15/12/2024
মায়াময়ী,
আবার কিছু কিছু রাত খুব সাদাকালো ভাবেই কেটে যায়। নগরের রাস্তায় কিছু এম্বুলেন্সের সাইরেনে প্রান দুমুড়ে মুচড়ে যাচ্ছে সবার কিন্তু কোথায় যেন তবুও পৃথিবী স্থির হয়ে আছে,পান্থপথ সিগনালের ট্রাফিক জ্যাম ছাড়িয়েছে কারওয়ান বাজার অব্দি। পাশেই কোন এক শোরুমে কেউ একজন বড় একটি টিভি কেনার জন্য চোঁখ বুলাচ্ছে। ডানের কোন এক বাড়ির, কোন এক রুমে; কোন এক সাউন্ডবক্স থেকে ভেসে আসছে স্টিভ ভাই' এর গীটারের সাউন্ড,পরের গলিতে বিষন্ন সে ভায়োলিনে বাজছে স্পানিশ রোমান্টিসিজম, দিনের শেষে এ শহর বড্ড দারুন । একই সাথে নিমজ্জিত এবং আলো-অন্ধকারে ঢাকা এ ; ঢাকার শহর। কিছু কিছু রাত কখনো রঙীন হয়ে ওঠে না কারোর। কেউ কেউ এসব কালো রাত্রিগুলকে বুকে জড়িয়ে রেখে ঘুমিয়ে যায় পরদিন জেগে ওঠার জন্য।দিনশেষে এভাবেই ধীরে ধীরে দিশেহারা সবাই মিলিয়ে যায় আলো-আধারে,অন্ধকারে,খুব অন্ধকারে,নীল অন্ধকারে.....
আচ্ছা আমি মাঝে মাঝে অবসাদ নিয়েও ভাবি। অবসাদ,বিষন্নতা, থেমে যাওয়া। অবশ্য এ থেমে যাওয়ার অন্য একটি দিক আছে। থেমে যাওয়াকে মাঝে মাঝে হেরে যাওয়া বলতে হয় আসলে। আমি হেরে গিয়েছিলাম কোন এককালে। নিজের কাছে, আজকাল ! নাকি বহুদিন ধরেই!? জানিনা একদমই... এসব প্রশ্নের উত্তর যার কাছে ছিল সে হারিয়ে গিয়েছে আজ।
সপ্তাহের ৫ দিন অফিস। সকালে যাই, সন্ধ্যায় আসি। এভাবে প্রতিদিনই আমার দিনগুলো পূর্বের তুলনায় আরো অনন্য সাধারন হিসেবে ধরা দেয়/দিচ্ছে আমার চোঁখে। সত্যি বলতে আমার এসব দিন এমন সাধারন ছিল না কখনই।রঙের রঙীনতায় যদি ইতিহাস ঘেটে দেখি আমি কখনো,তখন আমি ময়মনসিংহ এবং ক্যাম্পাসের চেয়ে বেশি কোথাও রঙের এত বৈচিত্র্য খুঁজে পাইনি কোনদিন। আমি চোঁখের সামনে ; হারিয়ে যাওয়া দেখেছি, দেখেছি এক নদী সমান বিষন্নতাদের, কিভাবে দিনের শেষে সূর্য হারায়, কিভাবে চাঁদ জোছনা ছড়ায় প্রচন্ড বেদনাময় কোন রাতে। কি অদ্ভুদ সুন্দর সেসব রাত তাই না, কি বলো! প্রচন্ড ক্লান্ত,শ্রান্ত এ নগরীর সবাই যখন ভয়ানক রকমের হতাশা নিয়ে নতুন ভোরের অপেক্ষায় প্রস্তুতি নেয়,যখন কাক ডাকা ভোরে গলির মুখে রিক্সার বেল বেজে ওঠে, যখন পেপার বিক্রেতা প্রতিটি দালানের ফ্লাটের দরজার নিচ দিয়ে এর আগের দিনের কিছু অতি অপ্রয়োজনীয়-প্রয়োজনীয় খবর পৌছে দেয়, হোটেলের সাটার খোলার শব্দে চারদিকে হাহাকারের জন্ম নেয়, যখন পাতার সমস্ত কোষের নিদ্রাজাগরন ঘটে,?মোঁরগের ডাকে যখন গৃহস্ত গালাগালি করতে করতে দাঁতের মাজন নিয়ে কলপাড়ের দিকে এগোয়, শিয়ালগুলো নতুন আলোর আভা হালকা গায়ে মেখেনিয়েই সারাদিনের জন্য গর্তে লুকানোর জন্যে ছোটে, ঠিক যখন মাঝে মাঝে হটাৎই পুরো অঞ্চল অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল লোডশেডিং এর জন্য ঠিক তখনই যেন চাঁদের হাসির বাধ ভেঙেছে মনে হল.... সত্যি সেই কি ভয়ানক হাসি, কি ভয়ানক শুন্যতার সেসব হাসিতে কি অদ্ভুদ রকমের যাতনা মিশে থাকে। এই যে এত রকমের রঙের কথা বলছি, এত এত কর্মপরিকল্পনার কথা বলছি, এরা সবাই শুধুমাত্র একটি উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় তা কি জানো? সেই উপলক্ষ্যের নাম হল 'তুমি' পক্ষ্যান্তরে প্রকৃতি। । আমরা সবাই প্রকৃতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সর্বদাই। আমরা মাঝে মাঝেই ভুলে যাই যে আমরা প্রকৃতিরই অংশ৷ এ জল আমার, এ সবুজ আমার। আমি ওর, ও আমার। আচ্ছা এই যে প্রেম, এই প্রেম কার প্রতি? এ ভালবাসা, এ নিবেদন কার তরে?তাহলে এ সন্ধ্যা,এ সকাল কার তরে? কার জন্য?
বেদনার চাদরে ঢেকে যাওয়া ঠিক কতগুলো সোনালী সন্ধ্যা আমার সামনে দিয়ে পালিয়ে গেল গুনে বলা সম্ভব নয় আসলে। মাঝে দিয়ে কিছু মাস এমন গেল যে, আমি আর মিঞাভাই শুক্রবার বাদে প্রতিদিন বিকেলে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে হাটছি,বসছি, চা-সিগারেট ফুকছি, কথা বলতেছি। আমাদের কথা আর ফুরচ্ছে না। সেসব দিনগুলতে প্রতিদিনই সোনালী বিষন্নতারা বেদনার নীলকে সাথে নিয়ে চোখের পলকে, কিছু মূহুর্তেই পালালো আমাদের ছেড়ে। এটা কল্পনা করলে মনে হল যে হটাৎই আকাশ থেকে চাঁদ টা খসে পরল যেন।
ঐদিন সকালে দেখলে না, যেদিন বসলাম নদীর পাড়ে!? আমার কল্পনায়, নদীর ঐ অংশতে সন্ধ্যা কালের যে সেই নীল আলো, সেই নীল আকাশ আর মাঝে কোন বিদেশি রমনীর সোনালী চুলের মতন আভার মধ্যে দিয়ে কিছু সাদা মেঘ কি সুবিশাল মুক্তি নিয়ে ভেসে যাচ্ছে এক আকাশের বুক থেকে অন্য আকাশের বুকে। আর এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এসব আলো ছড়িয়ে যায়... সমাজ থেকে সমাজে ছড়িয়ে যায়....শত সহস্র বছরের মধ্যে যে কী গোপন সে সব যোগাযোগ ; সেই যোগাযোগের লাগামহীনতাকে পরিচালনা করে সে আলো।আচ্ছা, দেখেছ এখানের মজার ব্যাপারটা!? কি অদ্ভুদ সেসব যোগাযোগ!
আচ্ছা আজকাল কি মানুষে মানুষে যোগাযোগ কমে গিয়েছে নাকি? কেন কমে গেল? আচ্ছা যোগাযোগ কমে গেলে নাকি মানুষ হারিয়ে যায়, শুনেছি চোঁখের আড়াল হলে নাকি মনের আড়াল হয়ে যায় অনেকেই?! আমি এও বলতে শুনেছি যে, বহুকাল পরে ফিরে এলে নাকি যায়গা অক্ষুন্ন থাকে না আর? আমি প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে ; কাউকে একটু আপন মনে হলেই জিজ্ঞেস করতাম, এক বছর সময়টা বহুকাল হয় কি করে? মাত্র 'একটি' বছরকে বহুকাল বানাবার দুঃসাহস কে করল!
আচ্ছা তখন কি হয়? মানুষ কি ফিরে যায়? নাকি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে সেই প্রকৃতিতে?, সেই ভূমিতে?, সেই অস্তিত্বে?,সেই দিনে?,সেই নীলে, সেই ভয়ে, সেই সাহসে,সেই বেদনায়,সেই হতাশায়, সেই সহসায় ; সেই ভরসায়,সেই অন্ধকারে?
যে অন্ধকারে, নিভৃতে ; নিঃশব্দের নির্যাতনে নতুন কোন এক আবহ নীলের দেখা পায় চোঁখদুটো!এটা কি আসলেই সত্যি? এমন সত্যি কি প্রচলিত ছিল বহু শতাব্দী পূর্ব থেকেই?!
শুনেছি ভালবাসারও নাকি স্তর আছে? ভালবাসার প্রতিটি স্তরে স্তরে রহস্য লুকানো এমনটা সবাই বলে! কই আমি তো এমন দেখি না মোটেও নাকি আজকাল দেখি আবার! আমি জানি না! জানতে চাই। উত্তর যার কাছে; সে নেই আমার কাছে! কি এক বিরম্বনা!
খুব গভীর থেকে দেখলে, আমার কাছে ভালবাসা খুবই সহজ। খুব তরল যাকে যেকোন পাত্রে রাখা যায়। আবার সেই একই যায়গা থেকে দেখলে তোমাকে বারবার ভালবাসতে চাওয়াটা খুব স্বাভাবিক... তুমি তো তো প্রকৃতিরই অংশ। তুমিও তো বোকাভোলা কিছু অমিমাংসিত আবদারের মতন, তুমি শীত সকালের নিশিরের বিন্দু বিন্দু জলের মতনই অনিয়মিত প্রবাহমান ,সন্ধ্যার সেই বিষাদের নীলের মতই নীল বর্ণ তোমার যার প্রকাশ আবার হারিয়ে যাওয়ার নীলে-ই , আবার রূপালী জোছনাও তোমার মধ্যে বিরাজমান,তুমি নিজেও তো নদীর মতন শান্ত খুব , প্রচন্ড বেদনার কোন রাতে বয়ে যাওয়া সে বাতাস ; তোমার আক্ষেপকেও বয়ে নিয়ে যায় এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে, ঠিক সূর্যকালের নতুন কুড়ির মতন সবুজ তোমার সে চুল, তুমি নিজেই তো কাল, কালান্তর, দশক, শতক, শতাব্দী.........
সেই সমাজের মতন হও বা না হও, তুমি-ই তো সমাজ। এ প্রকৃতিও তো তুমি! যেদিকে মানুষের চোঁখ যাবে সেদিকেই এ প্রকৃতি,এ সমাজ, তুমি, আমি সহ জগতের সব প্রান মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। সেই প্রকৃতিকে যদি কেউ ভালবাসতে চায়, তবে সে চাওয়াটাও প্রকৃতিরই বিধান হতে পারে বৈকি তবে সে চাওয়াটাও স্বাভাবিক। সেই যায়গা থেকে তোমাকে ভালবাসতে চাওয়া,তোমাকে সুখে দেখতে চাওয়া চাওয়া, মানুষ কে ভালবাসতে চাওয়া, লোকালয় কে ভালবাসতে চাওয়া, নগরকে ভালবাসতে চাওয়া, শতক -সভ্যতাকে,সংগীত,শিল্প-সংস্কৃতিকে ভালবাসতে চাওয়া এবং প্রকৃতিকে ভালবাসতে চাওয়াটা খুব স্বাভাবিক। আর দিনশেষে যা হয় আরকি প্রায় প্রতিদিনই, প্রতিটি ক্ষনে, লোপকূপের মতন ছোট্ট একটু যায়গায় যখন আস্ত একটি মানুষ আটকে যায়! তখন কি হয় জানো? সে ব্যক্তি প্রকৃতিকে ভালবাসার দাবী জানায়, সেই শুন্যতাকে আহবান করে নিজের কাছেই ; যা সে নিজেই।
আর যেমন কোন মানে নেই কিছু আবদারের ; ঠিক তেমনি নেই এই চিঠির কোন মানে। স্বাভাবিকভাবে উচ্চারিত সামান্য তিনটি শব্দের ব্যাখ্যামুলক একটি চিঠি যেখানে প্রকৃতি ও মানুষ মিশে আছে একে অপরের সাথে। অনেক আদর জমে গেল প্রস্থানের এতগুলো বছরে। আচ্ছা চিংড়ি কি এখনো প্রিয় তোমার? বিপীন পার্কের সেই বুলেট চা-টা কি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছ এখন?
আহা!প্রকৃতির কি রুপ দেখা যাচ্ছে একদম সবুজের মতন, একদম জলের মতন, সকালের সূর্যের মতন। আমি জানি যে, আমি দূরে সরে যাচ্ছি।কিন্তু ভাবি যে 'তুমি ' নামক কি এক বিশাল 'সভ্যতার' থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তুমি আমার কাছে এমনই বিশাল। এমনই বিশাল পরিব্যপ্তি 'যার' ; আমার চিন্তা ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে।এখনো প্রতিদিন সন্ধায় হাতিরঝিলে গিয়ে একা একা বসে সবুজ দেখতে দেখতে আমার ব্রহ্মপুত্র নদের কথা খুব মনে হয়। তুমি কি জানো, এখনো পুরো ময়মনসিংহ শহর শুধু তোমার অপেক্ষায় হা করে চেয়ে থাকে আমার দিকে। তুমি চলে যাবার পরে আর যাইনি ঐ শহরে। আমার যেতে ইচ্ছে করে আবার সেই শহরে, যে শহরের প্রতিটি রাস্তায় শুধু আমি আর তুমি মিশে থাকি।
হায়রে! এই প্রেম যদি তোমারে বুঝাইতে পারতাম, দেখাইতে পারতাম একবার।এখনো বারবার মনে হয় পুরো জগতে শুধু তুমি একটা মানুষই আছো!
আর কিছু নাই,আর কেউ নাই!
আমাদের এই সময় গুলো কি অদ্ভুদ ভাবেই না হারায় আমাদের থেকে।বিটোফোনের ছন্দে সে হারায়, অপেরায় সে হারায়,মোজার্টে সে হারায়,নরওয়েজিয়ান ৭০০ বছরের পুরনো বেরোমান্টিক ক্লাসিকালে সে হারায়,কিছু ইতিহাসের নীল নকশায় সে হারায় নয়তবা কিছু ওয়েস্টার্ন কর্ডে ; যেসব টোনে এখনো শতাব্দী পুরনো কিছু শুন্যতারা বসবাস করে চলেছে.......
পাখিদের কিচির-মিচির শুরু হয়েছে বাইরে, আমি বারান্দায় বসে এতক্ষন শুনছিলাম আর লিখলাম তোমাকে। মাঝে মাঝে আমার নিজেকে খুব দোষী মনে হয় জানো! এত এত কথার জন্মদিয়েও সেগুলোকে তোমার কোলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না, আর হবেও না কখনো।
ভোরের অন্ধকারে আর কখনো হাটা হবে না তোমার সাথে,না থাকবে এক কাপ কফি আর গল্প! মায়াময়ী ঐ যে দেখো, অন্ধকারেরা হারাচ্ছে ধীরে ধীরে৷ কেমন করে যেন ধীর স্থির আকাশে কিছু মেঘেদের মতন সে হারায়,হারাক...অন্ধকার তো .... আলো ছাড়া আর কার সাধ্যি ওকে গ্রাস করার....
এখনো ঘোর লাগা নিয়েই কিছু পুরনো প্রিয় গান শুনতে শুনতেই চোঁখ মেলে তাঁকাই। মাঝে মাঝে রাতে খেতেও ভুলে যাই, কেমন বেসামাল কিছু দিন-রাত্তিরের গল্পসমুহের বৃথা কিছু মিথ্যে ভয়ের সাথে বসবাস সুখকে জলাঞ্জলি দিয়ে। দিনগুল কেমন যেন করে আস্তে আস্তে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। কখনো কখনো মনে হয় প্রিন্স রুবার্টের সেই টুকরোর লেজে কামড়ে দিয়ে ওকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে ঠিক যতগুলো ভাগে বিভক্ত করে দেয়া হচ্ছে, আমার সময়গুলও ঠিক সেভাবেই বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে।
কিছু পাম গাছের সারির মধ্যতে আবার কিছু হলুদ গোলাপের চারা। ওদিকের পূর্ব দিকের পুরনো ইটের দেয়ালের বুক চিরে রয়ে গিয়েছে কিছু পুরনো সবুজ; নির্জীব শ্যাওলার আস্তরন। ধুলোমাখা সেই পথের মাটি উড়ে যায় বারবার টিনের উপর থেকে কিন্তু সেখানে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায় নি যেন কতকাল। লালরঙা টাইলসের সেই ছোট নীল রাস্তাটা পেরোলেই কিছু বসার চেয়ার আর সামনে ছোট টেবিলটার উপরে ভাজ করে রাখা ডায়েরির মধ্যে একটি ছোট্ট টিস্যুর প্যাকেট ! সেলফের কোনায় হটাৎই 'শেষের কবিতা'র নামটি উকি দেয়।
আর!
কিছু মুহুর্ত,কিছু বৃষ্টিবিলাস, কিছু একত্রতা, কিছু আক্ষেপ আর জনকুড়ি মানুষ নিয়ে সে পুরনো সমাজের লক্ষন রেখা টেনে দেয়া হল ! কেন? কী সে কারন?
থাই গ্লাসের ভেতরের ডান দিকটায় আকাশী রঙের পাতলা কাগজ দিয়ে এটে দেয়া থাকে সবসময়েই। আর বাম দিকে একই প্রকৃতির লাল রঙের কাগজ। এই দুই মিলে দুপুর দু'টার পর থেকে রুমের মধ্যে এক মোহনীয় আলোর ঝলকানি তৈরি করে। এ সময়টার মধ্যে আবার 'রোদবন্যা' ও 'কুসুমবেলা'র বসবাস। তাই এ সময়টায় খুব ভাল ঘুম হয় বন্ধের দিন গুলতে। বাকি দিনগুলো এ সময়টায় আকাশ দেখতে দেখতেই কেটে যায়৷তবুও তো জীবন তো.....
তোমাকে ধন্যবাদ, আমার জীবনে ভালবাসার অনুভুতির জন্ম/ছোঁয়া এসব সবই তোমারই অবদান৷ যদি এ শুন্যতা বারবার আমাকে তোমার কথা মনে করিয়ে দেয়, তাহলে আমি ওদিনের মতই হাসতে হাসতে এসব শুন্যতাকে আহবান করি আমার হৃদয়ে তাঁদের বাসগৃহ স্থাপনের জন্য। কিছু দিন,কিছু সপ্তাহ, কিছু মাস, কিছু বছর ও কিছু কাল না হয় হোক শুন্যতাদের নামে! তাছাড়া ক্ষতি তো নেই কোন। শুন্যতার বেশে তুমিই তো ফিরে আসবে আমার কাছে, এই বা কম কি বলো।
ইতি
তোমারই
ম্যাজিকম্যান
২১.১০.২০২৩
পান্থপথ,ঢাকা।
ইনবক্স থেকে