Feni24 TV

Feni24 TV প্রানের শহর ফেনীর চিত্র

ফেনীর পাঠান নগরের সোনাপুর গ্রামে রাসেলস ভাইপার সাপ পাওয়া গেছে🙂!! শকিং নিউজ এটা,ধারণা করা হচ্ছে ১৭,২০ টা থাকতে পারে! উল্ল...
20/06/2024

ফেনীর পাঠান নগরের সোনাপুর গ্রামে রাসেলস ভাইপার সাপ পাওয়া গেছে🙂!! শকিং নিউজ এটা,ধারণা করা হচ্ছে ১৭,২০ টা থাকতে পারে! উল্লেখ্য পাঠান নগর, ফেনীর ছাগলানইয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন,যার পাশ দিয়ে ফেনী নদী প্রবাহিত হয়!!

এই প্রথম ফেনীতে রাসেলস ভাইপার এর অস্তিত্ব পাওয়া গেল 🙂

19/06/2024
18/05/2024

‘মেয়েরা চাকরি শুরু করার পর থেকেই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে’

২৮ কিলোমিটার রেলপথের করুণ কাহিনিফেনী শহর থেকে পরশুরামের বিলোনিয়া সীমান্ত পর্যন্ত চলত একটি লোকাল ট্রেন, দূরত্ব ২৮ কিলোমিট...
04/05/2024

২৮ কিলোমিটার রেলপথের করুণ কাহিনি

ফেনী শহর থেকে পরশুরামের বিলোনিয়া সীমান্ত পর্যন্ত চলত একটি লোকাল ট্রেন, দূরত্ব ২৮ কিলোমিটার। ১৯২৯ সালে নির্মিত ২৮ কিলোমিটারের এই রেলপথে বন্ধুয়ার দৌলতপুর, আনন্দপুর, মুন্সির হাটের পীরবক্স, নতুন মুন্সির হাট, ফুলগাজী, চিথলিয়া, পরশুরাম ও বিলোনিয়া নামে আটটি স্টেশন স্থাপন করা হয়েছিল।

একসময় রেলপথটি ছিল এলাকার শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম। বিভিন্ন অজুহাতে ১৯৯৭ সালের ১৭ আগস্ট কর্তৃপক্ষ ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথটি বন্ধ করে দেয়। কর্মচারীদের বদলি করা হয় বিভিন্ন স্থানে।
এখন কেবল আছে ট্রেন লাইন। তাও কোথাও কোথাও নেই। পথিমধ্যে বহু জায়গায় ভঙ্গুর হয়ে গেছে রেললাইনের সেতু, চুরি হয়ে গেছে রেলপথ। রেললাইনের ওপরে উঠেছে বাড়ি। কোথাও আগাছায় ভর্তি। কোথাও কোথাও রেললাইনের ওপরেই সংসার পেতেছে মানুষ।
ফেনী স্টেশনের পরের স্টেশনের নাম বন্দুয়া। এটি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায়। এখন স্টেশন বলতে ভাঙ্গা, লতাপাতায় ঠাসা কয়েকটি ইটের দেয়াল। এরপরের স্টেশন আনন্দপুর। এই স্টেশনের অবস্থাও শেষ প্রায়। একপাশে টিকেট ঘর, ওয়েটিং রুম। স্টেশন মাস্টারের ঘর, সবই আছে। নেই শুধু মানুষের কোলাহল। দীর্ঘদিন অবহেলা আর অযত্নে থেকে সেগুলো আজ পরিত্যক্ত।
এখান থেকে কিছুটা দূর এগোলেই মুন্সিরহাট বাজার। এই স্টেশন পুরোপুরি দখল হয়ে গেছে। দেখে চেনার উপায় নেই। সরকারি ভবন, জমি জায়গাও দখল হয়ে গেছে। এই স্টেশনের নাম পীরবক্স হলেও লোকে চিনে পুরাতন মুন্সিরহাট নামেই।
এরপর ফুলগাজী স্টেশন। একটা ব্রিজের এপাশ আর ওপাশে ফুলগাজী উপজেলা ও পরশুরাম উপজেলা। বিলোনিয়া স্টেশন তথা বিলোনিয়া স্থলবন্দর এই পরশুরাম উপজেলাতেই। এরপর চিথলিয়া স্টেশন। এরপর খানিক দূরে পরশুরাম স্টেশন। স্টেশনটির অবস্থা খুবই খারাপ। যেন কোনো অস্তিত্বই যেন। স্টেশন ঘর এখন হয়ে গেছে বাঁশের দোকান।
পরশুরাম থেকে বিলোনিয়া স্টেশনের দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। এটি একটি স্থলবন্দর। স্টেশন এখন আর নেই, যা আছে ধ্বংসাবশেষ। এভাবে ভারী হচ্ছে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশনের কান্না। একটা রেলপথকে কেন্দ্র করে কীভাবে একটা অঞ্চলের শিল্প সাহিত্য জীবন-জীবিকার বিকাশ ঘটে তার প্রমাণ এই রেললাইন। আবার রেলপথ বন্ধ হলে তিলে তিলে গড়ে ওঠা সভ্যতা ও জীবিকা কীভাবে নিঃশেষ হয়ে যায় তারও উদাহরণ এই রেলপথ।
সারাদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া সব রেলস্টেশন ও রেলপথ পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হোক। বুলেট ট্রেন চলুক। তবে হারানো পথগুলোকেও আবার চেনাপথে নিয়ে আসা হোক।

শেয়ার - BRTI

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী (নাজমুস সালেহী)

বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক সারের কাজ।আমরা কৃষি জমিতে সবাই বিভিন্ন রকম সার ব্যবহার করি। কিন্তু কোন সার ফসলের জন্য কি কাজ ক...
28/04/2024

বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক সারের কাজ।

আমরা কৃষি জমিতে সবাই বিভিন্ন রকম সার ব্যবহার করি। কিন্তু কোন সার ফসলের জন্য কি কাজ করে তা আমরা অনেকে জানি আবার জানি না, এমনকি জানার চেষ্টাও করিনা। কিন্তু ভাল ফসল উৎপাদনের জন্য এটা জানা খুবই জরুরী। নিচে কোন প্রকার রাসায়নিক সারের কি কাজ তা সংক্ষেপে তুলে ধরলাম।

#ইউরিয়া:

ইউরিয়া সার গাছের ডালপালা, কান্ড ও পত্রের বৃদ্ধি সাধন করে। এই সার গাছপালাকে গাঢ় সবুজ রং প্রদান করে। এর নাইট্রোজেন পাতার সবুজ কণিকা বা ক্লোরফিলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং উদ্ভিদের প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে।

#টিএসপি:

টিএসপি, ডিএপি বা ফসফেট জাতীয় সারের ফসফরাস গাছের প্রথম পর্যায়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এছাড়া উদ্ভিদের জীবকোষের বিভাজনে অংশগ্রহণ করে এবং গাছের মূল বা শিকড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাছাড়া সময় মতো গাছকে ফুল ও ফলে শোভিত করে এবং ফলের পরিপক্কতা ত্বরান্বিত করে।

#পটাশ:

এমপি সার বা পটাশ সারের পটাশিয়াম পাতার ক্লোরফিল তৈরির অবিচ্ছেদ্য অংশ যা শর্করা প্রস্তুতিতে সহায়তা এবং সেগুলির দেহাভ্যন্তরে চলাচলের পথ সুগম করে। এই সার নাইট্রোজেনের কার্যকারিতার পরিপূরক এবং পোকামাকড় ও রোগবালাই থেকে গাছকে রক্ষা করে। এই সার গাছের খরা সহিঞ্চুতা বাড়ায়, গাছকে মজবুত করে।

#জিপসাম:

জিপসাম সারের মধ্যে থাকা সালফার নাইট্রোজেন আত্মকরণে সহায়তা করে। এই সার প্রোটিন প্রস্তুতিতে অংশ গ্রহণ করে, তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সালফার ভিটামিন ও কো-এনজাইমের উপাদান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

#জিংক_সালফেট:

জিংক সালফেটের জিংক প্রোটিন প্রস্তুতিতে সহায়তা করে এবং হরমোনের কার্যকারিতার জন্য সহায়তা করে।

#বোরাক্স:

বোরাক্সের বোরন ফলের বিকৃতি রোধ করে এবং ফুল ফল ধারণে সাহায্য করে।

৬ অক্টোবর ২০১৯।রাত  ৮.১৩।বুয়েট শেরেবাংলা হলের ১০১১  নাম্বার কক্ষে ঘুমাচ্ছিলো একটা ছেলে। একই ব্যাচের তানিমসহ তিনজন এসে তা...
04/04/2024

৬ অক্টোবর ২০১৯।
রাত ৮.১৩।
বুয়েট শেরেবাংলা হলের ১০১১ নাম্বার কক্ষে ঘুমাচ্ছিলো একটা ছেলে। একই ব্যাচের তানিমসহ তিনজন এসে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে।
-- বড় ভাইয়েরা তোকে ডাকছে। ২০১১ তে আয়।
-- কেনো?
-- গেলেই দেখতে পাবি।
-- কখন যাওয়া লাগবে?
-- এখনই। তোর ল্যাপটপ এটা?
-- হ্যাঁ।
-- মোবাইলটাও দে।
--কেনো?
-- দিতে বলছি তাই দিবি। ভাইরা বলছে।
মোবাইল, ল্যাপটপ এবং ছেলেটাকে নিয়ে তারা রওনা দিলো ২০১১ নাম্বার রুমের উদ্দেশ্যে। এই ছেলেটা কোন সাধারণ ছেলে ছিলো না। বুয়েটের EEE বিভাগে ২০১৮ সালে ভর্তি হওয়া এই ছেলের নাম আবরার ফাহাদ রাব্বি। অসাধারণ মেধাবী এই ছেলে ঢাবি 'ক ইউনিট' ভর্তি পরীক্ষায় ১৩ তম হয়েছিলো। চান্স পেয়েছিলো ঢাকা মেডিকেলেও। বড় ভাইদের ডাকে ২০১১ নাম্বার রুমের দিকে পা বাড়ানো আববার তখনো জানতো না, "অনন্ত মহাকালে এই যাত্রা, অসীম মহাকাশের অন্তে"।

আবরারের অপরাধ ছিল তাদের চোখে মারাত্মক! ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছে সে। আবরারেরই রুমমেট মিজানের সন্দেহ, "আবরার শিবির করে।" তাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আজ এই আয়োজন। কক্ষে ঢোকার পরই মোবাইল আর ল্যাপটপ চেক করা শুরু করে তারা। তেমন কোন প্রমাণ না পেয়ে রুমে থাকা রবিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
-- এদিকে আয়। চশমা খোল।
আবরার চশমা খোলার পর রবিন প্রচন্ড জোরে তার গালে কয়েকটি চড় মারে। হাত দিয়ে গাল চেপে বসে পড়ে আবরার। এরই মধ্যে মোরশেদ কাঠের তৈরি শক্ত ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আসে। ইফতি প্রথমে রবিনের মতোই গায়ের জোরে থাপ্পড় মারে আবরারকে। এরপর হাতে তুলে নেয় ক্রিকেট স্ট্যাম্প। পিঠে, পায়ে, পায়ের তালুতে, হাতে সর্বশক্তিতে মারতে থাকে। প্রচণ্ড শক্তিতে মারার কারণে কয়েক বাড়ি দেওয়ার পরই স্ট্যাম্প ভেঙে দুই টুকরা হয়ে যায়। আবরার ততক্ষণে চিৎকার দিতে দিতে লুটিয়ে পড়েছে মেঝেতে। সেই চিৎকার শুনে আশেপাশের রুমের জানালা ভয়ে দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। এহতেসামুল, রাব্বি ও তানিম আরেকটি নতুন স্ট্যাম্প নিয়ে আসে। এবার অনিক স্ট্যাম্প হাতে তুলে নেয়। একাধারে মাটিতে লুটিয়ে থাকা আবরারের সারা শরীরে আঘাত করতে থাকে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি আঘাত করে অনিক নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মেঝেতে পড়ে কাতরাতে থাকে আবরারের শরীর। সঙ্গে সঙ্গে মুজাহিদ ও শামিম স্কিপিং রোপ (মোটা দড়ি) দিয়ে মারতে শুরু করে। আবরার তখন বাঁচার জন্য আকুতি-মিনতি করে কিন্তু তাতে কারো মন গলেনি। কারো মধ্যেই মনুষ্যত্ব ফিরে আসেনি। বরং জীয়ন এগিয়ে এসে অনিক থেকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আবরারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সর্বশক্তিতে মারতে থাকে।

রাত সাড়ে দশটা। অমানুষিক মার খেয়ে মেঝেতে লুটিয়ে গোঙাতে থাকে আবরার। ইফতি ধমক দিয়ে টেনে দাঁড় করায়। তারপর সর্বশক্তিতে কয়েকটি চড় মারে। এরপর আবার স্ট্যাম্প দিয়ে পেটাতে থাকে।

রাত এগারোটা। ২০১১ নাম্বার কক্ষে এসে হাজির হয় এস এম মাহমুদ সেতু। এসেই সবাইকে জিজ্ঞেস করলো,
-- কি অবস্থা? কিছু বাইর হইছে?
-- না, কোন কিছু বলতেছে না।
-- মারতে থাক।
সেতুর নির্দেশে আবরারকে আবার ক্রিকেট স্ট্যাম্প, স্কিপিং রোপ দিয়ে মারা শুরু হয়। ইফতি ও অনিক আবরারকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে মারতে থাকে। হাতের কনুই দিয়ে পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করে। উৎসাহিত হয়ে তখন সবাই মিলে প্রচন্ড শক্তিতে আবরারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি চড়-থাপ্পড়, লাথি মারতে থাকেন। আবরারের কুঁকড়ে যাওয়া শরীর থেকে তখন শুধু গোঙানি শোনা যাচ্ছিলো।

রাত সাড়ে এগারোটা। কিছুক্ষণের জন্য রুম থেকে বের হওয়ার আগে অনিক ও রবিন অন্যদের বলে যায়,
-- তোরা অর কাছ থেকে যেমনেই হোক তথ্য বের কর।
এবার মনির ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আবরারকে পেটাতে শুরু করে। তাবাখখারুল, নাজমুস সাদাত, তানিম, জেমি আবরারকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। বাইরে থেকে আবার রুমে ঢুকে অনিক হাতে ক্রিকেট স্ট্যাম্প তুলে নেয়। এরপর আবরারকে প্রচন্ড জোরে একটানা আরও ৪০ থেকে ৫০টি আঘাত করে। মুমূর্ষু আবরার তখন বমি ও প্রস্রাব করে ফেলে। ব্যথায় চিৎকার করার মতো শক্তিও অবশিষ্ট নেই। বাঁচার জন্য ইশারা-ইঙ্গিতে কাকুতি-মিনতি করে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়। শ্বাসকষ্ট দেখে ইফতি আবরারের মাথার নীচে বালিশ দেয়। পরপর আরো কয়েকবার বমি করে আববার। এমন অবস্থায় আবরারকে হলের বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ধুয়ে মুছে জামা কাপড় বদলানো হয়।

রাত সাড়ে বারোটা। ইফতি ও মেহেদীর নির্দেশে আবরারকে ধরাধরি করে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসা হয়। ইফতি মোশাররফ হলের মেস বয় জাহিদ হাসানকে ডেকে আসে। ২০১১ নম্বর রুমে আবরারের বমি তাকে দিয়ে পরিষ্কার করানো হয়।
২০০৫ নম্বর কক্ষে আনার পর ইফতি বলে,
-- তোরা এবার অর থেকে তথ্য বাইর কর। বুয়েটে কে কে শিবির করে বাইর কর।
দুই-একজন আবরারের মুমূর্ষু অবস্থা দেখে ভয়ে ভয়ে বললো,
-- ভাই, অবস্থা বেশ খারাপ। হাসপাতালে নেওয়া দরকার।
এই কথা শোনার পর রবিন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন।
-- যা বলছি তাই কর। এইগুলি সব নাটক। ভং ধরছে। তোরা শিবির চেনস না। শিবির চেনা কষ্ট।

রবিনের রেগে ওঠা দেখে সবাই ভয়ে জলদি আবরারকে আবার ইন্টারোগেট শুরু করে। কিন্তু আবরারের মুখ থেকে কোন শব্দ আসে না। নিশ্চল, নিস্তেজ পড়ে থাকা দেহ কোন সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবার আরেক দফা পেটানো শুরু হয়।

রাত দুইটা। সিদ্ধান্ত হয় আবরারকে হল থেকে বের করে পুলিশে দেওয়া হবে। মেহেদী চকবাজার থানা পুলিশকে ফোন দেয়, "হলে একটা শিবির ধরা পড়েছে। এসে নিয়ে যান।" চকবাজার থানা পুলিশ একটা টহল দল পাঠায় শেরে বাংলা হলের গেইটে। কিন্তু দেরী হওয়ায় গেইট থেকে পুলিশকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

রাত আড়াইটা। ইফতি, মুজাহিদ, তাবাখখারুল ও তোহা মিলে নিশ্চল আবরারকে তোশকে করে হলের দোতালার সিঁড়িতে এনে রেখে দেয়। সিঁড়ির লাইটের আলোয় আবরারের খালি গায়ে তখন স্পষ্ট কালো কালো দাগ। সারা শরীরে স্ট্যাম্পের বাড়ির কারণে কালশিটে পড়ে আছে। চোখ বন্ধ। তবে চেহারায় কোন যন্ত্রণার ছাপ নেই। বরং সেখানে প্রশান্তির চিহ্ন। নিষ্ঠুর অমানুষদের এই পৃথিবী ছেড়ে স্রষ্টার সান্নিধ্যে চলে যাওয়ার প্রশান্তি।

রাত তিনটা। খুনীরা বুয়েটের চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনে। চিকিৎসক আবরারের দেহ পরীক্ষা করে ঘোষণা দেন সে মারা গেছে। তড়িঘড়ি করে ক্রিকেট স্ট্যাম্প, তোষক, বালিশ, আবরারের ল্যাপটপ, চাপাতি হলের ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ এর কক্ষে নিয়ে রেখে দেওয়া হয়। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রাসেল আবরারের মৃতদেহ হলের নিচে নামানোর পর তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বুয়েটের চিকিৎসককে চাপ দেন। খুনীরা সিদ্ধান্ত নেয় আবরারের লাশ গুম করে ফেলা হবে। কিন্তু ততক্ষণে কিছু শিক্ষার্থী দেখে ফেলায় তার নতুন পরিকল্পনা করে। আবরারের লাশের সাথে কিছু মাদক দিয়ে গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার নাটক সাজানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আবরারের সহপাঠীদের দৃঢ়তায় সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

৭ অক্টোবর ২০১৯। ভোরের আলো ফোটার আগেই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা উপহার পায় এক সতেজ তাজা লাশ। পাঁচ ঘন্টা অমানুষিক নির্যাতনে মৃত ফর্সা শরীরটার সবখানে শুধু লাল আর কালোর মিশ্রণ। দেশের পক্ষে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস আবরার ফাহাদ রাব্বিকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্ত মহাকাশের পথে।

***

লেখা- মারুফ হাসান,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

নতুন রূপে ফেনী মিজান রোড। শান্তি চত্বর।(সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন) ধন্যবাদ Sopon Miaji মেয়র ফেনী।
17/03/2024

নতুন রূপে ফেনী মিজান রোড। শান্তি চত্বর।
(সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন)
ধন্যবাদ Sopon Miaji মেয়র ফেনী।

একটা যাদুঘরে বাংলাদেশের কিছু উন্নয়নের প্রদর্শনী
28/02/2024

একটা যাদুঘরে
বাংলাদেশের কিছু উন্নয়নের প্রদর্শনী

রিভার্টেড নওমুসলিম দম্পতি মামলার আপডেট... আজ বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, -১ চট্টগ্রাম এর আদালতে মামলাটির শুনানি হয়।...
18/02/2024

রিভার্টেড নওমুসলিম দম্পতি মামলার আপডেট...

আজ বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, -১ চট্টগ্রাম এর আদালতে মামলাটির শুনানি হয়।
শুনানিকালে আমরা প্রায় ৫০ এর বেশি আইনজীবী আসামি ও ভিকটিম পক্ষে অংশ নিই।
বাদী পক্ষেও অনেক আইনজীবী অবস্থান নেয়।

প্রথমে আদালতে উভয়পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে তর্ক বিতর্ক হৈ-হুল্লোড় হলেও আদালতের হস্তক্ষেপে ১মে আমরা আসামি পক্ষে জামিন শুনানির সাবমিশন দিই।
আদালতকে আমরা বুঝানোর চেষ্টা করি দালিলিক প্রমাণাদি দিয়ে, ভিকটিম একজন প্রাপ্ত-বয়স্ক এবং সে বুঝে জেনে শুনে ধর্মগ্রহণ করেন।
তার (ভিকটিমের) দেওয়া জবানবন্দি মতে তাকে আসামি অপহরণ করেনি,কিংবা জোরপূর্বক কেউ ধর্মান্তরিত বা বিয়ে করেনি।যা আসামি গত বৃহস্পতিবার ম্যাজিস্ট্রেট সম্মুখে জবানবন্দি দেয়।
আমরা এই জবানবন্দি আদালতের নজরে নিয়ে আসি।

অতঃপর সার্বিক তথ্য ও দালিলিক বিষয় বিবেচনা করে আসামির জামিন প্রার্থনা করি।এই অবস্থায় ভিকটিম নিজেও কাঠগড়ায় অবস্থান করে।ভিকটিমকে জিজ্ঞেস করতে বলি,আদালত পরক্ষনেই বাদী পক্ষের ও রাষ্ট্র পক্ষের জবানবন্দি শ্রবণ করে আমাদের বেইল প্রেয়ার নামঞ্জুর করেন।
তাদের একটি দরখাস্ত ছিল ভিকটিমের বয়স নির্ধারণের জন্য মেডিক্যাল ভেরিফাই রিপোর্ট চাওয়া হয়। আদালত এই দরখাস্ত টি আমলি আদালতে আগামীকাল সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করে।

এমতাবস্থায় বাইরে সাধারণ উৎসুক জনতার মধ্যে একটা তীব্র প্রতিক্রিয়া হৈ-হুল্লোড় সৃষ্টি হয়,এজলাস বিচারকের দৃষ্টিগোচর হলে আদালত হস্তক্ষেপ করে স্পেশাল ফোর্স এসে তাদের সরিয়ে দেয়। পরক্ষণে আমরা আইনজীবীরা বের হয়ে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দিই।
আদালতের এই আদেশে আমরা সংক্ষুব্ধ হয়েছি।
যেহেতু ভিকটিম বলেছে তাকে কেউ অপহরণ করেনি,সে স্বেচ্ছায় আসামিকে বিয়ে করে ঘর সংসার করছে দীর্ঘদিন ধরে।

আমরা সবকিছু মিলিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
আগামীকাল শুনানিতে আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
মজলুমের পক্ষে আমরা আছি,আমরা ছিলাম, আমরা থাকবো ইনশাআল্লাহ।

প্রতিবাদের শুরু হোক একদম নিজের অবস্থান থেকে 💖
12/02/2024

প্রতিবাদের শুরু হোক একদম নিজের অবস্থান থেকে 💖

26/01/2024

🚻 টিউটরঃ ফিমেল
🏘️ :বাসাঃ সেলিনা পারভিন সড়ক এর মুখে।

⌚পড়ানোর সময়ঃ শিক্ষিকার সুবিধানুসারে।
★বাসায় এসে পড়তে হবে। ★

➡️শ্রেণি-১ম-৫ম শ্রেণি পর্যন্ত।
যোগ্যতা অনার্স ২য় বর্ষ।

📚 সাবজেক্ট ঃ সব বিষয়(বিশেষ করে কুরআন ও নামাজ শিক্ষা দেওয়া হয়।
🛂অভিজ্ঞতা ৫ বছর

💵 পেমেন্টঃ আলোচনা সাপেক্ষে।
যোগাযোগ 01788305060

16/01/2024

★ঢাকা বা ★চট্রগ্রামে নয়, এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি, ★ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ায় অবস্থিত। সবাই বলি আলহামদুলিল্লাহ। মসজিদটির অবস্থ...
16/01/2024

★ঢাকা বা ★চট্রগ্রামে নয়, এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি, ★ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ায় অবস্থিত। সবাই বলি আলহামদুলিল্লাহ। মসজিদটির অবস্থান ★বাংলা বাজার। এই মসজিদের নাম ★ভূঁইয়া বাড়ি জামে মসজিদ।।।।।।

বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) কোনো এক নদীর বুকে ছুটে চলেছে সারি সারি পালতোলা নৌকা | ১৯৬৩ | কার্টেসি: লাইভজার্নাল ...
13/01/2024

বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) কোনো এক নদীর বুকে ছুটে চলেছে সারি সারি পালতোলা নৌকা | ১৯৬৩ | কার্টেসি: লাইভজার্নাল |

 #নাউযুবিল্লাহ_কতবড়_কথা!এইটা দেখার পরেও কি তাদের দোকান থেকে মিষ্টি খাবেন ??  #আপনি_মুস_লিম_হিসাবে_উদারতা দেখিয়ে তাদের ...
10/01/2024

#নাউযুবিল্লাহ_কতবড়_কথা!
এইটা দেখার পরেও কি তাদের দোকান থেকে মিষ্টি খাবেন ??
#আপনি_মুস_লিম_হিসাবে_উদারতা দেখিয়ে তাদের দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করেন, অথবা তাদের বানানো দই মিষ্টি রসমালাই ভক্ষণ করতে উপভোগ করেন, এইজন্য তারা আপনাকে গোমূত্র ও প্রসাধ্বনি দিয়ে মেহমানদারী করায়।
সবাই মুস/লিম হিসেবে যার যার আইডি থেকে এগুলো প্রচার করি ।

উনিশ শত ষাটের দশকে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকা। ছবি সংগৃহীত।..
08/01/2024

উনিশ শত ষাটের দশকে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকা।
ছবি সংগৃহীত।..

16/12/2023

মুসলিম ফারায়েজ নীতিঃ-

১। স্ত্রীর দুই অবস্থাঃ-
(ক) মৃত ব্যাক্তির সন্তান না থাকলে ১/৪,
( খ) আর থাকলে ১/৮ অংশ পাইবে।

২। স্বামীর দুই অবস্থাঃ-
(ক) স্ত্রীর মৃত্যুর পর সন্তান না থাকলে ১/২,
( খ) আর থাকলে ১/৪ অংশ পাইবে।

৩। কন্যার তিন অবস্থাঃ-
(ক) একজন মাত্র কন্যা থাকলে ১/২,
( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,
(গ) পুত্র কন্যা একসাথে থাকলে ২:১ অনুপাতে পাইবে।

৪। পিতার তিন অবস্থাঃ-
(ক) মৃত্যু ব্যাক্তির পুত্র বা পৌত্র বা পুরুষ শ্রেনী বর্তমানে থাকলে ১/৬ অংশ পাইবে,
(খ) পুরুষ শ্রেনি না থাকলে এবং কন্যা বা পৌত্রী বা মহিলা শ্রেনী বর্তমানে থাকলে( ১/৬+অবশিষ্ট) অংশ পাইবে,
(গ)পুরুষ বা মহিলা শ্রেনী বর্তমানে না থাকলে অবশিষ্ট সকল অংশ পাইবে।

৫। মায়ের তিন অবস্থাঃ-
(ক) মৃত্যু ব্যক্তির সন্তান বা একাধিক ভাইবোন থাকলে ১/৬ অংশ পাইবে,
(খ) মৃত্যু ব্যক্তির যদি কোন সন্তান না থাকে বা ভাইবোন ২ জনের কম থাকলে ১/৩ অংশ পাইবে,
(গ) স্বামী বা স্ত্রীর সাথে পিতা মাতা উভয়ে থাকলে, মৃত্যু ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে স্বামী বা স্ত্রীর অংশ দেয়ার পর বাকি সম্পত্তির ১/৩ অংশ পাইবে।

৬। বৈপিত্রীয় ভাইবোনদের তিন অবস্থাঃ-
(ক) একজন মাত্র বৈপিত্রীয় ভাইবোন থাকলে ১/৬ অংশ,
(খ) একাধিক থাকলে ১/৩ অংশ পাইবে
(গ) মৃত্যু ব্যাক্তির পুত্র বা পৌত্র,পিতা বা দাদা থাকলে বঞ্ছিত হইবে।

৭। পৌত্রীগনের ছয় অবস্থাঃ-
(ক) একজন মাত্র পৌত্রী থাকলে ১/২,
( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,
(গ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র কন্যা থাকে তাহলে পৌত্রীগন ১/৬ অংশ পাইবে,
(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক কন্যা থাকে তাহলে পৌত্রীগন বঞ্ছিত হইবে,
(ঙ) মৃত্যু ব্যক্তির পৌত্রী ও পৌত্র একই সাথে থাকলে অংশীদার হইবে,
(চ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির পুত্র থাকে তাহলে পৌত্রীগন বঞ্ছিত হইবে।

৮। সহোদরা বোনদের পাঁচ অবস্থাঃ-
(ক) একজন মাত্র সহোদরা বোন থাকলে ১/২,
( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,
(গ) সহোদরা বোনের সাথে সহোদরা ভাই থাকলে আসাবা হইবে,
(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র কন্যা বা পৌত্রী থাকে তাহলে সহোদরা বোনগন ১/৬ অংশ পাইবে। একাধিক কন্যা বা পৌত্রী থাকলে এবং অন্য কোন ওয়ারিশ না থাকলে অংশীদার হইবে,
(ঙ) মৃত্যু ব্যাক্তির পুরুষ শ্রেনীর ওয়ারিশ থাকলে সহোদরা বোনগন বঞ্ছিত হইবে।

৯। বৈমাত্রিয় বোনদের সাত অবস্থাঃ-
(ক) যদি মৃত্যু ব্যাক্তির সহোদরা বোন না থাকে ও একজন মাত্র বৈমাত্রিয় বোন থাকলে ১/২,
(খ)একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,
(গ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র সহোদরা বোন থাকে তাহলে বৈমাত্রিয় বোন ১/৬ অংশ পাইবে,
(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক সহোদরা বোন থাকে তাহলে বৈমাত্রিয় বোনগণ বঞ্ছিত হইবে,
(ঙ)যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক সহোদরা বোন থাকে এবং বৈমাত্রিয় বোনের সাথে বৈমাত্রিয় ভাই থাকলে একএে অংশীদার হইবে।
(চ) মৃত্যু ব্যাক্তির কন্যা বা পৌত্রী থাকলে এবং অন্য কোন ওয়ারিশ না থাকলে বৈমাত্রিয় বোনগণ অবশিষ্ট অংশ পাইবে,
(ছ) মৃত্যু ব্যক্তির পুরুষ ওয়ারিশ থাকলে বৈমাত্রিয় বোনগন বঞ্ছিত হইবে।

১০। দাদী নানীর ২ অবস্থাঃ-
(ক) পিতৃ বা মাতৃ সম্পর্কের এক বা একাধিক যাহাই হোক ১/৬ অংশ পাইবে,
(খ) মৃত্যু ব্যক্তির মাতা জীবিত থাকলে বঞ্ছিত হইবে। তবে পিতা জীবিত থাকলে দাদী বঞ্ছিত।

১৯০৫সালে লর্ড কার্জন বৃহত্তর বাংলাকে ২টি ভাগ করে। পশ্চিম বাংলা (আজকের ভারতের পশ্চিম বঙ্গ ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত), ( মুসলি...
16/12/2023

১৯০৫সালে লর্ড কার্জন বৃহত্তর বাংলাকে ২টি ভাগ করে।

পশ্চিম বাংলা (আজকের ভারতের পশ্চিম বঙ্গ ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত),

( মুসলিম আধিপত্য) - পূর্ব বাংলা (আজকের বাংলাদেশ; ভারতের আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, অরুণাচল, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ও পশ্চিম বঙ্গের কিছু অংশ; মায়ানমারের আরাকান [রাখাইন প্রদেশ ও চীন প্রদেশের কিছু অংশ] নিয়ে গঠিত)।

১৯১১সালে ঈর্ষাপরায়ণ উচুবর্গীয়রা বঙ্গভঙ্গ রদ করার জন্য ব্যাপক আন্দোলন করে এবং এই আন্দোলনের চাপে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়।

১৯১১সালে বঙ্গভঙ্গ রদ না হতো নবাবী পূর্ব বাংলা ও প্রজাতন্ত্রী পশ্চিম বাংলা ১ম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৮সালে)/ ২য় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৪৫সালে) ব্রিটিশ হতে স্বাধীনতা লাভ করত। নবাবী পূর্ব বাংলা শিক্ষা, চিকিৎসা, আর্থসামাজিক ইত্যাদির দিক দিয়ে আরব, আমেরিকা, ইউরোপীয় উন্নত দেশের কাতারে থাকত এবং পৃথিবীর বুকে পরাশক্তির রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ হতো।আমরা বাংলাদেশীরা "ভারতীয় উপমহাদেশ"-এর
অংশ না , কখনো ছিলাম না । বর্তমান বাংলাদেশের
আয়তন ৫৫৫৯৮ বর্গমাইল , মূলত বাংলা রাজ্য
১৩৫০০০ হাজার বর্গমাইল এর কাছাকাছি আয়তন
ছিল , তবে কখনো কখনো এই বাংলা রাজ্য বা বঙ্গ
রাজ্য আড়াই লক্ষ বর্গ মাইল আয়তনের অধিকারী
হয়েছিল , সেটাও ছিল আদি বাংলার একটি ।

না, আমরা বাংলাদেশীরা "ভারতীয় উপমহাদেশ"-এর
অংশ না। দিল্লী বেইজড যে সাম্রাজ্য ছিল, সেটা
একদম আগে শাসন করতো মুসলিম সাম্রাজ্য দিল্লী সুলতানাত, এরপর মুসলিম মুঘল সাম্রাজ্য, মুসলিম শের শাহ,
এরপরে ব্রিটিশরা। আমাদের বাংলা বখতিয়ার খিলজি ও শাহজালাল মতো মুসলিম দ্বারা পরিচালিত ছিল। বারবার আমরা
দিল্লীর শাসন থেকে নিজেদের স্বাধীন রাখার চেষ্টা
করেছি। কেউ বাংলাকে "ভারত" বলতো না। বাংলা
বাংলা-ই ছিল। বাংলাকে ভারতের মধ্যে ঢোকানোর
কাজটা করেছে ব্রিটিশ, শাসনের সুবিধার্থে।
মহাভারতে যেসব এলাকার কথা বলা, যেমন
কুরুক্ষেত্র পাঞ্জাবের কাছে হরিয়ানাতে। তক্ষশীলা
অঞ্চল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। বৃন্দাবন,
গোকুল, কাশী, এসব উত্তর প্রদেশে। আমি
বিভিন্নভাবে খুঁজে মহাভারতের কোনো লোকেশনে
বাংলাদেশের কোনও জায়গা ইনক্লুডেড ছিল, খুঁজে
পেলাম না। যদি বহু আগে ভারতীয় সাম্রাজ্যের প্রান্তে
আমরা দখলকৃত থাকিও, কিন্তু বারবারই আমাদের
অঞ্চল স্বাধীন হতে চেয়েছে। ভারতের সাম্রাজ্যের
অধীন হতে চায় নি।

বাংলাকে ভারতের অংশ ভাবা মানে বাংলার
ইতিহাসকে শ্রদ্ধা না করা। বাংলার মানুষের স্বাধীন
হইতে চাইবার হাজার বছরের ইচ্ছেকে অসম্মান
করা। আমাদের অর্ধেকটা বাংলা ভারতের মধ্যে ঢুকে
গেছে, কিছু করার নাই, সেটা হয়তো আর রিকভার্ড
হবে না। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ ভারত থেকে
সবসময়েই স্বাধীন থাকতে চেয়েছে, আমরা স্বাধীন
থাকবোই।

আপনারা "দক্ষিণ এশিয়া" কথাটা ইউজ করা শুরু
করেন, এটাই একসেপ্টেবল উপায় আমাদের দেশের
উপমহাদেশকে ডিসক্রাইব করার জন্য। নিজেদের
"ভারতীয় উপমহাদেশ"-এর অংশ বলা মানে নিজের
অজান্তে ভারত ও বাংলার ডিফারেন্সটাকে মুছে
ভারতের আধিপত্যকে মেনে নেওয়া। তারা আমাদের
প্রতিবেশী সাম্রাজ্য, কিন্তু তারা আর আমরা আলাদা।
এই সেন্সটা গ্রো করা অনেক জরুরী, নিজেদের
সম্মান রক্ষার জন্য

সময় এসেছে ভারত নির্ভরতা কমানোর।ইন্ডিয়া-অস্ট্রেলিয়া  ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে ইন্ডিয়া এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন ওদের দয়...
03/12/2023

সময় এসেছে ভারত নির্ভরতা কমানোর।

ইন্ডিয়া-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে ইন্ডিয়া এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন ওদের দয়ায় আমরা খেয়ে পরে বেঁচে আছি। ইন্ডিয়ানদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।এটা তাদের কোন প্রদেশ বা কলনি না। এদেশের জনগণ কাকে সাপোর্ট করবে আর কাকে করবে না তার জবাব কি ইন্ডিয়া কে দিতে হবে? তারা যদি এমনটা প্রত্যাশা করে তাহলে উচিত ছিল বাংলাদেশের সাপোর্ট করা। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ পাকিস্তান খেলা হয় অথচ তারা পাকিস্তানকে সাপোর্ট করে, নেদারল্যান্ড , আফগানিস্তান এককথায় তারা অধিকাংশই এন্টি বাংলাদেশের সাপোর্টার। তাহলে তারা কিভাবে বাংলাদেশ থেকে সাপোর্ট প্রত্যাশা করে??

তাদের চিরাচরিত উগ্র বাদী হিংস্র মনোভাবের প্রতিফলন আবারো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আইপিএল থেকে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের বাদ, ইন্ডিয়ার হোটেলে বাংলাদেশীদের বুকিং বাতিল খাদ্য রফতানি বন্ধ ইত্যাদি। এগুলো করলে ক্ষতি কাদের হবে???? বাংলাদেশের জন্য তাদের পর্যাটন শিল্প, সিনেমা,কলকাতার মার্কেট বেঁচে আছে এটা কি তারা ভুলে গেছে?? ৬লাখের বেশি ভারতীয় এদেশে চাকরি করে এবং তাদের রেমিট্যান্স এর একটা বড় অংশ (৪র্থ) এদেশ থেকে যায়।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো তারা আমাদের খুব ছোট করে দেখে যেন তাদের দয়ায় আমরা বেঁচে আছি। এখন বাংলাদেশের জনগণের উচিৎ ইন্ডিয়াকে বয়কট করা। নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করা।ভারত নির্ভরতা না কমাতে পারলে নিকট ভবিষ্যতে তারা আমাদের একচেটিয়া কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।

বিগত ৫২ বছরে আমাদের প্রতি তাদের আচরণ বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না। ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তা চুক্তি,সিমান্ত হত্যা,অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ। আন্তর্জাতিক ইস্যু যেমন রোহিঙ্গা সংকট, ফিলিস্তিন ইত্যাদি কখনো বাংলাদেশ তাদের পাশে পায়নি।
এখন আমাদের উচিত ইন্ডিয়ার বিকল্প খুঁজে বের করা।যেন ওদের ফাঁদে ওরা পড়ে।

অস্ট্রেলিয়ার সাপোর্ট করা দর্শকরা যদি পাকিস্তানের রাজাকার হয়! তাহলে ইন্ডিয়ার সাপোর্টাররা  ইসরাইয়েলের বংশধর কি?! চঞ্চল চৌধ...
27/11/2023

অস্ট্রেলিয়ার সাপোর্ট করা দর্শকরা যদি পাকিস্তানের রাজাকার হয়!
তাহলে ইন্ডিয়ার সাপোর্টাররা ইসরাইয়েলের বংশধর কি?!
চঞ্চল চৌধুরী তোমার এই ধরনের কথার তীব্র নিন্দা জানায়, আর খেলা শুধু বিনোদন এটা নিয়ে এত মাতামাতি করার কি আছে? খেলায় যার যাকে মন চাইবে তাকে সাপোর্ট করবে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

No bad comments anybody

M Akbar Hossain

© ollected

 #দারুণ_প্রতিবাদ📌চঞ্চল চৌধুরীরা (Chanchal Chowdhury) ভুলে যান বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ দেশের মানুষেরা স...
26/11/2023

#দারুণ_প্রতিবাদ
📌চঞ্চল চৌধুরীরা (Chanchal Chowdhury) ভুলে যান বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ দেশের মানুষেরা স্বাধীন। খেলায় প্রতিবেশী দেশকে সমর্থন করতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ইন্ডিয়ানরা কি বাংলাদেশ দলকে সমর্থন করে? নাহ। আমি তো দেখেছি বাংলাদেশ-পাকিস্তান খেলায় বাঙালির ইডেন গার্ডেনে ভারতীয়রা পাকিস্তানকে সমর্থন দিচ্ছে। যে যেই দলকে সমর্থন করে, সেই দল জিতলে উল্লাস করবেই। ক্রিকেটে ভারত, পাকিস্তানের পর অস্ট্রেলিয়ার সাপোর্টারই বেশি।

জানি, ব্যাপারটা এরকম সরল নয়। বাংলাদেশের মানুষ এখন ভারতকে পছন্দ করে না। এর পেছনে অনেক অনেক কারণ, ক্রিকেটীয় কারণ খুব সামান্য। ক্রিকেট খেলাটাকে নিজেদের জিম্মায় রাখা, আইসিসি ও এসিসিকে কব্জা করে রাখার কারণে কেবল বাংলাদেশ না সারা দুনিয়াতেই ক্রিকেটপ্রেমীরা ভারতকে পছন্দ করে না। বাংলাদেশ দলের বাইরে বাংলাদেশে ইন্ডিয়া ক্রিকেট দলের সমর্থকই বেশি--এই সমর্থকরাও এখন ইন্ডিয়া হারাতে উল্লাস করে। ক্যানো এমনটা হলো? কারণটা রাজনৈতিক, কারণটা স্বদেশপ্রেম। সারাক্ষণ বাংলাদেশের ওপর খবরদারি, খরানের সময় তিস্তার ন্যায্য পানি না দেওয়া এবং বর্ষায় অতিরিক্ত পানি ছেড়ে বন্যা উপহার দেওয়া, সীমান্ত-সন্ত্রাস, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে যথেষ্ট সম্মান না দেওয়া, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মানুষের ওপর ১৫ বছর ধরে জুলুমকারী স্বৈ*রশাসককে টিকিয়ে রাখা, বিজেপি সরকারের বাংলাদেশনীতি ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভারতকে পছন্দ করে না। রাগ-ক্ষোভগুলি মেটায় ইন্ডিয়া ক্রিকেট দল হারলে, উল্লাস করে। এর পেছনে ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা তেমন নাই।

বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারত হারার পর বাংলাদেশে অনেক মানুষ উল্লাস করেছে। এদের একটা অংশ অস্ট্রেলিয়া সমর্থক, আরেকটা অংশ ভারতের হারাতেই খুশি। এই উল্লাসের জন্য অনেক ভারতীয় বাংলাদেশকে ভারতের এটাচড টয়লেট বলছেন, কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন তুলে দেওয়া হোক দাবি করেছেন, চিকিৎসা এবং বেড়ানোর জন্য বাংলাদেশিদের ভিসা না দেওয়ার দাবি তুলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহায়তা করা উচিত হয়নি টাইপ কথাও বলছেন। তাদেরকে বলি, বাংলাদেশের প্রতি আপনাদের মনোভাব কেমন এই এটাচড বাথরুম, বাংলাদেশকে কাংলাদেশ বলায় বোঝা যায়। চিকিৎসা আর বেড়ানোর জন্য ভারত ভিসা দেওয়া বন্ধ করলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরাট উপকার হবে, আর ভারতের অর্থনীতি ধসে পড়বে। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রায় অর্ধেক উৎস বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী আর পর্যটকরা। ভিসা নিতেও টাকা দিতে হয়। ভিসা নিতে গিয়ে, ভিসা নিয়ে সীমান্ত পাড় হতে, সীমান্ত পাড় হয়ে ভারতে ঢুকে হোটেল পেতে সাধারণ বাংলাদেশিদের যেরকম হয়রানির শিকার হতে হয় তা সারা দুনিয়ায় নজিরবিহীন। এত ভালো ভালো মেডিকেল কলেজ যে দেশে, যে দেশের ডাক্তার-নার্সরা অত্যন্ত সম্মানের সাথে দুনিয়াব্যাপি কাজ করে, সেই দেশের মানুষদের চিকিৎসা করাতে কেন প্রতিবেশি দেশে যেতে হয়! কারণ বিরাট একটা সিন্ডিকেট বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থাকে টালমাটাল করে রেখেছে। কার স্বার্থে? এ দেশের রোগীরা দেশেই সুচিকিৎসা পেলে বিরাট অঙ্কের টাকা দেশেই থাকবে। কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন না থাকলে তেমন কিছুই আসে যায় না, কিন্তু বাংলাদেশে বইয়ের দোকানদাররা কলকাতার বই বেচা বন্ধ করে দিলে পশ্চিমবঙ্গের অনেক প্রকাশকই হয়ত টিকতে পারবে না। আর স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা? সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ, সেই ঋণ শোধ করতে তো আমরা ভারতের গোলাম থাকবো না। কোনো রাষ্ট্রের গোলাম হতে আমরা স্বাধীন হইনি।

ভারতীয়রা ক্ষোভে অনেককিছুই বলছে, তা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে বাংলাদেশে বসে অনেকে বলছে বলিউডের সিনেমা দেখা, ভারতের চাল-ডাল-পেঁয়াজ খেয়ে তাদের হারে উল্লাস করা কিভাবে সম্ভব! আরেহ চো*দনারা, সিনেমা ফ্রি দেখে? পেঁয়াজ, চাল-ডাল ভারত আমাদেরকে ফ্রি দেয়? টাকা দিয়ে আমদানি করা লাগে। এর সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঢেলে দিচ্ছে! চঞ্চল চৌধুরীর মতন অনেকেই বলছেন, ভারতের হারে যারা উল্লাস করে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানীদের রেখে যাওয়া বংশধর! কিরকম অপমাজনক কথা! মানে কি হে, ভারতকে পছন্দ না করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী হয় কীভাবে? যাদেরকে আপনারা পাকিস্তানের রেখে যাওয়া বংশধর বলছেন, তারাই ভারতীয় আগ্রাসন থেকে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার ব্যাপারে সচেতন এবং চিন্তিত। একটা অংশ যেমন বাংলাদেশে থেকেও পাকিস্তানের প্রতি প্রেম বেশি, তেমনি আপনাদের প্রেম বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের প্রতি বেশি। এই দুইটা গোষ্ঠীর কেউই বাংলাদেশকে নিজেদের দেশ মনে করে না।

চঞ্চল চৌধুরী, আপনি ভারতীয় মিডিয়ায় বলছেন ভারতের পরাজয়ে উল্লাস করা বাংলাদেশিরা পাকিস্তানিদের রেখে যাওয়া জিন বহন করে, মানে দেশের নব্বই শতাংশ মানুষের রক্তই দূষিত! চঞ্চল চৌধুরী, আপনি রাতের ভোটের বা*কশা*লীদের পক্ষের লোক হিসাবে নিজেকে আগেই প্রমাণ করেছেন, এবার প্রমাণ করলেন আপনি বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী জঙ্গিগোষ্ঠী আরএসএস-এরও লোক। আপনি ওদের ভাষাতেই কথা বলেছেন। যেন আপনি বাংলাদেশের না, ভারতের নাগরিক এবং আরএসএস-এর প্রতিনিধি।

জনবিরোধী এই অভিনেতাকে বয়কট করার সময় এসেছে।✅
✍️(সংগৃহীত)

ফেনী কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ।(পুরাতন ও নতুন ভবন)
17/11/2023

ফেনী কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ।
(পুরাতন ও নতুন ভবন)

Address

Feni City
Feni
3900

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Feni24 TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Feni24 TV:

Videos

Share



You may also like