S M Dewan

S M Dewan Assalamaikum.My official Facebook (page)basically Nature world,Travel videos,World historical places and Islamic history.��

  দুমাত উল জান্দাল (Dumat al-Jandal) হলো সৌদি আরবের উত্তরের আল-জউফ অঞ্চলে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক শহর। এটি আরব উপদ্বীপের অ...
15/01/2025


দুমাত উল জান্দাল (Dumat al-Jandal) হলো সৌদি আরবের উত্তরের আল-জউফ অঞ্চলে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক শহর। এটি আরব উপদ্বীপের অন্যতম প্রাচীন শহর এবং ইসলাম-পূর্ব যুগে এটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। শহরটির নাম এসেছে "দুমাত" থেকে, যা এক প্রাচীন আরব গোত্রের নাম, এবং "জান্দাল", যার অর্থ পাথর।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব:

1. পূর্ব-ইসলামিক যুগে বাণিজ্য কেন্দ্র: এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথের অংশ ছিল, যা লেভান্ত অঞ্চল এবং আরব উপদ্বীপের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করত।

2. প্রাচীন স্থাপত্য: এখানে ঐতিহাসিক দুর্গ, যেমন "মারিদ দুর্গ" (Qasr Marid) এবং অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে, যা এর প্রাচীন কালের সমৃদ্ধির সাক্ষ্য বহন করে।

3. ধর্মীয় ইতিহাস: ইসলামিক যুগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হয়ে ওঠে, যেখানে বিভিন্ন গোত্র ইসলাম গ্রহণ করেছিল।

পর্যটন আকর্ষণ:

মারিদ দুর্গ: এটি শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।

ওয়াদি সিরহান: একটি ঐতিহাসিক উপত্যকা, যা প্রাচীন বাণিজ্য পথের অংশ ছিল।

স্থানীয় বাজার: এখানে ঐতিহ্যবাহী আরবীয় পণ্য পাওয়া যায়।

  বিশ্বজুড়ে এমন কিছু স্থান রয়েছে যেখানে বিমান নিখোঁজ হওয়া বা রহস্যময় ঘটনা ঘটার দাবি করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো...
13/01/2025


বিশ্বজুড়ে এমন কিছু স্থান রয়েছে যেখানে বিমান নিখোঁজ হওয়া বা রহস্যময় ঘটনা ঘটার দাবি করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। এছাড়াও আরও কিছু অলৌকিক স্থান রয়েছে যেগুলোর সঙ্গে এমন রহস্যময় ঘটনা জড়িত। নিচে এর বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

১. বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle):

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল আটলান্টিক মহাসাগরের একটি এলাকা, যা বারমুডা, মায়ামি (ফ্লোরিডা) এবং পুয়ের্তো রিকো এই তিনটি বিন্দু দিয়ে গঠিত। এখানে বহু বিমান ও জাহাজ নিখোঁজ হয়েছে।

কারণ:

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এখানে চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের অস্বাভাবিকতা, প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং পানির নিচের গ্যাস হাইড্রেটের কারণে এমনটা ঘটে থাকতে পারে।

অনেকে অবশ্য এটি ভিনগ্রহবাসী বা অতিপ্রাকৃত শক্তির সঙ্গে যুক্ত করেন।

২. ড্রাগন’স ট্রায়াঙ্গল (Dragon’s Triangle):

এটি প্রশান্ত মহাসাগরের একটি এলাকা, যা জাপানের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। এটি "ডেভিলস সি" নামেও পরিচিত।

এই অঞ্চলে বেশ কিছু বিমান এবং জাহাজ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই অঞ্চলে পানির নিচে আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা এবং ভূমিকম্পের কারণেই এমনটা ঘটে।

৩. পাকিস্তানের হিন্দু কুশ এলাকা:

হিন্দু কুশ অঞ্চলের আকাশে বেশ কয়েকটি রহস্যজনক বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে। এটি কোনো অলৌকিক স্থান নয়, তবে দুর্গম পরিবেশ এবং অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণে এখানে বিমান চলাচল বিপজ্জনক।

৪. অ্যামাজন রেইনফরেস্ট (Amazon Rainforest):

অ্যামাজনের বিস্তীর্ণ জঙ্গলে বহু বিমান নিখোঁজ হয়েছে। দুর্ঘটনার পর দুর্গম জঙ্গল ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

৫. আন্দেস পর্বতমালা (Andes Mountains):

আন্দেস পর্বতে বহু বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্গম এলাকা, বরফাবৃত পর্বত এবং প্রতিকূল আবহাওয়া এর মূল কারণ।

১৯৭২ সালে একটি উরুগুয়ের বিমান এখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়, যা পরে "Alive" নামে একটি সিনেমায় চিত্রায়িত হয়েছে।

এই সমস্ত ঘটনাগুলো প্রাকৃতিক কারণে ঘটে থাকতে পারে, তবে অনেকে এগুলোকে অতিপ্রাকৃত বা অলৌকিক ঘটনা বলেও মনে করেন। তবে বিজ্ঞানীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হয়েছেন।

  পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী হলো নীল তিমি (Blue Whale)। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে কখনও বিদ্যমান থাকা প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে ব...
10/01/2025


পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী হলো নীল তিমি (Blue Whale)। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে কখনও বিদ্যমান থাকা প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড়।

নীল তিমির বৈশিষ্ট্য:

দৈর্ঘ্য: প্রায় ৮০-১০০ ফুট (২৪-৩০ মিটার)।

ওজন: প্রায় ১,৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ কিলোগ্রাম (১৫০-২০০ টন)।

হৃদপিণ্ডের ওজন: প্রায় একটি ছোট গাড়ির সমান (৪০০ কেজি পর্যন্ত)।

জন্ম: একটি নবজাতক নীল তিমি দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৫ ফুট এবং ওজনে প্রায় ৩ টন হতে পারে।

খাবার: নীল তিমি প্রধানত ক্রিল (ছোট চিংড়ির মতো প্রাণী) খায় এবং দিনে প্রায় ৪ টন ক্রিল খেতে পারে।

এটি সমুদ্রের গভীরে বসবাস করে এবং সাধারণত বিশ্বের সব মহাসাগরে দেখা যায়।

  বিশ্বের 200 দেশের ভেতর নরওয়ে এমন একটি দেশ যেখানে কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে "মিডনাইট সান" (Midnight Sun) এবং "পোলার নাইট" ...
07/01/2025


বিশ্বের 200 দেশের ভেতর নরওয়ে এমন একটি দেশ যেখানে কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে "মিডনাইট সান" (Midnight Sun) এবং "পোলার নাইট" (Polar Night) দেখা যায়। এটি নরওয়ের উত্তরাংশ, বিশেষ করে আর্কটিক সার্কেলের ভেতরে অবস্থিত অঞ্চলগুলিতে ঘটে।

মিডনাইট সান (সূর্য অস্ত যায় না):

নরওয়ের উত্তরাঞ্চল, যেমন ট্রোমসো বা নর্ডক্যাপ, গ্রীষ্মকালে (মে থেকে জুলাই পর্যন্ত) কয়েক মাস সূর্য অস্ত যায় না। এখানে ২৪ ঘণ্টাই দিন থাকে।

পোলার নাইট (সূর্য ওঠে না):

শীতকালে (নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত) একই অঞ্চলে কয়েক মাস সূর্য ওঠে না। তখন পুরো দিন অন্ধকার বা গোধূলি আলোয় আচ্ছন্ন থাকে।

নরওয়ে তাই "Land of the Midnight Sun" নামে পরিচিত। পর্যটকরা এই সময়টিতে ভ্রমণ করে অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অনন্য অভিজ্ঞতা উপভোগ করেন।

  বিশ্বের বৃহত্তম পাহাড় হলো মাউন্ট এভারেস্ট (Mount Everest)। এটি হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত এবং এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ ...
03/01/2025


বিশ্বের বৃহত্তম পাহাড় হলো মাউন্ট এভারেস্ট (Mount Everest)। এটি হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত এবং এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,৮৪৮.৮৬ মিটার (২৯,০৩১.৭ ফুট)। মাউন্ট এভারেস্ট নেপাল ও চীনের তিব্বত অঞ্চলের সীমান্তে অবস্থিত।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

1. স্থানীয় নাম:

নেপালি: সগরমাথা (Sagarmatha)

তিব্বতি: চোমোলাংমা (Chomolungma)

2. আবিষ্কার ও পরিমাপ:
১৮৫৬ সালে ব্রিটিশ জরিপ দল প্রথম মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা নির্ধারণ করে। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে পরিচিত।

3. আরোহন:
১৯৫৩ সালে স্যার এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে প্রথম সফলভাবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন।

তবে, যদি আপনি "বৃহত্তম পাহাড়" বলতে ভলিউম বা ভিত্তি বোঝাতে চান, তবে এটি হবে মাউনা কিয়া (Mauna Kea), যা হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত। মাউনা কিয়ার মোট উচ্চতা ১০,২০০ মিটার, যার একটি বড় অংশ সমুদ্রের নিচে।I

  সাহাবী গাছ (Sahabi Tree) একটি বিশেষ গাছ যা জর্ডানের বদিয়া মরুভূমিতে অবস্থিত।এই বৃক্ষ জর্ডানের রাজধানী আম্মান থেকে ১৫৬...
01/01/2025


সাহাবী গাছ (Sahabi Tree) একটি বিশেষ গাছ যা জর্ডানের বদিয়া মরুভূমিতে অবস্থিত।এই বৃক্ষ জর্ডানের রাজধানী আম্মান থেকে ১৫৬ কি.মি. দূরত্ব। এটি একটি ১৪০০ বছরের পুরোনো গাছ বলে ধারণা করা হয়। ইসলামের ইতিহাসে এই গাছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

গাছটির ইতিহাস ও গুরুত্ব:

1. প্রাথমিক ইসলামিক ইতিহাস: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বে সিরিয়ার বাণিজ্যিক সফরে যাওয়ার সময় এই গাছটির নিচে বিশ্রাম নিয়েছিলেন।সেসময় হযরত মুহাম্মদ সা: ১২ বছর বয়স ছিল। তিনি তার চাচা আবু তালিবের সাথে ছিলেন।

2. ভবিষ্যদ্বাণী: বলা হয়, গাছটির নিচে একজন খ্রিস্টান পাদ্রী (বাহিরা বা নেস্তুরা নামে পরিচিত) নবী করিম (সা.)-এর নবুয়ত সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।

3. প্রকৃতির বিস্ময়: মরুভূমির কঠোর পরিবেশেও গাছটি এখনও বেঁচে আছে, যা একে প্রকৃতির একটি বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত করে।

গাছের বৈশিষ্ট্য:

এটি একটি পিস্তা গাছের (Pistacia) প্রজাতি।

গাছটি একা একটি মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত এবং আশপাশে আর কোনো গাছ নেই।

এর শাখা-প্রশাখা এখনও সবুজ এবং ভালো অবস্থায় রয়েছে।

ভ্রমণের স্থান হিসেবে পরিচিতি:

গাছটি ইসলামের ইতিহাস এবং প্রকৃতির রহস্যময়তার জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এটি জর্ডানের ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি।

হে আল্লাহ! এই বছর আমাদের জন্য কল্যাণ এবং বরকতময় করুন, আমাদের ভুলগুলো মাফ করুন এবং আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমিন।"...
31/12/2024

হে আল্লাহ! এই বছর আমাদের জন্য কল্যাণ এবং বরকতময় করুন, আমাদের ভুলগুলো মাফ করুন এবং আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমিন।"

নতুন বছরকে সদুপায়ে ব্যবহার করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করুন।

  পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল এবং উষ্ণ দেশের নাম ও তাপমাত্রা সম্পর্কে তথ্য নিচে দেওয়া হলো:সবচেয়ে শীতল দেশ:-দেশের নাম: রাশিয়া ...
31/12/2024


পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল এবং উষ্ণ দেশের নাম ও তাপমাত্রা সম্পর্কে তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

সবচেয়ে শীতল দেশ:-

দেশের নাম: রাশিয়া (সাইবেরিয়া)

স্থান: ওয়েখয়ানস্ক বা ওয়েখয়য়ানস্ক এবং ওইম্যাকন অঞ্চল।

তাপমাত্রা:

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা - -67.8°C (-90°F)।

এটি পৃথিবীর প্রাকৃতিকভাবে বসবাসযোগ্য অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

সম্প্রতি, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকার কিছু স্থানে মাটির পৃষ্ঠের তাপমাত্রা −৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (−১৪৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত নেমে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে উষ্ণ দেশ:-

দেশের নাম: ইরান বা কুয়েত (লুট মরুভূমি)

স্থান: দাশত-এ লুট মরুভূমি।

তাপমাত্রা:

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা - ৭০.৭°C (১৫৯.৩°F)।

এটি NASA এর উপগ্রহ তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ স্থান।

তবে, উষ্ণ এবং শীতল স্থানের তাপমাত্রা মৌসুমের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তন হতে পারে।

অভিনন্দন জানাই আপনাদের দুই জনকে।আমি  কথা দিয়েছিলাম যেই টাকা পুরস্কার বা হাদিয়া আপনাদের বিকাশ বা রিচার্জ দেওয়া হবে ইনশ...
31/12/2024

অভিনন্দন জানাই আপনাদের দুই জনকে।আমি কথা দিয়েছিলাম যেই টাকা পুরস্কার বা হাদিয়া আপনাদের বিকাশ বা রিচার্জ দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ...
Thanks for being a top engager and making it on to my weekly engagement list! 🎉
Md Saiful Islam, Md. Nurun Nabi, ....

  পেত্রা (Petra) জর্ডানের একটি প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক শহর, যা "রোজ সিটি" বা "গোলাপী শহর" নামে পরিচিত। এর এই নামকরণ হয়েছে এ...
30/12/2024


পেত্রা (Petra) জর্ডানের একটি প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক শহর, যা "রোজ সিটি" বা "গোলাপী শহর" নামে পরিচিত। এর এই নামকরণ হয়েছে এর স্থাপত্যে ব্যবহৃত লালচে-গোলাপি পাথরের কারণে। এটি জর্ডানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এবং খ্রিস্টপূর্ব ৩১২ সালে নাবাতীয় আরবরা এটিকে তাদের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

পেত্রার বিশেষত্ব:

1. স্থাপত্যশৈলী: পেত্রা পাহাড় কেটে তৈরি একটি নগরী, যা তার বিস্ময়কর স্থাপত্যশৈলীর জন্য পরিচিত। এর সবচেয়ে বিখ্যাত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে "আল-খাজনে" (The Treasury), যা একটি দৃষ্টিনন্দন মন্দির ও সমাধি।

2. জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা: মরুভূমির মাঝে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও নাবাতীয়রা পেত্রায় উন্নত জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা তৈরি করেছিল। তারা ক্যানাল এবং জলাধার তৈরি করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করত।

3. বাণিজ্য কেন্দ্র: প্রাচীনকালে এটি রেশম, মশলা এবং অন্যান্য পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল। আরব উপদ্বীপ, ভারত এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্যের সংযোগস্থল হিসেবে পেত্রার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

বর্তমান অবস্থা:

পেত্রা বর্তমানে একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং বিশ্বের নতুন সাতটি আশ্চর্যের একটি হিসেবে স্বীকৃত। এটি জর্ডানের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এখানে ভ্রমণ করে।

পেত্রার বিস্ময়কর সৌন্দর্য এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব এটিকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি করে তুলেছে।

  মাচু পিচু (Machu Picchu) পেরুর আন্দেজ পর্বতমালায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ইনকা শহর। এটি প্রায় ১৫ শতকের দিকে নির্মিত হয় ...
30/12/2024


মাচু পিচু (Machu Picchu) পেরুর আন্দেজ পর্বতমালায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ইনকা শহর। এটি প্রায় ১৫ শতকের দিকে নির্মিত হয় এবং বর্তমানে এটি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। মাচু পিচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭,৯৭২ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এবং চারপাশে সবুজ পাহাড় ও গভীর উপত্যকায় ঘেরা।

মাচু পিচুর কিছু তথ্য:

1. আবিষ্কার: ১৯১১ সালে আমেরিকান ইতিহাসবিদ হিরাম বিংহাম এটি পুনরায় আবিষ্কার করেন।

2. প্রধান স্থাপনা: সূর্যের মন্দির, তিন জানালার ঘর, এবং ইনটির ওয়াটানা নামে পরিচিত সূর্যঘড়ি।

3. ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য: ১৯৮৩ সালে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

4. ভ্রমণ পদ্ধতি: কুজকো শহর থেকে ট্রেনে করে অথবা ইনকা ট্রেইল ধরে হেঁটে যাওয়া যায়।

মাচু পিচু কেন বিখ্যাত?

এটি ইনকা সাম্রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক এবং প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর চমৎকার উদাহরণ।

স্থাপনাটি এতটাই নিখুঁতভাবে নির্মিত যে, এখানে কোনো মর্টার ছাড়াই পাথরগুলোর সংযোগ হয়েছে, এবং তা কয়েক শতাব্দী ধরে টিকে আছে।

আপনি যদি মাচু পিচু ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে পেরুর কুজকো শহর থেকে আপনার যাত্রা শুরু করা সবচেয়ে সুবিধাজনক হবে।

  ইসলামের প্রথম মসজিদ কুবা মসজিদ।কারণ:নবী মুহাম্মদ (সা.) যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন, তখন মদিনার উপকণ্ঠে কুবা নামক...
27/12/2024


ইসলামের প্রথম মসজিদ কুবা মসজিদ।

কারণ:

নবী মুহাম্মদ (সা.) যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন, তখন মদিনার উপকণ্ঠে কুবা নামক স্থানে তিনি নিজ হাতে এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। এটি ইসলামের প্রথম মসজিদ হিসেবে স্বীকৃত।

পবিত্র কুরআনে সূরা আত-তাওবার ১০৮ আয়াতে এই মসজিদটির প্রশংসা করা হয়েছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রথম মসজিদ কোনটি??

ব্যাখাঃ পৃথিবীর প্রাচীনতম মসজিদ হলো মসজিদুল হারাম। এটি কাবা শরিফ সংলগ্ন মসজিদ। ইসলামের প্রথম মসজিদ হলো - মসজিদুল কুবা। বায়তুল মোকাদ্দাস হলো জেরুজালেম অবস্থিত মুসলমানদের প্রথম কিবলা ও পবিত্র স্থান।

অন্যান্য মসজিদের মর্যাদা:

1. মসজিদ আল-হারাম: এটি পৃথিবীর প্রথম ইবাদতের ঘর (কাবা শরিফ) এবং ইসলামের পবিত্রতম স্থান।

2. মসজিদে নববী: এটি নবী মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় হিজরতের পর নির্মাণ করেন। এটি ইসলামের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ।

3. মসজিদ আল-আকসা: এটি মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান এবং কিবলা পরিবর্তনের আগে মুসলমানরা এই দিকেই নামাজ আদায় করতেন।

উপসংহার:

ইসলামের প্রথম মসজিদ হলো কুবা মসজিদ।

  উলুরু, যাকে আয়ার্স রকও বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশাল বেলে পাথরের গঠন, যা উত্তর টেরিটরিতে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর অন্যতম...
27/12/2024


উলুরু, যাকে আয়ার্স রকও বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশাল বেলে পাথরের গঠন, যা উত্তর টেরিটরিতে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত প্রাকৃতিক আশ্চর্য এবং আদিবাসী অ্যানানগু জনগোষ্ঠীর কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।

উলুরুর বৈশিষ্ট্য:

1. উচ্চতা ও পরিধি:

উলুরুর উচ্চতা প্রায় ৩৪৮ মিটার (১,১৪২ ফুট)।

এর পরিধি প্রায় ৯.৪ কিলোমিটার।

2. রঙের পরিবর্তন:

এটি দিনের বিভিন্ন সময়ে সূর্যের আলোয় রঙ পরিবর্তন করে। ভোর বা সূর্যাস্তে এটি উজ্জ্বল লালচে রঙ ধারণ করে।

3. প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব:

উলুরু UNESCO বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত।

এটি আদিবাসী গল্প ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর চারপাশে আদিবাসী লোকগল্পে পূর্ণ অনেক পবিত্র স্থান আছে।

পর্যটনের তথ্য:

আগে উলুরুর চূড়ায় উঠা যেত, কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে এটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে সম্মান জানানোর জন্য।

পর্যটকরা উলুরুর চারপাশে হেঁটে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে আদিবাসী সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারেন।

এটি প্রকৃতির এক অসাধারণ সৃষ্টি, যা অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ।

জুম্মাহ মোবারক 🕌২০২৪ সালের শেষ জুম্মাহ।
27/12/2024

জুম্মাহ মোবারক 🕌
২০২৪ সালের শেষ জুম্মাহ।

  মালদ্বীপ বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ও জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য, যা তার সাদা বালির সৈকত, নীলাভ সমুদ্রের পানি, এবং আকাশের নিচে...
25/12/2024


মালদ্বীপ বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ও জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য, যা তার সাদা বালির সৈকত, নীলাভ সমুদ্রের পানি, এবং আকাশের নিচে তারার মতো জ্বলজ্বলে পরিবেশের জন্য বিখ্যাত।

"সমুদ্রে তারার মেলা" বলতে সাধারণত মালদ্বীপের বিখ্যাত বায়োলুমিনেসেন্ট প্ল্যাঙ্কটনকে বোঝানো হয়। কিছু নির্দিষ্ট রাতে, বিশেষ করে নির্দিষ্ট দ্বীপের পাশে, সমুদ্রের পানিতে থাকা ক্ষুদ্র জীব (প্ল্যাঙ্কটন) আলোর ঝলকানি তৈরি করে। এই জ্যোতির্ময় দৃশ্য দেখতে সমুদ্র যেন তারাভরা আকাশের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে।

এই প্রাকৃতিক দৃশ্য সাধারণত ভাধু (Vaadhoo) দ্বীপে বেশি দেখা যায়, তবে মালদ্বীপের অন্যান্য দ্বীপেও এটি দেখা যেতে পারে। এর জন্য সঠিক সময় এবং পরিবেশের দরকার, যা মূলত গ্রীষ্মকালীন রাতে দেখা যায়।

আপনি যদি মালদ্বীপে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন এবং এই অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করতে চান, তবে স্থানীয় গাইড বা হোটেলের সাথে পরামর্শ করে সেরা সময় এবং স্থান নির্ধারণ করতে পারবেন।
#বায়োলুমিনেসেন্ট

  গোলাপি হ্রদ (Pink Lake) হলো অস্ট্রেলিয়ার প্রাকৃতিক বিস্ময়গুলোর একটি। এটি তার উজ্জ্বল গোলাপি রঙের জন্য বিখ্যাত, যা পৃথি...
25/12/2024


গোলাপি হ্রদ (Pink Lake) হলো অস্ট্রেলিয়ার প্রাকৃতিক বিস্ময়গুলোর একটি। এটি তার উজ্জ্বল গোলাপি রঙের জন্য বিখ্যাত, যা পৃথিবীর অন্য কোনো জায়গায় সহজে দেখা যায় না। গোলাপি রঙের কারণ হলো হ্রদে উপস্থিত ডুনালিয়েলা স্যালাইনা (Dunaliella salina) নামক এক ধরনের শৈবাল এবং হ্যালোব্যাকটেরিয়া। এরা লবণাক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকে এবং এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ উৎপন্ন করে, যা হ্রদকে গোলাপি রঙ প্রদান করে।

অস্ট্রেলিয়ায় বেশ কয়েকটি গোলাপি হ্রদ রয়েছে, যেমন:

1. লেক হিলিয়ার (Lake Hillier):

এটি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মিডল আইল্যান্ডে অবস্থিত।

এর রঙ গোলাপি থেকে লালচে এবং আশেপাশের সমুদ্রের নীল রঙের সাথে অসাধারণ বৈপরীত্য সৃষ্টি করে।

এই হ্রদটি পাখি বা হেলিকপ্টার ভ্রমণের মাধ্যমে উপভোগ করা যায়।

2. লেক হার্ট (Lake Hart) এবং লেক বানডি (Lake Bumbunga):

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত এবং পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়।

গোলাপি হ্রদ ভ্রমণের সময় কিছু বিষয় মনে রাখা দরকার:

অধিকাংশ হ্রদে সাঁতার কাটা নিরাপদ নয়।

এ হ্রদগুলো মূলত লবণাক্ত, তাই কাছাকাছি কোনো এলাকার নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি।

পর্যটন মৌসুমে ভ্রমণ করলে এই স্থানের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
#গোলাপী

  খায়বারের যুদ্ধ (غزوة خيبر) ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ, যা ৭ হিজরি (৬২৮ খ্রিস্টাব্দে) সংঘটিত হয়। এটি মদিন...
25/12/2024


খায়বারের যুদ্ধ (غزوة خيبر) ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ, যা ৭ হিজরি (৬২৮ খ্রিস্টাব্দে) সংঘটিত হয়। এটি মদিনা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তরে খায়বার নামক স্থানে সংঘটিত হয়েছিল। খায়বার ছিল একাধারে একটি দূর্গ ও এটি ইহুদি গোত্রগুলোর শক্ত ঘাঁটি ছিল।

যুদ্ধের পটভূমি:

মক্কার কুরাইশ ও তাদের মিত্ররা একাধিকবার মদিনার মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল।

খায়বারের ইহুদি গোত্রগুলো মক্কার কুরাইশদের সাথে মিত্রতা করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।

মুসলমানদের জন্য এই ষড়যন্ত্র ও দুশমনি মোকাবিলা করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

যুদ্ধের কারণ:

1. খায়বারের ইহুদিরা মদিনার মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল এবং শত্রুদের সহায়তা দিচ্ছিল।

2. মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তার স্বার্থে এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করা জরুরি ছিল।

যুদ্ধের বিবরণ:

1. অভিযান শুরু: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) প্রায় ১,৪০০ সাহাবি নিয়ে খায়বার অভিযান শুরু করেন।

2. দুর্গের সংখ্যা: খায়বারে মোট ৭টি দুর্গ ছিল, যেগুলো একে একে মুসলমানরা দখল করেন।

3. সাহসিকতা ও কৌশল:

দুর্গের ফটক ভাঙার ক্ষেত্রে হযরত আলী (রা.) বিশেষ সাহস প্রদর্শন করেন।

তিনি এক হাতে দুর্গের ফটক খুলে দেন এবং যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ফলাফল:

1. মুসলমানরা বিজয় অর্জন করে এবং খায়বারের অধিবাসীরা আত্মসমর্পণ করে।

2. ইহুদিদেরকে মুসলিমদের শর্তে আত্মসমর্পণ করতে হয়।

3. একটি চুক্তির মাধ্যমে ইহুদিরা তাদের জমি চাষাবাদ করার অনুমতি পায়, তবে উৎপন্ন ফসলের একটি অংশ মুসলমানদের দিতে হয়।

ঐতিহাসিক তাৎপর্য:

খায়বারের যুদ্ধ মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় ছিল।

এটি ইসলামের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করে।

মুসলমানদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং ইসলামের প্রসার দ্রুত হয়।

এ যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে ঐক্য, সাহসিকতা এবং মহানবী (সা.)-এর কৌশলগত নেতৃত্বের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।

Address

Madina Dewan Villa, Dewan Mor, Genda, Saver
Dhaka
1340

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when S M Dewan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to S M Dewan:

Videos

Share