যুদ্ধাপরাধ বিচারমঞ্চ

বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ তেইশ বছর আন্দোলন সংগ্রামের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বাঙালী জাতিকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান এবং ২৬শে মার্চ জাতির জন্য স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে উজ্জবিত হয়ে জাতির মুক্তির লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক সশস্ত্র সংগ্রামে অবতীর্ন হয়। জাতীয় ৪ (চার) নেতার নেতৃত্বে ভারত সরকারের সার্বিক সহযোগীতায় দ

ীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ (ত্রিশ) লৰ বীর শহীদ ও ২ (দুই) লৰ মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে গৌরবময় বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলার বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও বীর শহীদদের অকাতরে প্রানোৎসর্গ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল চার মহান আদর্শ (ক) বাঙালী জাতীয়তাবাদ (খ) সমাজতন্ত্র (গ) গণতন্ত্র ও (ঘ) ধর্মনিরপেক্ষতা। স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধু সরকার উপরোক্ত মহান আদর্শসমূহের আলোকেই সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যাধুনিক ও আদর্শ সংবিধান প্রণয়ন করে যা ১৯৭২ সালের ১২ইং অক্টোবর তারিখে তৎকালীন গণ-পরিষদে পাশ হয়। সংবিধানের আদর্শিক চার মূলনীতির ভিত্তিতেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জাতির জনকের নেতৃত্বে একটি যুদ্ধবিদ্ধস্ত ধবংসস্তুপে নিমজ্জিত ভুখন্ডকে কঠিন শ্রম ও নিষ্ঠার সাথে দাঁড় করিয়ে দেশটি পরিচালনা করতে থাকেন। দেশী-বিদেশী কিছু ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রীর ঘৃণ্য পদৰেপে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের মর্মান্তিক পটপরিবর্তনের পর তৎকালীন সামরিক সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতঃ ৫ম সংশোধনীর নামে অনৈতিকভাবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ‘বাঙালী জাতীয়তাবাদ’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ সংবিধান থেকে মুছে ফেলে এবং ধর্মের লেবাজ পরিয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ সহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-বিরোধী নিয়মাবলী সংবিধানে সংযোজন করায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতি পাকিস্তানীকরণের প্রয়াস পায়। একই সাথে ১৯৭২ এর সংবিধানের ধারায় ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেই ধারাটি মুছে ফেলে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী জামাত-শিবিরসহ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি করার সুযোগ এনে দেয়। পরবর্তী সময় অপর এক অবৈধ সামরিক সরকার আরো একধাপ এগিয়ে গিয়ে ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে ‘রাষ্ট্র ধর্ম’ করে সাম্প্রদায়িকতার অন্ধ দানবকে অবমুক্ত করে দেয়। এমনিভাবে পরপর দুইটি অবৈধ সামরিক সরকার স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পূর্নভাবে ধবংস করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দুষিত সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে। যার পরিনামে অতি স্বল্প সময়ের মধ্যেই দেশে উগ্র মৌলবাদের প্রসার ঘটতে থাকে এবং উগ্র-মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গীদের অভয়ারণ্য সৃষ্টি হয়। সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন ছোবলে জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার বিপন্ন হয় এবং স্বাধীনতার মূল্যবোধ ভুলন্ঠিত হতে থাকে। এমনি পরিস্থিতিতে সচেতন দেশবাসী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশ প্রেমিক বুদ্ধিজীবীগণ সহ স্বাধীনতার পৰ শক্তি দেশমাতৃকার প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারে না। সেক্যুলার সুশীল সমাজ সেই ঋৃদ্ধি ও দায়বদ্ধতা থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা সমুন্নত করে জাতির জনকের শেষ ইচ্ছা, অন্তিম স্বপ্ন ও আকাঙখা পুরনের লক্ষ্যে তাঁর নীতি আদর্শের অভ্রান্ত ও অবিকল অনুসরণের জন্য দেশপ্রেমিক জনগণকে বিশেষ করে তরম্নন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করার তাগিদ অনুভব করে। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বাস্তবতায় সেক্যুলার বাঙালী সমাজের একটি অগ্রগামী অংশ শোষনমুক্ত, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে একাত্তরে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষশক্তির ঐতিহাসিক মহাঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে এবং ইতিহাস বিকৃতি ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত দেশবাসী বিশেষ করে তরম্নন প্রজন্মকে ুধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সকলের” এই নীতিতে অনুপ্রাণিত ও সার্বিক ইতিহাসের আলোকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার মানসে মনস্তাত্বিক, দার্শনিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রেরণা জোগানোর জন্য এবং স্বাধীনতা বিরোধী/ মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী/ মানবতা বিরোধী অপরাধী ব্যাক্তি ও ব্যক্তিগনের সংগঠনের বিরূদ্ধে রূখে দাঁড়ানোর জন্য দীর্ঘ দিন দেশে এবং আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে কাজ করে আসা খালেদুর রহমান শাকিলের উদ্যোগে ২০১২ সালের ১ জানুয়ারী দেশের লেখক-কবি-সাহিত্যিক-শিক্ষক-সাংস্কৃতিক কর্মী-ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে ‘যুদ্ধাপরাধ বিচারমঞ্চ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ব্যারিস্টার সুমন ও সংবেদনহীন সমাজআমি ব্যারিস্টার সুমনের তথাকথিত ভক্তদের কেউ ছিলাম না, তবে তার কার্যকলাপের অনেক কিছুই ভাল...
26/10/2024

ব্যারিস্টার সুমন ও সংবেদনহীন সমাজ
আমি ব্যারিস্টার সুমনের তথাকথিত ভক্তদের কেউ ছিলাম না, তবে তার কার্যকলাপের অনেক কিছুই ভালো লাগবতো বলে নজরে পড়লে দেখতাম। কিন্তু আমাদের চারপাশে অসংখ্য মানুষকে দেখতাম, মনে হতো যেন সুমনের জন্য সব দিয়ে দিতে প্রস্তুত। আজ সুমনের সাথে যখন রাষ্ট্রীয় আওতায় বিচারবহির্ভূত আচরণ করছে বাংলাদেশের অসাংবিধানিক সরকার, তখন তারা একটুও বিচলিত হচ্ছেন না! এই নীতি-নৈতিকতা-সংবেদনহীন দেউলিয়া মানসিকতা একটা সমাজকে কোথায় নামাতে পারে, আমি ভেবে অবাক হচ্ছি!

18/07/2024

Bangladesh Awami League Ottawa Canada Branch
Ottawa, ON, Canada`
---------------------------------
We, on behalf of the Bangladesh Awami League Ottawa Canada Branch, deplore the recent havoc of destruction of the properties by the hooligans and infiltrators of Jamaat-BNP-Shibir into the Student’s Quota Movement.
These BNP-Jamaat hooligans cannot tolerate setting fires to BD TV Station, Metro Rail, and other properties. All the culprits should be identified and punished accordingly.
Our deepest and sincere condolences to the families of those unfortunate deaths in this fiasco. It is very much deplorable that they died in the movement; all responsible should be identified and punished.
We stand firmly behind the leader's instructions and our BD PM, Sheikh Hasina, for a peaceful solution to the current issue.
Joy Bangla, Joy Bangabandhu
Omer S. Sher, President
Abu Shaifuddien, General Secretary.
18 July, 2024.
Bangladesh Awami League Ottawa Canada Branch

We on behalf of Bangladesh Awami League Ottawa Canada Branch deplores the recent havoc of destruction of the properties by the hooligans and infiltrators of Jamaat-BNP-Shibir into Student’s Quota Movement.
The putting fires on BD TV Station, Metro Rail and other properties by these hooligans of BNP-Jamaat cannot be tolerated. All the culprits should be identified and be punished accordingly.
Our deepest and sincere condolences to families of those unfortunate death in this fiasco. It is very much deplorable that they died in the movement, all responsible should be identified and punished.
We stand strongly behind the instructions of the leader and our BD PM Sheikh Hasina for peaceful solution to current issue.
Joy Bangla, Joy Bangabandhu
Omer S. Sher, President
Abu Shaifuddien, General Secretary.
18 July, 2024.

02/06/2023

Thoughts on Budget
----------------------
I am involved in Awami League politics for the 56/57 years as an worker and activist/ leader. The budget presented by Finance Minister on Thursday failed to address the aspirations of the general public. The makers of the budget did not have AL manifesto in their mind. But I am also an economics student and a retired professor and I would say the following :
This budget have less positivity and more negativity. The impact will be felt during the election time.
This budget failed to show a proper role in job creation, will not be able to survive in the international competition in the export of products. The value of the currency cannot be corrected according to the demand in the international market!!
This budget failed to address correct policy in foreign reserves. This budget failed to address the country's possible currency crisis.
A ridiculous proposal to pay minimum tax of Tk 2000 below tax free threshold- is it a joke. What of taxation policy it is? No where in the world it is there.
There are more anomalies in this budget. This is not an election year budget.
Hope PM and Finance Minister will do the corrections in supplementary budget and make it populist and election friendly.

Joy Bangla , Joy Banghabondhu

Selim Sher
Retd Prof of Economics
Ottawa, ON
Canada

My article published today in newspaper The Messenger.
26/05/2023

My article published today in newspaper The Messenger.

21/05/2023

থলের বিড়াল বের হয়ে গেছে হত্যা, সন্ত্রাস করে বিএনপি গনতন্ত্র কায়েম করবে। বাংলার জনগন সাবধান।
প্রকাশ্যে পিএমকে হত্যার হুমকি !

19/05/2023

১৯৭১ সালে আমেরিকা আমাদেরকে মারার জন্য সপতম নৌবহর পাঠিয়ে ছিল আমরা কি ভুলে গেলাম? তখন রাশিয়া আমাদের পাশে না দারালে আমরা এত তারাতাড়ি বাংলাদেশ কি পেতাম? শেখ হাসিনাকে হাজার স্যালুট ॥ যারা স্যাংসাণ দিবে তাদের সংগে কোন বানিয্য নয় ॥

27/10/2021
14/08/2020
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত, প্রমাণিত অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত সকল যুদ্ধাপরাধীদের সাজা কার্যকর করার ব্যবস্থা ...
23/11/2017

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত, প্রমাণিত অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত সকল যুদ্ধাপরাধীদের সাজা কার্যকর করার ব্যবস্থা করা হোক।

'জয় বাংলা ' জয় বঙ্গবন্ধু'

ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ গাইবান্ধার ছয়জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

24/04/2017

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

06/04/2017

ক্লিক করলেই মিলবে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ৬৭২ বই, ভিডিও

21/12/2016

মোহাম্মদ হামিদুর রহমান (জন্ম:২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩ - মৃত্যু: ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১)

১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের শেষভাগে হামিদুর রহমান ১ম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সি কোম্পানির হয়ে ধলই সীমান্তের ফাঁড়ি দখল করার অভিযানে অংশ নেন। ভোর চারটায় মুক্তিবাহিনী লক্ষ্যস্থলের কাছে পৌছে অবস্থান নেয়। সামনে দু প্লাটুন ও পেছনে এক প্লাটুন সৈন্য অবস্থান নিয়ে অগ্রসর হতে থাকে শত্রু অভিমুখে। শত্রু অবস্থানের কাছাকাছি এলে একটি মাইন বিস্ফোরিত হয়। মুক্তিবাহিনী সীমান্ত ফাঁড়ির খুব কাছে পৌছে গেলেও ফাঁড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত হতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিবর্ষণের জন্য আর অগ্রসর হতে পারছিলো না। অক্টোবরের ২৮ তারিখে ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পাকিস্তান বাহিনীর ৩০এ ফ্রন্টিয়ার রেজিমেন্টের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিবাহিনী পাকিস্তান বাহিনীর মেশিনগান পোস্টে গ্রেনেড হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রেনেড ছোড়ার দায়িত্ব দেয়া হয় হামিদুর রহমানকে। তিনি পাহাড়ি খালের মধ্য দিয়ে বুকে হেঁটে গ্রেনেড নিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। দুটি গ্রেনেড সফল ভাবে মেশিনগান পোস্টে আঘাত হানে, কিন্তু তার পরপরই হামিদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। (২) সে অবস্থাতেই তিনি মেশিনগান পোস্টে গিয়ে সেখানকার দুই জন পাকিস্তানী সৈন্যের সাথে হাতাহাতি যুদ্ধ শুরু করেন। এভাবে আক্রণের মাধ্যমে হামিদুর রহমান এক সময় মেশিনগান পোস্টকে অকার্যকর করে দিতে সক্ষম হন। কিন্তু হামিদুর রহমান বিজয়ের স্বাদ আস্বাদন করতে পারেননি, ফাঁড়ি দখলের পরে মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হামিদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে।

21/12/2016

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান (২৯শে অক্টোবর, ১৯৪১—২০শে আগস্ট, ১৯৭১)

পাক-সৈন্যরা ভৈরব আক্রমণ করলে বেঙ্গল রেজিমেন্টে ই,পি,আর-এর সঙ্গে থেকে প্রতিরোধ বুহ্য তৈরি করেন। এর পরই কর্মস্থলে ফিরে গিয়ে জঙ্গি বিমান দখল এবং সেটা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। ২০ই আগস্ট সকালে করাচির মৌরিপুর বিমান ঘাঁটিতে তারই এক ছাত্র রশীদ মিনহাজের কাছ থেকে একটি জঙ্গি বিমান ছিনতাই করেন। কিন্তু রাশেদ এ ঘটনা কন্ট্রোল টাওয়ারে জানিয়ে দিলে, অপর চারটি জঙ্গি বিমান মতিউরের বিমানকে ধাওয়া করে। এ সময় রশিদের সাথে মতিউরের ধ্বস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রশিদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পরেন এবং বিমান উড্ডয়নের উচ্চতা কম থাকায় রাশেদ সহ বিমানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে থাট্টা এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। মতিউরের সাথে প্যারাসুট না থাকাতে তিনি নিহত হন। তাঁর মৃতদেহ ঘটনাস্থল হতে প্রায় আধ মাইল দূরে পাওয়া যায়। রশিদ মিনহাজকে পাকিস্তান সরকার সম্মানসূচক খেতাব দান করে এবং মতিউরকে করাচির মাসর"র বেসের চতুর্থ শ্রেনীর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

21/12/2016

মোহাম্মদ রুহুল আমিন (জন্ম: ১৯৩৫ - মৃত্যু: ডিসেম্বর ১০, ১৯৭১)

৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী যশোর সেনানিবাস দখলের পর 'পদ্মা', 'পলাশ' এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর একটি গানবোট 'পানভেল' খুলনার মংলা বন্দরে পাকিস্তানি নৌ-ঘাটিঁ পি.এন.এস. তিতুমীর দখলের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ-এ প্রবেশ করে। ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে গানবোটগুলো খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে এলে অনেক উচুঁতে তিনটি জঙ্গি বিমানকে উড়তে দেখা যায়। শত্রুর বিমান অনুধাবন করে পদ্মা ও পলাশ থেকে গুলি করার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু অভিযানের সর্বাধিনায়ক ক্যাপ্টেন মনেন্দ্রনাথ ভারতীয় বিমান মনে করে গুলিবর্ষণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। এর কিছুক্ষণ পরে বিমানগুলো অপ্রত্যাশিত ভাবে নিচে নেমে আসে এবং আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু করে। গোলা সরাসরি 'পদ্মা' এর ইঞ্জিন রুমে আঘাত করে ইঞ্জিন বিধ্বস্ত করে। হতাহত হয় অনেক নাবিক। 'পদ্মা'-র পরিণতিতে পলাশের অধিনায়ক লে. কমান্ডার রায় চৌধুরী নাবিকদের জাহাজ ত্যাগের নির্দেশ দেন। রুহুল আমিন এই আদেশে ক্ষিপ্ত হন। তিনি উপস্থিত সবাইকে যুদ্ধ বন্ধ না করার আহ্বান করেন। কামানের ক্রুদের বিমানের দিকে গুলি ছুড়ঁতে বলে ইঞ্জিন রুমে ফিরে আসেন। কিন্তু অধিনায়কের আদেশ অমান্য করে বিমানগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। বিমানগুলো উপূর্যপুরি বোমাবর্ষণ করে পলাশের ইঞ্জিনরুম ধ্বংস করে দেয়। শহীদ হন রুহুল আমিন।

21/12/2016

মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর (৭ মার্চ ১৯৪৯ - ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১)

১০ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর, লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম, লেফটেন্যান্ট আউয়াল ও ৫০ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা চাঁপাইনবাবগঞ্জের পশ্চিমে বারঘরিয়া এলাকায় অবস্থান গ্রহন করেন। ১৪ ডিসেম্বর ভোরে মাত্র ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বারঘরিয়া এলাকা থেকে ৩/৪ টি দেশী নৌকায় করে রেহাইচর এলাকা থেকে মহানন্দা নদী অতিক্রম করেন। নদী অতিক্রম করার পর উত্তর দিক থেকে একটি একটি করে প্রত্যেকটি শত্রু অবস্থানের দখল নিয়ে দক্ষিণে এগোতে থাকেন।
তিনি এমনভাবে আক্রমণ পরিকল্পনা করেছিলেন যেন উত্তর দিক থেকে শত্রু নিপাত করার সময় দক্ষিণ দিক থেকে শত্রু কোনকিছু আঁচ করতে না পারে। এভাবে এগুতে থাকার সময় জয় যখন প্রায় সুনিশ্চিত তখন ঘটে বিপর্যয়। হঠাৎ বাঁধের উপর থেকে ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সের ৮/১০ জন সৈনিক দৌড়ে চর এলাকায় এসে যোগ দেয়। এরপরই শুরু হয় পাকিস্তান বাহিনীর অবিরাম ধারায় গুলিবর্ষন। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর জীবনের পরোয়া না করে সামনে এগিয়ে যান। ঠিক সেই সময়ে শত্রুর একটি গুলি এসে বিদ্ধ হয় জাহাঙ্গীরের কপালে।

Address

Khilgaon, Dhaka
Dhaka
1219

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when যুদ্ধাপরাধ বিচারমঞ্চ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to যুদ্ধাপরাধ বিচারমঞ্চ:

Share