15/11/2023
আমি যখন বুয়েটের শিক্ষার্থী ছিলাম তখন সেখানে যারা পড়ালেখায় সিরিয়াস ছিল এদের ডাকা হত আতেল নামে। আর যারা সিটিফিটি দিত না, ক্লাস বাংক দিত এরা ছিল চিল পাব্লিক। অর্থাৎ যে কিছু কেয়ার করে না সেই চিল।
তবে আমার আতেল কোন ফ্রেন্ড আজ খারাপ নেই। এরা কেউ বিদেশে পিএইচডি করতেছে, কেউ দেশে ভাল জায়গায় আছে। চিল যারা ছিল তাদের মধ্যে কেউ ছিল গড গিফটেড ট্যালেন্ট। এরা পড়ালেখায় ও কম এফোর্ট দিয়ে ভাল করত, এক্সট্রা কারিকুলার এ ও ভাল ছিল। এরা ও সমস্যায় নাই।
সমস্যায় পড়ে যারা মেধার দিক থেকে এভারেজ কিন্তু ভার্সিটিতে এসে চিল হয়ে যায়। আতেল বলেই তুমি পাব্লিকে চান্স পাইছ। আতেল হলে যদি রেজাল্ট ভাল হয় তবে আতেল হওয়াই ভাল। কারণ ৪ বছর শেষে সবাই রেজাল্ট টাই দেখবে। তখন আতেল ডাক শুনতা এটা নিয়ে খারাপ লাগবে না।
তবে রেজাল্ট খারাপ হইলে নিজেকে চিল দাবি করার কারণে নিজের ই লজ্জা পাবে। যাদের বাপের টাকা আছে কথা আলাদা। কিন্তু যাদের নাই তাদের জীবনে সুযোগ বার বার আসে না। তাই আসল কুলনেস হল ভাল রেজাল্ট নিয়ে বের হওয়া। পড়ালেখা ঠিক রেখেও ভার্সিটি লাইফে এঞ্জয় করা যায়। এভাবে ব্যালেন্স করে চলতে পারলে পিছনে তাকালে জার্ণিটা সুখকর ও মনে হবে।
সিস্টেমের সমস্যা নিয়ে লিখলে ফেসবুকে সস্তা সান্ত্বনা আর লাইক ছাড়া কিছুই পাবে না। মানুষ সামনে বাহবা দিলেও পিছে পিছে বলবে তুমি লুজার। আর এই দেশে বসে এলন মাস্ক,স্টিভ জবস এর জীবনী পড়ে, এন্ড্রো টেটের রিলস শেয়ার দিয়ে কিংবা ওয়ারেন বাফেট এর কোটস শেয়ার দিয়ে সস্তা স্মার্টনেস দেখানো স্রেফ বলদামি। এই দেশে ব্যবসা করতে হলে আকিজ সাহেবের জীবনী পড়। কিন্তু তারপর ও রেজাল্ট ভাল রাখ।
একাডেমিক এ নজর না দিয়ে এইসব দিয়ে নিজেকে যত ই কুল দেখাও না কেন ট্রাস্ট মি লোকে তোমাকে কমেডিয়ান ভাবে, আর কিছু না। চার বছর পর বন্ধুরা থাকবে না, তোমার প্রিয় মানুষটি একদিন হুট করে চলে যেতে পারে কিন্তু তোমার সার্টিফিকেট থাকবে। এইটা যাবে না। দেশে চাকরি কম সত্য কিন্তু অনেকে লাখ টাকা স্যালারি পাচ্ছে তাও সত্য। এরা কেউ ই খারাপ ছাত্র না। না পোষাইলে স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে যাবার সুযোগ ও আছে।
রেজাল্ট খালি একটা কাগজ না, এইটা চারটা বছরের আমলনামা। এটা দিয়েই তোমাকে জাজ করা হবে। এটা প্রমাণ দেয় তোমার কাজে তুমি কতটা সিরিয়াস ছিলা। এমন কাউকে কেউ রাখতে চায় না যে তার কাজে সিরিয়াস না।
দিনশেষে ক্যারিয়ার ঠিক রাখাটাই কুলনেস !
So,be cool!
Ashikur Rahman Rupom | Short Stories | Short Stories Community