Humaira's Diary

Humaira's Diary Hasbun Allahu wa ni'mal wakeel
(16)

02/01/2024

পুরুষের টাখনুর নিচে কাপড় পড়া হারাম।
(বুখারী--৫৭৮৭)
মহিলাদের টাখনুর উপর কাপড় পড়া হারাম।
(তিরমিযী--১৭৩১)

এই পাপ টিকে আজকাল আমরা পাপ ই মনে করিনা ( নাউজুবিল্লাহ) ।
ফ্যাশান যেনো আমার/ আপনার জাহান্নামের কারণ না হয়ে যায় খেয়াল রাখবেন।
আল্লাহ আমাদের আমল করার তৌফিক দান করুন.. আমিন!!

21/12/2023

Sunsets

20/12/2023
🤲সন্তান-সন্তুতি দানের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তা’আলার হাতে। আল্লাহ তা’আলা মানুষকে যত চাহিদা ও আকর্ষণ দান করেছেন, তার মধ্যে...
17/12/2023

🤲সন্তান-সন্তুতি দানের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তা’আলার হাতে। আল্লাহ তা’আলা মানুষকে যত চাহিদা ও আকর্ষণ দান করেছেন, তার মধ্যে সন্তান-সন্তুতির আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। সুতরাং প্রত্যেক মানুষের উচিত আল্লাহ তা’আলার নিকট নেক সন্তানের কামনা করা।
🤲হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম বার্ধক্য পর্যন্ত নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি দেখতে পেলেন আল্লাহ তাআলা ফলের মৌসুম ছাড়াই হজরত মারইয়াম আলাইহিস সালামকে ফল দান করে রিজিকের ব্যবস্থা করেন। তখন তাঁর মনে সন্তানের জন্য সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠল। তিনি সাহস পেলেন যে, আল্লাহ বৃদ্ধ দম্পতিকেও সন্তান দান করতে পারেন। তাই তিনি আল্লাহর দরবারে উক্ত দুআ’টি করেন।
🤲দু’আটি হচ্ছে এই-(রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা জুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাতান, ইন্নাকা সামিউ’দ দুআ’ই (সূরা আল-ইমরান : আয়াত ৩৮)
অর্থাৎ হে আমাদের প্রভু! আপনার নিকট থেকে আমাকে পূত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা কবুলকারী।
📿সুতরাং আমরা সন্তান-সন্তুতি কামনায় দুনিয়ার কোনো মানুষের কাছে সন্তান কামনা করব না। কোনো অবৈধ ও অনৈসলামিক উপায় অবলম্বন না করে আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করে উক্ত দুআ’টি নিয়মিত পাঠ করি। আল্লাহ আমাদের নেক সন্তান দান করবেন।ইনশাআল্লাহ.
আল্লাহ আমাদেরকে কুরআনের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

15/12/2023

শিশুকে নতুন খাবার কিভাবে দিবেন ❓

শিশুর ৬ মাস বয়স হলে বুকের দুধের পাশাপাশি দুইবেলা বেলা বাচ্চাকে বাড়তি খাবার দিতে হবে। এই বাড়তি খাবার হতে পারে ফলের পিউরি ,সবজি পিউরি, ওটস ভাতের মাড় পাতলা ডাল আয়রন সুজি ,স্যুপ ঝাউভাত ।সাত মাস থেকে চাল, ডাল, সবজি, দিয়ে খিচুড়ি দেওয়া শুরু করবেন, পাশাপাশি নরম ভাত সবজি দিবেন , ফল (কলা/আপেল/পাকা পেঁপে/মৌসুমি ফল চটকে) ইত্যাদি। নতুন খাবার শুরু করার সময় সচেতন থাকতে হবে কিছু বিষয়ে।

● প্রথমে ২ বা ৩ চামচ করে খাবার একদম পিষে (দইয়ের মতো থকথকে হবে, কিন্তু স্যুপের মতো পাতলা নয়) শুরু করতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে বাড়িয়ে প্রতি বেলা ১ কাপের চার ভাগের এক ভাগ (৬৫-৭০ মিলি) করে ৩ বেলা দিতে হবে।

● সব খাবার একবারে শুরু করতে যাবেন না❌একটা একটা করে যোগ করতে হবে। যেমন চাল + ডাল, এরপর চাল + ডাল + একটা সবজি, তারপর চাল + ডাল + একটা সবজি + মুরগির মাংস—এভাবে। যেকোনো নতুন খাবার শুরু করে দুই–তিন দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে, পাতলা পায়খানা বা কোনো অ্যালার্জি হয় কি না।

● ৯ মাস বয়স থেকে আধা কাপ (১২৫ মিলি) ভারী খাবার ৩ বেলা ও ২ বেলা হালকা নাশতা দিতে হবে। ১ বছর বয়স থেকে ৩ বেলা ১ কাপ (২৫০ মিলি) ভারী খাবার ও ২ বেলা নাশতা।

👉ডিমের সাদা অংশ, গরু অথবা খাসির মাংস (রেড মিট), কলিজা, চর্বিযুক্ত খাবার ১ বছর এবং গরুর দুধ ২ বছর বয়সের পর দিতে হবে।
❌সতর্ক থাকুন ❌

■ বাচ্চার খাবার কখনো যেন শুধু চাল বা গমের সুজি না হয়। প্রতিদিন গাজর বা মিষ্টিকুমড়া না দিয়ে সপ্তাহে দুই–তিন দিন দেবেন।

■ বাচ্চার খাবারে ১ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো আলাদা লবণ, চিনি বা মিছরি দেওয়া যাবে না।

■ প্রিজারভেটিভ ও রংযুক্ত খাবার, কোলাজাতীয় খাবার, ফাস্টফুড দেওয়া যাবে না।

■ টিভি, মোবাইল, কম্পিউটার দেখিয়ে কখনো বাচ্চাকে খাওয়ানো উচিত নয়।

■ বাচ্চার পেছনে খাবার নিয়ে লেগে থাকবেন না। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে যতটুকু খায়, তা শেষ করে দিতে হবে। প্রতি বেলা খাবারের মধ্যে তিন–চার ঘণ্টা ব্যবধান থাকতে হবে।

08/12/2023

#জীবনের Success কি??
এক মৃত ব্যক্তির পকেট থেকে পাওয়া অসাধারণ একটি চিঠি :
যখন জন্মালাম বাবা মা ভাবল এটা তাদের "Success"!

যখন হাঁটতে শিখলাম মনে হল এটাই success!

যখন কথা বলতে শিখলাম মনে হল এটাই success!

এরপর স্কুলে গেলাম, শিখলাম first হওয়াটা বা সবার চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়াই success!

এরপর বুঝলাম, না, আসলে মাধ্যমিকে স্টার পাওয়াটাই success!

ভুল ভাঙল, বুঝলাম উচ্চমাধ্যমিকে এই রেজাল্টটা ধরে রাখাই success!

এখানেই শেষ নয়, এরপর বুঝলাম ভালো সাবজেক্ট নিয়ে ভালো কোনো জায়গায় চান্স পাওয়াটাই success, যেটা পড়লে একটা ভালো চাকরি পাওয়া যাবে।

আরো পরে বুঝলাম যে, পড়া শেষে ভালো চাকরী পাওয়া এবং অনেক রোজগার করাটাই success।

এরপর বুঝলাম, নিজের টাকায় একটি ছোট বাড়ি করাই success।

পরে বুঝলাম, সেটাও নয়, নিজের টাকায় এরপর গাড়ি কেনাটাই আসল success!

আবার ভুল ভাঙল, এরপর দেখলাম ভাল দেখে বিয়ে করে সুখে সংসার করাটাই আসল success।

বছর ঘুরলো, দেখলাম আসলে বিয়ে করে বংশধর এনে তাকে ভালো ভাবে বড় করাটাই success, ছেলে হলে তাকে প্রতিষ্ঠিত করাটাই success, মেয়ে হলে একটা ভালো ফ‍্যামেলীর ভালো চাকুরীর ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়াটাই success।

এরপর এলো আমার রিটায়ারমেন্ট, সারা জীবনের জমানো টাকার সঠিক investment করে utilization করতে পারাই success!

এরপর যখন সবাই মিলে একাকী কবরে রেখে মাটি চাপার প্রস্তুতি নিল, মরার একটু আগেই বুঝলাম, পৃথিবীতে success বলে কোন কিছুই স্থায়ী লক্ষ্য নেই!

পুরোটাই এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের তৈরী করা একটা competition। যার মূলে আছে আকাশ ছোঁয়া আকাঙ্খা, যা কখনো পূর্ণ হবার নয়।

তখন বুঝতে পারলাম এর থেকে জীবনের প্রতিদিন বা প্রতি মূহুর্ত আনন্দের সঙ্গে সুস্থ থাকা ও অন্যের জন্য কাজ করতে পারাই success এর মূল লক্ষ্য হলে অনেক ভালো হতো!
কিন্তু এটা বুঝতে অনেক দেরী করে ফেলেছি।

জীবন কে খুঁজুন, জীবন কে বুঝুন!

07/12/2023

চারটি বিষয় মাথায় রেখে দুরুদ পড়ুন, আপনার দুরুদের প্রতি আকর্ষণ বাড়তেই থাকবে ইনশাআল্লাহ।

১) আপনি যখনি রাসূল (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর দুরুদ পড়েন, সাথে সাথে একজন ফেরেশতা রাসূল (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে গিয়ে আপনার নাম বলে। হ্যাঁ, স্বয়ং রাসূল (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে আপনার "নাম" বলে।

২) রাসূল (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি একবার সালাম পাঠালে, স্বয়ং আল্লাহ, হ্যাঁ স্বয়ং আল্লাহ, আপনার উপর ১০ বার সালাম পাঠান।

৩) অবিরত দুরুদ পড়লে আপনার সমস্ত সমস্যার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ নিয়ে নেন। এমনকি যদি আপনি ঐসব সমস্যার জন্য আলাদা করে দুআ না ও করেন।

৪) আপনি তার প্রতি সালাম পাঠাচ্ছেন, যিনি শুধুমাত্র আপনাকে আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বারবার রক্তাত্ত হয়েছিলেন। যার সামনে তার প্রিয় সাহাবীদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

*** সাথে যোগ করুন অবিরত ইস্তেগফার, এবং দুআ ইউনুস। আপনার জীবনে মিরাকেল আসতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ।

06/12/2023

*আল্লাহ তা'য়ালা ৭ টি গুণ পছন্দ করেনঃ*

*১. তওবাঃ*
"আল্লাহ তওবাকারীকে ভালোবাসেন"
(বাকারাহ, ২২২)

*২. তাহারাত (পবিত্রতা)ঃ*
"যারা পবিত্র থাকে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন"
(বাকারাহ, ২২২)

*৩. তাক্বওয়া (আল্লাহ ভীতি)ঃ*
"নিশ্চই আল্লাহ মুওাকিদের ভালোবাসেন"
(তওবাহ, ৪)

*৪. ইহসানঃ*
"আল্লাহ নেককারদের ভালোবাসেন"
(আল ইমরান, ১৩৪)

*৫. তাওয়াক্কুলঃ*
"নিশ্চই আল্লাহ ভালোবাসেন তার উপর ভরসাকারীদের"
(আল ইমরান, ১৫৯)

*৬. ন্যায়বিচারঃ*
"আল্লাহ ন্যায়বিচারকারীদের ভালোবাসেন"
(মায়িদাহ, ৪২)

*৭. সবরঃ*
"আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন"
(আল ইমরান, ১৪৬ )

সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার মনোনীত বান্দা হওয়ার তাওফিক দান করুক৷

আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন। আমিন।

# সংগৃহীত

06/12/2023

*ফরজ সালাতের পর পঠিতব্য দোয়াসমূহ বা যিকির :*

(১) আস্তাগফিরুল্লাহ (৩বার)
অর্থ:আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
মুসলিম, ইফা, হা/১২১০, হাএ হা/১২২১ মিশকাত হাএ হা/৯৬১)

(২) আল্লাহুম্মা আনতাস সালা-মু, ওয়া মিনকাস সালা-মু, তাবা-রাকরা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থ:হে আল্লাহ! তুমি শান্তি বিধায়ক। আর তোমার থেকেই শান্তির ধারা প্রবাহিত হয়। তুমি বরকত দান কর, তুমি মহিমান্বিত ও সম্মানের অধিকারী। (মুসলিম ইফা হা/১২১১, হাএ হা/১২২২, আবুদাউদ হা/১৫১২, নাসায়ী হা/১৩৩৭, ইবনে মাজাহ হা/৭৫২, মিশকাত হা /৯৬০)

(৩) আল্লা-হুম্মা আ'ইন্নি 'আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিয়া ওয়া হুসনি 'ইবা-দাতিক।
অর্থ::হে আল্লাহ! আমাকে তোমার স্মরণ এবং তোমার শুকরিয়া জ্ঞাপন ও ভালোভাবে তোমার ইবাদত করার জন্য সাহায্য কর।
(আবুদাউদ হা/১৫২২, নাসায়ী হা/১৩০৩, মিশকাত হাএ, হা/৯৪৯)

(৪) লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া 'আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর।
অর্থ:আল্লাহ ব্যতীত (সত্য) কোন মা'বুদ নেই। যিনি একক ও তাঁর কোনই অংশীদার নেই। তাঁরই জন্য সকল রাজত্ব ও তারই জন্য যাবতীয় প্রসংশা। আর তিনিই সব কিছুর ওপর ক্ষমতাশীল।
(বুখারী হা/৮৪৪, ইফা হা/৮০৪, আপ্র হা/৭৯৬, মুসলিম হাএ হা/১২২৫, ইফা হা/১২১৪, মুসলিম হা/৫৯৪,মিশকাত হা/৯৬২)

(৫) লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ। আল্লা-হুম্মা আ'ইন্নী 'আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি 'ইবা-দাতিক।
অর্থ:"নেই কোন ক্ষমতা, নেই কোন শক্তি, আল্লাহ ব্যতীত।" "হে আল্লাহ! আপনাকে স্বরণ করার জন্য, আপনার শুকরিয়া আদায় করার জন্য, এবং সুন্দরভাবে আপনার ইবাদত করার জন্য আমাকে সাহায্য করুন "। ( মুসলিম হা/৫৯৪, আবুদাউদ হা/১৫২৩)

(৬) লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ।
অর্থ:আল্লাহ ছাড়া কোন ক্ষমতা ও শক্তি নেই। (বুখারী হা/৬৪০৯,মুসলিম হা/৭০৪৩, আবুদাউদ, তিরমিজি)
ফজিলত : এটি জান্নাতের ভান্ডারসমূহের একটি ভান্ডার। (বুখারী হা/৬৪০৯)

(৭) আল্লা-হুম্মা লা মা-নি'আ লিমা আ'ত্বয়তা ওয়ালা মু'ত্বিয়া লিমা মানা'তা ওয়ালা ইয়ানফা'উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।
অর্থ:হে আল্লাহ! আপনি যা দিতে চান,তা রোধ করার কেউ নেই এবং আপনি যা রোধ করেন, তা দেওয়ার মত কেউ নেই। কোন সম্পদশালী ব্যক্তির সম্পদ কোন উপকার করতে পারে না আপনার রহমত ব্যতীত। (বুখারী হা/৮৪৪, বুখারি ইফা হা/৮০৪, মুসলিম ইফা হা/১২১৪, মিশকাত হা/৯৬২)

(৮) লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ। লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়ালা না'বুদু ইল্লা ইইয়াহু। লাহুন নে'মাতু ওয়ালাহুল ফাযলু ওয়ালাহুছ ছানাউল হাসান। ,লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মুখলেছীনা লাহুদ্দীন। ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরুন।
অর্থ:'নেই কোন ক্ষমতা, নেই কোন শক্তি, আল্লাহ ব্যতীত। নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত। আমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করি। সকল নে'মত তাঁরই,সকল অনুগ্রহ তাঁরই এবং তাঁরই জন্য উত্তম প্রসংশা। নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত। তাঁর জন্যই আমরা একনিষ্ঠচিত্তে দ্বীন পালন করি। যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। ( মুসলিম হা/৫৯৪)

(৯) আয়াতুল কুরছি। (১ বার).। ( বাক্বারাহ ২/২৫৫, ছহীহ তারগীব হা/১৫৯৫)
আয়াতুল কুরসীঃ আল্ল-হু লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ুমু লা-তা’খুযুহু সিনাতুউ ওয়া-লা-নাওম লাহু মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরযি মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা-বিইযনিহী ইয়া’লামু মা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খলফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূ-না বিশাইয়িন মিন ইলমিহী ইল্লা-বিমা-শা-আ ওয়াসিআ কুরসিইউহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়ালা-ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়াহুওয়াল আলীইউল আযীম। (সূরা বাকারাহ-২৫৫
আয়াতুল কুরসী’র ফযিলতঃ (ক) রাসূল (সাঃ) বলেন, প্রত্যেক ফরজ সালাত শেষে আয়াতুল কুরছী পাঠকারীর জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ব্যতীত আর কোন বাধা নেই।(সহীহাহ হা/৫৯৭,মিশকাত-৯৭৪,নাসাঈ কুবরা-৯৯২৮, সিলসিলাতুল আহাদীসিস সাহীহা হা/৯৭২, সহীহ সনদে,)।
(খ) শয়নকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাযতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে। যাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হ’তে না পারে। (নাসাঈ কুবরা হা/৯৯২৮,সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯৭২,মিশকাত হা/৯৭৪,মুসলিম,বুখারী,মিশকাত হা২১২২-২৩, বুখারী ইফা,অনুচ্ছেদ ১৪৩৮ হা/২৩১১)।

(১০) সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস (১বার)(আবুদাউদ হা/১৫২৩, নাসায়ী হা/১৩৩৬ সহীহ সনদে)
ফজর ও মাগরিবের সালাতের পর ৩ বার করে (তিরমিজি হা/৩৫৭৫)
ফজিলত : সকাল সন্ধ্যায় সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস ৩ বার করে পড়লে যাবতীয় অনিষ্ট হতে নিরাপদ থাকা যায়। ( মিশকাত হা/২১৬৩ সহীহ)

(১১) সুবহা- নাল্ল-হ (৩৩ বার)
আলহামদুলিল্লা-হ (৩৩ বার)
আল্ল-হু আকবার (৩৩ বার)
লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া 'আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর। (১ বার)। অথবা আল্ল-হু আকবার (৩৪ বার)।
অর্থ:পবিত্রতাময় আল্লাহ। যাবতীয় প্রসংশা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত ;যিনি এক,যাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই জন্য সকল রাজত্ব ও তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা। তিনি সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। ( মুসলিম হা/৫৯৬,৫৯৭, মুসলিম হাএ হা/১২৩৯, আবুদাউদ, তিরমিজি, নাসায়ী, মিশকাত হা/৯৬২)
ফজিলত : রাসূল (সা:) বলেন, যে ব্যক্তি উক্ত দো'আটি পাঠ করবে, তার গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশি সমতুল্য হয়। (মুসলিম হা/১২৩৯,আবুদাউদ হা/১১০৪)।

(১২) আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ'ঊযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়া আ'ঊযুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আ'ঊযুবিকা মিন আরযালিল 'উমুরি; ওয়া আ'ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনিয়া ওয়া 'আযা-বিল ক্বাবর।
অর্থ:হে আল্লাহ! (১) আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ভীরুতা হ'তে (২) আশ্রয় প্রার্থনা করছি কৃপণতা হ'তে (৩) আশ্রয় প্রার্থনা করছি নিকৃষ্টতম বয়স হ'তে এবং (৪) আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুনিয়ার ফিতনা হ'তে ও (৫) কবরের আযাব হ'তে। ( বুখারী হা/৬৩৭৪, সহীহুল বুখারী হা/২৮২২, মিশকাত হা/৯৬৪)

(১৩) রযীতু বিল্লা-হি রব্বাঁও ওয়া বিল ইসলা-মি দীনাঁও ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিইয়া।
অর্থ:'আমি সন্তষ্ট হয়ে গেলাম আল্লাহর উপরে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামের উপর দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদের উপরে নবী হিসাবে। (ইবনুমাজাহ হা/৭২১, আবুদাউদ হা/১৫২৯)

(১৪) আল্ল-হুম্মা আদখিলনিল জান্নাহ, ওয়া আজিরনী মিনান না-র। (তিরমিজি হা/২৫৭২)
অর্থ:হে আল্লাহ! তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও! (তিরমিজি হা/২৫৭২)

(১৫) সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী 'আদাদা খলক্বিহী ওয়া রিযা নাফসিহী ওয়া ঝিনাতা 'আরশিহী ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহ (৩বার)
অর্থ:মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রসংশা তাঁর জন্য। তাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমপরিমাণ, তাঁর সত্তার সন্তষ্টির সমপরিমাণ এবং তাঁর আরশের ওযন ও মহিমাময় বাক্য সমূহের ব্যাপ্তি পরিমাণ '। (মুসলিম হা/৬৮০৬, মিশকাত হা/২৩০১)।

(১৬) আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ'ঊযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি ওয়াল 'আজঝি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া যালা'ইদ দায়নি ওয়া গালাবাতির রিজাল।
অর্থ:'হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুশ্চিন্তা ও দু:খ-বেদনা হ'তে, অক্ষমতা ও অলসতা হ'তে, ভীরুতা ও কৃপণতা হ'তে এবং ঋণের বোঝা ও মানুষের যবরদস্তি হ'তে। (বুখারী হা/৬৩৬৯,মুসলিম হা/২৭০৬,মিশকাত-২৪৫৮))

(১৭) ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুবি ছাব্বিত ক্বলবি 'আলা দীনিকা, আল্ল-হুম্মা মুছারিরফাল ক্বুলুবি ছাররিফ ক্বুলুবানা 'আলা ত্ব'আতিক।
অর্থ:'হে হৃদয় সমূহের পরিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপরে দৃঢ় রাখ।' 'হে অন্তর সমূহের পরিবর্তনকারী! আমাদের অন্তর সমূহকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও'। (তিরমিজি হা/২১৪০)

(১৮) আল্ল-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা ওয়াত তুক্বা ওয়াল 'আফা-ফা ওয়াল গিনা। সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী, সুবহা-নাল্ল-হিল 'আযীম।
অর্থ:'হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে সুপথ, আল্লাহ ভীরুতা, পবিত্রতা ও সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি। 'মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রসংশা তাঁর জন্য। মহাপবিত্র আল্লাহ, যিনি মহান। (মুসলিম হা/২৭২১, বুখারী হা/৬৬৮২)

(১৯) আল্ল-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা 'আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাযলিকা 'আম্মান সিওয়া-ক।
অর্থ: 'হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হারাম ছাড়া হালাল দ্বারা যথেষ্ট কর এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন কর! (তিরমিজি হা/৩৫৬৩)
ফজিলত : যদি কোন ব্যক্তির পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণমুদ্রা ঋণও থাকে, তাহলে আল্লাহ (উক্ত দু'আর মাধ্যমে) তার থেকে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন।(তিরমিজি হা/৩৫৬৩, মিশকাত হা/২৪৪৯)

(২০) আস্তাগফিরুল্ল-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ুমু ওয়া আতূবু ইলাইহ'।
'আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। আমি অনুতপ্ত হৃদয়ে তাঁর দিকে ফিরে যাচ্ছি বা তওবা করছি'। ( আবুদাউদ হা/১৫১৭,তিরমিযী-৩৫৭৭,মিশকাত-২৩৫৩)।
ফজিলত : রাসূল (সা:) বলেন, 'যে ব্যক্তি উক্ত দোয়া পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন যদিও সে রণক্ষেত্র হতে পলায়ন করে থাকে।(যা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত) (আবুদাউদ হা/১৫১৭)
খালেছভাবে তওবা করলে আল্লাহ তাঁর বান্দার বিগত সকল গোনাহ মাফ করে দেন। (সূরা আল ফুরক্বান ২৫/৭১, সূরা যুমার ৩৯/৫৩

শেয়ার করুন । শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন। এবং আপনিও সাদকায়ে জারিয়ায় অংশ নিন। এগুলো আমি নিজের হাতে অনেক কষ্ট করে লিখেছি যারা জানে না তাদের জন্য। প্লিজ শেয়ার করুন অথবা কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে পোষ্ট করে দিন। আপনার শেয়ারে বা আপনার কপিতে না জানা লোকদের হয়তো উপকার হতে পারে।
“প্রচার কর, যদি একটিমাত্র আয়াতও হয়”। (বুখারী হা/৩৪৬১)।

04/12/2023

সূরা হুজুরাত থেকে নয়টি সুন্দর উপদেশ

সমস্ত মানুষের জন্যে বিশেষ করে মুমিন মুসলমানদের জন্য সূরা হুজুরাত থেকে নয়টি সুন্দর উপদেশ।

আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে যখন একটি কাঁচের পাত্র ভেঙে যায়, ভাঙার সচকিত শব্দটি অবিলম্বে অদৃশ্য হয়ে যায়, কিন্তু যেখানে কাচের টুকরোগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, তার উপর দিয়ে কেউ হেটে গেলে তিনি আঘাত প্রাপ্ত হন, বা পা কেটে যায়!

একইভাবে, যখন আমি এমন কিছু কথা বলি যা কারো আবেগ এবং অনুভূতিতে আঘাত করে, তখন আমার কথাগুলির শব্দ অদৃশ্য হয়ে যায়, কিন্তু তা অন্যের হৃদয়ে দীর্ঘকাল ধরে বাজতে থাকে আর বেদনা হতে থাকে।

অতএব, যা ভাল তা ছাড়া আর কিছু না বলি এবং কোন মুসলিম ভাই-বোনকে বা অন্যদেরকে কিছু বলার আগে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা হুজুরাতে (আচরণের সূরা) যে নয়টি উপদেশ ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তা সর্বদা মনে রাখি।

আল্লাহর দেয়া সেই ৯টি উপদেশ কি কি?

১) "ফা তাবাইয়ানু"-মানে তদন্ত করুন। যখনই আপনি অন্যের সম্মন্ধে একটি তথ্য পাবেন তা সত্যি কিনা তা নিরীক্ষা ও যাচাই করুন, যাতে আপনি তা অন্যকে বলে দিয়ে অজ্ঞতাবশত অন্য মানুষের ক্ষতি না করে ফেলেন।

২) "ফা আসলিহু"-মানে মীমাংসা করুন। কোন উল্টা পাল্টা কথা কারো বিষয়ে উঠে এলে বিশ্বাসীরা ভাই ভাই হিসাবে অন্য ভাইদের সাথে তা মিটিয়ে দিন যাতে আপত্তিকর কথা কেউ না ছড়ায়।

৩) "ওয়া আকসিতু"- মানে ন্যায়পরায়ণতা অবলম্বন করুন। যখনই মানুষের মধ্যে বিবাদ হয় তখনই তা মীমাংসার চেষ্টা করুন এবং উভয় পক্ষের মধ্যে ন্যায়বিচার করে দিন, কারণ আল্লাহ জাল্লাহ শানুহু ন্যায়পরায়ণতাকারীদের ভালবাসেন।

৪) "লা ইয়াসখার"- মানে মানুষকে উপহাস করবেন না, যাকে নিয়ে হাসছেন তিনি বা তাঁরা আল্লাহর কাছে আপনার চেয়ে উত্তম হতে পারে।

৫) "ওয়া লা তালমিজু"- মানে একে অপরকে অপমান করবেন না।

৬) "ওয়া লা তানাবাজু"- মানে একে অপরকে আপত্তিকর নামে ডাকবেন না। (অমুক জন্তুর বা অমুক চরিত্রের মানুষের বাচ্চা ইত্যাদি।)

৭) "ইজতানিবূ কাছীরাম মিনাজ্জান্নি" মানে নেতিবাচক অনুমান এড়িয়ে চলুন, কারো সম্মন্ধেই কোন নষ্ট অনুমান করা গুনাহ।

৮) "ওয়ালা-তাজাছছাছূ" - মানে একে অপরের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করবেন না। এই আয়াতের হুকুমে না জানিয়ে কারো কথোপকথন রেকর্ড করা ইসলাম বিরোধী গুনাহের কাজ। তেমনি গুনাহ হচ্ছে কান লাগিয়ে গোপন কথা শোনার চেষ্টা করা।

৯) "ওয়া লা ইয়াগতাব" মানে একে অপরের সম্পর্কে গীবত করবেন না। এটা আপনার মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সমতুল্য একটি বিশাল বড় পাপ।

আল্লাহ কুরআনে বলেছেন "অন্যকে (ভাল কথা ও সতর্ক বাণী) মনে করিয়ে দিন, কারণ অনুস্মারক মুমিনদের উপকার করে"।

সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা
আমাদেরকে এই সূরার শিক্ষা অনুসরণ করতে সাহায্য করুন। আমীন।

একই সাথে সাক্ষ্য দিচ্ছি, মহানবী মুহাম্মদ (সা) আসলেই সমস্ত মানবজাতির কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন।

03/12/2023

বর্তমানে নানাবিধ রোগ বালাই ও সংক্রমণ বেড়ে গেছে। ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশিতে ঘরেঘরে দুশ্চিন্তা। এমতাবস্থায় আমরা ৫ টি দু‘আ খুব বেশি করে আমলের চেষ্টা করব।

❂ ১ নং দু‘আ: সকাল-সন্ধ্যায় ৩ বার অবশ্যই পড়বেন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু‘আ। অর্থের দিকে লক্ষ রেখে পড়বেন।
بِسْمِ اللّٰهِ الَّذِىْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْئٌ فِيْ الْأَرْضِ وَلَا فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
[বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা- ইয়াদ্বুররু মা‘আইস্‌মিহী শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা- ফিস্‌সামা-ই, ওয়া হুওয়াস্ সামী-‘উল ‘আলী-ম’]
▪️অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি, যে নামের সাথে আসমান ও জমিনে কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সব শুনেন ও জানেন। [সহিহুল জামি’: ৫৭৪৫, হাদিসটি সহিহ]
❖ ২ নং দুআ: বিশেষ নিয়ম নেই। তাই, সকাল-সন্ধ্যায় এবং সর্বাবস্থায় পড়বেন।
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الْأَسْقَامِ
[আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊ-যুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনূ-নি ওয়াল জুযা-মি ওয়া মিন সায়্যিইল আসক্বা-ম]
▪️অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট কুষ্ঠরোগ, পাগলামি ও পা-ফোলারোগ ও সকল জটিল রোগ থেকে আশ্রয় চাই। [আবু দাউদ: ১৫৫৪, হাদিসটি সহিহ]
❖ ৩ নং দুআ: প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় অন্তত একবার পড়বেন এই দু‘আটি। এছাড়াও সর্বদাই পড়বেন।
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِيْ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ
[আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাহ্]
▪️অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করছি। [তিরমিযি: ৩৫১৪, আল আদাবুল মুফরাদ: ১২০০, হাদিসটি সহিহ]
❖ ৪ নং দুআ: বেশি বেশি পড়বেন। বিশেষত সন্ধ্যা বেলায় অবশ্যই পড়বেন।
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
[মোটামুটি উচ্চারণ: আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মা-তি মিন শাররি মা খালাক্ব]
▪️অর্থ: আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের উসিলায় তাঁর নিকট আশ্রয় চাই—তিনি যা সৃষ্টি করেছেন সেগুলোর অনিষ্ট থেকে। [সহিহ মুসলিম: ২৭০৯]
❖ ৫ নং দু‘আ: খুব বেশি পরিমাণে অর্থের দিকে লক্ষ রেখে পড়বেন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু‘আ।
رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُوْنَ
▪️অর্থ: হে আমাদের রব! আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা ঈমান আনছি। [সূরা দুখান, আয়াত: ১২]
হাদিসে এসেছে, “যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেখানে মহামারী এবং এমন সব রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে, যা পূর্বের লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।” [ইবনু মাজাহ: ৪০১৯, হাদিসটির সনদ হাসান]
অতএব, আমাদেরকে এক্ষুণি সকল গুনাহ থেকে তাওবাহ্ করতে হবে। বেশি বেশি ইস্তিগফার করতে হবে।
🔹এছাড়াও রাসূল সা.এঁর উপর বেশি বেশি দরুদ পড়াও গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।
Abdul Hi Muhammad Saifullah

01/12/2023

প্রসঙ্গ যখন মনুষ্যত্ব ....

যে মানুষটা সোচ্চারে গিটার বাজিয়ে ঘোষণা করেছেন নিজেকে নিজের মতো থাকতে চাওয়াটা অপরাধ নয় বরং এটা অধিকার ...

তাতে তো জানতাম, আমার মতো অনেক বাঙালীই নিজের স্পেস চাইতে এই গানটাকেই বেছে নেন এখনও।

যে মানুষটা প্রাক্তনকে ঝেড়ে কাপড় পড়িয়ে দেবার বদলে, রাখী সাবন্ত টাইপ গালাগালি দেবার বদলে আমাদের অন্যরকম ভাবনার কথা জানিয়েছেন গানের মাধ্যমে...
বলতে পেরেছেন, "তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর"....

আমরা অনেকেই আছি, যারা প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দিয়েছি এই গানটা শোনার পর ...অন্ততপক্ষে ক্ষমা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পেরেছি।

যে মানুষটা বাঙলাভাষায় অন্যরকম প্রেমের গান লিখেছেন এবং লিখছেন....

"তুই চিরদিন দরজা খুলে থাকিস ... অবাক আনাগোনা হিসেব কেন রাখিস"...
"আমি আমি জানি জানি" ...."বাড়িয়ে দাও তোমার হাত"..."যে আমাকে বাসবে ভালো ,তার আকাশেই উড়ি"...লেখাগুলো লিখতে ভীষণ সুন্দর একটা মন লাগে....

আমরা কি বুঝি তা?

বোধহয় না।

যদি বুঝতে পারতাম, তাহলে তার প্রাক্তন স্ত্রীর বিয়ের ক্যাপশনে তাকে জুড়ে দিতে একবার হলেও ভাবতাম।

দুটো ম্যাচিওর মানুষ বিয়ে ভেঙেছে, তাদের একজন নতুন করে জীবন সাজাচ্ছে, এটা ভীষণ সাধারণ একটা ব্যাপার নয় কি?

কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় যতজন এ নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন, সব্বাই দেখছি বিয়েটাকে নিয়ে আলোচনা করার থেকে অনুপম রায়কে নিয়ে মজা করতেই বেশি উৎসাহ বোধ করছেন... অনুপম রায়ের গানে গানে ছয়লাপ পরম-প্রিয়া জুটির বিয়ের পোস্ট গুলো।
কিন্তু কেন?
যে মানুষটা অন্যরকম ভাবে আমাদের বাঙালীদের ভাবতে শেখালো .... যে মানুষটার গান আমার মতো অনেক বাঙালীরই হৃদয় স্পর্শ করে .... তার নিজের হৃদয়টাও যে বড্ড সেন্সিটিভ হবে, এবং এইসব অনুন্নত রুচির পোস্ট গুলো যে তাকে অনেকটাই আঘাত দেবে, তা কি আমরা ভুলে গেছি।

অনুপম রায়ের অন্ধ ভক্ত না হলেও, ওর গানের কথা আর সুর ভাবতে বাধ্য করে আমায়, তাই সংবেদনশীল একজন মানুষের সাথে এরকম জঘন্য রুচির কমেডি মার্কা পোস্ট দেখে সত্যিই খারাপ লাগছে "অনুপম" নামক একজন মানুষের জন্য.....
সেই সঙ্গে আধুনিকতার মুখোশধারী পোস্ট দাতা এবং কমেন্ট সেকশনের হাহা হি হি করা মানুষগুলোর জন্য রিঅ্যাকশন দেবার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।

সেইসাথে আরেকটা ভাবনা মাথায় আসছে .... আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে গেছি, কেউ ওভারকাম করেছি তো কেউ ভুক্তভোগী এখনও...

তারমানে ...আমার ,আপনার ক্রাইসিসের খবর কানে গেলে পরিচিত মানুষের দল হয়তো এইভাবেই মজা নেয় আবডালে।

হিসেব তো তাইই বলছে।

না আছে নিজের মান রাখার যোগ্যতা, না আছে অন্যকে সম্মান দেওয়ার ক্ষমতা, আর হুস বলে কিছু যে আছে তাতো বোঝাই যায় না। 😃😢

সত্যিই আমরাই মানুষ 🙏

( কে বলতে পারে, ভবিষ্যতে অনুপম রায়ের গানের কথা হল ..."প্রসঙ্গ যখন মনুষ্যত্ব ")
মনের কথা

সৌজন্যে Rimi Banik

01/12/2023

জীবিকা অর্জনে ভারসাম্যপূর্ণ পন্থা অবলম্বন।

💢 রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
হে লোকসকল!
তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং উত্তম পন্থায় জীবিকা অন্বেষণ কর।
কেননা কোন ব্যক্তিই তার জন্য নির্ধারিত রিযিক পূর্ণরূপে না পাওয়া পর্যন্ত মরবে না, যদিও তার রিযিক প্রাপ্তিতে কিছু বিলম্ব হয়।
অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং উত্তম পন্থায় জীবিকা অন্বেষণ কর। যা হালাল তাই গ্রহন কর এবং যা হারাম তা বর্জন কর।

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২১৪৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ, irdfoundation․com

29/11/2023

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যবসায়ী এবং মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) ইসরায়েলে গিয়ে হামাসের হামলা স্থল দেখে এসেছেন এ মার্কিন ধনকুবের। দেখা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও। কিন্তু এখনো দেখা হয়নি পরবর্তীতে গাজায় ইসরায়েলের চালানো ধ্বংসলীলা। এবার সেই লক্ষেই লেবাননের বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইলন মাস্ককে গাজা সফরের আমন্ত্রণ জানান হামাসের সিনিয়র নেতা ওসামা হামদান। আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমা হামলার ফলে সৃষ্ট ধ্বংসের পরিমাণ দেখার জন্যই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইলন মাস্ককে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ওসামা হামদান বলেন, ‘বস্তুত ও বিশ্বাসযোগ্যতার মানদণ্ড মেনে গাজার জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পরিধি দেখার জন্য আমরা তাকে (ইলন মাস্ক) গাজা সফরের আমন্ত্রণ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইলন মাস্ক ইসরায়েল সফর করে ৭ অক্টোবরের ঘটনা দেখছে। কিন্তু কেন এ অভিযান এবং পরবর্তীতে ইসরায়েলের চালানো ধ্বংসলীলা বা গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে হলে তাকে গাজায় আসতে হবে।’

সোমবার (২৭ নভেম্বর) ইলন মাস্কের ইসরায়েল সফরের পরপরই হামাসের পক্ষ থেকে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়। ৫০ দিনের মধ্যে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা হীন গাজা বাসীদের ওপর ৪০ হাজার টনের বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে জানিয়ে হামদান আরও বলেন, ‘আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ইসরায়েলের সাথে মার্কিন সম্পর্ক পর্যালোচনা করতে এবং তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’


Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! MD Nesar, Mufassal Sarwar
29/11/2023

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! MD Nesar, Mufassal Sarwar

উট নোনা পানি পান করতে পারে, এমনকি মৃত সাগরের পানিও। এতে তার রক্তচাপ বাড়ে না। কারণ, তার কিডনি পানিকে ফিল্টার করে, যাতে স...
27/11/2023

উট নোনা পানি পান করতে পারে, এমনকি মৃত সাগরের পানিও। এতে তার রক্তচাপ বাড়ে না। কারণ, তার কিডনি পানিকে ফিল্টার করে, যাতে সে তা তাজা পানি পান করতে পারে। কাজেই তার কিডনি লবণ থেকে পানি আলাদা করে দেয় ।

উট কাঁটা খেতে পারে। এতে তার পাকস্থলী ও অন্ত্রের কোনো ক্ষতি হয় না। কারণ, তার লালা এসিডের মত, যা কাঁটা গলিয়ে দেয়। পরে সে ওই কাঁটা রুটি ও আটার মতো খেয়ে ফেলে। এজন্য হাতে পায়ে কাঁটা ফুটলে আরব বেদুইনরা সেখানে উটের লালা লাগিয়ে দেয়। এবং সেই কাঁটা গলে বেরিয়ে আসে।

উটের চোখের পর্দা দুটি। একটি পাপড়ির পর্দা এবং অন্যটি মাংসের। এজন্য মরুভূমির ধূলিকণার মধ্যে চলতে পারে এবং তার চোখের ক্ষতি হয় না। কারণ সে তখন স্বচ্ছ পাপড়ির পর্দা বন্ধ করে দেয়।

উট তার দেহের তাপমাত্রা পরিবর্তন করতে পারে। বরফঢাকা জমিতে থাকলে সে তার তাপমাত্রা বাড়াতে পারে এবং উত্তপ্ত মরুভূমিতে থাকলে সে তার তাপমাত্রা কমাতে পারে । এছাড়া আরো অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই প্রানীর মাঝে।

সুবহানাল্লাহ !! আল্লাহর কি অপরূপ সৃষ্টি !!

27/11/2023

সিগারেট-মাকরূহ-নাকি-হারাম??
🎙️ কুরআন-হাদীস কি বলে??

সিগারেট খেলে কি ইবাদাত কবুল হয় না ??

- রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ
নেশা উদ্রেককারী প্রতিটি বস্তু মদের অন্তর্ভুক্ত। আর নেশা সৃষ্টিকারী প্রতিটি বস্তু হারাম। যে ব্যক্তি একবার নেশা উদ্রেককারী জিনিস পান করলো সে তার চল্লিশ দিনের সলাতের কল্যাণ হতে বঞ্চিত হলো।
[আবু দাউদঃ ৩৬৮০]

সিগারেটের গায়ে লেখা থাকে "ধুমপান মৃত্যু ঘটায়"।
- আল্লাহ পাক বলেন,
"তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করো না।" [বাকারা-১৯৫]

সিগারেট নেশাজাতীয় জিনিস।
- নবী করিম (ﷺ) বলেছেন,
"প্রত্যেক নেশার বস্তুই মাদক (খামার) আর প্রত্যেক নেশার জিনিসই হারাম।" [মুসলিম-২০০৩]

কেউ একসাথে ১০টি সিগারেট খেলে তার নেশা হতে বাধ্য।
- রাসূল (ﷺ) বলেছেন:-
“যা অধিক সেবন করলে নেশার সৃষ্টি হয় তা কম সেবন করাও হারাম।" [তিরমিযি-১৮৬৫, আবু দাঊদ-৩৬৮১]

সিগারেট অপবিত্র জিনিস।
- আল্লাহ পাক বলেন, "তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল ও অপবিত্র বস্তু হারাম করা হয়েছে।" [আরাফ-১৫৭]

সিগারেটে অপব্যয় ছাড়া অন্য কিছু নয়।
- আল্লাহ পাক বলেন, "নিশ্চয়ই অপব্যায়কারী শয়তানের ভাই।" [সূরা ইসরা-২৭]

সিগারেটের ধোঁয়ায় মানুষ চরম কষ্ট পায়।
- রাসূল (ﷺ) বলেন,
"যে ব্যক্তি আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।" [বুখারী]

সিগারেট পুষ্টিকর কিংবা ক্ষুধা নিবারণ মূলকও কিছুই নয়।
- জাহান্নামীদের খাবার প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন, “এটা তাদের পুষ্টিও যোগাবে না ক্ষুধাও নিবারণ করবে না।" [গাশিয়াহ-৭]

এবার আপনিই সিদ্ধান্ত নিন-
এই ধুমপান করবেন, নাকি ছাড়বেন?আস্তাগফিরুল্লাহ....
আল্লাহ আমাদেরকে এ সর্বনাশা নেশা থেকে দুরে রাখুন। আমিন!

সংগৃহীত

27/11/2023

মায়ের বদ-নজর…...
একটু পরেই বরযাত্রীরা এসে পড়বে।
কনে সাজানোর সব কাজ প্রায় শেষ।
কনের মা একটু আগে এসে মেয়েকে দেখে গেছেন।
বারবার দেখে যাচ্ছেন, তবুও আশ মিটছে না।
গর্বে বুক ফুলে উঠছে।
এমন একটা সুন্দর মেয়েও তার আছে?

হঠাৎ হাঁকডাক বেড়ে গেল।
বরযাত্রী এসে গেছে।
মা ওপরতলায় এলেন, মেয়েকে নিচে নামিয়ে নিতে।
মেয়ে ব্যাকুল হয়ে মাকে কাছে ডেকে বললো,
--আম্মু, একটু আমার কাছে এসে বসো। আমার কেমন যেন লাগছে।
-কেন কী হয়েছে মা?
--কেন যেন আমি আশেপাশের কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।

--ঘাবড়াবার কিছু নেই, ঠিক হয়ে যাবে। বিয়ের দিনের উত্তেজনা-দুশ্চিন্তায় সাময়িক এসব দেখা দেয়।
চল, নিচে যাই। ওখানে সবাই বসে আছে।
--না আম্মু, ব্যাপারটা তেমন নয় মোটেও। অনেকক্ষণ ধরেই এমনটা হয়েছে।

মা থমকে গেলেন।
একজন বয়স্কা মহিলা বললেন,
--আমরা যারা এতক্ষন এই ঘরে ছিলাম, সবাই অজু করে আসি।
আমার মনে হচ্ছে, তার উপর কারো বদনজর পড়েছে।
আমরা তার জন্য ইস্তেগফার পড়ে দোয়া করবো।
তাতে আশা করি ঠিক তার দৃষ্টিশক্তি ঠিক হয়ে যাবে।

মা ছাড়া বাকি সবাই অজু করে এলো।
দু'আ করলো, কিন্তু কোনও সমাধান হলো না।
খবরটা ভেতরবাড়ি ছাড়িয়ে বাহির বাড়িতে গিয়ে পৌঁছালো।
পাত্রপক্ষ এমতাবস্থায় বিয়েতে বেঁকে বসলো।
তাদের মুরব্বিরা বিয়েটা স্থগিত করে দিতে বলল।
এমন সময় পাত্র শক্ত অবস্থান নিয়ে বলল,
--বিয়ে এখানে হবেই।
একটা মেয়েকে এমন অসহায় অবস্থায় ফেলে রেখে যেতে চাই না।
আমরা তো আগেই পাত্রী দেখে দিয়েছি।
তখন তো ভালো ছিল।
আর এই সমস্যা তো বিয়ের পরেও হতে পারত, তখন?

বিয়ে হয়ে গেল।
স্বামী অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখাল। কিছুতেই কিছু হলো না।
কোনও রোগ ধরা পড়ল না।
স্বামী খোঁজ করতে করতে এক বৃদ্ধ আলিমের সন্ধান পেল।
স্ত্রীকে নিয়ে তার কাছে গেল।
জ্ঞানবৃদ্ধ আলিম বললেন,
--আমার যতদূর মনে হয়, তোমার স্ত্রী বদ-নজরের শিকার হয়েছে।
নজরটা এত বেশি গভীর যে, যার দৃষ্টি পড়েছে, সে মারা যাওয়া ছাড়া এই রোগ সারার নয়।

এভাবেই চলছিল দিন।
একদিন সকালে স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে অবাক হয়ে গেল।
আশেপাশের দৃশ্যটা এখন আর আগের মতো অন্ধকার লাগছে না।
চারপাশের সবকিছুকে দৃশ্যমান লাগছে। তাড়াতাড়ি ফোনের কাছে গেল।
বাড়ির নাম্বারে ডায়াল করলো।
রিসিভার ওঠাল বড় ভাই;
--আমিই তোকে ফোন করতে যাচ্ছিলাম।

--এই সাত সকালে আমাকে ফোন কেন? আম্মু কোথায়? তার সাথে কথা বলতে চাই। তাকে একটা খুশির খবর দিতে চাই!
--কি খবর?
-আম্মুকেই সবার আগে খবরটা দিবো।
--শোন, মন খারাপ করিস না।
আম্মু আজ ফজরের নামাজের পর, ইন্তেকাল করেছেন!

মেয়ের হাত থেকে রিসিভারটা খসে পড়ল। এক সাথে নানা বিপরীতমুখী অনুভূতি ও চিন্তা মাথায় এসে ভর করল।
চোখের জলে ভাসতে ভাসতে একটা কথা মনে এল।
বৃদ্ধ হুজুর বলেছিলেন,
“অনেক সময় অতি আপনজন থেকেও বদ নজর লাগতে পারে।
অতি মুগ্ধতা থেকেই মাঝে মধ্যে নজর লেগে যায়।”

আরও মনে পড়লো, সবাই অজু করতে গেলেও আম্মু সেদিন অজু করতে যাননি।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কারো যদি নিজের প্রতি, সম্পদের প্রতি, আপন ভাইয়ের প্রতি মুগ্ধতা জাগে, তাহলে বরকতের জন্য দু'আ করো।
কেননা চোখের দৃষ্টি (বদনজর) সত্য।”

বদ নজরে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা হলো,

১- কোন ব্যক্তির নজর লেগেছে তা যদি জানা যায়, তবে তাকে ওযু করতে বলতে হবে।
অতঃপর উক্ত অযুর পানি দ্বারা বদ নজরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে গোসল করাতে হবে।

আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, كَانَ يُؤْمَرُ الْعَائِنُ فَيَتَوَضَّأُ ثُمَّ يَغْتَسِلُ مِنْهُ الْمَعِينُ যে ব্যক্তির বদ নজর অন্যের উপর লাগতো, তাকে অযু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হতো।
এরপর ঐ পানি দিয়ে তাকে গোসল করানো হতো, যার উপর বদ নজর লাগতো।
(আবু দাউদ ৩৮৪০)

25/11/2023

*আয়াতুল কুরসির মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব এবং আয়াতুল কুরসি পাঠের বিশেষ সময়গুলো*
▬▬▬▬▬▬▬◖◉◗▬▬▬▬▬▬▬
✿ আয়াতুল কুরসির সুমহান মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব:
উবাই ইবনু কা‘ব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘হে আবুল মুনযির (উবাইয়ের ডাকনাম)! তুমি কি বলতে পারো, তোমার জানামতে আল্লাহর কিতাবের কোন্ আয়াতটি সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ?’’ আমি বললাম, ‘আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলই ভাল জানেন।’ (এরপর) তিনি (আবারও) বললেন, ‘‘হে আবুল মুনযির! তুমি বলতে পারো কি, তোমার জানামতে আল্লাহর কিতাবের কোন্ আয়াতটি সর্বশ্রষ্ঠ?’’ এবার আমি বললাম, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ূম (আয়াতুল কুরসি—২৫৫ নং আয়াত)।’ উবাই বলেন, এরপর তিনি আমার বুকে (মৃদু) আঘাত করে বললেন, ‘‘হে আবুল মুনযির! ইলম তোমাকে উপকৃত করুক।’’ [মুসলিম, আস-সহিহ: ৮১০]
অন্য বর্ণনায় হাদিসটির বাকি অংশে আরও বলা হয়েছে, ‘‘সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! এর (আয়াতুল কুরসির) জিহ্বা হবে, ঠোঁট হবে এবং এটি আরশের পাদদেশে মালিকের পবিত্রতা বর্ণনা করবে।’’ [আহমাদ, আল-মুসনাদ: ৫/১৪; আবু দাউদ ত্বয়ালিসি, আল-মুসনাদ: ১/২৪; আলবানি, সিলসিলা সহিহাহ: ৩৪১০; হাদিসটি সহিহ]
✿ কেন আয়াতুল কুরসির এই শ্রেষ্ঠত্ব?
ইমাম নববি (রাহ.) বলেন, আলিমগণ বলেন, ‘আয়াতুল কুরসি শ্রেষ্ঠত্বের বৈশিষ্টে বৈশিষ্টমণ্ডিত হওয়ার কারণ হলো, এর মাঝে ইলাহিয়্যাত, একত্ববাদ, জীবন, জ্ঞান, রাজত্ব, কুদরত ও ইচ্ছা—আল্লাহর এই সাতটি গুণবাচক নাম ও গুণাগুণের নীতিমালার সমাবেশ ঘটেছে।’ [নববি, শারহু মুসলিম]
তাছাড়া আয়াতুল কুরসির প্রথম বাক্যটিতে আছে আল্লাহর ইসমে আযম।
✿ আয়াতুল কুরসি পাঠের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সময়:
❑ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর:রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক (ফরজ) নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, মৃত্যু ব্যতীত কোনো কিছু তার জান্নাতে প্রবেশে বাধা দিতে পারবে না।’’ [নাসাঈ, সুনানুল কুবরা: ৬/৩০; আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১৫৯৫; হাদিসটি সহিহ]
❑ প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায়:উবাই ইবনু কা’ব (রা.)-এর সাদাকার মাল চুরি করতে এসে এক জিন ধরা পড়ে যায়। তখন উবাই (রা.) তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমাদের থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?’ সে বলে, ‘এই আয়াতটি—আয়াতুল কুরসি। যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এটি পড়বে, সে সকাল পর্যন্ত আমাদের থেকে পরিত্রাণ পাবে। আর যে ব্যক্তি সকালে এটি পড়বে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের থেকে নিরাপদে থাকবে।’ সকাল হলে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসেন এবং ঘটনা বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ঘটনা শুনে) বলেন, ‘‘খবিসটি সত্য বলেছে।’’ [ইবনু হিব্বান, আস-সহিহ: ৭৯১; আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১৪৭০; হাদিসটি সহিহ]
❑ ঘুমানোর পূর্বে:একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদের যাকাতের মাল-সম্পদ দেখাশুনার দায়িত্ব দেন আবু হুরায়রা (রা.)-কে। কিন্তু রাতের বেলা যাকাতের মাল থেকে এক ব্যক্তি চুরি করতে এসে পরপর তিনদিন ধরা খেয়ে যায়। তবে, বিভিন্ন কৌশলে ও মিথ্যা বলে সে বেঁচে যায়। সর্বশেষ দিন আবু হুরায়রা (রা.) তাকে রাসূলের কাছে নেওয়ার কথা বললে সে বলে, ‘তুমি আমাকে ছেড়ে দাও। আমি তোমাকে এমন কতগুলো শব্দ শিখিয়ে দেবো, যার দ্বারা আল্লাহ তোমার উপকার করবেন।’ আমি বললাম, ‘সেগুলো কী?’ সে বললো, ‘যখন তুমি (ঘুমানোর জন্য) বিছানায় যাবে, তখন আয়াতুল কুরসি পাঠ করে ঘুমাবে। তাহলে তোমার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত হবেন। সকাল পর্যন্ত তোমার কাছে শয়তান আসতে পারবে না।’ তখন আবু হুরায়রা (রা.) তাকে ছেড়ে দেন এবং এই ঘটনা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে জানান। তিনি এটি শুনে বললেন, ‘‘শোনো! সে নিজে ভীষণ মিথ্যাবাদী; কিন্তু তোমাকে সত্য কথা বলেছে। হে আবু হুরাইরা! তুমি কি জানো, তিন রাত ধরে তুমি কার সাথে কথা বলেছিলে?’’ আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, ‘জি না।’ তিনি বললেন, ‘‘সে ছিলো শয়তান!’’ [বুখারি, আস-সহিহ: ২৩১১]

Address

Dhaka
1209

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Humaira's Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Humaira's Diary:

Videos

Share


Other Digital creator in Dhaka

Show All

You may also like