horor story with Asraful

horor story with Asraful আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আপনারা যারা রোমহর্ষক ভৌতিক গল্প পছন্দ করেন অবশ্যই ফলো করে পাশে থাকুন.�

26/03/2024

ভুতের গল্প। vuter golpo

আজকের গল্পটি পাঠিয়েছেন কেন্দুয়া থেকে শাহাবুদ্দিন নামের একজন ব্যাক্তি। তার সাথে এই ঘটনাটি ঘটেছিল আজ থেকে প্রায় বিশ বছর আগে। বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক আজকের সেই ভয়ংকর ভুতের গল্প।

শাহাবুদ্দিন কেন্দুয়ার একটি ছোট্র গ্রামে তার পরিবার নিয়ে বসবাস করত। সে প্রতিদিন সূর্যোদয়ের আগেই তার বন্ধু সাদেককে সাথে নিয়ে মাছ ধরার জন্য বিলে যেত। একদিন প্রায় মাঝরাতে সাদেক এসে তাকে ডাকতে লাগলো, *শাহাবুদ্দিন আরে ওই শাহাবুদ্দিন, মাছ মারতে যাবি না*? শাহাবুদ্দিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলো এবং মাছ ধরার জাল এবং থলিটা সাথে নিয়ে সাদিকের সঙ্গে বিলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল।
আফসোস সে বুঝতে পারেনি যে তখন মাঝরাত। অর্থাৎ সকাল হতে অনেকটাই দেরি। আমি আগেই বলেছি এই ঘটনাটি প্রায় 20 বছর আগের। সেই সময় সবার ঘরে কিন্তু ঘড়ি ছিল না। স্বাভাবিকভাবে তাদের ঘরেও কোন ঘড়ি ছিল না। তাই সে বুঝতেও পারেনি এখন মাঝরাত। তারা দুজনেই মাছ ধরতে বিলে নেমে গেল।
তখন চারদিকটা ছিল অন্ধকার এবং পিনপতন নীরবতা। মাঝে মাঝে রেন্টি গাছ থেকে একটা পাখি কিরকম অদ্ভুত ভুতুড়ে স্বরে ডাকাডাকি করছিল। শাহাবুদ্দিন মনের সুখে মাছ ধরতে ছিল। অদ্ভুত ব্যাপার হলো সে যতই গভীর যাচ্ছিল ততই মাছ উঠছিল এবং ঐদিন যে পরিমাণ মাছ জালে ধরা পড়েছিল এ জীবনে আর কোনদিন ধরতে পারেনি। আরো গভীরে যেতে লাগলো একসময় তিনি তার থলের ভিতরে হাত দিলেন এবং অনুভব করলেন তার জন্য সে একদমই প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি লক্ষ্য করলেন যে মাছ থলের ভেতরে রেখেছিলেন তার একটাও সেখানে নাই এবং থলেটা শুন্য দেখতে পেলেন।

অদ্ভুত ব্যাপার হল, এই তিনি আশেপাশে কোথাও তার বন্ধু সাদেককে দেখতে পেলেন না। এরকম একটা সিচুয়েশনে পড়ে তিনি অনেকটা দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে গেলেন। কিন্তু হঠাৎ এমন একটি দৃশ্য দেখতে পেলেন তিনি যা দেখে তার চোখ কপালে উঠে গেল। তিনি দেখলেন সাদেক ডঙ্গায় বসে দুই হাতের মুঠো ভরে মুখে মুখে মাছ বড়ছে এবং চপচপ করে মাছ গিলছে। এইরকম একটা দৃশ্য দেখে তার আর কিছুই বোঝার বাকি রইল না। কিন্তু তিনি সেটা বুঝতে দেননি যে সব বুঝে গিয়েছেন তাই তিনি কৌশলে আস্তে আস্তে উপরে উঠে আসতে লাগবে এবং ডাঙ্গার কাছে এসে সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হল, এই তিনি এক পাও এগোতে পারলেন না। সেখানেই আটকা পড়ে গেলেন। তিনি এতটাই ভয় পেয়ে গেলেন যে আমার শরীর প্রচন্ড শীতেও তার সমস্ত শরীর ঘেমে ভিজে গিয়েছিল, তার গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল এবং দেহ থরথর করে কাঁপছিল। এমন সময় তিনি কী করবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এমন সময় সেই ভুতটা একটা ভয়ঙ্কর এবং বিদঘুটে অট্টহাসি দিল, আর তার আসল রূপে ফিরে আসলো। এই ভূত দেখতে কতটা ভয়ংকর ছিলো তা বলে বোঝানো যাবে না। তাঁর চোখ দু'টি থেকে আগুন জ্বলছিল এবং তার শরীরটা আগের থেকে ২গুন আকৃতির হয় গেলো। এরকম একটা ভয়ানক ভূতকে দেখে শাহাবুদ্দিনের সেন্সলেস হয়ে গেল এবং সেখানেই পড়ে গেল।

এদিকে আসল সাদেক শাহাবুদ্দিনের বাড়ি গিয়ে তাকে ডাকতে থাকলো। শাহাবুদ্দিনের বউ অবাক হয়ে প্রশ্ন করল, ”আপনি তো অনেকক্ষণ আগে উনাকে সাথে করে নিয়ে গেলেন মাছ ধরতে” এখন আবার এসব কি বলছেন? আর উনাকে কোথায় রেখে এসেছেন এ কথা শুনে সাদেক অনেকটা অবাক হয়ে গেল ।এবং সে বুঝতে পারল তার বন্ধুর শাহাবুদ্দিনের সাথে কিছু একটা হয়েছে। সে তাড়াতাড়ি গ্রামের সবাইকে নিয়ে বিলের দিকে রওনা দিলো। তারা সেখানে পৌঁছে যা দেখল তা একদম মেনে নেয়ার মত না । তারা লক্ষ্য করলেন শাহাবুদ্দিনের গলাটা কালো বর্ণ হয়ে আছে এবং সে সেন্সলেস হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে, তাকে কেউ গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছিল। তাছাড়া তার পুরোটা শরীর বড় বড় নখের আচরে ক্ষত বিক্ষত হয়েছিল।
গ্রামের সবাই সময়মতো এসেছিল বলে তাকে জীবিত পাওয়া গেল। আচ্ছা যদি তারা একটু দেরি করে আসতো জীবিত পাওয়া যেত কি? নাকি তার জীবনটা ভয়ংকর একটা ভুতের কাছে প্রাণ দিতে হতো?

💀হাড় কাঁপানোসত্য ভূতের গল্প☠️ঘটনাটা আমি যখন দশম শ্রেণীতে পড়ি তখনকার।। আমি ঢাকায় একটা রেসিডেণ্ট স্কুলে পরতাম তখন।। গ্রী...
23/03/2024

💀হাড় কাঁপানো
সত্য ভূতের গল্প☠️

ঘটনাটা আমি যখন দশম শ্রেণীতে পড়ি তখনকার।। আমি ঢাকায় একটা রেসিডেণ্ট স্কুলে পরতাম তখন।। গ্রীষ্মের ছুটিতে দেশের বাড়িতে বেড়াতে গেছি।। জায়গাটা ময়মনসিংহে।। আমি যেইদিন বাসায় পৌঁছলাম তার কয়েকদিন পরের ঘটনা।। আমাদের এলাকায় হাফিয নামের একজন লোক থাকতেন।। লোকটা ছিল খুবই বদমেজাজি আর রাগী।। সবার সাথেই তার ঝগড়া লেগে থাকতো।।

এমনকি নিজের ভাইয়ের সাথেও জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে অনেকদিন যাবত তার ঝগড়া লেগে ছিল।। হয়তো এতো শত্রু থাকার কারনেই কে বা কারা তাকে একরাতে বাজার থেকে আসার সময় তাকে মেরে ফেলে।। গ্রাম অঞ্ছলের খুন।। তাই পুলিশ এসে লাশটাকে পোস্ট মরটেম এর জন্য লাশ কাঁটা ঘরে পাঠাতে চাইলো।। রাস্তা ভয়াবহ খারাপ থাকায় কোনও গাড়ি পাওয়া গেলো না।।

শেষমেশ এক ভ্যান গাড়ি চালককে তারা রাজি করাতে পারলো লাশ নিয়ে যাবার জন্য।। ভ্যান চালক ছিল জুয়ান তাগড়া মানুষ তাই ভয়ভিতি তেমন একটা ছিল না।। লাশকাটা ঘরটা মোটামুটি ভালোই দূরে আর যাওয়ার পথে রাস্তায় একটা জঙ্গলের মত জায়গা পরে।। লাশ নিয়ে পরিবারের লোকদের কান্নাকাটি, বিলাপের কারনে রউনা হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।। অনেকেই লাশ এতো রাতে নিয়ে যেতে না করলেও ভ্যান চালক পাত্তা দিল না।। নিজের সাহস দেখানোর জন্য তখনই রউনা হল সে।।

বলা বাহুল্য, এতো রাতে তার সাথে যাওয়ার মত তেমন কেউ উপস্থিত ছিল না।। তাই সে একাই রউনা হয় লাশ নিয়ে।। গল্পের বাকি অংশটুকু ভ্যান চালকের মুখ থেকে শোনা।। তার জবানবন্দিতে যা শুনতে পারলাম তা নিজের ভাষায় লিখতে চেষ্টা করছি।। নুরু ভাই(ভ্যান চালক) রউনা হবার ৩০ মিনিটের মধ্যে অন্ধকার হয়ে গেলো।। তখন তিনি একটা হারিকেন জ্বালিয়ে সেটা ভ্যান এর নিচে ঝুলিয়ে দিলেন।।

যারা গ্রামে গঞ্জে গেছেন তারা হয়তো বা দেখেছেন । মূল ঘটনায় ফিরে আসি।। সেদিন পূর্ণিমা রাত ছিল।। তাই রাস্তা একদম ফকফকে দেখা যাচ্ছিল।। তো, সেই জঙ্গলের পাশাপাশি আসা মাত্রই নাকি বাতাসে নাকি অন্য কোনও উপায়ে কে জানে, হারিকেন তা নিভে গেলো।। নুরু ভাই ভ্যান থেকে নেমে আবারো হারিকেন জালানোর চেষ্টা করলো।।

কিন্তু জোর বাতাস বার বার ম্যাচের কাঠি নিভিয়ে দিচ্ছিল।। যখন নুরু ভাই ম্যাচের কাঠি জালানোর চেষ্টা করছিলেন, তখন হঠাৎ উনার মনে হল লাশটা যেনও খানিকটা নড়ে উঠলো।। গ্রাম্য আর কুসংস্কার আক্রান্ত হলেও নুরু ভাই ছিলেন বিরাট সাহসী লোক।। তাই তিনি মনকে সান্ত্বনা দিলেন যে, ও কিছু না।। শুধুই মনের ভুল।। কিন্তু তবুও তার মনের মধ্যে একটা খটকা রয়ে গেলো।। হারিকেনটা শেষ পর্যন্ত জালাতে না পেরে হাল ছেড়ে দিলেন তিনি।। ভাবলেন, চাঁদের আলোতেই কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন।।

রাস্তাঘাট চাঁদের আলোতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে তাহলে আর বাড়তি আলোর দরকার কি।। ভ্যান চালিয়ে কিছুদুর যাওয়ার পর হঠাৎ উনার খটকা লাগলো।। পিছনে লাশটার নড়াচড়ার আওয়াজ পাওয়া গেলো যেনও।। মনে হলো পাশ ফিরে শুল।। নুরু ভাই পাত্তা না দিয়ে ব্যান চালাতে লাগলো।। বাইরে যতই সাহসীর ভাব দেখান, আসলে ভেতরে ভেতরে তখন ঠিকই ভয় ঢুকে গেছে।। আর কিছুদূর যাওয়ার পর তার মনে হল লাশটা যেনও উঠে বসেছে আর কষ্ট করে টেনে টেনে শ্বাস নেয়া শুরু করেছে।।

তিনি সাথে সাথে পেছনে তাকিয়ে দেখলেন, এবার আর ভুল নয়।। আসলেই লাশটা উঠে বসেছে।। লাশের উপর থেকে কাপড়টা সরে গেছে।। চাঁদের আলোয় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে মুখখানি।। চোখের জায়গাটায় বড় গর্ত।। আর মুখটা যেনও কেউ এসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে।। ওটা দেখে নুরু ভাই ভয়ে কাপাকাপি শুরু করে দিল।। ভ্যান থেকে নেমে যেই দৌড় দিতে যাবে অমনি দেখল লাশটা সামনের রাস্তায় পরে আছে।। আড়াআড়ি ভাবে, পথ আটকে।। এটা দেখে পিছনে তাকিয়ে সে দেখল লাশটা ভ্যান নেই।। উনি আর সহ্য করতে পারলেন না।। ভয়ে দিক্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে দৌড় মারলেন।। কোন দিকে যাচ্ছেন তাতে তার কোনও হুশ নেই।।

কেবলি মনে হতে লাগলো, পেছনে কে যেন দৌড়ে আসছে।। সে দৌড়ের স্পীড বাড়িয়ে দিল।। এভাবে কিছুক্ষণ ছোটার পর সে দূরে কিছু আলো দেখে সেদিকে রুদ্রশাসে দৌড়াতে লাগলো।। আলোটা আসছিলো একটা বাড়ি থেকে।। নুরু ভাই দৌড়ে গিয়ে একটা বাড়ির দরজায় ধাক্কা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন।। শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন বের হয়ে এলে নুরুকে অচেতন অবস্থায় পায়।। সেবা যত্ন করার পর নুরু ভাইয়ের জ্ঞান ফিরে।।

তার মুখে ঘটনার বিস্তারিত শুনে বাড়ির জউয়ানরা মিলে বের হয় লাথি সোটা হাতে।। কিন্তু নুরু ভাইয়ের দেখানো মত জায়গায় গিয়ে কিছুই দেখতে পেলো না।। শুধু দেখা গেলো, যেই জায়গায় নুরু ভাই লাশটাকে শুয়ে থাকতে দেখেছিল, সে জায়গাটা কেমন যেনও উঁচু হয়ে আছে।।

আমি নিজেও পরে জায়গাটা দেখেছিলাম।। অনেকটা স্পীদ ব্রেকারের মত।। গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারত কিন্তু আরেকটু ঘটনা বাকি রয়ে যায়।। এর পরেরবার যখন আমি বাসায় যাই তখন শুনি যে, রাস্তার মাঝে উঁচু জায়গা থাকায় সমস্যা হচ্ছিল।। তাই রাস্তা কেটে জায়গাটা সমান করে দেয়া হয়।। কিন্তু, এর পরদিনই আবার জায়গাটা উঁচু হয়ে যায়।। আবারো গ্রামবাসী মিলে জায়গাটা কেটে সমান করে দেয়।।

কিন্তু কিছুদিন পর আবার সেই আগের মতন উঁচু।। এরপর গ্রামের সকলের উপস্থিতিতে একটা বড় গর্ত খোঁড়া হয় সেখানে।। খুঁড়ে সেখানে ঐ হাফিজ নামক ব্যক্তির পচাগলা লাশ পাওয়া যায়।। পরে তাকে ঠিক মতন দাফন করা হয়েছিলো আর রাস্তাটাও আর কখনো উঁচু হয়নি।।.
#ভুত

23/03/2024

আসসালামু আলাইকুম guys আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম গা-শিহরিত ভৈাতিক গল্প. আমার পেজটি লাইক,শেয়ার and ফলো করে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ.!এরকম আরও ভৈাতিক গল্প পেতে কমেন্ট করবেন! গল্পটি কেমন ছিলো অবস্যই কমেন্ট করে জানাবেন..! Part-1
#ভুত .

Address

Dhaka
,1314

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when horor story with Asraful posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Nearby media companies


Other Gaming Video Creators in Dhaka

Show All