Travel Tales By Nusha khan

Travel Tales By Nusha khan I don't want to wake up one day when I'm 80 years old and say to myself I wish I had done that.
(3)

সু প্রভাত সোহরাসারা রাত ঘুম হোলো না,খুব হাল্কা ভাবেই চোখ মুদে থাকা আর কি হয়তো তারি মাঝে চোখ লেগে আসা।ভোরের আলো মেঘ ফুড়ে ...
18/11/2024

সু প্রভাত সোহরা

সারা রাত ঘুম হোলো না,খুব হাল্কা ভাবেই চোখ মুদে থাকা আর কি হয়তো তারি মাঝে চোখ লেগে আসা।ভোরের আলো মেঘ ফুড়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।

আমাকে চমকে দিয়ে বিশাল এক পাহাড় সামনে দাঁড়িয়ে। আমি রাতে পাহাড়ের গা ঘেঁষে ফুট পাতে হেঁটেছি। একবারও মনে হয়নি পাশেই বিশাল পাহাড় আর মাঝে বিশাল খাদ।🙄🙄

ভিষণ ভিষন সুন্দরী।❤️❤️

এক দৌড়ে বাড়ান্দায় গেলাম শীতের জন্য শালটা জড়িয়ে। দূরের পাহাড়ি রাস্তা ছোট্ট শহর দেখতে লাগলাম।মিনিট পাঁচেক ও হবেনা মেঘ এসে সব ঢেকে দিলো কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। রুমে এসে বের হবার জন্য একবারে রেডি হয়ে নাস্তার টেবিলে গেলাম।

সব জানালাগুলো খোলা একদিক দিয়ে মেঘ ঢুকে ভিজিয়ে দিয়ে অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলো। অপুর্ব!!! এইনা হলে মেঘালয়! 🙂🙂

আপাতত এটুকুই।

হ্যাপি ট্রাভেলিং ❤️❤️❤️❤️
জগৎ এর সকল প্রাণী সুখী হোক!!!

Travel Tales By Nusha khan







লুম্বিনীর পথে আমাদের ট্যুর আইটেনারিতে কাটমন্ডুর পর ছিলো লুম্বিনি যাত্রা ।লুম্বিনী বৌদ্ধ ধর্মীয় তীর্থস্থান যা নেপালের রূ...
17/11/2024

লুম্বিনীর পথে

আমাদের ট্যুর আইটেনারিতে কাটমন্ডুর পর ছিলো লুম্বিনি যাত্রা ।

লুম্বিনী বৌদ্ধ ধর্মীয় তীর্থস্থান যা নেপালের রূপান্দি জেলায় অবস্থিত এই স্থানেই রানী মায়াদেবী সিদ্ধার্থ গৌতমকে জন্ম দান করেন ।সিদ্ধার্থ গৌতম যিনি কিনা গৌতম বুদ্ধ নামে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন।

এই লুম্বিনীর যাবার সড়ক পথ ভয়ংকর রকমের খারাপ !মাত্র ৩০০ কিলোমিটার যেতে লাগছে ১১ ঘন্টা , হাড্ডি পাস্লি এক হয়ে গেছে ১১ ঘন্টার যাত্রায়।

মাঝে মাঝে সিধা হবার জন্য বিরতি ছিলো।

গাড়িতে ঝাকি ঝুঁকি যাই খেয়েছি ,দুপাশের প্রকৃতি ছিলো অপুর্ব!

উপভোগ করেছি অনেক,যাত্রা বিরতিতে ছবিও তুলেছি অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য ধরে রাখার জন্য।🙂

দুপুরের খাবার এই খোলা আকাশের নিচে ,ঝর্ণার প্রবাহিত ধারার পাশে খুবই মনো মুগ্ধকর ছিলো। পানির রং আহা!!!❤️❤️❤️

সড়কের শোচনীয় অবস্থার কারণ সড়ক পথ উন্নয়নের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চীনকে ,পোখারার বিমানবন্দরের পরে এই রাস্তাঘাট উন্নয়নের নামে বিচ্ছিরি অবস্থা করে রেখেছে চীন ।

রাস্তায় জায়গায় জায়গায় পরে রয়েছে বিভিন্ন মাটি কাটা ,তোলা ,সমান করার অকেজো ট্রাক্টর ,জেনেছিলাম এই কাজ হস্তান্তর করার কথা ২০২৪, কিন্ত সেই কাজের ১০ ভাগের একভাগও হয়নাই,আমার ধারণা ২০২৮ এও দিতে পারবেনা।🙂

যাই হোক ,কস্ট হলেও লুম্বিনী যাত্রা পথ এত্ত সুন্দর যে লিখে বুঝানো যাবেনা। কস্ট করার পর যদি প্রাপ্তিটা অনেক হয়,তখন সেই কস্ট কস্ট থাকেনা । 🙂

হ্যাপি ট্রাভেলিং ❤️❤️❤️❤️
জগৎ এর সকল প্রাণী সুখী হোক !!!








সোহরা/চেরাপুঞ্জিআগেই বলেছি ডাউকিতে ইমিগ্রেশন পার হবার পর কিছু দূর এগুতেই প্রচন্ড জ্যামে পরি।এরপরে বেশ কিছুক্ষণ একই জায়গ...
17/11/2024

সোহরা/চেরাপুঞ্জি

আগেই বলেছি ডাউকিতে ইমিগ্রেশন পার হবার পর কিছু দূর এগুতেই প্রচন্ড জ্যামে পরি।

এরপরে বেশ কিছুক্ষণ একই জায়গায় থাকতে হয়।তাও প্রায়ই ঘন্টা দুয়েক। তারপর বেশ কিছুটা এগিয়ে যাই দুপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে।

খুব ভালো লাগছিল প্রকৃতি যদিও রোদ ছিল মাথার উপর আর প্রচন্ড গরম।🙂

যেতে যেতেই দুপুর যখন গড়িয়েছে ।পথের ধারে একটা রেস্তোরাঁ দেখতে পাই ততক্ষণে পেটের ভিতর ক্ষুধা মোচড় দিয়ে উঠেছিল।

নেমে কিছুটা ফ্রেশ হয়ে আশেপাশের দৃশ্য দেখতে থাকি এবং খাবারের জন্য অর্ডার করি ।সেখানে ভেজ ননভেজ দুটো আলাদা আলাদা রেস্তোরাঁ দেখতে পাই।দুটোই ছিল তবুও ভেজটাকেই প্রেফার করি।🙂

মধ্যাহ্ন ভোজের পরে আবার যাত্রা শুরু করি ততক্ষণে প্রায় দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে ।খুব চিন্তিত ছিলাম পথের মধ্যে দুইটা জায়গা ভিজিট করার কথাছিল কিন্তু সময়ের অভাবে কুলিয়ে উঠতে পারিনি ,যাই হোক ভাবছিলাম কত তাড়াতাড়ি আমাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারবো।গন্তব্য ছিলো চেরাপুঞ্জি যাকে ওখানকার লোকাল ভাষায় সোহরা বলা হয়।🙂

আমাদের ড্রাইভার ছিলেন ডাউকির লোক সে আমাদেরকে যত দ্রুত নামিয়ে দিয়ে আসতে পারবে তত দ্রুত তার বাসায় ফিরে যেতে পারবেন ।এজন্য তিনি দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তায় ।যদিও খুব অভিজ্ঞ ছিলেন তবুও বেশ ভয় ভয় লাগছিল।

সূর্যাস্তের সময়টাতে প্রকৃতি ভীষণ সুন্দর লাগছিল। এর আগে আমি অনেক পাহাড় দেখেছি তবে এই পাহাড় গুলো আমাকে শৈশবের পাহাড় গুলোর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল যা ছিল সম্পূর্ণ পাথুরে পাহাড় ।বড় বেলায় আরো পাহাড়ের দেশ ঘুরেছি কিন্তু শৈশবের সেই রকি পাহাড় গুলোর মত আমার চোখে আর পড়েনি। অনেকদিন পরে সেই রকম পাহাড় দেখতে পেয়ে নস্টালজিয়ায় পেয়ে বসেছিল আমাকে।

একটা সময় পাহাড়ের মাঝে টুক করে সূর্য ডুবে গেল অন্ধকারে ডুবে গেল চারিদিক। সামনে যতই এগোচ্ছিলাম আস্তে আস্তে অনেক কুয়াশা ঘিরে ধরেছিল আমাদেরকে।

চেরাপুঞ্জিতে যাবার পর আমি যে মেঘের দেশ ,মেঘেদের বাড়িতে এসে পরেছি তা আর বুঝতে বাকি রইল না।🙂

মেঘের মধ্য দিয়ে মেঘ ফুঁড়ে বেরিয়ে যাওয়াটাও একটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা বটে।

এভাবেই একসময় আমরা সোহরা অর্থাৎ চেরাপুঞ্জি তে পৌঁছলাম ততক্ষণে প্রায় রাত আটটা বেজে গিয়েছিল।

আমরা পৌঁছে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলাম কারণ গুগল মামার সহায়তা নিতে হচ্ছিল।গুগল মামা মাঝে মাঝে আমাদেরকে ভুলভাল ইনফরমেশন দিচ্ছিল বা এমনও হতে পারে আমরা গুগল এর নির্দেশনা বুঝতে পারিনি তাই বেশ কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলাম পরে আবার খোঁজাখুঁজি করে পিছনের দিকে ফিরে এলাম।যাক বাবা পাওয়া তো গেলো।🙂

যদিও নির্ধারিত হোটেল কিন্তু ঘন অন্ধকারে আশেপাশেটা খুব একটা দেখা যাচ্ছিল না।

খুব টায়ার্ড ছিলাম প্রচন্ড গরম ছিল শুরুতে কিন্তু মেঘালয় এর চেরাপুঞ্জিতে যখন পৌছালাম যখন তাপমাত্রা সতেরো আঠারোতে। ভালোই শীত শীত করছিল।

রুমে যেয়ে শীতের কাপড় গায়ে দিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম ।আশেপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশা অথবা মেঘ যেটাই বলি না কেন ঘিরে ধরেছিল আমাকে।🙂

রুমে যাবার পর বাতি জলাবার কারণে চতুর্দিক থেকে প্রচুর পোকামাকড় এসে পুরো বারান্দাটা দখল করে নিচ্ছিলো ।এত বেশি আর এত প্রকারের প্রজাপতি ছিল যে আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম।

এমনো অনেক প্রজাপতি ছিলো যা আগে কখনো দেখিনি ।দেখতে মজাই লেগেছিলো কিন্তু সেই অদ্ভুত রকমের প্রজাপতি গুলো যখন অনেকটা গায়ের উপর এসে পড়ছিল বার বার অসস্তি লাগছিলো। তাই বারান্দা থেকে ঘরে চলে এলাম।

তার উপর বেশ শীত ,সেই শীতে ঘরের মধ্যে ঢুকতে বাধ্য হলাম । কিছুটা ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম ডাইনিং এ কারণ খাবার সার্ভ করার টাইম শেষ হয়ে যাবে খুব শীগ্রই।

পাহাড়িরা একটু আগেই ঘুমিয়ে পরে।তাই চলে গেলাম রাতের খাবার খেতে ।খাবার শেষে একটু হাঁটতে বেরোলাম রাস্তায়। মেঘ জেকে ধরেছিল আমাকে।মেঘের ছোয়ায় রাস্তায় হাঁটতে বেশ ভালো লাগছিল।

রাস্তায় মেঘের কারণে খুব বেশি দূর চোখ যায় না গাড়ির হেডলাইট গুলো শুধু দেখা যায়।কাছে একটা টি স্টল পেলাম সেখানে বসে চা পান করেনিলাম। খুব ভালো লাগছিল শীতের মধ্যে ধুয়া উড়ানো চা। ❤️

ততক্ষণে সোহরা শহরটি ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছে।বাইরে থাকাটা সুবিধার মনে হল না।ফিরে গেলাম হোটেলে।

সকালে আবার অন্য জায়গায় যাওয়ার প্ল্যান আছে তাই যদি তাড়াতাড়ি ঘুমোতে পারি সেটাই কাজে দিবে। একটু হট শাওয়ার নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও হোলো না।

সব সময় সব কিছু ছক মতো হয়না।🙂🙂

চতুর্দিকে অন্ধকার দেখে ঘুমিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকলাম।বিছানা পরিবর্তন ,কিংবা মন মতো সাচ্ছন্দ্য বোধ না হলে আমার ঘুম হয় না।কোনোও রকমে রাত পার।পরের দিনের অপেক্ষায়।🙂🙂

পরের দিনের গল্প থাকছে পরের পর্বে।
আমন্ত্রণ রইল পড়বার ।

হ্যাপি ট্রাভেলিং❤️❤️❤️❤️❤️
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক !!!!

Travel Tales By Nusha khan






একদিন রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রিয় ভৃত্য বনমালীকে বললেন, 'আচ্ছা বনমালী, তুই কি জানিস যে আমি খুব বড়লোক?বনমালী জবাব দিল — ‘ হ্যা...
17/11/2024

একদিন রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রিয় ভৃত্য বনমালীকে বললেন, 'আচ্ছা বনমালী, তুই কি জানিস যে আমি খুব বড়লোক?

বনমালী জবাব দিল — ‘ হ্যাঁ বাবামশায়, জানি৷

আবার প্রশ্ন — ‘ কিসে বড়লোক বলতো, দ্বারকানাথের নাতি বলে?

বনমালী হাত কচলাতে কচলাতে উত্তর দিল — বলব? বলব? আপনি লেকার জোরে বড়লোক?

অক্ষরজ্ঞানহীন বনমালীর মুখ থেকে বেরিয়েছিল এই ধ্রুবসত্য।

বলা বাহুল্য ভৃত্য হলে হবে কি কবির জীবিতকালে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের শেষ জন্মদিনে তাঁর সামনে 'বশীকরণ' নাটকে বনমালী অভিনয় পর্যন্ত করেছেন৷ সেই নাটকেও তাঁকে চাকরের ভূমিকায় দেখে সবাই হেসে খুন৷

রবীন্দ্রনাথ শুধু কি বনমালীর মনিব ছিলেন! মোটেও নয়, তিনি ছিলেন তাঁর বাবামশায়৷ অপত্যস্নেহে রবীন্দ্রনাথ দেখতেন বনমালীকে৷ স্নেহ,ভালবাসা, রসিকতার সঙ্গে মাঝে মাঝে কৃত্রিম ক্রোধ প্রকাশ করলেও বনমালীর সুখ-সুবিধার বিষয়ে তিনি ছিলেন অসম্ভব সচেতন৷

সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই রবি কবির জীবনে সফল ভৃত্যদের তালিকায় সবার উপরে বনমালীর নাম থাকবে৷ বনমালীকে তিনি মাঝে-মাঝে 'নীলামণি' বলতেন,আর কবির কখন কি দরকার সব তাঁর নখদর্পণে ছিল৷ রবীন্দ্রনাথ আবার বনমালীর ভাষা আর চালচলন নিয়ে মজা করতে বেশ পছন্দ করতেন৷ তিনি ও মৈত্রেয়ী দেবী বিষয়টি বেশ উপভোগ করতেন৷

একদিন কবি মৈত্রেয়ী দেবী কে বললেন আমি ঠিক করেছি বনমালীর মত বলব 'নাম্বা'৷ এতদিন ওকে বলছি 'নাম্বা' নয় 'লম্বা' কিন্তু ও যখন কিছুতেই শুনবে না তাহলে তাঁকে ওর ভাষাটা নিতে হয়৷ কবি ছবি আঁকবেন বলে তৈরি হচ্ছেন,মৈত্রেয়ী দেবী কবি কে জিজ্ঞেস করলেন 'আচ্ছা কি কি রং গুলব'? উত্তরে রবীন্দ্রনাথ বললেন আহা আগে কাগজটাকে 'নাম্বা'করে কাটো তবে তো৷

সেদিন বনমালী ঘুমিয়ে পড়েছিল৷ দুপুর বেলা বেশ ঝড় উঠেছে, কবি তখন লিখছেন,ঝড়ের দাপটে ঘরের জানালাগুলো জোরে জোরে খুলছে আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ তবে এসবের মধ্যে বনমালী ফুরসৎ বুঝে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে৷ এত হৈ হট্টগোলে তাঁর আর ঘুম ভাঙলো না৷ রবীন্দ্রনাথের মন চাইল না তাঁকে জাগিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত ঘুম ভাঙানোর৷ তিনি লেখা ছেড়ে একটি একটি করে সব জানালা বন্ধ করলেন৷ ভেবেছিলেন বনমালীর ঘুম ভাঙবে৷ আবার স্বস্থানে ফিরে কবি স্মিতহাস্যে বললেন 'ঘুমিয়েছে বেচারা৷ হঠাৎ জাগালে ধড়মড় করে উঠে শেষটা একটা অনর্থ করে বসবে৷এসব টুকিটাকি কাজ গৃহস্থ লোককে করে নিতে হবে বৈকি'৷

ভৃত্য হলে কি হবে বনমালী কিন্তু একবার স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের সামনে শান্তিনিকেতনে তাঁর শেষ জন্মদিনে "বশীকরণ' নাটকে অভিনয় করেছিলেন৷ অনুষ্ঠানের প্রত্যক্ষদর্শিনী নির্মলকুমারী লিখেছেন—সন্ধ্যাবেলা উদয়নের পূর্বদিকের আঙিনায় সামিয়ানার নীচে দর্শকদের বসবার জায়গা এবং চাতালের উপরে অভিনয়ের আয়োজন৷ কবি নিজে চাতালের একধারে আরাম চৌকিতে বসলেন৷ প্রথমে কয়েকটা গান ও সঙ্গে সঙ্গে নাচ হল-ছেলেমেয়েরা মিলে করলে;তারপর 'বশীকরণ' নাটকটিক অভিনয়৷ 'অভিনয় খুব ভালোই হল৷ সকলে নিজের অংশ খুব ভালো করে করেছিল৷ এর মধ্যে সত্যি সত্যিই উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের পুরাতন ভৃত্য বনমালী৷ তাকে চাকরের ভূমিকাতেই নামানো হয়েছিল৷ বনমালীর আবির্ভাবে সবাই হেসে খুন৷ ও কিন্তু তাতে একটুও কাবু না হয়ে ঠিক স্বাভাবিকভাবেই 'আজ্ঞে হ্যাঁ মাঠাকরুণ' এবং অতিথিকে জলখাবার এনে দেওয়া,হাত ধোয়ানো ইত্যাদি সব বেশ সপ্রতিভ ভাবে করে গেল।

তথ্যসূত্রঃ অনন্য রবীন্দ্রনাথ (ড.নিতাই বসু)

Travel Tales By Nusha khan





সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছেফেলে চিল; পৃথিবীর সব রঙ মুছে গেলে পাণ্ডুলিপি করে...
17/11/2024

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা আসে;
ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছেফেলে চিল; পৃথিবীর সব রঙ মুছে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন, তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল।

সব পাখি ঘরে আসে — সব নদী; ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন ;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।

-জীবনানন্দ দাশ

Travel Tales By Nusha khan





Remember: Death is real.You will die alone, burried alone, be question alone, answer alone, and you will stand alone bef...
17/11/2024

Remember: Death is real.You will die alone, burried alone, be question alone, answer alone, and you will stand alone before Allah..
May Allah make that day easy for us .

Amin yaRabb..🤲

Travel Tales By Nusha khan

16/11/2024
একটা সংস্কৃত প্রবাদ মনে পড়ল হঠাৎ করে। শাস্ত্রে আছে-"প্রাসাদ শিখরস্থোহপি কাক কিম গরুড়ায়তে"মানে হচ্ছে-  টাকা পয়সা,ক্ষমতা আ...
15/11/2024

একটা সংস্কৃত প্রবাদ মনে পড়ল হঠাৎ করে। শাস্ত্রে আছে-

"প্রাসাদ শিখরস্থোহপি কাক কিম গরুড়ায়তে"

মানে হচ্ছে- টাকা পয়সা,ক্ষমতা আর সমাজে একটা উঁচু অবস্থান থাকলেই মহৎ হওয়া যায় না। কাক উড়ে গিয়ে রাজপ্রাসাদের ছাদের ওপর বসতেই পারে,তাই বলে সে রাজাধিরাজ হয়ে যায় না।

এইটা বাকিরা বুঝলেও কাক বোঝে না। তাই কাক নিজের উঁচু অবস্থার জানান দিতে কা কা আওয়াজে অন্যদের বড় যন্ত্রনা দেয়।

আজকাল তাই কাউয়ার আনাগোনা আর কা কা ডাকে জনজীবন অতিষ্ঠ 😉😆

পুনশ্চঃ গরুড় (সংস্কৃত: गरुड) বা গরুৎমান হিন্দু ও বৌদ্ধ পুরাণে উল্লিখিত একটি কাল্পনিক বৃহদাকার পৌরাণিক পাখি।🙂

ছবিঃ ইন্টারনেট কাউয়া

Travel Tales By Nusha khan





ভালোবাসা কারে কয়যারা রবীন্দ্রনাথ পড়েছে,যারা শরৎচন্দ্র পড়েছে তারা জানে ভালোবাসা কি গভীর মনস্তাত্ত্বিক একটা অনুভুতি,না ...
14/11/2024

ভালোবাসা কারে কয়

যারা রবীন্দ্রনাথ পড়েছে,যারা শরৎচন্দ্র পড়েছে তারা জানে ভালোবাসা কি গভীর মনস্তাত্ত্বিক একটা অনুভুতি,না পাবার আকাঙ্ক্ষার তীব্রতা ঠিক কতখানি, একতরফা ভালোবাসার কি অদ্ভুত সৌন্দর্য।

হুমায়ূন যারা পড়েছে তারাও জানে,শরীর কাছে পেয়েও মন ছুঁতে না পারার কষ্ট কিরকম, বাবা মায়ের কড়া শাসনে থাকা মেয়েটাও যদি কোনদিন তার প্রেমিককে বিয়ে করতে পারে সে ভালোবাসায় কি প্রচন্ড রকম আত্নহারা হতে পারে!

আজকাল আমাদের পছন্দ রগরগে যৌন বর্ণনায় ভরা উপন্যাস,সিনেমা,সিরিজ। কাউকে দেখলাম,ভালো লাগলো, ডেট করলাম টাইপ।

প্রথমে শরীরকে জেনে তারপর মনকে জানার গল্প‌ই এখন আমাদের প্রিয়।

বাট মনকে কি আমরা আসলেই জানতে পারছি? মন বোঝা কি এত‌ই সহজ!!

বলিউড একটা সিনেমা আছে 'Bajirao Mastani'.... ভালোবাসা যে কত তীব্র হতে পারে, শুধুমাত্র একবার চোখের দেখাতেই তা কত প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে,তার জন্য কত অপমান যে সহ্য করা যায়!

ভালোবাসাই পৃথিবীর একমাত্র জিনিস যা হেরে গেলেও জিতে যায়। 🙂

একটা সিনেমা আছে 'Raanjhanaa'..... একতরফা ভালোবাসার যে কি প্রচন্ড জোর! বোকাসোকা একটা মানুষকে দিয়েও সেই ভালোবাসা বিরাট কিছু করিয়ে ফেলতে সক্ষম, ভালোবাসা মৃতকেও জাগাতে পারে।

কিন্তু তারজন্য এমন তীব্র ভালোবাসা অপরজনের থাকা লাগবে।

একটা হলিউড মুভি আছে 'La La Land' যেটা দেখলেই নজরুলের একটা কথা আমার মনে পড়ে, "তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন,সে জানে তোমারে ভোলা কতটা কঠিন।"

ভালোবাসা কি সেটা জিজ্ঞেস করেন‌ শেষের কবিতার লাবণ্যকে,কেন সে অমিতকে ছেড়ে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করলো শুধুমাত্র ভালোবাসা বাঁচিয়ে রাখার জন্য? ❤️❤️

ভালবাসা জানতে হলে যেতে হবে সমরেশের কালবেলার মাধবীলতার কাছে, কিসের শক্তিতে সে একটা মানুষকে এভাবে একতরফা এত কষ্ট সয়ে বুকে পুষে সহ্য করলো সমাজের অদৃশ্য সব চাবুকের আঘাত! ❤️

ভালোবাসা জানতে হলে বিভূতিভূষনের অপু-অপর্ণা জুটিকে দুচোখ ভরে দেখতে হবে, কিভাবে অতবড় বাড়ির একটা মেয়ে পরম আদরে অপুর ভাঙ্গাচোরা ছোট্ট মাটির ঘরে গোবর লেপে দিতে পেরেছিলো, মাসের পর মাস তাকে না দেখে একটা চিঠির অপেক্ষায় কাটিয়ে দিতে পেরেছিলো একাকী বিকালগুলো। ❤️

পুতুল নাচের ইতিকথাতে শশী ডাক্তার কি আর এমনি এমনি বলেছিলো,"শরীর, শরীর, শরীর! তোমার মন নাই কুসুম?" মনকে ছুঁয়ে দেবার প্রাণপণ চেষ্টায় শশী তখন হাবুডুবু খাচ্ছিলো প্রেমের অতল সাগরে,তাও তল খুঁজে পায়নি।

ভালোবাসা স্বর্গীয়, যৌনতা আসে তার‌ও অনেক অনেক পরে। 🙂

কিন্তু মন দিয়ে ভালোবাসা অনুভব করতে গেলে সময় দিতে হয়, কাউকে ভালোলাগার সাথে সাথে তাকে হাতের মুঠোয় পেয়ে রগড়ে নিংড়ে অন্তত মনের সেই ভালোবাসার রস আস্বাদন করা যায় না,সেটা করতে হয় ধীরে ধীরে.. ভালোবাসার মানুষটাকে দূর থেকে ভালোবেসে,পাবার আনন্দটা তখন‌ই তীব্র হয়ে ওঠে।

দুঃখী এই জেনারেশন, ভালোবাসা মানেই তারা জানলো শরীরের স্পর্শ,মন স্পর্শ করতে আর শিখলো না! 🙂

হাত বাড়ালেই পেয়ে গেলো,অপেক্ষার আনন্দ জানলো না।‌ 🙂

জানলো না প্রিয় গানের লিরিক্সের মধ্যে বন্দী করে রাখা যায় ভালোবাসার মানুষটির সমস্ত স্মৃতিকে,জানলো না রবীন্দ্রনাথের একেকটা গানের সাথেই মিলিয়ে ফেলা যায় নিজের পুরো জীবনটাকে।🙂

- সংগৃহীত

Travel Tales By Nusha khan





প্রাচীন ইতিহাস :পৌরানিক যুগকাঠমান্ডুর প্রাচীন ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে এর চিরাচরিত পৌরাণিক কাহিনী ও কিংবদন্তীতে। স্বয়ম্ভু প...
12/11/2024

প্রাচীন ইতিহাস :

পৌরানিক যুগ

কাঠমান্ডুর প্রাচীন ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে এর চিরাচরিত পৌরাণিক কাহিনী ও কিংবদন্তীতে। স্বয়ম্ভু পুরাণ অনুসারে, বর্তমান কাঠমান্ডু এক সময় "নাগদাহ" নামে একটি বিশাল এবং গভীর হ্রদ ছিল, কারণ এটি সাপ পূর্ণ ছিল। হ্রদটি বোধিসত্ত্ব মঞ্জুশ্রীর তরোয়াল দিয়ে কাটা হয়েছিল এবং সেখান থেকে জল সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এরপরে তিনি মঞ্জুপত্তন নামে একটি শহর প্রতিষ্ঠা করেন এবং ধর্মকরকে উপত্যকার ভূমির শাসক করেন। কিছু কাল পরে, বনাসুর নামে এক রাক্ষস শহরটি ধ্বংস করে দিয়ে উপত্যকাটি আবার একটি হ্রদে পরিণত করেছিল। এরপরে ভগবান কৃষ্ণ নেপালে এসে বনশুরকে হত্যা করলেন এবং আবার জল বের করলেন।তিনি তার সাথে কিছু গোপালকে এনে ভূক্তমানকে নেপালের রাজা করলেন। শিব পুরাণের কোটিরুদ্র সংহিতা, ১১ম অধ্যায়, শ্লোক ১৮ স্থানটিকে নয়াপালা শহর বলে উল্লেখ করেছে, যা পশুপতি শিবলিঙ্গের জন্য বিখ্যাত ছিল। নেপাল নামটি সম্ভবত এই শহর নয়াপালা থেকে উদ্ভূত। মধ্যযুগীয় লিচাভিস শাসকদের আগে এই সময়ের খুব কম ঐতিহাসিক রেকর্ড রয়েছে। নেপাল রাজতন্ত্রের বংশানুক্রমিক গোপালরাজ বনসওয়ালির মতে, লিচাভীদের পূর্বে কাঠমান্ডু উপত্যকার শাসকরা ছিলেন গোপাল, মহিষপালস, অভিহর, কিরণত এবং সোমবংশী।কিরতা রাজবংশটি ইয়ালম্বার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিরতা যুগে, পুরানো কাঠমান্ডুর উত্তরের অর্ধেক অংশে ইয়াম্বু নামে একটি বসতি ছিল। কিছু চীন-তিব্বতি ভাষায় কাঠমান্ডুকে এখনও ইয়াম্বু বলা হয়। ইয়েঙ্গল নামে আরও একটি ছোট্ট বসতি ছিল মঞ্জুপট্টনের নিকটবর্তী পুরাতন কাঠমান্ডুর দক্ষিণ অর্ধেক অংশে। সপ্তম কিরাতা শাসক জিত্তস্তির শাসনামলে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ কাঠমান্ডু উপত্যকায় প্রবেশ করেছিলেন এবং শঙ্খুতে একটি বন বিহার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

লিচাভি যুগ

ইন্দো-গ্যাঙ্গিক সমভূমির লিচাভিরা উত্তরে পাড়ি জমান এবং কিরাতাদের পরাজিত করে লিচাভি বংশ প্রতিষ্ঠা করেন, প্রায় ৪০০ খ্রিষ্টাব্দ। এই যুগে, বিরুধাকার দ্বারা লুম্বিনিতে শকিয়াসের গণহত্যার পরে, বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা উত্তর দিকে চলে গিয়েছিল এবং কলিয়াস হিসাবে অভিহিত বন মঠে লোরে প্রবেশ করেছিল। শঙ্খু থেকে তারা ইয়াম্বু এবং ইয়েঙ্গাল (লঞ্জাগওয়াল এবং মঞ্জুপত্তন) এ চলে এসে কাঠমান্ডুর প্রথম স্থায়ী বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠা করেছিল। এটি নেয়ার বৌদ্ধধর্মের ভিত্তি তৈরি করেছিল, যা বিশ্বের একমাত্র বেঁচে থাকা সংস্কৃত-ভিত্তিক বৌদ্ধ ঐতিহ্য তাদের অভিবাসনের সাথে সাথে ইয়াম্বুকে কলিগ্রাম বলা হত এবং ইয়েনগালকে বেশিরভাগ লিচাভি যুগে দক্ষিণ কোলিগ্রাম বলা হত। অবশেষে, লিচাভি শাসক গুণকামদেব কোলিগ্রাম এবং দক্ষিণ কোলিগ্রামকে একীভূত করলেন, কাঠমান্ডু শহরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই শহরটি মনজুশ্রীর তরোয়াল চন্দ্রহ্রাসের আকারে নকশাকৃত হয়েছিল। শহরটি অজিমা দ্বারা রক্ষিত আটটি ব্যারাকে ঘিরে ছিল। এর মধ্যে একটি ব্যারাক এখনও ভদ্রকালীতে (সিংহ দরবারের সামনের) ব্যবহারে রয়েছে। শহরটি ভারত ও তিব্বতের মধ্যে বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে কাজ করেছিল, যা স্থাপত্যশৈলীতে অসাধারণ বৃদ্ধি ঘটায়। এই যুগে বসবাসকারী ভ্রমণকারী ও সন্ন্যাসীদের বেঁচে থাকা জার্নালগুলিতে মনগ্রিহ, কৈলাসকুট ভবন এবং ভদ্রাদিভব ভবনের মতো বিল্ডিংয়ের বিবরণ পাওয়া গেছে। উদাহরণস্বরূপ, বিখ্যাত সপ্তম শতাব্দীর চীনা ভ্রমণকারী জুয়ানজ্যাং লিচাভি রাজা আমশুভর্মার প্রাসাদ কৈলাসকুত ভবনের বর্ণনা দিয়েছিলেন। বাণিজ্য পথও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের দিকে পরিচালিত করেছিল। কাঠমান্ডু উপত্যকার আদিবাসী নেওয়ার লোকের শিল্পকলা এই উপত্যকায় এবং বৃহত্তর হিমালয় জুড়ে এই যুগে অত্যন্ত সন্ধান পেয়েছিল। নেওয়ার শিল্পীরা এশিয়া জুড়ে ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করেছিলেন এবং তাদের প্রতিবেশীদের জন্য ধর্মীয় শিল্প তৈরি করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, অরণিকো তার দেশতাত্ত্বিক শিল্পীদের একটি দলকে তিব্বত এবং চীনের মাধ্যমে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নেপালের রাজকন্যা ভ্রীকুতি, যিনি তিব্বতীয় রাজা সোনতসন গ্যাম্পোকে বিয়ে করেছিলেন, তিনি তিব্বতের বৌদ্ধধর্মের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

মল্ল যুগ

কাঠমান্ডু দরবার বর্গ,১৮৫২
মল্লযুগের অনুসরণে লিচাভি যুগ। তিরহুতের শাসকরা, মুসলমানদের দ্বারা আক্রমণ করার পরে, উত্তরে কাঠমান্ডু উপত্যকায় পালিয়ে যায়। তারা নেপালি রাজকীয়তার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল এবং এটি মল্ল যুগের দিকে পরিচালিত করেছিল। খস ও তুর্ক মুসলমানদের দ্বারা অভিযান এবং আক্রমণ চালিয়ে মল্ল যুগের প্রথম বছরগুলি অশান্ত ছিল। এখানে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল যা রাজা অভয়া মল্লাসহ কাঠমান্ডুর এক তৃতীয়াংশের লোককে হত্যা করেছিল। এই বিপর্যয়গুলি লিচাভি যুগের বেশিরভাগ স্থাপত্যের (যেমনঃ মংগ্রিহা এবং কৈলাসকুট ভবনের) ধ্বংস এবং শহরের বিভিন্ন বিহারগুলিতে সংগৃহীত সাহিত্যের ক্ষতির দিকে পরিচালিত করে। প্রাথমিক অসুবিধা সত্ত্বেও কাঠমান্ডু আবার প্রসিদ্ধি লাভ করে এবং মল্ল যুগের বেশিরভাগ সময় ভারত ও তিব্বতের মধ্যে বাণিজ্যের উপর আধিপত্য বিস্তার করে। নেপাল মুদ্রা হিমালয় ট্রান্স ট্রান্স-এ স্ট্যান্ডার্ড মুদ্রায় পরিণত হয়েছিল। মল্লযুগের পরবর্তী অংশে কাঠমান্ডু উপত্যকায় চারটি দুর্গ শহর ছিল: কান্তিপুর, ললিতপুর, ভক্তপুর এবং কীর্তিপুর। এগুলি নেপালের মল্লা কনফেডারেশনের রাজধানী হিসাবে কাজ করেছে। এই রাজ্যগুলি আর্টস, আর্কিটেকচার, এস্টেটিক্স এবং বাণিজ্যে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করে, যার ফলে অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটে। এই সময়ের রাজারা প্রত্যক্ষভাবে নিজেদেরকে সরকারী ভবন, স্কোয়ার এবং মন্দির নির্মাণের পাশাপাশি জলাশয়গুলির বিকাশ, ট্রাস্টের প্রাতিষ্ঠানিককরণ (গুথিস নামে পরিচিত), আইনের সংবরণ, নাটক রচনায় এবং জড়িত ছিলেন। শহরের স্কোয়ারগুলিতে নাটকের অভিনয়। অন্যান্য স্থানের মধ্যে ভারত, তিব্বত, চীন, পার্সিয়া এবং ইউরোপ থেকে আগত ধারণাগুলির প্রমাণ পাওয়া যায় রাজা প্রতাপ মল্লার সময় থেকে একটি পাথরের শিলালিপিতে। এই যুগে বইগুলি পাওয়া গেছে যা তাদের তান্ত্রিক ঐতিহ্য (উদাঃ তন্ত্রখায়ান), মেডিসিন (উদাঃ হারামেখালা), ধর্ম (উদাঃ মোলদেভশীদেব), আইন, নৈতিকতা এবং ইতিহাস বর্ণনা করে। ১৩৮১ খ্রিষ্টাব্দের সংস্কৃত-নেপাল ভাস অভিধান, অমরকোশও পাওয়া গেল। এই যুগের স্থাপত্যগতভাবে উল্লেখযোগ্য ইমারতগুলির মধ্যে কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার, পাটান দরবার স্কয়ার, ভক্তপুর দুর্বার স্কয়ার, কীর্তিপুরের প্রাক্তন দরবার, নায়াতাপোলা, কুম্ভেশ্বর, কৃষ্ণ মন্দির এবং অন্যান্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আধুনিক যুগ

যা ১৯২০ সালে এখন ধ্বংস হওয়া পুরাতন রাজপ্রাসাদ।

রারম্ভিক শাহ নিয়ম

গোর্খা রাজ্যের ১৭৬৮ সালে কাঠমান্ডু যুদ্ধের পর মল্ল সংঘ শেষ হয়েছে।কাঠমান্ডুতে এটি আধুনিক যুগের সূচনা করে। কীর্তিপুরের যুদ্ধ ছিল কাঠমান্ডু উপত্যকায় গোর্খা বিজয়ের সূচনা। কাঠমান্ডু গোর্খা সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসাবে গৃহীত হয়েছিল, এবং সাম্রাজ্য নিজেই নেপাল নামে অভিহিত হয়েছিল।

এই যুগের প্রথমদিকে কাঠমান্ডু তার স্বতন্ত্র সংস্কৃতি বজায় রেখেছিল। বসন্তপুরের নয়তলা বিশিষ্ট টাওয়ারের মতো বৈশিষ্ট্যযুক্ত নেপালি স্থাপত্যের বিল্ডিংগুলি এই যুগে নির্মিত হয়েছিল। তবে প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে ক্রমাগত যুদ্ধের কারণে বাণিজ্য হ্রাস পেয়েছে।

ভীমসেন থাপা গ্রেট ব্রিটেনের বিপক্ষে ফ্রান্সকে সমর্থন করেছিলেন; এর ফলে কাঠমান্ডুতে আধুনিক ব্যারাকের মতো আধুনিক সামরিক কাঠামোর বিকাশ ঘটে। মূলত এই যুগে নয়তলা বিশিষ্ট টাওয়ারটি নির্মিত হয়েছিল।

রানা বিধি

নেপালের উপর রানা শাসন শুরু হয়েছিল কোট গণহত্যা দিয়ে, যা হনুমান দরবারের কাছে ঘটেছিল। এই গণহত্যার সময় নেপালের বেশিরভাগ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের যুদ্ধ বাহাদুর রানা এবং তার সমর্থকরা হত্যা করেছিল। কাণ্ডওয়ার ও তার সমর্থকরা কাঠমান্ডুতে ভান্ডারখাল গণহত্যা নামে আরও একটি গণহত্যা চালিয়েছিল।

রানা শাসনামলে কাঠমান্ডুর জোট ব্রিটিশবিরোধী থেকে ব্রিটিশপন্থী রূপান্তরিত হয়েছিল; এর ফলে পশ্চিমা ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীতে প্রথম ইমারতগুলি নির্মিত হয়েছিল। এই বিল্ডিংগুলির মধ্যে সর্বাধিক সুপরিচিত। কাঠমান্ডু উপত্যকার প্রথম আধুনিক বাণিজ্যিক সড়ক, নতুন রোডও এই যুগে নির্মিত হয়েছিল। এই যুগে কাঠমান্ডুতে ত্রিচন্দ্র কলেজ (নেপালের প্রথম কলেজ), দরবার স্কুল (নেপালের প্রথম আধুনিক বিদ্যালয়) এবং বীর হাসপাতাল (নেপালের প্রথম হাসপাতাল) নির্মিত হয়েছিল। রানা শাসনকে স্বৈরাচার, অর্থনৈতিক শোষণ এবং ধর্মীয় নিপীড়নের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল।

বিংশ শতাব্দীতে এবং একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে নেপাল গনতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছিল। ১৯৯০ সাল থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটি একটি গৃহদ্বন্দ্বে ভুগছিল। এরপর ২০০৬ সালে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ঐ একই বছরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবিধানিক নির্বাচনের জন্য নেপালের সংসদ ২০০৬ সালের জুন মাসে রাজতন্ত্রের অবসানের পক্ষে ভোট দেয়। নেপাল একটি ফেডারেল বা যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠে এবং ২০০ বছরের পুরনো শাহ রাজবংশের পতন ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নেপাল হয়ে ওঠে, "যুক্তরাষ্ট্রীয় গণপ্রজাতান্ত্রিক নেপাল"।

উইকিপিডিয়া গুগল থেকে সংগৃহীত ।

হ্যাপি ট্রাভেলিং ❤️❤️❤️❤️
জগৎ এর সকল প্রানী সুখী হোক!!








একমাত্র জীবিত দেবী কুমারী (প্রথম পর্ব ) কুমারী দেবীর প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিভিন্ন গল্প প্রচলিত আছে। ১. শিবের ভক্ত রাক্ষস বানাস...
12/11/2024

একমাত্র জীবিত দেবী কুমারী (প্রথম পর্ব )

কুমারী দেবীর প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিভিন্ন গল্প প্রচলিত আছে।

১. শিবের ভক্ত রাক্ষস বানাসুর, কুমারী কে সে বুঝতে না পেরে প্রলুব্ধ করার এবং তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।ক্রুদ্ধ কুমারী, যিনি নিজেই ভদ্রকালী ছিলেন, তিনি বানাসুরকে একযোগে বধ করেন। তাঁর মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে বানাসুর বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর আগে তিনি ছিলেন সর্বশক্তিমান আদি পরাশক্তি। তিনি তাকে তার পাপ থেকে ক্ষমা করার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। বানাসুরকে হত্যা করার পর, কুমারী পার্বতী আসল রূপ ধারণ করেন এবং তার স্বামী শিবের সাথে পুনরায় মিলিত হন।ভগবতী কুমারী তার ঐশ্বরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছিলেন।

২. দেবী ভবানী ছিলেন পার্বতীর একটি দিক, এবং তাকে একজন মা বলে মনে করা হয়, যিনি অসুরদের হত্যা করে ন্যায়বিচারের ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি তার ভক্তদের জন্য ভাল ব্যবস্থা করেন। শিব পুরাণ অনুসারে, ভবানী হলেন পরম দেবী এবং ভগবান ভব (সদাশিব) এর সহধর্মিণী। ভবানী (भवानी, "অস্তিত্বের দাতা")। সনাতন ধর্মে দেবী দুর্গা পরমা প্রকৃতি ও সৃষ্টির আদি কারণ। তিনি শিবের স্ত্রী পার্বতীর উগ্র রূপ ।পুনর্জন্মে পার্বতীর আরেক রুপ কুমারী।

৩. শাস্ত্রমতে কুমারী পূজার উদ্ভব হয় বানাসুর বধ করার মধ্য দিয়ে। গল্পে বর্ণিত রয়েছে, বানাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। সে সকল দেবগণের আবেদনে সাড়া দিযে় দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে বানাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়। শাস্ত্রমতে কুমারী পূজার উদ্ভব হয় বানাসুর বা কোলাসুরকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে।

উল্লেখ্য, কোলাসুর নামক অসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করে নেয়। কোলাসুর স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন।

সে সকল দেবগণের আবেদনে সাড়া দিয়ে দেবী দেবতাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে দেবী মানবকন্যা রূপে জন্মগ্রহণ করেন এবং কুমারী অবস্থায় কোলাসুরকে হত্যা করেন।

পুনর্জন্মে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।

ধারণা করা হয় নেপালে মল্ল যুগ থেকে কুমারী পূজা, একটি শ্রদ্ধেয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান, নেপালি জনগণের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান ধারণ করে।

প্রতিবছর দুর্গাদেবীর মহাষ্টমী পূজাশেষে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মতান্তরে নবমী পূজার দিনও এ পূজা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

যাই হোক ,এসব গুগল থেকে জানতে পারি ,নিজে খুব একটা জানিনা 🙂

কাঠমান্ডুতে মোট ১২জন কুমারী দেবী থাকলেও রাজপ্রাসাদের কুমারী দেবী সবচেয়ে বেশি পদমর্যাদা পান।বসন্তপুর কাঠমন্ডু দরবার স্কোয়ারের কুমারী দেবী সব চাইতে বেশি
মর্যাদা পান।🙂

নেপালে এই প্রথম যাওয়া আমার 🙂
তাই এসব দেখে আমি অভিভূত।

বসন্তপুর দরবার স্কোয়ারে কুমারী বাড়ীটি তিন তলা বিশিষ্ট ,চারিদিকের দরজা জানালায় এত্ত কারুকাজ যে অবাক করে দেয় ,এই কাজ নিখুঁতভাবে দেখেই কয়েকদিন পার করা যায়,আমি শুধু দেখিনাই,আমি ছুয়ে ছুয়ে দেখেছি ,এগুলো করতে কতটা সময় ,দক্ষতা ও নিষ্ঠা লেগেছে, ভেবেই আমি বিস্মিত হয়েছি।🙂

হ্যাপি ট্রাভেলিং ❤️❤️❤️❤️
জগৎ এর সকল প্রাণী সুখী হোক!!!!











আজি, এমন চাঁদের আলো – মরি যদি সেও ভালো, সে- মরণ স্বর্গ সমান। -সুফিয়া কামালTravel Tales By Nusha khan
12/11/2024

আজি, এমন চাঁদের আলো – মরি যদি সেও ভালো, সে- মরণ স্বর্গ সমান।

-সুফিয়া কামাল

Travel Tales By Nusha khan





কেউ কি জানেন এই ফল কি পূজায় দরকার হয়!🙂 বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই বোনেরা।🙂🙂
11/11/2024

কেউ কি জানেন এই ফল কি পূজায় দরকার হয়!🙂 বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই বোনেরা।🙂🙂

মধ্যাহ্নভোজ অনেকটা পথ পেরিয়ে প্রায় বিকেল ,পথে পরলো এই রেস্তোরাঁ। ভেজ ,নন ভেজ আর হোটেল  কমপ্লিমেন্টারি সব আলাদা আলাদা  রে...
10/11/2024

মধ্যাহ্নভোজ

অনেকটা পথ পেরিয়ে প্রায় বিকেল ,পথে পরলো এই রেস্তোরাঁ।

ভেজ ,নন ভেজ আর হোটেল কমপ্লিমেন্টারি সব আলাদা আলাদা রেস্তোরাঁ। খাঁ খাঁ করছে পুরো রেস্তোরাঁ। মানুষই নাই।বড় বড় জায়গা জুরে রেস্তোরাঁ।

মানুষ বলতেই নাই, বর্ডার পাস করার সময়ই জেনেছিলাম ,যেখানে দিনে ৫০০/৬০০ পর্যটক ৩/৪ ঘন্টা ওয়েট করে বর্ডার পাছ করে।সেখানে সারাদিনে ২০/২৫ জন যাচ্ছেন। যারা আগের ভিসার মেয়াদে আছেন।তারাই যাচ্ছেন। নতুন করে ভিসা বন্ধ আছে আপাতত ,মেডিক্যাল অন্যান্য ভিসা বাদে।

লাঞ্চ সেরে আবারও যাত্রা শুরু করলাম।যেহেতু জ্যাম অনেকটা সময় নস্ট করেছে।পাহাড়ি পথে অন্ধকার হবার আগে পৌছালে ভালো।কিন্তু হোলো না।যেতে যেতে দুই একটা জায়গা হয়ে যাবার প্লান বাদ।উল্টো "চেরাপুঞ্জি "বা ওখানকার নাম "সোহরা" যেতে রাত হয়ে গেলো।

আমার ভালো লেগেছে যাত্রা পথের প্রকৃতি। মেঘালয়ের পাহাড় গুলো মনে হচ্ছিলো একটু ভিন্ন ৮০/২০ % পাথুরে ভাবটা বেশি মাটি কম। রকি পর্বত বলা যায়। অনেকটাই ব্যাতিক্রম আমাদের বাংলাদেশের বান্দরবান , ভারতের দার্জিলিং, সিকিম এর পাহাড় থেকে। নেপাল এর হিমালয় অঞ্চলের পাহাড় বাদে অন্য পাহাড়ের সাথেও মেলেনা। মেঘালয় এর পাহাড় আমার কাছে মালভূমি বা টেবিলল্যান্ড মনে হয়েছে। অনেকগুলো বছর পরে এমন পাহাড় অন্য মাত্রার অনুভূতি যোগ করেছে।কখোনো ছোট বেলার জেদ্দা হতে ট্রিপলি আবার কখোনো কলোরাডোর রকি পাহাড়ি পথ , ক্যালিফোর্নিয়ার লং ড্রাইভ আহা!!! নস্টালজিয়ায় পেয়ে বসেছে। 🙂

প্রান্তরের পরে প্রান্তর খালি পরে আছে।মানুষ খুব কম ,আবাদি জমি খুব কম,জুম চাষের উপযুক্ত নয় বলে খালি ঘাস।তাও শীতের কাছাকাছি বলে বেশীর ভাগই ধূসর রং ধারণ করেছে।🙂

প্রচুর পুরনো বাড়ি ঘর।দরিদ্র ও বটে।বেশীর ভাগ জায়গায় হোম স্টের সাইনবোর্ড দেখা গেলো।আর নিচু ঘরবাড়ি।

আমি প্রায় শীতেই গেলাম।মেঘালয় যেতে হলে অবশ্যই জুন জুলাই বেস্ট । অসাধারণ লাগবে।সবুজের গালিচা চারিদিকে পাতা,সাথে বুনো ফুল তো আছেই।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেয়া নাম "মেঘালয় "সুযোগ পেলে অবশ্যই দেখে আসবেন।🙂

সোহরা যেতে পথে পরেছিলো মগডক সেতু।নেমেছিলাম খানিকক্ষণ ,সেই গল্প পরের পর্বএ।🙂

হ্যাপি ট্রাভেলিং ❤️❤️❤️❤️
জগৎ এর সকল প্রাণী সুখী হোক!!!

Travel Tales By Nusha khan





Address

Dhaka
1229

Website

https://youpic.com/photographer/0akternasima0/, https://www.viewbug.com/member/nusha

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Travel Tales By Nusha khan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Travel Tales By Nusha khan:

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Dhaka

Show All