Krishna vokto

Krishna vokto নিত্যদাস��

🥀🙏একাদশী বার্তা🙏🥀🥀রমা_একাদশীর_মাহাত্ম্যএকসময় যুধিষ্ঠির মহারাজ শ্রীকৃষ্ণকে বললেন---হে জনার্দন! কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ...
27/10/2024

🥀🙏একাদশী বার্তা🙏🥀

🥀রমা_একাদশীর_মাহাত্ম্য
একসময় যুধিষ্ঠির মহারাজ শ্রীকৃষ্ণকে বললেন---হে জনার্দন! কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম ও মাহাত্ম্য কৃপা করে আমায় বলুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন---হে রাজন! মহাপাপ দূরকারী সেই একাদশী ‘রমা’ নামে বিখ্যাত। আমি এখন এর মাহাত্ম্য বর্ণনা করছি, আপনি তা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করুন। পুরাকালে মুচুকুন্দ নামে একজন সুপ্রসিদ্ধ রাজা ছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্র, যম, বরুণ ও ধনপতি কুবেরের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল।
ভক্তশ্রেষ্ঠ বিভীষণের সাথেও তার অত্যন্ত সদ্ভাব ছিল। তিনি ছিলেন বিষ্ণুভক্ত ও সত্যপ্রতিজ্ঞ। এইরূপে তিনি ধর্ম অনুসারে রাজ্যশাসন করতেন। চন্দ্রভাগা নামে তার একটি কন্যা ছিল। চন্দসেনের পুত্র শোভনের সাথে তার বিবাহ হয়েছিল। শোভন একসময় শ্বশুর বাড়িতে এসেছিল। দৈবক্রমে সেইদিন ছিল একাদশী তিথি। স্বামীকে দেখে পতিপরায়ণা চন্দ্রভাগা মনে মনে চিন্তা করতে লাগল-হে ভগবান! আমার স্বামী অত্যন্ত দুর্বল, তিনি ক্ষুধা সহ্য করতে পারেন না। এখানে আমার পিতার শাসন খুবই কঠোর। দশমীর দিন তিনি নাগরা বাজিয়ে ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, একদশী দিনে আহার নিষিদ্ধ। আমি এখন কি করি! রাজার নিষেধাজ্ঞা শুনে শোভন তার প্রিয়তমা পত্নীকে বলল- হে প্রিয়ে, এখন আমার কি কর্তব্য, তা আমাকে বলো। উত্তরে রাজকন্যা বলল-হে স্বামী, আজ এই গৃহে এমনকি রাজ্যমধ্যে কেউই আহার করবে না। মানুষের কথা তো দূরে থাকুক পশুরা পর্যন্ত অন্নজল মাত্র গ্রহণ করবে না। হে নাথ, যদি তুমি এ থেকে পরিত্রাণ চাও তবে নিজগৃহে প্রত্যাবর্তন কর।
এখানে আহার করলে তুমি সকলের নিন্দাভাজন হবে এবং আমার পিতাও ক্রদ্ধ হবেন। এখন বিশেষভাবে বিচার করে যা ভাল হয়, তুমি তাই কর। সাধ্বী স্ত্রীর এই কথা শুনে শোভন বলল---হে প্রিয়ে! তুমি ঠিকই বলেছ। কিন্তু আমি গৃহে যাব না। এখানে থেকে একাদশী ব্রত পালন করব। ভাগ্যে যা লেখা আছে তা অবশ্যই ঘটবে। এইবাবে শোভন ব্রত পালনে বদ্ধপরিকর হলেন। সমস্ত দিন অতিক্রান্ত হয়ে রাত্রি শুরু হল। বৈষ্ণবদের কাছে সেই রাত্রি সত্যিই আনন্দকর। কিন্তু শোভনের পক্ষে তা ছিল বড়ই দু:খদায়ক। কেননা ক্ষুধা-তৃষ্ণায় সে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ল। এভাবে রাত্রি অতিবাহিত হলে সূর্যোদয়কালে তার মৃত্যু হল। রাজা মুচুকুন্দ সাড়ম্বরে তার শবদাহকার্য সুসম্পন্ন করলেন। চন্দ্রভাগা স্বামীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাপ্ত করে।
🥀🙏হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে🙏🥀

সবাইকে ষষ্ঠী পূজোর  শুভেচ্ছা🥀💝
09/10/2024

সবাইকে ষষ্ঠী পূজোর শুভেচ্ছা🥀💝

দুর্গাপূজার ইতিহাসে এই প্রথমবার, পূজা এসে গেছে অথচ মানুষের মনে কোন আনন্দ নেই !
30/09/2024

দুর্গাপূজার ইতিহাসে এই প্রথমবার, পূজা এসে গেছে অথচ মানুষের মনে কোন আনন্দ নেই !

-শুভ গণেশ চতুর্থী 🙏🥀-সবাই কে গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা 🥀
07/09/2024

-শুভ গণেশ চতুর্থী 🙏🥀

-সবাই কে গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা 🥀

🙏🥀 একাদশী বার্তা 🥀🙏🥀আগামী ১৬ই আগস্ট ২০২৪ ইং শুক্রবার৩১শে শ্রাবন ১৪৩১ বঙ্গাব্দপবিত্র পবিত্রারোপণী একাদশীপারনঃ পরের দিন সক...
12/08/2024

🙏🥀 একাদশী বার্তা 🥀🙏

🥀আগামী ১৬ই আগস্ট ২০২৪ ইং শুক্রবার
৩১শে শ্রাবন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পবিত্র পবিত্রারোপণী একাদশী
পারনঃ পরের দিন সকাল ০৫:৩৫ থেকে ০৮:৩৭ মি: মধ্যে ঢাকা, বাংলাদেশ সময় এবং সকাল ০৫:১৪ থেকে ০৮:০৮ মি: মধ্যে কলকাতা, ভারত সময়।

🥀ব্রত ও মাহাত্ম্যকথাঃ একদিন মহারাজ যুধিষ্ঠির ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করলেন হে প্ৰভু ! শ্ৰাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি তা কৃপা করে আমাকে বলুন । শ্ৰীকৃষ্ণ বললেন - হে মহারাজ ! এখন আমি সেই পবিত্ৰ ব্ৰত মাহাত্ম্য বৰ্ণনা করছি , মনোযোগ দিয়ে তা শ্ৰবণ করুন । যা শোনামাত্ৰেই বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।প্ৰাচীন কালে দ্বাপর যুগের শুরুতে মহিজীৎ নামে এক বিখ্যাত রাজা ছিলেন। তিনি মাহিম্মতি নগরে রাজত্ব করতেন।কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে তার মনে বিন্দুমাত্ৰ সু- শাস্তি ছিল না । কেননা তিনি ছিলেন অপুত্ৰক । পুত্ৰহীনের ইহলোক পরলোক কোথাও সুখ হয় না ”। এইরুপ চিন্তা করতে করতে বহুদিন কেটে গেল । কিন্তু তবুও পুত্ৰমুখ দশনে রাজা বঞ্চিতই রইলেন । নিজেকে অত্যন্ত দুৰ্ভাগা মনে করে রাজা চিন্তাগ্ৰস্ত হলেন । প্ৰজাদের সামনে গিয়ে বলতে লাগলেন, হে প্ৰজাবৃন্দ । তোমরা শোন । আমি এই জন্মে তো কোন পাপকাজ করিনি , অন্যায়ভাবে আমার রাজকোষ বৃদ্ধি করিনি , ব্ৰাহ্মণ বা দেবতাদের সম্পদ কখনও গ্ৰহণ করিনি উপরন্তু প্ৰজাদেরকে পুত্রের মতো পালন করেছি , ধৰ্ম অনুযায়ী পৃথিবী শাসন করেছি । দুষ্টদের যথানুরুপ দণ্ড দিয়েছি , সজ্জন ব্যক্তিদের যথাযোগ্য সন্মান করতেও কখনও অবহেলা করিনি । তাই হে ব্ৰাহ্মণগণ , এই প্ৰকার ধৰ্মপথ অবলম্বন করা সত্ত্বেও কেন আমার পুত্ৰ লাভ হল না , তা আপনারা কৃপা করে অনুসন্ধান করন। রাজার এই প্ৰকার কাতর উক্তি শ্ৰবণে ব্যথিত রাজভক্ত পুরোহিত ব্ৰাহ্মণগণ রাজার মঙ্গলের জন্য গভীর বনে ত্ৰিকালজ্ঞ মুনিঋষির কাছে যেতে মনস্থ করলেন ।

বনের মধ্যে ঋষিদের আশ্ৰমসকল দেখতে দেখতে তারা এক মুনির সন্ধান পেলেন । তিনি দীৰ্ঘায়ু , নীরোগ নিরাহারে ঘোর তপস্যায় মগ্ন ছিলেন । সর্বশাস্ত্ৰ বিশারদ ধৰ্মতত্ত্বজ্ঞ ও ত্রিকালজ্ঞ সেই মহামুনি লোমশ নামে পরিচিত । ব্ৰহ্মার এক কল্প অতিবাহিত হলে মুনিবরের গায়ের একটি লোম পরিত্যক্ত হোত । এই কাণে এই মহামুনির নাম লোমশ । তাকে দেখে সকলেই ধন্য হলেন । তারা পরস্পর বলতে লাগলেন যে , আমাদের বহু জন্মের সৌভাগ্যের ফলে আজ আমরা এই মুনিবরের সাক্ষাৎ লাভ করলাম । তারপর মুনিবর তাদের সম্বোধন করে বললেন কি কারণে আপনারা এখানে এসেছেন এবং কেনই বা আমার এত প্ৰশংসা করছেন , তা স্পষ্ট করে বলুনা আপনাদের যাতে মঙ্গল হয় , আমি নিশ্চয়ই তার চেষ্টা করব । ব্ৰাহ্মণেরা বললেন হে ঋষিবর । আমরা যে উদ্দেশ্যে এখানে এসেছি আপনি তা কৃপা করে শুনুন । এ পৃথিবীতে আপনার মতো শ্ৰেষ্ঠ ব্যক্তি আর কোথাও নেই । মহীজিৎ নামে এক রাজা নিঃসন্তান হওয়ায় অতি দুঃখে দিনযাপন করছে । আমরা তার প্রজা , তিনি আমাদেরকে পুত্রের মতো পালন করেন । কিন্তু তিনি পুত্ৰহীন বলে আমরা সবাই মর্মাহত। তার দুঃখ দূর করতে আমরা এই বনে প্ৰবেশ করেছি । হে ব্ৰাহ্মাণশ্ৰেষ্ঠ । রাজা যাতে পুত্রের মুখ দৰ্শন করতে পারেন , কৃপা করে তার কোন উপায় আমাদের বলুন । তাদের কথা গুনে মুনিবার ধ্যানমগ্ন হলেন । কিছু সময় পরে রাজার পূর্বজন্মবৃত্তান্ত বলতে লাগলেন । এই রাজা পূৰ্ব্বজন্মে এক দরিদ্র বৈশ্য ছিলেন । একবার তিনি একটি অন্যায় কাৰ্য করে ফেলেন । ব্যবসা করবার জন্য তিনি এক গ্ৰাম থেকে অন্য গ্ৰামে যাতায়াত করতেন। এক সময় তিনি শুক্লাপক্ষের দশমীর দিনে কোথাও যাওয়ার পথ্র তিনি অত্যন্ত তৃষার্ত হয়ে পড়েন । গ্ৰাম প্ৰান্তে একটি জলাশয় দেখতে পান । সেখানে জলপানের জন্য যান । সেই সময় একটি গাভী নানা জলপান করছিল । তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে তিনি নিন জলপান কাজে লাগলেন। এই পাপকর্মের ফলে তিনি পুত্ৰসুখ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু পূৰ্ব্বজন্মের কোন পুণ্যের ফলে তিনি এইরকম নিষ্কণ্টক রাজ্য লাভ করেছেন। হে মুনিবর। শাস্ত্ৰে আছে যে পুণ্য দ্বারা পাপক্ষয় হয় ।

তাই আপনি এমন একটি পুন্য ব্রতের উপদেশ করুন যাতে তার পারব্দ পাপ দূর হয় এবং আপনার অনুগ্রহে তিনি পুত্ৰসন্তান লাভ করতে পারেন। লোমশ মুনি বললেন শ্ৰাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পবিত্ৰারোপণী একাদশী ব্ৰত অভিষ্ট ফল প্ৰদান করে । আপনারা যথাবিধি তা সকলে পালন করুন । লোমশ মুনির উপদেশ শুনে আনন্দ চিত্তে গৃহে প্ৰত্যাবর্তন করে তঁরা রাজাকে সে সকল কথা জানালেন । তারপর সকলে মিলে মুনির নিৰ্দেশ অনুসারে ব্ৰত পালন করলেন । তাদের সকলের পুণ্যফল রাজ্যকে প্ৰদান করলেন ।সেই পুণ্য প্ৰভাবে রাজমহিষী গৰ্ভবতী হলেন । উপযুক্ত সময়ে বলিষ্ঠ , সৰ্বাঙ্গসুন্দর এক পুত্ৰসন্তানের জন্ম দান করলেন । ভবিষোত্তরপুরাণে এই মাহাত্ম্য বৰ্ণিত হয়েছে । এই ব্ৰত মাহাত্মা যিনি পাঠ বা শ্ৰবণ করবেন তিনি সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবেন এবং পুত্ৰসুখ ভোগ করে অবশেষে দিব্যধাম প্ৰাপ্ত হবেন।🥀

🙏🥀হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।🥀🙏


🥀🙏একাদশী বার্তা🙏🥀🥀আগামী ৩১শে জুলাই ২০২৪ ইং বুধবার১৫ই শ্রাবন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ পবিত্র কামিকা একাদশীপারনঃ পরের দিন সকাল ০৫:০৮ ...
29/07/2024

🥀🙏একাদশী বার্তা🙏🥀

🥀আগামী ৩১শে জুলাই ২০২৪ ইং বুধবার
১৫ই শ্রাবন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পবিত্র কামিকা একাদশী
পারনঃ পরের দিন সকাল ০৫:০৮ থেকে ০৯:৩৩ মি: মধ্যে কলকাতা, ভারত সময় এবং সকাল ০৫:২৮ থেকে ০৯:৫২ মি: মধ্যে ঢাকা, বাংলাদেশ সময়

🥀ব্রত ও মাহাত্ম্যকথাঃ শ্রাবণ কৃষ্ণপক্ষীয়া কামিকা একাদশীর কথা ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ-সংবাদে বলা হয়েছে।যুধিষ্ঠির মহারাজ শ্রীকৃষ্ণকে বললেন-হে গোবিন্দ! হে বাসুদেব! শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম এবং মাহাত্ম্য সবিস্তারে আমার কাছে বর্ণনা করুন। তা শুনতে আমি অত্যন্ত কৌতুহলী।

প্রত্যুত্তরে ভক্তবৎসল ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন-হে রাজন! পূর্বে দেবর্ষি নারদ প্রজাপতি ব্রহ্মাকে এই প্রশ্ন করলে তিনি যে উত্তর প্রদান করেছিলেন আমি এখন সেই কথাই বলছি। আপনি মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ করুন। একসময় ব্রহ্মার কাছে ভক্তশ্রেষ্ঠ নারদ জিজ্ঞাসা করলেন-হে ভগবান! শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম কি, এর আরাধ্য দেবতা কে, সেই ব্রতের বিধিই বা কিরকম এবং এই ব্রতের ফলে কি পুণ্য লাভ হয় তা সবিশেষ জানতে ইচ্ছা করি। আপনি কৃপা করে আমাকে তা জানালে আমার জীবন ধন্য হবে।

শ্রীনারদের কথা শুনে ব্রহ্মা অত্যন্ত সন্তুষ্ট হলেন। তিনি বললেন-হে বৎস! জগৎ জীবের মঙ্গলের জন্য আমি তোমার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিচ্ছি, তুমি তা শ্রবণ কর। শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশী ‘কামিকা’ নামে জগতে প্রসিদ্ধা। এই একাদশীর মাহাত্ম্য শ্রবণে বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়। ভগবান শ্রীহরির পূজা-অর্চনা অপরিমিত পূর্ণ ফল প্রদান করে। গঙ্গা গোদাবরী কাশী নৈমিষ্যারণ্য পুষ্কর ইত্যাদি তীর্থ দর্শনের সমস্ত ফল একমাত্র কৃষ্ণপূজার মাধ্যমে কোটি গুণ লাভ করা যায়।

সাগর ও অরণ্য যুক্ত পৃথিবী দানের ফল, দুগ্ধবতী গাভী দানের ফল অনায়াসে এই ব্রত পালনে লাভ হয়। যারা পাপপূর্ণ সাগরে নিমগ্ন এই ব্রতই তাদের উদ্ধারের একমাত্র সহজ উপায়। এইরকম পবিত্র পাপনাশক শ্রেষ্ঠ ব্রত আর জগতে নেই। শ্রীহরি স্বয়ং এই মাহাত্ম্য কীর্তন করেছেন। রাত্রি জাগরণ করে যারা এই ব্রত পালন করেন তাঁরা কখনও দু:খ-দুর্দশাগ্রস্ত হন না। এই ব্রত পালনকারী কখনও নিম্নযোনি প্রাপ্ত হন না। কেশবপ্রিয়া তুলসীপত্রে যিনি শ্রীহরির পূজা করেন পদ্মপাতায় জলের মতো তিনি পাপে নির্লিপ্ত থাকেন। তুলসীপত্র দিয়ে বিষ্ণুপূজায় ভগবান যেমন সন্তুষ্ট হন, মণিমুক্তাদি মূল্যবান রত্ন মাধ্যমেও তেমন প্রীত হন না। যিনি কেশবকে তুলসীমঞ্জরী দিয়ে পূজা করেন তার জন্মার্জিত সমস্ত পাপ ক্ষয় হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে ব্রহ্মা বললেন-হে নারদ! যিনি তুলসীকে প্রত্যহ দর্শন করেন তার সকল পাপরাশি বিদূরিত হয়ে যায়, যিনি তাঁকে স্পর্শ করেন তার পাপমলিন দেহ পবিত্র হয়, তাঁকে প্রণাম করলে সমস্ত রোগ দূর হয়, তাঁকে জল সিঞ্চন করলে যমও তার কাছে আসতে ভয় পান। শ্রীহরিচরণে তুলসী অর্পিত হলে ভগবদ্ভক্তি লাভ হয়। তাই হে কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনী তোমায় প্রণাম করি। যে ব্যক্তি হরিবাসরে ভগবানের সামনে দীপদান করেন চিত্রগুপ্তও তাঁর পু্ণ্যের সংখ্যা হিসাব করতে পারে না। তার পিতৃপুরুষেরাও পরম তৃপ্তি লাভ করেন।

শ্রীকৃষ্ণ বললেন-হে রাজন! আমি আপনার কাছে সর্বপাপহারিনী ‘কামিকা’ একাদশীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করলাম। অতএব যিনি ব্রহ্মহত্যা ভ্রুণহত্যা-পাপবিনাশিনী, মহা পুণ্যফলদায়ী এই ব্রত পালন করবেন ও এই মাহাত্ম্য শ্রদ্ধা সহকারে পাঠ অথবা শ্রবণ করবেন তিনি সর্বপাপ থেকে মুক্ত হযে বিষ্ণুলোকে গমন করবেন।🥀

🙏🥀হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।🙏🥀

🥀🙏একাদশী বার্তা🙏🥀🥀আগামী ১৭ই জুলাই ২০২৪ ইং বুধবার১লা শ্রাবন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ পবিত্র শয়ন একাদশীপারনঃ পরের দিন সকাল ০৫:২২ থেকে...
16/07/2024

🥀🙏একাদশী বার্তা🙏🥀

🥀আগামী ১৭ই জুলাই ২০২৪ ইং বুধবার
১লা শ্রাবন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পবিত্র শয়ন একাদশী
পারনঃ পরের দিন সকাল ০৫:২২ থেকে ০৯:৫০ মি: মধ্যে ঢাকা, বাংলাদেশ সময় এবং সকাল ০৫:০২ থেকে ০৯:২৯ মি: মধ্যে কলকাতা, ভারত সময়।🥀

🥀ব্রত ও মাহাত্ম্যকথাঃ মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন-‘হে কৃষ্ণ! আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি? এর মহিমাই বা কি? তা আমাকে কৃপা করে বলুন।’ শ্রীকৃষ্ণ বললেন, ব্রহ্মা এই একাদশী সম্পর্কে দেবর্ষি নারদকে যা বলেছিলেন আমি সেই আশ্চর্যজনক কথা আপনাকে বলছি। শ্রীব্রহ্মা বললেন-হে নারদ! এ সংসারে একাদশীর মতো পবিত্র আর কোন ব্রত নেই। সকল পাপ বিনাশের জন্য এই বিষ্ণুব্রত পালন করা একান্ত আবশ্যক। যে ব্যক্তি এই প্রকার পবিত্র পাপনাশক এবং সকল অভিষ্ট প্রদাতা একাদশী ব্রত না করে তাকে নরকগামী হতে হয়। আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের এই একাদশী ‘শয়নী’ নামে বিখ্যাত। শ্রীভগবান ঋষিকেশের জন্য এই ব্রত পালন করতে হয়। এই ব্রতের সম্বন্ধে এক মঙ্গলময় পৌরাণিক কাহিনী আছে। আমি এখন তা বলছি।

বহু বছর পূর্বে সূর্যবংশে মান্ধাতা নামে একজন রাজর্ষি ছিলেন। তিনি ছিলেন সত্যপ্রতিজ্ঞ এবং প্রতাপশালী চক্রবর্তী রাজা। প্রজাদেরকে তিনি নিজের সন্তানের মতো প্রতিপালন করতেন। সেই রাজ্যে কোনরকম দু:খ, রোগ-ব্যাধি, দুর্ভিক্ষ, আতঙ্ক, খাদ্যাভাব অথবা কোন অন্যায় আচরণ ছিল না। এইভাবে বহুদিন অতিবাহিত হল। কিন্তু একসময় হঠাৎ দৈবদুর্বিপাকে ক্রমাগত তিনবছর সে রাজ্যে কোন বৃষ্টি হয়নি। দুর্ভিক্ষের ফলে সেখানে দেবতাদের উদ্দেশ্যে দানমন্ত্রের ‘স্বাহা’ ‘স্বধা’ ইত্যাদি শব্দও বন্ধ হয়ে গেল। এমনকি বেদপাঠও ক্রমশ বন্ধ হল।

তখন প্রজারা রাজার কাছে এসে বলতে লাগল- মহারাজ দয়া করে আমাদের কথা শুনুন। শাস্ত্রে জলকে নার বলা হয় আর সেই জলে ভগবানের অয়ন অর্থাৎ নিবাস। তাই ভগবানের এক নাম নারায়ণ। মেঘরূপে ভগবান বিষ্ণু সর্বত্র বারিবর্ষণ করেন। সেই বৃষ্টি থেকে অন্ন এবং অন্ন খেয়ে প্রজাগণ জীবন ধারণ করেন। এখন সেই অন্নের অভাবে প্রজারা ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। অতএব হে মহারাজ আপনি এমন কোন উপায় অবলম্বন করুন যাতে আপনার রাজ্যের শান্তি এবং কল্যাণ সাধন হয়।

রাজা মান্ধাতা বললেন- তোমরা ঠিকই বলেছ। অন্ন থেকে প্রজার উদ্ভব। অন্ন থেকেই প্রজার পালন। তাই অন্নের অভাবে প্রজারা বিনষ্ট হয়। আবার রাজার দোষেও রাজ্য নষ্ট হয়। আমি নিজের বুদ্ধিতে আমার নিজের কোন দোষ খুঁজে পাচ্ছি না। তবুও প্রজাদের কল্যাণের জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব। তারপর রাজা ব্রহ্মাকে প্রণাম করে সৈন্যসহ বনে গমন করলেন। সেখানে প্রধান প্রধান ঋষিদের আশ্রমে ভ্রমণ করলেন। এভাবে একদিন তিনি ব্রহ্মার পুত্র মহাতেজস্বী অঙ্গিরা ঋষির সাক্ষাৎ লাভ করলেন। তাকে দর্শনমাত্রই রাজা মহানন্দে ঋষির চরণ বন্দনা করলেন। রাজা তখন তার বনে আগমনের কারণ সবিস্তারে ঋষির কাছে জানালেন।

ঋষি অঙ্গিরা কিছু সময় ধ্যানস্থ থাকার পর বলতে লাগলেন-‘হে রাজন! এটি সত্যযুগ। এই যগে সকল লোক বেদপরায়ণ এবং ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য কেউ তপস্যা করে না। এই নিয়ম থাকা সত্ত্বেও এক শূদ্র এ রাজ্যে তপস্যা করছে। তার এই অকার্যের জন্যই রাজ্যের এই দুর্দশা। তাই তাকে হত্যা করলেই সকল দোষ দূর হবে।

রাজা বললেন-হে মুনিবর! তপস্যাকারী নিরপরাধ ব্যক্তিকে আমি কিভাবে বধ করব? আমার পক্ষে সহজসাধ্য অন্য কোন উপায় থাকলে আপনি তা দয়া করে আমাকে বলুন। তদুত্তরে মহর্ষি অঙ্গিরা বললেন-আপনি আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের শয়নী নামে প্রসিদ্ধা একাদশী ব্রত পালন করুন। এই ব্রতের প্রভাবে নিশ্চয়ই রাজ্যে বৃষ্টি হবে। এই একাদশী সর্বসিদ্ধি দাত্রী এবং সর্ব উপদ্রব নাশকারিনী। হে রাজন! প্রজা ও পরিবারবর্গ সহ আপনি এই ব্রত পালন করুন।

মুনিবরের কথা শুনে রাজা নিজের প্রাসাদে ফিরে এলেন। আষাঢ় মাস উপস্থিত হলে রাজ্যের সকল প্রজা রাজার সাথে এই একাদশী ব্রতের অনুষ্ঠান করলেন। ব্রত প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হল। কিছুকালের মধ্যেই অন্নাভাব দূর হল। ভগবান হৃষিকেশের কৃপায় প্রজাগণ সুখী হল। এ কারণে সুখ ও মুক্তি প্রদানকারী এই উত্তম বৃত পালন করা সকলেরই অবশ্য কর্তব্য। ভবিষোত্তরপুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ তথা নারদ-ব্রহ্মা সংবাদ রূপে একাদশীর এই মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে।🥀

🥀🙏হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।🥀🙏

🙏🥀রথ_সম্পর্কিত_জানা_অজানা_তথ্য।🥀🙏১. জগন্নাথ প্রতিবছর নব রথে উঠে। নব মানে নতুন আবার নব মানে নববিধা ভক্তি। মানে ভক্তির রথে...
10/06/2024

🙏🥀রথ_সম্পর্কিত_জানা_অজানা_তথ্য।🥀🙏

১. জগন্নাথ প্রতিবছর নব রথে উঠে। নব মানে নতুন আবার নব মানে নববিধা ভক্তি। মানে ভক্তির রথে জগন্নাথ উঠে। ভক্তি দিয়ে গড়া রথ।

২. রথের দড়ি বা রশি – বাসুকি। সেজন্যে বলা হয়, রথের দড়ি ধরলে পুণ্য হয়। মূলত, বাসুকির কৃপা লাভ হয়।

৩. পুরীর রথের ৪২ টি চাকা। (বলদেবের রথের ১৪ টি, জগন্নাথের রথের ১৬ টি, সুভদ্রাদেবীর ১২ টি)।

৪. পুরীর রথ চলার সময় রাস্তায় চাকার তিনটি দাগ পড়ে – তা হল গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী। যারা বার্ধক্যজনিত কারণে বা অন্যান্য কারণে রথের দড়ি ধরতে পারেন না, তারা যদি চাকার এই তিনটি দাগের ধুলি গ্রহণ করেন, এই ত্রিদাগে গড়াগড়ি দেন, তাহলে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীতে অবগাহনের ফল লাভ করেন।

৫. জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ বা কপিধ্বজ। এই রথের ১৬টি চাকা। রথের রঙ পীত। ষোল চাকা মানে দশ ইন্দ্রিয় আর ছয় রিপূ। যা থাকে ভগবানের নীচে।

৬. বলভদ্রের রথের নাম হল তালধ্বজ বা হলধ্বজ। ১৪টি চাকা আছে। ১৪টি চাকা মানে ১৪টি ভুবন। বলভদ্র হল গুরুতত্ত্ব। গুরুতত্ত্বের অধীন ১৪টি ভূবন।

৭. দেবতাদের দ্বারা প্রদত্ত সুভদ্রা দেবীর রথের নাম ‘দর্পদলন’ বা ‘পদ্মধ্বজ’। রথের উচ্চতা ৩১ হাত। এই রথে ১২ টি চাকা আছে। এর অর্থ ভজনের সময় বার মাস। প্রতিদিন ভক্তিঙ্গ যাজন করতে হবে।

৮. সম্পূর্ণ রথ শুধুমাত্র কাঠের তৈরি, ফলে রথ চলার সময় কাঠের কড়কড় শব্দ হয়, এটিকে বলা হয় বেদ।

৯. ২০৬ টি কাঠ দিয়ে জগন্নাথের রথ হয়। ঠিক আমাদের দেহেও ২০৬ টি হাড়।

১০. রথ যখন চলে প্রথমে থাকে বলদেবের রথ। কারণ বলদেব দাদা। আবার জগত গুরুতত্ত্ব। তিনিই তো নিত্যানন্দ। সবার জীবনে আগে গুরুকৃপা আসতে হবে। তারপর চলে সুভদ্রার রথ। সুভদ্রা হল ভক্তি তত্ত্ব। গুরুকৃপার পর আসে ভক্তিমহারাণী। কারণ ভক্তির ঠিকানা শ্রীগুরুপদে। “শ্রীগুরুচরণপদ্ম কেবল ভকতিসদ্ম। বন্দো মুই সাবধান মতে।” গুরুদেব হল ভগবানের করুনার মুর্তি।
তারপর যায় জগন্নাথের রথ।
প্রথমে গুরুদেব, তারপর ভক্তি, তারপর ভগবান জগন্নাথ।

১১. রথের দর্শনে শ্রী চৈতন্যমহাপ্রভু নৃত্য করছেন। অপলক নয়নে দর্শন করছেন জগন্নাথ। রথ চলতে চলতে মাঝে মাঝে থেমে যায়।
এর কারন রাধা ভাবে বিভোর মহাপ্রভুকে ভাল করে দেখার জন্য রথ একটু থামে আবার চলে। অনেক ভক্তের মাঝে মহাপ্রভুকে না দেখে জগন্নাথ থেমে যায়। রথ অপ্রকৃতি কারন তা প্রভু জগন্নাথের ইচ্ছা শক্তিতে রথ চলে। আজও রথে অচল জগন্নাথকে দেখে রাধা ভাবে বিভোর মহাপ্রভু আনন্দে নেচে নেচে যায়।🥀🙏

🥀🙏নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য 🙏🥀১০০০ টা ব্রত পালন করলে যে পূণ্য হয়, একটা নৃসিংহ চতুর্দশী কেউ ভক্তি সহাকারে পালন করলে ...
21/05/2024

🥀🙏নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য 🙏🥀
১০০০ টা ব্রত পালন করলে যে পূণ্য হয়,
একটা নৃসিংহ চতুর্দশী কেউ ভক্তি সহাকারে
পালন করলে তার সেই পূণ্য হয়।
🥀হিরণ্যকশিপু কঠোর তপস্যা করেন এবং ব্রহ্মা সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দর্শন দেয় ও তখন সে ব্রক্ষার কাছে বর চাইলেন,অমরত্ব বর। কিন্তু ব্রহ্মা বললেন- হে হিরণ্যকশিপু! তুমি যে বর চেয়েছো, সেটা আমি দিতে পারবো না। কারণ আমি নিজেই অমর না, তাই তুমি এমন বর চাও যা আমি দিতে পারবো। তখন হিরণ্যকশিপু চিন্তা করলো আমি কি এমন বর চাইবো যাতে আমাকে কেউ হত্যা করতে পারবে না, তখন হিরণ্যকশিপু বর চাইতে লাগলেন যে, হে শ্রেষ্ঠ বরদাতা! আপনি যদি আমার অভীষ্ট বরই দান করতে চান, তবে এই বর দেন যাতে আপনার সৃষ্টির কোনো প্রাণী বা পথে, ঘাটে, দিনের বেলা, রাতের বেলা, ঘরে, বাইরে, জল, ভূমি, বা আকাশে, কোনও পশু বা কোনো অস্ত্রের দ্বারা, এসবের দ্বারা আমাকে বধ করতে না পারে বা ব্যাধিগ্রস্ত বা জরাগ্রস্ত না হই। ব্রহ্মা বললেন, তথাস্তু! তারপর শুরু হলো হিরণ্যকশিপুর অত্যাচার দেবতাদের ওপর। তখন ভগবানের লীলা শুরু হল তাঁর শুদ্ধ ভক্তের ম্যাধমে প্রহ্লাদ মহারাজ। তাই ভগবানের ভক্ত আবির্ভূত হয়ে প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবানের আরাধনা করছিল, তখন তাঁর পিতা তাঁকে বলত লাগলো,"তোমার ভগবান, কে???"
সে বলতেন,আমার ভগবান, তখন হিরণ্যকশিপু ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে লাগলো যে, আমি তোমার জন্মদাতা পিতা তাই আমি তোমার ভগবান! কিন্তু প্রহ্লাদ মহারাজ বললো- না! তুমি আমার ভগবান না, আমার ভগবান বিষ্ণু।তিনি জগতপালক শ্রীহরি। তিনি জগতের পিতা ও বিধাতা। তুমি তো কেবল আমার এই জড় জগতের পিতা কিন্তু ভগবান আমার নিত্য পিতা। তখন হিরণ্যকশিপু তার ছেলেকে পাহাড় থেকে ফেলে দেয়, হাতির পায়ের নিচে দেয়, জলন্ত অগ্নিতে নিহ্মেপ করে, আর প্রহ্লাদ মহারাজ শুধু তার প্রভু ভগবানকে স্মরণ করতে থাকে। কথায় অাছে না, "মারে কৃষ্ণ রাখে কে, রাখে কৃষ্ণ মারে কে" - ভগবান যদি চায় তাহলে পৃথিবীর কোন শক্তি তাকে হত্যা করতে পারবে না। তাই যখন কোন কিছুর দ্বারা সম্ভব হলোনা তখন প্রহ্লাদ মহারাজ কে কারাগারে নিহ্মেপ করল, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলো আর মারতে লাগলো আর প্রহ্লাদ মহারাজ শুধু শ্রীহরিকে ডাকতে লাগলো। তখন নাহিরণ্যকশিপু এসে বললো- আজ তোকে কে বাঁচায় দেখি তোর ভগবান কোথায়? তখন বৈকুণ্ঠধামে মা লক্ষ্মীদেবী বললো- হে প্রভু! এখন কি হবে প্রহ্লাদ মহারাজকে কে রহ্মা করবে? হিরণ্যকশিপু তো অমরত্বের মতো বর লাভ করেছে, তাকে কে হত্যা করবে? তোমার ভক্তকে রহ্মা করবে কে? তখন ভগবান বলেন যে অমরত্বের মত বর পেয়েছে কিন্তু অমর না আর প্রহল্লাদকে রহ্মা করবে তাঁর ভক্তি। তাঁর ভক্তিই তাঁকে হিরণ্যকশিপুর হাত থেকে রহ্মা করবে। তখন হিরণ্যকশিপুর বললো- তোর ভগবান কি এখানে আছে? প্রহ্লাদ বললো- হ্যাঁ! আমার প্রভু সর্বত্রই বিরাজমান এখানেও আছে, এই বলে হিরণ্যকশিপুর সে ঘরের চৌকাঠের স্তম্ভ আঘাত করতে লাগে। তখন হঠাৎ সে স্তম্ভ থেকে বের হয়ে আসে ভক্তের ভগবান নৃসিংহ দেব । হিরণ্যকশিপুর বর অনুসারে, তাকে বধ করতে লাগলেন, সে ঘরেও না, বাইরেও না, ঘরের চৌকাঠেও না, কোন নর না, পশুও না, কোন অস্ত্রের দ্বারা না, সকালে না রাতেও না, জলেও না, মাটিতেও না, আকাশেও না, অর্ধেক পশু ও মানুষ নরসিংহ রূপে গোধূলি লগ্নে (অর্ধেক দিন ও রাত মানে সন্ধ্যায়) নখের দ্বারা বধ করা হয়েছে। ভক্তের ডাকে ভগবান তাঁর ভক্তকে যেকোন উপায়ে রহ্মা করে। এমন কি ভগবানের এই রুপ দেখে দেবতারা ও ব্রহ্মাণ্ডও কেপে ওঠে। এ কি রুপ হঠাৎ এই রুপের আবির্ভাব কেউ বুঝতে পারেনি। ভগবানের এই রুপকে দেবতারাও পর্যন্ত শান্ত করতে পারেনি। তখন দেবতারা বললো - একমাত্র একজন পারে সে হল,তাঁর ভক্ত প্রহ্লাদ। তখন প্রহ্লাদ প্রভুর কাছে স্তব, প্রার্থনা করতে লাগে। তখন ভগবান ভক্তের প্রার্থনাই শান্ত হয় ও তাকে কোলে তুলে নেয় ও ভগবান বলে - হে ভক্ত প্রহল্লাদ! আমি তোমাকে দর্শন দিয়েছি এখন তুমি কি বর চাও প্রার্থনা করো অামার কাছে। আমি তোমাকে বর দেবো। তখন ভক্তর কি আর কিছু চাওয়ার আছে, যে জগতের প্রভু তার সামনে তবুও ভগবান বললো তুমি একটা বর চাও যেহেতু অামি তোমার সামনে প্রকট হয়েছি। তখন ভক্ত প্রহ্লাদ বলতে লাগলো- প্রভু! তুমি আমার পিতাকে মুক্তি দাও যেহেতু তিনি আমার জড়জগতে পিতা। তখন ভগবান বললো- হে ভক্ত প্রহ্লাদ তথাস্তু! কিন্তু তোমার শুধু এই পিতাই মুক্তি লাভ করবে না, যে গৃহে তোমার মত শুদ্ধ বৈষ্ণব ভক্ত আছে, তার ২১কূল উদ্ধার হবে, পিতৃকূলের ১০ কূল,মাতৃকূলের ১০কূল ও নিজের এক কূল মুক্তি লাভ করবে।

🥀 এই নৃসিংহ ব্রত যে পালন করবে, তারা জন্ম-মৃত্যুময় সংসারে থেকে রহ্মা পাবে।

🥀 আর যিনি ব্রতদিন ব্রত লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন নরক যাতনা ভোগ করবে।

🥀এই ব্রত প্রভাবে অপুত্রক ভক্তপুত্র লাভ করে, দরিদ্র ধনশালী হয়, তেজস্কামী তেজঃলাভ করে, রাজ্যকামী রাজ্য পায়, আয়ুষ্কামী দীর্ঘায়ু পায়।

#জয়নৃসিংহদেব 👏🌺👏 আগামী ২২/০৫/২০২৪রোজ বুধবার বৈশাখ শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে ভক্তবৃন্দ অবশ্যই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবতার শ্রীনৃসিংহ দেবের পবিত্র আবির্ভাব দিবসে উপবাস ব্রত ভক্তিভরে পালন করুুন।
আশা করি সবাই ভগবান নৃসিংহ দেবের চতুর্দশী ব্রত পালন করুন!!

🙏🥀হরে কৃষ্ণ🥀🙏🥀সুযোগ একবারই বার বার নয়, দূর্লভ এই মনুষ্য জনম কে কাজে লাগান। 😇🥀মানব জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভগবদধামে ফিরে যা...
14/05/2024

🙏🥀হরে কৃষ্ণ🥀🙏
🥀সুযোগ একবারই বার বার নয়, দূর্লভ এই মনুষ্য জনম কে কাজে লাগান। 😇
🥀মানব জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভগবদধামে ফিরে যাওয়া,এই জড় জগৎ ভোগ করা নয়😇
🥀এই জগতে কেউ কারো আপন নয়, মায়ার বশে আপন বলিয়া মনে হয় 😇

🥀🙏কামদা একদাশী🙏🥀চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের কামদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য বরাহ পূরাণে বর্ণিত আছে, মহারাজ যুধিষ্টির বলেন- হে বা...
16/04/2024

🥀🙏কামদা একদাশী🙏🥀
চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের কামদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য বরাহ পূরাণে বর্ণিত আছে, মহারাজ যুধিষ্টির বলেন- হে বাসুদেব ! আপনি কৃপা করে আমার কাছে কামদা একাদশীর মহিমা কীর্তন করুন । শ্রীকৃষ্ণ বলেন-হে মহারাজ ! এই একাদশী ব্রত সম্পর্কে এক বিচিত্র কাহিনী বর্ণনা করছি । আপনি একমনে তা শ্রবণ করুন । পূর্বে মহর্ষি বশিষ্ঠ মহারাজ দিলীপের কৌতুহল নিবারণের জন্য এই ব্রত কথা কীর্তন করেছিলেন। ঋষি বশিষ্ঠ বলেন- হে মহারাজ। কামদা একাদশী তিথি পাপনাশক ও পূণ্যদায়িনী। পূর্বকালে মনোরম নাগপুরে স্বর্ণনির্মিত গৃহে বিষধর নাগেরা বাস করত। তাদের রাজা ছিলেন পুণ্ডরীক। গন্ধর্ব, কিন্নর ও অপ্সরাদের দ্বারা তিনি সেবিত হতেন। সেই পুরীমধ্যে অপ্সরা শ্রেষ্ঠ ললিতা ও ললিত নামে গন্ধর্ব স্বামী-স্ত্রী রূপে ঐশ্বর্য্যপূর্ণ এক গৃহে পরমসুখে দিনযাপন করত ।

একদিন পুণ্ডরীকের রাজসভায় ললিত একা গান করছিল। এমন সময় ললিতার কথা তার মনে পড়ল। ফলে সঙ্গীতের স্বর-লয়-তাল-মানের বিপর্যয় ঘটল। কর্কটক নামে এক নাগ ললিতের মনোভাব বুঝতে পারল। ব্যাপারটি সে পুণ্ডরীক রাজার কাছে জানাল । তা শুনে সর্পরাজ ক্রোধভরে কামাতুর ললিতকে-"রে দুর্মতি! তুমি রাক্ষস হও" বলে অভিশাপ দান করল। সঙ্গে সঙ্গে সেই ললিত ভয়ঙ্কর রাক্ষসমূর্তি ধারণ করল। তার হাত দশ যোজন বিস্তৃত, মুখ পর্বত গুহাতুল্য, চোখ দুটি প্রজ্বলিত আগুনের মতো, উর্ধ্বে আট যোজন বিস্তৃত প্রকাণ্ড এক শরীর সে লাভ করল। ললিতের এরকম ভয়ঙ্কর রাক্ষস শরীর দেখে ললিতা মহাদুঃখে চিন্তায় ব্যাকুল হলেন। স্বেচ্ছাচারী রাক্ষস ললিত দুর্গম বনে ভ্রমণ করতে লাগল। ললিতা কিন্তু তার সঙ্গ ত্যাগ করল না। ললিত নির্দয়ভাবে মানুষ ভক্ষণ করত। এই পাপের ফলে তার মনে বিন্দুমাত্র শান্তি ছিল না। পতির সেই দুরবস্থা দেখে ব্যথিত চিত্তে রোদন করতে করতে ললিতা গভীর বনে প্রবেশ করল। একদিন ললিতা বিন্ধ্যপর্বতে উপস্থিত হল। সেখানে ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির আশ্রম দর্শন করে মুনির কাছে হাজির হল। তার চরণে প্রণাম করে সেখানে দাঁড়িয়ে রইল। মুনিবর জিজ্ঞাসা করলেন- "হে সুন্দরী! তুমি কে, কার কন্যা কি কারণেই বা এই গভীর বনে এসেছ ? তা সত্য করে বল। তদুত্তরে ললিতা বলল- "হে প্রভু ! আমি বীরধন্যা গন্ধর্বের কন্যা। আমার নাম ললিতা। আমার পতির পিশাচত্ব দূর হয় এমন কোন উপায় জানবার জন্য এখানে এসেছি।" তখনই ঋষি বললেন- "চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের কামদা নামে যে একাদশী আছে, তুমি সেই ব্রত যথাবিধি পালন কর। এই ব্রতের পুণ্যফল তোমার স্বামীকে অর্পণ করলে তৎক্ষণাৎ তার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হবে। বশিষ্ঠ ঋষি বললেন- "হে মহারাজ দিলীপ! মুনির কথা শুনে ললিতা আনন্দ সহকারে কামদা একাদশী পালন করল। তারপর ব্রাহ্মণ ও বাসুদেবের সামনে পতির উদ্ধারের জন্য--"আমি যে কামদা একাদশীর ব্রত পালন করেছি, তার সমস্ত ফল আমার পতির উদ্দেশ্যে অর্পণ করলাম।" এই পুণ্যের প্রভাবে তাঁর পিশাচত্ব দূর হোক।" এই কথা উচ্চারণ মাত্রই ললিত শাপ মুক্ত হয়ে দিব্য দেহ প্রাপ্ত হলো। পুনরায় গন্ধর্ব দেহ লাভ করে ললিতার সাথে সে মিলিত হলো। তাঁরা বিমানে করে গন্ধর্বলোকে গমন করল।

হে মহারাজ দিলীপ এই ব্রত যত্নসহকারে সকলেরই পালন করা কর্তব্য। এই ব্রত ব্রহ্মহত্যা পাপবিনাশক এবং পিশাচত্ব মোচনকারী। এই ব্রত কথা শ্রদ্ধাপূর্বক পাঠ ও শ্রবণে বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয় ।🥀🙏

🙏🥀 ষড়রিপু মানে কি?🥀🙏🙏🥀ষড় মানে ছয় আর রিপু মানে শত্রু।অর্থাৎ জীবের ছয়টি প্রধান শত্রু,সেগুলো হলো (১)কাম (২)ক্রোধ (৩)লোভ (৪)...
26/02/2024

🙏🥀 ষড়রিপু মানে কি?🥀🙏

🙏🥀ষড় মানে ছয় আর রিপু মানে শত্রু।অর্থাৎ জীবের ছয়টি প্রধান শত্রু,সেগুলো হলো (১)কাম (২)ক্রোধ (৩)লোভ (৪)মোহ (৫)মদ (৬)মাৎসর্য।

🥀কেনো এই ছয়টি রিপু কে প্রধান শত্রু বলা হয়েছে?

🥀তো আমরা দেখি এই জগতে আমাদের অনেক শত্রু আছে যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়।যেমন আমাদের ধন সম্পদ লুন্ঠন করে, কঠু কথা বলে,বিপদে ফেলতে চায়,অস্ত্র দারা আঘাত করে, একদম সর্বোচ্চ ক্ষতি আমাদের হত্যা করতে পারে, কিন্তু এত ক্ষতি সাধন করা সত্ত্বেও কেনো তারপর ও এদের জীবের প্রধান শত্রু না বলে কাম ক্রোধ লোভ মোহ মদ মাৎসর্য কে প্রধান শত্রু বলা হচ্ছে?

তার কারন হচ্ছে তথাকথিত শত্রুরা আমাদের ক্ষতি, হত্য করতে পারে,অর্থাৎ আমাদের এই জড় দেহের বিনাশ করতে পারে,তো ভগবত গীতা অনুসারে আমরা জানতে পারি এই জড়জগৎ হচ্ছে দুঃখালয়ম অর্থাৎ এই পৃথিবী হচ্ছে দুঃখের আলয়।
আর আমরা এই জড় দেহ নয়, আমরা হলাম চিন্ময় আত্মা। এই জড় দেহের একদিন না একদিন বিনাশ হবে। আর আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে অন্তকালে চ মাম এব,,,"অথ্যাৎ অন্তিম কালে ভগবান কে স্মরন করে এই দুঃখের আলয় থেকে মুক্তি লাভ করে ভগবানের ধামে ফিরে যাওয়া।
আমাদের এই জীব রুপি শত্রুরা সর্বোচ্চ ক্ষতি এই দেহের বিনাশ করলে ও এই দুঃখের জগতে আবদ্ধ করে রাখে না।তাই এটিকে আসল ক্ষতি ধরা হচ্ছে না।
অপরদিকে ষড়রিপু গুলো আমাদের বার বার জন্ম মৃত্যুর চক্রে ঘুরপাক খাইয়ে,এই জগতে বন্ধি করে রাখছে। তাই এই ষড়রিপু কে জীবের প্রধান শত্রু বলা হয়।
শত্রু থেকে আমরা সকলে দুরে থাকতে চাই, শত্রুকে নিধন করতে চাই, অথবা তাকে বশ করতে চাই,আবার কেউ শত্রু কে বন্ধু বানাতে চাই,কিন্তু আমাদের হ্রদয়অন্তরে যে ছয়টি শত্রু আমাদের প্রতিনিয়ত ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি আমাদের কোনো খেয়াল নৈই।যার দ্বারা আমরা এই জড়জগৎ থেকে মুক্ত হতে পারছিনা।🥀🙏
🙏🥀হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে 🥀🙏

🙏🥀২০২৪ সালের একাদশী সমূহ:
07/01/2024

🙏🥀২০২৪ সালের একাদশী সমূহ:

🙏🥀একাদশী বার্তা 🥀🙏আগামী ২৭শে আগস্ট ২০২৩ ইং রবিবার৯ই ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দপবিত্রারোপণী একাদশী পারনঃ পরের দিন সকাল ০৫:১৮ থেক...
21/12/2023

🙏🥀একাদশী বার্তা 🥀🙏

আগামী ২৭শে আগস্ট ২০২৩ ইং রবিবার
৯ই ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
পবিত্রারোপণী একাদশী
পারনঃ পরের দিন সকাল ০৫:১৮ থেকে ০৯:৩৩ মি: মধ্যে কলকাতা, ভারত সময় এবং সকাল ০৫:৩৯ থেকে ০৯:৫২ মি: মধ্যে ঢাকা, বাংলাদেশ সময় ।

ব্রত ও মাহাত্ম্যকথাঃ একদিন মহারাজ যুধিষ্ঠির ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করলেন হে প্ৰভু ! শ্ৰাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি তা কৃপা করে আমাকে বলুন । শ্ৰীকৃষ্ণ বললেন - হে মহারাজ ! এখন আমি সেই পবিত্ৰ ব্ৰত মাহাত্ম্য বৰ্ণনা করছি , মনোযোগ দিয়ে তা শ্ৰবণ করুন । যা শোনামাত্ৰেই বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়। প্ৰাচীন কালে দ্বাপর যুগের শুরুতে মহিজীৎ নামে এক বিখ্যাত রাজা ছিলেন। তিনি মাহিম্মতি নগরে রাজত্ব করতেন।কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে তার মনে বিন্দুমাত্ৰ সু- শাস্তি ছিল না । কেননা তিনি ছিলেন অপুত্ৰক । পুত্ৰহীনের ইহলোক পরলোক কোথাও সুখ হয় না ”। এইরুপ চিন্তা করতে করতে বহুদিন কেটে গেল । কিন্তু তবুও পুত্ৰমুখ দশনে রাজা বঞ্চিতই রইলেন । নিজেকে অত্যন্ত দুৰ্ভাগা মনে করে রাজা চিন্তাগ্ৰস্ত হলেন । প্ৰজাদের সামনে গিয়ে বলতে লাগলেন, হে প্ৰজাবৃন্দ । তোমরা শোন । আমি এই জন্মে তো কোন পাপকাজ করিনি , অন্যায়ভাবে আমার রাজকোষ বৃদ্ধি করিনি , ব্ৰাহ্মণ বা দেবতাদের সম্পদ কখনও গ্ৰহণ করিনি উপরন্তু প্ৰজাদেরকে পুত্রের মতো পালন করেছি , ধৰ্ম অনুযায়ী পৃথিবী শাসন করেছি । দুষ্টদের যথানুরুপ দণ্ড দিয়েছি , সজ্জন ব্যক্তিদের যথাযোগ্য সন্মান করতেও কখনও অবহেলা করিনি । তাই হে ব্ৰাহ্মণগণ , এই প্ৰকার ধৰ্মপথ অবলম্বন করা সত্ত্বেও কেন আমার পুত্ৰ লাভ হল না , তা আপনারা কৃপা করে অনুসন্ধান করন। রাজার এই প্ৰকার কাতর উক্তি শ্ৰবণে ব্যথিত রাজভক্ত পুরোহিত ব্ৰাহ্মণগণ রাজার মঙ্গলের জন্য গভীর বনে ত্ৰিকালজ্ঞ মুনিঋষির কাছে যেতে মনস্থ করলেন ।

বনের মধ্যে ঋষিদের আশ্ৰমসকল দেখতে দেখতে তারা এক মুনির সন্ধান পেলেন । তিনি দীৰ্ঘায়ু , নীরোগ নিরাহারে ঘোর তপস্যায় মগ্ন ছিলেন । সর্বশাস্ত্ৰ বিশারদ ধৰ্মতত্ত্বজ্ঞ ও ত্রিকালজ্ঞ সেই মহামুনি লোমশ নামে পরিচিত । ব্ৰহ্মার এক কল্প অতিবাহিত হলে মুনিবরের গায়ের একটি লোম পরিত্যক্ত হোত । এই কাণে এই মহামুনির নাম লোমশ । তাকে দেখে সকলেই ধন্য হলেন । তারা পরস্পর বলতে লাগলেন যে , আমাদের বহু জন্মের সৌভাগ্যের ফলে আজ আমরা এই মুনিবরের সাক্ষাৎ লাভ করলাম । তারপর মুনিবর তাদের সম্বোধন করে বললেন কি কারণে আপনারা এখানে এসেছেন এবং কেনই বা আমার এত প্ৰশংসা করছেন , তা স্পষ্ট করে বলুনা আপনাদের যাতে মঙ্গল হয় , আমি নিশ্চয়ই তার চেষ্টা করব । ব্ৰাহ্মণেরা বললেন হে ঋষিবর । আমরা যে উদ্দেশ্যে এখানে এসেছি আপনি তা কৃপা করে শুনুন । এ পৃথিবীতে আপনার মতো শ্ৰেষ্ঠ ব্যক্তি আর কোথাও নেই । মহীজিৎ নামে এক রাজা নিঃসন্তান হওয়ায় অতি দুঃখে দিনযাপন করছে । আমরা তার প্রজা , তিনি আমাদেরকে পুত্রের মতো পালন করেন । কিন্তু তিনি পুত্ৰহীন বলে আমরা সবাই মর্মাহত। তার দুঃখ দূর করতে আমরা এই বনে প্ৰবেশ করেছি । হে ব্ৰাহ্মাণশ্ৰেষ্ঠ । রাজা যাতে পুত্রের মুখ দৰ্শন করতে পারেন , কৃপা করে তার কোন উপায় আমাদের বলুন । তাদের কথা গুনে মুনিবার ধ্যানমগ্ন হলেন । কিছু সময় পরে রাজার পূর্বজন্মবৃত্তান্ত বলতে লাগলেন । এই রাজা পূৰ্ব্বজন্মে এক দরিদ্র বৈশ্য ছিলেন । একবার তিনি একটি অন্যায় কাৰ্য করে ফেলেন । ব্যবসা করবার জন্য তিনি এক গ্ৰাম থেকে অন্য গ্ৰামে যাতায়াত করতেন। এক সময় তিনি শুক্লাপক্ষের দশমীর দিনে কোথাও যাওয়ার পথ্র তিনি অত্যন্ত তৃষার্ত হয়ে পড়েন । গ্ৰাম প্ৰান্তে একটি জলাশয় দেখতে পান । সেখানে জলপানের জন্য যান । সেই সময় একটি গাভী নানা জলপান করছিল । তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে তিনি নিন জলপান কাজে লাগলেন। এই পাপকর্মের ফলে তিনি পুত্ৰসুখ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু পূৰ্ব্বজন্মের কোন পুণ্যের ফলে তিনি এইরকম নিষ্কণ্টক রাজ্য লাভ করেছেন। হে মুনিবর। শাস্ত্ৰে আছে যে পুণ্য দ্বারা পাপক্ষয় হয় ।

তাই আপনি এমন একটি পুন্য ব্রতের উপদেশ করুন যাতে তার পারব্দ পাপ দূর হয় এবং আপনার অনুগ্রহে তিনি পুত্ৰসন্তান লাভ করতে পারেন। লোমশ মুনি বললেন শ্ৰাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পবিত্ৰারোপণী একাদশী ব্ৰত অভিষ্ট ফল প্ৰদান করে । আপনারা যথাবিধি তা সকলে পালন করুন । লোমশ মুনির উপদেশ শুনে আনন্দ চিত্তে গৃহে প্ৰত্যাবর্তন করে তঁরা রাজাকে সে সকল কথা জানালেন । তারপর সকলে মিলে মুনির নিৰ্দেশ অনুসারে ব্ৰত পালন করলেন । তাদের সকলের পুণ্যফল রাজ্যকে প্ৰদান করলেন ।সেই পুণ্য প্ৰভাবে রাজমহিষী গৰ্ভবতী হলেন । উপযুক্ত সময়ে বলিষ্ঠ , সৰ্বাঙ্গ সুন্দর এক পুত্ৰসন্তানের জন্ম দান করলেন । ভবিষোত্তরপুরাণে এই মাহাত্ম্য বৰ্ণিত হয়েছে । এই ব্ৰত মাহাত্মা যিনি পাঠ বা শ্ৰবণ করবেন তিনি সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবেন এবং পুত্ৰসুখ ভোগ করে অবশেষে দিব্যধাম প্ৰাপ্ত হবেন।

🥀🙏 হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।🙏🥀

09/12/2023

দূর্গাপূজা ২০২৩🥀🙏🙏

🙏🥀একাদশী বার্তা🥀🙏২২শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,ইং ৯ই ডিসেম্বর২০২৩ সাল শনিবারপবিত্র উৎপন্না একাদশী ব্রত।।ব্রতের পারন:--- পর...
07/12/2023

🙏🥀একাদশী বার্তা🥀🙏

২২শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,ইং ৯ই ডিসেম্বর
২০২৩ সাল শনিবার

পবিত্র উৎপন্না একাদশী ব্রত।।

ব্রতের পারন:--- পরের দিন ২২ শে অগ্রহায়ণ ১৩৪০ বঙ্গাব্দ,ইং ৯ই ডিসেম্বর ২০২৩ সাল শনিবার ।
সকাল ০৬:০৫ মিনিট হইতে,
সকাল ১০:৩৩ মিনিট মধ্যে ।
কলকাতা, ভারত সময় অনুযায়ী।। এবং সকাল ০৬:২৯ মিনিট হইতে,
সকাল ১০:০৩ মিনিট মধ্যে ।
ঢাকা, বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ।

ব্রত ও মাহাত্ম্যকথাঃ--অর্জুন বললেন হে দেব! অগ্রহায়ণের পুণ্যপ্রদায়ী কৃষ্ণপক্ষের একাদশীকে কেন ‘উৎপন্না’ বলা হয় এবং কি জন্যই বা এই একাদশী পরম পবিত্র ওদেবতাদেরও প্রিয়, তা জানতে ইচ্ছা করি। আপনি কৃপা করে আমাকে তা বলুন। শ্রীভগবান বললেন-হে পৃথাপুত্র! পূর্বে সত্যযুগে ‘মুর’ নামে এক দানব ছিল। অদ্ভুত আকৃতিবিশিষ্ট সেই দানবের স্বভাব ছিল অত্যন্ত কোপন। সে দেবতাদেরও ভীতিপ্রদ ছিল। যুদ্ধে দেবতাদের এমনকি স্বর্গরাজ ইন্দ্রকে পর্যন্ত পরাজিত করে স্বর্গ থেকে বিতারিত করেছিল। এইভাবে দেবতারা পৃথিবীতে বিচরণ করতে বাধ্য হয়েছিল। তখন দেবতারা মহাদেবের কাছে গিয়ে নিজেদের সমস্ত দু:খ সবিস্তারে জানালেন। শুনে মহাদেব বললেন-হেদেবরাজ! যেখানে শরণাগত বৎসল জগন্নাথ, গরুধ্বজ বিরাজ করছেন, তোমরা সেখানে যাও। তিনি আশ্রিতদের পরিত্রাণকারী। তিনি নিশ্চয়ই তোমাদের মঙ্গল বিধান করবেন।

দেবাদিদেবের কথা মতো দেবরাজ ইন্দ্র দেবতাদের নিয়ে ক্ষীরসমুদ্রের তীরে গমন করলেন। জলে শায়িত শ্রীবিষ্ণুকে দর্শ করে দেবতারা হাতজোড় করে তাঁর স্তব করতে লাগলেন। স্তুতির মাধ্যমে নিজ নিজ দৈন্য ও দু:খের কথা তাঁরা ভগবানকে জানালেন।

ইন্দ্রের কথা শুনে ভগবান নারায়ণ বললেন-হে ইন্দ্র! সেই মুর দানব কি রকম, সে কেমন শক্তিশালী, তা আমায় বল। ইন্দ্র বললেন- হে ভগবান! প্রাচীনকালে ব্রহ্ম বংশে তালজঙ্ঘা নামে এক অতি পরাক্রমী অসুর ছিল। তারই পুত্র সেই ‘মুর’ অত্যন্ত বলশালী, ভীষণ উৎকট ও দেবতাদেরও ভয় উৎপাদনকারী। সে চন্দ্রাবতী নামে এক পুরীতে বাস করে। স্বর্গ থেকে আমাদের বিতাড়িত করে তার স্বাজাতি কাউকে রাজা, কাউকে অন্যান্য দিকপাল রূপে প্রতিষ্ঠিত করে এখন সে দেবলোক সম্পূর্ণ অধিকার করেছে। তার প্রবল প্রতাপে আজ আমরা প্রথিবীতে বিচরণ করছি। ইন্দ্রের কথা শুনে ভগবান দেবদ্রোহী দের প্রতি অত্যন্ত ক্রোধান্বিত হলেন। তিনি দেবতাদের সঙ্গে চন্দ্রবতী পুরীতে গেলেন। সেইদৈত্যরাজ শ্রীনারায়ণকে দর্শন করে পুন: পুন: গর্জন করতে লাগল। দেবতা ও অসুরের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়ে ঘেল। তখন যুদ্ধক্ষেত্রে শ্রীনারায়ণকে একা দেখে সেই দানব তাঁকে ‘দাঁড়াও দাঁড়াও’ বলতে লাগল। শ্রীভগবানও ক্রোধে গর্জন করে বললেন-রে দুরাচার দানব আমার বাহুবল দেখ। এই বলে অসুরপক্ষীয় সমস্ত যোদ্ধাদের দিব্য বাণের আঘাতে নিহত করতে লাগলেন। তখন তারা প্রাণভয়ে নানা দিকে পালাতে লাগল।সেই সময় নারায়ণ দৈত্য সৈন্যদের মধ্যে সুদর্শন চক্র নিক্ষেপ করলেন। ফলে সমস্ত সৈন্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হল। একমাত্র মুর অসুরই জীবিত ছিল। সেঅস্ত্রযুদ্ধে নারায়ণকেও পরাজিত করল। তখন নারায়ণ দৈত্যের সাথে বাহুযুদ্ধে লিপ্ত হলেন। এইভাবে দেবতাদের হিসাবে এক হাজার বছর যুদ্ধ করেও ভগবান তাকে পরাজিত করতে পাররেন না। তখন শ্রীহরি বিশেষ চিন্তান্বিত হয়ে বদরিকা আশ্রমে গমন করলেন। সেখানে সিংহাবতী নামে একটি গুহা আছে। এই গুহাটি এক-দ্বার বিশিষ্ট এবং বারো যোজন অর্থাৎ ৮৬ মাইল বিস্তিৃত।ভগবান বিষ্ণু সেই গুহার মধ্যে শয়ন করলেন। সেই দৈত্যও তার পিছন পিছন ধাবিত হয়ে গুহার ভিতরে প্রবেশ করল। সে বিষ্ণুকে নিদ্রিত বুঝতে পারল। অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে ভাবতে লাগল-আমার সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বিষ্ণু এখানে গোপনে শুয়ে আছে। এখন আমি তাকে অবশ্যই বধকরব। দানবের এইরকম চিন্তার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীবিষ্ণুর শরীর থেকে একটি কন্যা উৎপন্ন হল।

এই কন্যাই ‘উৎপন্না’ একাদশী। তিনি রূপবতী, সৌভাগ্যশালিনী, দিব্য অস্ত্র-শস্ত্রধারিনী ও বিষ্ণু তেজসম্ভুতা বলে মহাপরাক্রমশালী ছিলেন। দৈত্যরাজ সেই স্ত্রীরূপিনী দেবীর সাথে তুমুল যুদ্ধ শুরু করল। কিছুকাল যুদ্ধের পর দেবীর দিব্য তেজে অসুর ভস্মীভূত হয়ে গেল। তারপর বিষ্ণু জেগে উঠেসেই ভস্মীভূত দানবকে দেখে বিস্মিত হলেন। এক দিব্যকন্যাকে তাঁর পাশে হাত জোর করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। বিষ্ণু বললেন-হে মহাপরাক্রান্ত উগ্রমূর্তি! এই মুর দানবকে কে বধ করল? যিনি একে হত্যা করেছে তিনি নিশ্চয়ই প্রশংসনীয় কর্ম করেছে।

সেই কন্যা বললেন-হে প্রভু! আমি আপনার শরীর থেকে উৎপন্ন হয়েছি। আপনি যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন এই দানব আপনাকে বধ করতেচেয়েছিল। তা দেখে আমি তাকে বধ করেছি। আপনাদের কৃপাতেই আমি তাকে বধ করতে পেরেছি। একথা শুনে ভগবান বললেন-আমার পরাশক্তি তুমি একাদশীতে উৎপন্ন হয়েছ। তাই তোমার নাম হবে একাদশী। আমি এই ত্রিলোকে দেবতা ও ঋষিদের অনেক বর প্রদান করেছি। হে ভদ্রে! তুমিও তোমার মনমতো বর প্রার্থনা কর, আমি তোমাকে তা প্রদান করব। একাদশী বললেন-হে দেবেশ! ত্রিভুবনের সর্বত্র আপনার কৃপায় সর্ববিঘ্ননাশিনী ও সর্বদায়িনী রূপে যেন পরম পুজ্য হতে পারি, এ বিধান করুন।আপনার প্রতি ভক্তিবশত: যারা শ্রদ্ধাসহকারে আমার ব্রত-উপবাস করবে, তাদের সর্বসিদ্ভি লাভ হবে-এই বর প্রদান করুন।

বিষ্ণু বললেন-হে কল্যাণী! তাই হোক। ‘উৎপন্না’ নামে প্রসিদ্ধ তোমার ব্রত পালনকারীর সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হবে। তুমি তাদের সকল মনোবাসনা পূর্ণকরবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। তোমাকে আমার শক্তি বলে মনে করি। তাই তোমার ব্রত পালনকারী সকলে আমারই পূজা করবে। এর ফলে তারা মুক্তি লাভ করবে। তুমি হরিপ্রিয়া নামে জগতে বিখ্যাত হবে। তুমি ব্রতপালন কারীর শ্রত্রুবিনাশ, পরমগতি দান এবং সর্বসিদ্ধি প্রদান করতে সমর্থহবে। ভগবান বিষ্ণু এইভাবে ‘উৎপন্না’ একাদশীকে বরদান করে অন্তর্হিত হলেন। সমস্ত ব্রতকারী দিবারাত্রি ভক্তিপরায়ণ হয়ে এই উৎপন্না একদশীর উৎপত্তির কথা শ্রবণ-কীর্তন করলে শ্রীহরির আশীর্বাদ লাভে ধন্য হবেন।।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ,
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম,
রাম রাম হরে হরে।।
🙏🥀

Address

Feni

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Krishna vokto posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share