H.m.alamin khan 64

H.m.alamin khan 64 Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from H.m.alamin khan 64, Book & Magazine Distributor, Dohar.

নভেম্বরের শেষ সূর্যাস্ত, ডিসেম্বর সবার ভালো কাটুক! ❤️🌸
01/12/2023

নভেম্বরের শেষ সূর্যাস্ত,
ডিসেম্বর সবার ভালো কাটুক! ❤️🌸

01/12/2023

৮২৩ বছর পর
এই ডিসেম্বর মাসে ৫ টি
শুক্রবার পড়েছে
আলহামদুলিল্লাহ 🥰

জীবনযু'দ্ধের একজন হার না মানা সৈনিক বাবা ❤️
29/11/2023

জীবনযু'দ্ধের একজন হার না মানা সৈনিক বাবা ❤️

28/11/2023

রাফসান সাবাব ও এশার ডিভোর্স হয়েছে, তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনারা অনেকেই এর সঠিক কারণ জানেন না।

রাফসান শাবাবের স্ত্রী এশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানায়, বিয়ের পর থেকেই রাফসান তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। সব জানার পরও রাফসানের স্ত্রী তাদের সম্পর্ক বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন।

অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, রাফসান অ্যান্ড জেফার প্রায় ১০ দিন আগে চট্টগ্রাম রেডিসনে অন্তরঙ্গভাবে আড্ডা দিচ্ছিল। আর এই প্রত্যক্ষদর্শী রাফসানের পোস্টে এ বিষয়ে মন্তব্য করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ব্লক করা হয়। এই ঘটনার মাত্র ১০ দিন পর রাফসান তার স্ত্রীকে তালাক দেন।

এই সমস্ত ঘটনার পরে, রাফসান এখন সহানুভূতি পাওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শিকারের কার্ড খেলছে এবং লোকেরা গুজব ছড়াচ্ছে যে সে নিগ্রো হওয়ার কারণে এই সব ঘটেছে। রাফসানের মতো একজন নিগ্রো লোকের একটি সুন্দরী স্ত্রী ছিল তবুও সে তাকে নিজের কারণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক কতটা নি'কৃষ্ট তা ভেবে দেখুন!

23/11/2023

😁😁😁😁

22/11/2023

রাসূলুল্লাহ বলেছেন;

তুমি যখন সেজদা দাওও তখন তোমার কপাল টা জায়নামাজের উপর পড়ে না। পড়ে আল্লাহ তায়ালার কুদরতি পায়ের উপর.!.!😊

সুবহানাল্লাহ..!😇

ইসলামে পুরুষদের বিয়ে একটাই।কুরআনে পুরুষের একটি বিয়ের কথাই বলা হয়েছে।এ কথায় অনেকেই হয়তো  চমকে যাবেন। সেটাই স্বাভাবিক...
21/11/2023

ইসলামে পুরুষদের বিয়ে একটাই।

কুরআনে পুরুষের একটি বিয়ের কথাই বলা হয়েছে।

এ কথায় অনেকেই হয়তো চমকে যাবেন। সেটাই স্বাভাবিক। অনেকেই ভাবেন চারটি পর্যন্ত বিয়ে করা জায়েজ। কেউ বলেন ফরজ।

অনেক অমুসলিমেরও ধারণা আল্লাহর নির্দেশেই মুসলিম পুরুষ চারটি বিয়ে করেন।

একথা ঠিক, কুরআনে চারটি পর্যন্ত বিয়ের "অনুমতি" দেওয়া হয়েছে। তবে সে বিয়ে চঞ্চলা চপলা যুবতী নারী র রূপ যৌবনে মুগ্ধ হয়ে বিয়ে নয়,
তিনটি বিশেষ শ্রেণীর নারীকে বিয়ের জন্য ই সে অনুমতি।
১, সমাজের অসহায় যুবতী।
২. অসহায় বা ল বিধবা, বা বিধবা।
৩. স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা।

অর্থাৎ এই অনুমতি বঞ্চিত অসহায় নারী জাতিকে রক্ষার জন্য, মোটেই সম্ভোগের জন্য নয়।
তবে এ ক্ষেত্রেও কঠিন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তা হল, সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ব্যাবহার।

" - কিন্তু যদি আশঙ্কা করো যে, সকলের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না, তবে একটি মাত্র বিয়ে করো।" ( সূরা নিসা, ৪:৩)।

এই অনুমতি কেই হাতিয়ার করে কিছু সম্ভোগ বিলাসী পুরুষ একাধিক বিবাহে উৎসাহী হন। অনেক অমুসলিম সুযোগ সন্ধানী পুরুষও একাধিক অবৈধ স্ত্রীকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সাময়িকভাবে মুসলিম হয়ে যান। আল্লাহর দেওয়া কঠিন শর্তটা উপেক্ষিতই থেকে যায়।

একাধিক স্ত্রীকে সমান চোখে দেখা, বা সমান মর্যাদা দেওয়া রক্ত মাংসের কোনো পুরুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ সেটা ভালই জানেন। তাই তিনি সূরা নিসা'য় ১২৯ আয়াতে বলেই দিয়েছেন;

"যতো ইচ্ছাই করো না কেন, তোমরা স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না।" (৪:১২৯)।

তাহলে কুরআনের শেষ কথা দাঁড়ালো, একের বেশি বিয়ে করো না।

কুরআনের এই আয়াতটা সমাজে অপ্রচলিত, উপেক্ষিত।
আলেম সমাজ ও ১২৯ নম্বর আয়াতটির উল্লেখ সেভাবে করেন না, এবং সেটা নিজেদের স্বার্থেই। কারণ নিজেরাই তো সমস্ত শর্ত জলাঞ্জলি দিয়ে তিন চারটি বিয়ে করে বসে আছেন!

কেউ থাকেন গাছ তলায়, কেউ থাকেন হাট খোলায়,
তবুও নাকি সব স্ত্রী আছেন সমান মর্যাদায়!

#সংগৃহীত

02/08/2023

--"কিরে ননদিনী রাই বাঘিনী কো___"

--"তোমার ননদিনী ওয়াশরুমে। আমি তোমার বর বলছি। বলো কি বলবে।"

ফোনের ওপাশ থেকে ঠান্ডা এবং গম্ভীর পুরুষালী কন্ঠ শুনে অর্নি চমকে কান থেকে ফোন নামালো। ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে একবার নাম্বারটা ভালো করে দেখে নিলো। নাম্বার তো ঠিকই আছে তাহলে ছেলেটা কে? অর্নির এমন চিন্তাভাবনার মাঝেই ফোনের ওপাশ থেকে আবারো সেই পুরুষালী কন্ঠটা ভেসে এলো। অর্নি ফোন কানে নিয়ে বললো,
--"স্যরি ভাইয়া, রং নাম্বার। রাখছি আমি।"

--"উঁহু রঙ নাম্বার না তো। স্ক্রিনে তো তোমার নামটা একদম জ্বলজ্বল করছে।"

ছেলেটার কথা শুনে অর্নি এবারে আমতা আমতা শুরু করলো। ছেলেটা মৃদু হাসলো অর্নির কান্ডে। ছেলেটার পেছন থেকে একটা মেয়ে বললো,
--"ভাইয়া? আমার ফোনে তুমি কার সাথে কথা বলছো?"

--"তোর ভাবী।"

--"মানে?"

ছেলেটা কিছু না বলে রুম থেকে চলে গেলো। মেয়েটি ওর ভাইয়ের যাওয়ার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো খানিকটা সময়। ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলো অর্নি নামটা জ্বলজ্বল করছে। নূর ফোন কানে নিয়ে বললো,
--"অর্নি তুই? তুই আমার ভাবী? আহ! এতদিনে বুঝি তাহলে আমার স্বপ্নটা সত্যি হতে যাচ্ছে।"

নূরের এমন কথায় অর্নি পুরো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। অর্নি একটা ধমক দিয়ে বললো,
--"আহ নূর! থামবি তুই?"

--"দোস্ত জানিস আমার খুশিতে আকাশে উড়তে ইচ্ছে করছে।"

অর্নির মেজাজ খারাপ হচ্ছে নূরের কথায়। অর্নি আবারো একটা ধমক দিয়ে বললো,
--"তুই আকাশে পরে উড়িস? আগে বল এতক্ষণ যে ছেলেটা কথা বললো সে কে ছিলো?"

নূরের হাসিমাখা মুখটা মূহুর্তেই কালো হয়ে গেলো। ও ভেবেছিলো অর্নি বুঝি সত্যি সত্যিই ওর ভাবী হবে। ওর ভাইয়া তো যাওয়ার আগে সেটাই বলে গেলো। আর এদিকে অর্নি জিজ্ঞেস করছে ছেলেটা কে ছিলো? অর্নি তো চিনেনি ওর ভাইকে। তাহলে ওর ভাই এই কথা বলে গেলো কেন? নূর বললো,
--"কাহিনী কি বল তো?"

নূরের কথায় অর্নি সবটা বললো ওকে। অর্নির কথা শুনে নূরের হাসি থামছে না কিছুতেই। আর এদিকে নূরের হাসিতে অর্নির গা জ্বলে যাচ্ছে। অর্নি দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
--"তুই হাসি থামাবি? নাকি আমি লাইন কাটবো?"

নূর যথাসম্ভব নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,
--"ওকে ওকে আর হাসছি না। বল কি বলবি?"

--"ছেলেটা কে ছিলো?"

--"ভাইয়া।"

--"ভাইয়া মানে? তোর বড় ভাই? উনি না হায়ার স্টাডির জন্য___"

--"পড়াশোনার পাট চুকিয়ে কালকেই বিডিতে ফিরেছে।"

--"ধুর! তোর জন্য আমি কি লজ্জায় পড়ে গেলাম। আগে বলবি না ভাইয়া বাসায় আছে।"

--"কে ফোন ধরেছে না জেনেই উল্টাপাল্টা বলিস কেন? বাই দ্যা রাস্তা তুই আমার ভাবী হলে কিন্তু খারাপ হয় না।"

--"থামবি তুই?"

--"ওকে ওকে আর বলছি না।"

--"ভার্সিটিতে শাড়ি পড়ে যাবি তো?"

--"হ্যাঁ সবাই যেহেতু শাড়ি পড়ে যাবে তাই আমিও পড়বো। তুই কিন্তু শাড়ি পড়বি আজকে।"

--"আমার শাড়ি না পড়লে হয় না?"

--"উঁহু একদম না শুনবো না। আর হ্যাঁ শোন তুই রুশানের সাথে চলে যাস। আমি সরাসরি ভার্সিটি গিয়ে দেখা করছি।"

--"ওকে রাখছি।"

অর্নি ফোন কেটে দিয়ে ভার্সিটির জন্য রেডি হতে লাগলো। ওর পুরো নাম অরনিশা সাথী। আর নূরের পুরো নাম সুমাইয়া নূর। নূর আর অর্নি দুজনেই বেস্ট ফ্রেন্ড। ওদের বেস্ট ফ্রেন্ডের তালিকায় আরো একজন আছে যার সাথে অর্নি ভার্সিটি যাবে অর্থাৎ রুশান। অর্নি নূর আর রুশান তিনজনেই ক্লাস নাইন থেকে বেস্ট ফ্রেন্ড। একজন আরেকজনের জন্য জান অব্দি দিয়ে দিতে পারে। ওরা এবারে অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। আজকে ওদের নবীন বরণ সেই সুবাদেই ওরা শাড়ি পড়ে যাবে আজকে।

-

দশটা বাজতে পনেরো মিনিট বাকী। অর্নি আর রুশান ভার্সিটি এসেছে মিনিট পাঁচেক হবে। সাড়ে দশটা থেকে নবীন বরণের অনুষ্ঠান শুরু হবে। ভার্সিটির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ওরা নূরের জন্য অপেক্ষা করছে। মিনিট দুয়েকের মাথায় নূর পিছন থেকে এসে অর্নিকে জড়িয়ে ধরলো। অর্নি পড়ে যাওয়া থেকে নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,
--"আস্তে, পড়ে যাবো তো।"

নূর অর্নিকে ছেড়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। অর্নি এবারে নূরের দিকে চোখ বুলায়। নীল পাড়ের সাদা শাড়ি পড়েছে ও। হালকা সাজ। চুলগুলো ছেড়ে দেওয়া আর কানে ঝুমকো আর দুহাত ভড়ে চুড়ি পড়েছে। এতেই মারাত্মক লাগছে নূরকে দেখতে। অর্নি নূরের দুই বাহু ধরে বলে,
--"আহ জানু! কি কিউট লাগছে তোকে। আজকে আমি ছেলে হলে নির্ঘাত তোকে নিয়ে পালিয়ে যেতাম।"

কথাটা বলে অর্নি হাসলো। সাথে রুশান আর নূরও হেসে উঠলো। অর্নি এবারে নূরকে বললো,
--"আমাকে কেমন লাগছে বললি না তো।"

নূর কিছু বলার আগেই রুশান বললো,
--"তোকে আর কেমন লাগবে? বরাবর যেমন লাগে ওরকম লাগছে। পেত্নিকে তো পেত্নিই লাগবে তাই না?"

রুশানের কথায় অর্নি বেশ চটে গেলো। এমন কি রেগে দু চার ঘা বসিয়ে দিলো রুশানের পিঠে। নূর দুজনকে থামিয়ে দিয়ে বললো,
--"রুশান তোকে রাগানোর জন্য এগুলো বলে আর তুইও রেগে যাস। সারাক্ষণ দুজনে মিলে খালি ঝগড়া মারামারি করে আমার জানটা তেজপাতা বানাইয়া ফালাস।"

এভাবেই কথা চলতে থাকলো নূর অর্নি আর রুশানের। তিনজনে কথা বলতে বলতে মাঠের দিকে এগোচ্ছে। করিডোরে এসে ওরা তিনজনেই দাঁড়িয়ে পড়ে।

তখনই ভার্সিটির গেট দিয়ে ভিতরে আসে সা'য়াদাত আবরার উৎসব। দেখতে ছয় ফুটের মতো লম্বা হবে। গায়ের রঙ হলদে ফর্সা। মুখে কাট করা চাপদাড়ি। সিল্কি চুল কিছুটা কপালে উপচে পড়ে আছে। ব্ল্যাক শার্ট ব্ল্যাক জিন্স। এমন কি চোখের সানগ্লাস আর কেডসও ব্ল্যাক। ফুল ব্ল্যাক গেটাপে ছেলেটাকে দেখতে অসম্ভব রকমের সুন্দর লাগছে। ভার্সিটির অনেকেই বারবার ঘুরেফিরে তাকাচ্ছে উৎসবের দিকে। কিন্তু ওর সেদিকে পাত্তা নেই। ওর চোখ আটকে আছে করিডোরে দাঁড়ানো অর্নির দিকে। পড়নে গোল্ডেন পাড়ের ব্ল্যাক জর্জেট শাড়ি। চুলগুলো সারা পিঠে ছড়িয়ে আছে। দু হাত ভর্তি চুড়ি, কানে বড় ঝুমকো, ঠোটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক আর চোখে কাজল। ব্যাস এতটুকুতেই অমায়িক লাগছে মেয়েটাকে।

উৎসব করিডোরে নূরের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। এই সা'য়াদাত আবরার উৎসব-ই হচ্ছেন নূরের ভাই। অর্নি বা রুশান কখনোই উৎসকে দেখেনি। আর উৎসবও জানে না সকালে ওর সাথে কথা বলা মেয়েটাই অর্নি। যে কিনা এখন ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। যাকে দেখে ওর চোখ আটকে গেছে। উৎসব নূরের পাশে দাঁড়াতেই নূর উৎসবের সাথে ওদের দুজনের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য বললো,
--"অর্নি রুশান এই হচ্ছে আমার বড় ভাই সা'য়াদাত আবরার উৎসব। তোদের তো ভাইয়ার সাথে আলাপ নেই। গতকালই ভাইয়া বিডিতে ফিরেছে।"

উৎসব পরিচিত হয়ে নিলো রুশানের সাথে। অর্নির সাথেও কথা বলতে চেয়েছে কিন্তু ও ততক্ষণে সকালের ভাবনায় চলে গিয়েছে। উৎসব অর্নির সামনে তুড়ি বাজাতেই অর্নি বাস্তবে ফিরে। আমতা আমতা করে বলে,
--"নূর এটাই তোর ভ্ ভাইয়া?"

নূর বুঝতে পারলো অর্নির ব্যাপারটা। নূর অর্নিকে আরো একটু লজ্জায় ফেলার জন্য বললো,
--"হ্যাঁ এটাই তো আমার ভাইয়া। কেন তোর মনে নেই? সকালেই তো ভাইয়ার সাথে__"

--"আমি হলরুমে যাচ্ছি। তোরা আয়।"

কথাটা কোনোমতে বলে অর্নি দৌড়ে পালালো সেখান থেকে। অর্নির এভাবে পালিয়ে যাওয়া দেখে নূর শব্দ করে হেসে দিলো। রুশান আর উৎসব কেউ বিষয়টি বুঝতে পারলো না। তাই নূর বললো,
--"ভাইয়া সকালে তুমি যার সাথে কথা বলেছিলে অর্নি-ই সেই ছিলো।"

এইটুকু বলে নূর রুশানকে সব খুলে বললো। রুশানেরও হাসি পেলো বেশ। আর এদিকে উৎসব অবাক চোখে তাকিয়ে আছে হলরুমের দিকে। এই মেয়েটার সাথেই কথা বলেছিলো ও? সকালে তো ভেবেছিলো শুধু মেয়েটার কন্ঠটাই বাচ্চা বাচ্চা। কিন্তু এখন তো দেখলো মেয়েটার আচার-আচরণ এবং মেয়েটা দেখতেও বাচ্চা বাচ্চা। উৎসব নূরকে বললো,
--"তোরা গিয়ে প্রোগ্রামে জয়েন হো। আমি আমার ফ্রেন্ডের সাথে আছি। প্রোগ্রাম শেষ হলে ফোন দিস বাসায় নিয়ে যাবো আমি।"

নূর সম্মতি জানিয়ে হলরুমে চলে গেলো রুশানের সাথে। উৎসব ওর বন্ধুদের ওখানে চলে গেলো।উৎসব এই ভার্সিটি থেকেই পড়াশোনা করেছে। ভার্সিটিতে থাকাকালীন ওরা যেখানে বসে আড্ডা দিতো সেখানে যেতেই ওর বন্ধুদের পেয়ে গেলো ও। উৎসবের বন্ধুদের তালিকায় ও ছাড়াও আরো দুটো ছেলে এবং একটা মেয়ে আছে। সায়ান, আহনাফ আর হৃদিতা। আহনাফ আর হৃদিতা দুজন দুজনকে ভালোবাসে কলেজ লাইফ থেকে। পারিবারিক ভাবে ওদের আংটি বদলও হয়েছে। উৎসবের জন্যই এতদিন বিয়ের অনুষ্ঠান হয়নি তবে এখন খুব শীঘ্রই হয়ে যাবে। ওরা চারজনে মিলে জমিয়ে আড্ডা দিতে লাগলো।

-

অনেকটা সময় যাবত বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে। নতুন স্টুডেন্টদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ফুল দিয়ে। অর্নি বেঞ্চিতে মাথা রেখে শুয়ে আছে। এই সব বক্তৃতা ওর একদম ভালো লাগছে না আর। সেই কখন থেকে বকবক করেই যাচ্ছে। অর্নির লম্বা চুলগুলো সব সামনে এসে পড়েছে বেঞ্চিতে মাথা দিয়ে রাখায়। অর্নি উঠে বসে চুলগুলো হাত দিয়ে পিছনে সরিয়ে দিলো। তখনই কেউ একজন অর্নির একটা ছবি তুলে নেয়। ক্যামেরা ক্লিকের শব্দে অর্নি আর নূর দুজনেই পাশ ফিরে তাকায়। গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে বসে আছে একটা ছেলে। লম্বা চওড়া দেখত শ্যাম বর্নের গায়ের রঙ। নূর মূহুর্তেই রেগে গেলো ছেলেটার এমন কান্ডে। এখন এখানে সবাই থাকায় নিজেকে সামলে নিলো। কিন্তু নজরে রাখলো ছেলেটাকে। ছেলেটা হলরুম থেকে বের হয়ে যেতেই নূর ছেলেটার পিছন পিছন বের হয়ে গেলো। অর্নি পড়লো মহা বিপাকে। এখন এই মেয়েকে কিভাবে সামলাবে ও? এই মেয়ের যা রাগের রাগ। অর্নি আর নূর দুজনেই সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। অর্নি খুবই শান্ত আর বাচ্চা স্বভাবের মেয়ে। তবে যখন রাগে বেশ ভালো ভাবেই রাগে। আর অন্যদিকে নূর খুবই রাগী স্বভাবের এবং বুঝদারও বটে। ছেলেটাকে বুঝিয়ে বললে হয়তো বা ছেলেটা ওর ছবি ডিলিট করে দিবে। কিন্তু নূর তো গিয়েই হম্বিতম্বি শুরু করবে। নাহ নূরকে আটকাতে হবে। এই ভেবে অর্নি রুশানের কাছে গিয়ে ওকে টেনে নিয়ে হলরুম থেকে বের হয়ে গেলে।

মাঠে যেতেই দেখলো নূর ছেলেটার সাথে কথা বলছে। অর্নি আর রুশান দুজনেই দৌড়ে ওদের কাছে গেলো। নূর বলছে,
--"আপনি ওভাবে না জানিয়ে পারমিশন ছাড়া ছবি তুললেন কেন?"

--"হ্যাঁ মানছি এখানে আমি অন্যায় করেছি। কিন্তু যার ছবি তুলেছি সে তো কিছু বলছে না। আপনি অযথা রেগে যাচ্ছেন কেন?"

--"আপনি আমার সামনে থেকে আমার বেস্টুর ছবি তুলে নিয়ে যাবেন আর আমি বসে বসে দেখবো? কিছু বলবো না ভেবেছেন?"

অর্নি এসে নূরকে টেনে দূরে সরিয়ে ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
--"ভাইয়া___"

--"মাহির আমার নাম। ভাইয়া না মাহির বলো।"

--"সে যাই হোক আপনার নাম। আপনি নূরের কথায় কিছু মনে করবেন না। ছবিটা ডিলিট করে দিন প্লিজ।"

মিহির কিছু বলার আগেই নূর কটাক্ষ গলায় বলে,
--"অর্নি তুই উনাকে এভাবে বলছিস কেন? এত ভালো ভাবে বললে এরা জীবনেও শুধরাবে না। উলটো এরকম কাজ আরো করবে।"

মাহির নূরের দিকে একপলক তাকালো। তারপর অর্নির দিকে তাকিয়ে অর্নিকে উদ্দেশ্য করে বললো,
--"ভেবেছিলাম তোমার ছবিটা ডিলিট করে দিবো। কিন্তু তোমার বেস্টু যেরকম করছে এতে আর আমি ছবিটা ডিলিট করবো না। স্যরি।"

অর্নি অবাক হয়ে তাকায় মাহিরের দিকে। নূর এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছু খোঁজার চেষ্টা করছে। অর্নি বললো,
--"আরেহ ভাই___"

অর্নি পুরো কথা বলার আগেই নূর বলে উঠলো,
--"পাইছি।"

এই বলে নূর পাশে থেকে একটা গাছের ছোট্ট ডাল হাতে তুলে নিলো। তারপর মাহিরের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো,
--"কি বললেন? ছবি ডিলিট করবেন না তাই তো? এবার তো আপনি আমার হাত থেকে কিছুতেই বাঁচবেন না।"

কথাগুলো বলে নূর ডাল উঠালো মাহিরকে মারার জন্য। একটা ছেলে এসে নূরের হাত ধরে ওকে আটকে দেয়। ছেলেটার নাম আরিফিন শান্ত। অনার্স ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট। মাহির আর শান্ত একই ব্যাচ। শান্ত সামনে এসে বললো,
--"আরেহ মিস। আপনি এবার অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের না? প্রথমদিন ভার্সিটি এসেই এভাবে গুন্ডিগিড়ি শুরু করে দিয়েছেন?"

নূর ঝাঁজালো কন্ঠে বললো,
--"আপনিও যদি মার খেতে না চান তাহলে আমার হাত ছাড়ুন বলছি।"

শান্ত নূরের কথা পাত্তা না দিয়ে মাহিরকে উদ্দেশ্য করে বললো,
--"কি হয়েছে? কি করেছিস ওদের সাথে?"

--"আপনি উনাকে কি জিজ্ঞেস করছেন? আমাকে জিজ্ঞেস করুন আমি বলছি।"

শান্ত নূরের হাত থেকে গাছের ডালটা নিয়ে দূরে ছুড়ে মেরে বললো,
--"হ্যাঁ বলো।"

নূর একে একে সবটা বললো শান্তকে। শান্ত সবটা শুনে মাহিরকে বললো,
--"না বলে ছবি তুলেছিস কেন? আর ওরা যখন ছবি ডিলিট করতে বলেছে ডিলিট করিসনি কেন?"

--"অর্নি বলেছিলো পর ডিলিট করতে চেয়েছিলাম তো। কিন্তু এই মেয়ে মানে নূরের যা তেজ ওর কথা শুনে আমারো রাগ উঠে গেছিলো সেজন্য ডিলিট করতে চাইনি।"

মাহিরের কথায় শান্ত বললো,
--"আচ্ছা। এখন ডিলিট করে দে।"

মাহির ক্যামেরা ওপেন করে ছবিটা ডিলিট করতে গেলেই নূর চেঁচিয়ে বলে উঠে,
--"এই ওয়েট ছবিটা ডিলিট করবেন না। আগে আমি দেখবো।"

নূরের চেঁচানোতে অর্নি রুশান দুজনেই বিরক্ত হচ্ছে। নূরকে টেনে ওখান থেকে নিয়ে আসতে চাইলে ও জানায় ছবি না দেখে ও যাবে না। মাহির ছবিটা বের করে নূরকে দেখালো। নূরের কাছে অর্নির ছবিটা বেশ ভালো লাগে। হাত দিয়ে চুলগুলো সরানোর সময় একপাশ থেকে অর্নির মুখটা দেখা যাচ্ছিলো। চোখ বন্ধ করে ছিলো ও। ছবিটা বেশ এসেছে। তাই নূর বললো,
--"ছবিটা ডিলিট করার আগে আমাকে সেন্ড করুন।"

শান্তর কথায় মাহির আর না করলো না। ছবিটা আগে নূরের ফোনে দিয়ে তারপর ডিলিট করে দিলো। অর্নি নূরকে টেনে নিয়ে ওখান থেকে চলে এলো। অর্নি আর রুশান দুজনেই বেশ বকাবকি করছে নূরকে। কি দরকার ছিলো এরকম কান্ড করার? ভালো করে বুঝিয়ে বললে মাহির অবশ্যই ছবি ডিলিট করে দিতো। কথা বলতে বলতে ওরা তিনজনে ভার্সিটির বাইরে চলে এসেছে। বাসায় ফিরবে তিনজনেই। রুশান এদিক ওদিক তাকিয়ে রিকশা খুঁজছে। অর্নি আর নূর দুজনেই খোশগল্পে মেতে উঠেছে। অর্নি সামনে তাকিয়ে উৎসবকে ওদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখেই নূরকে বাই বলে রুশানের হাত ধরে দৌড় লাগালো ওখান থেকে। কিছুটা সামনে গিয়ে একটা রিকশা পেয়ে সেটাতে চেপে বসলো দুজনে। নূর আহাম্মকের মতো ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। অর্নি পিছনে ঘুরে নূরকে বললো,
--"আসছি জানু। কালকে আবার দেখা হবে। এত্তগুলা লাভ ইউ। উম্মাহ।"

হাত দিয়ে একটা ফ্লাইং কিস দেখালো নূরকে। নূর তখনো ওদের দিকেই তাকানো। উৎসব নূরের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বললো,
--"তোর ফ্রেন্ড আবারো আমাকে দেখে পালালো?"

উৎসবের কথায় নূর পাশে ফিরে ভাইকে দেখতে পেয়ে হাসলো। এবার বুঝলো অর্নির এভাবে পালিয়ে যাওয়ার কারন। নূর বললো,
--"ও এমনি। আসলে সবসময়ই আমাকে মজা করে নানান কিছু বলেই ডাকে। তার মাঝে একটা হলো ননদিনী। আর সকালে ফোন করে এই কথা বলার পর তুমি যা বলেছো তাতে বেচারী লজ্জায় তোমার সামনে পড়তে চাইছে না আর।"

--"আচ্ছা বাসায় চল এখন।"

--"হুম চলো।"

নূর আর উৎসবও একটা রিকশা ডেকে উঠে পড়লো বাসায় যাওয়ার জন্য।

চলবে~

#তুমি_শুধু_আমারই_হও
লেখনীতে- অরনিশা সাথী

|সূচনা পর্ব|

Address

Dohar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when H.m.alamin khan 64 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share