Bangladesh on Record

একসময় মসলার লোভে ভারত ও পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল ইউরোপীয় শক্তি। নানা দুর্লভ মসলার খোঁজে যুদ্ধও বেঁ...
27/12/2024

একসময় মসলার লোভে ভারত ও পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল ইউরোপীয় শক্তি। নানা দুর্লভ মসলার খোঁজে যুদ্ধও বেঁধেছিল। ‘মসলার যুদ্ধ’ নিয়ে মসলার চেয়ে উপাদেয় একটি বইও লিখেছেন সাংবাদিক-সাহিত্যিক সত্যেন সেন। গুণগত মানের মসলার বাণিজ্য আয়ত্ত করার জন্য উৎসুক অন্যান্য শক্তিশালী সাম্রাজ্য থেকে কঠিন সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে প্রতিযোগিতামূলকভাবে ভারতে আসতো ব্যবসায়ীরা। কিন্তু চাহিদা যত বেশি ছিল, মসলা সংগ্রহ করা ছিল ততটাই কঠিন। ওই সময় মসলার মূল্য ছিল সোনার চেয়েও বেশি। কথিত রয়েছে, মধ্যযুগে এক পাউন্ড আদা ছিল একটি ভেড়ার সমান মূল্যবান। এক পাউন্ড জয়ত্রী ছিল তিনটি ভেড়া বা অর্ধেক গরুর সমান। অন্যদিকে এক বস্তা মরিচের দাম ছিল একজন মানুষের জীবনের দামে! মনসামঙ্গল কাব্যেও মসলার উপস্থিতি লক্ষণীয়ঃ ‘জিরা মরিচ মেথি আর ধন্যা শুলফা নিল কাল জীরা পঞ্চ লবণ সত্বরে লইল’ (মনসামঙ্গল, ক্ষেমানন্দ দাস)। চাঁদ সওদাগর সিংহল তথা শ্রীলঙ্কায় বাণিজ্য করতে গিয়ে যেসব দ্রব্যের বিকিকিনি করেছিলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জিরা, মরিচ, মেথি, ধনে, শুলফা, কালিজিরা, জয়ত্রী, জয়ফল, লবঙ্গ, কর্পূর। বোঝাই যায়, বাঙালিও এককালে মসলার ব্যাপারী ছিল!

এই যে মসলা। যার জন্য এত যুদ্ধ, রক্তক্ষয়। এত শ্রম স্বীকার। এটি কিন্তু মূলত কোনো খাবার নয়, খাবারের স্বাদবর্ধক মাত্র। এ ছাড়া কখন কখন এটি ভেষজ চিকিৎসার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশ তো বটেই, প্রাচীন মিসর, গ্রিস, রোমের খাবারেও মসলার উপস্থিতি ছিল। মসলা ছাড়া আলু-মাংসের ঝোল, কিংবা পাঁচফোড়ন ছাড়া ডাল ও সবজির কথা ভাবা যায় না। ডিমের সোনালি রঙের পোঁচের ওপর ব্ল্যাক পেপার ওরফে গোলমরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে না খেলে নাকি ডিমের স্বাদের আভিজাত্য বাড়ে না। মরিচ আর পেঁয়াজকুচির সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে বাঙালি আয়েশ করে ডিমের মামলেট মতান্তরে অমলেট খাচ্ছে যুগ যুগ ধরে! একেক পদের খাবারে মসলা ব্যবহারের তরিকা একেক রকম। একবিংশ শতকের এই প্রান্তে এসে আমরা যদি মসলাগুলোর তালিকা তৈরি করি, সে তালিকা অবশ্য খুব একটা বড় হবে না। স্থানীয় অনেক মসলা এককালে ব্যবহৃত হলেও এখন সেগুলোর ব্যবহার সংকুচিত হয়ে গেছে একেবারেই। মসলার সেই গুণগত মান ও স্বাদ কতটা অক্ষুন্ন আছে সেকথা আর নাইবা বললাম!

 #ভুলে_গেলে_ভুল_হবে ২বাংলাদেশকে আমরা আর কারও খেলার মাঠে পরিণত হতে দেবনা। কেন বলছি পড়ে বুঝুন। ”আমরা ভারত পাকিস্তানের খেলা...
08/09/2024

#ভুলে_গেলে_ভুল_হবে ২

বাংলাদেশকে আমরা আর কারও খেলার মাঠে পরিণত হতে দেবনা। কেন বলছি পড়ে বুঝুন।

”আমরা ভারত পাকিস্তানের খেলার মাঠে পরিণত হয়েছি” : সাবেক সেনাপ্রধান নূরউদ্দীনের সাক্ষ্য ।

উইকিলিকসের বরাতে প্রাপ্ত মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সিক্রেট দলিল। তারিখ ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০০৪। তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাসের সাথে বৈঠক করেন সাবেক সেনাপ্রধান লে.জে নূরউদ্দীন খান । [নূরউদ্দীন খান ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬-৯৭ আওয়ামী লীগ সরকারের জ্বালানি মন্ত্রী ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার তাকে পরবর্তীতে পোর্টফোলিও বিহীন মন্ত্রী বানিয়ে রাখে ২০০১ পর্যন্ত।]

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকের এক পর্যায়ে নূরউদ্দীন খান বলেন:

"বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার জন্য খান আংশিকভাবে নিজেকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদ ১৯৯১ সালে যখন ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হন, সে সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রধান আসলাম বেগ, যিনি তাঁর একজন পুরোনো বন্ধু ও সাবেক সহকর্মী, তাঁর কাছে একজন গোপন দূত পাঠিয়ে অনুরোধ করেছিলেন যে খান যেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। খান যখন তাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন, তখন আসলাম বেগ তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কাকে পাকিস্তানের সমর্থন করা উচিত। খান সুপারিশ করেন, পাকিস্তান যেন বিএনপিকে সমর্থন করে। কারণ, বিএনপি সামরিক কর্মকর্তা আর ছোট ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত দল, তারা দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারে বলে খানের মনে হয়েছিল। তখন পাকিস্তান বিএনপির জন্য অর্থের জোগান দিতে আইএসআইকে ব্যবহার করে, আর ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) অর্থ দিতে শুরু করে আওয়ামী লীগকে। খান বলেন, এ ধরনের অর্থায়ন এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমরা ভারত পাকিস্তানের খেলার মাঠে পরিণত হয়েছি। খান বলেন, শেখ হাসিনার কাজকর্মে নয়াদিল্লি অসন্তুষ্ট ছিল এবং তারা ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় উভয় দলকেই টাকা দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, 'র' তারেক রহমানকে অর্থ দিয়েছিল, তারেক 'র'কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, [ভারতে] গ্যাস রপ্তানি করতে ও [অভিন্ন নদীগুলোর] পানি ভাগাভাগির বিষয়ে বিরোধের সুরাহা করতে তিনি তাঁর মাকে রাজি করাবেন, কিন্তু তারেক তা করতে পারেননি। খান ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ২০০৬ সালে হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে ভারত খুব চেষ্টা করবে।"

[বঙ্গানুবাদ প্রথম আলো থেকে প্রকাশিত ‘উইকিলিকসে বাংলাদেশ’ বই থেকে নেওয়া। অরিজিনাল ইংরেজি ভার্সন নিচে। ইন্টারেস্টিংলি প্রথম আলোর অনুবাদে “আমরা ভারত পাকিস্তানের খেলার মাঠে পরিণত হয়েছি” এই অংশটি নেই ]

”He said that when Bangladeshi military
dictator General Ershad was forced out office in 1991, then
Pakistani military chief Alam Beg, an old friend and
colleague sent him an emissary urging that Khan become the
President. When Khan refused, Beg asked whom should Pakistan
support. Khan recommended that Pakistan support the BNP
because it consisted of military officers and small
businessmen he believed would lead the country in the right
direction. Pakistan, then used ISI to fund the BNP and
India’s Research and Analysis Wing (RAW) began funding the
Awami League. Such funding continues to this day, Khan said.
We have become the playground for India and Pakistan. Khan
claimed that New Delhi was unhappy with Sheikh Hasina,s
performance and funded both parties during the 2001
elections. He claimed that RAW funded Tariq Rahman, who
pledged to deliver his mother on gas exports and water
sharing differences but was unable to do so. He predicted New
Delhi would work hard to bring Hasina back to power in 2006.”

05/09/2024

#ভুলে_গেলে_ভুল_হবে ১

বর্তমানে ফরহাদ মজহার সহ যারা ডক্টর ইউনুসের হাতে সর্বময় ক্ষমতা দিয়ে বিপ্লবী সরকার গঠনের দাবি জানাচ্ছেন তারা আবুল মনসুর আহমদের এই লেখা থেকে হেদায়েত লাভ করতে পারেন:

শেখ মুজিবের অনুপস্থিতিতে একদল তরুণের মধ্যে এই অভিমত খুবই সোচ্চার হইয়া উঠিয়াছিল যে, বাংলাদেশের এই সরকার বিপ্লবী সরকার। পাকিস্তানী আমলের নির্বাচনও সে নির্বাচনের মেনিফেস্টো বর্তমান সরকারের জন্য প্রাসংগিকও নয়, বাধ্যকরও নয়। এ ধরনের কথা যাঁরা বলিতেছিলেন তাঁরা অধিকাংশই তথাকথিত বামপন্থী। ৭০ সালের নির্বাচনে তাঁরা একটি আসনও দখল করিতে না পারায় একরূপ নিশ্চিহ্ন হইয়া গিয়াছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা-সংগ্রামে তাঁদের যথেষ্ট অবদান ছিল। মুক্তি বাহিনীতে তাঁদের জোর ছিল। কাজেই তাঁদের মনে আশা হইয়াছিল, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে যে নতুন সরকার গঠিত হইবে, তাতে অংশ পাইবার অধিকারও তাঁদের আছে। পাকিস্তানী আমলের নির্বাচনের অধ্যায়টা আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস হইতে মুছিয়া ফেলিতে পারিলেই এটা সম্ভব। এতে এক ঢিলে দুই পাখী মারা হইয়া যাইবে। এক, বামপন্থীরা সরকারের অংশীদার হইতে পারিবেন। দুই, পার্লামেন্টারি পদ্ধতির সম্ভাবনারও অবসান হইবে। একমাত্র বিপ্লবী সরকারের স্লোগানের মাধ্যমেই এটা সম্ভব ছিল। কিন্তু যতই বিপ্লবী সরকার বলা হোক শেখ মুজিবের নেতৃত্ব ছাড়া কোন সরকার পরিচালনই সম্ভব ছিল না। কাজেই ঐ 'বিপ্লবী'দের দাবি ছিল, শেখ মুজিবকে সর্বময় ক্ষমতা দিয়া একটি বিপ্লবী সরকার গঠিত হউক।

সর্বময় ক্ষমতার লোভে অনেক রাজনৈতিক নেতারই মাথা ঠিক থাকে না। শেখ মুজিব যদি পার্লামেন্টারি রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের ট্রেনিং প্রাপ্ত নেতা না হইতেন, তিনি যদি পার্লামেন্টারি রাজনীতিতে অগাধ বিশ্বাসী না হইতেন, তবে ঐ বিপ্লবীদের লোভনীয় প্রস্তাবের ফাঁদে পা দিতেন। কিন্তু শেখ মুজিব সে ফাঁদে পা দিলেন না। অথরিটারিয়ানিযমের ক্ষমতা-লোভের সামনেও তিনি মাথা ঠিক রাখিলেন। বরঞ্চ সাবধান হইলেন। অতি ক্ষিপ্রতার সাথে তিনি বিচারপতি আবু সাঈদের মত একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজ্ঞ ও পন্ডিত ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট করিয়া নিজে প্রধান মন্ত্রিত্বে নামিয়া আসিয়া সহকর্মী বিপ্লবীদেরে, দেশবাসীকে এবং বিশ্ববাসীকে জানাইয়া দিলেন, তিনি বাংলাদেশে পার্লামেন্টারি গণতন্ত্রই প্রতিষ্ঠা করিতে চান, আর কোনও গণতন্ত্র নয়

সুত্র: আমার-দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, পৃ: ৬০৬-৬০৭

06/08/2024

২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটি যাদুঘর ও একটি ডিজিটাল আর্কাইভ করতে চাই। আপনাদের সহযোগিতা চাই।

17/07/2024

ড. শামসুজ্জোহা স্যার, এই মুহূর্তে আপনাকে ভীষণ দরকার

প্রত্যক্ষদর্শীর স্মৃতিচারণে ড.জোহা হত্যা

11/07/2024

চট্টগ্রাম কেন আসামের শাসনাধীনে যেতে চায়নি?

১৯০৩ সালে ব্রিটিশ সরকার চট্টগ্রামকে বাংলা থেকে আসামের শাসনাধীনে নিয়ে আসতে পারে বলে একটি খবর রটে। ফলে চট্টগ্রামবাসী অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে। চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তখন একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ভাইসরয় লর্ড কার্জনের কাছে। স্মারকলিপিতে চট্টগ্রামকে আসামের সাথে যুক্ত না করার পক্ষে দারুণ সব যুক্তি প্রদান করা হয়। এই ঐতিহাসিক ডকুমেন্ট ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ সম্পর্কে নতুন ভাবে ভাবতে সাহায্য করবে আমাদেরকে।

04/07/2024

কিভাবে একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠে- সোহরাওয়ার্দীর সাক্ষ্য

১৯৪৬ সালের ব্যাপক জনপ্রিয় মুসলিম লীগ কিভাবে ফ্যাসিস্ট চরিত্র ধারণ করে এবং পরিণতিতে ১৯৫৪ তে তার ভরাডুবি হয় এই নিয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী দারুণ কিছু পর্যবেক্ষণ করেছিলেন তাঁর আত্মজীবনীতে। আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তাঁর এই মূল্যায়ন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক মনে হয় আমার কাছে। এই নিয়ে আমার আজকের আলোচনা।

30/06/2024

১২৪ বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে হজ যাত্রা !

১৯০০ সালে বাংলা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে প্লেগের মহামারি চলছিল। এই সময় বাংলা অঞ্চল থেকে কেবল মাত্র চট্টগ্রামের অধিবাসীদের হজে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। বাংলার আশেপাশের বিভিন্ন অঞ্চল যেমন বিহার, আসাম ও বার্মার হজ যাত্রীদেরও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে উঠার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার সাথে ছিল বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইন। ১৯০০ সালে ব্রিটিশ সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন ও মেমোতে এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে। এ নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা।

23/06/2024

১৯৭১ সালে ভারতের মিজোরা কেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল? কেন তারা পাকিস্তানকে সহায়তা করেছিল ?

20/06/2024

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের কিছু অজানা কথা!

14/02/2024

জাফর জয়নাল দীপালীর জন্য ভালোবাসা
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ এর একটি ফুটেজ । সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে আত্মাহুতিদানে স্মরণীয় এই দিন।
স্বৈরাচারী সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মজিদ খান প্রণীত গণবিরোধী শিক্ষানীতি বাতিল, ছাত্রবন্দীদের মুক্তি ও দমননীতি বন্ধ এবং গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর গগনবিদারী শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে রাজপথ। ১১টি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এই আন্দোলনের ডাক দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বেলা ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা শহর এবং আশেপাশের এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ছাত্ররা জমায়েত হতে থাকে। ছাত্রনেতাদের বক্তৃতাপর্ব শেষে শুরু হয় মিছিল, লক্ষ্যস্থল সচিবালয়।
মিছিলের স্রোত হাইকোর্টের প্রধান ফটক থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে। কাঁটাতারের বেষ্টনী তারা মুহূর্তের মধ্যেই উৎপাটন করে ফেলে।
সামনেই শিক্ষা ভবনের গোটা এলাকাজুড়ে শত শত সাঁজোয়া বাহিনীর সদস্য। বিনা উস্কানিতে অতর্কিতে তারা মিছিলকারীদের উপর গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ শুরু করে। নিরস্ত্র আন্দোলনকারীরা রাস্তায় পড়ে থাকা ইট ও পাথরখণ্ড ছুঁড়ে গুলির জবাব দেবার দেষ্টা চালায়।
দেখতে দেখতে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে বাধ্য হয়। তারা রাস্তার এক দিকে কার্জন হল এবং অন্যদিকে হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে ঢুকে পড়ে গুলি থেকে প্রাণ বাঁচায়, চোখ-মুখে পানি দিয়ে কাঁদুনে গ্যাসের প্রকোপ দূর করে এবং যথাসম্ভব প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালায়। এরই মধ্যে কয়েকজন গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাদের লাশ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে গুম করে ফেলা হয়।
ঐদিন কতজন আত্মাহুতি দেয় তার হদিস এবং তাদের সকলের নাম আজও অজানা রয়ে গেছে। কেবলমাত্র জাফর, জয়নাল, মোজাম্মেল, আইয়ুব, কাঞ্চন এবং দীপালি সাহা– এই কজন শহীদের নাম জানা গিয়েছিল।
কৃতজ্ঞতা: ঘটনার বিবরণী ঐ মিছিলে অংশগ্রহণকারি বীরেন্দ্রনাথ অধিকারীর লেখা থেকে নেওয়া।
ফুটেজ Associated Press এর সৌজন্যে পাওয়া।
See less

পুরাতন ছবি ও দলিল দস্তাবেজ সংরক্ষণ শেখার একটি দারুণ সুযোগ!ব্রিটিশ লাইব্রেরি ও কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লণ্ডনের সহযোগিতা...
25/01/2024

পুরাতন ছবি ও দলিল দস্তাবেজ সংরক্ষণ শেখার একটি দারুণ সুযোগ!

ব্রিটিশ লাইব্রেরি ও কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লণ্ডনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ অন রেকর্ড আর্কাইভিং নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ করতে যাচ্ছে আসছে সোমবার ২৯শে জানুয়ারি। ব্রিটিশ লাইব্রেরির আর্কাইভিং এক্সপার্টরাই মূলত ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করবেন। হাতে কলমে কিভাবে পুরাতন ছবি ও দলিল দস্তাবেজ সংরক্ষণ ও ডিজিটাইজ করতে হয় তা শেখার একটি দারুণ সুযোগ । সাথে থাকছে একটি আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট । বিস্তারিত পোস্টটিতে জানতে পারবেন। মোট আসন সংখ্যা ৪০। কেবল মাত্র যারা রেজিস্ট্রেশন করবেন তারাই অংশগ্রহণ করতে পারবেন। রেজিষ্ট্রেশন খুবই সহজ। [email protected] মেইলে আপনার একটি ছবি ও CV পাঠাবেন ২৭শে জানুয়ারির মধ্যে। সাথে কেন অংশগ্রহণ করতে চান সেই বিষয়ে ১০০ শব্দে লিখবেন মেইলের বডিতে। সাথে আপনার কন্টাক্ট নম্বর। নির্বাচিতদেরকে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানানো হবে।
কোন প্রশ্ন থাকলে যোগাযোগ করবেন 01728-471997 এই নম্বরে

এটি একটি প্রোমোশনাল পোস্ট। বাংলাদেশ অন রেকর্ডের একটি সম্প্রসারিত উদ্যোগ হিসেবে আমরা একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করেছি ( লিং...
14/12/2023

এটি একটি প্রোমোশনাল পোস্ট। বাংলাদেশ অন রেকর্ডের একটি সম্প্রসারিত উদ্যোগ হিসেবে আমরা একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করেছি ( লিংক কমেন্ট বক্সে আছে)। এখানে আমরা মূলত বিশ্বরাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা আগ্রহী হলে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন।

হারিয়ে যাওয়া টি-টোকেনভারতবর্ষে পানীয়রূপে চায়ের আবির্ভাবের বিষয়টি ইতিহাসের এক অনন্য সামাজিক উপাদান। পাহাড়ের আবহাওয়া চা উ...
12/07/2023

হারিয়ে যাওয়া টি-টোকেন

ভারতবর্ষে পানীয়রূপে চায়ের আবির্ভাবের বিষয়টি ইতিহাসের এক অনন্য সামাজিক উপাদান। পাহাড়ের আবহাওয়া চা উৎপাদনের অনুকূল বিবেচনায় সিলেট, আসাম, কাছার, ডুয়ার্স ও দার্জিলিং-কে চা উৎপাদনের জন্য প্রাধান্য দেওয়া হয়। চায়ের এই অঞ্চলগুলো সুরমা, আসাম, বরাক ও ব্রহ্মপুত্র ভ্যালী নামে খ্যাত ছিল। এতদঞ্চলে চা উৎপাদনের শুরু উনিশ শতকের মাঝামাঝি। সেসময় চা বাগানগুলোতে প্রচলিত সরকারি মুদ্রায় শ্রমিকদের মজুরি দেয়াটা ছিল বাগান কর্তৃপক্ষের জন্য অলাভজনক। সে কারণে মজুরি হিসেবে শ্রমিকদের টি-টোকেন দেয়া হতো। পাই, পয়সা, আনা’র বিভিন্ন মানের টোকেন ছিল তখন। এগুলো হরেক গড়ন আর আকারের হতো; যেমন-গোলাকার, ডিম্বাকৃতি, ত্রিভূজাকৃতি, ষষ্টভূজাকৃতি ও অষ্টভূজাকৃতি। টোকেনের ব্যবহার বাগানের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বাগান সংশ্লিষ্ট সবাই এগুলোর মূল্যমান সম্পর্কে সম্যকভাবে জ্ঞাত থাকায় কোন সমস্যার সৃষ্টি হতো না। প্রায় একশ বছর ধরে এই টোকেন চা-শ্রমিকদের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেকালের সাহিত্য-সাময়িকীতে অবশ্য এই বিষয়ক আলোচনা খুঁজে পাওয়া দুস্কর। মূলতঃ মু্দ্রা সংশ্লিষ্ট জার্নালগুলো হতে এসব টোকেন আবিষ্কারের কাহিনী ও বৃত্তান্ত জানা যায়। চা বাগানগুলোতে টোকেন পদ্ধতি চালু থাকার পেছনে আরেকটি অন্তর্নিহিত কারণ ছিল। কঠোর পরিশ্রম, বৈরি পরিবেশ আর অতিনিম্ন মজুরীর কারণে শ্রমিকরা প্রায়ই বাগান থেকে পালিয়ে যেতে চাইত। স্বজনদের দেখতে মন চাইলেও যাওয়ার উপায় ছিল না। কারণ বাগানের বাইরে এসব টোকেনের কোন বিনিময় মূল্য ছিল না। ফলে শ্রমিকরা চাইলেও বাগান ত্যাগ করতে পারতনা।

শিলিগুড়ি কনফারেন্স নিয়ে মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমানের পূর্ণাঙ্গ লেখাটি  বাংলাদেশ অন রেকর্ডে পড়তে পারবেন। লেখাটির ঈষৎ পরিবর্...
20/10/2022

শিলিগুড়ি কনফারেন্স নিয়ে মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমানের পূর্ণাঙ্গ লেখাটি বাংলাদেশ অন রেকর্ডে পড়তে পারবেন। লেখাটির ঈষৎ পরিবর্তিত সংস্করণ প্রথম আলোতে দুই পর্বে প্রকাশিত হয়েছে ১৯ ও ২০ অক্টোবর, ২০২২।
লেখার লিংক কমেন্ট বক্সে

১৯৭১ এর জুলাইয়ে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের একটি  সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই বিষয়ক নথিগুলো নিয়ে 1971: The Siliguri Conferen...
19/10/2022

১৯৭১ এর জুলাইয়ে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই বিষয়ক নথিগুলো নিয়ে 1971: The Siliguri Conference বইটি কিছুদিন পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলো থেকে। বইটির উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে গবেষক মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান। দ্বিতীয় পর্ব আগামীকাল আসছে...

লিংক কমেন্ট বক্সে পাবেন।

পূর্ব পাকিস্তানের সিনেমায় মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ...১৯৬৬ সালের অক্টোবর মাসে কাজী জহির পরিচালিত পূর্ব পাকিস্তানের উর্দূ ছবি...
08/09/2022

পূর্ব পাকিস্তানের সিনেমায় মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ...
১৯৬৬ সালের অক্টোবর মাসে কাজী জহির পরিচালিত পূর্ব পাকিস্তানের উর্দূ ছবি ভাইয়া মুক্তি পায়। ছবির একটি দৃশ্যে দেখা যায় কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র জিন্নাহর ছবির সামনে দাড়িয়ে জীবনের অসহায় পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিচ্ছে। জিন্নাহর একটি ভাষণ দেখানো হয় যেখানে বলা হচ্ছে পাকিস্তানে যদি গরীবমজলুমদের স্বার্থ রক্ষা না হয় তবে সেই পাকিস্তান তিনি চাননা। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেখ মুজিব ছয় দফা ঘোষণা করেন এবং মে মাসের ৮ তারিখ গ্রেফতার হন।
ছবিতে ১৯৬৬ সালের ১৫ ই অক্টোবরের পাকিস্তান অবসার্ভারে ভাইয়া সিনেমার বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হল। ভিডিও ক্লিপটির লিংক কমেন্ট বক্সে আছে।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangladesh on Record posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bangladesh on Record:

Videos

Share

We need volunteers for...

Archiving, digitizing and disseminating historical content related to Bangladesh, the Bengali-speaking regions of India and associated parts of South Asia. We have various opportunities for you to get involved. If interested please contact: [email protected]