Monthly Srijon "মাসিক সৃজন"

Monthly Srijon "মাসিক সৃজন" It is the first Literature & Cultural Magazine of Faridgonj.

রানি ক্লিওপেট্রা কেন পানির নিচে রাজপ্রাসাদ গড়েছিলেন?ফারাও রানি হিসেবে একসময় মিশর শাসন করেছিলেন ক্লিওপেট্রা। তার ব্যক্তিত...
24/06/2022

রানি ক্লিওপেট্রা কেন পানির নিচে রাজপ্রাসাদ গড়েছিলেন?

ফারাও রানি হিসেবে একসময় মিশর শাসন করেছিলেন ক্লিওপেট্রা। তার ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্যে আজও অভিভূত বিশ্ববাসী। নিজের জ্ঞান ও মেধা দিয়ে তিনি নিজ দেশকে শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে বহুবার রক্ষা করেছেন।

রানি ক্লিওপেট্রা বাস করতেন আলেকজান্দ্রিয়া শহরে। আলেকজান্দ্রিয়া শহরটি খ্রিস্টপূর্ব ৩৩২ সালে গ্রেট আলেকজান্ডার প্রতিষ্ঠা করেন। আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পরে, দীর্ঘ ৩০০ বছর ধরে আলেকজান্দ্রিয়া দখল করে রাখে গ্রীকরা।

রানি ক্লিওপেট্রাও একজন গ্রীক হয়েও শক্তিশালী মিশরীয় রানি হয়ে ওঠেন। তার শাসনকালে মিশরে নানা উন্নয়ন ঘটেছিল। তিনি বহুবার রোমান নেতাদের কাছ থেকে নিজের দেশকে বাঁচিয়েছেন।

এজন্য ব্যক্তিগতভাবেও তিনি অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষা সহ্য করেছেন। শেষকালে দুঃখজনকভাবে তিনি আত্মহত্যা করেন। যদিও তার মৃত্যু নিয়ে নানা কল্প-কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে।

তবে কখনো কেউ জানতেও পারেননি, রানি ক্লিওপেট্রা কীভাবে পানির নিচে এক আধুনিক রাজপ্রাসাদ তৈরি করেছিলেন! ১৯৯০ সালের আগ পর্যন্ত ক্লিওপেট্রার প্রাসাদ সম্পর্কে কারও জানা ছিল না।

১৪০০ বছর আগে মিশরে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং একটি ধ্বংসাত্মক সুনামি হয়েছিল। যা আলেকজান্দ্রিয়া শহরের উপকূলে আঘাত হেনেছিল। এরপর ডুবে যায় এন্টিহোডোস দ্বীপ। তারপরই সন্ধান মেলে রানি ক্লিওপেট্রার প্রাসাদের।

ভূমিকম্প ও সুনামির তোড়ে এন্টিহোডোস দ্বীপ ডুবে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটে ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর কয়েক শতাব্দী পরে। এ ঘটনার পরে ছোট এক উপসাগরে প্রায় ১০ মিটার পানির নীচে প্রাসাদটির সন্ধান পাওয়া যায় প্রথমে। এরপর কেটে যায় বহু বছর।

সর্বপ্রথম ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ ফ্রাঙ্ক গডডিও নামের এক দার্শনিক ও গবেষক গ্রীক ঐতিহাসিক প্রাচীন রচনা স্ট্র্যাবোতে রানির রহস্যময় এ প্রাসাদ সম্পর্কে জানতে পারেন। এ ছাড়াও এন্টিহোডস দ্বীপ সম্পর্কেও তথ্য ছিল স্ট্র্যাবো নথিতে।

ফ্রাঙ্ক গডডিও, যিনি ইউরোপীয় ইনস্টিটিউট অব আন্ডারওয়াটার প্রত্নতত্ত্বেরও সভাপতি। তিনি ক্লিওপেট্রার ডুবে যাওয়া রাজবাড়ির গোপন রহস্য উদ্ঘাটন করার জন্য একটি অভিযানের পরিকল্পনা করেন।

টানা ১০ বছর কঠোর অনুসন্ধানের পর তিনি রানির রহস্যময় রাজপ্রাসাদ খুঁজে বের করে চমকে দেন বিশ্বকে। প্রাচীন নথি স্ট্র্যাবোর তথ্য অনুযায়ীই এ অভিযান পরিচালনা করেন। অ্যান্টিহোডোস দ্বীপের নিচে অন্বেষণ করার সময় গড্ডিওর দল বিভিন্ন সূত্র পেতে শুরু করে।

৩০ মিটার গভীর থেকে একটি প্রাচীন কার্গো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ, গয়না, চুলের ক্লিপ, আংটি এবং কাচের কাপ পাওয়া যায়। ১৯৯০ সালের দিকে ডুবুরিরা অ্যান্টিহোডোস দ্বীপের পূর্বদিকে লাল মিশরীয় গ্রানাইট দিয়ে তৈরি বিশালাকার স্তম্ভগুলো আবিষ্কার করেছিল।

সেখানে তারা ৬০টিরও বেশি খণ্ড খুঁজে পান। যেগুলো প্রায় ৪ ফুট ব্যাস এবং ৭ মিটার দৈর্ঘ্য ছিল। গডডিওর দল অবশেষে ক্লিওপেট্রার প্রাসাদের কাঠের ভিত্তি খুঁজে পায়।

কার্বন পরীক্ষার পর জানা যায়, ক্লিপেট্রার জন্মেরও প্রায় ২০০ বছর আগে এ প্রাসাদটি তৈরি করা হয়েছিল। এ কারণেই ধারণা করা হয়, ক্লিওপেট্রা এ প্রাসাদটি নিজে তৈরি করেননি বরং উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন।

বর্তমানে পানির তলে ভগ্নপ্রায় এ রাজপ্রাসটি জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। কেউ চাইলেই ডাইভিং করে এ জাদুঘর ঘুরে দেখার সুযোগ পান। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ডুব দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা দক্ষতা থাকতে হয়। কারণ সেখানকার ঢেউগুলো বেশ বড় ও শক্তিশালী।

এ সাইটটি বেশি গভীর নয়। মাত্র ৫ থেকে ৮ মিটার। পানিতে ডুব দিলেই প্রাসাদের অনেকগুলো কলাম দেখা যাবে। সেইসঙ্গে দেখা যাবে বিশাল সব পাথর, প্রাচীনকালে ব্যবহৃত বড় বাটি এবং দুটি স্ফিংক্স মূর্তি।

পায়ের আকার বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্বআপনার পায়ের আঙুল আপনার ব্যক্তিত্বের বিশেষ প্রকাশ। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন দেশে এই ন...
24/06/2022

পায়ের আকার বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্ব

আপনার পায়ের আঙুল আপনার ব্যক্তিত্বের বিশেষ প্রকাশ। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন দেশে এই নিয়ে বিশেষ চর্চা ও গবেষণা আছে। ভারতে সামুদ্রিকবিদ্যায় এই নিয়ে ব্যাপক ভাবে চর্চা করার প্রমাণ রয়েছে।

পৃথিবীতে যত মানুষ আছেন, তাদের বেশির ভাগের পায়ের আকার প্রধানত চার ধরনের। যেমন-

১) রোমান পা

২) পিজেন্ট বা বর্গাকার পা

৩) গ্রিক পা

৪) মিশরীয় পা

১) রোমান পা: এই ধরনের পায়ের আঙুলের বৈশিষ্ট হচ্ছে, বুড়ো আঙুল থেকে পর পর তিনটি আঙুল একই মাপের হয়ে থাকে এবং বাকি দুটো আঙুল ক্রমান্বয়ে ছোট হতে থাকে। এদের ব্যাক্তিত্ব ও দেহের আকার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকে। এরা জন্মগত ভাবেই ঘরের থেকে বাইরের জীবনে বেশি সময় দেয়। এরা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, ভ্রমণকারী ও আবিষ্কারক প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা বিপরীত পরিবেশ ও সংস্কৃতিকে নিজের মতো করে আপন করে নিতে পারে। এরা ভাল ব্যবসায়ী ও জনবক্তা হয়ে থাকে। এরা নিজের ক্ষতি স্বীকার করে অন্যের উপকার করে থাকে।

২) পিজেন্ট বা বর্গাকার পা: এই পায়ে পর পর পাঁচটি আঙুল দেখতে প্রায় একই মাপের হয়ে থাকে। ফলে পা দেখতে বর্গাকার লাগে। এই পায়ের আর একটা নাম হল পিজেন্ট পা। এই পায়ের অধিকারীরা অন্যের প্রয়োজনের প্রতি বেশি দৃষ্টি দিয়ে থাকে এবং অন্যের ব্যাপারে খুব স্পর্শকাতর প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা ধৈর্যশীল, বাস্তববাদী ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ডিপলোম্যাটিক ভাবে নিতে পারে। ফলে সমাজের বিভিন্ন কাজে এদের ডাক পড়ে সমস্যা সমাধানকারী হিসেবে।

৩) গ্রিক পা বা মর্টনস পা: এই পায়ের বৈশিষ্ট হচ্ছে, বুড়ো আঙুলের পর যে দ্বিতীয় আঙুলটি আছে, সেই আঙুলটি পায়ের সব আঙুলের থেকে আকারে বড় হয়ে থাকে। যার জন্য এই পা-কে মর্টনস পা বলে। প্রাচীন গ্রিসের মানুষ এই জাতীয় পায়ের অধিকারী ছিলেন। এই কারণে এরা সুন্দরের চর্চায় অন্য সব জাতীর থেকে এগিয়ে ছিল। সারা পৃথিবীর যত মানুষ আছে তার ১৩ শতাংশ (মতান্তরে ২২ শতাংশ) এই পায়ের অধিকারী। স্ট্যাচু অফ লিবার্টির এই আকারে পা দেখানো হয়েছে যেখানে পায়ের দ্বিতীয় আঙুলটি বড়। এই পায়ের অধিকারীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিভার স্ফুরণ দেখা যায়। এরা কর্তৃত্বপ্রিয় প্রকৃতির হয়ে থাকে। তাই এই পায়ের মানুষেরা জন্ম থেকেই নেতা হয়ে থাকে। এদের অন্য সকলকে ম্যানেজ করার ক্ষমতা বেশি থাকে এবং এদের ভিতর সবার সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা থাকে। বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রাচীন রাজা বা রাজপরিবারের লোকদের এই পায়ের অধিকারী হতে দেখা যায়। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এদের বুদ্ধি এবং আইকিউ অন্যদের থেকে বেশি হয়। ইউরোপে একটা বিশ্বাস চালু আছে, নীল চক্ষু, নীল রক্তের মতো গ্রিক পা-ও রাজকীয় ভাবের দ্যোতক। এরা শিল্পী, খেলোয়ার, ও বিভিন্ন পরস্পর বিরোধী সৃষ্টিশীল কাজে বিখ্যাত হয়ে থাকে।

একটা ভারতীয় লোকগাথায় আছে, ঈগলচক্ষু মাতা তার পুত্রদের বলছেন, বিয়ের পাত্রী খোঁজার সময় যে মেয়ের পায়ের দ্বিতীয় আঙ্গুল বড় এমন মেয়েকে তুমি তোমার পাত্রী হিসেবে নির্বাচন করবে। কারণ এরা সব ধরনের কাজের যোগ্য হয়ে থাকে। বহু মহাপুরুষ এই ধরনের পায়ের অধিকারী। এই পা-কে আবার ফ্লেম ফুট-ও বলে, কারণ এরা খুব মোটিভেটেড ও আবেগপ্রবপণ প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই কারণে এদের জীবন হয় খুব স্ট্রেসফুল।

৪) মিশরীয় পা: এটাই সব থেকে কমন টাইপের পা। একটা পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, শতকরা ৫৫ ভাগ মানুষ এই জাতীয় পায়ের অধিকারী হয়ে থাকে। এই পায়ের বৈশিষ্ট হচ্ছে, এই পায়ের বুড়ো আঙুল সব আঙুলের থেকে বড় হয়ে থাকে। তারপর ক্রমান্বয়ে পর পর আঙুলগুলো ছোট হতে থাকে। সাধারণত প্রকৃতিগত ভাবে এরা গোপনচারিতা ভালবাসে। সহজে মনের কথা অন্যকে খুলে বলে না। এদের মধ্যে রহস্যগত ভাব রয়েছে। সহজে এদের প্রভাবিত করা যায় না। সাধারণত এরা সামাজিক ও বন্ধুত্বপূর্ন ব্যবহার সবার সঙ্গে করে থাকে। এরাও নানা ধরনের সৃষ্টিশীল কাজে জড়িত থাকে।

Address

Faridgonj
3650

Telephone

01921082819

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Monthly Srijon "মাসিক সৃজন" posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share


Other Faridgonj media companies

Show All