জলধি

জলধি একটি সাহিত্য পত্রিকা ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান

কাজী লাবণ্য-এর ওয়াল থেকে নেওয়া লেখা- -----------------------------------গল্প কিংবা উপন্যাসের কাছে আমরা কী চাই? এমন প্রশ্...
17/01/2025

কাজী লাবণ্য-এর ওয়াল থেকে নেওয়া লেখা-
-----------------------------------
গল্প কিংবা উপন্যাসের কাছে আমরা কী চাই? এমন প্রশ্নোত্তর আমাকে তেমন একটা ভাবায় না। এসব ছক বা গৎবাঁধার বাইরে গিয়ে যখন দেখি কোনো এক বইয়ের কালো হরফের দানাগুলি একেকটি মুক্তো, একেকটি চুম্বক, যা আমাকে আটকে রাখে, মুগ্ধ করে, যা ভাবনার অতলে নিয়ে যেতে পারে অবলীলায়, যার শরীরে থাকে যাদুময়তা গতিতে থাকে ছন্দময়তা তাই আমার কাছে গল্প হয়ে ওঠে।

একজন মা-ই কেবল পারে গর্ভের সন্তানের আয়ুষ্কাল নিয়ে আনন্দ বেদনার জ্বলজ্বলে জার্নির বর্ণনা দিতে। সে জার্নিতে সাথে থাকে প্রিয়জনেরা, থাকে টিয়াপাখির মতো আস্থা নামের এক কথাপাখি। মায়ের সাথে যে টলটল করে কথা বলে, বাবার সাথে লুকোচুরি খেলে আবার বাবা মাকে চিঠিও লেখে।

পাওলো কোয়েলের ‘ভেরোনিকা ডিসাইডস টু ডাই’ বইয়ের মতো এ বইয়ের সুরভি কেন নিজেকে হনন করার কথা ভাবে! সে কি অবশেষে আত্মহননের পথ বেছে নেয়! সুরভির প্রেমিক বা স্বামী পারে কি সুরভিকে প্রাণের দিকে ফিরিয়ে আনতে?

নিজে প্রগাঢ় বিষন্নতায় ডুবতে ডুবতে আর্য’র মা ওর বন্ধুকে বহুভাবে ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা করে। চেষ্টা করে, মোবাইল ফোনে মেসেজ দিয়ে, চিঠি দিয়ে, বই পাঠিয়ে। বিশেষ অলংকারের না হলেও নিত্যদিনের চিঠিগুলি পড়তে পড়তে মায়া ভর করে মনের পাতায়। এই মানুষটি ক্ষতবিক্ষত জীবনের ক্ষতগুলিকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রলেপ দিয়ে ঢাকতে ঢাকতে আর পেরে ওঠে না। অতঃপর একদিন হারজিতের খেলায় সত্যি সত্যি সে হেরেই যায়। ভালো না লাগলেও কেউ না কেউ কোথাও না কোথাও হেরে তো যাচ্ছেই।

‘বিয়োগ রেখা’ ‘আজু মাইয়ের পৈতানের সুখ’ ‘উজানজল’ প্রভৃতি বইয়ের লেখক সাদিয়া সুলতানার একশো সাতচল্লিশ পৃষ্ঠার স্বাদুগদ্যের উপন্যাস ‘নীলগর্ভ’।

নাম- নীলগর্ভ
লেখক- সাদিয়া সুলতানা
প্রকাশক- জলধি

চট্টগ্রাম কবিতা পরিষদের সভাপতি আরিফ চৌধুরীর ওয়াল থেকে নেওয়া লেখা- চাঁদের মতো মানুষ- কবি আশেক ই খোদা' র কাব্য গ্রন্থ-স্বপ...
16/01/2025

চট্টগ্রাম কবিতা পরিষদের সভাপতি আরিফ চৌধুরীর ওয়াল থেকে নেওয়া লেখা-

চাঁদের মতো মানুষ- কবি আশেক ই খোদা' র কাব্য গ্রন্থ-

স্বপ্নবান এক কবির জীবন ও সৌন্দর্য অন্বেষা
****************************************
কবি আশেক ই খুদা এক স্বপ্নবান কবি। কবি তার কবিতায় বিচিন্তনের শব্দাবলির মাঝে খুঁজে ফেরেন প্রেম ও প্রকৃতির অনন্ত সন্ধান। কবি তার কবিতায় বৈচিত্র্যময় আয়োজনের মাঝে কবিতায় তুলে এনেছেন নতুনত্ব ছোঁয়ায় গভীর অন্যদৃষ্টিতে এক নিজস্বতা।

কবিতার মর্মে কবি তুলে এনেছেন সমাজ,দেশ, কাল।ছোট ছোট পঙক্তিতে কবিতার রুপকল্প আঁকতে কবি জীবনের প্রতিধ্বনি, স্বপ্নের ছোঁয়া, জীবনের বিষাদ ও নিজস্ব অভিজ্ঞতা প্রকাশে কবিতাকে করছেন বাঙময়।
কবির সাহসী উচ্চারণে বলেন-
মানুষের জীবন দুঃখ নদী
অস্হিরতার মধ্যেই চাঁদ হেসে উঠে
আলোকিত করে পুরে পৃথিবী আকাশ
আমি যখন হাঁটি, চাঁদও হাঁটে আমার সাথে
সঙ্গ দেয় আমাকে, পথ দেখায় আমাকে।
(কবিতা- চাঁদের মতো মানুষ)

কবিতার নতুন শব্দের সুললিত ধ্বনি কবির কবিতায় নতুন ছন্দে উচ্চারিত হয়। সকল অনুভবকে কবি আপন আমিত্বে ধারণ করে এগিয়ে চলেন নতুন দিগন্তে।কবিতার পথে এ তরুণ কবিকে স্বাগত জানাই। কবির অন্তদৃষ্টিতে কবিতায় নতুনত্বের আদলে নতুন পথ খুঁজে পাবে, কবি এগিয়ে যাবে নতুন দিগন্তের পথে আনন্দ ও বেদনাময় ভালোবাসায়।যেমন-
- আকাশ জুড়ে মেঘের মেলা
নামবে বুঝি ধরায়
নদীর ঢেউয়ে ভাসবে দু'কুল
ভাঙ্গা গড়ার খেলায়।

কবি চমৎকার ছোট পঙক্তিতে সকল কবিতাকে সাজিয়েছেন শব্দের নতুন বৈচিত্র্যময়তায়।

কবির ৬৪ পৃষ্ঠার কবিতার বই- চাঁদের মতো মানুষ কাব্য গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে জলধি প্রকাশন। তাইফ আদনানের সুন্দর প্রচছদে কবিতার বইটির বহুল প্রচার কামনা করছি।

আরিফ চৌধুরী,
চট্টগ্রাম।
১৫.১.২০২৫

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছেরফিকুজ্জামান রণির কাব্যগ্রন্থ ‘না ফেরার ব্যাকরণ’...
16/01/2025

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছে
রফিকুজ্জামান রণির কাব্যগ্রন্থ ‘না ফেরার ব্যাকরণ’...

12/01/2025

শুভ জন্মদিন কবি ও প্রাবন্ধিক আলোময় বিশ্বাস...

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছেসেঁজুতি রহমানের কাব্যগ্রন্থ ‘মানুষ কখনও কাঁদেনি পৃথিবীকে ভালোবেসে’...
09/01/2025

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছে
সেঁজুতি রহমানের কাব্যগ্রন্থ ‘মানুষ কখনও কাঁদেনি পৃথিবীকে ভালোবেসে’...

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছেনুরেন মাহনুর সুকন্যার কাব্যগ্রন্থ ‘OBSIDIAN CANDLES’...
05/01/2025

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছে
নুরেন মাহনুর সুকন্যার কাব্যগ্রন্থ ‘OBSIDIAN CANDLES’...

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছেশিরীণ বেবীর কাব্যগ্রন্থ ‘কাজল কালো জলের নদী’...
03/01/2025

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছে
শিরীণ বেবীর কাব্যগ্রন্থ ‘কাজল কালো জলের নদী’...

01/01/2025

শুভ জন্মদিন কবি কুশল ভৌমিক...

01/01/2025

শুভ জন্মদিন কবি ও প্রাবন্ধিক স্বপন মিয়া...

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছেআলতাফ হোসেন উজ্জ্বলের কাব্যগ্রন্থ ‘রূপম সাদামেঘ’...
29/12/2024

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছে
আলতাফ হোসেন উজ্জ্বলের কাব্যগ্রন্থ ‘রূপম সাদামেঘ’...

লেখক ও সম্পাদক মোরশেদ হাসান-এর ওয়াল থেকে নেওয়া লেখাইফফাত আরা দেওয়ান আমাদের দেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী। রবীন্দ্রসংগীত শিল্...
26/12/2024

লেখক ও সম্পাদক মোরশেদ হাসান-এর ওয়াল থেকে নেওয়া লেখা

ইফফাত আরা দেওয়ান আমাদের দেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী। রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে তাঁর নাম ও খ্যাতির সঙ্গে স্বদেশে ও বিদেশে অনেকেই পরিচিত। তাঁর কণ্ঠ বৈশিষ্ট্য এবং দরদী গায়কী তাঁকে দুই বাঙলা মিলিয়েই রবীন্দ্র সংগীতের ক্ষেত্রে একরকম অনন্যতা দিয়েছে। আর সে গুণে তিনি আমাদের অনেকেরই প্রিয় শিল্পী। রবীন্দ্র সংগীত ছাড়াও তাঁর কণ্ঠে অতুলপ্রসাদ , রজনীকান্ত সহ আমাদের কয়েকজন প্রধান গীতিকবির রচিত সংগীত, পুরানো দিনের আধুনিক বাংলা গান শোনার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে। কিন্তু এর বাইরেও লোক আঙ্গিকসহ কত বিচিত্র পথে যে তাঁর সংগীত প্রতিভা বিচরণ করেছে, অন্তত আমার কিছুদিন আগে অবধি সে সম্পর্কে সম্যক ধারণার অভাব ছিল, কবুল করতেই হবে। শিল্পীর প্রচারবিমুখ বা আত্মনিমগ্ন চরিত্রই হয়তো এর কারণ। তাঁর গান শুনতে গিয়েও আমার মনে হয় তিনি যেন নিজের জন্য বা নিজেকে শোনাতেই গান। গান তো কণ্ঠশিল্পীর একক অবদান নয়। তাছাড়া একই গীতিকার ও সুরকারের লেখা ও সুর সংযোজন করা গান তো অনেক শিল্পীই, কথা ও সুরের সামান্যও ব্যত্যয় না ঘটিয়ে গেয়ে থাকেন। তারপরও কোনো একটি বা একাধিক গান কোনো একজন শিল্পীর কণ্ঠে আলাদা দ্যোতনা পায়। হয়ে ওঠেন তিনি আমাদের প্রিয় শিল্পী। কেবল সুরেলা কণ্ঠই এর জন্য যথেষ্ট নয়। কণ্ঠসৌকর্য বা তার স্বাতন্ত্র্য ছাড়াও শিল্পীর গায়নরীতিও ব্যাগানে একটা নতুন মাত্রা যোগ করে। একজন কণ্ঠশিল্পীর বেলায় সেটাই তাঁর ব্যক্তিত্ব। যা দিয়ে তাঁকে চেনা বা আলাদা করা যায়। ইফফাত আরা দেওয়ানের পরিবেশনায় সেই শিল্পী ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।

সংগীতশিল্পী হিসেবে ইফফাত আরা যতদিন ধরে ও যতটা পরিচিত, চিত্রশিল্পী হিসেবে ততটা নয়। যদিও ঢাকায় একটিসহ দেশ-বিদেশে ইতিমধ্যে তাঁর কয়েকটি একক ও যৌথ চিত্রপ্রদর্শনী হয়ে গেছে। অবশ্য যাব-যাব করেও বেশ কয়েক বছর আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত তাঁর সে একক চিত্রপ্রদর্শনীটি দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে তাঁর আঁকা যে-কটি ছবি (পেইন্টিং) বা আসলে তার প্রতিচিত্র দেখার সুযোগ পেয়েছি তাতে তাঁকে সৌখিন চিত্রশিল্পীর অতিরিক্ত একজন চর্চিত ও নিষ্ঠাবান চিত্রশিল্পী হিসেবে সহজেই শনাক্ত করা যায়। তবে আমি নিজে চিত্রসমালোচক তো নয়ই, বরং এ বিষয়ে প্রায় আনপড় একজন মানুষ বলে এ নিয়ে অধিক অধিক বাকবিস্তার আমার তরফে উচিত হবে না।

এখানে এ লেখাটির উদ্দেশ্য আমার সদ্য-পড়া ইফফাত আরা দেওয়ানের বই ‘অচেনা কুসুমের গন্ধে’ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক অনুভূতি বা সংক্ষিপ্ত পাঠ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে। এটাই এ যাবত প্রকাশিত তাঁর একমাত্র বই। যদিও প্রকাশিত হয়েছে বছর দুই আগে। এক কথায় বলা যায় বইটি পড়ে আমি অভিভূত। স্মৃতিচারণধর্মী মোট চব্বিশটি নাতিদীর্ঘ রচনা সংকলন এ বইটিতে লেখক তাঁর শৈশব থেকে শুরু করে ফেলে আসা সময়, মানুষ (গানের গুরু ওয়াহিদুল হকসহ বিভিন্ন সময় দেশে-বিদেশে যেসব ব্যক্তির সান্নিধ্যে তিনি এসেছেন), গান রেকর্ড করতে বা গাইতে বা স্রেফ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেসব দেশে তিনি গেছেন, বিখ্যাত বা পূর্বে অপরিচিত যেসব স্থান পরিদর্শন করেছেন, যেসব আবাসে থেকেছেন, যেসব স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন, এমনকি ছোটবেলায় যে পত্রিকা বা বই পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন, সেগুলো নিয়ে অল্প কথায় সহজ-সাবলীল কিন্তু চিত্রময় ভাষায় তাঁর অনুভূতির কথা লিখেছেন। করোনার অবরুদ্ধ দিনগুলোতে লেখা এই রচনাগুলোতে ফেলে আসা সময় ও পৃথিবীর জন্য একরকম হাহাকার যেন প্রকাশ পেয়েছে এ লেখাগুলোতে। দিল্লি থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস যোগে কলকাতা আসার পথে ট্রেনের জানালায় মুখ রেখে অন্ধকারে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে তাঁর সে সময়ের ভাবনার কথা লেখক সময়ের ব্যবধানে এভাবে তুলে ধরেন :

১.“ধূ ধূ মাঠ অন্ধকার রাত। মাঝে মাঝে দু-একটা ঝোপঝাড় তীব্রগতিতে চোখের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে। … আবছা আলোয় যেটুকু দেখা যাচ্ছে বাইরে, তাতে মনটা হু হু করছে। বুকের ভেতর কিসের যেন ব্যথা। … আকাশের ম্লান চাঁদকে কত কাছে মনে হয়! মনে হয় চাঁদটাকে ডেকে তাকে মনের কথা বলা যায়। … ওই খোলা মাঠেই শুধু নিজের হাহাকারের মিল খুঁজে পাই। কেন এমন লাগে বুঝি না।“ (‘বাঁশির সুর’)

কিংবা
২. “গানের সুরে যখন পৃথিবী মাতাল, তখন ওই মেয়েটার বুকের ভেতর কেবলই মনে হয় এই রাতটা শুধু ওরই জন্য তৈরি হয়েছিল। ঐ লোকগুলো কেবল ওরই জন্য করুণ সুরে বাঁশি বাজাচ্ছে – ঐ যে সমুদ্র থেকে আসা হাওয়া শুধু ওরই চুলের মধ্যে খেলা করার জন্য জন্য এসেছে – ঐ যে তারাগুলো আকাশ জুড়ে রয়েছে, ওরা শুধু ওরই জন্য পথ আলো করে আছে – আর ঐ যে চাঁদ, সে তারই জন্য জেগে বসে আছে।“ (‘ভেনিস’)

এই বর্ণনায় কি একজন কথাশিল্পীর ভাষাবোধ ও রচনা দক্ষতার পরিচয় পরিস্ফুট হয় না? পুরো বই থেকে এমন উদাহরণ আরও দেওয়া যাবে। লেখকের গভীর সংবেদনশীল শিল্পী মনের পরিচয় পাওয়া যায় যখন সুইজারল্যান্ডের এক ফার্মহাউসে তাঁর গানের অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার সময়কার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি লেখেন, “আবার ফিরে আসবো, আবার গান শোনাবো, কিন্তু হয়তো সেটা অন্য কোনো দেশ, অন্য কোনো গ্রাম, অন্য কোনো সময় হবে। কিন্তু এই মুহূর্তের সাথে সেটার মিল থাকবে না। গানের মধ্যে দিয়ে যা কিছু পেলাম জীবনে সে তো অনেক।“ (‘ফার্ম হাউজ’)

প্রিয় শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ানের কাছে যদি এরপর আমরা তাঁর শিল্পী জীবনের আনুপূর্বিক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থ দাবি করি সেটা কি খুব প্রঅন্যায় বা অতিরিক্ত আবদার হবে? সক্ষমের কাছেই তো সাধারণত মানুষ প্রত্যাশা করে।

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছেজাকিয়া নূর মতিনের কাব্যগ্রন্থ ‘ওরা রোদ্দুর আনতে গিয়েছিলো’...
18/12/2024

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছে
জাকিয়া নূর মতিনের কাব্যগ্রন্থ ‘ওরা রোদ্দুর আনতে গিয়েছিলো’...

বিজয়ের গল্প হার না মানা ইতিহাস। যে ইতিহাস রচিত হয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে। জলধি পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের প...
15/12/2024

বিজয়ের গল্প হার না মানা ইতিহাস। যে ইতিহাস রচিত হয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে। জলধি পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি মানুষকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছেএমরান হাসান প্রণীত কাব্যগ্রন্থ ‘লালনপর্ব’...
13/12/2024

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছে
এমরান হাসান প্রণীত কাব্যগ্রন্থ ‘লালনপর্ব’...

12/12/2024
জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছেসায়েদুর রহমানের উপন্যাস ‘প্রথম রৌদ্দুর শিশিরস্নাত ভোর’
11/12/2024

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছে
সায়েদুর রহমানের উপন্যাস ‘প্রথম রৌদ্দুর শিশিরস্নাত ভোর’

লেখক Monija Rahman -এর ওয়াল থেকে নেওয়া লেখা।‘এক পশলা বৃষ্টি কেনার আগে’ নিয়ে লিখেছেনসুলতানা আক্তার……………………………………………………………...
09/12/2024

লেখক Monija Rahman -এর ওয়াল থেকে নেওয়া লেখা।

‘এক পশলা বৃষ্টি কেনার আগে’ নিয়ে লিখেছেন
সুলতানা আক্তার
………………………………………………………………………..
ভিন্নস্বাদের গদ্যগ্রন্থ
মনিজা রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির মত জটিল বিষয়ে অধ্যায়নকালেই সে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে লেখালেখি শুরু করে। তার ভাষায় টিউশনি করার হাত থেকে বাচার জন্য ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে লিখে কিছু উপার্জন করাই ছিল তার লক্ষ্য। কিন্তু ছোট বেলা থেকেই তার প্রবল ক্রীড়া অনুরাগের বিষয়টি আমি জানি। ক্রীড়া বিষয়ক সকল তথ্য উপাত্ত স্কুল জীবন থেকেই তার মগজে গাথা থাকত। সাংবাদিকতার লেখনির বাইরে সে যখন ফেসবুকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি শুরু করে তখন আমি তাকে নতুন করে চিনতে শুরু করি। তার লেখনি প্রতিনিয়ত শক্তিশালী হতে থাকে আর আমরাও আমাদের মধ্যকার কারও শক্তিশালী লেখিকা হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার ধারাবাহিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকি। মুগ্ধ হয়ে তার লেখিকা সত্ত্বার ক্রমান্নোতি দেখে বিস্মিত না হয়ে গৌরববোধ করতে থাকি।

অনেক বছর ধরেই মনিজা আমেরিকার নিউইয়র্কে বসবাস করছে। সেখানে প্রতিনিয়ত প্রবাসী বাংলাদেশীদের যাপিত জীবন, সুখঃ-দুঃখ, ভালোবাসা, সংগ্রামসহ খুঁটিনাটি অনেক কিছু দেখার ও জানার সুযোগ তার হয়েছে এবং হচ্ছে। তার অন্তঃদৃষ্টি দিয়ে সেসকল দেখার এবং অনুভব করার অভিজ্ঞতা এবং তার নিজের উপলব্ধিগুলোকেই সে ছোট গল্প আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে ‘এক পশলা বৃষ্টি কেনার আগে’ বইটিতে। এতে মোট পনেরটি ছোট গল্প রয়েছে। মনিজা তার গভীর পর্যবেক্ষণ দিয়ে শিল্পির আচড়ে সেগুলো তুলে এনেছে। মনিজা রহমান একজন সুলেখক। তিনি চমৎকার গদ্য লেখেন তা পাঠক স্বীকার করবেন। বিশেষ করে ‘এক পশলা বৃষ্টি কেনার আগে’ বইটির গল্পগুলো ভিন্নমাত্রার।

পয়লাতে আমরা তার চরিত্রগুলোকে চিনতে চেষ্টা করব। পনেরটি গল্পের ভেতরে বেশিরভাগই গল্পই জীবনযুদ্ধে খানিকটা সুবিধে পাওয়া বা অর্জন করে নেওয়া বা ভাগ্যচক্রে আমেরিকায় পাড়ি জমানোর ফলে নিদেনপক্ষে বাংলাদেশের সমাজে মধ্যবিত্তের তকমা পাওয়া মধ্যবিত্তদেরকে নিয়ে রচিত। এরা তবে কারা? এরা কেউ নিম্ন মধ্যবিত্ত কর্মজীবি থেকে আমেরিকার রাজনীতিতে স্থান করে নেওয়া সফল তারকা যার সূচনা হয়েছিল তার শৈশবকালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া একটি ছোট কিন্তু তাতপর্যপূর্ণ আবেগময়ী ঘটনা থেকে।

আমরা দেখি পারিবারিক ভিসায় আমেরিকায় যাওয়া এক নারী হঠাত আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হলে তার সুবাদে আমেরিকায় যাওয়া তার জীবনসংগীর বদলে যাওয়া, ভাষা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সহপাঠীর মনোজগতের ভাবনা, ধর্মীয় পার্থক্যের কারনে পরিবারের মেনে না নেওয়ার আশংকায় ভালোবাসাকে বিসর্জন দেয়া এবং পরে আবার তা ফিরে পাওয়া, সতের বছর অবৈধ থাকার পরে বাদল এর সেই সারেং এর মত দেশে বৌয়ের কাছে ফিরে যাওয়ার আবেগময় আকুতি, ধার করা খালাম্মার আর্থ-সামাজিক টানাপোড়েন, স্পার্ম ডোনারের মাধ্যমে জন্ম নেয়া লোরেনকে নিয়ে মা ও নানীর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ, ভেঙ্গে যাওয়া পরিবারের অবধারিত মানসিক চাপে আরও ভেঙ্গে পড়া ফ্রাংকো এবং আনিকার জীবন বাস্তবতা, গলাকাটা পাসপোর্ট সংক্রান্ত অপরাধে বাবার ডিপোর্ট এবং শেলীর জীবনের দূর্যোগ এইরকম সব উপাখ্যান নিয়েই সাজানো হয়েছে গল্পগ্রন্থটি।

‘এক পশলা বৃষ্টি কেনার আগে’ গল্পটির শিরোনামকেই এই বইয়ের শিরোনাম করা হয়েছে। এতে বোঝা যায় গল্পকার কি তীব্রভাবে তার শেকড়কে এখনো আকড়ে রেখেছেন। লেখকের অনুভুতিগুলোই যেন এই গল্পের আফসানা এবং আলিভিরার জবানীতে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রবাসীদের শেকড়ের যে টান তা ভীষণ আবেগ নিয়ে এই গল্পে তুলে আনা হয়েছে। আমি নিজেও একসময় কিছুদিন জার্মান প্রবাসী ছিলাম। সেই নাড়ীর টানে আমিও প্রবাসে থাকতে পারিনি সেভাবে। আমেরিকা প্রবাসী আলিভিরা যখন তার শেকড়ের জায়গায়, বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামের বৃষ্টিস্নাত রাস্তায় পা হড়কে পড়ে যায়, তখন ব্যাথায় না কাতরিয়ে প্রবল কান্নার মাঝে সে বলছে, “ আম্মা এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আসা করতো। কত কষ্ট করে লেখা পড়া করেছেন। কলেজে পড়েছেন আরও দূরে গিয়ে। এত কষ্ট করে পড়াশুনা করেও আম্মা আমাদের বড় করতে গিয়ে নিজের জন্য সারাজীবন কিছুই করেননি।“ এক বছর আগে প্রয়াত তার মায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে গ্রামে এসেছিল আমেরিকা প্রবাসী আলিভিরা আর ঢাকা থেকে আফসানা। আফসানা কান্না জড়ানো কন্ঠে স্বগোক্তি করে “ কেন মানুষ বড় হয়ে যায় ! কেন সে চিরকাল মায়ের হাত ধরে থাকতে পারেনা!”

প্রবাস জীবনে নিকট আত্মীয়ের সান্নিধ্য না পাওয়ার যে বেদনা তা মর্মস্পর্শী কিন্তু সরল ভাষায় তুলে এনেছে মনিজা। অসাধারণ! মনিজার সাবলীল ও সহজভাবে গল্প বলার সহজাত ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিটি গল্পে সে লেখকের যেসকল দৃষ্টিভংগী এবং ধারনা উচ্চারণ করেছেন তা আপনাকে ভাবাবে। বস্তুতপক্ষে, বাংলাদেশিরা, এই নয়া কর্মযোগের বৈশ্বিক ব্যবস্থাতে, নানান দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের মাঝে স্বল্প শিক্ষিত রয়েছে, শিক্ষিতরাও রয়েছে। তারা একই পরিস্থিতে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করতে পারে বলেই আমরা দেখি। এ কারণে আমরা দেখি, স্বল্প সময়ের জন্য বিদেশে বসবাসরত মানুষ অথবা অভিবাসন প্রত্যাশীরা আলাদা বাস্তবতাতে পড়ে যান। ‘এক পশলা বৃষ্টি কেনার আগে’ গল্পগ্রন্থটি বিভিন্ন বাস্তবতার আলোকপাত করেছে। আমরা ভাবি, যারা বিদেশে কাজ করতে যান বা অভিবাসন ঘটাতে যান তারা আসলে সেখানে বসে বসে মাস্তি করেন আর দেশে কাড়ি কাড়ি টাকা পাঠান পরিবারদের কাছে। কিন্তু আমরা তাদের যুদ্ধের গল্পটা, আবেগের গল্পটা, সুখঃ-দুঃখের গল্পটা জানি না। ‘এক পশলা বৃষ্টি কেনার আগে’ গল্পগ্রন্থটি তেমনই একটা টিকে থাকবার গল্প। যেটি একখানা সুখপাঠ্য বই। পড়তে গিয়ে কোথাও হোঁচট খেতে হয় না। এতই গতিময় তার গদ্যভাষা!

আমেরিকার গল্প হলেও তার মাঝে তুমুলভাবে বাংলাদেশ লুকিয়ে আছে যা সব গল্পের মনোলোগে ছড়িয়ে আছে ছত্রে ছত্রে। তবুও শেষবিচারে এটা বাংলাদেশের গল্প হয়ে ওঠে না কেননা সব প্রবাসী বাংলাদেশীই সেখানকার সমাজে অনেকখানিই একীভূত− সে শেকড় ছড়িয়ে বসেছে সেখানে, তার মাঝে যদিও বিদেশ-বসবাসের কারণে রয়েছে টানাপোড়েনও। তা হবেই বা কেন? অজস্র শুভকামনা তার জন্য। মনিজা বরাবরই মনুষ্যজীবনের গভীর মনস্তাত্বিক বিষয় নিয়ে গল্প লিখেন। সেখানে মানুষের মনোজাগতিক বিষয়ই কেবল নয়, আরও থাকে চরিত্রগুলোকে আর্থ-সামাজিক পেক্ষিতে বসাবার সুক্ষ্ণ যত কাজ। এবারের বইতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আমরা ভাবি যে একজন লেখকের মূল কাজ হলো, তিনি কতটুকু বাস্তবতাকে তুলে আনতে পারলেন। সেই নিক্তিতেই আমরা একজন লেখকে বিচার করে থাকি।

গল্পের বিষয় ও তার বর্ণণার দিক থেকে মনিজা যে ডিটেইলিং করেছেন তা বাস্তবতাকে স্পষ্ট করেছে বরঞ্চ। এতে করে যেটা হয়েছে যে তিনি যা বলতে চান তার বিভিন্ন মাত্রা সম্পর্কে তিনি আগেভাগেই আমাদেরকে একটা ধারণা দিয়ে মজলিস শুরু করেন− জীবন একমাত্রিক নয় মোটেই! তারপর ধীরেসুস্থে শুরু হয় তার অ্যাখ্যানের বয়ান। আর তার জন্য তিনি যে ভাষা তৈরি করে নিলেন তা বহমান সাহিত্যিক ভাষা তো বটেই, তার মাঝে প্রবন্ধের নৈর্ব্যাক্তিক ভাষাও চালু রয়েছে অনেকখানেই। এটা নতুন একটা উত্তর-আধুনিক ধারার বিস্তরণ বলেই আমরা মনে করি। গদ্যভাষা নিয়ে এমন পরীক্ষা-নীরিক্ষাকে আমরা স্বাগত জানাই। এভাবে মনিজা কখনও নির্মোহভাবে, কখনও মোহ নিয়েই, আমাদের সামনে বাস্তবতার বিভিন্ন মাত্রা তুলে ধরেছেন। এ কাজটা তিনি তার আগের গল্পের বইগুলোতেও করেছেন বটে। পরিশেষে আমরা বলব, মনিজার বর্তমান গল্পগ্রন্থটি তার আগের গল্প আর উপন্যাসের ধারাবাহিকতাতেই রচিত হয়েছে। দারুন বিষয় যেটা, মধ্যবিত্তভিত্তিক ভাবালুতা আধিক্যের পরেও, তার গল্পগুলো আবারও আমাদেরকে, আখ্যানের দিক থেকে, ভিন্ন স্বাদ দিয়েছে। এমন বৈচিত্র্যই আমরা একজন কথাশিল্পীর কাছ থেকে প্রত্যাশা করে থাকি।

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছেকাজী জহিরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ ‘আমার দুঃখগাছে অশ্রু ফোটে যদি’
08/12/2024

জলধি থেকে একুশে বইমেলা ২০২৫-এ আসছে
কাজী জহিরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ ‘আমার দুঃখগাছে অশ্রু ফোটে যদি’

Address

Room/503, 185, Bir Uttam C. R. Datta Road (185 Elephant Road, Hatirpool), New Market
Dhaka
1205

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when জলধি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share