আপন খবর - Apon Khobor

আপন খবর - Apon Khobor "আধ্যাত্মিক লেখালেখির প্লাটফর্ম"
☞ aponkhobor.com

পেজটি আপন খবর পত্রিকার অফিসিয়াল পেজ। এখানে আপন খবরের সকল আধ্যাত্মিক ও সুফিতাত্ত্বিক লেখালেখি প্রকাশ ও প্রচার করা হয়।

আপন খবর সম্পূর্নরূপে বিজ্ঞাপন মুক্ত।

15/01/2025
আমি সকল ছেড়ে শুধু তোমারচরণখানি সার করেছি,সকল ভুলে তোমার পানেদীপ্তলোকে পথ চলেছি।✍️লাবিব মাহফুজ চিশতী
14/01/2025

আমি সকল ছেড়ে শুধু তোমার
চরণখানি সার করেছি,
সকল ভুলে তোমার পানে
দীপ্তলোকে পথ চলেছি।

✍️লাবিব মাহফুজ চিশতী

আজ ১৩ই রজব বেলায়াতের সম্রাট মাওলা আলী মুসকিল কোশা শেরে খোদা (আঃ)পাঁকের আগমন দিবস উপলক্ষ্যে ঈদ মোবারক।জন্ম: আনু. ১৩ সেপ্ট...
14/01/2025

আজ ১৩ই রজব বেলায়াতের সম্রাট মাওলা আলী মুসকিল কোশা শেরে খোদা (আঃ)পাঁকের আগমন দিবস উপলক্ষ্যে ঈদ মোবারক।

জন্ম: আনু. ১৩ সেপ্টেম্বর ৬০১ – আনু. ২৯ জানুয়ারি, ৬৬১ খ্রি.) ইসলামের নবি মুহম্মাদ সা. এর চাচাতো ভাই, জামাতা ও সাহাবি, যিনি ৬৫৬ থেকে ৬৬১ সাল পর্যন্ত খলিফা হিসেবে গোটা মুসলিম বিশ্ব শাসন করেন।

যখন রাসুলে করিম (সাঃ) এর বয়স ৩০ বৎসর, তখন ইসলামী চাঁদের রজব মাসের ১৩ তারিখ রোজ শুক্রবার পবিত্র কাবা ঘরের অভ্যন্তরে হযরত মাওলা আলী (আঃ) সাঃ এর শুভ জন্ম হয়, তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি যাহার জন্ম আল্লাহ্‌র পবিত্র ঘর কাবা'তে হয় । আজ হিজরী সনের রজব মাসের ১৩ তারিখ। মাওলায়ে কায়নাত, শে‌রে খোদা,আসা‌দিল্লা‌হিল গা‌লিব,হায়দা‌রে কাররার,হুব্বে মোস্তাফা,মোর্তুজা, মোজতবা,ইমামুল মাশারিক. ইমামুল মাগারিব,ইমামুল মুমিনীন,নকতায়ে বায়ে বিসমিল্লাহ, ইমামুল মুত্তাকীন, নেয়ামত,শরাফত. ফজিলত বরকত,আল্লাহর খ‌লিল জীবন্ত কুরআন, কাবার কাবা, শামসু‌দ্দোহা, বদরু‌দ্দোজা, নুরুল হুদা, নুরে খোদা, শে‌রে বেলায়ত, দরওয়া‌জা‌য়ে ইলম, ওলিউল্লাহ, মাওলুদে কাবা' ইয়াদুল্লাহ' আইনুল্লাহ' ওয়াজহুল্লাহ,আসাদুল্লাহ হযরত আলী ইবনে আবী তালিব আলাই‌হিস সালা‌মের পবিত্র বেলাদত দিবস(প্রকাশ্য দুনিয়াতে আগমন)। তা পালন করা জিন-ইনসান তো অবশ্যই বরং কুল-কায়িনাতের জন্য ফরয আর এই মুবারক তাজদীদই হচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ তাজদীদ মুবারক ।

মওলার পবিত্র বেলাদত দিবস সবাই‌কে শুভেচ্ছা ও আন্ত‌রিক মোবারকবাদ।এবং এই মহান ইমামের শানে পেশ করছি অসংখ্য দরুদ ও সালাম।
আল মুস্তাফা ওয়াল মুরতাজা ওয়াবনাহুমা ওয়াল ফাতিমাহ”।আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম, ইয়া আলী মাদাদ।

হযরত আলী (কঃ) ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র মানুষ যিনি পবিত্র কাবা শরীফের ভেতরে ভূমিষ্ঠ হন।হযরত আলী (কঃ) হচ্ছেন পাক পাঞ্জাতানের একজন। তাঁর জন্ম পবিত্র কাবা ঘরে, প্রথম দর্শন রাসূল (সাঃ) এর মুখ । প্রথম খাদ্য রাসূল (সাঃ) এর রসনা (থুথু)।কোরানে মহানবীর নামের পাশে মাওলা আলীর নাম যেমন উল্লিখিত ছিল বহুবার তেমনই শতশত হাদিসেও আলীর গুণকীর্তনে পঞ্চমুখ ছিলেন আমাদের দয়াল নবীজি স্বয়ং।মুফাসসিরদের মতে পবিত্র কুরআনের প্রায় ৩০০টি আয়াত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হযরত আলীর সাথে সম্পর্কিত। খ্রিস্টানদের সাথে মোবাহেলার ঘটনায় রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলীকে নিজের সত্তা হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেন।

তন্মধ্য উল্লেখযোগ্য হল-

🔰“হে ইমানদারগণ! আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্যে উলিল আমর (যারা কর্তৃত্বশীল) তাদের।” ৪:৫৯।
🔰“হে নবী পরিবার, আল্লাহ তো কেবল তোমাদের নিকট থেকে অপবিত্রতা দূর করতে চান এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে চান” ৩৩:৩৩।
🔰“ওহে রাসূল! আনপার প্রতিপালকে পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা পরিপূর্ণরূপে মানুষের কাছে পেৌছে দিন। যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তার দেয়া নবুওয়াতির দায়িত্বের কিছুই পালন করলেন না।” ৫:৬৭ ।

“গাদির” অর্থ জলাশয়। জায়গার নাম খুম। খুমের জলাশয়ের নিকটবর্তী হইলে উক্ত আয়াত এইরুপে নাজেল হয়েছিলঃ
✅“ইয়া আইউহার রাসুল বাল্লেগ মা উনজিলা ইলাইকা মির রাব্বেকা আন্না আলীউন মাওলাল মোমেনীন। অইন লাম্‌ তাফআল ফালা বাল্‌লাগতা রেসালাহু। আল্লাহু ইয়া, সেমুকা মিনান নাস”।

ইহা হতে “আন্না আলীউন মাওলাল মোমেনীন” কথাটি কোরান হতে বাদ দেয়া হয়েছিল ওসমানের (র) প্রকাশনা হতে। মুসা নবীর সঙ্গে যেমন হারুনের নাম কোরানে উল্লেখ করা হয়েছে, সেইরুপে আলী (আ) নামও কোরানে কয়েকবার ছিল।

🔰হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) বলেছেনঃ-
• আমি জ্ঞানের শহর, আলী তাহার দরজা।
• আমি যার অভিভাবক আলী তার অভিভাবক।
• আলী সত্যের সাথে সত্য আলীর সাথে।
• কোন মোনাফেক আলীকে ভালবাসে না,
কোন মুমিন আলীকে ঘৃনা করেন না।
• যে ব্যক্তি আলীকে গালী দেয়, সে আমাকে
গালী দেয়; যে আমাকে গালী দেয়, সে
আল্লাহকে গালী দেয়।

আলী অর্থ সর্বোচ্চ। আল্লা’র অপর নাম আলী।
তিনি ছিলেন আবু তালিবের পুত্র। তার মাতার নাম ফাতিমা বিনতে আসাদ।ইমাম আলী (আঃ)-এর জন্ম ও শৈশব মহানবী হযরত মােহাম্মদ (সাঃ) আবির্ভাব কালে সম্মান, প্রতিপত্তি ও শরাফতীতে আরব দেশের কোরায়েশ বংশের তুলনা ছিলােনা। অধিকন্ত কাবার রক্ষক হিসেবে এ বংশ ছিল অধিকতর ইজ্জতের অধিকারী। এ বংশেরই সেরা শাখার নাম হাশেমী। এ বংশেই মহানবী রাসূল পাকের জন্ম। হযরত আলী (আঃ) এর জন্ম ও এ বংশে। মা বাপ উভয়দিক থেকেই তিনি হাশেমী। তাঁর পিতার আসল নাম ইমরান। আরব দেশের প্রথানুসারে জ্যৈষ্ঠ পুত্র তালিবের নামে সংগে যুক্ত করে তাঁকে ডাকা হতাে আবু তালিব অর্থাৎ তালেবের বাপ। এ নামেই তিনি পরিচিত ছিলেন, ইতিহাসেও উল্লেখিত রয়েছেন এ নামেই। পরবর্তী জীবনে হযরত আলীকে ও তাঁর জ্যৈষ্ঠপুত্র ইমাম হাসান (আঃ) এর নামের সঙ্গে মিলিয়ে তাকে আবুল হাসান বলা হতাে। বলা বাহুল্য, আরব দেশের ব্যক্তি বিশেষকে এভাবে ডাকা এক বহুল প্রচলিত ও সর্বস্বীকৃত রেওয়াজ ছিলাে সেকালে। যেমন আবু বকর কুমারীর বাবা এ নামে তাকে ডাকা হতাে।হযরত রাসূলে করীমের পিতামহ আবদুল মুত্তালিব আর ইমাম আলীর নানাজান আসাদ পরস্পর ভাই ছিলেন।রাসূল করিম (সাঃ) এর পিতা আবদুল্লাহ এবং আলী (আঃ) এর পিতা আবু তালিব পরস্পর ভাই। কাজেই সম্বন্ধের দিক দিয়ে আবু তালিব ছিলেন রাসূল করিম (সাঃ) এর আপন চাচা এবং আলী (আঃ) আপন চাচাত ভাই। আবার মায়ের দিক থেকে ছিলেন ফুফাতাে ভাই।
ইমাম আলীর সংগে আত্মীয়তা ছিল নিকটতম। পরে রাসূল (সাঃ) একমাত্র প্রিয়তমা কন্যা খাতুন-ই-জান্নাত বিবি ফাতিমাকে শাদী করার পর তিনি হয়ে পড়েন রাসূলের আরাে প্রিয় পাত্র ও অন্তরঙ্গ।
মা ফাতিমা বিনতে আসাদ রাসুলের(সাঃ) প্রতি প্রথম ঈমান আনয়নকারীদের অন্যতম ছিলেন তিনি। নবীজীর নবুওয়ের আগে তিনি মুসলমানদের জাতির পিতা হযরত ইবরাহীমের(আঃ) দ্বীনের অনুসারী ছিলেন।তিনি ছিলেন একজন পুতঃপবিত্র নারী।
ফাতিমা পূর্ণ গর্ভাবস্থায় যখন একদিন কাবা তাওয়াফ করছিলেন, তখন তিনি হঠাৎ প্রবল প্রসব বেদনা অনুভব করেন। তাড়াতাড়ি ঘরের দিকে রওনা করতে চাইলে প্রসব বেদনা এতই প্রখর ছিল যে সম্বভ হচ্ছে না।কাবার দেয়ালের নিকট গিয়ে বলেন,...

🙏“প্রভু হে! আমি তোমার প্রতি, তোমার পক্ষ হতে যে সব কিতাব নাজিল হয়েছে তার প্রতি এবং এ ঘরের নির্মাতা ইবারহীমের (আঃ) কথার প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান পোষণ করি। হে এলাহী! এ ঘরের নির্মাতার সম্মানে এবং আমার পেটে যে শিশু আছে তার উছিলায় এ শিশুর জন্মদান সহজ করে দাও”।
কাবা ঘরের ফাটল সৃষ্টি হয়,।তখন পেছন থেকে আওয়াজ আসে “এদিকে আসুন” তাই তিনি ফিরে তাকিয়ে দেখেন খানা কাবার রুকন ইয়ামেনীর দিকে দেয়ালে একটি ফাক হয়ে গেছে মহান আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে । তিনি সে ফাঁক দিয়েই ভেতরে প্রবেশ করলেন। প্রবেশ করা মাত্র সেটা আবার বন্ধ হয়ে যায়। তিন দিন খানা কাবার ভেতরে অবস্থান করলেন। তিন দিন পর আবার সে দেয়াল ফাঁক হয়ে গেলে তিনি শিশু সহ বাইরে বেড়িয়ে আসেন। পথে নবীর সঙ্গে দেখা হয়। তিনি (নবী) চাচীকে সালাম করেন এবং শিশুর জন্মের জন্য খােশ আমবেদ জানান। প্রতি উত্তরে চাচি বললেন এটা কি ধরনের বাচ্চা আজ তিন দিন চোখ মেলেও চায়নি এবং কোন আহারও গ্রহণ করেনি। তখন নবী বললেন বাচ্চাকে আমার কোলে দিন। নবীর কোলে আসা মাত্রই শিশু চোখ খােলে নবীর দিকে চাইলেন এবং সালাম দিলেন, “আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ” নবী সালামের উত্তর দিলেন, সালাম বিনিময়ের পর রাসূলুলার জিব মুখে দেয়া মাত্র তিনি চুষে খেলেন। তারপর নবী বললেন, কিছু শুনাও। শিশু বললেন, কোথা থেকে শুনাবাে। নবী বললেন তােমার যেখান থেকে ইচ্ছে। হযরত আলী সূরা মােমেনীন পড়ে শুনালেন।
এ যেন নবুয়াতের সংস্পর্শে ইমামত ধন্য হল।

হযরত আলীর (আ:)জন্ম নেয়ার স্থান হওয়ার মাধ্যমে আসলে পবিত্র কাবাই সম্মানিত হয়েছে। মারইয়াম (আ.)-এর গর্ভাবস্থায় মহান আল্লাহ তাঁর প্রতিপালনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, কিন্তু যখন সন্তান প্রসবের সময় হলো তখন আল্লাহ তাঁকে আল্লাহর ঘর থেকে বাইরে যাবার জন্য নির্দেশ দিলেন। অথচ তিনি ছিলেন একজন নবীকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন। কিন্তু মাওলা আলীর জন্মের সময় কাবা ঘরের দেয়ালে ফাঁক সৃষ্টি করে আল্লাহ তায়ালা হযরত আলীর মা হযরত ফাতিমা বিনতে আসাদকে কাবায় প্রবেশ করার সুযোগ তৈরি করে দিলেন। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে।
হযরত আলী (আ.)-কে বলা হয় ‘মওলুদে কাবা’। সাধারণত যখন কোন ঘটনা এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঘটে থাকে তখনই এমন নামকরণে বিষয়ের অবতারণা হয়। তিনি বলেন, ইসলামের প্রতিটি পরতে হযরত আলীর অবদান রয়েছে। হযরত আলী এমন মর্যাদায় উপনীত হয়েছিলেন যে, তাঁর চোখ, কান, হাত, মুখ, পা সবকিছুই আল্লাহর হয়ে গিয়েছিল, সেই হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত অবস্থার মতো যেখানে আল্লাহ মুমিনদের ব্যাপারে বলেছেন যে, তিনি মুমিনের চোখ, কান, হাত ইত্যাদি হয়ে যান।হযরত আলী (আ.)-এর মা তাঁর অসহায় অবস্থায় মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলেন। আর আল্লাহ তাআলা তাঁকে সাহায্য করলেন। তিনি তাঁকে নিজ ঘরের মেহমান করলেন। আল্লাহ চাইলে তাঁকে দরজা দিয়েই নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি সারা বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত রাখার জন্য তাঁকে কাবা ঘরের দেয়ালে ফাটল সৃষ্টি করার মাধ্যমে তাঁকে বরণ করলেন।
মূসা (আ.)-এর মা এবং ঈসা (আ.)-এর মাকেও আল্লাহ হেফাজত করেছেন, পথ প্রদর্শন করেছেন এবং তাঁদেরকে প্রতিপালন করেছেন। অবশেষে তাঁদের সন্তানরা নবী-রাসূল হয়েছেন। আর আমরা দেখতে পাচ্ছি হযরত আলীর (আ.)-মাকেও আল্লাহ প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করছেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে আমাদের জন্য ভাববার বিষয় রয়েছে।

শত শত বছর ধরে সরকার কাবা গৃহের দেয়ালের ফাটল মেরামত করার চেষ্টা চালিয়েছে কিন্তু তাদের সকল প্রচেষ্ঠাই ব্যর্থ হয়েছে। ড. তারিক আল কাতীব তিনি সরকারী ভাবে নিয়োজিত মেরামত কমিটির সদস্য। তিনি বলেন:-যত উত্তম ভাবেই এ ফাটলের মেরামতের কাজ করা হয়েছে,তাতে কোন কাজ হয়নি। প্রতি বছর রজব মাসের ১৩ তারিখে আবার নতুন করে এ দেয়ালের ফাটল সৃষ্টি হয়। আমরা জানি রজব মাসের ১৩ তারিখে ইমাম মাওলা শেরে আলী আঃ ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন।

📜 “ নাদে আলীয়ান মাযহারুল আজাঈবে তাজিদাহু আওনান লাকা ফিন নাওয়াইবি, কুল্লু হাম্মিন ওয়া গাম্মিন সাইয়ানজালী বি নুরিকা ইয়া মুহাম্মদ, ওয়া বি বিলায়াতিকা ইয়া আলী! ইয়া আলী! ইয়া আলী! আদরিকনী।

আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আলে মুহাম্মদ।

▪️ফেসবুক থেকে

আজ ১৩ই রজব' শেরে খোদা হযরত মাওলা আলী (আ.)-এর শুভ আবির্ভাব দিবস, যাঁর কথা বলিতে গিয়ে হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলে ছিলেন - ১.আম...
14/01/2025

আজ ১৩ই রজব' শেরে খোদা হযরত মাওলা আলী (আ.)-এর শুভ আবির্ভাব দিবস, যাঁর কথা বলিতে গিয়ে হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলে ছিলেন -

১.আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা, যে আলীর সাথে বন্ধুত্ব রাখে তুমি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখ, যে আলীর সাথে শত্রুতা করে,তুমিও তার সাথে শত্রুতা রাখ।( মুসলিম ২য় খন্ড ৩৬২ পৃষ্ঠা, মুসনাদে ইমাম হাম্বল ৪ র্থ খন্ড ২৮১ পৃষ্ঠা)

২.আমি জ্ঞানের শহর আলী তার দরজা।
(তিরমিজি, ৫ম খন্ড ২০১ পৃষ্ঠা)

৩.আলী সব সময় হকের পথে থাকবে। আলীকে মহব্বত করা ঈমান, আর আলীর সাথে শত্রুতা করা মুনাফেকি। (মুসলিম ১ম খন্ড ৪৮ পৃষ্ঠা)

৪.আলী আমার থেকে এবং আমি তার থেকে এবং আলীই আমার পর সমস্ত মুমিনদের অলী তথা অভিভাবক ও নেতা।( তিরমিজি ৫ম খন্ড ১১০ পৃষ্ঠা)

৫. যে আলীকে দোষারোপ করলো সে আমাকে দোষারোপ করলো আর যে আমাকে দোষারোপ করলো সে খোদাকে দোষারোপ করলো। আল্লাহ তাকে মুখ নিচু করে দোজখে নিক্ষেপ করবেন। (বুখারী ২য় খন্ড, মুসলিম ২য় খন্ড, তিরমিজি ৫ম খন্ড)

প্রবন্ধ – যে নামে ডাকিলে তাঁরেলেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতীশিখায়া দে তুই আমারে, কেমন করে তোরে ডাকি;কি নামে ডাকিলে তারে হৃদ আ...
13/01/2025

প্রবন্ধ – যে নামে ডাকিলে তাঁরে
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

শিখায়া দে তুই আমারে, কেমন করে তোরে ডাকি;
কি নামে ডাকিলে তারে হৃদ আকাশে উদয় হবে;
জানিতে চাই দয়াল তোমার আসল নামটা কি;

প্রভুকে ডাকার এমন আকুলতা আশেক হৃদয়কে প্রতিনিয়ত উদ্বেলিত করে। কখনো ডাক শিখিয়ে দেয়ার আহ্বান, কখনো ডাকতে না পারার অভিমান, কখনো প্রভুর প্রকৃত নামটি জানতে চাওয়ার সুতীব্র বাসনা অনুরাগীর অন্তরকে অস্থির করে তোলে। কারণ, ভক্ত হৃদয় ভালো করেই জানে, সে নাম জেনে নিলেই নামের নামীকে লাভ করা যায়। নাম লাভ হলেই লাভ হয় রূপ, নাম ও রূপ যেন অঙ্গাঙ্গী বিজড়িত। এ যেন, “নামেরও সহিত রূপও, ধিয়ানে রাখিয়া জপো”।

প্রকৃত অর্থেই প্রভু নামের ভেতরেই নিহিত রেখেছেন তার সকল আসরার বা রহস্য, রহস্যজ্ঞান তিনি প্রদান করেছেন প্রথম মাখজানে আসরার হযরত আদম আলাইহিস সালামকে। নিজেই বলছেন –
وَ عَلَّمَ اٰدَمَ الۡاَسۡمَآءَ کُلَّہَا
অর্থ: আর আল্লাহ আদমকে সব নাম শিখিয়েছেন। (আল-বাকারা 31)

হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে মানবীয় পরম্পরার সেই নামের জ্ঞান তথা নাম-রূপের জ্ঞান তথা আদী রহস্যজ্ঞান স্থানান্তরিত হয়েছে সিনা-ব-সিনায়। আজো সাধকচিত্ত সে নামের নবুয়তি পর্দা উন্মোচণ করে প্রত্যক্ষ করে বেলায়েতি রূপমাহাত্ম্য।

মূলত এই নামরূপের জ্ঞানটাই মানবীয় বিশেষত্ব যা মানুষকে অন্যান্য সৃষ্টি থেকে পৃথক করে। মানুষকে নিয়ত স্বর্গীয় সুষুস্মায় সমুজ্জল করে। নামের নূরানী চ্ছটায় আলোকিত-উচ্চকিত সিংহাসনেই অধিষ্ঠিত হন পরম সত্ত্বা প্রভূ জাতপাক। প্রভূকে জানা-চেনার জন্য তাই আবশ্যক প্রভুর নাম-জ্ঞান অর্জন করা যা মানুষকে প্রদান করা হয়েছে সৃষ্টির প্রারম্ভেই এবং মানব অস্তিত্বের ইবলিশীয় উৎপ্রেক্ষায় মানুষ আজ সে নাম-জ্ঞান বিস্মৃত! বিস্মৃতির অতল থেকে সে নাম-রূপ-জ্ঞান পুনরুদ্ধারেই মানবীয় সাধনার সফলতা। এখানেই মূলত নাম শেখার বা প্রভুর আসল নাম জানার সাধক-চিত্তে অনন্ত আকুলতার মাহাত্ম্য নিহিত।

প্রভূর ইসমে জাত বা জাতী নাম বা ব্যক্তিনাম তথা চেহারা/রূপ সম্বলিত নাম দর্শনেই আশেকের চক্ষুযুগল শীতল হয়। তাইতো, সে নাম শেখার, জানার এতো আকুলতা, এতো অনুরাগ! সে নাম দর্শনেই আমাদের হৃদ আকাশ হয় আলোকিত, আমরা হয়ে উঠি যথার্থই সে নামের হেফাজতকারী।

আশেকী হৃদয় সে নামে ফানা হোক, ফানা হোক ‍নাম-রূপের আদি রহস্যের অতল তলে।

লাবিব মাহফুজ চিশতী
সম্পাদক – আপন খবর
চেয়ারম্যান – আপন ফাউন্ডেশন
রচনাকাল – 19/11/2024

সিলেটে এক অনুষ্ঠানে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমকে সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছিলো। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে বলা হলো, এখন বাউল শাহ আবদু...
13/01/2025

সিলেটে এক অনুষ্ঠানে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমকে সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছিলো। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে বলা হলো, এখন বাউল শাহ আবদুল করিমের হাতে সোয়া ৩ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হবে।
অন্যপাশে আবদুল করিম বসা। ঘোষণা শুনতেই তিনি তার পাশে থাকা ছেলে শাহ নূর জালাল বাবুলকে বললেন 'সোয়া ৩ হাজার টাকা! এতো টাকা দিয়া আমি কি করমু? এতো টাকা আমার লাগবে না।'
পাশ থেকে বলা হলো সোয়া ৩ হাজার টাকা না, সোয়া ৩ লাখ টাকা।
শাহ আবদুল করিম এবার টাকার অংক শুনে উঠে বলেই ফেললেন, "এতো টাকা দিয়া আমার কাজ কী? মানুষ আমারে ভালোবাসে এটাই বড়। এই টাকা আমার লাগবো না। এই বাবুল চল, বাড়িত যাই।"
আরেকবার দোহারের শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য শাহ আব্দুল করিমকে জিজ্ঞেসা করেছিলেন-

'মানুষ আপনার গান বিকৃত সুরে গায়। আপনার সুর ছাড়া অন্য সুরে গায়। অনেকে আপনার নামটা পর্যন্ত বলে না। এসব দেখতে আপনার খারাপ লাগে না?'

শাহ্ আবদুল করিম জবাবে বললেন-
'কথা বোঝা গেলেই হইল
আমার আর কিচ্ছু দরকার নাই'

কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য ভীষণ অবাক হলেন। তিনি বিস্ময়ের গলায় বললেন, 'আপনার সৃষ্টি, আপনার গান। মানুষ আপনার সামনে বিকৃত করে গাইবে। আপনি কিছুই মনে করবেন না... এটা কোন কথা... এটার কোন অর্থ আছে?'

শাহ আবদুল করিম বললেন- 'তুমি তো গান গাও,
আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দাও তো। ধরো তোমাকে একটা অনুষ্ঠানে ডাকা হলো। হাজার হাজার চেয়ার রাখা আছে কিন্তু গান শুনতে কোন মানুষ আসে নাই। শুধু সামনের সারিতে একটা মানুষ বসে আছে।
গাইতে পারবে?'
কালীপ্রসাদ কিছুক্ষন ভেবে উত্তর দিলেন- 'না সে আমি পারবো না।'
শাহ আবদুল করীম হেসে বললেন 'আমি পারবো,
কারণ আমার গানটার ভেতর দিয়ে আমি একটা আদর্শকে প্রচার করতে চাই। সেটা একজন মানুষের কাছে হলেও। সুর না থাকুক, নাম না থাকুক। কিন্তু সেই আদর্শটা থাকলেই হলো। আর কিছু দরকার নাই... সেজন্যই বললাম শুধু গানের কথা বোঝা গেলেই আমি খুশি!'
কালীপ্রসাদ ভট্টাচার্য আশ্চর্যের গলায় বললেন, 'সেই আদর্শটা কি?'

'একদিন এই পৃথিবীটা বাউলের পৃথিবী হবে,
এই পৃথিবী একদিন বাউলের পৃথিবী হয়ে যাবে।' আবেগের গলায় বললেন আবদুল করিম।
এতো বিখ্যাত মানুষ হওয়া সত্ত্বেও কোন মাপের নির্লোভ মানুষ হলে তাঁর পক্ষে এটা বলা সম্ভব ছিলো তাই ভাবছি!
ছিলেন কৃষকের সন্তান, মাঠে ঘাটে রাখাল হিসেব গরু চরাতেন, সেই রাখাল বালক থেকে হয়ে উঠলেন বাউল সম্রাট। অথচ এতো খ্যাতির পর ও আজীবন ছিলেন মাটির মানুষ হয়ে। তাঁর আন্তরিকতা ছিলো দেখার মতো। এমন ও হয়েছে তাঁর ঘরে খাবার নেই, কিন্তু দূর দূরান্ত থেকে আসা মেহমান। নিজে না খেয়ে অতিথি অ্যাপায়ন করতেন। বাংলার বাউল সঙ্গীতকে এক অনন্য উচ্চাতায় নিয়ে গেছেন তিনি।
ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের সুখ প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তার গান কথা বলেছে বারবার সকল অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরূদ্ধে। আবদুল করিম গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহ এর দর্শন থেকে। বাউলগানের দীক্ষা নিয়েছিলেন সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশ এর কাছ থেকে।
কেবল বাউল গান না; শরীয়তী, মারফতি, দেহতত্ত্ব, গণসংগীতসহ সংগীতের বহুরূপে সৃষ্টি ছিলো তাঁর।
তাঁর ৫০০ র বেশী রচিত গানের সম্ভারে ২০টির মতো গান ইংরেজিতে অনূদিত ও হয়েছে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করি তাঁকে।🙏💕

মাওলা আলী (আঃ) বলেন, তোমরা কখনো সত্য ও হে'দায়েতের পথ চিনতে পারবে না, যতক্ষণ না এ পথ পরিত্যাগ কারীদের চিনবে এবং কোরআনের য...
12/01/2025

মাওলা আলী (আঃ) বলেন, তোমরা কখনো সত্য ও হে'দায়েতের পথ চিনতে পারবে না, যতক্ষণ না এ পথ পরিত্যাগ কারীদের চিনবে এবং কোরআনের যুক্তি ও মানদন্ডকে কখনোই অনুধাবনে সক্ষম হবে না, যতক্ষণ না এর বিরোধী ও লঙ্ঘনকারীদের চিনবে। কোরআনের সঙ্গে ততক্ষণ পর্যন্ত সংযুক্ত হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না ঐ ব্যক্তিবর্গকে চিনবে যারা কোরআনকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করেছে।

সূত্র : নাহজ আল বালাঘা - খুৎবাঃ ১৪৬

জগৎগুরু সবসময়ই তার অপার করুণাশক্তিতে ভক্তদের হৃদয়কে বহির্জগৎ থেকে ফিরিয়ে তার অন্তর্জগৎ এর দিকে ঘুরিয়ে দেন। যেখানে সে...
12/01/2025

জগৎগুরু সবসময়ই তার অপার করুণাশক্তিতে ভক্তদের হৃদয়কে বহির্জগৎ থেকে ফিরিয়ে তার অন্তর্জগৎ এর দিকে ঘুরিয়ে দেন। যেখানে সে উপলব্ধি করে তার অনন্ত পরমগুরুকে।

✍️লাবিব মাহফুজ চিশতী

মাজারে দানবক্স থাকে, সে দোষ দিয়ে তারা মাজার ভাঙলো! এবার তাদের মাহফিলে শত শত দানবাক্স!!ওহাবীদের লজ্জা কোনোকালেই হবেনা...!...
12/01/2025

মাজারে দানবক্স থাকে, সে দোষ দিয়ে তারা মাজার ভাঙলো!

এবার তাদের মাহফিলে শত শত দানবাক্স!!

ওহাবীদের লজ্জা কোনোকালেই হবেনা...!!!

দানবাক্স নং ৭০ 🤔

আমি বন্ধু হারা পাগলিনী   কার কাছে কই,ও -লো সখী।কাজল কালো বন্ধু আমার,            নিয়েছে পিঞ্জিরার পাখী।নিষ্ঠুর বন্ধুর কঠি...
12/01/2025

আমি বন্ধু হারা পাগলিনী
কার কাছে কই,ও -লো সখী।
কাজল কালো বন্ধু আমার,
নিয়েছে পিঞ্জিরার পাখী।

নিষ্ঠুর বন্ধুর কঠিন হিয়া,
আসবে বলে ফাঁকি দিয়া
চলে গেছে কমল আখিঁ।
তোরা হস্ত দিয়া দেখনা চাইয়া,
কেমন করে মোর পরাণ পাখী।

যে দিন হতে বন্ধু হারা,
হয়েছি জীয়ন্তে মরা
শেষ মরার আর কয়দিন বাকি।
তোরা বলে দে গো প্রাণ সজনী,
কেমনে জীবন বেন্ধে রাখি।

রজ্জব কয় বন্ধুয়ার কারন,
আশায় থাকে দুটি নয়ন
প্রাণ বন্ধু আসে না কি?
আমি থাকতে যদি না পাই তারে,
শেষে পেয়ে ফল হবে কি?

মানবের এ দিব্য ঘরেনিত্যময় সে প্রাণ অন্দরে,স্বয়ংরূপে অহর্নিশি করতেছে সে বিরাজন –আপনাতে খুঁজলে তাহার মিলিবে সন্ধান!✍️লাবিব...
12/01/2025

মানবের এ দিব্য ঘরে
নিত্যময় সে প্রাণ অন্দরে,
স্বয়ংরূপে অহর্নিশি করতেছে সে বিরাজন –
আপনাতে খুঁজলে তাহার মিলিবে সন্ধান!

✍️লাবিব মাহফুজ চিশতী

৫ আগষ্ট থেকে আজ অব্দি দেশে ৭৫ টিরও বেশি পবিত্র মাজার শরীফে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করা হয়েছে।জড়িতদের দৃষ্টান...
11/01/2025

৫ আগষ্ট থেকে আজ অব্দি দেশে ৭৫ টিরও বেশি পবিত্র মাজার শরীফে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করা হয়েছে।

জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান ও মাজার শরীফ সমূহের পূনঃনির্মাণ করতে হবে।

মাজার ভাঙচুরের মতো জাহিলিয়াতের সকল জাহেল/সন্ত্রাসীদের প্রতি আমাদের গভীর নিন্দা...

আমরা মরিয়া আনন্দে থাকিলেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী১.সুফিদের জন্য সময় কখনোই অনুকূল নয়। জাগতিকতামুক্ত সুফিদেরকে চিরকালই জাগ...
10/01/2025

আমরা মরিয়া আনন্দে থাকি
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

১.
সুফিদের জন্য সময় কখনোই অনুকূল নয়। জাগতিকতামুক্ত সুফিদেরকে চিরকালই জাগতিকতায় আচ্ছন্ন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর তরফ থেকে সহ্য করতে হয়েছে অত্যাচার, নির্যাতন। সুফির সূদুর রহস্যাবৃত ধর্মালাপ কখনোই রাষ্ট্রযন্ত্র বা জনগন, কেউই হৃদয়াঙ্গম করতে সক্ষম হয়নি। বরং পাহাড়সম অপবাদ, ফতোয়া বা অত্যাচারের ইতিহাস রচিত হয়েছে সুফিদের ওপর। তবু সুফি অটল থেকেছে তার স্বকীয় আত্মোৎকর্ষের সীমাহীন আনন্দ-ভূবনে। যাক বয়ে হাজার নির্যাতনের তুফান, সুফি থাকে তূরীয় আনন্দের তুঙ্গে।

২.
সুফি চির নিরপেক্ষ সত্ত্বা। ঐশী মহাশক্তির নযুলিয়াতের ফলে সুফির অস্তিত্ব হয়ে ওঠে পাহাড়সম নির্বিকার, ঐশী চেতনাদীপ্ত। জাগতিকতা সুফির কাছে হয়ে ওঠে তুচ্ছাতিতুচ্ছ। বিত্ত, বৈভব, ক্ষমতা বা জাগতিকতাকে ‍ঘৃণাভরে ছুড়ে ফেলে দেয় সুফি। চটের কম্বল বা শুকনা রুটির নেওয়াজে সে চরম তৃপ্ত। কিছু না হওয়ার তথা আত্ম-অস্বীকারের চূড়ান্ত মাকামে সে অবস্থান করে নির্লিপ্ত সত্য সহকারে।

৩.
সুফির দেশ কোনো ভৌগোলিক দেশ নয়। সুফির দেশ তার আপন দেহভূমি। সে দেশে সে রাজেশ্বর রাজা। রাষ্ট্র কাঠামো তথা জন-তন্ত্র থেকে দূরে সুফি তার স্ব-দেহে মগ্ন। সুফি আপন আত্মদেশে বিহার করে নিয়ত স্বর্গীয় ‍সুষুষ্মায় অবগাহন করে। যেখানে কোনো রাষ্ট্র নাই, দেশ নাই, কোলাহল নাই, জনগন নাই। আছে কেবল অপার শান্তি, অপরিসীম স্নিগ্ধতা। আপনত্বে ঈশ্বরত্বের অনভিব্যক্ত অনুভূতি। ঐশী রূপ দর্শনের অনন্ত মুগ্ধতা।

৪.
দল, মত, রাষ্ট্র বা ধর্ম এর কোনোটার অনুবর্তী কেউ সুফি নয়। সে সুযোগসন্ধানী বা স্বার্থান্বেষী। সুফি স্বয়ং স্ব-দেশের স্বয়ম্ভূ। জাগতিকতার প্রতি বিন্দুমাত্র আকর্ষিত বা কোনো প্রকার শক্তির প্রভাবে অনুমাত্র উদ্বেলিত যে সত্ত্বা, সে সত্ত্বা সুফির নয়। সুফি ঈশ্বরে উদ্বাহু এবং জগতে উদ্ধত। প্রেমে নবনিত কমল ও স্বার্থে বজ্রদম্ভোলি। সুফির বাসর রচিত হয় ফাঁসিকাষ্ঠে, চ্ছিন্নমস্তকের শোণিতকণিকায় জপিত হয় অস্তি নাস্তির হরণ পূরণ। ‍সাফার অনন্ত শুভ্রতা সুফিকে বেষ্টন করে রাখে সর্বদায়।

৫.
সুফি কোনো সংকীর্ণ মতবাদ নয়। প্রভুর প্রভুত্ব প্রকাশের মাধ্যম সুফি। দলবাজ, কমিটিবাজ, ইজমবাজ, রাষ্ট্রবাজ, পক্ষ-বিপক্ষ-সাপেক্ষবাজ, ধর্মবাজ, গোষ্ঠীবাজ তথা যে কোনো বাজ-বিভক্ত সুফিরা সঠিক সুফি আদর্শে বিশ্বাসী হোন, সুফি নীতিতে অটল হওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করুন। সকল প্রকার জাগতিকতার মোহমুক্ত হয়ে একমাত্র পরম-পদে প্রণত হোন। আপন সত্যে নিষ্ঠাবান হোন, আপন ঐশ্বরত্বকে মূল্য দিতে শিখুন। সকল প্রকার স্থুল-সুক্ষ গোলামী অচিরেই পরিহার করুন। না হলে সুফি পোষাক অঙ্গে রাখার যোগ্যতা হারাবেন আপনি।

৬.
সুফিরা মরণ-দরজায় আব হায়াত সঞ্জীবনী পান করে সুফি হয়। ফের মৃত্যুকে কেন ভয় সুফির? মনে রাখবেন, সুফির মাহাত্ম্যকে ধারণ করার মতো দেশ নাই, সংস্কৃতি নাই। আপন সত্যকে সমুন্নত রাখার জন্য জিবন দেয়াই সুফির নীতি। উন্নত মস্তকে স্বীয় সত্য বলতে বলতে দেহত্যাগ করাই সুফির নীতি। কিসের ভয় সুফির? সুফি চির আনন্দের সারথী, সুফি চির জিবনের প্রতীক, সুফি চির প্রেমময় সত্ত্বা।

সুফি জীবিত হয় মৃত্যুর পরেই।

লাবিব মাহফুজ চিশতী
সম্পাদক – আপন খবর পত্রিকা
28|08|2024

শারাবান তাহুরা পিয়াও, দয়াল আমায় দীল ভরেযেনো নিরত রই অনুরাগে, ঐ রাঙা চরণ বাঞ্ছা করে।✍️লাবিব মাহফুজ চিশতী
08/01/2025

শারাবান তাহুরা পিয়াও,
দয়াল আমায় দীল ভরে
যেনো নিরত রই অনুরাগে,
ঐ রাঙা চরণ বাঞ্ছা করে।

✍️লাবিব মাহফুজ চিশতী

Address

Manikgonj
Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আপন খবর - Apon Khobor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আপন খবর - Apon Khobor:

Videos

Share

Category

লাবিব মাহফুজ এর অফিসিয়াল পেজ “সুফি বাংলা”

সুফি বাংলা ফেসবুক পেজের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

পেজটি এস বি এ্যালায়েন্স তথা সুফি বাংলা ব্লগ, সুফি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র, সুফি মন্দির, সহ লাবিব মাহফুজের সকল লেখালেখির প্রকাশনা মুলক পেজ।

এস বি গ্রুপ তথা-

সুফি বাংলা