Sohag Azad Vlog

Sohag Azad Vlog ইচ্ছে ঘুড়ির আকাশের কোন সীমানা থাকে না

"আমি আমার জীবনে অনেক বই পড়েছি, কিন্তু সেগুলো থেকে অর্জিত বেশীরভাগ তথ্যই আমার এখন মনে নেই। তাহলে এত বই পড়ে আসলে আমার কি ল...
28/08/2024

"আমি আমার জীবনে অনেক বই পড়েছি, কিন্তু সেগুলো থেকে অর্জিত বেশীরভাগ তথ্যই আমার এখন মনে নেই। তাহলে এত বই পড়ে আসলে আমার কি লাভ হচ্ছে?" একজন ছাত্র তার শিক্ষককে ঠিক এই প্রশ্নটি একদিন জিজ্ঞেস করেছিল।
শিক্ষক এই ব্যাপারে মৌন ছিলেন, তিনি প্রথম দিন কোন উত্তর দিলেন না।
কিছুদিন পর নদীর ধারে সেই ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে একদিন দেখা হয়, শিক্ষক ছাত্রকে একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্র দেখিয়ে বললো - "যাও, নদীর ধার থেকে পাত্রটি নিয়ে আমার জন্যে এক পাত্র পানি নিয়ে আসো", পাত্রটি সেখানে ময়লার মধ্যে মাটিতে পড়েছিল।
ছাত্রটি কিছুটা বিভ্রান্তিবোধ করলো, এটা অযৌক্তিক উপদেশ, একটা ছিদ্রযুক্ত পাত্র দিয়ে পানি নিয়ে আসা সম্ভব নয়, কিন্তু শিক্ষকের উপদেশ অমান্য করা যাবে না, তাই সে মাটি থেকে পাত্রটি তুলে নিয়ে নদীর ধারে ছুটে গেল পানি নিয়ে আসার জন্যে।
পাত্র ভর্তি করে সে পানি নিয়ে উপরে উঠে এলো, কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলো না, কয়েকটা কদম দেওয়ার সাথে সাথেই পানিগুলো সব ছিদ্র দিয়ে নিছে পড়ে গেল।
সে আরও কয়েকবার চেষ্টা করলো, কিন্তু সে ব্যার্থ হলো এবং হতাশাবোধ করলো।
এভাবে আরও কয়েকবার চেষ্টা করার পরেও সে পানি নিয়ে পৌঁছাতে পারলো না, সে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ল।
তারপর সে শিক্ষকের নিকট ফিরে গিয়ে বললো - "আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমি এই পাত্রটিতে পানি নিয়ে আসতে পারবো না, এটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আমাকে ক্ষমা করুন।"
ছাত্রের কথা শুনে শিক্ষক কোমল একটি হাসি দিলেন এবং ছাত্রকে উদ্দ্যেশ্য করে তিনি বললেন - "না, তুমি ব্যর্থ হওনি। পাত্রটির দিকে তাকিয়ে দেখ, এটি এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, একদম নতুন একটি পাত্রের মত দেখাচ্ছে। ছিদ্রগুলো দিয়ে যতবারই পানি পড়েছে ততবারই পাত্রটির মধ্যে থাকা ময়লাগুলো পরিষ্কার হয়ে বের হয়ে গিয়েছে। যখন তুমি কোন বই পড় তখন তোমার সাথে একই ব্যাপার ঘটে, তোমার ব্রেইন হচ্ছে একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্রের মত, আর বইয়ের মধ্যে থাকা তথ্যগুলো হচ্ছে পানির মত। তাই যখন তুমি কোন বই পড় এর সব কিছু মনে রাখতে পারো না। কিন্তু তুমি একটা বই পড়ে এর সবগুলো তথ্য মনে রাখতে পারলে কিনা সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ন কোন বিষয় না। কারণ বই পড়ে তুমি যেসব ধারণা, জ্ঞান, আবেগ, অনুভূতি, উপলব্দি এবং সত্য খুঁজে পাও সেগুলো তোমার মনকে পরিষ্কার করে, যতবার তুমি একটি বই পড়ে শেষ কর ততবার তোমার আধ্যাত্মিক রূপান্তর ঘটে, প্রতিবার তোমার পুনর্জন্ম হয়, ফলে তুমি আরও বিশুদ্ধ একজন মানুষে পরিণত হও। এটাই হচ্ছে বই পড়ার মূল উদ্দেশ্য।"

ছড়াটির অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যা জেনে সমৃদ্ধ হলাম।“ইকড়ি মিকড়ি চাম-চিকড়ি,চামের কাঁটা মজুমদার,ধেয়ে এল দামোদর।দামোদরের হাঁড়ি-কু...
05/07/2024

ছড়াটির অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যা জেনে সমৃদ্ধ হলাম।

“ইকড়ি মিকড়ি চাম-চিকড়ি,
চামের কাঁটা মজুমদার,
ধেয়ে এল দামোদর।
দামোদরের হাঁড়ি-কুঁড়ি,
দাওয়ায় বসে চাল কাঁড়ি।
চাল কাঁড়তে হল বেলা,
ভাত খাওগে দুপুরবেলা।
ভাতে পড়ল মাছি,
কোদাল দিয়ে চাঁছি।
কোদাল হল ভোঁতা,
খা কামারের মাথা।”

ছোটবেলায় আমরা অনেকেই এই ছড়াটি পড়েছি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি নান্দনিক ছন্দের এই ছড়াটির অর্থ কি? এই ছড়া কোন ইতিহাস বয়ে বেড়ায় কিনা?

এই প্রশ্ন করলে হয়তো এই উত্তরই আসবে যে শিশুদের নির্ভেজাল আনন্দের জন্য এই ছড়ার রচনা হয়েছে। কিন্তু সত্যটা বেশ করুণ। আদতে আনন্দের ছিঁটেফোঁটাও নেই এই ছড়ায়, শিশুদের জন্য তো না বটেই।

মূলত এই ছড়ায় ছড়াকার অসাধারণ দক্ষতার সাথে চিরন্তন বাংলার সাধারণ মানুষের দুঃসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলে ধরেছেন। চলুন এবার ছড়াটির প্রতিটি শব্দ ও পংক্তি ধরে বিশ্লেষণ করে দেখি।

'ইকড়ি' অর্থ সংসার পরিপালনের জন্য সারাদিন খেটেখুটে কঠোর পরিশ্রম করা। কিন্তু তাতেও যখন সংসার চলে না, তখন প্রয়োজন হয় 'মিকড়ি', অর্থাৎ আরও কিছু অতিরিক্ত উপার্জনের চেষ্টা করা। 'চাম' অর্থ রুজি-রোজগারের এলাকা। আর 'চিকড়ি' অর্থ সেই রোজগারের এলাকায় ঘুরে ঘুরে কিছু (অর্থ বা ফসল) উপার্জন করে তা ঘরে নিয়ে আসা।

কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এই "চামের কাঁটা মজুমদার"। 'মজুমদার' মূলত এক প্রকার রাজকর্মচারীর পদবী যার কাজ ছিল খাজনা বা রাজস্ব আদায় ও হিসেব রাখা। আর তাই অনেক সময় খাজনা আদায়ের নামে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে যেত বলে তাকে পথের কাঁটা বলা হয়েছে।

আর অতঃপর "ধেয়ে এল দামোদর"। এই 'দামোদর' হলো মূলত ফড়ে-পাইকারের দল, যারা সাধারণ কৃষকের উৎপাদিত ফসল অথবা কুমারের বানানো তৈজসপত্র স্বল্প দামে কিনে নিয়ে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করতো।

কিন্তু এই দামোদর শুধু এসেই ক্ষান্ত হয় না। এখানে বলা হয়েছে "দামোদরের হাঁড়ি-কুঁড়ি"। এর অর্থ হলো, তারা যখন আসে তখন সাথে করে হাঁড়ি কুঁড়ি নিয়ে আসে। অর্থাৎ খেটে খাওয়া মানুষের উৎপাদিত সব দ্রব্য সাথে করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আসে।

এরপর বলা হয়েছে "দাওয়ায় বসে চাল কাঁড়ি", অর্থাৎ মজুমদার আর ফড়ে পাইকারের থেকে লুকিয়ে যেটুকু চাল বাঁচানো গিয়েছে, এবার সেটা দিয়েই ঘরের দরজায় বসে ভাত রাঁধার প্রস্তুতি শুরু।

কিন্তু "চাল কাঁড়তে হল বেলা", অর্থাৎ এতসব ঝামেলা ঝক্কি সামলাতে সামলাতে ভাত রাঁধায় দেরী হয়ে যায়। তাই "ভাত খাওগে দুপুরবেলা", অর্থাৎ প্রথম প্রহরে বা সকালে খাওয়া আর সম্ভব হয় না। একেবারে দ্বিপ্রহরে বা দুপুরে খেতে হয়।

কিন্তু খাবে কী করে! কারণ "ভাতে পড়ল মাছি"। এখানে 'মাছি' বলতে আসলে চোরকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ গরীবের যে যৎসামান্য খাদ্য, তারও শেষ রক্ষা হয় না। ছিঁচকে চোর সেটাও চুরি করে নিয়ে যায়। তাই "কোদাল দিয়ে চাঁছি"। এই 'কোদাল'ও আক্ষরিক অর্থে ব্যবহৃত হয়নি। বরং কোদাল বলতে এখানে কোতোয়াল বা পুলিশের কথা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুলিশের কাছে গিয়ে চোরের ব্যাপারে নালিশ করা হয়েছে।

তবে তাতেও যে গরীব মানুষের হয়রানি কম হয়, তা কিন্তু নয়। কারণ "কোদাল হল ভোঁতা"। অর্থাৎ পুলিশ বা কোতোয়াল কোন কাজই করে না। আর তাই "খা কামারের মাথা"। অর্থাৎ এই কোদাল যে কামার বানিয়েছে, মানে পুলিশ কোতোয়াল সৃষ্টিকারী গ্রামের উচ্চপর্যায়ের লোকেরা, শেষমেশ তাদের কাছে গিয়েই এই হতদরিদ্র মানুষ গুলোর মাথা কুটে কাঁদতে হয়।

সুতরাং এক কথা বললে, এই ছড়ায় ছড়াকার গ্রাম বাংলার সেই খেটে খাওয়া মানুষের জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন যে কিনা কঠোর পরিশ্রম করেও জমিদার, খাজনা আদায়কারী, অসাধু ব্যবসায়ী, চোর, পুলিশ এদের উপদ্রবে নিজের পরিবারের জন্য দু' বেলার খাবারও জোটাতে পারে না।

তথ্যসূত্রঃ
১। কলিম খান ও রবি চক্রবর্তী, "বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ", ভাষাবিন্যাস
২। ড. মোহাম্মদ আমিন, "ইকড়ি মিকড়ি : অসাধারণ অর্থপূর্ণ একটি ছড়া l

পৃথিবীর সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যাক্তি!!!!ভারত বর্ষের সর্ব্বোচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি!!বলতে গেলে, তিনিই পৃথিবীর সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যাক...
28/06/2024

পৃথিবীর সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যাক্তি!!!!

ভারত বর্ষের সর্ব্বোচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি!!
বলতে গেলে, তিনিই পৃথিবীর সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যাক্তি!!

পয়সার গরম তো জীবনে অনেক দেখলেন । কিন্ত বিদ্যার এমন গরম দেখেছেন না শুনেছেন কখনও? সবটা শুনলে মাথা ঝিমঝিম করবে, হাত পা’ও অবশ হয়ে যেতে পারে বৈকি।এক জীবনে এত পড়াশোনা কোন রক্ত মাংসের মানুষ করতে পারে, না পড়লে বিশ্বাস হবে না।তাও আবার সেই ভদ্রলোক যদি ভারতীয় হন !!

মারাঠি এই ভদ্রলোকের নাম ‘শ্রীকান্ত্ জিচকার’।

পড়াশোনার কেরিয়ারটা একবার হাল্কা করে চোখ বুলিয়ে নিন শুধু , তাহলেই মালুম পড়বে ভদ্রলোক কি কাণ্ডটাই না করেছেন।

১.জীবন শুরু MBBS, M.D দিয়ে।

২.এরপর L.L.B করলেন।সাথে করলেন ইন্টারন্যাশানাল ল-এর ওপর স্নাতকোত্তর।

৩.এরপর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর ওপর ডিপ্লোমা,সাথে M.B.A ।

4. এরপর জার্নালিজম নিয়ে স্নাতক।

এতদূর পড়ার পর আপনার যখন মনে হচ্ছে লোকটা পাগল নাকি,তখন আপনাকে বলতেই হচ্ছে এ তো সবে কলির সন্ধ্যে । এখনো গোটা রাত বাকি।

এই ভদ্রলোকের শুধু স্নাতকোত্তর ডিগ্রীই আছে দশটা বিষয়ের ওপর! স্নাতকোত্তরের বিষয়ের তালিকাটা একবার দেখুন খালি-

১.পাবলিক আ্যডমিনিস্ট্রেশন

২.সোশিওলজি

৩.ইকোনমিক্স

৪.সংস্কৃত(ডি.লিট)

৫.হিস্ট্রী

৬.ইংলিশ

৭.ফিলোসফি

৮.পলিটিক্যাল সায়েন্স

৯.এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়ান হিস্ট্রী, কালচার,এন্ড আর্কেওলজি

১০.সাইকোলজি

ওপরের যতগুলো বিষয় দেখছেন সব ক’টিতেই প্রথম শ্রেণীর সঙ্গে স্নাতকোত্তর, এবং ২৮টি স্বর্ণপদক বিজয়ী।সব মিলিয়ে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতি গ্রীষ্মে ও প্রতি শীতেই উনি কোনো না কোন স্নাতকোত্তরের বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে গেছেন।

মাথা ঝিমঝিম করছে তো!তা মাথার আর দোষ কি বলুন!তবে মাথা ঘুরে পড়ে যাবার আগে একবারটি শুধু শুনে যান।এতসব পড়তে পড়তে ওনার যখন একঘেয়েমি লাগছিল,ঠিক করলেন এবার একটু স্বাদ বদলানো যাক! তো স্বাদ বদলাতে আমি আপনি বেড়াতে যাই,আর উনি “আই.পি.এস(IPS)” পরীক্ষায় বসলেন আর পাশ করলেন।সেটা ১৯৭৮ সাল।কিন্তু পোষালো না চাকরীটা।চাকরীটা ছেড়ে দিয়ে বসলেন “আই.এ.এস(IAS)” পরীক্ষায়।১৯৮০ তে “আই.এ.এস(IAS)” হলেন।

নটে গাছটা তাহলে মুড়োলো শেষ অবধি।আজ্ঞে না মুড়োয় নি এখনো।চারমাসের মধ্যে “আই.এ.এস(IAS)” এর চাকরীটাও ছেড়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের বিধান সভা ভোটে লড়বেন বলে।১৯৮০ তে উনি যখন বিধায়ক নির্বাচিত হলেন তখন ওনার বয়স সবে ২৫।উনি হলেন ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী বিধায়ক।সবই হল যখন তখন মন্ত্রী হওয়াটাই বা আর বাকী থাকে কেন!সেটাও হলেন এবং একটা দুটো দপ্তরের নয়,একেবারে ১৪ টা দপ্তরের।১৯৯২ সাল নাগাদ রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন।

ওনার এই ‘সামান্য’ কয়েকটি গুণ ছাড়াও তিনি

অসাধারণ চিত্রশিল্পী,

পেশাদার ফটোগ্রাফার,

মঞ্চাভিনেতা,

সখের বেতার চালক

ও জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন।সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ও ইউনেস্কোতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

ব্যক্তিগত সংগ্রহে ৫২০০০ বই রয়েছে ওনার। ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস’ ওনাকে “ভারতবর্ষের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি”র শিরোপা দিয়েছে।১৯৮৩ তে উনি ‘বিশ্বের অসামান্য দশজন তরুণ’ হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০০৪ এ পথ দুর্ঘটনায় ওনার মৃত্যু হয়।
বয়স হয়েছিল ৪৯

কার্টেসী: সংকর চক্রবর্তী

মাত্র দেড় কোটি জনসংখ্যার একটি গোষ্ঠীর কাছে পৃথিবীর ৫৬ টি দেশ ও ১৯০ কোটির উপরে মানুষ বিদ্রোহ করেও টিকতে পারছেনা শুধু জ্ঞ...
16/06/2024

মাত্র দেড় কোটি জনসংখ্যার একটি গোষ্ঠীর কাছে পৃথিবীর ৫৬ টি দেশ ও ১৯০ কোটির উপরে মানুষ বিদ্রোহ করেও টিকতে পারছেনা শুধু জ্ঞানের কারণে।
দ্বীপ রাষ্ট্র নাউরুর ও সম্পদ ছিল, পৃথিবীর ২য় ধনী রাষ্ট্র ও হইছিলো কিন্তু এখন আর নাই।আরব বিশ্বের সম্পদও চিরকাল থাকবেনা। কিন্তু ওই দেড় কোটি মানুষের জ্ঞানের ধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম রক্তের মাধ্যমে বইতে থাকবে।

কোকাকোলা বয়কট করেন তাতে কোন আপত্তি নাই। কিন্তু লিস্ট শুধু কোক না লিস্টটা অনেক লম্বা।পড়তে পড়তে আপনার দাঁত ভেঙ্গে যেতে পারে।শুরুটা ইনটেল , মাইক্রোসফট , উইকিপিডিয়া , গুগল ও ফেসবুক দিয়ে শুরু করা যাক।আপনি যে কম্পিউটার ব্যবহার করছেন তার প্রসেসরটা ইহুদীদের তৈরী।একটা ১৪ ইনটেল প্রসেসরের দাম প্রায় ৬৯০০০ টাকা।ওটা নিশ্চয়ই আপনার দুই লিটার কোকের দাম নয় যে চাইলেই ফেলে দিবেন।এতবড় আত্মা এখনো এই দেশে কম্পিউটার ব্যাবহারকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের হয় নাই।ডেল, লেনোবা যাই ব্যাবহার করুন ওদের কাছে আপনি না চাইলেও খত দিতে হবে।সবার ঘরে ঘরে তো আর কম্পিউটার নাই!! আপনার হাতের যে মোবাইলটা তার বিভিন্ন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার এই ইহুদিদের তৈরী। ফেসবুক , গুগল , ইউটিউব এসব ব্যাবহার করতে করতে যারা হাতের আঙ্গুল ব্যাথা করে ফেলছেন তারা বড়জোর নির্লজ্জের মত ফেসবুক ভিউ পেতে পোস্ট করেই শেষ। আমাদের দেশের বিভিন্ন বুলডোজার ইহুদিদের তৈরি। ওদের তৈরি Dell, GE , HP এগুলো আপনারা ছাড়বেন না তাতো বহু আগে থেকেই জানা।
আরব বিশ্বে ইহুদীদের ম্যাকডোনাল্ড এর সংখ্যা কেন দিন দিন বাড়তেছে সেই প্রশ্ন কখনো নিজেকে করছেন?
ম্যাকডোনাল্ড, কেএফসি এসব দেখলেই যাদের জিহ্বা লিকলিক করে তারা শুধু ফেসবুকে বয়কট লিখেই জিহ্বা চাটতে চাটতে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন সেটাও আমি জানি।যে নোকিয়া মোবাইল দিয়ে আপনার মোবাইল ব্যাবহার শুরু করেছিলেন সেটাও তাদের প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্ববিখ্যাত মোটোরোলাও তাদের।
আপনি হয়তো ভাবছেন আজ থেকে পাকিস্তানি মোবাইল ব্যাবহার শুরু করবেন কিন্তু সেই মোবাইলের ভেতরের যন্ত্রাংশ ও তাদের। আপনাদের শুধু আছে মুখ আর মুখোশ।

মাত্র ৬০ লক্ষ জনসংখ্যার একটি দেশ আপনাদের পুতুলের মত নাচাচ্ছে আর আপনারা নেচে নেচে তাদেরই ফেসবুকে এসে পোস্ট দিচ্ছেন ' বয়কট!!
আপনার এই পোস্টেও লাভ তাদেরই হচ্ছে । ইসরাইলের পণ্য জানার জন্য গুগলে সার্চ করছেন এতেও লাভ তাদের হচ্ছে।আপনারা যত বেশি নাচানাচি করবেন তাদের লাভ ততবেশি।।

আপনি খাইলেও তাদের লাভ।না খেয়ে সিএনএন, বিবিসি,ডিজনি ও খেলার চ্যানেল সহ ডিসকভারি দেখলেও তাদের লাভ।ভলবো বাসে করে আপনি ঘুরতে গেলেও তাদেরই লাভ।

ব্রান্ড স্টার কফিতে চুমুক দিয়ে উদাসী হবেন এতেও তাদের লাভ।বিশ্বকে জানতে নামিদামি পত্রিকা পড়বেন তাতেও তাদের লাভ। আপনি খালি পায়ে থাকলেও তাদের লাভ আবার ফ্যাশন করে দামী জুতা পরলেও তাদের লাভ।

আরেকটা কথা ম্যাগি, বাটা, আটা, ময়দা ও সুজি এসব কোনটাই তাদের পণ্য নয়।তারা আটা, ময়দা ও সুজি বিক্রি করে রাষ্ট্র চালায়না। তাদের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৯০ ভাগ আপনাদের ছাড়াই হয়। লরিয়াল, প্রেসিডেন্ট এসব আপনি কিনলেও তাদের লাভ আর না কিনলেও তাদের লাভ । আমেরিকা ও ইউরোপের মত দেশ যাদের কাছ থেকে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার রপ্তানি করে সেখানে আপনি আমি চোখ খুললেও কিছু যায় আসেনা।আর চোখ বন্ধ করে তেল মেখে ফেসবুক গুতালেও তাদের কিছু যায় আসেনা।।

কথায় কথায় বয়কট বয়কট না করে নিজেদের চরিত্র সংশোধন করুন। নিজেদের সর্বজ্ঞানী না ভেবে, আগামী ইউটিউব ও ফেসবুক বিজ্ঞানী না বানিয়ে জ্ঞান অর্জন করার শিক্ষা দিন।নিজ দেশে জ্ঞানী মানুষকে সম্মান দিবেননা আর বলবেন প্রতিবেশীরা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।বলি নিজের চরকায় তেল দিতে শিখুন।চুরি ও দূর্নীতি, সুদ, ঘুষ, পরনিন্দা এসব ছেড়ে মানুষ ও দেশপ্রেমিক হতে শিখুন। আমাদের মতো হিন্দু, মুসলিম , আস্তিক, নাস্তিক , ধনী ও গরীব এতো ভেদাভেদ ৬০ লক্ষ মানুষের ছোট দেশ ইসরায়েলে নেই।
আপনারাও জাতি ভেদাভেদ ভূলে জ্ঞান ও জ্ঞানীকে সম্মান করতে শিখুন। আইনস্টাইনকে হিংসা না করে নিজের সন্তানকে জ্ঞান অর্জন করার শিক্ষা দিন।
কোকাকোলা যখন শুরু হয় তখন ইসরায়েল নামক দেশটি পৃথিবীতে ছিলোনা। কিন্তু জাতি হিসেবে তারা একতাবদ্ধ বিধায় তারা এর সুফল পেয়েছে। আমাদের মধ্যে শিয়া, সুন্নি, কাদিয়ানি , মাজার পুজারি , হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান কত ভাগ।এই দেশ উন্নতি করবে কেমনে?
যে দেশে দূর্নীতিবাজদের গলায় ফুলের মালা দেওয়া হয় , ঘুষখোর ও রাজাকারকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হয় সেই দেশটা ফেসবুক আর ইউটিউব বিজ্ঞানীরাই শেষ করে দিবে এবং দিচ্ছে।ফেসবুক ও ইউটিউব ভিউ ও টাকা কামানোর ধান্দায় এরা দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
যে দেশে সৎ মানুষের সম্মান নাই , জ্ঞানী লোকের সম্মান নাই, দেশ প্রেমিকদের সম্মান নাই সেই দেশের মানুষের মুখে বয়কট শুনলেই হাসি পায়। কাউকে বয়কট করার আগে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করুন , নিজেদের পৃথিবীতে বসবাসের যোগ্য করে গড়ে তুলুন নয়তো আফগানিস্তান ও ইরাকের মত অথবা পাকিস্তানের মত আম ও ছালা দুটোই হারাতে হবে।।লোটা হাতে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ হয়ে বিশ্ব শাসন করা যায়না।এই বিশ্বকে শাসন করতে হলে ধর্মান্ধতা ও উগ্রতা পরিহার করে এবং গাছে ভূত আছে এই জাতীয় কুসংস্কার কবর দিয়ে জ্ঞানে ও বিজ্ঞানে উন্নত জাতি হতে হবে।তাহলে এক ঢাকা শহরের মানুষকে দিয়েই পুরো বিশ্ব শাসন করতে পারবেন।আর লোটা বিজ্ঞান পড়লে দেশ ও জাতি দুটোই ধ্বংস হবে আজ নয়তো কাল।

#সত্য_সবসময়_সুন্দর
আলফ্রেড নোবেল
#আলো_আসবেই
ক্যাপটেক শুভ ক্যাকটাস
ওমর ফারুক শুভ

–সময়ের প্রেক্ষাপটে উপলব্ধি মূলক অসাধারণ একটি লিখা।

বেতন_কত ?- - - - - - - - - - - - - -আমার ভাই রোডস অ্যান্ড হাইওয়েতে আছে। ৩ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে বাড়ি করছে...
04/03/2024

বেতন_কত ?
- - - - - - - - - - - - - -
আমার ভাই রোডস অ্যান্ড হাইওয়েতে আছে। ৩ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে বাড়ি করছে!
আমি বললাম, আপনার ভাইয়ের বেতন কত?
গর্বে ভরা চেহারাটা মুহূর্তে ছাই হয়ে গেলো।

দোস্তো বলিস না, এই শালা ট্রাফিক পুলিশ, শালারা দুই টাকারও ঘুষ খায়!
দোস্তো, তোদের ফ্লাটে কত খরচ পড়েছে?
-এই সব মিলে ৯৭ লাখ।
তোর বাবা তো ট্যাক্সে আছে, বেতন কত? চেহারা আবারও ছাই।

ওদিকে লায়লা তার বয়ফ্রেন্ডকে বলছে, কাবিন কিন্তু ৩০ লাখ টাকা হতে হবে। (বয়ফ্রেন্ড ২৮ হাজার টাকার বেতনের চাকুরি করে!) না হলে আমার প্রেস্টিজ পাংকচার! ফেবুতে পোস্ট দিয়েছে, "যে ছেলে যৌতুক চায়, তাদের না বলুন!"
এদিকে মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। ছেলে কলেজের টিচার, আরেকজন পিডাব্লিউতে চাকুরি করে। মেয়ের বাবা পরেরজনে মত দেয়ায় মেয়ে বলছে, " বাবা তোমার পছন্দ সেরা"!
এক আত্মীয়ের বাসায় গেলাম। সারা জীবন সততার বুলি আউড়িয়েছেন। মেয়ের জামাই চাকুরি করেন সিটি কর্পোরেশনে। খুব গর্ব করে বলছেন, তার মেয়ে ঘরের ফার্নিচার ৪/৫ বছর পরেই পাল্টায়। মেয়ে খুব সৌখিন। ৮০ লাখ টাকায় ফ্লাট কিনে আরও ৫০ লাখ টাকা খরচ করছে ইন্টেরিয়র কাজে!
জিজ্ঞেস করলাম, ভাইজান, জামাইয়ের বেতন কতো?
অফিসে বসে আছি। একটা ছেলে সালাম দিয়ে ট্রেনের সময় জানতে চাইল। কথায় কথায় বলল তার ভাইও রেলওয়েতে জব করে।
-জিগ্যেস করলাম কোন পোস্ট?
ও বলল ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা। তার ভাই নাকি ৬/৭বছরে অনেক কিছু করেছে।
জিগ্যেস করলাম,তোমার ভাইয়ের বেতন কত?
আর কোন উত্তর নাই...।

আমরা এত নষ্ট হয়েছি, এত নষ্ট হয়েছি যে, আমাদের কোন লজ্জা নেই। ঘুষ আমার অধিকার, কিন্তু কন্ডাকটর ১৫ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা চাইলেই, "এগুলা মানুষ না। এই টাকা খেয়ে এরা কিছুই করতে পারে না। মানুষের টাকা মেরে কিছুই করতে পারে না।" অথচ একটু আগেই বাসে মোবাইলে আলাপ করছিল, একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরির জন্য ৯ লাখ আর ১০ লাখের ঘুষের আলাপ!!
কন্ডাকটর গলা কাটছে। গলা কাটছে শিক্ষিত দুর্বৃত্তরাও। শিক্ষিতদের গলাকাটা বড় নির্মম, দেশটাকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়।
কন্ডাকটররা একটা নিদারুণ সত্যি কথা বলে,
"আফনেরা যে কলমের খোচায় কুটি কুটি টাকা মাইরা খান, হেই হিসাব তো আমরা নেই না!"
কথা সত্যি এবং নিদারুণ সত্যি।
কিছু অসভ্য শ্রমিকদের দেখলাম অ্যাম্বুলেন্সেও কালি দিচ্ছে, আটকাচ্ছে।
সেই অ্যাম্বুলেন্স দেখে মনে পড়ে গেলো এর চেয়ে ভয়াবহ অসভ্য গোষ্ঠীর কথা। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির দালালদের কথা, যারা অতি উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার এবং যাদের পেছনে রাষ্ট্রের কোটি টাকা খরচ হয়। মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ, আইসিইউতে রেখে গলা কাটার সেই সব অমানুষদের কথা।

❤️মানুষ হয়তো আছে। সংখ্যাটা খুব কম, খুবই কম.... আর সেই মানুষটাকে পদে পদে অপদস্ত হতে হচ্ছে যে তার অক্ষমতা নিয়ে প্রিয় মানুষদের কাছে। আসলে সেটাও কি তার অক্ষমতা নিজের নীতির কাছে নতি না স্বীকার করার অক্ষমতা??????????

মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে।
তা কোথায় হলো, ছেলে কী করে?
যদি ঘুষের ডিপার্টমেন্টের হয়,
দেখবেন মেয়ের বাবা মা, ভাই বোন আর মেয়ের চেহারা খুশিতে কেমন চকচক করে!!
অথচ এই যে অরাজকতা, এই যে ভেজাল জিনিস, এই যে উচ্চমূল্য, এই যে গলাকাটা সেবা, এই যে পেনশনের টাকা তুলতে ফাইলের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাওয়া, এই যে পরীক্ষায় ভালো করলেও চাকুরি না হওয়া, এই সবের মূলে তো ওই যে যেখান থেকে বিয়ের প্রস্তাব এলে জিহবা চকচক করে, চেহারায় (নোংরা) খুশির ঢেউ উঠে, সেই দুর্নীতিবাজ শুয়োরদের কারণে।

বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ডক্টর আকবর আলী খান তার বিখ্যাত বই "পরার্থপরতার অর্থনীতি" এর দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলেছিলেন, "শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি"! এই শুয়োরের বাচ্চারা কারা?
এই লেখা পড়ে পরে যাদের চেহারায় চপেটাঘাত পড়বে, ছাই হয়ে যাবে, তারা৷"

সেই আদি কাল থেকে কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা ১ম অধ্যায়টাই বেশি শুনেছি। কিন্তু এই গল...
01/02/2024

সেই আদি কাল থেকে কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা ১ম অধ্যায়টাই বেশি শুনেছি। কিন্তু এই গল্পের আরো ৩ টি অধ্যায় আছে। যা হয়তো আমরা কেউ শুনেছি, কেউ শুনিনি।

❤️১ম অধ্যায়ঃ এই অধ্যায়ে খরগোশ ঘুমিয়ে যায়, আর কচ্ছপ জিতে যায়। প্রথমবার হেরে যাওয়ার পর খরগোশ বিশ্লেষণ করে দেখল তার পরাজয়ের মূল কারণ 'অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।' তার মানে অতি আত্মবিশ্বাস যে কারো জন্যই ক্ষতিকর। আর কচ্ছপ বুঝল, লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই!

💜২য় অধ্যায়ঃ হেরে যাওয়ার পর এবার খরগোশ আবারো কচ্ছপকে দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ করল আর কচ্ছপও রাজী হল। এবার খরগোশ না ঘুমিয়ে দৌড় শেষ করল এবং জয়ী হল। খরগোশ বুঝল, মন দিয়ে নিজের সামর্থের পুরোটা দিয়ে কাজ করলে দ্রুত সফল হওয়া যায়। আর কচ্ছপ বুঝল, ধীর স্থিরভাবে চলা ভালো, তবে কাজে উপযুক্ত গতি না থাকলে প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশে জয়ী হওয়া অসম্ভব!

💙৩য় অধ্যায়ঃ কচ্ছপ এবার খরগোশকে আরেকবার দৌড় প্রতিযোগিতার আমন্ত্রন জানালো। খরগোশও নির্দ্বিধায় রাজী হয়ে গেল। তখন কচ্ছপ বলল, "একই রাস্তায় আমরা ২ বার দৌড়েছি, এবার অন্য রাস্তায় হোক।" খরগোশও রাজী। অতএব নতুন রাস্তায় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হল। যথারীতি খরগোশ জোরে দৌড় শুরু করে দিল। কচ্ছপও তার পিছন পিছন আসতে শুরু করল। কচ্ছপ যখন খরগোশ এর কাছে পৌঁছাল, দেখল খরগোশ দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দৌড়ের শেষ সীমানায় যেতে পারেনি। কারন দৌড়ের শেষ সীমানার আগে একটি খাল আছে। কচ্ছপ খরগোশ এর দিকে একবার তাকালো, তারপর তার সামনে দিয়ে পানিতে নেমে খাল পার হয়ে দৌড়ের শেষ সীমানায় পৌছে প্রতিযোগিতা জিতে গেল। খরগোশ বুঝল, শুধু নিজের শক্তির উপর নির্ভর করলেই হবে না, পরিস্থিতি আর বাস্তবতা অনুধাবন করাও ভীষণ প্রয়োজনীয়! আর কচ্ছপ বুঝল, প্রথমে প্রতিযোগীর দূর্বলতা খুজে বের করতে হবে, তারপর সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।
গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়

❤️❤️চতুর্থ অধ্যায়ঃ এবার খরগোশ কচ্ছপকে আরেকটি দৌড় প্রতিযোগিতার জন্য আহবান জানালো এই একই রাস্তায়। কচ্ছপ ও রাজী। কিন্তু এবার তারা ঠিক করল, প্রতিযোগী হিসেবে নয়, বরং এবারের দৌড়টা তারা দৌড়াবে সহযোগী হিসেবে!
শুরু হল প্রতিযোগিতা। খরগোশ কচ্ছপকে পিঠে তুলে দৌড়ে খালের সামনে গিয়ে থামলো। এবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠ থেকে নেমে খরগোশকে নিজের পিঠে নিয়ে খাল পার হল। তারপর আবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠে উঠে বাকী দৌড় শেষ করল আর এবার তার দু'জনই একসাথে জয়ী হল।
আমরা শিখলাম, ব্যক্তিগত দক্ষতা থাকা খুবই ভালো। কিন্তু দলবদ্ধ হয়ে একে অপরের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আসে সত্যিকারের সাফল্য যেখানে সবাই বিজয়ীর হাসি হাসতে পারে।
© From Dipana Chakma Dipu.

ছবিটি ১৯৩৭ সালে চেলসি বনাম চার্লটনের ম্যাচের।ঘন কুয়াশার কারণে রেফারি মাঝপথে খেলা  প'রি'ত্য'ক্ত  ঘোষণা করেন। সবাই ড্রেসিং...
29/01/2024

ছবিটি ১৯৩৭ সালে চেলসি বনাম চার্লটনের ম্যাচের।

ঘন কুয়াশার কারণে রেফারি মাঝপথে খেলা প'রি'ত্য'ক্ত ঘোষণা করেন। সবাই ড্রেসিং রুমে ফিরে যায়। কিন্তু চেলসির গোলরক্ষক স্যাম বাট্রাম রয়ে যান গোল পাহারায়। কুয়াশা যত বাড়ছে, তার স'ত'র্ক'তা'ও তত বেশি বাড়ছে। পেছনে মানুষের কোলাহলে তিনি শুনতে পাননি রেফারির খেলা সমাপ্তির বাঁশী। অনেকক্ষণ পর, মাঠের একজন নি'রা'প'ত্তা কর্মী এসে তাঁকে জানায় ম্যাচটি প্রায় পনের মিনিট আগেই শেষ হয়ে গেছে।

স্যাম বাট্রাম বলেন- না এটা হতে পারেনা। আমি বিশ্বাস করিনা। খেলা শেষ হয়ে গেলে বন্ধুরা অবশ্যই আমাকে বলতো। আমাকে মাঠে একা রেখে ওরা চলে যেতোনা। একজন মানুষও কি ছিলোনা- যে আমার খোঁজ করবে। এরপর, সত্যি যখন বুঝলেন-আসলেই খেলা শেষ হয়ে গেছে। তখন স্যাম অনেক দুঃ*খ পেলেন, খেলা শেষ হওয়ার জন্য না। বরং বন্ধুরা যে সত্যিই তাকে না জানিয়ে চলে গেছে সে জন্য। যাদের জন্য তিনি গোল পা'হা'রা'য় দাঁড়িয়ে ছিলেন- তারা সবাই চলে গেলো। কেউ তার কথা একটিবার মনেও রাখলোনা।

🕶🕶জীবনটাও এমনি এক খেলার মাঠ। যেখানে সময় দিয়ে, সা'ম'র্থ্য দিয়ে যাদের ডিফেন্ড করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়- সামান্য কুয়াশার প'রি'স্থি'তি'তে তারাই এভাবে সব কিছু ভুলে চলে যায়।

(সংগৃহীত)

এই চিত্রকর্মটির নাম 'প্রলয় দৃশ্য' Scene of deluge! ১৮২৬ সালের গ্রেট ফ্লাড বা দ্য গ্রেট ফ্লাড হল এর একটি দৃশ্য।  জোসেফ-ড...
29/01/2024

এই চিত্রকর্মটির নাম 'প্রলয় দৃশ্য' Scene of deluge!

১৮২৬ সালের গ্রেট ফ্লাড বা দ্য গ্রেট ফ্লাড হল এর একটি দৃশ্য। জোসেফ-ডিসির কোর্টের Noah's flood বা নূহের বন্যার উপর করা একটি চিত্রকর্ম। ১৮২৭ সালের ৪ঠা নভেম্বর প্যারিস সেলুনে এটি প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল, যদিও - প্রিক্স ডি রোমের বিজয়ী হিসাবে - তিনি সেই সেলুনের পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি।

এখানে আপনি দেখতে পাচ্ছেন একজন ব্যক্তি তার বাবাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এবং তার স্ত্রী এবং বাচ্চাকে (ছেলে) সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করছেন। অথচ তারা তার বেশি কাছাকাছি আছে, তাদেরকে বাঁচানো সোজা। তার বাবা দূরে, তাকে বাঁচানোই বরং কঠিন।

এখানে ছবিটি রুপক। স্ত্রী বর্তমান জীবনের রুপক। পুত্র ভবিষ্যত এবং অপরদিকে বাবা অতীতের রুপক। বোঝাচ্ছে ব্যাক্তিটি অতীতকে আঁকড়ে আছে এবং তার বর্তমান জীবন ও ভবিষ্যৎ হারাচ্ছে। অনেকের দৈনন্দিন জীবনে যা ঘটে তার একটি নিখুঁত রূপক।
এরকম পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেয়া খুবই কঠিন।
অথচ সিদ্ধান্ত নিতেই হবে এবং মাথা থেকে নিতে হবে। আমাদের জীবনেও এমন পরীক্ষা আসে। আমাদেরকে সেই পরীক্ষা দিতে হয়। সেই পরীক্ষার উপর অনেক সময় আমাদের বাকী জীবন নির্ভর করে।

তথ্য এবং ছবি ( ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)
অনুবাদ - Manira Sultana Papri

 # # তুরস্কের যুধিষ্ঠিরকে যক্ষ জিজ্ঞাসা করেছিল, ”সুখী কে? উত্তরে যুধিষ্ঠির বলেছিলেন, “যাহার ঋণ নাই, আর নিজের ঘরে থাকিয়া...
27/01/2024

# # তুরস্কের যুধিষ্ঠিরকে যক্ষ জিজ্ঞাসা করেছিল, ”সুখী কে? উত্তরে যুধিষ্ঠির বলেছিলেন,
“যাহার ঋণ নাই, আর নিজের ঘরে থাকিয়া দিনের শেষে যে চারিটি শাক-ভাত খাইতে পায়, সেই সুখী। 😶😶

একদিন তুর্কীর বিখ্যাত কবি ওনার বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর আবেদিন দিনোকে অনুরোধ করেছিলেন একটা সুখের ছবি আঁকার জন্য।

আবেদিন দিনো তার বন্ধুর অনুরোধে এই ছবিটি এঁকে দেন। ভালো করে ছবিটি দেখুন, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখুন.. এক লহমায় মুছে যাবে সকল ভয়, ভীতি, হতাশা।💜💜

আপনি জানেন কী হাট্টিমাটিম’ ৫২ লাইনের একটি ছড়া, চার লাইনের নয় lবাঙালিমাত্রই ছোটবেলায় পড়া এই ছড়াটি কোনওদিনই ভুলবেন না ক...
25/01/2024

আপনি জানেন কী হাট্টিমাটিম’ ৫২ লাইনের একটি ছড়া, চার লাইনের নয় l

বাঙালিমাত্রই ছোটবেলায় পড়া এই ছড়াটি কোনওদিনই ভুলবেন না কেউ।

কথা ফুটলেই বাঙালি শিশুদের যে কয়েকটি ছড়া কণ্ঠস্থ করানো হয়, তার মধ্যে একটি অবশ্যই

‘হাট্টিমাটিম টিম’।
তারা মাঠে পাড়ে ডিম,
তাদের খাড়া দুটো শিং,
তারা হাট্টিমাটিম টিম।

রোকনুজ্জামান খানের লেখা একটি ৫২ লাইনের সম্পূর্ণ ছড়া।

রোকনুজ্জামান খান জন্মেছিলেন ১৯২৫ সালের ৯ এপ্রিল অবিভক্ত বঙ্গের ফরিদপুর জেলায়। বাংলাদেশে তিনি ‘দাদাভাই’ নামে পরিচিত ছিলেন। সেদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্রের শিশু-কিশোরদের বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তিনি বহু বছর।

তাঁর রচনার বেশিরভাগই শিশু-কিশোরদের জন্য। হাট্টিমাটিম সম্ভবত তাঁর রচনাগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়।

১৯৬২ সালে রচিত হয় ছড়াটি। ১৯৬৮ সালে বাংলা আকাদেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাঁকে। ১৯৯৯ সালে মারা যান রোকনুজ্জামান।

পুরো ছড়াটা এইরকম -

টাট্টুকে আজ আনতে দিলাম
বাজার থেকে শিম
মনের ভুলে আনল কিনে
মস্ত একটা ডিম।

বলল এটা ফ্রি পেয়েছে
নেয়নি কোনো দাম
ফুটলে বাঘের ছা বেরোবে
করবে ঘরের কাম।

সন্ধ্যা সকাল যখন দেখো
দিচ্ছে ডিমে তা
ডিম ফুটে আজ বের হয়েছে
লম্বা দুটো পা।

উল্টে দিয়ে পানির কলস
উল্টে দিয়ে হাড়ি
আজব দু'পা বেড়ায় ঘুরে
গাঁয়ের যত বাড়ি।

সপ্তা বাদে ডিমের থেকে
বের হল দুই হাত
কুপি জ্বালায় দিনের শেষে
যখন নামে রাত।

উঠোন ঝাড়ে বাসন মাজে
করে ঘরের কাম
দেখলে সবাই রেগে মরে
বলে এবার থাম।

চোখ না থাকায় এ দুর্গতি
ডিমের কি দোষ ভাই
উঠোন ঝেড়ে ময়লা ধুলায়
ঘর করে বোঝাই।

বাসন মেজে সামলে রাখে
ময়লা ফেলার ভাঁড়ে
কাণ্ড দেখে টাট্টু বাড়ি
নিজের মাথায় মারে।

শিঙের দেখা মিলল ডিমে
মাস খানিকের মাঝে
কেমনতর ডিম তা নিয়ে
বসলো বিচার সাঁঝে।

গাঁয়ের মোড়ল পান চিবিয়ে
বলল বিচার শেষ
এই গাঁয়ে ডিম আর রবে না
তবেই হবে বেশ।

মনের দুখে ঘর ছেড়ে ডিম
চলল একা হেঁটে
গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে
ডিম গেলো হায় ফেটে।

গাঁয়ের মানুষ একসাথে সব;
সবাই ভয়ে হিম
ডিম ফেটে যা বের হল তা
হাট্টিমাটিম টিম।

হাট্টিমাটিম টিম-
তারা মাঠে পাড়ে ডিম
তাদের খাড়া দুটো শিং
তারা হাট্টিমাটিম টিম।

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

20/06/2023

ঈদের ছুটি একদিন বাড়লো.... বিস্তারিত কমেন্টে

এক দৌড় প্রতিযোগিতা কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুব ভাল দৌড়চ্ছিল, সবাইকে পিছনে ফেলে প্রায় পৌঁছে গেছেন শেষ ল্যাপে।ত...
20/05/2023

এক দৌড় প্রতিযোগিতা

কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুব ভাল দৌড়চ্ছিল, সবাইকে পিছনে ফেলে প্রায় পৌঁছে গেছেন শেষ ল্যাপে।
তার পেছন পেছনই ধেয়ে আসছেন স্প্যানিশ অ্যাথলেট ইভান ফার্নান্ডেজ।

শেষ সীমানার অল্প একটু আগে পৌঁছে বিভ্রান্ত হয়ে পড়লেন আবেল মুতাই, তিনি ফিনিশিং লাইন বুঝতে না পেরে ভাবলেন তিনি জিতে গেছেন আর দৌড়ের গতি কমিয়ে দিলেন...!!

তার পেছনে থাকা স্প্যানিশ অ্যাথলেট ইভান ফার্নান্ডেজ আন্দাজ করে ফেললেন আবেল মুতাইয়ের কনফিউশানের ব্যাপারটা, আর সাথে সাথেই স্প্যানিশ ভাষায় চিৎকার করে আবেলকে বলতে শুরু করলেন, দৌড় শেষ হয়নি, তুমি দৌড়তে থাকো...!!
আবেল স্প্যানিশ ভাষা না বুঝে আরো বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। ইভান বুঝতে পারে আর কোনো উপায় নেই... সে আবেলের কাছাকাছি এসে একরকম ধাক্কা মেরে ভিক্ট্রি লাইন পার করে জিতিয়ে দেয় আবেল মুতাই কে...!!

দৌড় শেষ হবার পর সাংবাদিকরা ঘিরে ধরে ইভানকে। প্রশ্ন একটাই, তুমি এইরকম কেন করলে..??

ইভান ফার্নান্ডেজ বললেন, আমি একটি সামাজিক পৃথিবী চাই যেখানে আমরা সবাই সবাইকে সাহায্য করব।
সাংবাদিকরা সন্তুষ্ট হয়না এই জবাবে, সাংবাদিক প্রশ্ন করে, কিন্তু তুমি না জিতে ওকে জিতিয়ে দিলে কেন..??
ইভান ফার্নান্ডেজ বললেন জয়টা আমার প্রাপ্য ছিলোনা, যে প্রাপ্য ছিলো আমি তাকে সাহায্য করেছি মাত্র। আর এমন জয় দিয়ে কি পাবো, একটা মেডেল...?
যেখানে নৈতিকতা থাকবে না...
আমার মা আমাকে সে শিক্ষা দেয় নি....।

কাহিনীটা পড়ে এক অন্যরকম অনূভুতি হলো...

আমাদের পরিবার-সমাজ, আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি শুধুমাত্র আমাদেরকে জিততেই শেখাচ্ছে কাউকে জেতাতে শেখায়নি কখনো।
আমাদের শুধু জেতা প্রয়োজন,
সফল হওয়া প্রয়োজন
সেটা যেভাবেই হোক যে কোন মাধ্যমেই হোক।

কাউকে জেতানোর মধ্যেও জিতে যাওয়া থাকতে পারে
কাউকে সাহায্য করার মধ্যেও সফলতা থাকতে পারে
এগুলা কখনোই আমাদের শিক্ষায়
আমাদের চিন্তায় নেই,
কেনো নেই...!!

তথ্য ও ছবি (সংগৃহীত).

https://bangla.thedailystar.net/news/bangladesh/news-444676
28/01/2023

https://bangla.thedailystar.net/news/bangladesh/news-444676

ভাবুন তো, একটি দোকানে গিয়ে দোকানদারের কাছে আপনি ৫ টাকার ডাল, ২ টাকার চিনি, ১ টাকার লবণ, ২৫ টাকার ইলিশ এবং ৩৫ টাকার গরু...

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের এই ছেলেটি তার মৃ ত ভাইকে ক ব র দিতে পিঠে বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। একজন সৈন্য তাকে লক্ষ্য করে...
21/12/2022

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের এই ছেলেটি তার মৃ ত ভাইকে ক ব র দিতে পিঠে বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। একজন সৈন্য তাকে লক্ষ্য করে এবং মৃ ত শিশুটিকে বোঝা বলে তাকে ফেলে দিতে বলে যাতে সে ক্লান্ত না হয়। ছেলেটি তখন জবাব দেয়-

"সে বোঝা নয়, সে আমার ভাই!"

সৈনিকটি বুঝতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। সেই থেকে এই ছবিটি জাপানে ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠে। এটি তাদের নীতিবাক্য হয়ে যায়-

"সে বোঝা নয়, সে আমার ভাই/সে আমার বোন।" (“He’s not a burden, he’s my brother/sister")

যদি সে পড়ে যায়, তাকে উঠান। ক্লান্ত হলে তাকে সাহায্য করুন। যদি তার সামর্থ্য দুর্বল হয়, পাশে দাঁড়ান। আর যদি সে ভুল করে থাকে, তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিন। পৃথিবী যদি তাকে পরিত্যাগ করে তবে তাকে আপনার পিঠে নিন,
কারণ সে বোঝা নয়, সে আপনার ভাই/বোন!
আপনি আর সেই এক পিতার সন্তান

সংগৃহীত

একবার চাকরীর ইন্টারভিউতে একজনকে কোম্পানির বস একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করে সেই প্রশ্ন শুনে প্রায় ২০০ জন মানুষ চুপ হয়ে যায়!প্রশ্...
07/10/2022

একবার চাকরীর ইন্টারভিউতে একজনকে কোম্পানির বস একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করে সেই প্রশ্ন শুনে প্রায় ২০০ জন মানুষ চুপ হয়ে যায়!

প্রশ্নটা এমন ছিল, মনে করুন- এক ঝড়ের দিনে আপনি আপনার গাড়ী ড্রাইভিং করছেন আপনি একটি বাস স্টপ অতিক্রম করার সময় দেখলেন সেখানে ৩ জন লোক দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমজন একজন সুন্দরী নারী যাকে আপনি মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন এবং সারা জীবনের জন্য কাছে পেতে চান। দ্বিতীয়জন আপনার খুব পুরোনো এক বন্ধু যে একবার আপনার জীবন বাঁচিয়েছিল এবং তৃতীয়জন এক বৃদ্ধা মহিলা যাকে খুব অসুস্থ্য দেখাচ্ছিল। আপনার গাড়িতে মাত্র একজনকেই বসতে দেওয়া সম্ভব।

এমতবস্থায় আপনি কাকে আপনার গাড়িতে উঠতে বলবেন? বৃদ্ধাকে ? কারণ এটা নৈতিকতার প্রশ্ন এবং তিনজনের মধ্যে তার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। আপনি আপনার বন্ধুকে উঠাতে পারেন কেননা সে আপনার জীবন বাঁচিয়েছিল। কিন্তু বৃদ্ধা এবং বন্ধু দু-জনকেই ছাড়তে হবে যদি আপনার পছন্দের মানুষটি হারাতে না চান।

প্রায় ২০০ জন প্রার্থীকে এই একই প্রশ্ন করা হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে একজনের উত্তর ছিল সম্পূর্ণ আলাদা আর তাকেই চাকরীটা দেওয়া হয়েছিল। জানেন, সেই ব্যতিক্রমী উত্তরটি কি ছিল? তিনি খুব সহজে বলেছিলে, “এ রকম পরিস্থিতিতে আমি গাড়ি থেকে নেমে চাবিটা পুরোনো বন্ধুর হাতে দিয়ে বলতাম, বৃদ্ধ মহিলাটিকে হাসপাতালে পৌছে দিতে এবং আমার প্রিয় মানুষটির হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকতাম যতক্ষন না পরবর্তী বাস আসে।”

এই উত্তরটি আসলেই সবার দৃষ্টিভঙ্গী পালটে দিয়েছিল এবং সবাইকে এটা ভাবতে শিখিয়েছে যে, “ব্যতীক্রমী কিছু ভাবো।” প্রত্যেকেই সফলতা এবং সেটি করার ক্ষমতার প্রবৃতি নিয়ে জন্মায়। কিন্তু একজনই সফলতা পায় যে কিনা ব্যতিক্রম!! সুতরাং সব সময় নিজেকে ইউনিক করার চেষ্টা করবেন।

আজ ফরিদপুর সদরে কানাইপুর এবং পৃবগঙ্গাবদ্দীর মধ্যবর্তী স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী তালুকদার পরিবহনের সাথে, রাস্তা...
23/09/2022

আজ ফরিদপুর সদরে কানাইপুর এবং পৃবগঙ্গাবদ্দীর মধ্যবর্তী স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী তালুকদার পরিবহনের সাথে, রাস্তায় ফেলে রাখা বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্রেন দিয়ে সরানোর সময় ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা এটি।

অনেক পুরোনো দিনের কথা | বিএ পাশ করে হরিণাভির একটি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেলেন এক তরুণ | একদিন ক্লাসের ফাঁকে স্টাফরুমে ব...
14/09/2022

অনেক পুরোনো দিনের কথা | বিএ পাশ করে হরিণাভির একটি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেলেন এক তরুণ | একদিন ক্লাসের ফাঁকে স্টাফরুমে বসে আছেন, হঠাৎ একটি অল্পবয়সি ছেলে এসে বলল, চলুন,আমরা দু’জনে মিলে একটা বই লিখি।

সেই তরুণ শিক্ষক মনে মনে হাসলেন | ভাবলেন বই তো দূর অস্ত, কোনও দিন কোনও গল্প, প্রবন্ধ লেখার কথাও তাঁর মাথায় আসেনি | এই ভেবে ওই অল্পবয়সি ছেলেটিকে বারণ করে দিলেন তিনি |

সেই ছেলেটিও ছাড়ার পাত্র নয় | পরের দিন স্কুলে পৌঁছে সেই শিক্ষক দেখেন, যেখানে-সেখানে সাঁটা বিজ্ঞাপন |‘‘শীঘ্র প্রকাশিত হইতেছে....শীঘ্র প্রকাশিত হইতেছে উপন্যাস।’’ সেই শিক্ষকের বুঝতে বাকি রইল না এটা কার কাজ ! মনে মনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন তিনি | একবার হাতে পেলে হয় সেই ছেলেকে | অন্যদিকে সহকর্মীদেরও চোখে পড়ল সেই বিজ্ঞাপন | অনেকেই তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, বাঃ, মশাই! আপনি তো বেশ গোপন রসিক দেখছি। তা কবে বেরোচ্ছে উপন্যাস?

কিছুক্ষণ পরেই সেই শিক্ষকের সাথে হঠাৎ দেখা সেই ছেলেটির | ছেলেটাকে কার্যত কলার চেপে বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে এইসব রসিকতার মানে কি ? কোন প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছেয় সে এ সব করল ! তাতে ছেলেটি একটুও উত্তেজিত না হয়ে বলেছিল, ভেবেছিলাম দু’জনে মিলে লিখে ফেলব, আর উপন্যাসের নামও ঠিক করে ফেলেছি - ‘চঞ্চলা’ | তার এই ভাবলেশহীন উত্তরে আর কিছু বলতে পারেননি শিক্ষক মশাই |

এদিকে রোজই রাস্তায়, বাজারে, স্কুলে, সকলের একই প্রশ্ন— কবে বেরোচ্ছে উপন্যাস ? কাউকে বলতে পারছেন না যে উপন্যাস তো দূর অস্ত, এমনকী তিনি যে আদৌ লেখক নন, বিজ্ঞাপনটা পুরো মিথ্যে |
একদিন ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেল শিক্ষকের | রাতে রাগের চোটে কাগজ-কলম নিয়ে বসে একটি ছোট গল্প লিখলেন। পাঠিয়ে দিলেন কলকাতার একটি মাসিক পত্রিকায় | পত্রিকার নিয়ম অনুযায়ী সঙ্গে একটি ঠিকানা লেখা খাম স্ট্যাম্প সেঁটে পাঠালেন |

তিন দিন পর থেকেই অপেক্ষা। দুরু দুরু বুকে স্কুলে বসে ভাবছেন এই বুঝি খাম ভর্তি অমনোনীত গল্প ফেরত এল | প্রায় সপ্তাহ তিনেক পর সেই খাম এল | দেখামাত্র তিনি খামটা পকেটে চালান করে দিলেন | রাতে বাড়ি ফিরে খুললেন সেই খাম | পেলেন একটি চিঠি | সম্পাদক মশাই লিখেছেন, “আপনার রচনা মনোনীত হয়েছে, শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।”

১৩২৮, মাঘ মাসের ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় সেই গল্প | সেটি ছিল তাঁর প্রথম গল্প | নাম ‘উপেক্ষিতা’। এই গল্পটি সেই বছর শ্রেষ্ঠ গল্পের পুরস্কারও ছিনিয়ে নেয়।

পরবর্তীকালে সেই শিক্ষক তাঁর এক বন্ধুকে বলেছিলেন, ছেলেটি (সেই ছেলেটির আসল নাম ছিল যতীন্দ্রমোহন রায়) বোধহয় ঈশ্বরের দূত হয়ে সে দিন তাঁর কাছে এসেছিল। ওই বিজ্ঞাপন কাণ্ডটি না ঘটলে তিনি কোনও দিন লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন না |

চিনতে পারলেন সেই শিক্ষককে ?
পরবর্তীতে তিনিই লিখেছিলেন পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ‍্যক, ইছামতী, অশনি সংকেত, চাঁদের পাহাড়, সুন্দরবনে সাতবছর, মেঘমল্লার প্রভৃতি বিভিন্ন কালজয়ী গ্রন্থ |

তিনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় | বাংলার সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক | জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য |

সংগ্রহ - অহর্নিশ
তথ্য : অচেনা বিভূতি (আনন্দবাজার পত্রিকা)

ছবি - সহধর্মিণী রমা দেবীর সঙ্গে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

নানাকে আটকে নাতনিকে বিয়ে করেছিলেন জসীমউদ্দীনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল্লাহ সাহেবের সঙ্গে এক দাওয়াতে গেলেন কবি জসী...
26/07/2022

নানাকে আটকে নাতনিকে
বিয়ে করেছিলেন জসীমউদ্দীন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল্লাহ সাহেবের সঙ্গে এক দাওয়াতে গেলেন কবি জসীমউদ্দীন। সেখানে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়লেন নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর।
কবির বয়স যেন হুট করেই কুড়ি বছর কমে গেল। হৃদয়ে আনচান শুরু হলো। এ পর্যায়ে নানাভাবে মমতাজ বেগম নামের ওই কিশোরীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেন তিনি। মমতাজের পিত্রালয় ফরিদপুর, কিন্তু তখন তিনি ঢাকায়, নানাবাড়ি থেকে পড়াশোনা করেন।
মমতাজের প্রেমে জসীমউদ্দীন যখন দেওয়ানা, তখন কিশোরী মেয়েটি কি তা বোঝে? অগত্যা মমতাজের নানা মৌলভি ইদ্রিস মিয়াকে নানাভাবে বশে আনার চেষ্টা চালালেন কবি। বিভিন্ন অজুহাতে ওই বাড়িতে যাতায়াত শুরু করলেন। মৌলভি সাহেব কাব্যপ্রেমী মানুষ ছিলেন। তাই তাঁর বাড়িতে কবির আনাগোনাকে স্বাভাবিকভাবেই নিলেন। এভাবে এক দিন, দুই দিন করে মমতাজের ঘর অবধি পৌঁছে গেলেন জসীমউদ্দীন এবং তাঁকে অবাক করে দিয়ে টেবিল থেকে খাতা নিয়ে লিখলেন:
‘আমারে করিও ক্ষমা
সুন্দরী অনুপমা
তোমার শান্ত নিভৃত আলয়ে
হয়তো তোমার খেলার বাসরে
অপরাধ রবে জমা
আমারে করিও ক্ষমা।’

মমতাজ এবার কবির আকুতি বুঝতে পারলেন। নিজের অজান্তেই তাঁর প্রেমে ডুবে গেলেন। এ প্রসঙ্গে নিজের স্মৃতিকথায় বেগম মমতাজ লিখেছেন, ‘ভদ্রলোক তো আমারে দেখার পর নানা দিক থেইকা আমার নানাভাইকে হাত করার জন্য লাইগা গেল। অনেককে দিয়া সুপারিশ করতে লাগল। ওই যে আমারে দেখল, আমার রূপ তার মনে ধইরা নিল। কবি তো!’

কিছুদিন যেতে না যেতেই নানা মৌলভি ইদ্রিসের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন জসীমউদ্দীন। এরপর মৌলভি সাহেব যখন বুঝলেন এ বিয়েতে তাঁর নাতনিও রাজি, সে সময় তাঁর রাজি না হওয়ার তো কোনো কারণই নেই, মিয়া-বিবি রাজি তো কিয়া করেগা কাজি।

কিন্তু বাদ সাধলেন মমতাজের বাবা মোহসেনউদ্দিন। তিনি কিছুতেই এই ভবঘুরে কবির কাছে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। একে তো তাঁর বয়স বেশি, তার ওপর চেহারাও কৃষ্ণবর্ণ। এ অবস্থায় দীর্ঘ এক চিঠি লিখলেন তিনি মৌলভি ইদ্রিসের কাছে, ‘আপনি কি পাগল হইয়া গেলেন! এই লোকটা (জসীমউদ্দীন) পাগল। চরে ঘুরে বেড়ায়। গান গেয়ে বেড়ায়। ভাবের গান, আধ্যাত্মিক গান, মুর্শিদি গান। গানের মজলিশে সারা রাত কান্নাকাটি করে মাটিতে গড়াগড়ি খায়। এই রকম ছেলের সাথে বিয়া দেবেন? তার চাইতে নাতিনকে পদ্মায় ফালাইয়া দেন।’

চিঠি পাওয়ার পর উভয়সংকটে পড়লেন ইদ্রিস সাহেব। তাঁর নিজেরও কবিকে খুব পছন্দ হয়েছিল। তা ছাড়া পাত্র তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকও বটে।

অতঃপর পাত্র সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতে বের হলেন ইদ্রিস সাহেব। কিন্তু নিউমার্কেট এলাকায় কবির মেসের সামনে গিয়ে ‘ধরা’ খেয়ে গেলেন তিনি, তাঁকে ঘরে নিয়ে গিয়ে খুব আপ্যায়ন করলেন জসীম। পরে বললেন, ‘আমার কাছে নাতিন বিয়া দিবেন কি না, কথা দিয়া যাইতে হইব। নইলে আইজকা আপনাকে ছাড়ুম না।’ একবেলা আটক থাকার পর নাতনি বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে মুক্তি মিলল মৌলভি ইদ্রিসের।
ছাড়া পেয়ে বিয়ের বন্দোবস্ত শুরু করলেন ইদ্রিস সাহেব, ১৯৩৯ সালে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হলো জসীমউদ্দীন ও বেগম মমতাজের বিয়ে। রবীন্দ্রনাথসহ সব বড় সাহিত্যিকই সেই বিয়েতে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন।

সূত্র: শতবর্ষে জসীমউদ্দীন বইয়ে প্রকাশিত বেগম মমতাজ জসীমউদ্দীনের লেখা ‘আমার কবি’
গ্রন্থনা: বাশিরুল আমিন

Address

Zero Point
Faridpur

Telephone

+8801558230939

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sohag Azad Vlog posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share



You may also like