Ivan Razvy

Ivan Razvy I'm Ivan Razvy a fashion designer based in Bangladesh. Love Travelling, Gardening, Biking, Fish Farm

সবচেয়ে বড় অভাগা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার চার বছরের শিশু বুলবুল যে রাতে মা/ রা গিয়েছিল, সে রাতে তার পকেটে একটা ক...
31/10/2024

সবচেয়ে বড় অভাগা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার চার বছরের শিশু বুলবুল যে রাতে মা/ রা গিয়েছিল, সে রাতে তার পকেটে একটা কানাকড়িও ছিল না।
অথচ কাফন,দাফন,গাড়িতে করে দেহ নেওয়া ও গোরস্থানে জমি কেনার জন্য দরকার ১৫০ টাকা, সে সময়ের ১৫০ টাকা মানে অনেক টাকা। এত টাকা কোথায় পাবে। বিভিন্ন লাইব্রেরীতে লোক পাঠানো হল। না, টাকার তেমন ব্যবস্থা হয়নি। শুধুমাত্র ডি. এম লাইব্রেরি দিয়েছিল ৩৫ টাকা। আরো অনেক টাকা বাকি। টাকা আবশ্যক।
ঘরে দেহ রেখে কবি গেলেন এক প্রকাশকের কাছে। প্রকাশক শর্ত দিল- এই মুহূর্তে কবিতা লিখে দিতে হবে। তারপর টাকা......💔

কবি মনের নীরব কান্না, যাতনা লিখে দিলেন কবিতায়.....

"ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে
আমার গানের বুলবুলি।
করুণ চোখে চেয়ে আছে
সাঝের ঝরা ফুলগুলি।।

ফুল ফুটিয়ে ভোর বেলা কে গান গেয়ে,
নীরব হ’ল কোন নিষাদের বান খেয়ে,
বনের কোলে বিলাপ করে সন্ধ্যারাণী চুল খুলি।।

কাল হতে আর ফুটবে না হায়, লতার বুকে মঞ্জরী
উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুণ নিশাস মর্মরী।

গানের পাখি গেছে উড়ে শূণ্য নীড়,
কন্ঠে আমার নেই যে আগের কথার ভিড়,
আলেয়ার এই আলোতে আর আসবে না কেউ কুল ভুলি।।

একজন সন্তানহারা পিতার কি নিদারুণ কষ্ট। যদিও এই মানুষটাই বাংলা সাহিত্যকে অনেক কিছু দিয়েছেন....। দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন, জেল খেটেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে দাঁড়িয়ে...। কিন্তু হঠাৎ করে সেই মানুষটার পিছন থেকে সবাই সরে যায়..., একেবারে ভুলে যায়....., যাদের জন্য তিনি সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে গেছেন....💔

তিনি আমাদের বিদ্রোহী কবি। বিনম্র শ্রদ্ধা।🙏🏼

সংগৃহীত। ゚

15/10/2024

যারা এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন! আপনার পরিশ্রমকে উদযাপন করুন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যান।

আর যারা প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল পাননি, হতাশ হবেন না। এটি কেবল একটি অধ্যায়, সামনে আরও অনেক সুযোগ অপেক্ষা করছে। বিশ্বাস রাখুন, কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যান, সফলতা আপনার হবে।

When will we see automated traffic systems in cities?   How much longer with the hand signal of the traffic police?
14/10/2024

When will we see automated traffic systems in cities? How much longer with the hand signal of the traffic police?

I've just reached 400 followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one...
14/10/2024

I've just reached 400 followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one of you. 🙏🤗🎉

শ্রমিকদের যেসব দাবি মেনে নিয়েছে মালিকপক্ষ ১) সব পোশাকশিল্প কারখানায় শ্রমিকের বিদ্যমান হাজিরা বোনাস হিসেবে অতিরিক্ত ২২৫ ...
25/09/2024

শ্রমিকদের যেসব দাবি মেনে নিয়েছে মালিকপক্ষ


১) সব পোশাকশিল্প কারখানায় শ্রমিকের বিদ্যমান হাজিরা বোনাস হিসেবে অতিরিক্ত ২২৫ টাকা, রাত ৮টার পর বিদ্যমান টিফিন বিলের সঙ্গে ১০ টাকা এবং বিদ্যমান নাইট বিল ১০ টাকা বাড়িয়ে ন্যূনতম ১০০ টাকা করা হবে।

২) অক্টোবর মাসের মধ্যে সব কারখানায় সরকার-ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করা হবে।

৩) আপাতত শ্রমঘন এলাকায় টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হবে। এছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিকেও শ্রমঘন এলাকায় সম্প্রসারিত করা হবে। শ্রমিকদের স্থায়ী রেশন ব্যবস্থার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

৪) আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে শ্রমিকের সব বকেয়া মজুরি বিনা ব্যর্থতায় দিতে হবে। অন্যথায় শ্রম আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৫) বিজিএমইএর মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ব্ল্যাকলিস্টিং করে শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে একটি টেকনিক্যাল টিম পর্যালোচনা করে অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।

৬) ঝুট ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব বা চাঁদাবাজি বন্ধসহ শ্রমিকের স্বার্থ বিবেচনায় এ বিষয়ে একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৭) ২০২৩ এর মজুরি আন্দোলনসহ এর আগে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সব প্রকার হয়রানিমূলক এবং রাজনৈতিক মামলা রিভিউ করে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। মজুরি আন্দোলনে নিহত ৪ জন শ্রমিকের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৮) কাজের ধরণ অনুযায়ী নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে।

৯) জুলাই বিপ্লবে শহীদ এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সেবার জন্য শ্রমিক নেতাদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে। প্রাপ্ত তালিকা প্রধান উপদেষ্টার দফতরের ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন'-এ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হবে।


১০) রানা প্লাজা এবং তাজরীন ফ্যাশন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিকারের উদ্দেশ্যে এরইমধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গঠিত কমিটি অক্টোবরের মধ্যে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করবে। প্রাপ্ত সুপারিশের আলোকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১১) শ্রম আইন অনুযায়ী সব কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন নিশ্চিত করা হবে।

১২) অন্যায় এবং অন্যায্যভাবে শ্রম আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না।

১৩) মহিলা শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ১২০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

১৪) শ্রমিক ও মালিক পক্ষের ৩ জন করে প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত অতিরিক্ত সচিবের (শ্রম) নেতৃত্বে একটি কমিটি নিম্নতম মজুরির বিধিবিধান ৬ মাসের মধ্যে সক্ষমতা পর্যালোচনা করবে।

১৫) শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) পুনরায় সংশোধনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে সংশোধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।


১৬) শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকের সার্ভিস বেনিফিট দেয়া হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২৭ ধারাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।

১৭) কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মাধ্যমে শ্রমিক ও মালিক উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট-সম্পন্ন অন্যান্য দেশের উত্তম চর্চার আদলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৮) নিম্নতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ কমিটি বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে শ্রম আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সক্ষমতা ও করণীয় বিষয়ে নভেম্বরের মধ্যে একটি সুপারিশ করবে।

20/09/2024



বৃষ্টি স্নাত দিনে

17/09/2024

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জন্য জরুরী রক্তের প্রয়োজন। রক্তের গ্রুপ (O+) ও পজেটিভ।

খিদমাহ হাসপাতাল খিলগাঁও ঢাকা

যোগাযোগ রোগীর ভাই 01831472541

16/09/2024

আল্লাহ তা'আলা কোরআন মজীদে ইরশাদ করেন:ওয়া রাফাআনা লাকা যিক্রাক-হে নবী, আমি আপনার মর্যাদাকে সমুন্নত করেছি। প্রিয় নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মান ও মর্যাদা অপরিসীম। তার নূর মোবারক সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা বিশ্বজগত্ সৃষ্টির সূচনা করেন।

শুভ জন্মদিন আল্লাহর হাবীব।

Legendary Bangladeshi painter, sculptor and cultural personality Mustafa Monwar, lovingly known as Bangladesh's 'Puppet ...
09/09/2024

Legendary Bangladeshi painter, sculptor and cultural personality Mustafa Monwar, lovingly known as Bangladesh's 'Puppet Man', has been put on life support in a private hospital in the capital.

পাসপোর্ট সংক্রান্তে ডিএসবি/সিএসবি'র ফোকাল পয়েন্টের সাথে যোগাযোগকরণ প্রসঙ্গেউপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, পাসপ...
03/09/2024

পাসপোর্ট সংক্রান্তে ডিএসবি/সিএসবি'র ফোকাল পয়েন্টের সাথে যোগাযোগকরণ প্রসঙ্গে

উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনযোগ্য আবেদনগুলির স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ট এসবি বা ডিএসবি বা সিএসবি হতে সম্পন্ন করা হয়

উদাহরন-১: যদি কোন ব্যক্তির স্থায়ী ও বর্তমান উভয় ঠিকানা ঢাকা মহানগরের অধিভূক্ত হয় তাহলে তার স্থায়ী ও বর্তমান উভয় ঠিকানা এসবি, ঢাকা হতে ভেরিফিকেশন হয়।

উদাহরন-২: যদি কোন ব্যক্তির স্থায়ী ও বর্তমান উভয় ঠিকানা জামালপুর জেলা অধিভূক্ত হয় তাহলে তার স্থায়ী ও বর্তমান উভয় ঠিকানা জামালপুর ডিএসবি হতে ভেরিফিকেশন হয়।

উদাহরন-৩: যদি কোন ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা জামালপুর জেলা অধিভূক্ত হয় তাহলে তার স্থায়ী ঠিকানা জামালপুর ডিএসবি হতে এবং বর্তমান ঠিকানা যদি ঢাকা মহানগরের অধিভূক্ত হয় তাহলে তার বর্তমান ঠিকানা এসবি, ঢাকা হতে ভেরিফিকেশন হয়।

আবেদনকারীর আবেদন পাসপোর্ট অফিস হতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য অনলাইনে প্রেরণ করা হয়। পাসপোর্ট আবেদনকারীর ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন থাকলে তার ঠিকানা সংশ্লিষ্ট এসবি বা ডিএসবি বা সিএসবিতে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।

এমতাবস্থায় আবেদনকারীর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন সংক্রান্তে কোন জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন থাকলে Hello SB অ্যাপসের মাধ্যমে অথবা সংশ্লিষ্ট এসবি বা ডিএসবি বা সিএসবি'র নিম্ন বর্ণিত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

বন্যায় মানুষের পাশে দাড়াতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ওয়েবসাইটে গিয়ে যেকোনো পরিমাণ অনুদান দিতে পারেন। আপনার অনুদান সঠিক মানুষে...
22/08/2024

বন্যায় মানুষের পাশে দাড়াতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ওয়েবসাইটে গিয়ে যেকোনো পরিমাণ অনুদান দিতে পারেন। আপনার অনুদান সঠিক মানুষের হাতে পৌঁছে দিবে তারা, ইনশাআল্লাহ।
ওয়েবসাইট - https://assunnahfoundation.org/donate/flood

স্পিডবোট মেনেজ হয়েছে। প্রতি ট্রিপে অন্তত ৩০ জন উদ্ধারে সক্ষম আমাদের স্পিডবোট চাঁদপুর থেকে ফেনীর পথে রওনা হয়েছে। কুমিল্লা...
22/08/2024

স্পিডবোট মেনেজ হয়েছে। প্রতি ট্রিপে অন্তত ৩০ জন উদ্ধারে সক্ষম আমাদের স্পিডবোট চাঁদপুর থেকে ফেনীর পথে রওনা হয়েছে। কুমিল্লা ও ফেনী পৌঁছাতে ৩-৪ ঘণ্টা লাগতে পারে।
এখন কোন এলাকায় যাওয়া বেশি প্রয়োজন জানান!
সহযোগিতা পেতে যোগাযোগ
01814720758 (সোহাগ)
01875810789 (সাজ্জাদ)
ফেনী সদর থেকে সেনাবাহিনীর উদ্ধারদল ১২টি স্পীড বোট ও হেলিকপ্টার নিয়ে পরশুরাম-ফুলগাজী যাচ্ছে।
যোগাযোগ:
মেজর সানজিদ 01769331213

If you see anyone needs to be rescued and Army still didn't reach there, tell them to contact the following numbers. Res...
22/08/2024

If you see anyone needs to be rescued and Army still didn't reach there, tell them to contact the following numbers. Rescue team is already deployed there and continuing the operations.

১। নোয়াখালী
০১৭৬৯-৩৩১৫১৯
০১৭৬৯-৩৩১৫২০

২। চাঁদপুর
০১৮১৫-৪৪০৫৪৩
০১৫৬৮-৭৩৪৯৭৬

৩। ফেনী
০১৭৬৯-৩৩৫৪৬১
০১৭৬৯-৩৩৫৪৩৪

৪। লক্ষীপুর
০১৭২১-৮২১০৯৬
০১৭০৮৭৬২১১০

৫। কুমিল্লা
০১৩৩৪-৬১৬১৫৯
০১৩৩৪-৬১৬১৬০

জেনে রাখা ভালো তাই টাইম লাইনে রেখে দিলাম এসি সার্ভিস: এসি ওয়্যারিং চেক করতে কোম্পানির একজন টেকনিশিয়ানকে কল করা উচিত এব...
01/07/2024

জেনে রাখা ভালো তাই টাইম লাইনে রেখে দিলাম

এসি সার্ভিস: এসি ওয়্যারিং চেক করতে কোম্পানির একজন টেকনিশিয়ানকে কল করা উচিত এবং আলগা সংযোগগুলি পরীক্ষা করানো উচিত। সম্ভাব্য সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই চিহ্নিত করে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

এসি থেকে শব্দ: এসি ইউনিট থেকে অস্বাভাবিক শব্দ বা গন্ধ আসন্ন বিপদের লক্ষণ। যদি এসি ইউনিট আওয়াজ করে, অত্যধিক কম্পন হয় বা পোড়া গন্ধ বের হয়, তাহলে অবিলম্বে এটি বন্ধ করে একজন টেকনিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

এসি এয়ার ব্লোয়ার: এসি ব্লোয়ার পরিষ্কার না করলে, এসির শীতল করার ক্ষমতা কমে যায় এবং এটি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় কারণ এটিকে ঘর ঠান্ডা করতে আরও পরিশ্রম করতে হয়। সুতরাং, ১৫ দিনে একবার ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে।

আউটডোর ইউনিট: এসি আউটডোর ইউনিটগুলিতে, ধুলো জমেও কন্‌ডেন্সার কয়েলগুলোকে ব্লক করতে পারে, এতে এসির দক্ষতা হ্রাস পায় ও অতিরিক্ত গরম হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই আউটডোর ইউনিটগুলোও পরিষ্কার রাখতে হবে। কোম্পানিই সাধারণত এমনটা সুপারিশ করে।

এসির অবস্থান: নিশ্চিত করতে হবে যে, এসির আউটডোর ইউনিটের চারপাশের জায়গাটি ভাল ভাবে বায়ুচলাচল হয়। ইউনিটের চারপাশে কমপক্ষে দুই ফুট ক্লিয়ারেন্স বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ইউনিটের কাছে গ্যাসোলিন বা পেইন্টের মতো দাহ্য পদার্থ রাখা উচিত নয়।

এক্সটেনশন কর্ড: এসি ইউনিট হিসাবে আলাদা তারের প্রয়োজন। এক্সটেনশন কর্ড ব্যবহার করলে সার্কিট ওভারলোড হতে পারে এবং অতিরিক্ত গরম হতে পারে। এতে আগুনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অন্তত প্রতি তিন মাস পর পর এসি সার্ভিসিং করবেন।
ইনভার্টার এসি হলে মাঝে মাঝে ইন্ডোর এর ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে।আউটডোর এ পানি দিয়ে সার্ভিসিং করতে হবে।
সংগৃহীত

পৃথিবী কতটা নিষ্ঠুর! নিজের উপর আসেনা, তাই আমরা অনুধাবন করি না। ........................................-- "কালেক্টর ম্যা...
01/07/2024

পৃথিবী কতটা নিষ্ঠুর!
নিজের উপর আসেনা, তাই আমরা অনুধাবন করি না। ........................................
-- "কালেক্টর ম্যাডাম, আপনি মেকআপ করেন না কেন ?"
***************************************
কেরলের মলাপ্পুরম জেলার কালেক্টর শ্রীমতী রানী সোয়ামই....এক ঝাঁক কলেজ ছাত্রীদের সাথে কথা বলছিলেন ।
মহিলার কবজিতে সামান্য একটা ঘড়ি ছাড়া অন্য কোন প্রসাধন নেই । ছাত্রীরা দেখে আশ্চর্য্য হয়ে যায়, যে ওনার মুখের ওপরে সামান্য ফেস পাউডারের স্পর্শ মাত্র নেই ।
কথাবার্তা মূলতঃ ইংরিজিতেই হচ্ছিল । ভদ্রমহিলা দুই তিন মিনিট মাত্র কথা বলেছেন । ওনার প্রতিটি শব্দের মধ্যে দৃঢ় সংকল্পের স্পষ্ট আভাস ।
কথপোকথন হচ্ছিল, -- "আপনার নাম ম্যাডাম ?"
-- "আমার নাম রানী । সোয়ামই আমার পারিবারিক নাম । আমি ঝাড়খন্ড রাজ্যের মূল নিবাসী । আর কিছু জানতে চাও ?"
ভিড়ের মধ্যে একটি মেয়ে হাত তোলে ।
-- "হ্যাঁ, বলো ?"...
--- "ম্যাডাম, কিছু মনে করবেন না । আপনি মেকআপ করেন না কেন ?"
প্রশ্ন শুনে কালেক্টর ম্যাডাম হঠাৎ-ই অস্বস্তি বোধ করেন । ওনার মুখের হাসি মিলিয়ে যায় । ছাত্রীরাও চুপ !
ম্যাডাম কালেক্টর টেবিলের ওপর রাখা বোতল থেকে অল্প জল খেয়ে মেয়েটিকে বসার ইঙ্গিত করেন । স্বল্পভাষী কালেক্টর ম্যাডাম বললেন, --- "দেখ, তোমার প্রশ্নটা সত্যিই বেশ মুশকিলে ফেলেছে । দু'-এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয় । এর জন্য তোমাদের আমার জীবনের কিছু স্মৃতি ভাগ করে নিতে হবে । তার জন্য হয়তো তোমাদের ব্যস্ত সময়ের থেকে মিনিট দশেক লাগতে পারে । তোমরা কি দশ মিনিট ধৈর্য্য ধরতে রাজি আছ ?"
--- "হ্যাঁ হ্যাঁ, ম্যাডাম, আমরা রাজি আছি, আপনি বলুন ।" মেয়েরা সমস্বরে বলে ওঠে ।
-- "ঠিক আছে । আমার জন্ম হয়েছিল ঝাড়খন্ড রাজ্যের এক আদিবাসী পরিবারে ।" কালেক্টর ম্যাডাম একবার তাঁর শ্রোতাদের মুখের পানে দৃষ্টি দেন । সকলে আগ্রহ ভরে তাকিয়ে তাঁর দিকে ।
--- "আমার জন্ম কোডারমা জেলার এক প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকার একটা ছোট্ট ঝুপড়ির মধ্যে । চারপাশে মাইকা-র খনি ।
--- "বাবা মা সেখানেই খনিকের কাজ করতেন । আমার চেয়ে বড় দুই ভাই ছিল, আর একটা ছোট বোন । আমরা সকলেই ঐ ছোট্ট ঝুপড়িটার মধ্যে থাকতাম । বর্ষায় ঝুপড়ির মধ্যে জল ঝরতো, শীতে শিশির । বাবা মা খুবই কম পয়সায় ঐ সব খাদানে কাজ করতেন, কারণ ও ছাড়া অন্য আর কোন কাজ তাঁরা জানতেন না । তবে কাজটা ছিল খুবই নোংরা ।"
--- "আমার যখন বছর চারেক বয়স, বাবা - মা, দুই ভাই, সকলেই কেন জানিনা কি এক অজানা অসুখে আক্রান্ত হয়ে বিছানা নিলেন । আচ্ছা, তখন ওঁরা নিজেরাও জানতেন না যে তাঁদের রোগের মূল কারণ হলো ঐ খাদানের বাতাসে মিশে থাকা মাইকা-র ধূলো । আমার বয়স ৫ বছর হতে না হতে এক ভাই মারা গেল রোগে ।"
দীর্ঘশ্বাস ফেলে কালেক্টর ম্যাডাম চুপ করে থাকেন । রুমাল দিয়ে চোখের জল মোছেন । পুরোনো স্মৃতি সত্যিই কষ্টদায়ী ।
--- "বেশিরভাগ দিনই খাবার বলতে জুটতো একটা কি দুটো রুটি আর ভরপেট জল । রোগে ভুগে একসময় দুই ভাইয়েরই মৃত্যু হলো । তোমরা বলবে ডাক্তার দেখানো উচিত ছিল । আমাদের গ্রামে ডাক্তার তো দূরের কথা, একটা স্কুল পর্যন্ত ছিল না । ছিল না কোন হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা নিদেনপক্ষে একটা শৌচাগার । বিদ্যুৎ তো ছিলই না । তোমরা কল্পনা করতে পার এমন একটা গ্রামের কথা ?"
--- "এর মধ্যেই একদিন বাবা হাড় চামড়া সার, অভুক্ত, আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল টিনের চাদর দিয়ে ঘেরা একটা অভ্র খাদানে । পুরোনো আর গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদানটা বেশ বদনামও কুড়িয়েছে । লাগাতার খুঁড়তে খুঁড়তে তখন খাদানটা অতলান্ত গভীর । মাটির নিচে শত সহস্র ধারায় ছড়িয়ে পড়েছে তার গভীর গহ্বরের জাল । আমার কাজ ছিল খনির ঐ ছোট ছোট গহ্বরের মধ্যে ঢুকে সেখান থেকে অভ্রের আকরিক তুলে নিয়ে আসা । দশ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েরাই পারে ঐরকম গভীর গর্ত থেকে অভ্রক তুলে আনতে ।"
--- "কাজের পর জীবনে সেই প্রথমবার আমি ভরপেট রুটি খেতে পেলাম । কিন্তু, অনভ্যস্ত পেটে সইলো না, ....আমার বমি হয়ে গেল ।"
--- "যে বয়সে স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে পড়াশোনা করার কথা, সেই বয়সে অন্ধকার গুহার মধ্যে ঢুকে অভ্রক তুলে আনছিলাম ।"
--- "বিষাক্ত ধূলোর মধ্যে বদ্ধ জায়গায় নিঃশ্বাস নিতে বাধ্য হচ্ছিলাম । কতবার অভ্রকের খনি ধ্বসে পড়েছে, ভেতরে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা আটকা পড়ে মারা গেছে । না হলে দুরারোগ্য ব্যাধির কামড়ে মারা গেছে । সেটাই তাদের নিয়তি ।"
--- "দিনে আট ঘণ্টা কঠিন পরিশ্রম করার পর একবেলা কোনরকমে খাবার জোটানোর মতো পয়সা পাওয়া যেত । নিত্য দিনের ক্ষুধা তৃষ্ণা আর বিষাক্ত ধূলোর মধ্যে শ্বাস নেওয়ার কারণে আমি ধীরে ধীরে অসুস্থ আর নিস্তেজ হয়ে পড়ছিলাম ।"
--- "বছর ঘুরতে না ঘুরতে আমার ছোট বোনটাও এসে লাগে খাদানের কাজে । বাবার শরীর একটু জুৎ হতেই তিনিও জুটে যান খাদানের কাজে । এখন সকলে মিলে একসাথে কাজ করার ফলে কাউকেই না খেয়ে থাকতে হয়না ।"
--- "তবে কপালের লিখন কে করবে খন্ডন ? সেবার আমার ধূম জ্বর । আমাকে ঘরে রেখে মা বাবা বোন সকলেই গেছে কাজে । আচমকা মুষলধারে বৃষ্টি নামে । খনির ভেতরে শ্রমিকরা কাজ করছিল, জলের তোড়ে খনিতে ধ্বস নামার ফলে হাজার হাজার শ্রমিক চাপা পড়ে মারা যায় । তাদের মধ্যে আমার মা বাবা বোন সকলেই ছিল । আমি পরিবারহারা হলাম ।"
কালেক্টর ম্যাডামের দুই চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে । শ্রোতারা বাক্যহারা । অনেকেরই চোখে জল ।
--- "মনে রাখতে হবে আমি তখন মাত্র ছ'বছরের শিশু । শেষমেষ আমি গিয়ে পৌঁছই সরকারি অগাতি মন্দিরে । সেখানেই আমার শিক্ষার শুরু । যদিও আমার গ্রামেই আমার অক্ষর জ্ঞান হয়েছিল । আর আজ সেই অভ্রক খাদানের পরিবার - পরিজনহীন মেয়েটাই এখানে আপনাদের সামনে কালেক্টর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ।"
--- "বুঝতে পারছি, এখন তোমরা ভাবছ আমার জীবনের এই অতীতের সাথে মেকআপ ব্যবহার না করার কি সম্পর্ক থাকতে পারে, তাই তো ?"
--- "পরবর্তী সময়ে শিক্ষা গ্রহণের কালখন্ডে আমি জানতে পারি যে ছোটবেলায় সেই বিপজ্জনক ছোট ছোট অন্ধকার গুহার ভেতরে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে যে অভ্রক আমি তুলে আনতাম সেগুলো আসলে মেকআপ সামগ্রী তৈরীর কাজে লাগে ।"
--- "অভ্রক আদতে মুক্তর মতো একটা খনিজ সিলিকেট । বড়ো বড়ো প্রসাধনী বস্তু প্রস্তুতকারী দেশী বিদেশী কোম্পানিগুলো তাদের প্রডাক্টের মধ্যে চামড়ায় একটা চমকদার জেল্লা বা 'গ্লেজ্' ফুটিয়ে তোলার জন্য মিশিয়ে থাকে । কসমেটিকস্ কম্পানিগুলোর ভাঁড়ারে নিয়মিত অভ্রকের যোগান দেয় ঐ আমার মতোই ২০,০০০ ছোট - ছোট বাচ্চা - বাচ্চা ছেলেমেয়েরা । গোলাপ কোমল সেই শিশুদের ফুলের মত জীবনের রক্ত মাংস পাথরে থেঁতলে তবেই না অভ্রক মানুষের গালের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে !"
--- "আজও আমাদের চামড়ার সুন্দরতা বাড়ানোর জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য থেকে বঞ্চিত ছোট ছোট বাচ্চাদের হাত দিয়ে তুলে আনা লক্ষ লক্ষ টাকার অভ্রকের ব্যবহার কসমেটিকস্ কম্পানিগুলো করে চলেছে ।"
--- "আমার যা বলার ছিল তোমরা শুনলে । এবার বলো তো আমি কি করে সৌন্দর্য্য প্রসাধনী ব্যাবহার করি ? বাবা মা ভাই বোন সকলকেই অভ্রকের খনি গ্রাস করে নিল । যে মায়ের গায়ে কোনদিন ছেঁড়া কাপড় ছাড়া অন্য কিছু দেখলাম না, তার স্মৃতি মাথায় নিয়ে আমি কি করে রেশমী শাড়ি পড়ে ঘুরি ?"
কালেক্টর ম্যাডাম রানী সোয়ামই নিজের কাজে চলে গেলেন । কলেজের ছাত্রীরা স্থানু হয়ে বেশ কিছু সময় সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে, তারপর তারাও নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ।
(আজও ঝাড়খন্ডের উচ্চ গুণমান সমৃদ্ধ অভ্রকের খনি থেকে হাজার হাজার বাচ্চা স্কুলে না গিয়ে অভ্রক তোলার কাজে লেগে আছে । তারা হয় রোগে ভুগে, নয় না খেতে পেয়ে অপুষ্টিতে কষ্ট বা ভূ-স্খলনে মাটি চাপা পড়ে মারা যায় ।)
এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে । দিন মাস বছর ঘুরেছে । সেই কালেক্টর ম্যাডাম এখন ভারত গণরাজ্যের প্রথম নাগরিক ।
মহামহিম রাষ্ট্রপতি
শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু ।
ভারত গণরাজ্যের রাষ্ট্রপতি ।
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
সংকল্প, পুরুষার্থ, প্রারব্ধ --
মানুষের জীবনের তিন স্তম্ভ ।
সংগৃহীত।

“পাঁচ দিন খোঁজাখুঁজির পর উত্তর গাজ্জায় অল্প গোশত পেলাম। আমার স্ত্রী নবজাতক জন্ম দিয়েছে। আমার ছেলে আলীর আজ সপ্তম দিন। ইমা...
22/06/2024

“পাঁচ দিন খোঁজাখুঁজির পর উত্তর গাজ্জায় অল্প গোশত পেলাম। আমার স্ত্রী নবজাতক জন্ম দিয়েছে। আমার ছেলে আলীর আজ সপ্তম দিন। ইমাম আলী বিন আবু তালেবের বীরত্ব থেকে বরকত লাভের উদ্দেশ্যে তার এ নাম রাখলাম। আশা করি সেও তাঁর মতো বীর ও বিজয়ী হবে। সন্তান জন্মদানের হাদিয়া হিসেবে স্ত্রীকে প্লেটটি দিলাম। আপনি হয়তো পরিমাণে স্বল্প দেখছেন। কিন্তু গোশতের এই টুকরোগুলো ক্রয় করতে লেগেছে ৭০ ডলার(সাত হাজার ৭০০ টাকা), আর চালের দানাগুলো নিয়েছে ২৫ ডলার(২ হাজার ৭৫০ টাকা)। এবার ভেবে দেখুন, মূল্য হিসেবে কিন্তু এগুলো ঠিকই হাদিয়ার উপযুক্ত।”
হামজা মোস্তফা নামের এক বাবা পোস্টে বিষয়গুলো বলেছেন। সেখানে কার্যত দুর্ভিক্ষ চলছে। সৌদি আর আমিরাতের লোকেরা যেসব খাবার নষ্ট করে, সেগুলোও গাজ্জার মানুষেরা খেতে পারছে না।
কাবীর আহমেদ কাসেমী।
দয়া করে কেউ খাবার অপচয় করবেননা একদিন বাংলাদেশেও চলে আসবে দুর্ভিক্ষ সেই দিন আর বেশি
দেরি নাই
(কপি পোস্ট)

রাসেল ভাইপারঃএই সাপের বিশেষত্ব হচ্ছে, এরা খুবই বিষাধর। কাউকে ছোবল দিলে এন্টি ভেনম দিলেও বাঁচার সম্ভাবনা ২০%.।।এন্টি ভেনম...
10/06/2024

রাসেল ভাইপারঃ
এই সাপের বিশেষত্ব হচ্ছে, এরা খুবই বিষাধর। কাউকে ছোবল দিলে এন্টি ভেনম দিলেও বাঁচার সম্ভাবনা ২০%.।।এন্টি ভেনম এটার টা নাই এ দেশে।
আর এই দেশের জলবায়ুতে প্রকিতৃতে এদের কোন অবদান নাই।
আরও ভয়ংকর ব্যাপার হল অন্যান্য সাপ সাধারণত নিজেরা আক্রান্ত হলে কিংবা সরাসরি কারও সামনে পড়লে ছোবল দেয় অন্যথায় কামড় দিতে আসে না বরং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রাসেল ভাইপার দূরে থেকে মানুষ দেখলেও তেড়ে আসে আর কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে।
অন্য সাপ ১ রকম বিষ ধারন করলেও,,রাসেল ভাইপারের বিষ একই সাথে ৫/৬ ধরনের হয়।
এই সাপ খুবই দ্রুত বংশ বিস্তার করে
এরা সরাসরি বাচ্চা দেয়---৫০ থেকে ৮০ টি পর্যন্ত বাচ্চা দিতে পারে।
সম্প্রতি,, রাজশাহী,, নাটোর,, পাবনা,,মানিকগঞ্জ,,,মাওয়া,,,পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় এই সাপের উপদ্রব বেড়েছে।
তাই সরকারিভাবে যদি এই সাপ নিধনের উদ্যোগ না নেয়া হয় তাহলে বর্ষার মৌসুমে সারা বাংলাদেশে এই সাপ ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনারা তো ভাইরাল বস্তু ছাড়া শেয়ার করেন না,,জনসাধারণের উপকার এর জন্য শেয়ার করতে পারেন।
সংগৃহীতঃ

গত ১৪ এপ্রিল সপরিবারে মাওয়া গিয়েছিলাম। এটি ছিল ঈদ ও বৈশাখীর ছুটির শেষ দিন। পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ করছে বাস,...
19/04/2024

গত ১৪ এপ্রিল সপরিবারে মাওয়া গিয়েছিলাম। এটি ছিল ঈদ ও বৈশাখীর ছুটির শেষ দিন। পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ করছে বাস, গাড়ি, মোটরসাইকেলের মতো বিপুল সংখ্যক যানবাহন। অনেক দিন পর এই এক্সপ্রেসওয়েতে বাইক চালালাম। পদ্মা সেতু শেষ করার পরে এটাই ছিল আমার প্রথম যাত্রা। সেতু হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম ঐদিকে। আমি সেদিন এই এক্সপ্রেসওয়েতে ছিলাম এবং বুঝতে পেরেছিলাম যে এই রাস্তা মোটরবাইকের জন্য নয়। হ্যাঁ, আপনি সঠিকভাবে পড়ছেন। এই রাস্তা বাইকারদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। বাইক এবং অন্যান্য যানবাহনের অতিরিক্ত গতির কারণ। যে যত দ্রুত সম্ভব চলে যাচ্ছে। কেউ কাউকে তোয়াক্কা ই করছে না। একটা পরিবারকে দেখেছি দুর্ঘটনায় পড়তে। অতিরিক্ত গতিই এর কারণ। যদিও সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কিমি/ঘন্টা, কেউ তা মানে না। সুতরাং এখানে গতি ৬০ কিমি/ঘন্টা হওয়া উচিত। কারণ এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো বাধা নেই, গতি কম হলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগে না।

চলুন গতি কমাই, জীবন বাঁচাই।

শেয়ার করলে পৌঁছায় না দেখেছি, তাই কপি করছি , আজ করছি , কাল করবো তার পরেও (আমার লেখা নয়) ☣️ অবশ্যই পড়ুন!          রণছোড়দ...
30/03/2024

শেয়ার করলে পৌঁছায় না দেখেছি, তাই কপি করছি ,
আজ করছি , কাল করবো

তার পরেও

(আমার লেখা নয়)

☣️ অবশ্যই পড়ুন!
রণছোড়দাস চাঞ্চোরের চাঞ্চল্যকর খ্যাপামি এবং আমি আপনি

এখন একটা গল্প বলবো। যা গল্প হলেও সত্যি। আর সত্যি হয়েও গল্পের চেয়ে আশ্চর্য।

এক সিনেমায় তাকে কেন্দ্র করে গল্প বোনা হয়েছে। সবাই দেখেছেন সিনেমাটি। থ্রি ইডিয়টস।

সিনেমায় তার নাম ছিল ফুংসুখ ওয়াংড়ু। সত্যি নামটা এখন সবাই জানেন।

এই ছেলেটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেল। প্রভাবশালী বাবার নাম বলেনি ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হবার সময়। নিজের যোগ্যতায় ভর্তি হতে চায় বলে। পড়া চলাকালীন বাবা খরচ দিলেন না। কারণ ছেলে কথার অবাধ্য। তিনি চেয়েছিলেন ছেলে সিভিল পড়ুক।

তাই ছেলেটি তখন থেকেই ছাত্র পড়ানো শুরু করে।

পড়া শেষ করে সে শুরু করলো ফেল করা ছাত্রদের পড়ানো। ইশকুল তৈরি হলো। সে ইশকুল SECMOL নামে এখন পরিচিত। Student Education and Cultural Movement of Ladakh.

হ্যাঁ মুভমেন্ট। যে এলাকায় শতকরা পাঁচ জন ছাত্রছাত্রী ক্লাস টেনের পরীক্ষা পাশ করতো, সে এলাকায় এখন 75% পাশ করে। আর ঐ ইশকুলের বৈশিষ্ট্য ছিল এটাই যে শুধুমাত্র ফেল করা ছাত্রছাত্রী সেখানে ভর্তি হতে পারতো। মুভমেন্ট নয়তো আর কী বলবেন একে !!?

সেই ফুংসুখ ওয়াংড়ু হয়ে উঠলেন একজন বিজ্ঞানী।

আর দেশের যে এলাকায় তাঁর বসবাস সেই এলাকার সংবেদনশীল জলবায়ু, পর্যাবরণের সংরক্ষণ করে কী করে উন্নয়ন করতে হয়, যাকে বলে sustainable development. ... সেই লক্ষ্যে চললো তার অধীত বিজ্ঞানের প্রয়োগ।

ও হ্যাঁ ..... তাঁর ঐ ইশকুল পুরোপুরি সৌরশক্তি প্রয়োগে চলে। অন্য কোনো এনার্জি ব্যবহার হয় না।

হিমবাহ পিছিয়ে যাচ্ছে। জলের অভাবে চাষবাসের সঙ্কট। সেই সঙ্কট দূর করতে শুরু করলেন আর্টিফিশিয়াল গ্লেসিয়ার তৈরীর কাজ। আইস স্তূপ। ... তাতেও জলের পাইপলাইনে ব্যবহার করা হয়নি কোনো বিদ্যুৎ শক্তি। শুধুমাত্র গ্র্যাভিটেশন মানে অভিকর্ষজ শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

হিমবাহটি এখন অনেকটা উঁচু হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর সম্ভবত প্রথম এবং একমাত্র মানব নির্মিত হিমবাহ। এখান থেকে অটোমেটিক জল সাপ্লাই হয় চাষের জন্য। গরমকালে।

এই লোকটি বানালেন...*ওয়ার্ম শেল্টার ফর সোলজার্স*...। লাদাখের হাড় ফুটো করা শীতে দেশের সৈনিকরা যাতে গরমে আরামে থাকতে পারে। কোনো এসি নয় সেটা। কোনো প্রচলিত শক্তির ব্যবহার ছাড়াই তৈরি করলেন ঐ ওয়ার্ম শেল্টার।

তাঁর এ হেন কাজের জন্য সরকার তাকে এক কোটি টাকা দিলেন। সে টাকা তিনি ছাত্রদের জন্য খরচ করলেন।

এরকম আরো অনেক উদ্ভাবন। কিন্তু সর্বোপরি তিনি একজন পরিবেশ প্রেমী, জলবায়ু গবেষক, শিক্ষাবিদ। এই লোকটি আজ একুশ দিন একটি খাবারের দানা গ্রহণ না করে কীসের জন্য আন্দোলন করছেন ?

2019 সালে জম্মু কাশ্মীর থেকে যখন 370 ধারা তুলে নেওয়া হয় তখন লেহ্ লাদাখ একটি আলাদা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে অস্তিত্ব পেল। খুশি হয়েছিল সেখানকার লোকজন। কারণ কাশ্মীর কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে লাদাখের প্রয়োজন কখনো গুরুত্ব পায়নি।

আর তখন সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদেরকে সংবিধানের ষষ্ঠ শিডিউলে অন্তর্ভুক্তি দেওয়া হবে।

কিন্তু দিচ্ছে না। ভোট ফুরিয়েছে। সরকারও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
(রঘুকুলরীতি... প্রাণ যায় পর বচন না যায় 🙂)

কিন্তু কী এই ষষ্ঠ শিডিউল ?

ভারতের যেসব রাজ্যে শিডিউল্ড ট্রাইবের সংখ্যা 50% তাদের এই শিডিউলে অন্তর্ভুক্তির সংরক্ষণ দেওয়া আছে সংবিধানে। আর লাদাখের অধিবাসীদের 97% শিডিউল্ড ট্রাইবের মানুষ। তাদের এই সংরক্ষণ পাওয়ার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত।

সেটাই তারা চায়। এই সংরক্ষণ পেলে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ওপর তাদের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

আর একটা দাবী তাদের নিজস্ব বিধানসভা থাকতে হবে। এখন তাদের মাত্র দুজন প্রতিনিধি, কাশ্মীর বিধানসভায়। নির্বাচিত যথেষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধিত্ব না থাকায় তাদের সমস্যার কথা প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না তারা। তারা নিজস্ব Public Service Commission চায়। যার মাধ্যমে তাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পর চাকরি পাবে।

লোকসভায় তাদের একজন মাত্র প্রতিনিধি। এই সংখ্যা তারা বাড়াতে চায়।

এখন কথা হলো তাদের এই আন্দোলনের পাশে আমরা দাঁড়াতে যাবো কেন ..
আমাদের এত মাথাব্যথা করার দরকারটা কী ?

আছে দরকার।

আর সেটাই জানতে হবে। লাদাখের ভূপ্রকৃতি এবং হাড়হিম করা ঠাণ্ডা, এবং স্বর্গের মতো বরফাবৃত সৌন্দর্য,....তার সুবিশাল হিমবাহ..
উত্তর ভারতের নদীগুলোর প্রাণশক্তি। এই প্রকৃতি সামান্য এদিক ওদিক হলে সমূহ বিপদ।

কিছুদিন আগে গত বর্ষায় সিকিমের একটা মোরেন গ্লেসিয়ার লেক ফেটে কী কাণ্ড হলো ভুলে গেছেন নাকি ? রাতের বেলায় মুহূর্তে ভেঙে চুরে ভাসিয়ে নিয়ে গেল তিস্তার মহাপ্রলয়ের মতো হড়পা বান ? উত্তরবঙ্গের লোক মনে হয় এখনো ভোলেননি।

উত্তরাখণ্ড হিমাচল প্রদেশে (যোশীমঠ) যেভাবে ব্যবসায়ী কর্পোরেটের হাতে পর্যটন ব্যবসার নামে যথেচ্ছ নির্মাণ হয়েছে, তার ফলশ্রুতিতে যখন তখন ভেঙে পড়ছে ভেসে যাচ্ছে পাহাড়, মানুষ, সম্পদ... ঠিক সেরকমই আশঙ্কা করছেন ফুংসুখ ওয়াংড়ু। লাদাখের জন্য।

অনেক বিরল খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে লাদাখের মাটিতে। অনেক বড়ো জমি। ব্যবসা করবার পয়সা কামাবার লোভে চকচক করছে হায়নার মতো কর্পোরেটের চোখ।

লাদাখের ভূপ্রকৃতির ওপরে বড়ো থ্রেট সামনে। বড়ো থ্রেট উত্তর ভারতের নদীগুলোর ওপরে। হড়পা বান অথবা খরা। দুটোরই।

তাই লাদাখকে দিতে হবে ষষ্ঠ শিডিউলের সংরক্ষণ। যাতে তাদের ভূমি জল জঙ্গল তাদের সম্মতি ছাড়া বেচুবাবু চারটে পয়সার জন্য লোভী হায়নার কাছে নির্দ্বিধায় বেচে না দিতে পারে।

সব জায়গায় একভাবে উন্নয়ন হয় না। মাল্টিস্টোরিড, ফোরলেন, শপিং কমপ্লেক্স, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন.... দিল্লি ব্যাঙ্গালোর মুম্বাই এর মতো করে গোটা দেশের সব জায়গায় উন্নয়ন হয় না। হবে না। ওটাকে সায়েন্টিফিক ডেভেলপমেন্ট বলে না। প্রকৃতিকে রক্ষা করে হয় উন্নয়ন। তাকেই বলে Sustainable Development.

আরও অনেক কথা আছে। লাদাখের মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য অনন্য সংস্কৃতি ভাষা ও খাদ্যাভ্যাসের স্বাধীনতা তারা রক্ষা করতে চায়।

কে না চায় বলুন তো ?

আমি আপনি সবাই চাই নিজেদের সংস্কৃতি ও ভাষা নিয়ে বাঁচতে।
ভারত তো বহু -র দেশ। বৈচিত্র্য এবং ঐক্য। প্রভাতাংশু মাইতি থেকে তাই তো পড়ছি।

যে মানুষের ভারতরত্ন পাওয়ার কথা সে মানুষ আজ একুশ দিন না খেয়ে আন্দোলনে।ওনার সমস্ত তথ্য এবং অবদান কর্ম যাচাই ক’রে আপনারা নিজেরাই বিবেচনা ক’রে দেখুন এমন একজন মানুষের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত কি না?

কলমে
Anuradha Mandal

11/02/2024

Break in work

হারিয়ে যাওয়া এক পেশা নিদ্রা জাগানিয়া বা নকার আপার্স (Knocker Ups/Uppers)____________________________যখন এলার্ম ঘড়ি আবিস্...
29/01/2024

হারিয়ে যাওয়া এক পেশা নিদ্রা জাগানিয়া বা নকার আপার্স (Knocker Ups/Uppers)
____________________________

যখন এলার্ম ঘড়ি আবিস্কার হয় নি কিংবা সাধারণ মানুষের কেনার সাধ্য ছিল না, তখন সাধারণ খেটে খাওয়া অফিস কিংবা কল কারখানায় কাজ করা লোকদের সময় মতো ঘুম ভাঙাতো কে ? তাদের ঘুম থেকে তুলে দিত "নকার আপার্স" রা । এরা ছিল ভাড়া করা জ্যান্ত এলার্ম । ঠক ঠক ঠক, ওঠে পড়ো সাহেব, ভোর হয়ে গেছে.... এটাই ছিল তাদের পেশা । ঊনবিংশ শতকে ও বিংশ শতকের প্রথম দিকে ইংল্যান্ডে আর আয়ারল্যান্ডে এদের দেখা যেত । শিল্প বিপ্লবের পর যখন কল কারখানা তৈরি হল তখন মানুষেরও সকাল সকাল কাজে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ল । ফলে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠতে হত । ইংল্যান্ডের ঠান্ডা আবহাওয়ায় সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর খুব ভোরে কম্বলের তলায় সহজে ঘুম ভাঙার কথা নয় কিংবা ভাঙতও না । ফলে কাজে যেতে দেরি হয়ে যেতো ফলে মাইনে কাটা যেতো কিংবা চাকরিও চলে যেত । তখনই সৃষ্টি হল নকার আপার্স পেশার । এদের বেশি দেখা যেত উত্তর ইংল্যান্ডে শিল্পাঞ্চলে যেখানে মানুষ কল কারখানায় শিফটে কাজ করত । সাধারণতঃ বয়স্ক লোকজন, ভারী কাজের ক্ষমতা নেই কিন্তু রোজগারের দরকার এমন মানুষ । ভোর হলেই এরা লোকজনের ঘুম ভাঙাতে বেরিয়ে পড়ত । হাতে থাকত লগির মত লম্বা লাঠি বা বাঁশির মত একটা পাইপ বা নরম হাতুড়ি । তখন বেশিরভাগ লোক দোতলায় ঘুমাতো তাই এরা সেই লম্বা লাঠি দিয়ে সাহেবদের শোবার ঘরের জানলায় ঠক ঠক করে ৩/৪ বার আওয়াজ করত । সাহেবের ঘুম ভেঙেছে নিশ্চিত হয়েই পরবর্তী বাড়ির দিকে এগোতো । কেউ কেউ আবার বাঁশির মত ফাঁপা পাইপে মটর দানা ঢুকিয়ে তাক করে কাঁচের জানলায় ছুড়ত ফলে ঘুম ভাঙতো । আবার কেউ নরম হাতুড়ি দিয়ে সদর দরজায় কয়েকবার টাক টাক করে আওয়াজ তুলে ঘুম ভাঙাতো । এরা কখনও খুব জোরে শব্দ করত না বা চেঁচাত না । তাতে আশেপাশের লোকের ঘুম নষ্ট হলে আবার টাকা কাটা যেতো । চুপিচুপি শুধু নিজ নিজ খদ্দেরের ঘুম ভাঙাতে আস্তে আস্তে নক করতে হতো । ভোর পাঁচ থেকে ছটার মধ্যেই এদের কাজ সারতে হতো । একজন নকার আপার কর্মি গড়ে ৩৫ থেকে ১০০ জনের ঘুম ভাঙাত । কেউ কেউ আবার ঘুম ভাঙানোর জন্য রেগেও যেত, সুখনিদ্রা ভাঙানোর জন্য রাগটাও গিয়ে পড়ত এদের ওপর, টুকটাক খিস্তি খেউড়ও নসিবে জুটতো । এরা অন্যের ঘুম ভাঙাত কিন্তু এদের ঘুম ভাঙাত কে ? এরা রাতে ঘুমতই না ! সারা রাত জেগে ভোরে খদ্দেরদের জাগিয়ে তারপর নিজে শুতে যেত । দিনভর ঘুমিয়ে বিকেলে আড়মোড়া ভাঙত...
ছবিতে মেরী স্মিথ, নিদ জাগানিয়ার কাজ করে ১৮৭০ সালে সপ্তাহে জনপ্রতি ছয় পেনি করে আয করতো । সে সময় অনেক পুলিশ সদস্যও অতিরিক্ত রোজগারের জন্য এই কাজ করত । যেসব পুলিশের রাত্রিকালীন ডিউটি থাকত তারা খুব ভোরে লোকদের জাগিয়ে দিয়ে বাড়তি কিছু রোজগার করত । আধুনিক যুগে বাজারে সস্তা এলার্ম ঘড়ি এলে এদের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায় । সর্বশেষ ১৯৭০ দশকেও ইংল্যান্ডে কয়েক জায়গায় এদের কাজ করতে দেখা গেছে...

সূত্র: জানা অজানা ।

সংগৃহীত পোস্ট

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের একটি ফুটবল দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত অর্জন এবং মু...
19/12/2023

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের একটি ফুটবল দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত অর্জন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনী ফুটবল খেলায় অংশ নেয়। এই দলটি ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’ নামে পরিচিত ছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধকালীন প্রথম ফুটবল দল এটি।

মূল পরিকল্পনাটা ছিলো শামসুল হকের। জুন মাসে কলকাতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতি এবং সিদ্ধান্ত নেন একটি ফুটবল দল গঠনের যারা সারা ভারতজুড়ে খেলে সমর্থন আদায় করবে আমাদের স্বাধীন বাংলার স্বীকৃতির জন্য। তার সাহায্যে এগিয়ে এলেন সমিতির প্রথম সেক্রেটারি লুতফর রহমান, কোচ আলী ইমাম ও ইস্ট এন্ড ক্লাবের সাবেক ফুটবলার সাঈদুর রহমান প্যাটেল।

এসময় ভারতের আকাশবানীতে একটি বিবৃতি প্রচার হলো যাতে পূর্ব পাকিস্তানের সমস্ত ফুটবলারকে যোগ দিতে বলা হলো একটি বিশেষ ঠিকানায়। কয়েক দিনের মধ্যেই কোচ ননী বসাকের বিশেষ ৩০ জনের মতো খেলোয়াড় ট্রায়ালে যোগ দিলেন। তাদের মধ্যে থেকে ২৫ জনকে বাছাই করা হলো। পরে অবশ্য ভারত সফরে আরো বেশ কজন খেলোয়াড় দলে যোগ দেন। পার্ক সার্কাস এভিন্যুর কোকাকোলা বিল্ডিংয়ের একটি রুমে থাকতেন ফুটবলাররা। আর প্র্যাকটিস করতেন পাশের মাঠেই।

২৪ জুলাই এলো সেই ঐতিহাসিক দিন। জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে পশ্চিম বঙের নদীয়া জেলায় কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে কৃষ্ণনগর একাদশের বিপক্ষে প্রথম খেলতে নামে লাল-সবুজরা খেলাটি ড্র হয় ২-২ গোলে। তবে এ নিয়ে হই হট্টগোল কম হয়নি। বিশ্ব মিডিয়া সমালোচনা করে এ ধরনের ম্যাচ আয়োজনের। যার ফলে নদীয়ার জেলা প্রশাসক সাসপেন্ড হন অফিসিয়াল একটি দল নামানোয়, আর ভারতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএ) বাধ্য হয় নদীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগি পদ বাতিল করতে।

সাবেক বিসিবি ম্যানেজার তানভির মাজহার ইসলাম তান্না ছিলেন দলটির ম্যানেজার। তার বলেছিলেন, ‘ভারতের যেখানেই গিয়েছি আমরা, প্রচুর সাড়া পেয়েছি সাধারণ মানুষের। এই ঘটনার পর প্রতিপক্ষ আর অফিসিয়াল নাম ব্যবহার করতে পারেনি। এমনকি মোহনবাগান খেলেছে গোস্টপাল একাদশ নামে। মুম্বাইয়ে- মহারাষ্ট্র একাদশের হয়ে খেলেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মনসুর আলী খান পতৌদি (ভারতীয় অভিনেতা সাইফ আলী খানের বাবা) এবং একটি গোলও করেন তিনি। মুঘলে আজম খ্যাত দিলীপ কুমার এসেছিলেন ম্যাচটি দেখতে এবং এক লক্ষ রুপি অনুদানও দেন দলকে।’

মোট ৬টি ম্যাচ খেলেছে স্বাধীন বাংলাদেশ ফুটবল দল। এর মধ্যে জিতেছে ৩টি, ড্র করেছে ১টি আর হেরেছে দুটিতে। দিল্লীতে আর একটি ম্যাচ খেলতে যাবার ঠিক আগে এল অসাধারণ খবরটি- বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। সেদিন ছিল ১৬ ডিসেম্বর।

(protidinersangbad)

কক্সবাজারে সিএনজি টমটমে বারকোড দেয়া আছে। ক্যামেরা দিয়ে Scan করে ড্রাইবারের Details নিয়ে, কাছের কাউকে ম্যাসেজ দিয়ে রাখবেন...
08/12/2023

কক্সবাজারে সিএনজি টমটমে বারকোড দেয়া আছে। ক্যামেরা দিয়ে Scan করে ড্রাইবারের Details নিয়ে, কাছের কাউকে ম্যাসেজ দিয়ে রাখবেন। যে কোন বিপদ আপদে পরে হেল্প হবে।
২. কক্সবাজার গেলে মেরিন ড্রাইবে অবশ্যই গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যাবেন।
a) প্রথমে থামবেন, Paraselling/দরিয়ানগর পয়েন্টে।
তারপর সরাসরি হিমছড়ি পয়েন্টে।
B)Lunch সেরে নিবেন সাম্পান পয়েন্টে। হিমছড়ির একটু পরে। এই বীচটাতে যেতে হাটতে হবে। কিন্তু খুবই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।
C) তারপর সরাসরি যাবেন, গোয়ালিয়া-মিনি বান্দরবন, রেজুব্রিজের ঠিক আগে, বামের রাস্তা।
D) এটা শেষ করে, বিকালে রেজুব্রিজের নীচে কায়াকিং বা নৌকা ভ্রমন করতে পারেন।
E) রেজুব্রিজ পার হয়ে ৫ মিনিট পরে মেরিন ড্রাইবের যে মোড়টা আছে, এটাকে সোনারপাড়া বীচ বলে। এই বীচটার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এখানে প্রচুর কাকড়া আছে। জেলেরা মাছ ধরছে দেখতে পারবেন।
F) পরের স্পট ইনানী বীচ।
G) রয়েল টিউলিপ বীচ + Water Park
H) পাটুয়ারটেক বীচ।
এ পর্যন্তই সাধারনত পর্য়টকরা যায়। তবে, এই স্পটের পর লোকজনের আনাগোনা কম। গাড়ী কম। তাই

যারা নিজেরা গাড়ী ড্রাইব করেন, তাদের আসল খেলা শুরু এই স্পট থেকে টেকনাফের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত। টেকনাফের দিকে যত যাবেন, বাংলাদেশের মানচিত্রে দেখবেন, লেজ ততই চিকন। তার মানে কি?
কক্সবাজারের পাহাড় এবং সাগর একেবারে কাছাকাছি, মাঝখানে মেরিন ড্রাইব। আপনি ড্রাইব করছেন। আহ্! কি শান্তি। আমি যে কতবার ড্রাইব করেছি এই রাস্তায়। আমার মনে আছে ২০১৭ তে আমার স্কুল বন্ধুরা হঠাৎ বায়না ধরল, আমার গাড়ীতে ঘুরার। রাত তখন ২.৩০ টা।
আমরা কক্সবাজারের এক হোটেলে ছিলাম। বন্ধুদের বললাম, চলো হিমছড়ি থেকে ঘুরে আসি।

কিছুক্ষণ গাড়ি চলার পর, এক বন্ধু বলল, আর কতক্ষণ ? এখনো হিমছড়ি পৌছায়নি?

আমি হেসে বললাম, বন্ধু পাটুয়ারটেক ফেলে এসেছি, অনেক আগে। ঘুটঘুটে অন্ধকার। হঠাৎ, গাড়ি থামিয়ে, স্টার্ট অফ করে দিলাম রাস্তার মাঝখানে।

বললাম, দোস্তরা, গাড়ি সমস্যা দিচ্ছে। সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। আশেপাশে কোন মানুষ নেই। বললাম, কি আর করার দোস্তরা, রাত টা মনে হয় এখানেই কাটাতে হবে, রাস্তার উপর। গাড়ি থেকে সব বের হও।

গাড়ির লাইট অফ! ঘুটঘুটে অন্ধকার। সবাই লাইন ধরে, রাস্তায় শুয়ে আছি চিত হয়ে। পাশেই সাগরের ঢেউয়ের শু শু হাওয়া, উপরে আসমান, ঝলমলে তারা, ভরা পুর্নিমা। আস্তে আস্তে সব ক্লিয়ার হতে লাগলো।

হঠাৎ, এক বন্ধু গাইতে লাগলো। পরে সবাই ধরলো গান। হঠাৎ, একজন বলল, সে একটা গান করবে। গানের শুর করলো- হুক্কা হুয়া হুক্কা হুয়া, আমরা রাতের শেয়াল...

যারা নিজেরা ড্রাইব করে, দামী গাড়ি আছে, কিন্তু মেরিন ড্রাইবে ড্রাইব করেনি- তাদের বলব, আপনার ড্রাইবার হিসাবে জীবন বৃথা।

আমি বছরখানেক আগে Cornwall গিয়েছিলাম, সপ্তাহের জন্য। ওখানকার বীচগুলো কিছুটা Coxsbazar এর মতো। কিছুটা ঢেউ আছে। কিন্তু পানি অনেক ঠান্ডা। নেমেসাতার কাটা যায় না। সাদা লোকজনের চামড়া আমাদের চাইতে ভিন্ন। তারা পারে। আমদের কষ্ট হয়, ঐ পানিতে।

পাটুয়ারটেক কানারাজার গুহার নাম শুনেছেন? মেরিনড্রাইব শামলাপুর বাজার কেন বিখ্যাত জানেন? টেকনাফের কাছাকাছি? সাবরাংয়ে বাচ্চাদের একটা বিশাল পার্ক রয়েছে অনেক খেলনা দোলনা সহ। টেকনাফের কাছাকাছি যেতে মেরিন ড্রাইভে দুপাশে দেখবেন শাড়ি শাগি রং বেরঙের বোট। সিনেমার মতো।

কিছুক্ষণ পর বন্ধুদের নিয়ে রওয়ানা করলাম, টেকনাফ জেটির উদ্দেশ্যে। ভোরবেলা গিয়ে পৌছালাম। জেটি হতে গেলাম, নাফ নদীর উপরে।ঐ তো দেখা যায়, বার্মা।
আসার সময়, একটা টঙের দোকানে দাড়ালাম। সকালবেলা গ্রামের দোকানে বাগগোলা বিক্রি হচ্ছে। আমাদের এক বন্ধুর খিতা নাম- বাগ্গোলা। সেই স্কুলজীবনে হোস্টেলে থাকতাম সবাই। আর কেউ জানেনা, এই নাম, আমরা ছাড়া। দোকানের সামনে গাড়ী থামাতেই, সো দুহাত দিয়ে মুখ লোকালো।

হঠাৎ চেচিয়ে আমাদের অবাক করে দিয়ে বলল, আজ সবাইকে আমি বাগ্গোলা খাওয়াব। বিল আর কেউ দিতে পারবে না। ঐদিকে হোটেল থেকে বাকী বন্ধুরা বার বার কল দিচ্ছিল, ওদেরকে কেন ফেলে আসলাম। আসলে, আমি ও তো প্লেন করি নাই টেকনাফ আসব এত রাতে। কফিলকে বললাম, দোকানের সব বাগ্গোলা কিনে ফেল। গাড়ীতে খাব আর বাকী বন্ধুদের জন্য নিয়ে নিব।

সময় ৭.৩০-৮টা , মেরিন ড্রাইবে উঠলাম। টেকনাফ হতে কক্সবাজার। হঠাৎ উচু পাহাড়ের দিকে সবার দৃষ্টি গেল। পাহাড়ের উপরে ঘন ভারী মেঘের ফাক দিয়ে সুর্যের ঝলক চিকচিক করছে। আহ্! কি অপুর্ব! কি অপুর্ব।

সে ই সৌন্দর্য ছেড়ে, লন্ডন পড়ে আছি শীতের দেশে। Southend on sea, Clacton on Sea, Whistable beach, এগুলো আমার লন্ডনের বাড়ীর কাছে। মাঝে মাঝে যায় বাচ্চাদের নিয়ে। এগুলো নাকি সাগর?

বীচের পাড়ে বসে, শৈশবের কথা ভাবি। লাবনী বীচ, আর বালিকা মাদ্রাসার যে বীচ, আমাদের শৈশবে ঐ দুটি বীচ ই ছিল। বালিকা মাদ্রাসার আর্মি ক্যাম্পের ওখানে, ঝাউবাগানের ভেতর দিয়ে একটা পানির ছড়া ছিল। ওখানেই আমরা সাতার কাটতাম। ঝাউগাছের ঢালে চড়তাম। বয়স তখন ৮-১২ হবে হয়তো। জয়নব্ নামের এক প্রতিবেশী বান্ধবীকে খুব ভাল লাগতো। আমরা বাহারছড়া স্কুলে ক্লাস থ্রিতে পড়ি। কেউ কোনদিন কারো সাথে কথা বলি নি। কিন্তু সবাই জানতো, আমি তাকে পছন্দ করি। সে ও হয়তো করতো।

একদিন শুনতে পেলাম, সে মারা গিয়েছে। ঝাউগাছে উঠে ম্যাকগাইবার ম্যাকগাইবার খেলতে গিয়ে, গাছের ঢাল থেকে জাস্প করেছিল। পড়েছিল নাকি, আর সহপাঠির গায়ে। এবার কক্সবাজার গিয়ে কক্সবাজারে নিজের বাড়ীতে উঠতে পারি নি। আমার চিরচেনা বাহারছড়া মসজিদ, আমার কাছে কত অপরিচিত। এই মসজিদে আমার মক্তব, আমার তাবলিগে হাতেকড়ি। পাকিস্তানী তাবলীগের মুরব্বীদের হতে কত খাবার খেয়েছি। ইশার নামায না পড়ায়, আব্বা মসজিদের পাশে কানে ধরে দাড় করিয়ে রেখেছিল। মসজিদ হতে মানুষ বের হয়, আর আমাকে জিগ্গাসা করে। এই মসজিদের পাশেই কবরস্হনে যয়নব শায়িত। এখনো তার জন্য দোআ করি। জীবনের প্রথম ভাল লাগা।

আপনারা যারা কক্সবাজারে গিয়ে ১/২ দিন থেকে চলে আসেন, তাদের বলব, জীবনে একবার হলে ও পুরা এক সপ্তাহের জন্য কক্সবাজার যান। নিজের বউকে নিয়ে যান। হালাল হলিডে করুন। Spiritual হলিডে করুন। সাগর আর পাহাড়ের মাঝখানে আবিষ্কার করুন নিজেকে আরেকবার। স্রষ্টার কাছে সপে দিন নিজেকে পরুপুর্নভাবে।

সাগরের পাড়ে বসে ভাবুন! জীবনে কি হতে চেয়েছিলেন, কি হলেন, কি হতে চান? কিভাবে হবেন?

এত দুর আসবেন, কিন্তু রিলাক্স করে ঘুরবেন না। হৈ হৈ করে আসবেন, হৈ হৈ করে চলে যাবেন। এর কোন অর্থ হয় না।

ইনানীতে থাকলে ২/৩ দিনে সব স্পট আরাম করে ঘুরতে পারবেন। আর গাড়ী নিয়ে আসলে, আপনাদের অবশ্যই অবশ্যই ইনানীর দিকে থাকা উচিত।
copy

Address

Hazaribag

Telephone

+8801672860867

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ivan Razvy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

DREAM


Other Digital creator in Hazaribag

Show All