কটিয়াদী প্রবাহ
- Home
- Bangladesh
- Dhaka
- কটিয়াদী প্রবাহ
Katiadi Probaho is one of the Multi Media Portal in Bangladesh. জাগ্রত রাখার প্রত্যয়ে
(2)
Address
Katiadi Bazar, Kishoregonj
Dhaka
2330
Telephone
Website
Alerts
Be the first to know and let us send you an email when কটিয়াদী প্রবাহ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Contact The Business
Send a message to কটিয়াদী প্রবাহ:
Shortcuts
Category
গণমাধ্যম : দায় ও দায়িত্ব
সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া আঙ্গিক ও বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হলেও দুটিই শক্তিশালী গণমাধ্যম। উপগ্রহভিত্তিক টিভি চ্যানেলের প্রসার ঘটার আগ পর্যন্ত সংবাদপত্রই ছিল প্রধান সংবাদমাধ্যম। এমনকি বিগত শতকে টেলিভিশনের বিপুল জনপ্রিয়তাও সংবাদপত্র বা মুদ্রিত গণমাধ্যমের সংহত অবস্থানকে কেউ নাড়াতে পারেনি। সে সময় টেলিভিশন সংবাদমাধ্যমের চেয়ে বিনোদন মাধ্যম হিসেবেই বেশি সমাদৃত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে অনেক ইলেকট্রনিক মিডিয়া ২৪ ঘণ্টাই সংবাদ পরিবেশন করে মুদ্রিত গণমাধ্যমকে এক ধরনের ঝুঁকিতে ফেলেছে। কেননা মানুষ কোন মাধ্যম থেকে খবরটি পেল, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো কত দ্রুত খবরটি পাওয়া গেল।
অস্বীকার করার উপায় নেই, বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্র বা মুদ্রিত গণমাধ্যমের মন্দা চলছে। বিশেষ করে উন্নত পশ্চিমাবিশ্বে অনেক নামকরা পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। দুটি পত্রিকা একীভূূত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। অতিসম্প্রতি বিখ্যাত সাপ্তাহিক নিউজউইকের মুদ্রণ সংস্করণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক খ্যাতনামা পত্রিকার প্রচার সংখ্যা কমে গেছে। এই প্রচার সংখ্যার সঙ্গে বিজ্ঞাপন বা ব্যবসার সম্পর্কটি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। পত্রিকা একটি বিক্রয়যোগ্য পণ্যও বটে। পাঠকের চাহিদা কমে গেলে এর বিক্রি কমে যায় আর বিক্রি কমে গেলে আয়ের প্রধান উৎস বিজ্ঞাপনও কমে যায়। মুদ্রিত দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয় ২৪ ঘণ্টা পর, আর বৈদ্যুতিক মাধ্যম প্রতি ঘণ্টায় এমনকি মিনিটে মিনিটে হালনাগাদ খবর পরিবেশন করে থাকে। তবে আনন্দের কথা, সাম্প্রতিক একাধিক জরিপ অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য স্থানে পত্রিকার পাঠক কমে গেলেও এশিয়ায় পাঠক কমেনি। বরং চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশে পত্রিকার প্রচার সংখ্যা বেড়েছে। গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ২০-২৫ বছর দক্ষিণ এশিয়ায় সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা কমার আশঙ্কা নেই। এর সামাজিক, রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণ আছে। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ অনেক বেশি রাজনীতিসচেতন। একজন রাজনীতি সচেতন মানুষের জন্য কেবল তথ্য পাওয়াই যথেষ্ট নয়; তথ্যের সঙ্গে তিনি বিশ্লেষণ পেতে চান। অন্যের ভাবনার সঙ্গে নিজের ভাবনাকে মিলিয়ে নিতে চান। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। শিক্ষার হার বাড়ছে। সেই সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, বেড়েছে জীবনযাপনের চাহিদাও। সে কারণে একজন পাঠক কেবল দেশ-বিদেশের খবর জানতেই পত্রিকা পড়েন না, তিনি তার দৈনন্দিন চাহিদা ও প্রয়োজনের বিষয়টি পত্রিকায় পেতে চান; যা বৈদ্যুতিক মাধ্যমে সব সময় সম্ভব হয় না।
২.
বাংলাদেশে বর্তমানে ৩০টি টিভি চ্যানেল থাকলেও এর অভিগম্যতা কয়েকটি বড় শহর ও আশপাশের এলাকায়ই সীমিত। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারই ভরসা। সম্প্রতি বেসরকারি পর্যায়ে কয়েকটি এফএম রেডিও চালু হলেও তাও মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে যেতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে এখনো বিশাল জনগোষ্ঠী সংবাদপত্রকেই তাদের একমাত্র তথ্য পাওয়ার এবং ভাবনা জোগানোর মাধ্যম বলে মনে করে। তা ছাড়া স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দেখা যায়। অর্থাৎ এসব টিভি চ্যানেলের বাইরে যে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে, তারা এর বাইরেই থেকে যাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে বর্তমানে দৈনিক-সাপ্তাহিক মিলে পত্রিকার মোট প্রচার সংখ্যা ২০ লাখের বেশি নয়। অথচ প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ লাখ শিক্ষিত তরুণ যুক্ত হচ্ছে। তাদের সবার হাতে এখনো পত্রিকা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে সামর্থ্যরে অভাবে পত্রিকা কিনতে পারছে না, যে হারে মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বাড়ছে, সেই হারে পত্রিকার পাঠক বাড়েনি। অর্থাৎ পত্রিকার পাঠক বাড়ানোর সুযোগ আছে। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাগুলো সনাতনী ধারায় পত্রিকার বিপণন করে থাকে; এখানে আধুনিক বিপণনব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে মোট পাঠক সংখ্যা দ্বিগুণ করা কঠিন নয়। তৃতীয়ত, পৃথিবীর কোনো দেশে এত বিপুলসংখ্যক জাতীয় দৈনিক প্রকাশিত হয় না; প্রকাশিত হয় আঞ্চলিক দৈনিক। অধুনা বাংলাদেশেও বেশ কিছু আঞ্চলিক দৈনিক পাঠকের মনে জায়গা করে নিয়েছে। কয়েক বছর আগেও হয়তো কমমূল্যে স্বল্পপৃষ্ঠার পত্রিকার কথা ভাবা যেত না, এখন দিব্যি চলছে। জাতীয় দৈনিকের তিলক তাদের কপালে নাই বা পড়ল?