31/01/2020
কুতুববাগ দরবার শরীফের দু'দিনের ওরছ ও বিশ্বজিকের ইজতেমা শেষ হল আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে
লাখো মানুষের পদভারে কুতুববাগ দরবার শরীফের ঐতিহাসিক ওরছ
অনুষ্ঠান ছিল মুখরিত 2020। শুক্রবার জুমার নামাজের পর আখেরি মোনাজাতের বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহ) দরবার শরীফের প্রধান খলিফা ও পীর আওলাদে রাসুল হযরত সৈয়দ সাদিক রেজা।
জুমার আগে মূল্যবান নসিহত পেশ করেন কুতুববাগ দরবারের পীরকেবলা হযরত শাহসুফি কুতুববাগী। তিনি বলেন আত্মশুদ্ধি ও ধ্যান সাধনার মধ্যদিয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হতে হয়, অশান্তির এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সুফিবাদের পথে আমাদের চলতে হবে কেননা সুফি সাধকরা মানুষকে ভালবাসার শিক্ষা দেন, বিনয়, নম্রতা, ভদ্রতা শিক্ষা দেন। মানবসেবার শিক্ষাই সুফিবাদের শিক্ষা খাজাবাবা কুতুববাগী আরো বলেন, ইসলাম শুধু শরীয়তে নয়, শরীয়ত- তরিকত- হাকিকত ও মারেফত এই চারটি বিষয়ের সমন্বয় পরিপূর্ণ ইসলাম। আখেরি নবীর সত্য তরিকার মধ্যদিয়ে মুক্তি। আখেরি ম নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর প্রতি যার যতটুকু ভালোবাসা তার ঈমানও ততটুকু। আউলিয়াদের আত্মার মহামিলনের এই পবিত্র ওরস শরীফ একটি প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান। তিনি আরো বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়, মা বাবার খেদমত করা তরিকতের সাধনার পূর্ব শর্ত। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা ও বাবা মার খেদমত এর মধ্যদিয়ে আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়। শরীয়তের ছোটবড় হুকুম পালন করেই তরিকতের আমলকে সহজ করতে হয়।
কুতুববাগ দরবারের বিশাল প্রঙ্গনে লাখো মানুষের পদভারে মুখরিত এই ওরছ শুরু হয় গত 30 শে জানুয়ারি। কোরআন হাদিস ইজমা ও কায়াসের আলোকে অমূল্য বয়ান পেশ করেন দেশবিদেশের প্রখ্যাত আলেম ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদগণ।