন খারাপ করবেন তাহলে আজানের জবাব বাদ দিয়ে তার সাথে কথা বলা জরুরি।
আর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ডাকলে তার ডাকে সাড়া দেয়ার মধ্যেও আজানের জবাব দেয়ার চেষ্টা করা ভালো যদি সম্ভব হয়। কারণ কারো সাথে টুকটাক কথা বলার ফাঁকে বা কাজ করা অবস্থায় মুখে আজানের জবাব দেয়া সম্ভব।
তবে মনে রাখতে হবে, আজানের জবাব দেয়া ফরয বা ওয়াজিব নয় বরং মোস্তাহাব আর স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া ফরয। সুতরাং স্বামীর হক আগে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

অবশ্য স্বামী-স্ত্রী মিলনের সময় আজানের জবাব দেয়া ঠিক নয়:

ইমাম নওবী রহ. সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যায় বলেন:

‎ويكره للقاعد على قضاء الحاجة أن يذكر الله تعالى بشيء من الاذكار فلا يسبح ولا يهلل ولا يرد السلام ولا يشمت العاطس ولا يحمد الله تعالى اذا عطس ولا يقول مثل ما يقول المؤذن. قالوا وكذلك لا يأتي بشيء من هذه الأذكار في حال الجماع، وإذا عطس في هذه الاحوال يحمد الله تعالى في نفسه ولا يحرك به لسانه. وهذا الذي ذكرناه من كراهة الذكر في حال البول والجماع هو كراهة تنزيه لا تحريم فلا إثم على فاعله. انتهى.
‎والله أعلم.
“হাজত পূরণের জন্য (পেশাব-পায়খানার জন্য) বসা অবস্থায় সময় কোনো ধরণের আল্লাহর জিকির করা মাকরূহ (অ পছন্দনীয় কাজ)। সুতরাং এ অবস্থায় তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করবে না, সালামের জবাব দিবে না, হাঁচির জবাব দিবে না, হাঁচি দিলে আল ‘হামদু লিল্লাহ’ পড়বে না এবং মুয়াজ্জিনের অনুরূপ শব্দ উচ্চারণ করে আজানের জবাব দিবে না।

ফকিহগণ আরও বলেছেন: স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সময়ও এ সব জিকির-আজকার উচ্চারণ করবে না। তবে এ অবস্থায় হাঁচি দিলে মনে মনে আল হামদুলিল্লাহ পাঠ করবে কিন্তু জিহ্বা নেড়ে তা উচ্চারণ করবে না।
তবে এই যে পেশাব-পায়খানা এবং সহবাসের সময় জিকির পাঠ করার
মাকরূহ বা অ পছন্দনীয় হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করলাম এটা মাকরূহে তানযিহী; তাহরিমী নয়। সুতরাং কেউ যদি এমনটি করেও তাতে গুনাহ হবে না। আল্লাহু আলাম।”

আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমীন।
--------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

স্বামী ও স্ত্রীর আদর্শ জীবন

▫যেই আত্নীয়ের বাসায় কোনো ভাবেই পর্দা করে থাকার মতো পরিবেশ নাই সেখানে না গেলে কি গুনাহ হবে?উত্তর:একজন মুসলিম নারীর জন্য প...
14/10/2024

▫যেই আত্নীয়ের বাসায় কোনো ভাবেই পর্দা করে থাকার মতো পরিবেশ নাই সেখানে না গেলে কি গুনাহ হবে?

উত্তর:একজন মুসলিম নারীর জন্য পরপুরুষের সামনে পর্দা করা ফরজ। সুতরাং সে প্রয়োজনবোধে যেখানেই যাবে সেখানে অবশ্যই পরপুরুষের সামনে পরিপূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলবে। আত্মীয়দের বাড়িতে কোনও দরকারে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সেখানে বোরকা-হিজাব, হাত-পা মোজা ইত্যাদি পরিধান করে যাবে। সেখানে নন মাহরাম পুরুষদের সামনে কোনভাবেই পর্দা হীন হওয়া বা নিজের সৌন্দর্য, সাজগোজ বা অলঙ্কার ইত্যাদি প্রদর্শন করা জায়েজ নাই।
অনুরূপভাবে সেখানে নন মাহরাম পুরুষদের সামনে খোলামেলা চলা বা অবাধ মেলামেশা করা জায়েজ নাই।
তবে কোনও আত্মীয়দের বাড়িতে গেলে যদি তারা বোরকা খুলতে বা বেপর্দা চলাফেরা করতে বাধ্য করে তাহলে সেখানে যাওয়া জায়েজ নাই।
কিন্তু কোনও মুসলিম সমাজে আত্মীয়-স্বজনরা একজন পর্দানশীন নারীকে পর্দা খুলতে বাধ্য করে বলে আমার জানা নাই। কোথাও এমনটা করলে সে পরিবার বা সমাজ দ্বীন হীনতার ভয়াবহ ব্যাধিতে আক্রান্ত। তাদের আশু চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তাদের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে, দ্বীনের সঠিক শিক্ষা প্রচার ও সংশোধনের কাজ করতে হবে। অন্যথায় তারা হয়ত অচিরেই আল্লাহর গজবে নিপতিত হবে।
আল্লাহ ক্ষমা করুন। আমিন।

উত্তর প্রদানে - শায়েখ আব্দুল্লাহহীল হাদী (হাফিঃ)

বর্তমান সমাজে বিশাল বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিয়ের পর বাবার পরিবারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকা। এই সংঘাত যৌথপরিবারের এক চিরচেনা ...
21/09/2024

বর্তমান সমাজে বিশাল বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিয়ের পর বাবার পরিবারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকা। এই সংঘাত যৌথপরিবারের এক চিরচেনা রূপ। আমি বহু দ্বিনি ভাইকেও এই সংঘাতের চিপায় অসহায়ভাবে আটকে থাকতে দেখেছি। করণীয় কী?

সমাধান এতো সহজ নয় বিশেষ করে এই জাহেলিয়াতের যুগে। এই জন্য আমি প্রায়ই বলি,

"হালাল খাবার না পেলে হারামে ঝাপিয়ে পরবো তাই আমার বিয়ে করা দরকার।" এই টেন্ডেন্সি আপনাকে সাংসারিক জীবনে লম্বা সময় সারভাইভ করতে দিবে না। চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করে যথা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে তারপর বিয়ে করুন।"

প্রতিটা মেয়ের কিছু ব্যাসিক চাহিদা থাকে যেমন। উদাহরণস্বরূপ- আমার এমন একটা সংসার হবে যেখানে,

১. আমার একটা নিজের ঘর থাকবে, যা আমি স্বাধীনভাবে সাজিয়ে নিবো।

২. আমার নিজের একটা পাকঘর থাকবে, যেখানে আমি আমার ইচ্ছেমত নিত্যনতুন রেসিপি ট্রাই করতে পারবো। পাছে তেল, চিনি, নুন অপচয়ের খোঁটা দেয়ার কেউ থাকবে না।

৩. একটা প্রাইভেট স্পেস থাকবে যেখানে আমার স্বামী ব্যতীত অন্যকেউ জবাবদিহি চাইতে আসবে না।
৪. স্বামীর কাছে যে কোনো ছোটোখাটো আবদার বড়সড় করে দাবী করে বসলে পাছে কেউ "ন্যাকামো" বলে তাচ্ছিল্যের তীর ছুড়বে না।

৫. স্বামীর সাথে একান্তে সময় কাটালে বাঁকা চোখে কেউ তাকিয়ে থাকবে না৷

৬. সামাজিকতার নামে গায়রে মাহরাম আত্মীয়দের সামনে স্বামীর পরিবার ঠেলে পাঠাবে না৷

৭. প্রাপ্ত বয়স্ক দেবরকে প্রতিদিন খাবার বেড়ে দেয়ার ছুঁতোয় তার সামনে যেতে হবে না।

৮. শাশুড়ী ননদদের নোংরা রাজনীতির স্বীকার হয়ে স্বামীর চক্ষুশূল হতে হবে না।

৯. যেখানে আমাকে মূল্যবান নেয়ামত ভাবা হবে, কাজ করার যন্ত্র ভাবা হবে না।

১০. যেখানে আমাকে এবং আমার পরিবারকে যথাযথ মর্যাদা দেয়া হবে, লাঞ্চিত করা হবে না।

ইত্যাদি ইত্যাদি, নানারকম স্বপ্নে তারা বিভোর। আর এগুলো তাদের হালাল যৌক্তিক স্বপ্ন। যেখানে নসিহা করার অধীকার কারো নেই। অথচ খুব সামান্য পরিমাণ মেয়েই তাদের এই মৌলিক চাহিদার কাছাকাছি পৌছতে পারে। বিশাল একটা অংশই হয় পুরোপুরি বঞ্চিত ও লাঞ্চিত।

আপনাদের জানা আছে কিনা আমি জানি না। তবে বাংলাদেশের বিশাল সংখক মেয়ে বিয়ে করতে ভয় পায়, এতোটাই ভয় পায় যে বিয়ের নাম শুনলেই তারা আতকে ওঠে। কারন সে তার মায়ের সাথে একটা লম্বা সময় তার বাবার বাড়ির পরিবার থেকে এমন কিছু ঘটতে দেখে যা সে প্রতিটা মুহূর্ত একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নভেবে ভুলে যেতে চায়। কিন্তু সম্ভব হয় না।

©

Address

Feni

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স্বামী ও স্ত্রীর আদর্শ জীবন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category