MD. Mahfuzur Rahman Raju

MD. Mahfuzur Rahman Raju This page will contain various Professional Motivational articles.

This page all about how to brand yourself, Specially, it will be shown through writing and video in details about how to move forward by overcoming the various obstacles of life.

Never Give Up...
01/01/2025

Never Give Up...

25/12/2024

কখনও কখনও আল্লাহ আপনার সব দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন কারণ বাইরে হয়তো'বা ভীষণ ঝড় হচ্ছে বা হবে যা আপনার মত ক্ষুদ্র মানুষের মাধ্যমে বুঝে উঠা সম্ভব না।

কখনও কখনও আল্লাহ আপনাকে নদীতে ফেলে দেন কারণ আপনার শত্রু সাঁতার কাটতে পারে না।

কখনও কখনও আল্লাহ আপনাকে এমন একটি পর্যায়ে আটকে দেন, যাতে বিপদ এগিয়ে যেতে পারে এবং আপনার কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবে না।

আল্লাহর সময়ই নিখুঁত। তাওয়াক্কুল করুন এবং আল্লাহর কাছে আপনার জন্য যা ভাল তা চাইতে থাকুন।

আমিন।

24/12/2024

💥টক্সিক মানুষ চিনেন?

আপনার খুব ক্লোজ কেউ আছে, যাকে দেখে মনে হয় সবকিছু ঠিকঠাক, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তিনি আপনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

টক্সিক মানুষের উপস্থিতি ধীরে ধীরে আপনার জীবনে বিষের মতো কাজ করে। প্রথমে হয়তো টের পাবেন না, কিন্তু একটা সময় মনে হবে—আপনার চারপাশটা ভারী, মনটা ক্লান্ত।

হঠাৎ একটা দিন বুঝবেন, এই ভারটা আসলে মানুষেরই তৈরি।

কিন্তু কীভাবে বুঝবেন যে কেউ টক্সিক?

এমন কিছু আচরণ আছে, যেগুলো যদি লক্ষ্য করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার জীবনের মানুষটি আসলে আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকারক। চলুন, টক্সিক মানুষের আচরণগুলো একটু ভালোভাবে বিশ্লেষণ করি।

১. সবকিছুতে খুঁত ধরার অভ্যাস

টক্সিক মানুষ এমনভাবে সমালোচনা করে, যেন আপনি কিছুই জানেন না, পারেন না। আপনার ভালো কাজেও তারা ভুল খুঁজে পায়। মজার ব্যাপার হলো, এই সমালোচনা মোটেও গঠনমূলক নয়। বরং, তারা আপনাকে ছোট করার জন্যই এটা করে।

২. কথা দিয়ে আপনাকে বেঁধে ফেলে

তারা এমনভাবে কথা বলে বা কাজ করে যে আপনি নিজের ওপর বিশ্বাস হারাতে শুরু করেন। তারা আপনাকে দোষারোপ করে নিজের সুবিধামতো পরিস্থিতি গড়ে তোলে। সবসময় মনে হবে আপনি তাদের ইচ্ছার ক্রীড়নক হয়ে গেছেন।

৩. আপনাকে সবসময় ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা

তারা আপনার সিদ্ধান্ত বা কাজ নিয়ে সবসময় সন্দেহ প্রকাশ করে। হয়তো আপনি নিশ্চিত ছিলেন একটা বিষয়ে, কিন্তু তাদের কথায় সেটা ভুল বলে মনে হতে শুরু করবে।

৪. তাদের সমস্যার জন্য আপনি দায়ী!

তারা সবসময় ভিকটিম। সব সমস্যার দায় তাদের না, বরং পৃথিবীর! তারা কখনো নিজের দোষ স্বীকার করবে না, বরং আপনাকেই দায়ী করবে। আপনি সবসময় অপরাধবোধে ভুগবেন।

৫. কথায় কথায় অভিযোগ

তাদের চারপাশে সবকিছুই যেন খারাপ। সবকিছুতে তারা অভিযোগ করে। এই নেতিবাচক মানসিকতা ধীরে ধীরে আপনার জীবনেও ছাপ ফেলে।

৬. আপনার অনুভূতি নিয়ে খেলা

তারা কখনোই আপনার সুখ বা দুঃখ নিয়ে ভাবে না। আপনার কষ্ট, আপনার সুখ—কিছুতেই তাদের কিছু যায় আসে না। এমনকি যখন তারা আপনাকে আঘাত করে, তখনও তাদের মনের কোণায় বিন্দুমাত্র মায়া জন্মায় না।

৭. আপনার ভালো দেখলে অস্বস্তি বোধ করা

আপনার সফলতা দেখলে তারা কখনোই আনন্দিত হয় না। বরং ঈর্ষান্বিত হয়। আপনার অর্জনকে হালকা করে দেখা, ঠাট্টা করা বা আপনাকে নিচু করার চেষ্টা তারা চালিয়ে যায়।

৮. আচরণে একধরনের দ্বিচারিতা

একদিন তারা খুব মিষ্টি, আবার পরের দিন হুট করেই দুর্ব্যবহার। এই অস্থিরতা আপনাকে সবসময় একটা মানসিক চাপের মধ্যে রাখে। আপনি বুঝতেই পারবেন না, কখন কীভাবে তাদের সঙ্গে মিশতে হবে।

৯. শুধু নেওয়ার অভ্যাস, কিছুই না দেওয়া

টক্সিক মানুষের কাছে সম্পর্ক মানে শুধু নেওয়া। তারা আপনাকে ব্যবহার করবে, আপনাকে থেকে সুবিধা নেবে, কিন্তু বিনিময়ে কিছু দেবে না।

১০. আপনার ‘না’কে গুরুত্ব না দেওয়া

তারা আপনার ব্যক্তিগত সীমানাকে রেসপেক্ট করে না। আপনার সময়, মতামত বা আরামের কোনো মূল্যই তাদের কাছে নেই।

টক্সিক সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা সহজ নয়, কিন্তু এটা অত্যন্ত জরুরি।

জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই মূল্যবান। এমন মানুষের সঙ্গে সময় নষ্ট করার চেয়ে নিজের মানসিক শান্তি এবং সুখকেই প্রাধান্য দিন।

মনে রাখবেন,

যারা আপনাকে ভালোবাসে, তারা কখনো আপনাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলবে না।

Collected

06/11/2024

সঞ্চয়ের নে*শায় জীবনের স্বাদ হারাবেন না!🟠
চাকরি শুরু করতে না করতেই একদল সহকর্মী তাদের ব্যাংক-ব্যালেন্স, বিত্ত-বৈভবের গল্প শোনাবে। শুনতে শুনতে আপনারও লোভ হবে! তাদের সম্পদের সমপরিমাণ সম্পদ গড়ার জন্য আপনার বেতনের অধিক জমা করার ইচ্ছা জাগবে! যেহেতু আপনারও সুযোগ আছে! তাদের অমুক হয়েছে, তমুক হবে! এবার আপনিও পাল্লা দিয়ে শখ হ*ত্যা করে, পরিবারের সময় ছিনিয়ে নিয়ে সম্পদ জমা করতে শুরু করেছেন! শুধু এটুকু মনে রাখবেন, সামর্থ্যরে অধিক সঞ্চয়ের মনোবৃত্তি জীবনকে সহজ করে না বরং আরো জটিল করে। মানসিক দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা বাড়ায়। মাত্রাতিরিক্ত সঞ্চয়ের ইচ্ছা মানুষকে কঞ্জুস ধরনের কৃপণ করে।

যার কাছ থেকে আপনি সঞ্চয়ের গল্প শুনেছেন তার কাজের বয়স ১৫-২০ বছর। তার শখ ম*রে গেছে। তাকে টাকার নে*শায় ধরেছে। আপনার সীমিত আয়ের সবটাই যদি সঞ্চয়ে মনস্থির করেন তবে মোটামুটিভাবে আপনিও মরে গেছেন। সাধ্যের মধ্যে শখ পূরণের বাসনা যদি না থাকে, নিজেকে সম্পদ জড়ো করার গুদাম মনে হয়, তবে আপনি ঘুষ খাবেন, দুর্নীতি করবেন! মোটকথা নীতিহীন সব কাজের পক্ষে আপনার অবস্থান ও উপস্থিতি থাকবে। কেবল সঞ্চয়ের মনোভাব ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করে না বরং আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। এই সঞ্চয় সঞ্চয় খেলায় মানুষ হাশরও হারায়! কারো সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে সঞ্চয় করা মানেই মানুষ বাছ-বিচারের বোধ হারায়।

এখনো জীবন শুরুই হয়নি অথচ শুধু সঞ্চয় করার নে*শায় পেলে এই জীবনটার রং-রস, গন্ধ স্পর্শ করা হবে না। প্রিয়জন সময়-সঙ্গ পাবে না। অধিকাংশের সঞ্চয় সন্তানদের জন্য। কেননা যারা সঞ্চয় করে তাদের খুব কম মানুষেই নিজের সঞ্চয় ভোগ করতে পারে। ওষুধ-পথ্যে কিছুটা কাজে আসে হয়তো! সন্তানের জন্য সম্পদ সঞ্চয়ের চেয়ে শিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। সন্তান মানুষ হলে তার চেয়ে বড় সঞ্চয় আর নেই।

নীতিপদ্ধতি ভুলে অর্থ কামাই করে তা সন্তানের জন্য সঞ্চয় করলে সেই সন্তান দুঃখের কারণ হবে। এক জীবনে কত অর্থ লাগে? আমাদের যে পরিমাণ লোভ তার সিকিভাগও সুখী জীবনের জন্য লাগে না। অথচ মনুষ্যত্ব খুইয়ে, সামাজিকতা ভুলে, ধর্ম-প্রথা ভেঙে আমরা সম্পদের জন্য শ*য়তানের সঙ্গে রোজ প্রতিযোগিতা করছি। পরিমাণ ভাবছি কি না জানি না। যে সম্পদ রেখে যাচ্ছি, যে সন্তান আমাদের উত্তরাধিকারী তা কিংবা তারা আদৌ কাজে আসবে কি না তা নিশ্চিত না। দুর্নীতিবাজ অভিভাবকদের সন্তানরা বিপথগামী সমাজ সাক্ষ্য দিচ্ছে। যেহেতু ভবিষ্যৎ আছে সেহেতু সঞ্চয় প্রয়োজন। তবে সেটা আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। মাত্রা অতিক্রম করা ঠিক হবে না। সৎভাবে সম্মান নিয়ে জীবিকা নির্বাহের পরে, অপচয় রোধ করে উদ্বৃত্ত অঙ্ক সঞ্চয় করা জরুরি। তবে সেই উৎসে যদি কারো বঞ্চনার হাহাকার থাকে, কারো চোখের পানির মিশেল থাকে কিংবা লেগে থাকে কারো দীর্ঘশ্বাস- তবে তা ধ্বংসের দরজা উন্মুক্ত করবে। বিত্ত-বৈভবের অভাব নেই অথচ সন্তান মানুষ হয়নি- এই জীবনের সব আয়োজন বৃথা। ত্যাগ করে যাদের ভোগের জন্য সম্পদ রেখে যাওয়া হচ্ছে তাদের ধ্বংসের কাজেও এই সঞ্চয় জ্বালানি হতে পারে।

ভো*গবাদীরা টাকাকে দ্বিতীয় ঈ*শ্বর বানিয়েছে। পুঁজিবাদীরা তাতে ঢেলেছে ফুয়েল। অথচ চাহিদার সঙ্গে সক্ষমতা ও নৈতিকতা মিল থাকা জরুরি ছিল। নৈতিকভাবে দেউলিয়া সমাজব্যবস্থা সে সুযোগ রাখেনি। তারা শিখিয়েছে, যেভাবে পার কামাই করো এবং জমাও। দেখিয়েছি, টাকার কাছে ক্ষমতা ও সততা অসহায়। অথচ মানুষের বিচার গুণে-মনে হওয়া উচিত ছিল; টাকাতে নয়।

রাজু আহমেদ: লেখক।
কপি:

30/10/2024

কি ভাবছেন? মাথায় উঠে যাবে?

আমার কাছে সার্ভে ডাটা নেই! তবে এটা সত্যি, কাজের আগ্রহ, মনোবল আর ইচ্ছাশক্তির পঞ্চাশ শতাংশ আসে বসের প্রশংসার থেকে, বাকিটা বেতন, সুযোগসুবিধা এবং কর্মপরিবেশ থেকে।

আমি নিজেই এমন অনেকবার লক্ষ করেছি, “আমি যখন একটা কাজ শেষ করি, আর আমার বস যখন বলে, ““ভেরী গুড। ওয়েল ডান! খুব ভালো করেছো। আমার আত্মবিশ্বাস ছিলো, তুমি পারবে।” তখন আমার খুব ভালো লাগে, নিজের ভেতরে উৎসাহ কাজ করে যে ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে হবে।

কিন্তু যখন অনেক ভালো করার পরেও কেউ সামাণ্য এই প্রশংসাটুকুও করেনা, তখন নিজের ভেতরে একটা মনমরা ভাব চলে আসে, এটা ভেবে যে, দূর করলেই বা কি, না করলেই বা কি? কেউতো এটাকে গুরুত্বই দেয়না। এভাবেই মানুষ ধীরে ধীরে নিজের উপরে আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।

আমরা হয়ত বুঝিনা বা এটাকে এতটা গুরুত্ব দেইনা। অনেক সময়ই ভাবী “দূর একটা গুড বা ভেরীগুড বলাতে কি এমন আসে যায়!” সত্যিই অনেককিছু আসে যায়। এটা একজন মানুষকে তার কাজে উৎসাহ যোগায়, তার কাছে কাজটা গুরুত্বপুর্ন মনে করায়, নিজের ভেতরে একটা সন্তুষ্টি আসে যা ভবিষ্যের জন্য এন্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে।

তাই কেউ ভালো কিছু করলে, অবশ্যই তাকে পুরষ্কৃত করবেন, হোক সেটা চকলেট, ফুল, কোন গিফট। আর কিছু না দিতে পারলেও, অন্তত তাকে ডেকে বা একটা ম্যাসেস দিয়ে বলবেন, “ভেরীগুড। খুব ভালো করেছো”। নাহলে যত ভালো টিম মেম্বারই থাকুক, তুমি ভালো কিছু কখনও পাবেনা।

> আব্দুস সালাম ভাই এর টাইমলাইন থেকে কপি...

27/10/2024

যেদিন থেকে আমি জানতে পেরেছি, আমার রিজিক আমি ছাড়া অন্য কেউ ভোগ করতে পারবে না, সেদিন থেকে আমার হৃদয়ে একটা অদ্ভুত প্রশান্তি তৈরি হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!

সেদিন থেকে আমি কাউকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবিনা, কারও ভালো দেখে আমি কাতর হইনা। জীবনে যা যা পাইনি তার কোনটাই আমার রিজিকে ছিলোনা বিশ্বাস করেছি এবং সেজন্য আফসোস হয়নি আর কোনদিন। আমি একটা শান্তির দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সবকিছু আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিয়েছি।

নিজের রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তার কিচ্ছু নেই। আমার বা আপনার ভাগেরটুকু কেও নিতে পারবেনা, এই অধিকার আল্লাহ তায়ালা কাউকে দেননি।

"রিজিকের ফায়সালা আসমানে হয়, জমিনে নয়"

আর হ্যা! শুধু খাদ্যদ্রব্যই কিন্তু রিজিক নয়!পরিবারের সুখশান্তি, পেশাজীবনের সফলতা, নেক জীবনসঙ্গী, নেক সন্তান, উত্তম আখলাক, টাকা পয়সা, নেককার বন্ধুও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।

23/10/2024

“A positive attitude causes a chain reaction of positive thoughts, events and outcomes. It is a catalyst and it sparks extraordinary results." -Wade Boggs

19/10/2024

#শিক্ষনীয়
যেদিন কেউ চাকরি হারিয়ে চোখের পানি মুছছে, সেদিনও কেউ না কেউ চাকরিতে প্রমোশন পেয়ে দামি রেস্টুরেন্টে ট্রিট দিচ্ছে।

লাইফে কিছু একটা করতে না পারার কারণে যেদিন আপনাকে ছেড়ে কেউ একজন চলে গেছে, সেদিনও কোনো এক প্রতিষ্ঠিত ছেলের কাছে কয়েকটা মেয়ের বিয়ের বায়োডাটা এসেছে।
হাত পা গুটিয়ে বসে না থেকে সিরিয়াসলি এবার লাইফটাকে নিয়ে ভাবুন। আজীবন সময় দিয়েছেন নিম গাছের নিচে। আর এখন বলেন জীবন এত তিতা কেন?

দোষটা কার ছিল? যার কিছু নেই, তার কেউ নেই। ভাঙা সিন্দুকে কেউ টাকা রাখেনা, নষ্ট ঘড়ির কেউ যত্ন নেয়না। এই সিম্পল হিসেবটা কেন বুঝেননা?

আপনি যখন রাত জেগে দুনিয়ার হতাশা লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কমেন্টে সিমপ্যাথি আদায় করছেন, তখন হয়তো অপরপ্রান্তে কেউ রাত জেগে আউটসোর্সিং করছে। আপনি কমেন্টে প্রচুর সিমপ্যাথি পাবেন, আর সে পাবে একাউন্টে টাকা। হিসেবটা খুব সিম্পল- যে যেটার জন্য কাজ করেছে সে সেটাই পেয়েছে।

আপনি যখন স্টুডেন্ট লাইফে বাবার টাকায় বন্ধুদের সাথে মাস্তি করে দামি রেস্টুরেন্টে খেয়ে ফেসবুকে চেক ইন দিতেন, তখন আপনার কোনো এক বন্ধু ক্লাস এসাইনমেন্ট আর নোট নিয়ে ব্যস্ত ছিল। কয়েকটা বছর শেষে ফলাফল - সে এখন বড় কোম্পানির সিনিয়র অফিসার হয়ে যখন দামি রেস্টুরেন্টে অফিশিয়াল মিটিং করে, আর আপনি দুর্বল সিজিপিএ'র সার্টিফিকেট নিয়ে টঙের দোকানে চা খেতে খেতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজেন। এতটুকু পার্থক্যতো হওয়ারই কথা!

যে বয়সে লাইফটাকে আপনার জয় করার কথা,আপনি সে বয়সে করেছেন এনজয়। তাই যখন এনজয় করার সময় তখন বেকারত্ব জয় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন; এনজয় তো অনেক দূরের বিষয়।

আপনার বন্ধু যখন বিসিএস ক্যাডার কিংবা ব্যাংক অফিসার হয়ে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছে, আপনি তখন টিকে থাকার জন্য সামান্য একটা চাকরিই খুঁজছেন। কারণ আপনি যখন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ডেটিং করতেন, আপনার এই বন্ধুটিই তখন ক্লাসে বসে নোট করত। আজ আপনার ডেটিং পার্টনার গুলো একটাও নেই। তারা আজ প্রতিষ্ঠিত কারো লাইফ পার্টনার।

দিন শেষে হতাশ হয়ে বলেন -'শালার, ভাগ্যটাই খারাপ'! No dear, You are totally wrong. আপনার ভাগ্য আজ আপনাকে এখানে আনেনি, আপনিই আপনার ভাগ্যকে এতো নিচে নিয়ে এসেছেন। বাড়ির পাশে ময়লা ফেলে তা থেকে কিভাবে ফুলের সুবাস আশা করেন? কাজ যা করেছেন রেজাল্টও তাই।
সুতরাং সময় থাকতেই যেন আমরা সময়ের মূল্য বুঝি। কারণ প্রত্যেকটি মুহূর্তই জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।
সংগৃহীত

08/07/2024

বিক্রয় পুরোপুরি সংখ্যানির্ভর এবং প্রত্যাখ্যান থেকেই ভালো কিছুর শুরু হয় সব সময় মনে রাখুন।বিক্রয়ের পেছনের বিজ্ঞানকে বুঝতে চেষ্টা করুন। এটাই স্বাভাবিক যে, যত সংখ্যক মানুষের কাছে আপনি যাবেন, তার মধ্যে থেকে কেবল কিছুসংখ্যক মানুষ আপনার পণ্যটি কিনবে। এই কিছু সংখ্যক লোকের কাছে বিক্রি করাই আপনার মূল উদ্দেশ্য। দেখা যাবে, প্রায় ৯৬ শতাংশ লোকই আপনাকে প্রত্যাখ্যান করবে। কিন্তু প্রত্যাখ্যান মানেই ব্যর্থতা নয়। অন্তত আপনি নতুন একজন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। এই সম্পর্ককে বিভিন্ন উপায়ে নিজের কাজে লাগান। ব্যাপারটি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখুন।

পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে চেষ্টা করবেন না; সমাধান বিক্রি করুন।

বিস্তারিত কমেন্টে...
28/05/2024

বিস্তারিত কমেন্টে...

19/05/2024

দুধ খারাপ হলে দই হয়ে যায়। দই দুধের চেয়ে দামি। যদি এটা আরো খারাপ হয়, এটা পনির হয়ে যায়। দই এবং দুধের চেয়ে পনিরের মূল্য অনেক বেশি।

আর আঙুরের রস টক হলে তা ওয়াইনে রূপান্তরিত হয়, যা আঙ্গুর রসের চেয়েও দামী। তুমি খারাপ না কারণ তুমি ভুল করেছ। ভুল হল সেই অভিজ্ঞতা যা আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে আরো মূল্যবান করে তোলে।

ক্রিস্টোফার কলম্বাস একটি নেভিগেশন ভুল করেছেন যা তাকে আমেরিকা আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর ভুল তাকে পেনিসিলিন আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে।টমাস আলভা এডিসন কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনি জীবনে ভুল করেছেন? তিনি বলছিলেন, 'অসংখ্যবার!' তা শুনে প্রশ্নকর্তা বলেছিলেন, 'তাহলে তো আপনার মাথায় বুদ্ধি কম?' উত্তরে এডিসন যে উত্তর করেছিলেন তা এমন, 'মাথায় বুদ্ধি কম ছিলো কিন্তু অসংখ্যবার ভুল করার কারণে তা বেড়ে অসংখ্য গুণ হয়ে গিয়েছে!'

ব্যাপারটা এমন, প্রতিবার ভুলের পর এডিসন নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতেন । এভাবে সৃষ্ট সফল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে।

কানাডিয়ান বিখ্যাত লেখক রবিন শর্মা বলেছিলেন, 'ভুল বলে কিছু নেই সবই নতুন শিক্ষা।'

বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'কেউ যদি বলে সে কখনো ভুল করেনি, তার মানে সে কখনো চেষ্টাই করেনি।'

'How to change a life' বইটি একবার দ্বিতীয় সংস্করণে নামের ভুলে 'How to change a wife' হয়ে বের হয়েছিলো, তারপর তা বেস্ট সেলার !

কথায় আছে, মাঝে মাঝে ভুল বলো নাহলে তুমি বুঝতে পারবে না লোকে তোমার কথা শুনছে কি না !

মাঝে মাঝে ভুল লিখো তাহলে যে তোমাকে জিন্দেগীতে কমেন্ট করবে না বলে পণ করেছে সে ও কমেন্ট করবে।

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, 'উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের একটি সমন্বিত পক্রিয়া।'

বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, 'নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।'

কলিন পাওয়েলের মতে, 'যোগ্য নেতা জন্ম নেয় না তৈরী হয় চেষ্টা, ভুল এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।'

অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ মাইকেল জর্ডান বলেছিলেন, 'আমি অসংখ্যবার ভুল করেছি এবং ফেইল করেছি বলে আমি আজ সফল।'

হেনরি ফোর্ড বলেছিলেন, 'ভুল হলো একমাত্র সুযোগ যার মাধ্যমে নতুন করে শুরু করার আরো সুযোগ পাবেন।'

এক প্রেমিকের ভাষ্য, 'ভুল মানুষের প্রেমে পড়া মানে আরেকটি শুদ্ধ মানুষের প্রেমে পড়ার অন্যতম সুযোগ।'

কথায় আছে, সত্যিকার মানুষ কখনো নির্ভুল হতে পারে না!

যদি সবকিছু নির্ভুল থাকে তাহলে তুমি কখনো কিছু শিখতে পারবে না!

পেন্সিল মানসিকতা হওয়ার চেষ্টা করো, যাতে ভুল হলে পিছন দিয়ে ঘষে মুছে নতুন করে চেষ্টা করার সুযোগ থাকবে! মুছা না গেলে চিত্র হয় না!

কলম মানসিকতার মানুষগুলো নিজেকে নির্ভুল ভাবে ! তাই কলম দিয়ে সুন্দর চিত্র হয় না!

তাই আসুন আমরা ভুল কে ভুলে গিয়ে আবার নতুনভাবে চেষ্টা করে ফুলের মত জীবন গড়ি।
আপনার ভুলগুলিকে আপনাকে নীচে নামাতে দেবেন না। এটি অনুশীলন নয় যা নিখুঁত করে তোলে। আমরা ভুল থেকে শিখি যা নিখুঁত করে তোলে!

শুধু মাত্র আপনার চিন্তাধারার পরিবর্তন করলেই আপনি পরিবর্তন হয়ে যেতে পারেন।কিভাবে? মাঝে মাঝে নিজের পুরনো জিনিস গুলো মুছে ফ...
08/05/2024

শুধু মাত্র আপনার চিন্তাধারার পরিবর্তন করলেই আপনি পরিবর্তন হয়ে যেতে পারেন।

কিভাবে?

মাঝে মাঝে নিজের পুরনো জিনিস গুলো মুছে ফেলে নতুন জিনিস ইনপুট করুন। (আমাদের মাথার মধ্যে যে মেমোরি থাকে)

অতিতের খারাপ সময়ের কথা মনে করে নিজের বর্তমান সময় নষ্ট করার কোন মানে নেয়।

নিজের মধ্যে পজেটিভ নিয়ে আসা অনেকটা বীজ বুনার মত। প্রতিনিয়ত তাকে দেখভাল করতে হয় ।

ফোকাস করুন সব সময় পজেটিভ বিষয় গুলো। কি করতে হবে কিংবা কি করা উচিত এসব ভাবনার থেকে "এখন কি করি" সেই বিষয়কে ফোকাস করুন।

ভবিষৎত এ কি হবে? সেটা ভেবে বর্তমান এর মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না। আপনার বর্তমান সময়কে গুরুত্ব দিন। বর্তমানের প্রতিটা দিনকে টার্গেট করে জীবনকে পরিচালনা করুন। দেখবেন আপনার ভবিষৎত এমনি এমনি ভালো হয়ে যাবে।

আলহামদুলিল্লাহ্‌
প্রতিটা সময় ভালো থাকুন
প্রতিটা দিন ভালো থাকুন
আর পজেটিভ থাকুন...আল্লাহ ভরসা

26/03/2024

"চিঠি"

উৎসর্গ : স্বাধিনতা যুদ্ধে শহীদরা, যাদের জন্যে আজ আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি, যাদের জন্যে আজ আমরা বাংলায় কথা বলছি...

05/03/2024

👉 সম্পদ নাকি দায়?

জাহিদ সাহেব বেসরকারি একটা জব করেন। বেতন ৬০ হাজারের মতো। বিয়ের বাজারে তার বেশ কদর। তিনি ভার্সিটির সেকেন্ড ইয়ারে পড়ুয়া একটা মেয়েকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করলেন। চাকরিজীবীরা বিয়ের বাজারে বেশি সুন্দরী মেয়ে পায়।

যাই হোক, বিয়েতে জাহিদ সাহেব ৮সেট সুপের বাটি উপহার পেয়েছেন। মেস ছেড়ে দিয়ে নতুন বাসা নিয়েছেন দুই রুমের। এখন এই সব বাসন বাটি সাজিয়ে রাখার জন্য একটা শোকেস না হলেই নয়।

৩০০টাকার সেটের বাটির জায়গা দিতে জাহিদ সাহেব এবার ৫০ হাজার টাকা দিয়ে শোকেস অর্ডার করলেন। জাহিদ সাহেবের দুই রুমের বাসা। ১৫ হাজার টাকা ভাড়া। ৭৫০ স্কয়ার ফিট। তার মানে প্রতি স্কয়ার ভাড়া ২০টাকা করে। একটা শোকেস প্রায় ১২ স্কয়ার ফিট জায়গা নেয়। তার মানে এই শোকেস বাসায় রাখতে আপনাকে ২৪০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে।

শোকেসে ৪টা তাক। এক তাক পুরোটা জুড়ে জাহিদ সাহেবের সুপের বাটি। তার মানে সুপের বাটি পালতে জাহিদ সাহেবকে মাসে ৬০টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। বছরে ৭২০টাকা। অথচ বিয়ের আজ ৫ বছর, জাহিদ সাহেব আজো কোনদিন বাসায় রান্না সুপ সেই সুপের বাটিতে খাননি।

এটাই আমাদের অনেকের পরিবারের চিত্র।

দায়কে আমরা আদর করে পালি, আর সম্পদকে দূরে ঠেলে দেই...🫵
লেখা: নিয়াজ আহমেদ
সিভি ইঞ্জিনিয়ার

04/03/2024

মাথাই নষ্ট। কি বিরল প্রতিভা নিয়েই না মানুষ জন্মেছে! একজনকে দেখলাম মুখ দিয়ে সিগারেট টানছেন আর কান দিয়ে ধোঁয়া বের করে দিচ্ছেন। বেজায় ভীড় সেখানে। টাসকি খাওয়া আরেকটু বাকি ছিল। দেখি, পুকুরপাড় জুড়ে অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। ব্যাপারটা কি বোঝার জন্য আমিও দাঁড়ালাম। সে এক ভয়ানক ব্যাপার। ষাটোর্ধ এক ব্যক্তি পুকুরে নেমে মুখ দিয়ে পানি ভরছেন, এরপর পানিতে ডুব দিচ্ছেন, তারপর নাঙ্গা পশ্চাদখানি উপরের দিকে দিয়ে পিচকারির মত সেই পানি বের করে দিচ্ছেন। মুহুর্মুহু করতালিতে পুকুরপাড় সরগরম হয়ে উঠেছে। মানুষের এই সমস্ত বিরল প্রতিভা দেখে আমার চোখ ছলছোলিয়ে উঠলো । আহারে, কি অমিত প্রতিভা দিয়েই না স্রষ্টা মানুষকে তৈরি করেছেন। বিশেষ করে বাঙ্গালীদের। রীতিমতে গর্বে বুকটা ভরে উঠলো ।

এরপর মনটা একটু খারাপও হয়ে গেল। ভাবলাম, আমি এক ভেরেন্ডা। এ জীবনে কিছুই পারলাম না। আফসোস!

আমার মত এইরকম আফসোস করা লোকের অভাব নাই। জীবনে কিছুই হলো না এই কথা ভাবতে ভাবতেই তাদের দিন কেটে যায়। নিপুন ভাষায় কঠিন কঠিন শব্দ চয়ন করে প্রথমত বাপ-মায়ের গুষ্টি উদ্ধার করেন, এরপর গুষ্টি উদ্ধার করেন উপরওয়ালার। আজ জমিদার বংশে না জন্মানোর কারণে, মন্ত্রীর বেটা না হওয়ার জন্য, শিল্পপতি দুলাভাই না থাকায় জীবনে কিছুই হলো না এই আফসোস অন্তত ৮০% লোক প্রতিনিয়তই করে যাচ্ছেন। আমিও তার ব্যতিক্রম না। একটা গাড়ি কিনতে পারলাম না, একটা বাড়ি নাই, ঐশ্বরিয়া রায়ের মতো একটা বউ নাই, এইসব নানান অভাব অনটনে আমার দিন কাটছে। তারপর আরো চিন্তা করি, আমেরিকায় জন্মাইনি জন্য আমার প্রতিভার কোন মূল্যায়ন হলো না। পকেটে কাড়ি কাড়ি টাকা নাই জন্য আমার মত বিদগ্ধ লোকের সমাজে সম্মান নাই, বউয়ের কাছে মর্যাদা নাই, মায়ের কাছে আদর নাই, সমাজে কদর নেই। আরো কত কি যে মাথায় ঘোরে, তার ইয়াত্তা নাই। খালি, নাই আর নাই।

একবারও ভাবি না, যা পেয়েছি তা ঢের বেশি। ইদানিং অবশ্য একটু একটু ভাবতে শুরু করেছি। বয়স অ্যারাউন্ড ফোর্টি কিনা। জগতের যত মহামনীষী, আদর্শ মানবেরা সকলেই এই বয়সে নিগুঢ় তত্ত্বের সন্ধান পেয়েছেন । নবীজির নবুওয়াত প্রাপ্তি কিংবা গৌতম বুদ্ধের বোধি জ্ঞান সবই প্রায় এই বয়সেই। আমার বেলায় ব্যতিক্রম হবে কেন? তাই বোধ হয় একটু আধটু আমারও টনক নড়ছে ।

আমার স্কুলের এক সময়ের তুখোড় ছাত্র আজ মুদিখানার দোকানদার। চরম সুরেলা কোকিলকন্ঠী বান্ধবী গান ছেড়ে এখন হেঁসেল পারে হাড়ি ঠেলে। বিদ্যুতের গতিতে দৌড়ে চলা স্কুলের চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলেট এখন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলা বন্ধু এখন কাপড়ের দোকানদার। সর্বগুণে গুণান্বিত অলরাউন্ডার বন্ধু নেশাসক্ত।

আবার বিপরীত চিত্রও আছে। স্কুলে যে ছেলেটা উল্লেখযোগ্য কোন স্থানেই ছিল না সে এখন প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা। একটু সহজ সরল আর বোকা সোকা যে বন্ধুটাকে আমরা গর্ধব বলে ডাকতাম, সে নিজেকে বদলে ফেলেছে আপাদমস্ত । স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর পর থেকে তার যে সাফল, তা রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেবার মত। স্কলারশিপ নিয়ে চলে গেছে দেশের বাইরে। মাঝারি মানের ছাত্রী, যে বান্ধবীটাকে সবাই আমরা মিস ভুলন দেবী বলে ডাকতাম, সে এখন দস্তুর ডাক্তার। ম্যাথ যার মাথায় ঢুকতো না সে এখন রীতিমত পিএইচডি হোল্ডার। না, কেউ তাদের করুনা করেনি। শ্রম মেধা যোগ্যতা আর সময়ের সদ্ব্যবহার এই কয়েকটি গুণই তাদের নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। সুনাম ও দাপটের সাথে যার যার কর্ম ক্ষেত্রে তারা আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন।

তবে কি যারা ডাকসাইটে চাকরি করছেন, সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তারা সফল আর অন্যরা বিফল? মোটেও না। যে বন্ধুটা আজ টাকার পাহাড় গড়েছে, শুনলাম তার নাকি বউ চলে গেছে। যে বান্ধবীটা আজ সমাজের চোখে অনেক প্রতিষ্ঠিত, তার স্বামী নাকি রীতিমতো পাড় মাতাল। যে বন্ধুটা সকাল বিকাল রোগী দেখতে দেখতে চুল পাকিয়ে ফেলছে, তার সন্তানটাই নাকি স্পেশাল চাইল্ড। টাকার পাহাড়ের শুয়ে যে বান্ধবী বিলাসবহুল জীবনযাপন করে, তার নাকি কোলন ক্যান্সার।

অন্যদিকে মুদির দোকানদার বন্ধুর ছেলেটা নাকি বুয়েটে চান্স পেয়েছে। হেঁসেল ঘরে যে রাধুনী বান্ধবী শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তার মেয়েটা নাকি উদীয়মান শিল্পী হিসাবে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছে। ইলেকট্রিক মিস্ত্রি অ্যাথলেট বন্ধুর ছেলেটা নাকি অলিম্পিকের বাছাই পর্বে চান্স পেয়েছে। স্পেশাল চাইল্ড বাবুটার আঁকা ছবি নিয়ে নাকি ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারিতে রীতিমতো হইচই।

কি অদ্ভুত পৃথিবীর নিয়ম তাই না? সে নিজেই একবার শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছে আবার নিমিষেই খাড়িতে নামিয়ে দিচ্ছে। এটাই পৃথিবীর খেলা। সে চলে তার আপন ছন্দে, আপন গতিতে। আমরা শুধুমাত্র তার খেলার উপাচার। ভাঙ্গা আর গড়া, এটাই প্রকৃতির খেলা। এই খেলা নিখাদ। এখানে কোন কপটতা নাই, নাই কোন তোষণের সুযোগ। শূন্যকে পূর্ণ আর পূর্ণকে শূন্য করাই নিয়তি। আপাতদৃষ্টিতে যাকে সফল মনে হচ্ছে, ভেতরে ভেতরে হয়তো শূন্যতা তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আবার, যাকে দেখে দীনহীন মনে হচ্ছে, তার চোখ জুড়ে রয়েছে প্রশান্তির ঘুম।

কাজেই, কি হবে এত সাত পাঁচ ভেবে? জীবন একটাই। উপভোগ করা না করা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। ভালো থাকতে হবে, ভালো রাখতে হবে। এর বিকল্প নাই। জীবন ফুরিয়ে যাচ্ছে।

অহং এর মেকি মুখোশ খুলে ফেলে দিয়ে পথে নামুন।গলা ছেড়ে গান গান। শিশুর মতো উদ্দাম নৃত্যে মেতে উঠুন। অন্তর আত্মার কথা শুনুন। বিবেকের সাথে বেইমানি ছেড়ে দিন। দেখেন, জীবন কতটা সুন্দর। দ্বিচারিতা আর আত্মপ্রবঞ্চনার চেয়ে বড় অন্তর্দহন আর নাই। জীবনকে ধোঁকা দিলে, আত্মাকে কষ্ট দিলে, পথ হারাবেন । আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘরেরও সাধ্য নেই যে, সেই ঘোর অমানিশায় আপনাকে পথ দেখায়।

আত্মাকে মুক্তি দিন। সাফল্যের দাসত্ব থেকে বেরিয়ে সারল্যের দীঘিতে ডুব মারুন ।

Life is beautiful

From dust I came
Dust I be

লেখা: আশিষ বিন হাসান
পুলিশ সুপার

নো ক্যাপশন ♥️
29/02/2024

নো ক্যাপশন ♥️

আইডিয়া
29/02/2024

আইডিয়া

14/02/2024

জব সিকিউরিটি!

মানুষের জীবনের যেখানে সিকিউরিটি নাই, সেখানে জবের সিকিউরিটি থাকবেনা, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে বড় ব্যাপার হলো, “থিংকিং ও ইনসিকিউরিটি” আমাদের ভেতরে একটা বড় ধরনের মানসিক চাপ তৈরি করে, যা আমাদের কর্মদক্ষতাকে নষ্ট করে।

সারাক্ষন যদি একটা হারানোর ভয় আপনাকে তাড়া করে বেড়ায়, সেখানে আকঁড়ে থাকা, স্থায়ীভাবে কিছু করা, স্বাধীনভাবে চিন্তা করার সুযোগ থাকেনা, আসেনা। মানুষ তখন দুঃচিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে কিংবা সিকিউরিটির জন্য সুযোগ খুঁজে।

প্রাইভেট জবে সিকিউরিটি নাই এটা সবাই জানি, তবে টিম লিডার হিসাবে কর্মপরিবেশটা এমনভাবে নিশ্চিত করা উচিত যে, কখনওই কোন কর্মী যেন সেটা ফিল না করে, যে আমার জবটা ইনসিকিউরট, যেকোন সময় চলে যেতে পারে। অন্তত এতটুকু সাহস দেওয়া উচিত যে, ভয় পেওনা, আমি সব সামলে নিবো, যদি না পারি অন্যত্র ব্যবস্থা করে দিবো।

আর একজন কর্মী হিসাবে এই থিংকিং ও ইনসিকিউরিটি কাটিয়ে ওঠার একমাত্র পথ হলো, নিজেকে দক্ষ ও সব পরিস্থিতির জন্য যোগ্য হিসাবে তৈরি, যাহাতে যেকোন পরিস্থিতিতে মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য নিজেকে কাজে লাগানো যায়। তাহলে খারাপ সময়ের জন্য ভীতসন্ত্রস্ত থাকতে হবেনা। সর্বদাই তুমি একটা ফ্রেস মুডে থেকে নিজের যোগ্যতা প্রমানের জন্য কাজ করে যেতে পারবে।

লেখা: আব্দুস সালাম
ক্যারিয়ার কোচ
থিংকিং এন্ড রাইটার

Address

Agargaon
Dhaka
1207

Telephone

+8801672080804

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD. Mahfuzur Rahman Raju posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MD. Mahfuzur Rahman Raju:

Videos

Share