Mojlum Voice

Mojlum Voice নগ্নতা বিহীন মজলুমের মুখপাত্র। Educational magazine

09/12/2024

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ৭৯ জেলে-নাবিকসহ 'Meghna-5' & 'Laila-2' নামের ২টি জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড।

২০ থেকে ৩৭ বছর বয়সী ১১,৭০০ জন নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের কে ধর্ষণ করা হতো। পৃথিবীর ইতিহাসে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচে...
09/12/2024

২০ থেকে ৩৭ বছর বয়সী ১১,৭০০ জন নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের কে ধর্ষণ করা হতো।

পৃথিবীর ইতিহাসে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ক|রাগ|র সিদনায়া ক|রাগ|র

দ|মে°স্কের সিদনায়া ক|রাগ|র থেকে এ পর্যন্ত ২০ থেকে ৩৭ বছর বয়সী ১১,৭০০ জন নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে!

তাদের শত শত সন্তান আছে, কিন্তু এগুলো ধ-র্ষ°ণের কারণে হয়েছে!

প্রথম দেখায় মনে হবে এইটা কোন হরর মুভির দৃশ্য 😱কিন্তু না এইটা সিরিয়ার আয়নাঘরের বন্দীর দৃশ্য। 😭
09/12/2024

প্রথম দেখায় মনে হবে এইটা কোন হরর মুভির দৃশ্য 😱

কিন্তু না এইটা সিরিয়ার আয়নাঘরের বন্দীর দৃশ্য। 😭

আসাদের গোপন কারাগারে হা মা সে র বন্দী। আসাদ সরকারের সেদনায়া কারাগারে প্রবেশকারী বিপ্লবীরা হাজার হাজার মানুষকে মুক্তি দি...
09/12/2024

আসাদের গোপন কারাগারে হা মা সে র বন্দী।

আসাদ সরকারের সেদনায়া কারাগারে প্রবেশকারী বিপ্লবীরা হাজার হাজার মানুষকে মুক্তি দিয়েছে।

এ সময়, আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করার পরে, সেলারের দিকে যাওয়ার পথগুলির মধ্যে একটি পাওয়া যায়। মাটির নিচে গোপন নির্যাতন কেন্দ্রের চারটি তলা ছিল।

সংলগ্ন সারি সারি ওয়ার্ডে হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধারের অপেক্ষায় দেখা যায়। এমন এক পরিবেশে যেখানে ভিতরে আলো নেই, লোহার দরজার ছাদের রেলিং-এ উঠে আসা বন্দীরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিল।

গাজার কাসাম ব্রিগেডের অনেক সৈন্য, যাদেরকে নিখোঁজ ও মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল, তারাও সেদনায়া কারাগারের নির্যাতন কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসেছে।

বাশার আসাদ আসলে কার জন্য কাজ করেছিল? কেন বার বার পতনের কাছে পৌছানোর পরও আসাদকে টেকানোর জন্য জায়নবাদ কাজ করেছে। এখন অনেক রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে।

08/12/2024
08/12/2024

কোন বিদেশিকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না 👇

08/12/2024

আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা সদস্য ড: অনুপম সেন ৮৪ বছর বয়সে ও ১৬ বছর ধরে ভিসি পদে, যেখানে ৮ বছরের বেশি এবং ৭৫ বয়সের পর থাকাটাই বেআইনি।

সি রি য়া থেকে: বিধ্বস্ত ঘরখানা ছেড়ে প্রিয়তমাকে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় দেওয়ালে লিখে গিয়েছিলেন— ‘আমরা ফিরব, হে হাওয়া।’তাতে...
08/12/2024

সি রি য়া থেকে:
বিধ্বস্ত ঘরখানা ছেড়ে প্রিয়তমাকে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় দেওয়ালে লিখে গিয়েছিলেন— ‘আমরা ফিরব, হে হাওয়া।’

তাতে তারিখ লেখা ছিল - ২০১৬ সাল। আট বছর পর আজ সত্যিই তারা ফিরে এসেছেন...

ভালোবাসার মানুষটিকে বুকে জড়িয়ে স্মৃতিচারণ করছেন সেই বিভী°ষিকাময় দিনগুলোর 💔

— আবুল হাসানাত কাসিম (হাফি.)

মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র নগরী মক্কা এবং মদিনার পরে তৃতীয় পবিত্র ও ভালোবাসার স্থান শামদেশ। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লা...
08/12/2024

মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র নগরী মক্কা এবং মদিনার পরে তৃতীয় পবিত্র ও ভালোবাসার স্থান শামদেশ। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে শামদেশকে কেন্দ্র করে। কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত তৎকালীন সময়ে শামদেশ বলতে- বর্তমান সময়ের সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে বুঝানো হতো।

এ শামদেশকে কেন্দ্র করে যতগুলো তথ্য হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থগুলোতে পাওয়া যায়, সেই শামদেশের সীমানা অবশ্য আজকের সিরিয়া থেকে অনেক বিস্তৃত এবং বড় ছিল।

কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের সমন্বয়ে ছিল বিশ্বনবির সময়ের শামদেশ। অবশ্য সে সময়ের শামদেশের সবচেয়ে বড় অংশ বর্তমান সময়ের সিরিয়া হওয়ার কারণেই সিরিয়াকে শাম বলা হয়।

শামদেশের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য

যুগে যুগে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যত নবি-রাসুল সারা দুনিয়ায় এসেছিলেন, অধিকাংশ নবি-রাসুলই এসেছেন এ শামদেশে। আবার এ শামদেশ বা অঞ্চলই হবে কেয়ামতের ময়দান। কেয়ামতের দিন সব মানুষ এখানেই সমবেত হতে থাকবে।

শামদেশ সম্পর্কে বিশ্বনবির ভবিষ্যদ্বাণী

এ শামদেশ তথা সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ফিলিস্তিন অঞ্চল সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ও বক্তব্য রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ কিছু তুলে ধরা হলো-

১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের ঘোষণা, আমার উম্মাতের মধ্যে এক দল সব সময়ই হকের উপর বিজয়ী থাকবেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত মুগিরাহ ইবনে শোবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, ‘কেয়ামত আসা পর্যন্ত আমার উম্মাতের এক দল সব সময়ই (সত্যের উপর) বিজয়ী থাকবে। আর তাঁরা হলেন বিজয়ী।’ (বুখারি)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘এ উম্মাতের কার্যকলাপ কেয়ামত অবধি কিংবা বলেছিলেন, মহান আল্লাহ্‌ তাআলার হুকুম আসা পর্যন্ত (সত্যের উপর) সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে।

অর্থাৎ আমার উম্মতের মধ্যে একদল বা বিশেষ শ্রেণীর লোক থাকবে যারা সত্যের পথে লড়াই করতে থাকবে। তাদের সঙ্গে আল্লাহর সাহায্য থাকবে। আর তারা সত্যের পক্ষের সংগ্রামকে কেয়ামত না আসা পর্যন্ত অব্যাহত রাখবে। এ সংগ্রামী মানুষকে যারা ক্ষতি করতে চায়, কেউ তাদের কোনো ক্ষতিও করতে পারবে না।

হাদিসে উল্লেখিত যে দলটির কথা বলা হয়েছে, যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য পাবেন এবং সত্যের উপর অবিচল থাকবেন, তাদের পরিচয় ও অবস্থান সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম বলেছেন-

> এ দলটি শামদেশ অঞ্চলের অবস্থানকারী হবেন। আর তা হবে ঠিক কেয়ামতের আগ মহূর্তে। তাছাড়া তাবরানির এক বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সে দলটি থাকবে সিরিয়া বা শামে।

২. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় সিরিয়া ও ইয়ামেন সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবে দোয়া করেছেন-

اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي شَامِنَا وَفِي يَمَنِنَا

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি শামেনা ওয়া ফি ইয়মানিনা।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের শাম এবং ইয়ামেনে বরকত দান করুন।’

এ দোয়া শুনে উপস্থিত ব্যক্তিরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের নজদেও বরকত দান করুন’- আপনি এ দোয়াও করুন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কথা না শোনে আবারও শাম এবং ইয়ামেনের জন্য বরকতের দোয়া করলেন। এভাবে তৃতীয়বারও লোকেরা নজদের জন্য দোয়া করতে বললেন, আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথম ও দ্বিতীয় বারের মতো একই দোয়া করলেন।

তারপর রাসুলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, নজদ; সে স্থানে তো ফেতনা-ফাসাদ হবে; সেখানে তো হত্যা, মারামারি হবে; খুনাখুনি হবে; সেখানে ভূমিকম্প দেখা দেবে এবং সেখান থেকে শয়তানের আবির্ভাব হবে।

এখানে নাজদ বলতে যে অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, অধিকাংশ ইসলামিক স্কলার নাজদ বলতে ইরাককে বুঝিয়েছেন। কেননা নাজদ বলা হয় উঁচু অঞ্চলকে। আবার সৌদি আরবের হেজাজকেও নজদ বলা হয়। তবে কানজুল উম্মালের বর্ণনায় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নজদ বলতে ইরাকের কথাই বলেছেন।

মূল কথা হলো-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বরকত ও কল্যাণ চেয়েছেন শামবাসীর জন্য। সেহিসেবে শাম অঞ্চল বা সিরিয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও প্রিয় ভূখণ্ড।

৩. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে হাওয়ালা রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন, ‘যখন তুমি দেখবে খেলাফত কোনো পবিত্র ভূমিতে অবতরণ করেছে বা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখন তুমি মনে করবে যে, কেয়ামত খুব সন্নিকটে এসে গেছে।’ (আবু দাউদ ও মুসনাদে আহমাদ)

এ হাদিসে উল্লেখিত পবিত্র ভূমি সম্পর্কে হাদিস বিশারদগণ বলেছেন, ‘এ পবিত্র ভূমি বলতে শাম অঞ্চল বা সিরিয়া। উল্লেখিত হাদিসের পর্যালোচনা করলেই তা প্রমাণিত হয়ে যায়।

৪. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিরিয়াকে মুসলিম বিশ্বের হৃদপিণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছেন বা মন্তব্য করেছেন।’ (তিরমিজি) অর্থাৎ শামের লোকেরা যখন খারাপ হয়ে যাবে। মন্দ এবং খারাপ দিক যখন সিরিয়া বা শামের লোকদেরকে আক্রমণ করবে বা খারাপে পরিণত হবে; তখন তোমরা ধরে নেবে যে, পৃথিবীর কোনো অঞ্চল বা ভূখণ্ডে মুসলমানদের মধ্যে আর কোনো কল্যাণ অবশিষ্ট নেই।

অর্থাৎ হৃদপিণ্ডের মতো সিরিয়া বা শাম অঞ্চলের মানুষের মধ্যে যখন পছন ধরবে তখন পুরো দেহে তথা গোটা মুসলিম বিশ্বের পছন ধরে গেছে বলে মেনে নিতে হবে। এ হাদিসেও সিরিয়া বা শামদেশকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

৫. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একটা সময় আসবে যখন গোটা বিশ্বে বড় বড় যুদ্ধ দেখা দেবে তখন নওমুসলিমদের একটি দল আল্লাহর পক্ষে, সত্যের পক্ষে আল্লাহর দ্বীনের জন্য সংগ্রাম করতে থাকবে। ওই সময় আধুনিক যত অস্ত্র-শস্ত্র থাকতে তা নিয়েই তারা সজ্জিত থাকবে। আর সত্যের পক্ষে লড়াই করতে থাকবেন। (ইবনে মাজাহ)

সুতরাং চরম সংকটময় পরিস্থিতিতে আল্লাহ তাআলার বিশেষ সাহায্য ও অনুগ্রহ পাওয়ার কথা ঘোষিত হয়েছে। আর তা আসবে সিরিয়া নামক দেশের দামেস্ক শহরে।

৬. হজরত নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার দাজ্জাল প্রসঙ্গে দীর্ঘ ও বিশদ আলোচনা করেছেন। এক পর্যায়ে তিনি বললেন, কেয়ামতের আগে হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম যে আসমান থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করবেন। তিনি যে স্থানে অবতরণ করবেন মূলত সিরিয়ার দামেস্ক নাম শহরে পূর্ব অঞ্চলে উঁচু এবং সাদা মিনারায়। তিনি অবতরণ করে দুনিয়াতে আসবেন এবং সারা দুনিয়ায় তাণ্ডব চালানো দাজ্জালের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করবেন। আর সিরিয়ার ‘লুদ’ নামক স্থানে তিনি দাজ্জালকে হত্যা করবেন।’ (মুসলিম)

একজন মুসলমানের কাছে শাম অঞ্চল যে তাৎপর্যপূর্ণ তা পরিস্কারভাবে এ হাদিসের মাধ্যমে সুস্পষ্ট।

৭. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কেয়ামতের আগে ইয়ামেনের হাজরামাউত নামক শহরে আগুনের তাপ দেখা দেবে, আগ্নেয়গিরি দেখা দেবে। আর সে আগুন মানুষকে ধাওয়া করতে থাকবে।

কেয়ামতের আগ মুহূর্তে সেই পরিস্থিতি আসলে করণীয় কী হবে? সে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাহাবায়ে কেরাম দিকনির্দেশনা চেয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন- ‘তোমরা শামদেশ তথা সিরিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নেবে।’

হাদিসের অন্য বর্ণনায় বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন তিন (সিরিয়া, ইয়ামেন এবং ইরাকে) স্থানে এক সঙ্গে যুদ্ধ চলবে, তখন এক সাহাবি জানতে চাইলেন। হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে কোন পক্ষের হয়ে লড়াই করার নির্দেশ করবেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তুমি শামের হয়ে তথা সিরিয়ার হয়ে লড়াই করবে। যদি শামের পক্ষে লড়াই করার সামর্থ্য না থাকবে তবে ইয়ামেনের পক্ষে লড়াই করবে। এ হাদিস থেকে সুস্পষ্ট যে, শামের গুরুত্ব অনেক বেশি।

৮. কেয়ামতের আগে যে আগ্নেয়গিরি দেখা যাবে, যে আগুনের তাপ দেখা দেবে, সে আগুন মানুষকে ধাওয়া করতে থাকবে। সারা পৃথিবীর মানুষকে ধাওয়া করতে করতে থাকবে। মানুষকে ধাওয়া করতে করতে একটা সময় এক জায়গায় একত্রিত করবে। আর সেটি হলো সিরিয়া। পিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভাষায়- ‘আরদুল মাহশারে ওয়াল মানশার’ অর্থাৎ সিরিয়াই হবে কেয়ামতের ময়দান। কেয়ামতের সময় মানুষ সারা পৃথিবী থেকে এসে এ শাম অঞ্চলেই একত্রিত হতে থাকবে। (মুসনাদে আহামদ)

৯. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য হাদিসে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর ফেরেশতারা শাম অঞ্চলের উপরে তাদের ডানা বিছিয়ে দিয়ে আছেন। অথবা ডানা বিছিয়ে রাখবেন।’

১০. অন্য এক হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্বপ্নে বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘একবার আমি শুয়েছিলাম। দেখলাম আমার মাথার নিচ থেকে আল্লাহর কিতাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। আর সেটাকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন আমি তাকিয়ে দেখতে থাকলাম, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?

দেখলাম একটা আলোকরশ্মি চলে যাচ্ছে। যেতে যেতে সেটা শাম অঞ্চল তথা সিরিয়ার ভূমি পর্যন্ত চলে গেল। আর সেটা সেখানেই অবতরণ করল। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘যখন সারা পৃথিবীতে ফেতনা ফাসাদে ভরে যাবে তখন ঈমানের ঠিকানা হবে শাম বা সিরিয়া অঞ্চল আর ঈমানদারদের শেষ আশ্রয়স্থলও হবে শাম বা সিরিয়া অঞ্চল।

উল্লেখিত হাদিস থেকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, কেয়ামতের আগ মুহূর্তে পবিত্র নগরী মক্কা-মদিনা থেকেও ঘটনাবহুলস্থানে পরিণত হবে শামদেশ তথা- কুরআন-সুন্নাহর পরিভাষায়, সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ফিলিস্তিন অঞ্চল। আর এ স্থানগুলো মর্যাদাও অনেক বেশি।

লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে-

হাদিসে বর্ণিত সেই শামদেশে সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতন চলছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কসাইখানায় পরিণহ তচ্ছে শামদেশ তথা সিরিয়া, ফিলিস্তিন। এ দেশগুলো নিরীহ নারী-পুরুষসহ শিশুদের উপর চলছে মারাত্মক নির্যাতন। এসব মানুষের রক্তকে হালাল মনে করে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। এসব অঞ্চলের নারী-পুরুষ ও শিশুদের কান্না ও রোনাজারিতে ভারি হয়ে ওঠছে সেখানকার আকাশ-বাতাস। অত্যাচারীদের নির্যাতনে বয়ে চলছে রক্তের নদী।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর অপরাগ অবস্থানকে ক্ষমা করুন। শামদেশ তথা নির্যাতিত জনপদ সিরিয়া, ফিলিস্তিনসহ সব মুসলিম অঞ্চলকে হেফাজত করুন। সব অপরাগতার কারণে আল্লাহর আজাব ও গজব থেকে মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন। আমিন।

আলোচনায় : শায়খ আহমাদুল্লাহ

পোল্যান্ডের তরুণী আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক সালাহউদ্দিন এস.কে (৩...
07/12/2024

পোল্যান্ডের তরুণী আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক সালাহউদ্দিন এস.কে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছন গ্রিসের একটি আদালত। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ঘোষিত এই রায় গ্রিসের সংবাদমাধ্যমসহ বাসিন্দাদের ব্যাপক নাড়া দিয়েছ। গ্রিসের কস দ্বীপে সংঘটিত এ ঘৃণিত ঘটনার মামলাটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম নৃশংস অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
পোল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টিভিএন-২৪ গ্রিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সালাহউদ্দিন এস'র বিরুদ্ধে আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ আনেন মামলার কৌঁসুলি। পরে শুনানি ও অন্যান্য যুক্তিতর্ক শেষে গতকাল শুক্রবার আদালত তাকে যাবজ্জীবনের দণ্ডাদেশ দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আসামি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তবে তার আবেদন আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এদিকে নিহত পোলিশ নারীর বাবা পোলিশ গণমাধ্যম ভার্চুয়ালনা পোলাস্কাকে জানিয়েছেন, এই রায় এখনো চূড়ান্ত নয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, এ ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। কারণ মামলার কাগজপত্রের কিছু অংশ ২ ডিসেম্বরেই বিবাদীপক্ষের হাতে পৌঁছায়। কস দ্বীপের একটি হোটেলে কাজ করতেন ২৭ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া। ২০২৩ সালের জুনের কোনো এক দিনে তিনি তার কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ার পর নিখোঁজ হন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি দক্ষিণ এশীয় কিছু কর্মীর সঙ্গে কেনাকাটা ও আড্ডা দিচ্ছেন, যাদের মধ্যে সালাহউদ্দিনও ছিলেন। পরে তাকে ওই ব্যক্তির স্কুটারে চড়ে তার বাসায় যেতে দেখা যায়। এটিই ছিল আনাস্তাসিয়াকে জীবিত অবস্থায় শেষবার দেখা।
আনাস্তাসিয়া তার প্রেমিককে একটি বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন, তবে এরপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনোভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। সালাহউদ্দিনকে শুরু থেকেই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, কারণ তিনি ছিলেন আনাস্তাসিয়ার সঙ্গে দেখা করা শেষ ব্যক্তি।
মামলার তদন্তকারী ডেভিড বুরজাকি জানান, সালাহউদ্দিন ইতালিতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য উড়োজাহাজের টিকিট কিনেছিলেন এবং দ্বীপ ছাড়ার ফন্দি এঁটেছিলেন। ডেভিড বুরজাকি বলেন, ‘তিনি (সালাহউদ্দিন) গুগলে টাইপ করেছিলেন, 'মৃতদেহ কীভাবে লুকানো যায়, আঙুলের ছাপ কীভাবে মুছে ফেলা যায় এবং তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার উপায়।' গ্রেপ্তারের পর আসামি তার অপরাধ অস্বীকার করেন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, তরুণীর মরদেহ একটি স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা খুঁজে পান। কস দ্বীপের একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান সল্ট লেকের কাছে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় ডালপালার নিচে লুকানো অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয় মরদেহ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আনাস্তাসিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং হত্যার আগে যৌন নির্যাতন চালানো হয়।

06/12/2024

২রা জানুয়ারী ২০২৫ থেকে
থাইল্যান্ড বাংলাদেশীদের ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে👇

ভারত সোনার ডিম পাড়া হাঁস হারিয়ে উন্মাদ হয়ে গেছে।আপনার মতামত কি?💚💚  সম্পর্কে দশটি অজানা তথ্য১. প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাস: বিএম...
06/12/2024

ভারত সোনার ডিম পাড়া হাঁস হারিয়ে উন্মাদ হয়ে গেছে।
আপনার মতামত কি?💚
💚

সম্পর্কে দশটি অজানা তথ্য
১. প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাস: বিএমডব্লিউ, বায়ারিশে মোটরেন ওয়ার্ক এজি, ১৯১৬ সালে মিউনিখ, জার্মানিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, প্রথমে বিমানের ইঞ্জিন উৎপাদন করে। কোম্পানী 1920 এর দশকে মোটর সাইকেল উৎপাদনে রূপান্তরিত হয় এবং অবশেষে 1930 এর দশকে অটোমোবাইলে পরিণত হয়।
২। আইকনিক লোগো: বিএমডব্লিউ লোগো, যাকে প্রায়শই "রাউন্ডেল" বলা হয়, একটি কালো আংটি নিয়ে গঠিত যা নীল এবং সাদা চার চতুর্থাংশ দিয়ে ছেদ করে। এটি বিমানের কোম্পানির উত্সকে প্রতিনিধিত্ব করে, নীল এবং সাদা একটি স্পষ্ট নীল আকাশের বিরুদ্ধে একটি ঘূর্ণন প্রপেলার প্রতীক।
৩। প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন: বিএমডব্লিউ অটোমোটিভ প্রযুক্তিতে উদ্ভাবনের জন্য বিখ্যাত। এটি ২০১৩ সালে বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি, বিএমডব্লিউ আই৩ চালু করে, এবং উন্নত ড্রাইভিং সহায়তা সিস্টেম (এডিএএস) এবং হাইব্রিড পাওয়ারট্রেন উন্নয়নে একজন নেতা হয়েছে।
৪. কর্মক্ষমতা এবং মোটরস্পোর্ট হেরিটেজ: মোটরস্পোর্টে বিএমডব্লিউ এর একটি শক্তিশালী ঐতিহ্য আছে, বিশেষ করে ভ্রমণের গাড়ি এবং ফর্মুলা 1 রেসিং এ। ব্র্যান্ড এর এম বিভাগ তাদের নিয়মিত মডেলগুলির উচ্চ-পারফরম্যান্স সংস্করণ তৈরি করে, যা তাদের নির্ভুলতা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং উত্তেজনাপূর্ণ ড্রাইভিং গতিশীলতার জন্য পরিচিত।
৫। বিশ্বব্যাপী উপস্থিতি: বিএমডব্লিউ একটি বিশ্বব্যাপী অটোমোটিভ কোম্পানি
৬. বিলাসিতা এবং নকশা: বিএমডব্লিউ বিলাসিতা এবং স্বতন্ত্র নকশার সমার্থক, কারুশিল্প যা আধুনিক প্রযুক্তি এবং আরামের সাথে কমনীয়তা মিশ্রিত করে।
৭. টেকসই অনুশীলন: বিএমডব্লিউ স্থায়িত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তার যানবাহনের মধ্যে পরিবেশ বান্ধব উপকরণ এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করে, পাশাপাশি বিএমডব্লিউ আই৪ এবং আইএক্স এর মত মডেলের সঙ্গে বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রযুক্তির অগ্রগতি।
৮. গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং: বিএমডব্লিউ বিশ্বব্যাপী অসংখ্য প্রোডাকশন সুবিধা পরিচালনা করে, যার মধ্যে আছে জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং অন্যান্য দেশ আছে, যাতে একটি বিশ্বব্যাপী পৌঁছানোর এবং স্থানীয় উত্পাদনের নিশ্চিত হয়।
৯। ব্র্যান্ড পোর্টফোলিও: এর বিখ্যাত বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ড ছাড়াও, কোম্পানী মিনি এবং রোলস-রয়েস এর মালিক, বিভিন্ন ধরণের অটোমোটিভ স্বাদ এবং বিলাসবহুল সেগমেন্টস সরবরাহ করে।
১০। সাংস্কৃতিক প্রভাব: বিএমডব্লিউ এর গাড়িগুলি প্রায়ই সাংস্কৃতিক আইকন হয়ে ওঠে, যা বৈশিষ্ট্যযুক্ত

হিজাব পরা নারীদেরকে প্রহার করার ক্লিপ দেখিয়ে ডারতীয় মিডিয়া দাবি করেঃ বাংলাদেশে "HI*ন্দু নির্যাতন" চলছে।বিদ্রঃ জুলাই আন্দ...
05/12/2024

হিজাব পরা নারীদেরকে প্রহার করার ক্লিপ দেখিয়ে ডারতীয় মিডিয়া দাবি করেঃ বাংলাদেশে "HI*ন্দু নির্যাতন" চলছে।
বিদ্রঃ জুলাই আন্দোলনের সময়কার হেলমেট বাহিনী কর্তৃক ছাত্র জনতার উপর হামলার ছবি আর ভিডিও ক্লিপ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে ☺️

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mojlum Voice posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Nearby media companies


Other Media/News Companies in Dhaka

Show All