![https://www.facebook.com/100080639724586/posts/602337815797537/?mibextid=QQ3vcIB6LZwViiiZ](https://img4.medioq.com/292/356/1225380042923560.jpg)
03/12/2024
https://www.facebook.com/100080639724586/posts/602337815797537/?mibextid=QQ3vcIB6LZwViiiZ
#কিভাবে #ভূট্টা আবাদ করবেন/ভূট্টা চাষ পদ্ধতি:
#ভূট্টার #উপযুক্ত জমি/মাটি:
বেলে ও ভারি এটেল মাটি ছাড়া সব ধরনের মাটিতে ভূট্টা আবাদ করা যায়। তবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা যুক্ত বেলে দোআঁশ ও দোআঁশ মাটি ভূট্টা আবাদের জন্য উত্তম। নিচু রসালো জমিতে ভূট্টা আবাদ না করাই ভালো।
#ভুট্টা #বীজ বপনের সময়ঃ
মধ্যে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ। ভূট্টার বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।
#ভুট্টার #জাত নির্বাচনঃ
বর্তমানে কৃষক পর্যায়ে আবাদকৃত সর্বাধিক উচ্চ ফলনশীল জনপ্রিয় ভূট্টার জাত সমূহ
বিঘা প্রতি ৩৩ শতকে শুকনো গড় ফলন। (পরিচর্যার উপর ভিত্তি করে ফলন কম বেশি হতে পারে)
#পেট্রোকমঃ
পায়োনিয়ার-৩৩৫৫ বিঘা প্রতি ফলন: ৪২-৪৫ মন)
পায়োনিয়র-৩৩৭৬ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
#রাফিদ সীডসঃ
বিজয়-৭১ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)
মহান-২১(বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
পদ্মা-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)
#রাসেল সীডসঃ
সম্রাট (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
#তিস্তা সীডসঃ
ডালিয়া-৪৪৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪১ মন)
সিভাম-২৩৯ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
#জামাল সীডসঃ
মন্ডল- ৩৫ বি ৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৩ মন)
পারফেক্ট ৩০ বি ৫১ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪২-৪৫ মন)
#ব্রাদার্স সীডসঃ
রূপসী বাংলা-৬৬৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)
#বিজোতা সীডসঃ
বিরাট-৫৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
#ব্রাক সীডসঃ
যুবরাজ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)
#আলফা সীডসঃ
রকেট-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
#ব্যবিলনঃ
সুপার-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)
বাজিমাত (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
#বায়ারঃ
ডিকাল্ব ৯২১৭ (বিঘা প্রতি ফলন: ৩৮-৪০ মন)
ডিকাল্ব- ৯১৬৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)
#ইস্পাহানিঃ
লাকী-৭ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)
#এসিআইঃ
ডন-১১১ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
ডিসকোভার-৫৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)
ডিসকোভার-৭৭৭ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪১ মন)
#অটো ক্রপ কেয়ারঃ
আলাস্কা (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)
ফ্যালকন (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
#ইউনাইটেডঃ
ইউরেকা (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
ইউনাইটেড-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২মন)
#লালতীরঃ
টারজান-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪৫-৪৬ মন
PAC-339 (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
GT-822 (বিঘা প্রতি ফলন: ৪২-৪৫)
সুলতান (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৩ মন)
#নাবা সীডসঃ
নাবা-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
#থ্রি এসএগ্রোঃ
দূর্জয়-৫৫৭৭ (বিঘা প্রতি ফলন: ৩৮-৪০ মন)
তান্ডব (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)
#সরকার এগ্রোঃ
সম্পদ-৯১৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)
#দেশ জেনেটিকঃ
জয়-৫৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
#ফজলু সীডঃ
ফাইজা-৫৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
ফাতেমা-২৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)
#বীজহার/বীজের পরিমাণ:
হেক্টর: ২১ কেজি (২৪৭ শতকে)
বিঘায়: ২.৮ কেজি (৩৩ শতকে)
শতকে: ৮৫ গ্রাম
#বীজ শোধনঃ
ভূট্টার ফল আর্মি ওয়ার্ম পোকা দমনে ফরটেনজা প্রতি কেজি ভূট্টার বীজে ২.৫০ মিলি হারে সাথে ১০ মিলি পানি দিয়ে বীজ
মিশিয়ে নিবেন। বীজ শোধনের ৮-১২ ঘন্টা পরে বীজ রোপন করা উত্তম।
#বীজ বপনঃ
ভুট্টা বীজ সারিতে বুনতে হয়৷ সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সেন্টিমিটার বা ২৪ ইঞ্চি এবং বীজ থেকে বীজের দূরত্ব ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি
#বীজের গভীরতাঃ
ভূট্টার বীজ ২-৩ সে: মি: গভীরতায় রোপন করতে হবে।
#বীজ রোপন পদ্ধতিঃ
সারিতে রশি টেনে হাত দিয়ে বীজ রোপন করলে সর্বোচ্চ সংখ্যক চারা গজায় এতে বীজ গজাতে মাটির ঢেলা বাধা গ্রস্ত হয় না।
#সার ব্যবস্থাপনাঃ
ভুট্টা গাছের পুষ্টি চাহিদা অনেক বেশি৷ এজন্য অধিক ফলন পেতে হলে ভুট্টা জমিতে সুষম সার দিতে হয়৷
#সারের পরিমাণ শতকে
১/ ইউরিয়া ২.৩০ কেজি
২/ টিএসপি ১.৪০ কেজি
৩/ এমপি ১ কেজি
৪/ জিপসাম ৮০০ গ্রাম
৫/ জিংক সালফেট ৪৮ গ্রাম
৬/ বোরন ৪০ গ্রাম
৭/ ম্যাগনেশিয়াম সালফেট ২০০ গ্রাম
জমির ধরন অনুযায়ী কম/বেশি হতে পারে
৮/ গোবর ৪০ কেজি
#সারের পরিমাণ (বিঘা প্রতি = ৩৩ শতকে)
১/ ইউরিয়া ৭৬ কেজি
২/ টিএসপি ৪৬ কেজি
৩/ এমওপি ৩৩ কেজি
৪/ জিপসাম ২৬.৪ কেজি
৫/ জিংক সালফেট ১.৫০ কেজি
৬/ বোরন ১.৩০ কেজি
৭/ ম্যাগনেশিয়াম সালফেট ৬.৬০ কেজি
৮/ গোবর ১৩২০ কেজি
#টিএসপি সারের পরির্বতে ডিএপি সার ব্যবহার করলে ৪০% ইউরিয়া সার কম প্রয়োগ করতে হবে।
#সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া এবং অন্যান্য সারের সবটুকু জমি তৈরির শেষ চাষের আগে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। বাকি ইউরিয়া দুই কিস্তিতে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে
#প্রথম কিস্তি ইউরিয়া সার ৮-১০ পাতা পর্যায়ে
#দ্বিতীয় কিস্তি ইউরিয়া সার ৮০-৮৫ দিনে। পুরুষ ফুল ফোটা পর্যায়ে প্রয়োগ করতে হবে
#আগাছাঃ
ভূট্টার জমি সবসময় আগাছা মুক্ত রাখতে ভালো। তবে বীজ বপনের ৩০-৪০ দিন পর্যন্ত ভূট্টা ক্ষেত অবশ্যই আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
#সেচ ব্যবস্থাপনাঃ
#প্রথম সেচঃ
বীজ বপনের ২০- ২৫ দিনের মধ্যে (৩-৫ পাতা পর্যায়ে)
#দ্বিতীয় সেচঃ
বীজ বপনের ৪৫-৫০ দিনের মধ্যে (৮-১০ পাতা পর্যায়ে)
#তৃতীয় সেচঃ
বীজ বপনের ৮০-৮৫ দিনের মধ্যে (পুরুষ ফুল আসার সময়)
#চতুর্থ সেচঃ
বীজ বপনের ১০০-১১০ দিনের মধ্যে (দানা বাঁধার পর্যায়ে) সেচ দিতে হবে৷
#পোকাঃ
#কাটুই পোকাঃ চারা অবস্থায় কাটুই পোকার আক্রমণ করে থাকে- (ক্লোরোপাইরিফস+সাইপারমেথ্রিন) গ্রুপের কীটনাশক নাইট্রো৫০৫ ইসি/সেতারা ৫৫ ইসি/ক্লোরোসাইরিন৫৫ ইসি/এসিমিক্স ৫৫ ইসি যে কোন একটি কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ৩ মিলি হারে মিশিয়ে সন্ধ্যায় স্প্রে করে দিবেন।
#ফল আর্মি ওয়ার্ম পোকাঃ
কুশির ভিতরে পাতা খেয়ে মল ত্যাগ করে থাকে এ পোকা- ফউলিজেন/সাকসেস/বায়ো স্পিনোসেড/বায়ো বিটিকে/ যে কোন একটি কীটনাশক স্প্রে করতে পারেন।
#রোগঃ
#পাতা ঝলসানো রোগ:
পাতা ঝলসে বা পুড়ে যাওয়ার মত হলে প্রপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক টিল্ট/প্রোটেন্ট/প্রাউড/সাদিদ যে কোন একটি বালাইনাশক প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করে দিবেন।
#ফিউজেরিয়াম স্টক রট:
কান্ডের ভিতরে বা গোড়ায় শিকড়ে কালো দাগ পড়ে এমন হলে বিঘা প্রতি ১০-১৫ কেজি পটাশ সার দিবেন এবং কার্বেন্ডাজিম স্প্রে করে দিবেন
#বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
#ভুট্টার ফুল ফোটা ও দানা বাঁধার সময় কোনো ক্রমেই যেন পানির স্বল্পতা এবং জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়।
#বীজ রোপনের ৩০ দিনের মধ্যে জমি থেকে অতিরিক্ত চারা তুলে ফেলতে হবে।
#চারার বয়স ১ মাস না হওয়া পর্যন্ত আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
#জমি বা মাটির ধরন অনুযায়ী সেচের সংখ্যা বেশি হতে পারে।
#ডলোচুন শতকে চার কেজি হারে প্রয়োগ করলে ম্যাগনেশিয়াম সালফেট প্রয়োগ করার দরকার নেই।
#এছাড়াও
ভূট্টার জমিতে যে কোন ধরনের সমসাময়িক রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে দ্রুত আপনার নিকটস্থ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা এই গ্রুপে ছবি সহ পোষ্ট করতে পারেন।
মো: ফরিদুল ইসলাম
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা
ব্লকঃ ভোটমারী,কালিগঞ্জ, লালমনিরহাট।