Info99

Info99 Info99 is an informative page. Various information is shared here. So we will stay with Info99.

In real life, science, technology or any kind of innovation is broadcast here which plays a very useful role in education.

**আলতু হাতের ছোঁয়া**নীল আকাশের নিচে রোদ্দুরটা যেন একটু বেশি সোনালী হয়ে উঠেছিল। সন্ধ্যার আগমনী সুর বয়ে আনছিলো এক মৃদু বাত...
25/10/2024

**আলতু হাতের ছোঁয়া**

নীল আকাশের নিচে রোদ্দুরটা যেন একটু বেশি সোনালী হয়ে উঠেছিল। সন্ধ্যার আগমনী সুর বয়ে আনছিলো এক মৃদু বাতাস, যা তারিখহীন একটা অনুভূতিকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। রিয়া আর অভিরাজ বসেছিলো পার্কের সেই পুরনো বেঞ্চটায়। তারা প্রায়ই আসত এখানে, কিন্তু আজকের দিনটা যেন একটু আলাদা।

অভিরাজের হাত ধীরে ধীরে রিয়ার হাতের কাছে আসছিল। দু'জনের মধ্যে কোনো কথা ছিল না, শুধু নিঃশব্দে কিছু অনুভূতির বিনিময়। আলতু ছোঁয়ায় তার আঙ্গুল রিয়ার আঙ্গুলে স্পর্শ করল। একটা শীতল স্রোত যেন বুকের ভেতর দিয়ে ছুটে গেল রিয়ার। সে একটু অপ্রস্তুত হলেও হাত সরিয়ে নেয়নি। তাদের মাঝে শুধু এই আলতু ছোঁয়াই ছিল ভালোবাসার মৃদু বার্তা, যা বলে দেয় অনেক কিছু—যা মুখে বলা যায় না।

"তুমি কি কিছু বলতে চাও?" অভিরাজ হেসে প্রশ্ন করল, যেন তার চোখে অপেক্ষা লুকানো ছিল।

রিয়া একটু মাথা নিচু করে মৃদু হেসে বলল, "কখনো কখনো না বলেও অনেক কিছু বলা হয়ে যায়, তাই না?"

অভিরাজ এক মুহূর্তের জন্য তাকিয়ে রইল, তারপর মৃদু গলায় বলল, "হ্যাঁ, আমাদের এই ছোট্ট ছোঁয়াগুলো অনেক কিছু বলে দেয়।"

রিয়া আর অভিরাজের মাঝে সেই আলতু ছোঁয়া আজ যেন গভীর ভালোবাসার প্রতীক হয়ে দাঁড়ালো। তাদের মনের ভেতর একটা নির্ভরতা আর স্নেহের নতুন অধ্যায় শুরু হল। কোন কথা না বলেও এই ছোঁয়াটুকু তাদের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় সাক্ষী হয়ে রইল।

# # # শেষ

Found on Google from istockphoto.com

24/10/2024

আমরা কি জানি কখন ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন বলতে হয়।

16/10/2024

"তারার আলোয় লেখা এক ভালোবাসা"**

একটি ছোট্ট শহর, যেখানে পাহাড় ঘেরা সবুজ প্রান্তর ও একটি ঝকঝকে নদী বয়ে যায়, সেখানে থাকতো এক তরুণী মায়া। তিনি ছিলেন একজন শিল্পী, যার আঙুল সবসময় রঙে মাখা থাকতো, আর চুল এলোমেলো করে খোঁপা বেঁধে রাখতেন। তার দিনগুলি ক্যানভাসে রঙ আর তুলি দিয়ে কেটে যেত, কিন্তু রাতগুলো ছিল নিঃসঙ্গ। শহরটি মানুষের ভিড়ে পূর্ণ হলেও মায়ার মনে সবসময় কিছু একটা অভাব অনুভূত হতো, এমন কিছু যা তার শিল্পও পূরণ করতে পারত না।

এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়, যখন সূর্য আকাশকে গোলাপি ও কমলা রঙে রাঙিয়ে দিচ্ছিল, মায়া নদীর ধারে বসে কিছু অনুপ্রেরণা খুঁজতে গেলেন। তিনি নদীর ঢেউ আঁকছিলেন, তখন তার নজরে পড়লো নদীর অপর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একজন লোক—লম্বা, চুপচাপ, আকাশের দিকে তাকিয়ে। তিনি ছিলেন শহরের নতুন কেউ, যাকে মায়া আগে কখনো দেখেননি। তার উপস্থিতি মায়াকে আকর্ষণ করল, এবং অজান্তেই, তিনি নদীর পরিবর্তে লোকটির ছবি আঁকতে শুরু করলেন।

কয়েকদিন ধরে, মায়া সেই একই স্থানে ফিরে আসেন, এবং প্রতিদিন লোকটিও সেখানে থাকতেন, নিরবতায় দাঁড়িয়ে। তিনি মনে মনে যেন অন্য জগতে হারিয়ে থাকতেন, যেমনটা মায়া তার নিজের জগতে হারিয়ে যেতেন। মায়া কৌতূহলী হলেও, লজ্জায় তাকে কিছু বলতে পারেননি। তিনি কেবল তার স্কেচবুকেই সেই লোকটিকে আঁকতেন—তার গভীর চিন্তিত মুখ, বাতাসে উড়তে থাকা চুল।

এক সন্ধ্যায়, লোকটি আর সেখানে ছিল না। হতাশ হয়ে মায়া যখন তার জিনিসপত্র গুছিয়ে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তার কাঁধে একটি মৃদু টোকা অনুভব করলেন। ঘুরে দেখলেন, লোকটি তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

“তুমি কি আমাকে আঁকছিলে?” তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তার কণ্ঠ নরম, কৌতূহলে পূর্ণ।

মায়া লজ্জায় লাল হয়ে গেলেন, কিছুক্ষণের জন্য তিনি কোনো কথা বলতে পারলেন না। তিনি শুধু মাথা নেড়ে সম্মতি জানালেন, তার হৃদয় দ্রুততায় দৌড়াচ্ছিল।

লোকটি হাসলেন। “আমি অর্জুন,” তিনি বললেন, পাশে বসে পড়লেন। “আমি তোমাকে এখানে প্রতিদিন দেখেছি। কথা বলার ইচ্ছে ছিল।”

সেই সন্ধ্যা তারা একসাথে কাটালেন, তাদের কথোপকথন নদীর মতো মসৃণভাবে বয়ে গেল। অর্জুন ছিলেন একজন যাযাবর, এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ঘুরে বেড়াতেন, তার ক্যামেরার লেন্স দিয়ে পৃথিবীকে ধারণ করতেন। তিনি শহরে এসেছিলেন শহরের কোলাহল থেকে দূরে একটু শান্তি খুঁজতে। কিন্তু তিনি যা খুঁজে পাননি তা হলো মায়া।

দিন গড়িয়ে দিনে, তাদের বন্ধন আরও গভীর হলো। মায়া যখন আঁকতেন, অর্জুন তার ফটোগ্রাফ তুলতেন, আর নীরব মুহূর্তগুলোতে তারা একে অপরের স্বপ্ন আর ভয়ের গল্প শেয়ার করতেন। মায়া তাকে তার শিল্পকর্ম দেখাতেন, আর অর্জুন তার তোলা ছবি দেখাতেন। একসাথে তারা একে অপরের জগতের সৌন্দর্য আবিষ্কার করলেন, যে জগৎ তারা এতদিন অনুভবই করতে পারেননি।

এক সন্ধ্যায়, তারা যখন তারার নিচে বসেছিলেন, অর্জুন মায়ার দিকে তাকিয়ে বললেন, “তুমি জানো, আমি কখনো কোথাও নিজেকে ঠিক অনুভব করিনি, যতক্ষণ না আমি এখানে এসেছি। যতক্ষণ না আমি তোমাকে পেয়েছি।”

মায়ার হৃদয় আবেগে ভরে উঠল। তিনি কখনো ভালোবাসার প্রথম দর্শনে বিশ্বাস করতেন না, কিন্তু এটি যেন ভাগ্য ছিল। তিনি তার কাছাকাছি হেঁটে গিয়ে মৃদুস্বরে বললেন, “তুমি সবসময় এখানেই ছিলে। তুমি শুধু সেটা জানতে না।”

সেই মুহূর্তে, তারার আলোয় তাদের প্রথম চুম্বন হলো—নরম ও মিষ্টি, যেন পুরো মহাবিশ্ব তাদের একত্রিত করার জন্য কাজ করেছে। নদী একটি মৃদু সুর বাজাল, আর হাওয়া তাদের ভালোবাসাকে নদীর ওপারে নিয়ে গেল।

সেই দিন থেকে, মায়া আর অর্জুন আর কখনো আলাদা হননি। তারা একসাথে পাহাড়ের চূড়া আর বনভূমি আবিষ্কার করতেন, এবং প্রতিদিন সন্ধ্যায় তারা ফিরে যেতেন সেই নদীর ধারে, যেখানে তাদের ভালোবাসার গল্প শুরু হয়েছিল। মায়া নতুন আবেগ নিয়ে আঁকতে শুরু করলেন, তার শিল্পকর্ম ভালোবাসার রঙে ভরে উঠল, আর অর্জুনের ফটোগ্রাফগুলো তার চোখের মায়াবী কোমলতা ধরে রাখল।

তাদের ভালোবাসা ছিল নিঃশব্দ, তবুও এটি শহরের প্রতিটি কোণে প্রতিধ্বনিত হতো। এটি এমন এক ভালোবাসা যা বড় কোনো প্রদর্শনে নয়, বরং ছোট ছোট মুহূর্তে গড়ে উঠেছিল—যেমন হাসির ভাগাভাগি, গোপন কথা, এবং একে অপরের হৃদয়ে নিজেদের বাসা খুঁজে পাওয়ার শান্ত স্বস্তি।

বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু মায়া আর অর্জুনের ভালোবাসার উজ্জ্বলতা কখনো ম্লান হয়নি। তাদের ভালোবাসা যেন ছিল চিরন্তন, তারাদের আলোয় লেখা এক গল্প। এবং যখনই তারা নদীর দিকে তাকাতো, সেই জাদুকরী সন্ধ্যার কথা মনে পড়তো, যখন দুজন পথ হারানো আত্মা একে অপরকে খুঁজে পেয়েছিল, আর ভালোবাসা তাদের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি হয়ে উঠেছিল।

14/10/2024

**English Version:**

In a small village, there lived a hardworking man named Rahim. He was known for his honesty and dedication to his work as a carpenter. Every day, he would rise before dawn, taking pride in crafting furniture for his neighbors. Despite his skill, Rahim struggled to make a living. His earnings barely covered his rent and the basic necessities of life.

One day, an elderly woman approached him with a request. Her home was falling apart, and she needed help repairing the roof. She offered him a small amount of money, which was all she could afford. Rahim, knowing her situation, accepted the job without hesitation.

As he worked, he discovered a significant problem with the roof that would require more materials and effort. Instead of telling the woman, he decided to fix it properly, using his own savings to buy extra supplies. He believed that honesty and quality work would eventually pay off.

When the job was finished, the woman was astonished by the transformation. She insisted on paying him more than they had agreed, but Rahim humbly refused, saying, "Your gratitude is enough for me."

Word of Rahim's integrity spread through the village. People began to trust him more and more, bringing him their carpentry needs. Over time, his hard work began to bear fruit. He saved enough to buy better tools and even trained an apprentice, passing on his values of honesty and dedication.

Years later, Rahim looked around his bustling workshop filled with satisfied customers. He realized that true wealth was not measured in money, but in the trust and respect he had earned from his community.

---

**Bengali Version:**

একটি ছোট গ্রামে, রহিম নামের একটি কঠোর পরিশ্রমী মানুষ বাস করতেন। তিনি তার সততা এবং কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজের প্রতি নিষ্ঠার জন্য পরিচিত ছিলেন। প্রতিদিন তিনি ভোরে উঠে প্রতিবেশীদের জন্য আসবাবপত্র তৈরিতে গর্বিত হতেন। তার দক্ষতা সত্ত্বেও, রহিম জীবনযাপন করতে কষ্ট পেতেন। তার উপার্জন কেবল ভাড়া এবং জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলি পূরণ করত।

একদিন, এক বৃদ্ধা তার কাছে একটি অনুরোধ নিয়ে এলেন। তার বাড়িটি ভেঙে পড়ছিল এবং তাকে ছাদের মেরামত করতে সাহায্য প্রয়োজন ছিল। তিনি তাকে একটি ছোট অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব করলেন, যা তার পক্ষে সম্ভব ছিল। রহিম, তার পরিস্থিতি জানার পর, কোন দ্বিধা না করে কাজটি গ্রহণ করলেন।

যখন তিনি কাজ করতে শুরু করলেন, তিনি ছাদের একটি গুরুতর সমস্যা খুঁজে পেলেন, যা আরও উপকরণ এবং প্রচেষ্টা প্রয়োজন ছিল। বৃদ্ধাকে না জানিয়ে, তিনি ঠিকমতো মেরামত করার সিদ্ধান্ত নিলেন, তার নিজের সঞ্চয় ব্যবহার করে অতিরিক্ত সরঞ্জাম কিনলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সততা এবং মানসম্মত কাজ একদিন ফল দেবে।

যখন কাজ শেষ হল, বৃদ্ধা রূপান্তর দেখে বিস্মিত হলেন। তিনি তাকে পূর্বে যে পরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা ছিল, তার চেয়ে বেশি দেওয়ার জন্য জোর করলেন, কিন্তু রহিম বিনম্রভাবে অস্বীকার করলেন, বললেন, "আপনার কৃতজ্ঞতা আমার জন্য যথেষ্ট।"

রহিমের সততার কথা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ আরও বেশি তার উপর বিশ্বাস রাখতে শুরু করল, তাকে তাদের কাঠের কাজের জন্য নিয়ে আসতে লাগল। সময়ের সাথে সাথে, তার কঠোর পরিশ্রম ফল দিতে শুরু করে। তিনি ভালো সরঞ্জাম কেনার জন্য যথেষ্ট সঞ্চয় করেন এবং এমনকি একজন শিক্ষানবিশ নিয়োগ দেন, সততা এবং নিষ্ঠার মূল্য তার কাছে শেখাতে।

বছর কেটে গেলে, রহিম তার ব্যস্ত কর্মশালার চারপাশে তাকিয়ে দেখলেন যে গ্রাহকরা সকলেই সন্তুষ্ট। তিনি বুঝতে পারলেন যে সত্যিকারের সম্পদ টাকা দিয়ে পরিমাপ করা হয় না, বরং এটি তার সম্প্রদায়ের প্রতি আস্থায় এবং সম্মানে।

14/10/2024

Address

Mirpur
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Info99 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category