sangskriti.com - সংস্কৃতি ডটকম

  • Home
  • Dhaka
  • sangskriti.com - সংস্কৃতি ডটকম

sangskriti.com - সংস্কৃতি ডটকম শিল্প-সংস্কৃতির ঘরবসতি
http://sangskriti.com/

www.sangskriti.com is an Online magazine of reportage, commentary, criticism, essays, reviews on culture with fiction, satire, cartoons and poetry.

এই ছবিটির সাথে আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের অর্থগত মিল রয়েছে। 1878 সাল নাগাদ আঁকা ড্যানিশ চিত্রকর August Friedrich Schenec...
04/11/2024

এই ছবিটির সাথে আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের অর্থগত মিল রয়েছে।

1878 সাল নাগাদ আঁকা ড্যানিশ চিত্রকর August Friedrich Scheneck এর ছবি 'Anguish' কী তীব্রভাবে এই সময়কে তুলে ধরে! যেখানে মৃত প্রাণীটি জুলাই শহীদ-আহত, মা প্রাণীটি হলো তাদের বাবা-মা-সহযোদ্ধা।

আর হ্যাঁ, কাকের দলকে এককথায় বলে murderer। লুটেরাদের প্রতিনিধি।
জুলাই গণ-বিপ্লবের হাজার হাজার শহীদ-আহতের রক্তের দাগ এখনও মুছে যায় নাই। মায়েদের-বাবাদের-ভাইদের-বোনদের-সহযোদ্ধাদের চোখের পানি এখনও মুছে যায়নি, কিন্তু কাকেদের মত জেগে উঠেছে ক্ষমতালোভীরা। পলাতক বাহিনী দেশটাকে লুটপাট করার জন্য নানান ঘটনা-আলোচনা-বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।

ফ্যাসিবাদ-ক্ষমতালোভীদের আস্ফালন-ষড়যন্ত্র এই রক্তের দাগ মুছে দিয়ে চাইছে তুমুল ভাবে। লুটেরা কাকের দল গর্ত থেকে বের হয়ে কাকের মত তৈরি করতে চাচ্ছে কুৎসার রঙ্গমঞ্চ প্রস্তুত করতে। প্রমাণ করতে চাচ্ছে জুলাই আন্দোলনকারীরাই খুনি, দেশটাকে তারা ধ্বংস করে দিচ্ছে।

তাদের এই সুযোগ দিলেই কিন্তু মাংস খুবলে খাবে। দেশটাকে আবার লুটেরাভূমিতে পরিণত করবে। অতএব সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
যেকোনো মূল্যে এই ফ্যাসিস্ট-ক্ষমতালোভী-লুটেরাদের রুখে দিতে হবে। অধিকারভিত্তিক-সুবিচারভিত্তিক জনগণের সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে যদি লুটেরাদের আস্ফালনকে রুখে না দিতে পারি তাহলে এটা সম্ভব হবে না।

জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সবাইকে মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। যারা কাজের জন্য যোগ্য তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। বিভেদ না ঐক্য তৈরি করতে হবে।

একটা কথা মনে রাখতে হবে লুটেরারা এখনও অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে শক্তিশালি।

-Parthib Rashed

দুই বন্ধু যাচ্ছে মরুভূমি দিয়ে। পথে ঝগড়া বাধল। একপর্যায়ে এক বন্ধু আরেক বন্ধুর মুখে দুম করে ঘুষি মেরে বসল। মার খেয়ে বন্ধু...
01/11/2024

দুই বন্ধু যাচ্ছে মরুভূমি দিয়ে। পথে ঝগড়া বাধল। একপর্যায়ে এক বন্ধু আরেক বন্ধুর মুখে দুম করে ঘুষি মেরে বসল। মার খেয়ে বন্ধুটি মরুভূমির বালুতে লিখল: আজ আমার বন্ধু আমার মুখে ঘুষি মেরেছে।

তারপর তারা আবার ঝগড়া ভুলে সামনে এগোতে লাগল। পথে পড়ল একটি ঝরনা। দুজনে পার হচ্ছে। চড় খাওয়া বন্ধুটি সাঁতার জানত না, সে পাথরে পা হড়কে পড়ে গিয়ে ভেসে যেতে বসেছে। সেই সময় দ্বিতীয় বন্ধুটি জীবন বাজি রেখে তার বন্ধুকে উদ্ধার করল।

চড় খাওয়া বন্ধুটি পাথরের বুকে খোদাই করে লিখল: আজ আমার বন্ধু আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে।

এটা দেখে প্রথম বন্ধুটি জিজ্ঞাসা করল, কিরে, যখন মারলাম তখন লিখলি বালিতে, আর যখন বাঁচালাম তখন লিখলি পাথরে! এর কারণ কি?

তখন দ্বিতীয় বন্ধুটি মৃদু হেসে জবাব দিল, যখন কেউ আমাদের কষ্ট দেয় তখন সেটা বালিতেই লিখতে হয়, যাতে ভালবাসা আর মায়ার বাতাস তা মুছে ফেলতে পারে! কিন্তু যখন কেউ আমাদের সাহায্য করে তা পাথরে খোদাই করতে হয়, যাতে কোনোদিন সেটা আমি মুছে না যায়।

অথচ বাস্তব জীবনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা উপকারটা ভুলে যাই, আর ক্ষতির কারণটা মনের ভেতর হিংসা-ঘৃণা হিসেবে রেখে দেই। ফলে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে, দূরত্ব বাড়তে থাকে। ব্যক্তি থেকে সমাজ, সমাজ থেকে রাষ্ট্র সবক্ষেত্রেই ছড়িয়ে পড়ে।

আমাদের উচিত , খুব ছোট ছোট আকারে হলেও মানুষের উপকারে লাগা, কেউ উপকার করলে সেটা মনে রাখা ও কৃতজ্ঞ থাকা। কেউ ভুল করলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া। সবাই মিলে সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

যতটুকু পারা যায় সবাই সবার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সবার নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে হবে।সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে আগে নিজের মানসিকতা ও নিজেকে পরিবর্তন করে তুলতে হবে।

"মিডিয়ার মাধ্যমে “মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার ১০টি কৌশল” - নোম চমস্কি১. মনোযোগ ভিন্নদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া        জনসাধারণের মন ও ...
30/10/2024

"মিডিয়ার মাধ্যমে “মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার ১০টি কৌশল” - নোম চমস্কি

১. মনোযোগ ভিন্নদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া

জনসাধারণের মন ও মগজ নিয়ন্ত্রণের একটি মৌলিক কৌশল হল বিভ্রান্তির কৌশল বা মানুষের মনোযোগ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কৌশল।

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অনবরত সংবাদ প্রকাশ করে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অভিজাতরা নিজেদের স্বার্থে যেসব পরিবর্তন ঘটাচ্ছে, সেগুলি থেকে জনগণের নজর ভিন্নদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় এই কৌশলে।

বিজ্ঞান, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান এবং সাইবারনেটিক্সের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞানের প্রতি জনগণের আগ্রহ প্রতিরোধ করার জন্যও মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করার এই কৌশল ব্যবহার করা হয়।

“জনসাধারণের মনোযোগ সত্যিকারের সামাজিক সমস্যা থেকে দূরে সরে গেছে, প্রকৃতপক্ষে কোনো গুরুত্ব নাই এমন জিনিস নিয়ে তাদেরকে ব্যস্ত রাখা হয়েছে। জনসাধারণকে ব্যস্ত, ব্যস্ত, ব্যস্ত, ভাবার সময় নাই, খামার এবং অন্যান্য প্রাণীদের কাছে ফিরে যাও এমন ভাবে রাখতে হবে।” (Silent Weapons for Quiet War বইয়ের একটি উদ্ধৃতি)

২. সমস্যা সৃষ্টি করে সমাধান প্রস্তাব করা

এই পদ্ধতিকে ‘সমস্যা-প্রতিক্রিয়া-সমাধান’ পদ্ধতিও বলা হয়।
এই পদ্ধতিতে একটি সমস্যা তৈরি করা হয় এমন একটা ‘পরিস্থিতি’ তৈরি করে, যা জনসাধারণের মধ্যে কিছু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, সুতরাং আপনি যে পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে চান সেসবের মধ্যে এটিই প্রধান।

উদাহরণস্বরূপ: শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে যেতে ও তা তীব্রতর হতে দেওয়া বা রক্তাক্ত হামলার ব্যবস্থা করা, যাতে জনগণ নিজেরাই তাদের স্বাধীনতা খর্ব করে নিরাপত্তা আইন এবং নীতি বাস্তবায়নের আবেদন জানায়। অথবা, অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করে দরকারি মন্দকাজ হিসেবে সামাজিক অধিকার এবং সরকারের জনসেবামূলক কর্মসূচী স্থগিত করার প্রেক্ষাপট তৈরি করা।

৩. ধীরে ধীরে গ্রহণ করানোর কৌশল

অগ্রহণযোগ্য জিনিসকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে সেটি ধীরে ধীরে একটানা কয়েক বছর ধরে প্রয়োগ করা। এই কৌশলেই মূলত ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে নতুন আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা (নিওলিবারেলিজম) আরোপ করা হয়েছিল, যার বৈশিষ্ট্যগুলি হলো—রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ শিথিল, বেসরকারিকরণ, অনিশ্চয়তা, নমনীয়তা, ব্যাপক বেকারত্ব, কম মজুরি এবং ভাল আয়ের গ্যারান্টি না থাকা।

ধীরে ধীরে এতগুলি পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছিল বলে আমাদের চোখে লাগে নি। কিন্তু সেগুলি যদি একবারে প্রয়োগ করা হতো, তাহলে তা একটি বিপ্লব হিসেবে গণ্য হত।

৪. সময়ক্ষেপণ কৌশল

কোনো অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করানোর আরেকটি উপায় হলো সেটিকে সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন না করে ভবিষ্যতে বাস্তবায়নের কথা বলা এবং ভবিষ্যতের জন্য ‘বেদনাদায়ক ও প্রয়োজনীয়’ হিসাবে উপস্থাপন করা।

তাৎক্ষণিক ভাবে জবাই হওয়া থেকে রেহাই পাওয়ার বদলে ভবিষ্যতের উৎসর্গ মেনে নেওয়া সহজ।

প্রথমত, কারণ তাৎক্ষণিকভাবে তা ব্যবহার করা হয় নি। তারপরে, জনসাধারণ, জনগণের মধ্যে সবসময় নির্লিপ্ত ভাবে এই প্রত্যাশা করার প্রবণতা আছে যে, ‘আগামিকাল সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে’ এবং যে ক্ষতি প্রয়োজন, তা হয়তো এড়ানো যাবে।

এই কৌশলের মাধ্যমে জনসাধারণকে পরিবর্তনের ধারণায় অভ্যস্ত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয় এবং যখন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সময় আসে, তখন বিনা প্রতিরোধে গ্রহণ করার জন্য মানসিকভাবে তৈরি করা হয়।

৫. অবুঝ শিশু হিসেবে জনসাধারণের কাছে যাওয়া

সাধারণ মানুষের প্রতি বেশির ভাগ বিজ্ঞাপনে বক্তৃতা, যুক্তি, মানুষ এবং বিশেষত বাচ্চাদের স্বরভঙ্গি ব্যবহার করা হয়। প্রায়শই দুর্বলতার কাছাকাছি, যেন দর্শক এক ছোট বাচ্চা বা তার মানসিক ভাবে ঘাটতি রয়েছে।

দর্শককে প্রতারিত করার জন্য একজন যতই বেশি চেষ্টা করে, ততই সে তাকে শিশু হিসেবে উপস্থাপন করার পদ্ধতি অবলম্বন করে।
কেন?

“যদি কোনো ব্যক্তি কারো কাছে গিয়ে তাকে মাত্র ১২ বছর বয়সী বা তার চেয়ে ছোট শিশু গণ্য করার ভাব দেখায়, তখন যার কাছে যাওয়া হয়েছে সেই মানুষটিও নিজের অজান্তেই নিজেকে শিশুই ভাবা শুরু করে এবং কোনো বিচার-বিবেচনামূলক প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হয়।” (Silent Weapons for Quiet War বইয়ের একটি উদ্ধৃতি)

৬. বুদ্ধির চেয়ে আবেগের দিকটি বেশি ব্যবহার করা

যুক্তিসঙ্গত বিশ্লেষণে শর্ট সার্কিট তৈরির জন্য আবেগের অস্ত্র ব্যবহার করা একটি ক্ল্যাসিক কৌশল। যার মাধ্যমে ব্যক্তির সমালোচনামূলক বোধকেও দাবিয়ে দেওয়া যায়। এছাড়া আবেগের ব্যবহার করে অবচেতন মনের দরজা খুলে তাতে নানা ধারণা, আকাঙ্ক্ষা, ভয় এবং উদ্বেগ, অযৌক্তিক আচরণের তাড়না বা প্ররোচনার বীজ বপণ করে দেওয়া হয়।

৭. জনগণকে অজ্ঞ ও জ্ঞানগতভাবে অবিকশিত অবস্থায় রাখা

নিয়ন্ত্রণ ও দাসত্বের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি ও পদ্ধতির বুঝ সম্পর্কে জনসাধারণকে অজ্ঞ করে রাখা। “সমাজের নিচুতলার মানুষদেরকে দেওয়া শিক্ষার মানও নিচু করে রাখা, যাতে নিম্নবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে জ্ঞানের যে পার্থক্য আছে, তা অতিক্রম করা নিম্ন শ্রেণীর পক্ষে সবসময়ই অসম্ভব হয়েই থাকে।” (Silent Weapons for Quiet War বইয়ের একটি উদ্ধৃতি)

৮. মাঝারি মান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে জনগণকে উৎসাহিত করা

জনগণকে বিশ্বাস করতে প্ররোচিত করা যে, সত্য হলো বোকা, অশ্লীল এবং অশিক্ষিত…।

৯. নিজেকে দোষ দেয়ার প্রবণতাকে শক্তিশালী করা

জনগণের মধ্যে তাদের দুর্ভাগ্যের জন্য তাদের নিজেদের বুদ্ধিমত্তার ব্যর্থতাকে, তাদের সক্ষমতা এবং তাদের প্রচেষ্টাকে দোষ দেওয়ার প্রবণতাকে শক্তিশালী করা। সুতরাং, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পরিবর্তে জনসাধারণ অসহায়ত্ব এবং অপরাধবোধে নিমজ্জিত হয়ে যায়, যা হতাশার সৃষ্টি করে, যার প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হল তার মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা সৃষ্টি করা। আর সক্রিয়তা ছাড়া কোনো বিপ্লব হয় না!

১০. লোকে নিজেকে যতটা জানে, তার চেয়েও তাকে বেশি জানা

গত ৫০ বছরে অ্যাকসিলারেটেড সায়েন্সে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, তার ফলে জনসাধারণের জ্ঞান এবং ক্ষমতাবান অভিজাতদের জ্ঞানের মধ্যে এমন এক ফারাক তৈরি হয়েছে, যা উত্তোরত্তর বেড়ে চলেছে। জীববিজ্ঞান, স্নায়ুজীববিজ্ঞান এবং প্রায়োগিক মনোবিজ্ঞানের দরুন এই সিস্টেম শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকে মানবসত্তার এক দারুণ এবং উন্নত বুঝ অর্জন করেছে। এই সিস্টেম সাধারণ মানুষকে তাদের নিজেদের চেয়ে বেশি চেনে, বোঝে এবং জানে।

এর অর্থ হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, সিস্টেমটি ব্যক্তির ওপর ব্যক্তির নিজের চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করে।

সায়েরের ষড়যন্ত্রে হাসিনা-রেহানার সম্পর্কে ফাটল !গত সেপ্টেম্বরে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা “দ্য মিনিস...
29/10/2024

সায়েরের ষড়যন্ত্রে হাসিনা-রেহানার সম্পর্কে ফাটল !

গত সেপ্টেম্বরে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা “দ্য মিনিস্টার্স মিলিয়নস” শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিপুল বৈশ্বিক সম্পদের জালিয়াতির তথ্য উঠে আসার পর থেকেই শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে তারা আলাদা বাসভবনে বাস করছেন।

আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের ইন্ধনে পরিচালিত এই অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন, দুবাই এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট শিষ্য সাইফুজ্জামানের শতাধিক উচ্চমূল্যের সম্পত্তি এবং আনুমানিক ৫০ কোটি ডলারের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

শেখ হাসিনা জানতেন সাইফুজ্জামান বিদেশে সামান্য সম্পত্তি কিনবে। এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছিলেন শেখ রেহানা। রেহানা তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি কেনার টাকা বিদেশে প্রেরণের প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও সার্বিক সহযোগিতা দিলে অন্তত বিশ শতাংশ কমিশন পাওয়া যাবে। এই কমিশন দুই বোন সমান পরিমাণে ভাগ করে নেবেন। কারন অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ এবং কমিশন ছাড়া তাদের দুই বোনের ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নাই।

আল জাজিরার প্রতিবেদন দেখে শেখ হাসিনার ভুল ভাঙে। তিনি বুঝতে পারেন যে বড় ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তিনি জানতেন সাইফুজ্জামান মাত্র ২৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ টাকা দেশ থেকে বিদেশে পাচার করেতে পেরেছে। ২৫ কোটি ডলারের কমিশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থের অর্ধেক শেখ রেহানা তাকে পরিশোধ করেছিলেন। অবশিষ্ট ২৫ কোটি ডলারের বিষয়ে তাকে কিছুই জানান হয়নি। এই কমিশন শেখ রেহানা একাই আত্মসাৎ করেছেন।

শেখ পরিবারের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, রেহানা প্রায়ই সহজ সরল লক্ষ্মী বড়বোন হাসিনাকে ভুল বুঝিয়েছেন। রেহানা সবসময় তার নিজের পরিবার ও সম্পদের প্রতি অগ্রাধিকার দেন। সহজ সরল হাসিনা এতদিন এসব মেনে নিলেও এবার উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি রেহানার কাছে কৈফিয়ত চাইলে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

দিল্লীর লুটিয়েন্স বাংলো জোনের প্রতিবেশীরা জানায়, ঝগড়ার এক পর্যায়ে হাসিনা উচ্চস্বরে রেহানাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “তুমি যে আমার ভাগের টাকা আত্মসাৎ করেছো, সেটা কীভাবে মেনে নেব? এটা আমার পাওনা। আমার ছেলে, নাতি-নাতনির ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই নাকি?” শেখ রেহানা পাল্টা জবাবে বলেন, “বুবু, সব কমিশন তো তোমার ছেলে জয়ই খায়! তবুও আমি কিছু বলি না। তোমার ছেলে, নাতি-নাতনির ভবিষ্যৎ আছে আর আমার ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনীর ভবিষ্যৎ নাই!”

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে শারীরিক ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দিল্লীর স্থানীয় প্রশাসনের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা জানান, তুমুল ঝগড়া থামাতে ব্যর্থ হয়ে মোদির নির্দেশে দুই বোনকে আলাদা বাসায় রাখা হয়েছে। বর্তমানে দুই বোনের মধ্যে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

‘ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা মোদি সরকারের সহায়তায় স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন’ উল্লেখ করে ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া বিশেষজ্ঞ আনান্দা মার্কেটিয়া বলেন, “জুলকারনাইন সায়ের খান সামি একটা দুষ্টু ছেলে। এই ছেলেটা যখন তখন সাংবাদিকতার সীমা লঙ্ঘন করে। তার চক্রান্তে দুই বোনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়েছে। তার তথ্য সঠিক হলেও একে ভালো সাংবাদিকতা বলা যাবে না।”

বিশ্ব রাজনীতির টালমাটাল পরিস্থিতিতে শেখ পরিবারের বিশৃঙ্খলা নতুন বৈশ্বিক সংকট সৃষ্টি করেছে। তবে আশার বাণী শুনিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এক টুইটে বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় এলে আমেরিকাকে গ্রেট বানানোর স্বার্থে দুই বোনের ঝগড়া মিটিয়ে দিবেন। কারণ, শেখ হাসিনার ছেলে জয় তার ঘনিষ্ঠ ফার্মকে লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ করেছে, তাই ঝগড়া মেটানো এখন তার দায়িত্ব।

© The New York 24.com | Exclusive Satire News Site

উঠে দাঁড়ানোটা জরুরি ...
28/10/2024

উঠে দাঁড়ানোটা জরুরি ...

বলিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে খুব দারুণ একটা আলোচনা। এটা বাংলাদেশের বেলায়ও খাটে। লিংক- প্রথম কমেন্টে।
27/10/2024

বলিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে খুব দারুণ একটা আলোচনা। এটা বাংলাদেশের বেলায়ও খাটে।

লিংক- প্রথম কমেন্টে।

ব্যর্থ সমাজের প্রকৃতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে- রাশিয়ান লেখক আন্তন চেখভ  বলেন: ব্যর্থ সমাজে মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে জেগে ...
27/10/2024

ব্যর্থ সমাজের প্রকৃতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে- রাশিয়ান লেখক আন্তন চেখভ বলেন:

ব্যর্থ সমাজে মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে জেগে ওঠেনা। সে জেগে ওঠে শ্লোগানে। এখানে- পাঠাগার কম থাকে। উপসানালয় বেশী থাকে। যে উপাসনালয়গুলো আবার সপ্তাহের ছয়দিনই খালি পড়ে থাকে।

ব্যর্থ সমাজে প্রতিটি চিন্তাশীল মানুষের বিপরীতে হাজার হাজার বোকা থাকে এবং প্রতিটি সচেতন শব্দের বিপরীতে থাকে হাজার হাজার পচনশীল শব্দ। তারা সমস্যার উপরে ভেসে বেড়ায়, গভীরে প্রবেশ করতে পারেনা।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হয় সর্বদা নির্বোধ। সমাজের অতি তুচ্ছ বিষয়গুলি নিয়ে মানুষ আলোচনায় মেতে থাকে। মূল বিষয়গুলো হারিয়ে যায়। সমস্যা সমাধানের চেয়ে একে অন্যের উপর প্রতিনিয়ত দোষ চাপাতে থাকে।

অর্থহীন গান ও সস্তা বিনোদনের পিছনে লক্ষ লক্ষ মানুষ ছুটে। ফলে, সস্তা বিনোদন করেও মানুষ প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এবং এইসব গান, বাদ্য বাজনার মানুষগুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক

নেতাদের দেবতার মতো করে পূজা-অর্চনা করা হয়। আর এক দলের দেবতাকে অন্য দল সহ্য করতে পারেনা। যে কোনো একটা খেলা দিয়ে মানুষকে দিনের পর দিন নেশাগ্রস্থ করে রাখা হয়।

চিন্তাশীল মানুষের মূল্য বা ওজন কেউ বুঝেনা। অধিকাংশ মানুষ আজেবাজে কথায় সময় পার করে দেয়। আজে বাজে কথা বলে যে মানুষকে হাসায়, তার চেয়ে কঠিন সত্য বলে যে বাস্তবতাকে জাগিয়ে তোলে তাকে কেউ গ্রহণ করেনা।

অজ্ঞ সংখ্যাগরিষ্ঠরা এখানে আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করে। সবার যেমন একটি করে পশ্চাতদেশ থাকে। ঠিক তেমনি ব্যর্থ সমাজে যে কোনো বিষয়ের উপর সবার একটি করে মতামতও থাকে।

ব্যর্থ সমাজে মানুষ ব্যর্থ হয়না, এখানে সচতুরভাবে তাকে ব্যর্থ বানানো হয়।

তোমার বিপদের সময় কেউ পাশে এসে না দাড়ালে, সাহায্য না করলে রাগ করো না। কারণ, কেউ-ই তোমার সাহায্যের জন্য দায়িত্ব নিয়ে রাখে ...
26/10/2024

তোমার বিপদের সময় কেউ পাশে এসে না দাড়ালে, সাহায্য না করলে রাগ করো না। কারণ, কেউ-ই তোমার সাহায্যের জন্য দায়িত্ব নিয়ে রাখে নাই।
তোমার কঠিন পরিস্থিতির সময় যখন কেউ বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকে, তাদের দোষ দিও না। কারণ, কেউ-ই তোমাকে বুঝার জন্য মানুষ হয়ে জন্মায়নি!

তুমি আলাদা, বন্ধুত্ব করা যায় না বলে হিংসা করো না। তোমার জীবনের পথে "ভাল পরিবার, ভাল বন্ধু, সহকর্মী" থাকতেও পারে আর নাও থাকতে পারে। মাঝপথে ছেড়ে যেতেও পারে, মূল বিষয় হচ্ছে নিজের গন্তব্য পর্যন্ত নিজেকে পৌঁছানো।

যত্ন নেয়ার মানুষ পেলে তাদের যত্ন গ্রহণ করো। কেউ-ই কি নেই? তাহলে নিজেকে নিজে যত্ন নাও। ভালবাসার মানুষ থাকলে তার ভালবাসা গ্রহণ করো। ভালবাসে না? তাহলে ক্ষমা করে দাও।

একজনের হৃদয়ের অন্দরমহলে কখন জায়গা করে নেবে সেটা তুমিও বলতে পারবে না। একপক্ষ যতটুকু থাকতে দেবে ততটুকু তোমাকে থাকতে হবে। সন্তুষ্ট অসন্তুষ্ট হওয়া তোমার বিষয়/কাজ! কেউ-ই তোমার অনুভূতিকে জিজ্ঞেস করতে আসবে না!

এসব স্বাভাবিকভাবে ঘটা ঘটনা, অস্বাভাবিকভাবে ক্লিষ্ট মনে থেকো না। নিজেকে নিজে মানসিক প্রশান্তি দিয়ে না রাখলে কেউ-ই তোমাকে মানসিক শান্তি দিতে পারবে না!

আকাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি নামছে, Salah Uddin Shuvro ভাই বললেন বৃষ্টি নামছে । এদিকে আমরা আলাপ জমাতে চাচ্ছিলাম ছাদে খোলা যায়...
24/10/2024

আকাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি নামছে, Salah Uddin Shuvro ভাই বললেন বৃষ্টি নামছে । এদিকে আমরা আলাপ জমাতে চাচ্ছিলাম ছাদে খোলা যায়গায়। যেহেতু sangskriti.com - সংস্কৃতি ডটকম-র নতুন আয়োজনের প্রথম ভিডিও, ফলে এটা কোনোভাবেই পরিবর্তন করতে সায় দিচ্ছিল না মন। ফলে বৃষ্টির মধ্যেই ২০ তলা বিল্ডিংয়ের ছাদে রেস্টুরেন্টের একটা শেডের নীচে দাঁড়িয়ে সবুজের মধ্যে ভিডিওটা করলাম। বৃষ্টির শব্দ, ভেজা গাছ, মৃদু হাওয়া আর শুভ্র ভাইয়ের অসাধারণ আলাপের জন্য অপেক্ষা বেশি দূরে নয়...

খুব শীগ্রই চালু হচ্ছে sangskriti.com - সংস্কৃতি ডটকম। লেখার পাশাপাশি থাকছে ভিডিও সেকশন।

অনেকের সাথে আলাপ হবে ক্রমান্বয়ে। আপনিও হতে পারেন আলাপের সঙ্গী।

একটা গ্রুপ আছে, সেখানে সবাই জয়েন করে আপনার লেখা ও ভিডিও পোস্ট করতে থাকুন।

গ্রুপ লিংক - https://www.facebook.com/groups/sangskriticlub

সংস্কৃতি.কম-র সংস্কৃতি বিষয়ক ধারণা:

সামগ্রিক অর্থে সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতির বা সামাজিক গোত্রের বিশিষ্টার্থক আত্মিক, বস্তুগত, ইন্টেলেকচুয়াল, চিন্তাগত, আবেগগত চিন্তা এবং কর্মধারার প্রকাশ। আর্ট ও লিটারেচারই কেবল সংস্কৃতির অন্তর্ভূক্ত বিষয় নয়, মানুষের জীবনধারাও সংস্কৃতির অঙ্গ।

সংস্কৃতি মানুষকে নিজের সম্পর্কে চিন্তা করার এবং ক্ষমতা প্রদান করে। সংস্কৃতির কারণেই আমরা মানুষের যে বিচার-বোধ আছে, সততা, ভাল-মন্দের নির্বাচন করতে শিখি। সংস্কৃতির বিকাশের ভেতর দিয়েই মানুষ নিজেকে প্রকাশ করে, আত্মসচেতন হয়, নিজের অসম্পূর্ণতাবোধ জন্মে, প্রশ্ন করতে শেখে, অনবরত নিজের সীমা অতিক্রম করতে শেখে, দক্ষতা অর্জন করে।

একটি জাতির সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং অভিজ্ঞান সংস্কৃতির দ্বারাই চিহ্নিত হয়। সংস্কৃতির কারণেই আত্মিক, মানসিক ও পার্থিব ইচ্ছার বিকাশ ঘটে। সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞানের সুনিশ্চয়তার ভেতর দিয়েই একটি জাতি তার স্বাধীন বোধকে প্রমাণিত করে, অপরপক্ষে বিরোধী সংস্কৃতির আগ্রাসন প্রতিরোধ করার বোধ তৈরি করে।

ফলে চলচ্চিত্র, সাহিত্য, গান, চিত্রকলাই শুধু না সমাজ, মানুষ, রাজনীতি, অর্থনীতি সব বিষয়েই মতামত দেওয়া যাবে।

এক পর্যটক মেক্সিকোতে বেড়াতে গেছেন। ঘুরতে ঘুরতে সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরা দেখে তিনি খুব আনন্দ পেলেন। জেলেদের কাছে গিয়ে বললে...
23/10/2024

এক পর্যটক মেক্সিকোতে বেড়াতে গেছেন। ঘুরতে ঘুরতে সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরা দেখে তিনি খুব আনন্দ পেলেন। জেলেদের কাছে গিয়ে বললেন, "আচ্ছা, প্রতিদিন মাছ ধরতে আপনাদের কত সময় লাগে?”
“বেশিক্ষণ না!” জেলেদের ঝটপট জবাব।
“তাহলে আপনারা বেশি সময় ধরে আরো বেশি মাছ ধরেন না কেন?” পর্যটক প্রশ্ন করেন।
"আমরা যে মাছে ধরি তাতে আমাদের প্রয়োজন মিটে যায়।" জেলেরা জাল টেনে তুলতে তুলতে বলেন।
“তাহলে মাছ ধরার পর বাকি সময়টা আপনারা কী করেন?” পর্যটক জিজ্ঞাসা করেন।
জেলেরা উত্তর দেয়, “আমরা ঘুমাই, বাচ্চাদের সাথে খেলা করি, স্ত্রীর সাথে খাই, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই, মজা করি, হাসি, গলা ছেড়ে গান গাই, জীবনকে উপভোগ করি।"
পর্যটক তাদেরকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, “আমি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছি। আমি আপনাদেরকে বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে পারি। আপনারা আরও বেশি সময় নিয়ে মাছ ধরবেন, বাড়তি মাছগুলো বিক্রি করে মাছ ধরার বড় নৌকা কিনবেন।"
“তারপর?” জেলেদের প্রশ্ন।
“আপনারা বড় নৌকার সাহায্যে আগের চেয়ে অনেক বেশি মাছ ধরবেন, বেশি আয় করবেন। সেটা দিয়ে আরও বড় কয়েকটা নৌকা কিনবেন। একসময় মাছ ধরার নৌবহর বানিয়ে ফেলবেন। তখন মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের কাছে মাছ বিক্রি না করে সরাসরি মাছ প্রসেসিং ফ্যাক্টরির সাথে বেচাকেনা করবেন। এক সময় নিজেরাই মাছ প্রসেসিং ফ্যাক্টরি খুলে বসবেন। তারপর অনেক ধনী হয়ে গ্রাম ছেড়ে মেক্সিকোর বড় কোনো শহর, আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস বা নিউ ইয়র্কে চলে যাবেন। সেখান থেকে আপনারা মেগা প্রজেক্ট চালু করবেন।" পর্যটক বলতে থাকেন।
“এসব করতে আমাদের কত সময় লাগবে?” জেলেরা জানতে চান।
“কুড়ি পঁচিশ বছর তো লাগবেই।” একটু ভেবে জবাব দেন পর্যটক।
"তারপর?" জেলেদের চোখে কৌতূহল।
লোকটা হেসে বলেন, “ব্যবসায় যখন আরও বড় হবে তখন আপনারা শেয়ার বাজারে যাবেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করবেন।”
“মিলিয়র ডলার! ধরুন পেলাম মিলিয়ন ডলার। কিন্তু, তারপর?” জেলেরা অবাক দৃষ্টিতে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।
পর্যটক তখন কিছুটা বিরক্তি নিয়ে জবাব দেন, “আপনারা তখন অবসরে যাবেন। শান্ত গ্রামে ফিরে এসে সমুদ্রের ধারে ঘুমাবেন, বাচ্চাদের সাথে খেলা করবেন, বৌয়ের সাথে খাবার খাবেন, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবেন, মজা করবেন।"
জেলেরা উদাসভাবে বলেন, “সেই কাজটাই তো আমরা এখন করছি! তাহলে বিশ পঁচিশ বছরের কষ্টের জীবনের মানে কি?”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ দফা দাবি...
22/10/2024

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ দফা দাবি...

ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। শিক্ষা-সংস্কৃতির কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবা...
21/10/2024

ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। শিক্ষা-সংস্কৃতির কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসনে পরিণত করতে হবে।

১৫ আগস্ট কেন ছুটি থাকবে? ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, আব্রাহাম লিংকনকে খুন করেছে, ছুটি আছে? এই দিবসে কর্মসূচি করতে পারে...
20/10/2024

১৫ আগস্ট কেন ছুটি থাকবে? ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, আব্রাহাম লিংকনকে খুন করেছে, ছুটি আছে? এই দিবসে কর্মসূচি করতে পারে, কিন্তু জাতীয় দিবস হিসেবে ছুটি কেন?

এ দেশের জনগণ দুবার তাঁর (মুজিব) বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে হত্যা করার পর একজন লোকও তাঁর পক্ষে রাস্তায় আসেনি।

স্বাধীনতার পর সাড়ে তিন বছরে শেখ মুজিব কী করলেন, যাঁর জন্য মানুষ এটা করল, তা হিসাব করতে হবে। তাঁর আসল পরিচয় পাওয়া যায় যখন ক্ষমতায় আসেন। তখন এই দেশের জনগণকে তিনি কী দিয়েছেন?

তারপর গত ৫ আগস্ট সারা দেশের জনগণ শেখ মুজিবের মূর্তি ভেঙে ফেলল। তাঁর বাড়িতে আগুন দিল। এটা শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে একটা রায়।

তিনি (মাহফুজ আনাম) এক প্রবন্ধে বলেছেন, শেখ হাসিনার অপশাসনের সঙ্গে শেখ মুজিবকে জড়ানো ঠিক হবে না। শেখ মুজিবকে জড়িয়েছে কে? শেখ মুজিবকে জড়িয়েছে তাঁর মেয়ে। সব কিছুর সঙ্গে সে মুজিবকে জড়িয়েছে। শেখ মুজিবকে জড়িয়ে প্রোপাগান্ডা করেছে।’ বদরুদ্দীন উমরের মতে, এর ফলে বিক্ষোভ হয়েছে এবং এই বিক্ষোভ যে কেবল শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে হয়েছে তা নয়, শেখ মুজিবের বিরুদ্ধেও হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সব সংগঠন ধসে গেছে। কেউ যদি মনে করে যে আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে..., সেটা একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগ যেভাবে শেষ হয়ে গিয়েছিল, এখন আওয়ামী লীগও সেভাবে শেষ হয়ে গেছে।

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান ছিল বায়ান্ন সাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘটিত অভ্যুত্থানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক, গভীর ও আক্রমণাত্মক। গত সাড়ে ১৫ বছরে জনগণের ওপর এমন অত্যাচার, নির্যাতন করেছে, যার কোনো পূর্ব দৃষ্টান্ত নেই। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছিল, কিন্তু বিক্ষোভের সুযোগ ছিল না।

ভারতের সঙ্গে তার প্রত্যেক প্রতিবেশীর সম্পর্ক খারাপ। শুধু বাংলাদেশের ওপর কর্তৃত্ব ছিল। ভারত বাংলাদেশকে আশ্রিত রাজ্যের মতো বিবেচনা করত। সেই আশ্রিত রাজ্য হাত ফঁসকে গেছে।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ‘ক্ষমতায় রাখার জন্য যা দরকার’ ভারত তা করেছে। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত অস্বস্তিতে আছে। তারা চেষ্টা করেছিল হাসিনাকে অন্য জায়গায় দেওয়ার জন্য। অন্য দেশ আশ্রয় না দেওয়ায় ভারতই রাখল।

-বদরুদ্দীন উমর।

18/10/2024

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ৪৭ ভারত পাকিস্তান স্বাধীনতা, ৫২-র ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই আন্দোলন সবকিছু নিয়ে নির্মোহ ইতিহাসের সিনেমা বানানো দরকার। যেগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য হতে হবে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন হলো, সেখান থেকে কিভাবে ভারত-পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলো, ৫২-র ভাষা আন্দোলন কেন হলো, কেন বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে আলাদা হতে হলো, কেন স্বাধীন হয়েও বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আসলো না। পক্ষের বিপক্ষের নানানমুখি চিন্তার-বিশ্লেষণমুখী রাজনৈতিক সিনেমা। যেখানে পক্ষ-বিপক্ষ দ্বারা বায়াসড না হয়ে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা হবে। ভাষানীরা কেন স্বাধীনতার পর অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলো, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সিনেমা হওয়া দরকার। কেন মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় একটা শ্রেণীকে আওয়ামীলীগ শত্রু হিসেবে ট্রিট করলো, সবকিছুর একপাক্ষিক যে ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছে, সেই ন্যারেটিভকে ভেঙ্গে দিতে হবে। ইতিহাসকে নির্মোহ তৈরি করতে না পারলে সামষ্টিক ঐক্য সৃষ্টি করা মুশকিল হবে।
সমস্যা হলো - বাংলাদেশের কোনো প্রোডিউসার এ বিষয়ে টাকা ইনভেস্ট করবে বলে মনে হয় না। কারণ টাকাওয়ালাদের দেশপ্রেম কম , লুটেরা বেশিরভাগ।

এটা একটা ভালো উদ্যোগ। এবারের আন্দোলনে খুব কম সংখ্যক কবি-বুদ্ধিজীবি ভূমিকা পালন করেছে। যারা করেছে তাদেরকে সামনে আনতে হ...
18/10/2024

এটা একটা ভালো উদ্যোগ। এবারের আন্দোলনে খুব কম সংখ্যক কবি-বুদ্ধিজীবি ভূমিকা পালন করেছে। যারা করেছে তাদেরকে সামনে আনতে হবে। কারণ খুজে বের করতে হবে কিসে বুদ্ধিজীবিদের-কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীদের দেশের বৃহত্তর কল্যাণকে বুঝতে বাধা প্রদান করলো। বুদ্ধিজীবিতার কোন সংকট ফ্যাসিস্ট-স্বৈরাচারদের সহায়ক বানিয়ে তুললো, সেটা খুজে বের করতে হবে ।

17/10/2024

গণমাধ্যমের সংস্কার বিষয়ে কথা বলছেন অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

16/10/2024

ফ্যাসিবাদের পক্ষের আইনজীবিদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও part 5

Address

126 ( 2nd Floor), Lake Circus, Kalabagan
Dhaka
1205

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when sangskriti.com - সংস্কৃতি ডটকম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to sangskriti.com - সংস্কৃতি ডটকম:

Videos

Share

Our Story

www.sangskriti.com is an Online magazine of reportage, commentary, criticism, essays, reviews on culture with fiction, satire, cartoons and poetry.

Nearby media companies


Other Media/News Companies in Dhaka

Show All