ভাষাচিত্র (BHASHACHITRA)

ভাষাচিত্র (BHASHACHITRA) Creative Publications House of Bangladesh. Send your manuscript to us. We will make it a BOOK.
---

---
তারুণ্যনির্ভর, স্বাপ্নিক ও আদর্শিক পথের সন্ধানে প্রকাশনা জগতে পদার্পণ করে ভাষাচিত্র। ‘প্রজন্মের হাত ধরে আগামীর স্বপ্ন’-এই আমাদের মূলমন্ত্র, আমাদের পথচলার পাথেয়। আমরা বই ছাপি না। আমরা বই নির্মাণ করি। নিয়মিত প্রকাশনার প্রায় এক যুগে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় পাঁচশত।
সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যম কবিতা, ছোটগল্প, নাটক, উপন্যাস ছাড়াও পত্রালাপ, মিডিয়া ও সাংবাদিকতা, তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার, আই

ন, প্যারাসাইকোলজি, কাউন্সেলিং-আত্মউন্নয়ন কিংবা অনুবাদ সাহিত্য নিয়েও বই প্রকাশ করেছে ভাষাচিত্র।
বই প্রকাশনার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় সংস্কৃতি সব বিষয়েই সজাগ দৃষ্টি নিয়ে পথ চলতে চায় ভাষাচিত্র। দেশের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল ছাপিয়ে স্বপ্নপথে আমরা পাড়ি দিতে চাই বিশ্বপথে।
---

একুশে বইমেলা ২০২৫-এর বই---পাঠক হিসেবে আমার অবস্থান বেশ নীচের দিকে। বাংলা ভাষায় যাকে বলে খারুজ পাঠক। ফিকশন পড়ে ভালো লেগেছ...
16/01/2025

একুশে বইমেলা ২০২৫-এর বই
---
পাঠক হিসেবে আমার অবস্থান বেশ নীচের দিকে। বাংলা ভাষায় যাকে বলে খারুজ পাঠক। ফিকশন পড়ে ভালো লেগেছে ব্যাপারটা আমার কাছে রেয়ার অনেকটা। আমি তাই ননফিকশনভোজী। ননফিকশনই আমাকে টানে। প্রাণে কিংবা মানে— দুই দিক থেকেই আমি ননফিকশনের ভক্ত পাঠক। বিচিত্র ধরনের ননফিকশন পড়ার চেষ্টা করি। তবে সাক্ষাৎকারভিত্তিক বইগুলো আমার পাঠাগ্রহের সামনের দিকে।
প্রকাশক, সম্পাদক কিংবা বইপ্রেমী হিসেবেও স্বভাবতই সাক্ষাৎকারভিত্তিক বই আমার আগ্রহের কেন্দ্রে।
এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। আহমদ ছফা বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে সাহিত্যপ্রেমীদের মধ্যে এক তুমুল আগ্রহ ও পাঠের বিষয়। নিজস্ব ভাবনা আর চিন্তার জগত, স্বভাব আর বয়ান, তুখোড় মেধা কিংবা প্রতিবাদী চরিত্রে আহমদ ছফা এক ও অনন্য। নতুন প্রজন্মের পাঠকের কাছেও আহমদ ছফা জনপ্রিয় এক নাম।
আহমদ ছফার চরিত্রের বিচিত্র দিক উন্মোচন করতে এই বইটি আহমদ ছফা প্রেমীদের মাস্টরিড বলেই মনে করি।
প্রিয় অগ্রজ, প্রিয়মুখ নাসির আলী মামুন-এর দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের এই বইটি আহমদ ছফার বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন ও যাপনের এক অনন্য দলিল...
---
অমর একুশে বইমেলায় আসছে ভাষাচিত্র (BHASHACHITRA) থেকে।

[ প্রচ্ছদে ব্যবহৃত আহমদ ছফার ছবি : নাসির আলী মামুন/ফটোজিয়াম ]

---
ভাষাচিত্রের প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক খন্দকার সোহেল-এর ফেসবুক পোস্ট থেকে

16/01/2025

প্রিয় বইপ্রেমী পাঠক,
একুশে বইমেলার ভাড়া জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হলো আজ। তার মানে দেখা হচ্ছে বইমেলায়। দেখা হবে #ভাষাচিত্র প্যাভিলিয়নে...

#বইমেলা_২০২৫

12/01/2025

[...]
দীর্ঘদিনের বন্ধু পদার্থবিদ ফ্রাঙ্ক ক্লোজকে একবার হিগস আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘হিগস বোসন আমার জীবনটাকে একেবারে ধ্বংস করে দিলো?’ ফ্রাঙ্ক তার কাছে অবাক হয়ে জানতে চান এটা কীভাবে সম্ভব! তিনি এত অসাধারণ একটা তত্ত্ব দিয়েছেন, যা চমৎকারভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। সেটি কীভাবে তার জীবনকে ধ্বংস করে? জবাবে হিগস বলেন, ‘এটা আমার শান্তিপূর্ণ জীবনের অস্তিত্ব শেষ করে দিয়েছে। আমি নীরবে কাজ করতে পছন্দ করি এবং কালেভদ্রে একটি ভালো আইডিয়া পাই।’ অর্থাৎ, লাইমলাইটে আসা তার পছন্দ ছিল না।

---
বস্তুকণার ভরের রহস্য : হিগস বোসন বা গড পার্টিকেল
> হাসান তারেক চৌধুরী

আসছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ

09/01/2025

লাইব্রেরি বা পাঠাগার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করতে চান— কে বা কারা আছেন? আমাদের চোখ নতুনদের দিকে...

08/01/2025

বইপ্রেমীদের আগ্রহে আমরা বিস্মিত!! বইমেলায় কাজ করতে এত আগ্রহী তরুণ-তরুণী আছে জানতাম না...

অমর একুশে বইমেলায় যারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চান---‘কাগুজে বায়োডাটা’ আর ‘ছবি’ প্রিন্ট করে টাকা খরচ করার আপাতত দরকার নাই।...
07/01/2025

অমর একুশে বইমেলায় যারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চান
---
‘কাগুজে বায়োডাটা’ আর ‘ছবি’ প্রিন্ট করে টাকা খরচ করার আপাতত দরকার নাই। আগ্রহীরা কিউআর কোড স্ক্যান করুন আর গুগল ফর্মটি পূরণ করে দিন।
ব্যস... আপনার কাজ শেষ।
---
আমাদের স্বাপ্নিক পথযাত্রায় আপনার অংশগ্রহণ আমাদের অবশ্যই অনুপ্রাণিত করবে।
---
আগাম শুভকামনা
be with
be with ভাষাচিত্র (BHASHACHITRA)

05/01/2025

READING
INITIATIVE

04/01/2025

নতুন লেখকদের সঙ্গে একটা জরুরি আলাপ

বন্ধু, সহযাত্রী, স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা
31/12/2024

বন্ধু, সহযাত্রী, স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা

31/12/2024

বস্তুকণার ভরের রহস্য
হিগস বোসন বা গড পার্টিকেল

সালমান শাহ’র তুমুল জনপ্রিয়তায় ছবিটি ব্যবসাসফল হয় এবং গানটি পায় আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা---একদিন এফডিসিতে কয়েকজন বন্ধুবর লোকজ...
29/12/2024

সালমান শাহ’র তুমুল জনপ্রিয়তায় ছবিটি ব্যবসাসফল হয় এবং গানটি পায় আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা
---
একদিন এফডিসিতে কয়েকজন বন্ধুবর লোকজনের সঙ্গে গল্প করছি। এমন সময় সেখানে এলেন সুরকার আবু তাহের। তিনি আমার কানেকানে ফিসফিস করে বললেন খুব জরুরি একটা আলাপ আছে। পরিচালক তমিজউদ্দিন রিজভী আমার জন্য এফডিসির ক্যান্টিনে অপেক্ষা করছেন, আমাকে এক্ষুণি সেখানে যেতে হবে। সেখানে উপস্থিত সবার কাছে বিদায় নিয়ে আবু তাহেরকে সঙ্গে নিয়ে গেলাম ক্যান্টিনে।
তখন প্রায় দুপুর হয়ে এসেছে। ক্যান্টিনে গিয়ে দেখি তমিজউদ্দিন রিজভী টেবিল ভর্তি খাবার নিয়ে আমাদের জন্য বসে আছেন। আমাকে বললেন, ‘গাজী ভাই সেদিন আপনার বাসায় সকালের নাস্তা খেতে খেতে গান আমি গেয়ে যাবো গানটি হয়ে গেছে। কিন্তু ছবির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ গানই লেখা বাকি আছে। খাবার খেতে খেতে আমি সিচ্যুয়েশন বুঝিয়ে দিচ্ছি, আপনি খাবার শেষ করে আমাকে গানটি লিখে দিবেন।’
আমিও মুচকি হেসে সম্মতি জানিয়ে তাঁদের সঙ্গে খেতে শুরু করলাম। রিজভী সাহেব আমাকে সিচ্যুয়েশন বুঝিয়ে দিলেন। ছবির গল্পে গ্রামের দুজন সহজ-সরল ছেলে-মেয়ের প্রেমের অভিব্যক্তি প্রকাশ নিয়ে গানটি লিখতে হবে। কিন্তু গানটি এই সিচ্যুয়েশনেই শেষ নয়। ছবির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিচ্যুয়েশনে গানটি এককভাবে নায়কের কণ্ঠে ব্যবহার করা হবে। সংগীতনির্ভর গল্পের এই ছবিতে গানটি দিয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। রিজভী সাহেব আমাকে অনুরোধ করলেন, প্রয়োজনে আমি যেন সময় নিয়ে গানটি লিখি।
খাওয়া শেষ করে আমি বললাম, ‘আপনার গান হয়ে গেছে। একটা কাগজ-কলমের ব্যবস্থা করেন।’ ক্যান্টিনে তখন সেই মুহূর্তে কাগজ কলম ছিল না। হঠাৎ আবু তাহের একটি সিগারেটের প্যাকেট ছিঁড়ে আমাকে দিয়ে তাঁর পকেট থেকে কলম বের করে দিয়ে বললেন, ‘চাচা এই সিগারেটের প্যাকেটেই গানটি লিখেন।’
তাহের-এর কাছ থেকে সিগারেটের খালি প্যাকেটটি নিয়ে কিছুক্ষণ ভেবে ক্যান্টিনে বসেই আমি এই গানটি লিখে ফেলি। আবু তাহের লেখাটি নিয়ে বললেন, ‘চাচা আমার মাথায় একটা সুর এসেছে।’ এই বলে সে তার পকেট থেকে ছোট্ট একটি টেপ রেকর্ডার বের করে তাৎক্ষণিক গানটির একটি সুর করে রেকর্ড করে রাখেন। রিজভী সাহেবও লেখাটি দেখে খুব পছন্দ করলেন।
কয়েকদিন পর গুণী শিল্পী রুনা লায়লা ও আগুন-এর দ্বৈতকণ্ঠে তাঁদের দুজনের চমৎকার গায়কীতে গানটি শ্রুতি স্টুডিওতে রেকর্ড করা হয়। একইসঙ্গে আগুন-এর কণ্ঠেও আলাদা করে আরেকবার পুরো গানটি রেকর্ড করা হয়।
'আশা ভালোবাসা' ছবিটি মুক্তির পরে নায়ক সালমান শাহ’র তুমুল জনপ্রিয়তায় ছবিটি বেশ ব্যবসাসফল হয় এবং এই গানটিও পায় আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। বলাবাহুল্য গানটি সেই থেকে এখনও সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে আছে।
---
অল্প কথার গল্প গান | ৪র্থ খণ্ড
> গাজী মাজহারুল আনোয়ার
মুদ্রিত মূল্য : ৫০০ টাকা
---
---
বইটি অর্ডার করতে ইনবক্স করুন ভাষাচিত্র (BHASHACHITRA) ফেসবুক পেজ-এ অথবা হোয়াটস্অ্যাপ করুন 01930879794 নাম্বারে।
অনলাইন অর্ডার লিংক : https://www.rokomari.com/book/382465/olpo-kothar-golpo-gan-vol-4

সারাদিন নিজেকে পুড়িয়ে এই স্বার্থপর পৃথিবীর ঘুনে ধরা জনপদের আত্মবিলাসী মানুষগুলোকে আলোকিত করে ক্লান্ত সূর্যটা ম্লান হয়ে প...
29/12/2024

সারাদিন নিজেকে পুড়িয়ে এই স্বার্থপর পৃথিবীর ঘুনে ধরা জনপদের আত্মবিলাসী মানুষগুলোকে আলোকিত করে ক্লান্ত সূর্যটা ম্লান হয়ে পশ্চিম আকাশে নিজের কক্ষপথে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে, তবু নিজের শেষ আভাটুকু বিলিয়ে পশ্চিম গগনে রক্তিম প্রদীপের শিখা জ্বেলে রেখেছে। এ যে সূর্যের ক্লান্তময় মনের ভালোবাসার শেষ বলিদানের প্রতিচ্ছবি, তাই দিন ও সন্ধ্যার এই সন্ধিক্ষণ বরই বিষণ্ন, বিচিত্র। সন্ধ্যা-রাত্রের মিলন মোহনায় দিনের অন্তিম যাত্রা রক্তিম আভায় নিজের ভালোবাসাকে জানান দিচ্ছে। আমরা কি কখনও তা গভীর করে ভেবে দেখেছি? আমরা শুধু এই ক্ষণিকের আলো-আঁধারির খেলাটা উপভোগ করি, এই বিচ্ছেদ-মিলন মোহনার রূপমুগ্ধ হয়ে আমরা তার নাম দিয়েছি গোধূলি কিন্তু তার কান্নার সুর কখনও আমাদের স্পর্শ করে না। অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকার ভেদ করে এক ফালি চাঁদ রাতের আঁধারকে দূর করে পৃখিবীময় আলোর মোহমায়া ছড়িয়ে আমাদের তৃপ্ত করে। সেই মায়াময় রূপে অবগাহন করে আমরা ভাবের তরিতে লোভের দরিয়া পারি দেই। সারাদিন নিজেকে আধারে রেখে সূর্য দেবতার অনুগ্রহ পিয়াসে যতটুকু ভালোবাসার নির্যাস নিংড়ে নিতে পারে সেই ভালোবাসার আলোটুকু প্রতিফলিত করে আমাদের তৃয়াষী মনের পিয়াসা পরিতৃপ্ত করে নিজেকে কলংকৃত করে। এই যাতনা অগ্নিশিখার নাম দিয়েছি আমরা জ্যোৎস্না। গ্রহণে গ্রহণে চাঁদের ক্ষয়িষ্ণু রূপ কী কখনও কোমল হৃদয়ের তুলি দিয়ে নিজের মানসপটে এঁকেছি? না, কখনই না। শুধু পাবার আকাঙ্ক্ষাতেই আমাদের মনের বৃন্তে ফুল ফোটে।
হঠাৎ দমকা হাওয়ায় অবনীর ভাবনার জগতে বিচ্ছেদের দাগ পড়ে। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নেমে এসেছে। গোধূলি লগ্নটা কখন যে শেষ হয়ে গেছে খেয়ালই করেনি। ঈষান কোণে অনেকখানি কালো মেঘ ভিড় করেছে, মনে হয় এখনই বৃষ্টি নামবে। প্রকৃতির দুঃখ বিলাসের সঙ্গে নিজের অতীত দূঃখের ভাবের বিনিময় করতে গিয়ে কতক্ষণ এখানে বসে আছে খেয়াল নেই তার। ঘড়ি দেখলো, প্রায় ঘণ্টাখানিক। ট্রেন আসতে এখনও অনেক দেরি। এখন সাতটা পনেরো মিনিট, ট্রেন আসবে রাত দশটায়। ট্রেনটি রাত আটটায় আসার কথা ছিল। কোনো এক ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় দুই ঘণ্টা দেরি হবে। স্টেশন মাস্টারের কাছে জিজ্ঞেস করে জানে সে। কি জানি যদি আরও দেরি হয় তখন কী হবে! হঠাৎ একটা দুর্ভাবনা ভর করলো তার মনে। কেমন করে একা একা এই স্টেশনে তার সময় কাটবে। অচেনা একটা স্টেশন, অচেনা জায়গা। ফিরে যাবারও কোনো উপায় নেই। কারণ এখানে তার থাকার কোনো জায়গা নেই, কোনো পরিচিত জনও নেই।
অফিসের কাজে অবনী এখানে এসেছিল। একটি অসহায়-দুস্থ নারী উন্নয়ন সংস্থার হয়ে সে কাজ করে। এখানকার দুস্থ নারীদের ভাগ্য পরিবর্তনে তার সংস্থার কিছু প্রকল্প পরিচালিত হয়, সেই প্রকল্প দেখতে এসেছিল। যদিও অনেকেই আজকের রাতটা তাদের বাড়িতে থেকে যেতে বলেছিলেন, কিন্তু অবনী রাজি হয়নি। তাছাড়া কাল অফিসেও কিছু জরুরি কাজ আছে।
দমকা হাওয়ার সাথে বৃষ্টি শুরু হলো। এদিক-ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মানুষ প্ল্যাটফর্মের ছাউনির নিচে এসে জড়ো হতে লাগল। ছোট্ট একটি স্টেশন অল্প কিছু লোকের সমাগম এখানে। অধিকাংশই পুরুষ, দু’একজন নারী যাত্রী রয়েছে, তাদের সঙ্গে পুরুষ সঙ্গীও আছে, শুধু অবনী একা। অজানা বিপদের আশংকায় অবনীর সমস্ত শরীরে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলো, তার শরীরের সব লোম দাঁড়িয়ে গেল। নিজের শরীরকে আবৃত করে রাখা পাতলা চাদরখানা আরও শক্ত করে জড়িয়ে নিলো। শীত পুরোপুরি শুরু হয়নি। এখন কার্তিক মাস। তবে বাংলাদেশের উত্তরের জনপদে শীত একটু আগেই আসে।
রংপুরে এর আগে সে কখনও আসেনি। ঢাকার আবহাওয়া অনুযায়ী সে কাপড় নিয়ে এসেছে। দু’একজন সহকর্মীর পরামর্শে এই পাতলা চাদরখানা সাথে এনেছিল, যারা পূর্বে এই সময়ে এখানে ভ্রমণ করেছে। বিকেলে রিকশা করে স্টেশনে আসার সময় সে শীতের বাতাস অনুভব করেছে, তাই স্টেশনে ঢুকেই ব্যাগ থেকে চাদরটি বের করে শরীরে জড়িয়ে নিয়েছিল, এখন তার উপকারিতা বুঝতে পারছে। এখন মনে হচ্ছে আর একটু মোটা চাদর আনার দরকার ছিল। এভাবে যদি বৃষ্টি পড়ে আর সারা রাতে যদি ট্রেন না আসে তখন এই চাদরে সে কিভাবে রাত কাটাবে আর কোথায় কাটাবে! ভয়ে তার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল। কি ভেবে সে মুচকি হাসলো, তার আবার ভয়! এমন কত রাত ঝড়-বৃষ্টিতে তার এই কষ্টের জীবন একা একা কেটেছে। তখন তো ফুটন্ত যৌবন ছিল আর এখন বয়সের ভাটার টানে সেই রূপ, সেই যৌবন কুঁচকে গেছে, চুলের গোড়ায় গোড়ায় শুভ্রতার কাশফুল ফুটেছে, ভ্রমর কালো পটলচেড়া নয়নে কালো মোটা ফ্রেমের চশমা উঠেছে, এখন আর কিসের ভয়। নিজেকে প্রবোধ দিয়ে কোনো লাভ হলো না। ভয়ে তার হৃৎপিণ্ডের গতি ধীরে ধীরে বেড়ে চলছে। যে দিন যায় চাইলেই তাকে সব সময় সামনে এনে দাঁড় করানো যায় না। জীবন সময়ের সঙ্গে চলন্ত ট্রেনের মতোই পরিবর্তনশীল। সময়ের টগবগিয়ে ছুটে চলা ঘোড়া, সময়ের আবর্তে নির্জীব হয়ে যায়।
‘এই চা গরম, চা গরম, চা গরম... চা খাইবেন ম্যাডাম, এক কাপ চা দেই? আমার মায়ের হাতের বানানো চা, একেবারে খাটি গরুর দুধ দিয়া। এই স্টেশনে আর কারো কাছে গরুর দুধের চা পাইবেন না ম্যাডাম। এক কাপ চা দেই, ভালো না লাগলে দাম দিয়েন না।’
চৌদ্দ কি পনেরো বছর হবে ছেলেটির। এক হাতে একটি চায়ের ক্যাটলি। যার নীচে কাঠ-কয়লার উনুন, যাতে মাঝেমধ্যে ফুঁ দিয়ে আগুন উসকে দিচ্ছে ছেলেটি। অন্য হাতে একবার ব্যবহার উপযোগী কিছু কাপ, পানি আর সামান্য কয়েক রকমের বিস্কুট।
ভাবনার শিকল থেকে বেরিয়ে ছেলেটির দিকে চোখ তুলে তাকালো অবনী। অনেক দিনের ভুলে থাকা অনেক কষ্টের স্মৃতি তার চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগল। অবনী যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে তার ছোটো ভাইও ঠিক এই ছেলেটির বয়সের ছিল।
অর্ণব। তার ছোটো ভাইয়ের নাম। ভারি মিষ্টি চেহারা ছিল। অবনীর চেয়ে ওর গায়ের রং ফর্সা ছিল। সকলে ওকে রাজপুত্র বলে ডাকতো।
‘ম্যাডাম দেই এক কাপ চা?’ ছেলেটি আবার হাক ছাড়লো।
‘দেও ভাই এক কাপ চা।’
বলার সাথে সাথে ছেলেটি এক কাপ চা অবনীর সামনে দিলো। চা মুখে দিয়ে অবনীর ভালোই লাগল। একে তো এখানে শীত তার ওপর বৃষ্টি, গরম গরম চা মুখে দিয়ে একটু তৃপ্তি পেল সে। চা খেতে খেতে ছেলেটির সাথে কথা বলতে লাগল।
‘কি নাম তোমার ভাই?’
‘সজল, ম্যাডাম।’
ছেলেটিকে ভাই ডেকে তার বুকের মধ্যে কেমন এক ধরনের ব্যথা অনুভব করলো সে। ভাইয়ের পনেরোতম জন্মদিনটির কথা মনে হলে আজও নিজেকে ক্ষমা করতে পারে না অবনী।
অর্ণব সে বছর নবম শ্রেণিতে পড়তো। বোনের কাছে আবদার ছিল তাকে একটা ভালো উপহার কিনে দেবে তার জন্মদিনে। বই পড়তে অনেক ভালোবাসতো। বিশেষ করে গোয়েন্দা কাহিনির বই। মাসুদ রানা, ফেলুদা ওর প্রিয় গোয়েন্দা কাহিনির বই ছিল। লেখাপড়ায়ও বেশ ভালো ছিল। বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তো।
‘ম্যাডাম চা খাওয়া হইছে? আমার চায়ের দামডা দিলে ওইদিকে একটু যাই, দেহি আর কয়েক কাপ চা বেচতে পারি কি না।’
অবনী ব্যাগ থেকে টাকা বের করে দিলো। টাকা নিয়ে ছেলেটি অন্যদিকে চলে গেল। অবনী ফিরে গেল তার ফেলে আসা অতীতে। নিজেকে নিজের সঙ্গী করে হারানো সুখের স্মৃতি মন্থন করতে লাগল সে।
যদিও তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর, কিন্তু তার বাবার চাকরির সুবাদে তারা ছোটোবেলা থেকে ঢাকায়। ওর বাবা একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করতো। সে ঢাকাতেই লেখাপড়া করেছে। ছোট্ট একটা সুখের সংসার ছিল তাদের। মা সহজ-সরল গৃহিণী। সন্তানদের সকল আবদার পূরণ আর স্বামীর ভালোবাসায়, ভালোলাগায় সাড়া দেওয়াই তার একমাত্র ব্রত ছিল। আধুনিক এই যুগে একজন শিক্ষিতা মেয়ে হিসেবে তার মায়ের কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। স্বামী, সন্তান আর সংসার- এই নিয়ে ছিল তার পৃথিবী। তার বাবা যা আয় করতেন তা দিয়ে তাদের ছোট্ট পরিবারটি স্বর্গসুখের আভায় পালিত হতো। অবনী তখন অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অর্ণব নবম শ্রেণিতে। ভাই-বোনের মধ্যে অনেক ভাব-ভালোবাসা ছিল। যেন দু’জন দু’জনের অন্তঃপ্রাণ। কিন্তু সেই সুখ অবনীর কপালে বেশিদিন সয়নি। ভাগ্যের নির্মম খরস্রোতা স্বপ্নের খাদে হারিয়ে যায় তার সুখের স্বপ্ন।

---
একদিন অমাবস্যায় জ্যোৎস্না ছিলো
> মৃণাল হারুন
মুদ্রিত মূল্য : ৩০০ টাকা

---
অর্ডার করতে ইনবক্স করুন ভাষাচিত্র ফেসবুক পেজ-এ অথবা হোয়াটস্অ্যাপ করুন 01930879794 নাম্বারে।
অনলাইন অর্ডার লিংক : https://www.rokomari.com/book/369557/ekdin-amabosshai-jothsna-silo

ভাষাচিত্র বইদেশ বই আড্ডা | পর্ব ২আড্ডার অতিথি : মাহাবুব রাহমান, সিইও ও প্রকাশক, আদর্শসঞ্চালক : খন্দকার সোহেল, প্রধান সম্...
26/12/2024

ভাষাচিত্র বইদেশ বই আড্ডা | পর্ব ২
আড্ডার অতিথি : মাহাবুব রাহমান, সিইও ও প্রকাশক, আদর্শ
সঞ্চালক : খন্দকার সোহেল, প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক ভাষাচিত্র
---
> চ্যানেল লিংক : https://www.youtube.com/
> ফেসবুক পেজ লিংক : https://www.facebook.com/bhashachitra.official
> ওয়েবসাইট লিংক : https://boidesh.com

23/12/2024

“স্প্যানিশ কনভারসেশন”

বইমেলা ২০২৫

তাঁর মিষ্টি হাসির মায়াজালে জড়িয়েছে বাংলাদেশের সিনেমাদর্শক---কবরী। চিত্রনায়িকা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ জনপ্রিয় ...
22/12/2024

তাঁর মিষ্টি হাসির মায়াজালে জড়িয়েছে বাংলাদেশের সিনেমাদর্শক
---
কবরী। চিত্রনায়িকা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা। অসাধারণ অভিনয় নৈপুণ্যে সমৃদ্ধ এক মহানায়িকা, মহাতারকা ছিলেন তিনি। তাঁর ভুবনবিখ্যাত মিষ্টি হাসির মায়াজালে জড়িয়েছে তখনকার বাংলাদেশের সিনেমাদর্শক।
মিষ্টি মেয়ে খ্যাত কবরী (মিনা পাল। ধর্মান্তরিত নাম সারাহ বেগম কবরী) ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল, মায়ের নাম শ্রীমতি লাবণ্য প্রভা পাল।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় সুতরাং ছবির নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবন শুরু হয় কবরীর। ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি ছবিটি অর্জন করেছিল আন্তর্জাতিক পুরস্কার। অস্বাভাবিক সফলতার সঙ্গে শুরু হয় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে মিষ্টি মেয়ে কবরীর অধ্যায়। তাঁর অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- বাহানা, হীরামন, সোয়ে নদীয়া জাগে পানি, নিশি হলো ভোর, সাত ভাই চম্পা, আবির্ভাব, বাঁশরি, অরুণ বরুণ কিরণমালা, আগন্তুক, নীল আকাশের নিচে, আঁকাবাঁকা, ক খ গ ঘ ঙ, বিনিময়, রং বদলায়, পিতা পুত্র, ঘূর্ণিঝড়, সাধারণ মেয়ে, কাঁচকাটা হীরে, লালন ফকির, রক্তাক্ত বাংলা, রংবাজ, খেলাঘর, তিতাস একটি নদীর নাম, বেঈমান, অবাক পৃথিবী, পরিচয়, চলো ঘর বাঁধি, রং বেরং, রক্তের ডাক, গুন্ডা, গোপন কথা, অঙ্গার, আগুনের আলো, সারেং বৌ, নওজোয়ান, সোনার হরিণ, সোনার তরী, কলমীলতা, দেমাগ, বিয়ের ফুল, আামাদের সন্তান, জীবনের গল্প, আয়না, মেঘের কোলে রোদ, পিতা মাতার আমানত, তুমি আমার স্বামী ইত্যাদি।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য নায়িকা কবরী যেসব পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (সারেং বৌ, ১৯৭৮), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আজীবন সম্মাননা ২০১৩, বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (লালন ফকির, ১৯৭৩), সুজন সখী (১৯৭৫), সারেং বৌ (১৯৭৮), দুই জীবন (১৯৮৮) ও বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার আজীবন সম্মাননা ২০০৯। এছাড়াও প্রযোজক সমিতি চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক নানা পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।
নায়িকা কবরী টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন। তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র আয়না, মুক্তি পায় ২০০৬ সালে।
সরকারি অনুদানে এই তুমি সেই তুমি নামে আরেকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করছিলেন তিনি। এই ছবিটির শুটিং শেষ করে সম্পাদনার কাজ করছিলেন।
২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় কবরীর আত্মজীবনীমূলক বই স্মৃতিটুকু থাক প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের ইতিহাসের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন কবরী। বাংলা চলচ্চিত্রের অসম্ভব জনপ্রিয় নায়িকা ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র তথা শিল্প-সংস্কৃতির এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধেও ছিল তাঁর অসামান্য অবদান। মরণব্যাধি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭১ বছর বয়সে ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

---
[ভাষাচিত্র প্রকাশিত ‘চলচ্চিত্রের ৫০ কিংবদন্তি’ বই থেকে সংক্ষেপিত]
---
প্রয়াত অভিনেত্রী কবরীসহ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ৫০ জন কিংবদন্তিকে নিয়ে এ. কে. আজাদ-এর গ্রন্থনা, সম্পাদনায় ‘চলচ্চিত্রের ৫০ কিংবদন্তি’ বইটি প্রকাশিত হয়েছে ভাষাচিত্র থেকে।
তাদের কর্মবহুল জীবন সম্পর্কে জানতে বইটি অর্ডার করুন ভাষাচিত্র (BHASHACHITRA) পেজ ইনবক্সে অথবা হোয়াটস্অ্যাপ করুন 01930879794 নাম্বারে।
---
বইটি অনলাইন বুকশপ রকমারি থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। রকমারি লিংক : https://www.rokomari.com/.../cholochitrer-50-kingbodonti

বইমেলা ২০২৫-এর পাণ্ডুলিপি থেকে---“চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিঁড়ে” গান সৃষ্টির নেপথ্য গল্পবন্ধুবর নায়ক রাজ রাজ্জাক তখন তাঁর ...
22/12/2024

বইমেলা ২০২৫-এর পাণ্ডুলিপি থেকে
---
“চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিঁড়ে” গান সৃষ্টির নেপথ্য গল্প

বন্ধুবর নায়ক রাজ রাজ্জাক তখন তাঁর রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন থেকে নিজের পরিচালনায় নতুন একটি সিনেমা নির্মাণ শুরু করেছেন। সেই সিনেমার গান লেখার জন্য একদিন সন্ধ্যাবেলা রাজ্জাক সাহেবের বাসায় গেলাম। গিয়ে দেখি সেখানে আমাদের ঘনিষ্ঠজন গুণী নির্মাতা কামাল আহমেদও উপস্থিত। রাজ্জাক সাহেব তখনও বাসায় এসে পৌঁছাননি। আমি, কামাল আহমেদসহ আরও বেশ কয়েকজন তখন রাজ্জাক সাহেবের অপেক্ষায়।
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে থাকতে রাজ্জাক সাহেবের বাসার বাইরে এসে হাঁটাহাঁটি করছি। আমাকে বাইরে আসতে দেখে কামাল আহমেদও বাইরে এলেন। বললেন, “রাজ্জাক সাহেবকে কে তো পাওয়াই যায় না, আপনাকেও তো ঠিকমতো পাওয়া যায় না গাজী ভাই। ভালোই হলো আমার নতুন সিনেমার হিরোর জন্য এসে গীতিকারকেও পেয়ে গেলাম। রাজ্জাক-শাবানা জুটিকে নিয়ে ভাঙ্গাগড়া নামে নতুন একটি সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছি, আমার এই সিনেমার টাইটেল গানটা আপনাকে লিখে দিতে হবে। রাজ্জাক সাহেব বাসায় আসতে আসতে গানটা আমাকে লিখে দেন, সুবল দাস আমার সিনেমার সংগীত পরিচালক।”
আমি বললাম, “লিখতে এলাম রাজ্জাক সাহেবের গান, রাজ্জাক সাহেব যেহেতু এখনও বাসায় নেই, তাহলে চলুন সময়টা কাজে লাগাই।”
কামাল আহমেদ ভীষণ খুশি হয়ে নিজেই তাঁর ব্যাগ থেকে একটি ডায়েরি আর কলম বের করে আমাকে দিলেন এবং ভাঙ্গাগড়া সিনেমার গল্প এবং গানের সিচ্যুয়েশন বুঝিয়ে দিলেন। সিচ্যুয়েশন শুনে কি লেখা যায় তা নিয়ে ভাবছি। তখনও একটি লাইনও লিখতে পারিনি এমন সময় রাজ্জাক সাহেব এসে উপস্থিত হলেন। আমার হাতে ডায়েরি আর কলম দেখে জিজ্ঞেস করলেন, “কি লিখছো গাজী?”
আমি তাঁকে বিষয়টি খুলে বললাম। রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ছিল বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু। তিনি মজা করে হাসতে হাসতে বললেন, “শালা আমার বাড়িতে এসে তুমি কামালের সিনেমার গান লিখছো?”
আমিও হাসতে হাসতে বললাম, “যে সিনেমার গান লিখছি সেই সিনেমার হিরো তো তুমিই। ঠিক আছে, কামাল আহমেদ তাহলে এই হিরোকে বাদ দিয়ে অন্য কোন হিরোকে সিনেমায় নিয়ে আসুক, আর আমরা সেই সিনেমার হিরোর বাসায় গিয়ে গান লিখি!”
আমাদের কথায় সেখানে হাসির রোল পড়ে গেল। রাজ্জাক সাহেব অট্টহাসি দিয়ে বললেন, “তোমার সঙ্গে যুক্তিতে পারা যায় না। কি লিখছো এবার তাড়াতাড়ি শেষ করে দেখাও তো।”
রাজ্জাক সাহেব অন্যদের সঙ্গে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আমি তাঁর ড্রয়িংরুমের এক পাশে বসে গানটি লিখলাম। লেখা শেষ করতেই কামাল আহমেদ এবং রাজ্জাককে দেখালাম। রাজ্জাক বললেন, “শালা তুমি কি ফাঁকি দিয়েছো নাকি? এই মাত্রই না আমার সঙ্গে কথা বললে, এত তাড়াতাড়ি কি লিখেছো? দেখাও তো...।”
পরিচালক কামাল আহমেদ গানটি দেখার আগেই রাজ্জাক সাহেব গানটি পড়ে খুব খুশি হয়ে বললেন, “এই না হলে গাজী! পরিচালকের উদ্দেশ্যে বললেন, কামাল তোমার সিনেমার কামাল একটা গান হয়ে গেছে। এই গানটা দেখো মানুষের মুখে মুখে থাকবে।”
পরিচালক কামাল আহমেদও ভীষণ খুশি হলেন। দেশের প্রখ্যাত সুরকার সুবল দাস বরাবরের মতোই অপূর্ব সুর করলেন। সৈয়দ আব্দুল হাদী ভাই তাঁর দরাজ কণ্ঠে এতটাই দরদ দিয়ে গানটি গাইলেন, সেই থেকে এখনও গানটি মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়।


গানের কথা
---
চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিঁড়ে
কাঁদিস কেন মন
ভাঙ্গাগড়া এই জীবনে আছে সর্বক্ষণ

হাসির পরে কান্না আছে দুঃখের পরে সুখ
আঁধার রাতের শেষে যেমন দেখিস আলোর মুখ
জন্ম নিলেই ভুলিস কেন আছে রে মরণ

দুদিনের এই দুনিয়াতে সবাই মুসাফির
এ সংসারের মোহ মায়ায় হই কেন অধীর
যায় না মোছা কখনো যে ভাগ্যেরই লিখন

---
গীতিকার : গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সুরকার : সুবল দাস, শিল্পী : সৈয়দ আব্দুল হাদী, চলচ্চিত্র : ভাঙ্গাগড়া, পরিচালক : কামাল আহমেদ, মুক্তির সাল : ৯ অক্টোবর ১৯৮১

---
বাংলাদেশের কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার প্রণীত প্রকাশিতব্য ‘অল্প কথার গল্প গান’-এর ৫ম খণ্ড থেকে। বইটি প্রকাশিত হবে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ।

[ছবিটি ইন্টারনেট থেকে নেয়া। রাজ্জাক-শাবানা জুটির প্রতীকী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ছবিটি উপরোল্লিখিত চলচ্চিত্রের নয়।]

একটি ভাষাচিত্র (BHASHACHITRA) প্রকাশনা

যারা বিচিত্র ফিকশন (গল্প-উপন্যাস) পড়তে পছন্দ করেন,যারা লেখক না পড়ে বই পড়তে পছন্দ করেন,যারা নতুন লেখকদের লেখা পড়তে পছন্দ ...
21/12/2024

যারা বিচিত্র ফিকশন (গল্প-উপন্যাস) পড়তে পছন্দ করেন,
যারা লেখক না পড়ে বই পড়তে পছন্দ করেন,
যারা নতুন লেখকদের লেখা পড়তে পছন্দ করেন,
তারা যুক্ত হতে পারেন...

গ্রুপ লিংক : https://www.facebook.com/groups/bhashachitra.fiction.club

Address

38/4 Banglabazar, Mannan Market, 1st Floor
Dhaka
1100

Opening Hours

Monday 10:00 - 18:00
Tuesday 10:00 - 18:00
Wednesday 10:00 - 18:00
Thursday 10:00 - 18:00
Saturday 10:00 - 18:00
Sunday 10:00 - 18:00

Telephone

+8801930879794

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ভাষাচিত্র (BHASHACHITRA) posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ভাষাচিত্র (BHASHACHITRA):

Videos

Share

Category

Our Story

- - - তারুণ্যনির্ভর, স্বাপ্নিক ও আদর্শিক পথের সন্ধানে প্রকাশনা জগতে পদার্পণ করে ভাষাচিত্র। ‘বায়ান্নর হাত ধরে আগামীর স্বপ্ন’-এই আমাদের মূলমন্ত্র, আমাদের পথচলার পাথেয়। নিয়মিত প্রকাশনার এক যুগে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।। সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যম কবিতা, ছোটগল্প, নাটক, উপন্যাস ছাড়াও পত্রালাপ, মিডিয়া ও সাংবাদিকতা কিংবা অনুবাদ সাহিত্য নিয়েও বই প্রকাশ করেছে ভাষাচিত্র। বই প্রকাশনার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় সংস্কৃতি সব বিষয়েই সজাগ দৃষ্টি নিয়ে পথ চলতে চায় ভাষাচিত্র। দেশের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল ছাপিয়ে স্বপ্নপথে আমরা পাড়ি দিতে চাই বিশ্বপথে।