09/04/2022
সদরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের সতের রশি গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক গৃহিনীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের সতেররশি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত গৃহিনীর নাম আমিরন নেছা। সে সতের রশি গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী।
জানাগেছে, উপজেলা সদরের সতেররশি গ্রামের আমিরন নেছা ও আত্তীয় মোঃ হেলাল মিয়া গং এর সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমিরন নেছার জমি থেকে জোরপূর্বক ভাবে কলা গাছ থেকে কলা কেটে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ হেলাল মিয়ার ভাই ফজলু মিয়া। কলা-কাটার বিষয়ে আমিরন প্রতিবাদ করলে দুইজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। ফজলু তার পরিবারের লোকজন কে ডাক দিলে তার পরিবারের বোন ও মা এগিয়ে আসে। আমিরনের সাথে ফজলুর বোন সোনিয়া আক্তারের কথাকাটাকটি হলে সোনিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা ধারালো বটি দিয়ে আমিরন নেছার মাথায় কোপ দেয়। কোপের আঘাতে আমিরন নেছার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। ওই সশয় রক্তাক্ত জখম অবস্থায় প্রথমে আমিরন কে সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা অবস্থার অবনতি উন্নত চিকিৎসার জন্যে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায়, আহত আমিরন নেছা হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তার পুত্র মোঃ আরিফ হোসেন বাদী হয়ে মোঃ হেলাল মিয়া, সোনিয়া আক্তার(৩০), তানিয়া আক্তার(৩১), ফরিদা বেগম(৫৫),ফজলু মিয়া(২০)পাঁচ জন কে আসামী করে সদরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় দায়ের হলে সোনিয়া আক্তার(৩০), তানিয়া আক্তার(৩১), ফরিদা বেগম(৫৫) কে সদরপুর থানা পুলিশ আটক করে আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুর কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে। বাকিরা পলাতন রয়েছে।
এ ব্যাপারে সদরপুর থানার এস আই মোঃ তুহিন জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ মারামারি হয়। মামলা দায়েরের পর তিন আসামীকে আটক করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরার অভিযান চলছে।
মামলার বাদী আরিফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ওই জমি আমার পৈত্তিক সম্পত্তি। আমরা ভোগদখল করে আসছি। আসামীরা বিভিন্ন সময় আমাদের উপর অন্যায় ভাবে আক্রমন ও জমি দখল করতে চায়। তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমার মাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
#সদরপুর #সদরপুর_সংবাদ #সদরপুর_থানা