21/12/2023
এখনকার শিক্ষিত মায়েদের আছে পড়ার চাপ, ক্যারিয়ারে পিছিয়ে পরার চাপ । একদিকে তার বাচ্চা দেখার কেউ নেই, অন্যদিকে তার চাকরির বয়স চলে যাচ্ছে, চাকরি না করলে আবার আপনারা সামাজিকভাবে তাকে প্রচুর হেয় করেন, মেরুদন্ডহীন টাইপ ট্যাগও দিয়ে ফেলেন। আরেকদিকে যাদের চাকরি আছে তাদের অফিসগুলোতে নাই একটা ডে কেয়ার, পাওয়া যায় না বাচ্চা পালার কাজের লোক। এই কূল ঐ কূল দুই কূলে নাকানিচুবানি খেয়ে খুবই করুণ অবস্থা।
যাদের বাসায় মা/বোন আছে অথবা বার/পনের হাজার টাকা দিয়ে বাচ্চার জন্য গভার্নেস/ন্যানী রাখার ক্ষমতা আছে তাদের কথা আলাদা।
আগের যুগে নারীর শুধু সংসার ছিলো। পারিপার্শ্বিক এতো চাপ ছিলোনা।
এতো ধকলের মধ্যে এ যুগে আবার আছে মায়ের ছিমছাম সুন্দরি থাকার প্রেশার। এই চাপে ডায়েট করতে গিয়ে অনেক মা আরো দূর্বল হয়ে যায়। এমন মানসিক প্রেশারও আগের নারীদের পোহাতে হয়নি।
এই পুঁজিবাদ নারীর শ্রম চায়। কিন্তু নারী মাত্রই যে মা হবে, তার সন্তান তার একার না, সে ভবিষ্যত মানব সম্পদ, যার সুবিধা দেশ ও সমাজ ভোগ করবে। তার দায় তারা এড়াতে চায়। গর্ভকালীন, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়ার বেলায় তাদের কৃপণতার শেষ নাই।
যৌথ পরিবারেরও সবার আগে চাই মায়ের কাজ, তা সে রাতে ঘুমাতে পারুক কী না পারুক, তার বাচ্চা কাঁদুক, কী জ্বালাক। সব ম্যানেজ করে যেভাবেই হোক সার্ভিস দিয়ে যেতে হবে।
না ঘর না পর, কেউ মাকে বলেনা, একটু জিরাও।
মায়েরও ক্লান্তি আসে।
তামান্না তাবাসসুম
লেখক ও শিক্ষক