24/12/2024
বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক এক্সপেন্সিভ হয়ে যাচ্ছে না !!??
বর্তমান যুগে শিক্ষার খরচ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। একটি সময় ছিল যখন শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে সহজলভ্য ছিল। কিন্তু আজকের বাস্তবতায় শিক্ষার খরচ এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যে এটি অনেকের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
শিক্ষার বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ এই সমস্যার অন্যতম কারণ। অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উচ্চ টিউশন ফি, ভর্তি ফি, এবং অন্যান্য খরচ আরোপ করে শিক্ষাকে একটি পণ্য হিসেবে বিক্রি করছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের খরচ, শিক্ষকদের উচ্চ বেতন, এবং অবকাঠামো উন্নয়নের নামে বাড়তি চাপ শিক্ষার্থীদের এবং তাদের পরিবারের ওপর পড়ে।
এই খরচের প্রভাব সমাজে অসাম্য সৃষ্টি করছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারগুলো উচ্চশিক্ষার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে, যা পরবর্তীতে তাদের আর্থিক সংকটে ফেলে দেয়। অন্যদিকে, দরিদ্র শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগই পাচ্ছে না।
সমাধান কী হতে পারে?
সরকারের উচিত শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা।
দরিদ্র এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে।
শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করে মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
প্রযুক্তি ব্যবহারের খরচ কমানোর জন্য সাবসিডি দিতে হবে।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এটি কোনো পণ্য নয়, এটি প্রতিটি মানুষের অধিকার। শিক্ষার ক্রমবর্ধমান খরচ আমাদের জাতি ও সমাজকে পিছিয়ে দিচ্ছে। সময় এসেছে সচেতন হওয়ার, শিক্ষাকে সবার জন্য সহজলভ্য করার। আসুন, আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি যাতে শিক্ষা প্রতিটি শিশুর অধিকার হয়ে ওঠে, বিলাসিতা নয়।