H M Eimran Hossain 01

H M Eimran Hossain 01 Eimran Hossain Faridpuri

05/07/2024

স্ত্রী চিঠি লিখছে স্বামীর কাছে। কিন্তু, দাড়ি-কমা সম্বন্ধে কোন জ্ঞান না থাকায় ভুল স্থানে দাড়ি বসাতেই সেই প্রিয় চিঠি হয়ে গেল আজব চিঠি !
চিঠিটি হলো••••

" ওগো, সারাটা জীবন বিদেশেই কাটালে এ ছিল। তোমার কপালে আমার পা। আরো ফুলিয়া উঠিয়াছে উঠানটা। জলে ডুবি*য়া গিয়াছে ছোট খোকা।স্কুলে যেতে চায় না ছাগ*লটা। সারাদিন ঘাস খাইয়া ঘুমাইয়া থাকে তোমার বাবা। বার মাস পেটের অসু*খে ভুগি*তেছে বাগানটা।

আমে ভরিয়া গিয়াছে ঘরের চালটা। স্থানে স্থানে ফুটো হয়ে গিয়েছে গা*ভীর পেট। দেখিলে মনে হয় বাচ্চা দিবে করিম এর বাপ। রোজ দুই হালি করিয়া ডিম দেয় বড় বউ। রান্না করিতে গিয়া হাত পু*ড়িঁ*য়া ফেলেছে কু*কুর ছানাটা। সারাদিন লেজ নাড়িয়া খেলা করে বড় খোকা। দাড়ি কাটিতে গিয়ে গাল কাটিয়া ফেলেছে নুড়ীর মা। প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে নুড়ীর বাপ। বার বার ফিট হইয়া যাইতেছে ডাক্তার। সাহেব আসিয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায় তুমি বাড়ী আসিবে না । আসিলে অত্যন্ত দুঃখিত হইব।

ইতি
তোমার বউ।🙂

Collected

21/05/2024

একটা কোর্স করতে যখন দেশের বাইরে ছিলাম, তখন রবিন নামের এক বাংলাদেশী ভাইয়ের সাথে রুম শেয়ার করে থাকতাম। একদিন রুমে এসে দেখি উনি লাগেজ গোছাচ্ছেন।
আমি হেসে বললাম- দেশে যাবেন দেখে ভাই তো দেখি মহাখুশি!
রবিন ভাই লাগেজের চেইনটা লাগিয়ে হাসিমুখে বললো- “ভাই, ৮ বছর পর দেশে যাচ্ছি, মনে তো আনন্দ হবেই। ছোট বোনটাকে এতোটুকু দেখে এসেছিলাম, আর এখন তারই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে! বোনটা যখন আমাকে দেখবে, খুশিতে যে কি করবে এটা ভেবেই আমার চোখে পানি এসে যাচ্ছে।”
রবিন ভাই হাসিমুখে কথা বলছিলো, অথচ আনন্দে উনার চোখ জ্বল জ্বল করছিলো। এমন সময় রবিন ভাইয়ের বাবা ফোনে উনার কাছে জানতে চাইলো- “কিরে, শুনলাম তুই নাকি দেশে আসবি?”
রবিন ভাই হাসিমুখে উনার বাবাকে জানালো- “হ্যাঁ বাবা, আসবো। ছোট বোনের বিয়ে, বড় ভাই কি না এসে পারে?”
অপর প্রান্ত থেকে উনার বাবা বললেন- “তোর শুধু শুধু এতো টাকা খরচ করে আসতে হবে না! বিয়ে ঘরোয়া পরিবেশেই হবে। তাছাড়া নতুন জমি কিনেছি, টাকা-পয়সার একটা বিষয় আছে না? তাই আসার দরকার নেই!”
বাবার সাথে কথা বলা শেষে রবিন ভাই যখন ছোট বোনকে জিজ্ঞেস করলো- “কিরে, তুইও কি চাস আমি তোর বিয়েতে না আসি?”
ছোট বোন বললো- “এমনিতেই বাবা অনেক টাকা খরচ করছে। ৪০০ জন লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে গরু-খাসি কিনে এনেছে। এই অবস্থায় তোমার এতো টাকা খরচ করে দেশে আসতে হবে না!”
রবিন ভাই ফোনটা রেখে যখন লাগেজ থেকে কাপড়গুলো নামাচ্ছিলো, তখন উনাকে জিজ্ঞেস করলাম- ভাই, আপনি কি দেশে যাবেন না?
চোখের জল মুছতে মুছতে রবিন ভাই বললেন- “বাবা বিয়েতে আয়োজন করেছে ৪০০ লোকের। আমি গেলে তো ৪০১ জন হয়ে যাবে! ১ জনের দায়িত্ব বাবা নিতে পারবে না, তাই যাবো না!”
সেদিন নিজ চোখে একজন প্রবাসীর কষ্ট দেখেছিলাম, দেখেছিলাম একজন প্রবাসীর সাথে তারই কাছের মানুষগুলো কেমন নির্মম আচরণ করে…
প্রতিদিন কাজ শেষে রবিন ভাই তার ছোট ভাইকে ফোন করে বলতো, বাড়ির আশপাশটা একটু ভিডিও করে পাঠাতে, কিন্তু ছোট ভাই বিরক্ত হয়ে ফোন রেখে দিতো, অথচ সেই ছোট ভাইকে কয়েকদিন আগেই রবিন ভাই বাইক কেনার টাকা পাঠিয়েছে।
আমি যখন নতুন আইফোন কিনলাম, তখন উনি আইফোনটা হাতে নিয়ে বললেন- “এটাই তাহলে আইফোন? যার জন্য মানুষ এতো পাগল!”
আমি বললাম- “আপনিও তো একটা আইফোন কিনতে পারেন। কি একটা ফোন ব্যবহার করেন, অর্ধেক ভাঙা!”
উনি হেসে বললেন- “কিনবো একটা আইফোন, ছোট বোনের জামাইয়ের জন্য!”
আমি উনার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলাম- সব প্রবাসীরাই কি এমন হয়, যারা নিজের জন্য একটুও ভাবেন না?
প্রতিদিন রাতে রাবিন ভাই খুব কাশতেন, একদিন উনাকে বললাম– ভাই, এবার অন্তত একটা ডাক্তার দেখান। আপনার শরীরের অবস্থা তো খুব একটা ভালো না।
উনি কাশতে কাশতেই বলতেন- “এখানে ডাক্তার দেখাতে যতো টাকা খরচ হবে, সেই টাকা দিয়ে বাবা নতুন একটা জমি কিনতে পারবে!”
আমি রেগে বলতাম– তাই বলে নিজের জন্য কিছুই করবেন না?
উনি হেসে বলতেন- “কয়েকদিন পর ডাক্তার দেখাবো। আসলে ছোট ভাইটা নতুন ব্যবসা করবে, তার জন্য আলাদা টাকা পাঠাতে হবে!”
এই অসুস্থার কারণেই রবিন ভাই একদিন হুট করেই পরপারে পাড়ি জমান। ফোনে যখন উনার বাবাকে বিষয়টা জানালাম, তখন উনি খুবই কান্না করছিলেন।
কিন্তু যখন বললাম- আমি লাশ পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। কিন্তু, লাশ দেশে পাঠাতে হলে আড়াই লাখ টাকার মতো লাগবে, আপনারা টাকার ব্যবস্থা করুন। তখন উনার গলার স্বর পাল্টে গেলো!
উনি আমতা আমতা করে বললেন- “এতো টাকা! যে ছেলে জীবিত থাকতেই দেশে আসতে পারলো না, তার লাশ দেশে এনে কি করবো? তোমরা ওখানেই কিছু একটা ব্যবস্থা করে ফেলো!
শেষবারের মতো ভিডিও কলে আমার ছেলের মুখটা একটু দেখাও তো!”
আমার তখন ইচ্ছে করছিলো উনার মুখে থুথু মারি। যে কিনা নিজের সন্তানকে টাকা বানানোর মেশিন ছাড়া কিছুই ভাবতো না!
ছোট ভাইকে ফোনে যখন বললাম- তোমার ভাই তো তোমার জন্য কতো কি করেছে, তুমি না হয় একটু লাশটা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করো।
ছোট ভাই তখন উত্তর দিলো- “ভাই নাকি তার জন্য কোন কিছুই করেনি! একই রকম উত্তর ছোট বোনও দিলো! অথচ এই ভাই-বোনের সকল শখ-আহ্লাদ বড় ভাই বিদেশে কামলা খেটে পূরণ করছে!”
চোখের সামনে একটা মানুষের লাশ পড়ে আছে, অথচ আমার মনে হচ্ছে এটা মানুষের লাশ নয়! এটা একটা টাকার মেশিন, যেটা অচল হয়ে গেছে…
অনেক প্রবাসী আছেন, যারা বছরের পর বছর দেশের বাইরে কাটানোর পরও তাদের পরিবার চায় না মানুষটা দেশে ফিরে আসুক।
এক সময় সেই মানুষটা অমানবিক পরিশ্রম করতে করতে মারা গেলেও, মৃতদেহটা পরিবার দেশে আনতে চায় না টাকা খরচ হবে বলে, অথচ মানুষটা পরিবারের জন্যই আমৃত্যু কষ্ট করেছেন।
টাকার কাছে মানুষ সত্যি অসহায়, টাকার কাছেই মানুষ মনুষ্যত্ব হারায়, মানবিকতা হারায়, হারায় বিবেকবোধ…

10/03/2024

সৌদিআরবে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে
আলহামদুলিল্লাহ

ইসলামিক ভিডিও পেতে  লিংক ক্লিক করুনYou sent
01/02/2024

ইসলামিক ভিডিও পেতে লিংক ক্লিক করুন
You sent

মুহাম্মদ (সাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, "জাবির, আমি কি এই সূরা সম্পর্কে কিছু বলতে পারি?" জাবির জবাব দিলেন, "হ্যাঁ, এবং হে আল্লাহ....

03/01/2024

মানুষকে তুমি তোমার সবটুকু দিয়েও
রাজি করাতে পারবেনা।।
কিন্তু,
তোমার রব সামান্য ইবাদাতেই
রাজি হয়ে যায়।।

()

 #🎤🥀🌹🎶ফুল দিতে যাচ্ছিলাম। সৃতি সৌধে,,,পথ আগলে দাঁড়ালো বরকত, রফিক, সালাম, জব্বার, শফিউর ।😢😥😢😥😢😥😥😥¤ রফিক -- কই যাও?¤ আমি ...
15/12/2023

#🎤🥀🌹🎶ফুল দিতে যাচ্ছিলাম। সৃতি সৌধে,,,
পথ আগলে দাঁড়ালো বরকত, রফিক, সালাম, জব্বার, শফিউর ।😢😥😢😥😢😥😥😥

¤ রফিক -- কই যাও?

¤ আমি -- জি, সৃতি সৌধে যাচ্ছি ফুল দিতে🌹।

¤ সালাম -- ফুল দিয়ে কি হবে?❓

¤ আমি -- না, মানে আপনাদের স্মরণ করা জন্য,,
যাতে আপনাদের আত্মা শান্তি পায়।

¤ বরকত -- হা হা হা,😄😀😄
কুরআন হাদিসের কোথাও লেখা আছে,
ফুল দিলে আত্মার শান্তি হয়?❓
কখনো কি কবর জিয়ারত করেছো? ❓
দুই রাকাত নামাজ পড়ে,,
আমাদের জন্য দোয়া করেছো??❓

¤ আমি -- জি…না, মানে…

¤ রফিক -- হুমম,
প্রতি বছর কত টাকার ফুল দিয়ে
এভাবে শ্রদ্ধা জানাও?❓

¤ আমি -- জি, কোটি টাকার উপরে।

¤ শফিউর -- আচ্ছা আমার মা যে চিকিৎসার
অভাবে মারা গেছে,
কেউ কি খোঁজ নিয়েছে?❓😥😢

¤ সালাম -- আমার আত্মীয় স্বজনরা যে
রিকশা চালিয়ে,
দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে,
তার কি কোন খবর রাখে কেউ?❓😥😢

¤ আমি -- ভাই, আসলে জীবন তো দিছেন আপনারা।
আপনাদের আত্মীয় স্বজন তো দেয় নাই।
তাদের খোঁজ কেন নিব?❓🤔

¤ বরকত -- যুদ্ধ তো করছে মুক্তিযোদ্ধারা।
তাদের নাতি পুতিরা এত
সুযোগ সুবিধা পায় কেন?❓🤭

¤ শফিউর -- বাদ দাও তো বরকত ! ❗
ওদেরকে বেশি উস্কে দিয়ো না।
বেশি উস্কালে হয়ত,
নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধার মত,,
নতুন প্রজন্মের ভাষা সৈনিক নামেও তারা
আরেকটা পার্টি বানাবে।
মনটা খারাপ হয়ে গেল।
বাসায় ফিরে আসলাম।
আর কোনদিন ফুল দিতে যাবো না।😥😢

(গল্পটি রূপক কিন্তু এটাই ইসলামের শিক্ষা,,
রাসূলের আদর্শ )

হে আল্লাহ !
আমার জানা অবস্থায়
তোমার সাথে শিরক করা হতে,,
তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।

আর অজানা অবস্থায় শিরক হয়ে গেলে
আল্লাহ্ আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন।

👉বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়. কোথাও ভূমিকেরম্প তীব্রতা কম. আবার কোথাও বেশি. তবে যেভাবেই হোক ভূমিকম্...
02/12/2023

👉বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়. কোথাও ভূমিকেরম্প তীব্রতা কম. আবার কোথাও বেশি.
তবে যেভাবেই হোক ভূমিকম্প হল আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মানুষের জন্য সতর্কবার্তা. যেন মানুষ তওবা করে মহান আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে.

নিজেদের আচার-আচরণ শুধরিয়ে নেয়. নিরাপত্তার জন্য দোয়া করে. এবং মানুষেরা যেন আল্লাহ তায়ালাকে বেশি বেশি স্মরণ করে .
ভূমিকম্প কয়েকটি কারণে হয়. তার মধ্যে একটি কারণ হলো.
১/. মানুষেরা যখন অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন করবে.
২/ আমানতের খেয়ানত করবে.
৩/ ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া বিদ্যা অর্জন করবে.
4 / নাম্বার স্ত্রীর অনুগত হয়ে মায়ের অবাধ্যতা করবে.
5 / নাম্বার মসজিদের মধ্যে শোরগোল করবে.
6/ নাম্বার বন্ধুকে কাছে টেনে নেবে পিতাকে দূরে সরিয়ে দিবে.
এইভাবে অন্যায়ের ধারা যখন অব্যাহত থাকা শুরু হবে. নবী বলেন সে সময় তোমরা অপেক্ষা করো রক্তিম বর্ণের ঝড়. ভূমিকম্প. ভূমিধস. ইত্যাদি. সুতা ছেরা দানার নাই একটির পর একটি বিপদের!
🥀আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বুজার তৌফিক দান করুন আমিন 🤲🤲🤲

চা বিক্রেতা এক চাচা সারা দিন চা বিক্রি করার পর রাতে অবশিষ্ট চা পৌরসভার ড্রেনে ফেলে দিতেন ৷ উনাকে বলেছিলাম, চা টা না ফেলে...
17/11/2023

চা বিক্রেতা এক চাচা সারা দিন চা বিক্রি করার পর রাতে অবশিষ্ট চা পৌরসভার ড্রেনে ফেলে দিতেন ৷ উনাকে বলেছিলাম, চা টা না ফেলে সকালে গরম করে বিক্রি করলেইতো পারেন ৷ তিনি বললেন, বাসি চাতে কালার থাকে না ৷ গরম করলে কালো হয়ে যাবে, সকালে ভালো চা না পেলে দোকানের বদনাম হবে কাস্টমার কমে যাবে ৷

বললাম, তাহলে ঝুট দোকানে যারা নাইট ডিউটি করে তাদের দিলে ওদের রূহ দোয়া করবে, আপনারও সওয়াব হবে ৷ জবাবে তিনি হাসতে হাসতে বললেন, এদেরকে যদি এখন মাগনা চা দেই কাল থেকে এরা কেউ আর আমার দোকানে চা খেতে আসবে না ৷ উল্টো মনে মনে দোয়া করবে যেন দিনে আমার চা বিক্রি কম হয়, যাতে রাতে মাগনা খেতে পারে ৷ লোকটাকে তখন ভীষণ স্বার্থপর মনে হয়েছিলো ৷

ইন্ডিয়ান হজ কমিটির পক্ষ থেকে হাজীদের খাবার পরিবেশনের পার্ট টাইম জব পেয়েছিলাম ৷ দেড়শ হাজীর খাবার আসলে অনায়াসে দুইশ জনের মাঝে বন্টন করা যায় ৷ এক বেলার খাবার অন্য বেলায় দেওয়ার নিয়ম নেই ৷ অতিরিক্ত খাবার ফেলে না দিয়ে হোটেলে কর্মরত দেশী ভাইদের দিতে লাগলাম ৷ শেষের দিন হাজীরা চলে যাবে বিধায় খাবার একটু কম এসেছিল ৷ ভাইদের বললাম, ভাই, আজকে খাবার কম এসেছে ৷ আপনারা হয় অপেক্ষা করেন, না হয় অন্য ব্যবস্থা করেন ৷ এরপরই প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, আগে না করলেন না কেন? আপনার হাজীগো লাইগা আমরা বইসা থাকুম? আপনার লাইগা কি আমরা পকেটে পয়সা নিয়া বইসা আছি? কাইল কইলেইতো খানা নিয়া আইতাম, ইত্যাদি ইত্যাদি ৷
দূর সম্পর্কের এক ভাইয়ের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বিয়েতে সমস্যা হচ্ছিল বিধায় আব্বা তাকে কিছু জায়গা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ যে সময় অনুমতি দিয়েছিলেন সে সময়ে ভাইয়ের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না ৷ সামর্থ্য হওয়ার পর তাকে তিনটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম জায়গাটা ক্রয় করতে, না হয় এর বদলে অন্য জায়গা দিতে অথবা ছেড়ে দিতে ৷ তিনি কোনটাতেই রাজি হলেন না ৷

পরিচিত এক সেলুনে চুল কাটানোর পর একশত টাকার একটা নোট দেওয়ার পরেও ভাইটি মুখ বেজার করে রাখতো ৷ অপরিচিত সেলুনে একশ টাকার নোট দেওয়ার পরে ষাট টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিল ৷ দশ টাকা বখশিস দেওয়ার পর তার মুখে খুশির বন্যা বয়ে গিয়েছিল ৷ পরিচিত সেই সেলুন দোকানদার এখন দেখলে বলে, ভাই দেখি আগের মতো নাই ৷
নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ দেওয়ার পরেও পরিচিত অটোওয়ালা ভাইদের মুখ কালো হয়ে থাকে ৷ অপরিচিত অটোওয়ালাদের নির্ধারিত ভাড়া থেকে পাঁচ-দশ টাকা বেশি দিলে খুশিতে চোখমুখ ঝলমল করে উঠে ৷ কেন এমনটা হয়?

অতিরিক্ত পেতে পেতে মানুষ তার ন্যায্য সীমা ভুলে যায় মনে করে অতিরিক্ত পাওনাটা তার অধিকার ৷ যখনই এই অধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখন মানুষ ভাবে লোকটা কত স্বার্থপর ৷ একবারও নিজের সীমার হিসাব করে না ৷ এক সময় যেসব ভালো মানুষকে বদলে যেতে দেখে মনে মনে স্বার্থপর ভাবতাম, তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ৷
কেউ জন্মগতভাবে স্বার্থপর, কেউ অতিরিক্ত পেয়ে স্বার্থপর হয়ে যায়, আবার কেউ নিজের ন্যায্য পাওনা বুঝে নিতে গিয়ে স্বার্থপর হয় ৷ জন্মগত স্বার্থপরদের কখনো বদলানো যায় না ৷ মায়ার বশবর্তী হয়ে আমরা যাদের প্রাপ্য সীমার অতিরিক্ত পূরণ করে স্বার্থপর হিসেবে গড়ে তুলি, তাদের সংশোধন করার দায়িত্ব আমাদেরই ৷ না হয় একদিন তারা আমাদেরই স্বার্থপর হিসেবে চিহ্নিত করবে ৷

কথায় আছে, উপকারি বৃক্ষের ছাল থাকে না।

হজরত উসমান (রাঃ) যখন কোনো কবরের পাশে দাঁড়াতেন, তখন এমনভাবে কাঁদতেন যে, নিজের দাড়ি মোবারক ভিজে যেত। তাই একবার তাকে জিজ্ঞা...
27/09/2023

হজরত উসমান (রাঃ) যখন কোনো কবরের পাশে দাঁড়াতেন, তখন এমনভাবে কাঁদতেন যে, নিজের দাড়ি মোবারক ভিজে যেত। তাই একবার তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো- আপনি জান্নাত ও জাহান্নাম স্মরণ করে এত কাঁদেন না, যতটুকু কাঁদেন কবর দেখে, এর কারণ কী?
তিনি বললেন, রাসুল ﷺ বলেছেন, কবর হচ্ছে আখেরাতের প্রথম ঘাঁটি। এখানে যদি কেউ রক্ষা পেয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী সব ঘাঁটি তার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
আর এখানে কেউ যদি রক্ষা না পায় তাহলে পরবর্তী সব ঘাঁটি তার জন্য খুব কঠিন হবে।
তিনি আরও বললেন, রাসুল ﷺ বলেছেন, মেরাজের রজনীতে আমি যত ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছি তার মধ্যে কবরের আজাবই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ।
হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবরের কঠিন আজাব থেকে মুক্তি দিও

তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং-২৩০৮

26/09/2023

দোয়া কবুল হচ্ছে না।। সব কিছু অগোছালো হয়ে যাচ্ছে,,মনে শান্তি পাচ্ছি না,,
আপনারা সবাই আমার জন্য ৫ বার করে দোয়া ইউনুস পড়ে দিবেন, যাতে আমার সব দোয়া গুলো কবুল হয়ে যায় ইনশাআল্লাহ
◼️لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্ জোয়ালিমীন। (পড়া শেষে আমিন লিখে দিয়েন)

Plz😔💔

25/07/2023
19/07/2023

যার বিয়ে হয়েছে, সে বলছে 'বিয়ে করাটাই তার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো। কেন যে করতে গেলাম!' আর যারা বিয়ে করেনি, তারা দিনরাত বিয়ে নিয়ে মহাস্বপ্নের জাল বুনে চলেছে।
যার বাচ্চা আছে, সে 'বাচ্চাদের জালায় অস্থির হয়ে যাচ্ছি' বলে দিনরাত অভিযোগ করছে। যার বাচ্চা নেই, সে একটা বাচ্চার জন্য দিনরাত কেঁদেকেটে মরছে।
যার চাকরী আছে সে বলতেছে, চাকরি করা পেইন। প্রতিদিন এক জায়গায় যাওয়া আর একই কাজ করা কি যে বোরিং! আবার, যার চাকরি নাই সে বলতেছে চাকরির অভাবে অনেক কষ্টে আছে।
যার সন্তান পড়াশুনা করতে বিদেশ চলে যাচ্ছে, সে ভাবছে অমুক সাহেব আর যাই হোক, অন্তত সন্তানদের চাইলেই দেখতে পাচ্ছে। আর আমি আমার সন্তানকে চাইলেও দেখতে পারছিনা। আবার যারা সন্তানকে সবসময় কাছে পাচ্ছে, তাদের আফসোস হলো সন্তানগুলোকে এত কষ্ট করে পড়াশুনা করালাম! অমুকের মাথামোটা ছেলেটা পর্যন্ত স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়তে গেলো, আর আমার ছেলেটা কিনা এখনো দেশেই পড়ে আছে! বিদেশ যাওয়ার কোন ইচ্ছাই নাই! হায়রে কপাল! এত কষ্ট করে এজন্য পড়াশুনা করালাম?
যে ইন্ড্রাস্টিয়াল চাকরি করতেছে, সে বলতেছে টিচিং প্রফেশানই ভালো। অল্প পরিশ্রমেও অনেক টাকা কামানো যায়। যে টিচার সে বলতেছে, কেন শুরুতে ইন্ড্রাস্টিতে ঢুকলাম না, এতদিনে লাখ টাকা বেতন হতো। সারাদিন চিল্লায়ে চিল্লায়ে কথা বলতে বলতে গলা শেষ হয়ে গেলো।
যে বিদেশে আছে সে বলতেছে, দেশে একটা কোনমতে একটা চাকরি করে পরিবারের সাথে আরামে থাকতে পারতাম, হুদাই আসছি বিদেশে। যে দেশে আছে, সে বলতেছে অমুক অমুক বিদেশে গিয়ে কত মর্যাদার জীবন যাপন করতেছে, জীবনের প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করতেছে, আর আমি হতভাগা কোনমতে ছোটখাট একটা জব নিয়ে বসে আছি।"
যার একটা নুন্যতম মাথা গুঁজার জন্য বাসা আছে, সে ভাবছে, 'ধুর! একটা ফ্ল্যাটবাড়িই করতে পারলাম না! অমুক অমুক পর্যন্ত করে ফেললো! আর আমি এই এক পুরানা আমলের ঘর নিয়েই পড়ে থাকলাম সারাজীবন। আবার যে ফ্ল্যাটবাড়ি বানিয়েছে, সে একটা রাত শান্তিতে ঘুমানোর জন্য ছটফট করছে। অন্তরে একটু সুখ পাবার আশায় কত ব্যর্থ চেষ্টাই না করছে! মুভি, গান-বাজনা, সিরিয়াল, জোকস, ফানি ভিডিও কত কিছু! কিন্তু কোনটাই মনকে ভালোভাবে প্রশান্ত করতে পারেনা। সবগুলোই কিছুক্ষণ পর বিরক্তিকর হয়ে যায়। কোনটা দিয়েই অন্তরের অভাব দূর হয়না। লাখ টাকার বিছানায় শুয়ে একটু ভাল করে ঘুমাবে- সেটাও আসেনা। রিক্সাওয়ালার রিক্সায় ঘুমানো দেখে সে কেবল আফস্যোস করতে থাকে। ইশ! একটু যদি সুখ করে ঘুমাতে পারতাম!
আসলে প্রকৃত সুখে আছেটা কে?
কেউ নেই। দুনিয়া সুখে থাকার যায়গা না।
দুনিয়া হচ্ছে অনন্ত সুখের পাথেয় সংগ্রহ করার যায়গা। লবনাক্ত পানি দিয়ে পিপাসা মেটাতে চাইলে সেটা যেমন তৃষ্ণা না কমিয়ে উল্টা বাড়িয়ে দিবে, তেমনি দুনিয়াতে কেউ চিরসুখী হতে চাইলে সে কষ্টে-যন্ত্রনায় জর্জরিত হবেই।
দুনিয়াতে কেবলমাত্র সেই সুখে আছে, যে সাধ্যমত নিজেকে জীবনের সবক্ষেত্রে আল্লাহর দাসে পরিণত করতে পেরেছে। পরকালের জন্য সত্যিকারভাবে কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। অন্তরের অভাব মেটাতে রব্বে কারীমের কাছে নিজেকে সঁপে দিচ্ছে। সুখের মালিকের কাছে, তার দেয়া সকল বিধি বিধানের কাছে নিঃশর্ত আত্নসমর্পণ করাতেই আছে আসল সুখ।
বারবার পা পিসলে যায়, কিন্তু তবুও রব্বে কারীমকে সন্তুষ্ট করার জন্য অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া মানুষেরাই প্রকৃতভাবে সুখে আছে। যেটাকে ইমাম ইবনে কাইয়্যিম (র) "দুনিয়ার জান্নাত" হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বাদবাকি সবাই কমবেশি কেবল অন্যদেরকে সুখী মনে করে আফসোস করে আর ভেতরে ভেতরে জলেপুড়ে মরে। আর এই আফসোস, একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এই প্রতিযোগিতা মৃত্যু পর্যন্তই। রুহটা চলে গেলেই সব খ ত ম।
"যেদিন তারা এটা(বিচার দিবস) প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা পৃথিবীতে একটি সন্ধ্যা অথবা একটি সকালের অধিক অবস্থান করেনি"-
(সূরা আন নাজিয়াতঃ ৪৬)
যারা একটি সন্ধ্যা বা একটি সকাল সুখে থাকার মোহে অনন্ত আখিরাতের জীবনের ব্যাপারে গাফেলতি করবে, পাথেয় সংগ্রহ করবেনা, তারা দুনিয়াতেও সুখ পাবেনা। আখিরাতেও না।
আর হাজার মাথাকুটে মরলেও রিযিকে যা আছে তার চেয়ে একচুলও বেশি পাবেনা, ইন শা আল্লাহ্‌। বরং অন্যান্য সবকিছু বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে।
আর যারা কেবল আল্লাহকেই প্রায়োরিটি দিবে, কেবল তারাই আল্লাহর প্রায়োরিটি পাবে, অল্পেও সন্তুষ্ট থাকতে পারবে, ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ তাদের সবকিছু গুছিয়ে দিবেন। এবার সিদ্ধান্ত নেয়ার পালা আমার আপনার।

লিখাঃসংগৃহীত

🥀ঈদের দিনের ১০টি সুন্নাত 🕋🕋
28/06/2023

🥀ঈদের দিনের ১০টি সুন্নাত 🕋🕋

19/06/2023

////---- মানব ইতিহাসের সবথেকে রূদয়বিদারক বিদায়ী বার্তা ছিলো:

""সম্ভবত এ বছরের পরে তোমাদের সাথে আমার আর সাক্ষাৎ নাও হতে পারে""

~ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 😭💔🥀

18/06/2023

আজ নাকি #বাবা_দিবস।তবে আমার কাছে আল্লাহর দেয়া প্রত্যেকটা দিনই বাবা দিবস।আর তাই প্রতিদিন নামাজের পর মোনাজাতে নিজের জন্য দোয়া করতে ভুলে গেলেও প্রিয় মা বাবার জন্য দোয়া করতে কখনো ভুল হয় না।কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্ট হলো,লজ্জায় মুখ ফুটে কখনো বলতে না পারা 💌 "বাবা তোমায় অনেক বেশি ভালোবাসি"।পৃথিবীর সকল মা বাবার উপর আল্লাহর রহমত নাজিল হোক,, #আমিন..🤲🤲

17/06/2023

🌸 একজন প্রবীণ মহিলা বাসে উঠে বসল। পরের স্টপে একজন শক্ত সমর্থ যুবতী উঠে এসে বৃদ্ধা মহিলার পাশে বেশকিছু ব্যাগ নিয়ে ঠেলে ঠুলে বসে পড়ল।

যুবতীটি যখন দেখল যে বয়স্কা মহিলা চুপ করে রয়েছেন, তখন সে বৃদ্ধা মহিলাকে জিজ্ঞাসা করল যে সে যখন ব্যাগ নিয়ে চেপে চুপে বসল তখন তিনি কেন অভিযোগ করলেন না।

প্রবীণ মহিলা হাসি দিয়ে জবাব দিলেন: '' এত তুচ্ছ কিছু নিয়ে আলোচনা করার দরকার নেই, কারণ তোমাকে পাশে নিয়ে আমার ভ্রমণটি খুব ছোট কারণ আমি পরের স্টপে নেমে যাচ্ছি। "

এই উত্তরটি সোনার অক্ষরে লেখার দাবিদার: "এত তুচ্ছ কিছু নিয়ে আলোচনা করার দরকার নেই, কারণ আমাদের একসাথে যাত্রা খুব ছোট"।

আমাদের প্রত্যেককে বুঝতে হবে যে এই পৃথিবীতে আমাদের সময়টি এতটাই স্বল্প যে রেশারেশি, অনর্থক যুক্তি, হিংসা, অন্যকে ক্ষমা না করা, অসন্তুষ্টি এবং অন্যকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা মনোভাবটা দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া 'সময় এবং শক্তির' একটি হাস্যকর অপচয়।

কেউ কি আপনার হৃদয় ভেঙেছে?
শান্ত থাকুন,
ট্রিপটি খুব ছোট।

কেউ আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, ভয় দেখিয়েছে, ঠকিয়েছে বা অপমান করেছে?
"আরাম করুন। ক্ষমা করে দিন। কারণ ট্রিপটি খুব ছোট"।

কেউ আপনাকে বিনা কারণে অপমান করেছে?
"শান্ত থাকুন, এড়িয়ে যান কারণ ট্রিপটি খুব ছোট"।

কোন সাক্ষাতে আপনার বন্ধু আপনি যা পছন্দ করেন না এমন কোন মন্তব্য করেছিলেন?
"শান্ত থাকুন, তাকে উপেক্ষা করুন, ক্ষমা করে দিন, কারণ ট্রিপটি খুব ছোট"।

কেউ আপনার জন্য যে সমস্যাই নিয়ে আসুক না কেন, মনে রাখবেন যে একসাথে আমাদের যাত্রা খুব ছোট।

এই ভ্রমণের দৈর্ঘ্য কেউ জানে না। এটি কখন থামবে তা কেউ জানে না। আমাদের একসাথে ভ্রমণ খুব ছোট।

🌸 আসুন কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে সহযাত্রী ভেবে একে অন্যকে সহযোগিতা করি, কারণ ট্রিপ টি খুবই ছোট্ট কিন্তু কাজ অনেক। এই অল্প সময়ে অনর্থক সময় নষ্ট না করে সততার সাথে নিজেকে সফল করতে চেষ্টা করি। সবার জন্য অবিরাম ভালোবাসা 💝💝

Address

Faridpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when H M Eimran Hossain 01 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to H M Eimran Hossain 01:

Videos

Share