05/08/2024
⛔ আন্দোলনে যাচ্ছেন?
কিসের আন্দোলনে কেন যাচ্ছেন এই বিষয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট থাকা দরকার :
• আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়। আপনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একজন মজলুম বান্দা।
• আপনি আন্দোলন করছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, জালিমের জুলুমের বিরুদ্ধে । কোনো দল কিংবা গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, হাজার বছরের সংস্কৃতি এইসব কুফরী মতবাদের জন্য না।
• আপনার জন্য শাসনব্যবস্থা একমাত্র শরীয়াহ শাসন, একমাত্র সংবিধান মদিনা সনদ। এর বাইরে যা কিছু আছে, যা কিছু, সব মানবসৃষ্ট কুফরী।
• আপনি আহত হলেন কিংবা জীবন দিলেন, সবটাই শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালা র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এইসব না, অন্যায়ের প্রতিবাদে শুধুমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে আপনার এই ত্যাগ। এই পয়েন্টটায় সাবধান। খুব সাবধান। একটু ভুল আপনার দুনিয়া আখিরাত ধ্বংস করে দিবে আল্লাহ্ মাফ করুন।
• সুইসাইডাল কিছু করা যাবে না ভুলেও। আত্মরক্ষা করা ফরজ।
• আপনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। তাই আন্দোলনের ফিল্ড রণক্ষেত্র হয়ে যাক, ফরজ সালাত কোনোভাবেই মিস করা যাবে না।
• ফ্রি মিক্সিং হতে সাবধান। তবে কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করা নৈতিক দায়িত্ব।
• গান বাজনা, প্রতিকৃতি, ভাস্কর্য এগুলো সর্বাবস্থায় হারাম। পরিত্যাগ করুন।
• আশেপাশের মানুষের খেয়াল রাখুন। পাশাপাশি অবলা পশুপাখিরও খেয়াল রাখুন।
• বাসা থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই আয়াতুল কুরসি, বিসমিল্লাহ হি তাওয়াক্কুল তু আলাল্লাহ, ইখলাস ফালাক নাস এবং যত দোয়া জানেন সব পরে হাতে ফুঁ দিয়ে সারা শরীরে মুছে নিবেন।
• ফিল্ডে সার্বক্ষণিক জোরে জোরে কালিমায়ে শাহাদাত পড়তে থাকবেন। মনে রাখবেন মৃ*ত্যুর ফেতনা ভয়াবহ। এইসময় শয়তান তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে মুমিন বান্দাকে পথভ্রষ্ট করার। শয়তান কে সফল হতে দেয়া যাবে না।
জোরে কালিমা পড়বেন, জোরে না পারলে আস্তে পরবেন, তাও না পারলে অন্তত আওয়াজ করবেন, সেটাও সম্ভব না হলে ডান হাতের তর্জনী উঁচু করে ধরবেন, যেমনটা তাশাহুদের সময় করেন। শেষ নিঃশ্বাসেও সাক্ষ্য দিয়ে যাবেন আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়।
• যদি জনতার জয় হয় তবে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন, ন্যায়ের ভিত্তিতে শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। একটি আদর্শ রাষ্ট্র কিভাবে গড়তে হয় তার জন্য সীরাত পড়ুন, সাহাবায়ে কেরামদের জীবনী পড়ুন।
• আর যদি আমরা হেরে যাই আল্লাহ না করুন, তবে জেনে রাখুন, যে দেশের মানুষ নিজেরা কুফরীতে মগ্ন থাকে, ওজনে কম দেয়, আল্লাহ তাদের উপর অত্যাচারী শাসক চাপিয়ে দেন। সুতরাং জালিম শুধু ঐ পক্ষ ই না, আমরাও জালিম। নিজেদের উপর জুলুম করছি। তাই এই আযাব আমাদের উপর চলে এসেছে। এর থেকে মুক্তির একটাই পথ, নিজের ঈমানের যত্ন নেয়া, অন্যকে ঈমানের দাওয়াত দেয়া।
আর যারা আন্দোলনে যাচ্ছেন না, বাসায় থেকে যতটা সম্ভব দুয়া করেন। দাওয়ায় যা বদলায় না, দোয়ায় বদলানো সম্ভব ইনশাআল্লাহ। মজলুম রা বাসায় আশ্রয় চাইলে আশ্রয় দিন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিন।
হকের উপর থাকেন। বাতিল এবার বাতিল হবেই ইনশাআল্লাহ।
ডা. ফারীবা