নৃ প্রকাশন

নৃ প্রকাশন publish & sell books

কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে নৃ প্রকাশন গভীরভাবে শোকাহত :প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন...
13/12/2024

কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে নৃ প্রকাশন গভীরভাবে শোকাহত :

প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত সুপার হোমের বাথরুমে পড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয় হেলাল হাফিজের। কর্তৃপক্ষ তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন।

হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি।

দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলেন সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়'র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

পাঠক পড়ে দেখুন বইটি।এক বৈঠকে পড়ে ফেলার মতো একটি বই।https://www.facebook.com/share/p/Bzn5DrucVQ7N2HNi/
17/11/2024

পাঠক পড়ে দেখুন বইটি।এক বৈঠকে পড়ে ফেলার মতো একটি বই।

https://www.facebook.com/share/p/Bzn5DrucVQ7N2HNi/

মুহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলামের থ্রিলার উপন্যাস রিমান্ড এর রিভিউ করেছেন উম্মে হাবিবা আক্তার রিমু।বইটির লিখিত রিভিউ ...

আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, নৃ প্রকাশন এর উদ্যোগে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫ এ প্রকাশের লক্ষ্যে একটি গল্প সংকলন করার স...
16/11/2024

আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, নৃ প্রকাশন এর উদ্যোগে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫ এ প্রকাশের লক্ষ্যে একটি গল্প সংকলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শুরুতেই বলে রাখছি, সংকলনটি করা হবে লেখকদের সরাসরি অংশগ্রহণে ও নির্বাচিত লেখকদের অর্থায়নে।

আমরা আপনাদের সকলের কাছে লেখা আহবান করছি। শেষ সময়ের জন্যে অপেক্ষা না করে আজই পাঠিয়ে দিন আপনার সেরা গল্পটি।

সাধারণ নিয়মাবলী:

১।আপনার পছন্দনীয় ১ টি অপ্রকাশিত গল্প জমা দিন।

২। গল্প ১,৪০০ শব্দের বেশি হতে পারবে না। ( ৩ পৃষ্ঠার মধ্যে )

৩। আপনার পছন্দনীয় যেকোনো বিষয়ের উপর গল্প জমা দিতে পারবেন।

৪। লেখা নির্বাচিত হলে ১,৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত মাত্র) টাকা জমা দিতে হবে। বিকাশের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হবে।
বিকাশ নাম্বার
০১৮৩০১৬৬২০৪
০১৭৬৬৬৯৯৫০৩

৫। প্রত্যেক লেখক ২ কপি করে বই পাবেন।

৬। লেখা পাঠানো যাবে
০১৮৩০১৬৬২০৪ এবং ০১৭৬৬৬৯৯৫০৩ হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে।[email protected] এবং [email protected] ইমেইল নাম্বারেও পাঠাতে পারেন।

৭/ দেশ ও আইন বিরোধী, অপ্রয়োজনীয় বাংলা ও ইংরেজির মিশেল এবং অশ্লীল শব্দের লেখা বাতিল হলে গণ্য হবে।

৮। লেখা জমা দেয়ার শেষ তারিখ; ৩০ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।

৯। গল্পের সাথে লেখকের নাম, লেখকের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং লেখকের মুঠোফোন নাম্বার অবশ্যই দিতে হবে। লেখা পাঠানোর আগে এই তথ্যগুলো দেয়া আছে কি না তা চেক করার অনুরোধ থাকলো।

কারও কাছে নিয়মগুলো বুঝতে সমস্যা হলে যে কোন প্রশ্ন করুন এখানেই অথবা সরাসরি কথা বলুন এই নাম্বারগুলোতে
০১৮৩০১৬৬২০৪ বা ০১৭৬৬৬৯৯৫০৩।
দ্রুততম সময়ে আমরা উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

হাসান মনি
ফয়জুস সালেহীন

পাঠক সংগ্রহে রাখতে পারেন ভিন্ন স্বাদের কবিতার বইটি।https://www.facebook.com/share/p/RRVhAmJCzJeG3NQP/
16/11/2024

পাঠক সংগ্রহে রাখতে পারেন ভিন্ন স্বাদের কবিতার বইটি।

https://www.facebook.com/share/p/RRVhAmJCzJeG3NQP/

আহমেদ শরীফের কবিতার বই তোমার জন্য জ্ঞানকাব্য'র রিভিউ করেছেন উম্মে হাবিবা আক্তার রিমু।বইটির লিখিত রিভিউ পড়ুন: https:...

নৃ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে মুহাম্মদ রাগিব নিযামের থ্রিলার গল্পের বই ' এক ডজন ভয়'।আজ লেখকের জন্মদিন।নৃ প্রকাশনের...
19/01/2024

নৃ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে মুহাম্মদ রাগিব নিযামের থ্রিলার গল্পের বই ' এক ডজন ভয়'।আজ লেখকের জন্মদিন।নৃ প্রকাশনের পক্ষ থেকে লেখকের জন্য লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।

"অধরা স্বপ্ন”লেখক কারিমুন নাহারের প্রথম গল্পগ্রন্থ। দশটি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের গল্প রয়েছে এখানে। তার গল্পগুলো ভালোবাসা ও জ...
08/01/2024

"অধরা স্বপ্ন”লেখক কারিমুন নাহারের প্রথম গল্পগ্রন্থ। দশটি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের গল্প রয়েছে এখানে। তার গল্পগুলো ভালোবাসা ও জীবন বাস্তবতায় সমৃদ্ধ। গল্পগুলোতে নিটোল নিবিড় প্রেম যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে জীবনের কিছু কঠিন বাস্তবতা। তাই গল্পগুলোকে জীবনমুখী গল্পও বলা যায়।

গল্পে মুলত থাকতে হয় শৈল্পিক বর্ণনার চুম্বক আকর্ষণ। গল্পকার মনলোভা পেলবীয় শব্দ অলংকার দিয়ে তার গল্প সাজাবেন তার প্রিয় পাঠকের জন্যে। গল্পে সত্যিকার গল্প থাকতে হবে, অনেকেই গল্প লিখেন কিন্তু গল্প খু্ঁজে পাওয়া যায় না, এ বিষয়ে নবীন লেখিকা ' কারিমুন নাহার ' শতভাগ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে। উনার লিখায় চুম্বক আকর্ষণ বিদ্যমান। প্রিয় পাঠক একদমে না পড়ে উঠবেই না -এ কথা জোড় গলায় বলা যায়।

মানুষের জীবনের স্বপ্নগুলো বেশিরভাগ সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে, অথচ মানুষ সেই অধরা স্বপ্নকে ছোঁয়ার জন্যে প্রাণপন প্রচেষ্টায় লিপ্ত থাকে অবিরত। বইটির কিছু গল্পেও এই স্বপ্নছোঁয়ার আকুতি পরিলিক্ষত হয়, অথচ তা থেকে যায় অধরা। তাই বলা যায় বইয়ের নাম “অধরা স্বপ্ন” যথার্থ ও স্বার্থক হয়েছে।

বইটির সবগুলো গল্পই পাঠকের হৃদয় ছুঁবে । আশা করি সব ধবনের পাঠকদেরই তা ভালো লাগবে, এবং আমার বিশ্বাস বইটি ব্যাপক পাঠক প্রিয়তা পাবে।

প্রকাশক।

আজ ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ,নাট্যকার,সাহিত্য সমালোচক ও বুদ্ধিজীবী  মুনীর চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী:মুনীর ...
14/12/2023

আজ ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ,নাট্যকার,সাহিত্য সমালোচক ও বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী:

মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী। পুরো নাম আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী। ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে তাঁর জন্ম। তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলায়।
পিতা খানবাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী ছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। ১৯৪১ সালে মুনীর চৌধুরী ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। তারপর আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে বিএ অনার্স (১৯৪৬) ও এমএ (১৯৪৭) পাস করেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলায় এবং ১৯৫৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাতত্ত্বে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

মুনীর চৌধুরী খুলনার ব্রজলাল কলেজে (বিএল কলেজ) অধ্যাপনার (১৯৪৭-৫০) মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ঢাকার জগন্নাথ কলেজ (১৯৫০) এবং শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ও বাংলা বিভাগে (১৯৫০-৭১) অধ্যাপনা করেন।

কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৪৭ সালে তিনি খুলনার ব্রজলাল কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। তিনি শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির হত্যাকাণ্ড এবং পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২৩ ফেব্রুয়ারির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সভায় তীব্র ভাষায় বক্তব্য দেন। এ কারণে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তাঁকে কারাবন্দি করে। ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি জেলে থাকেন এবং বন্দি অবস্থায়ই তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক ‘কবর’ (১৯৫৩) রচনা করেন।

তাঁর রচিত নাটকের মধ্যে ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ (১৯৬২), ‘চিঠি’ (১৯৬৬), ‘কবর’ (১৯৫৩), ‘দণ্ডকারণ্য’ (১৯৬৬), ‘পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য’ (১৯৬৯) উল্লেখযোগ্য। তিনি ‘কেউ কিছু বলতে পারে না’ (১৯৬৯), ‘রূপার কৌটা’ (১৯৬৯), মুখরা রমণী বশীকরণ’সহ (১৯৭০) বেশ কিছু অনুবাদ নাটক লিখেছেন।

এ ছাড়া ‘ড্রাইডেন ও ডিএল রায়’ (১৯৬৩), ‘মীর মানস’ (১৯৬৫), ‘বাংলা গদ্যরীতি’ (১৯৭০) প্রভৃতি প্রবন্ধও লিখেছেন।

তিনি ১৯৬৫ সালে ‘মুনীর অপটিমা’ নামে বাংলা টাইপ রাইটারের কি-বোর্ড (১৯৬৫) উদ্ভাবন করেন।

গুণী মানুষটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগীদের দ্বারা অপহৃত ও নিহত হন।

আজ ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ,প্রাবন্ধিক ও অনু্বাদক কবীর চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী:কবীর চৌধুরী ছিলেন বাংলাদ...
13/12/2023

আজ ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ,প্রাবন্ধিক ও অনু্বাদক কবীর চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী:

কবীর চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। তাঁর পুরো নাম আবুল কালাম মোহাম্মদ কবীর। তিনি ১৯২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার গোপাইরবাগ গ্রামের মুন্সী বাড়ি।

পিতা খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী এবং মা আফিয়া বেগম।
কবীর চৌধুরী ১৯৩৮ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রবেশিকা এবং ১৯৪০ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। তিনি উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ ও বৃত্তি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (সম্মান) ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর ১৯৫৭-৫৮ সালে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকান সাহিত্য বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।

সরকারি চাকরি দিয়ে কবীর চৌধুরী কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে জাতীয় অধ্যাপক পদ লাভ করেন।

এ ছাড়া বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।

কবীর চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম বহুমুখী, বস্তুনিষ্ঠ ও অসাধারণ। তাঁর রচিত, সম্পাদিত ও অনূদিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে : গবেষণা-প্রবন্ধ : ‘ইউরোপের দশ নাট্যকার’, ‘শেক্সপীয়র ও তাঁর মানুষেরা’, ‘শেক্সপীয়র ও গ্লোব থিয়েটার’, ‘অভিব্যক্তিবাদী নাটক’; আত্মজীবনী : ‘আমার ছোটবেলা’, অনুবাদগ্রন্থ : ‘রূপকথার কাহিনী’, ‘ব্ল্যাক টিউলিপ’, ‘কাউন্ট অব মন্টিক্রিস্টো’, ‘শেখভের গল্প’, ‘সমুদ্রের স্বাদ’, ‘গ্রেট গ্যাটসবি’, ‘দি গ্রেপস অব র‌্যাথ’; নাটক (অনুবাদ ও রূপান্তর) : ‘আহবান’, ‘শত্রু’, ‘পাঁচটি একাঙ্কিকা’, ‘অচেনা’, ‘শহীদের প্রতীক্ষায়’; কাব্যানুবাদ : ‘ভাৎসারোভের কবিতা’, ‘আধুনিক বুলগেরিয়ার কবিতা’, ‘রিস্তো বোতেভর কবিতা’ প্রভৃতি।

সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ করেন।

এ ছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরস্কার, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন কবীর চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে তাঁর জানাজা শেষে গার্ড অব অনারসহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্তানে দাফন করা হয়।

আজ ১২ ডিসেম্বর ভিক্টোরিয়ান যুগের বিখ্যাত ইংরেজ কবি ও নাট্যকার রবার্ট ব্রাউনিং এর মৃত্যুবার্ষিকী: রবার্ট ব্রাউনিং ৭ মে ১৮...
12/12/2023

আজ ১২ ডিসেম্বর ভিক্টোরিয়ান যুগের বিখ্যাত ইংরেজ কবি ও নাট্যকার রবার্ট ব্রাউনিং এর মৃত্যুবার্ষিকী:

রবার্ট ব্রাউনিং ৭ মে ১৮১২ সনের ৭ মে তারিখে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ কবি ও নাট্যকার। তিনি ভিক্টোরিয়ান যুগের একজন প্রসিদ্ধ কাব্য-নাট্যকার ছিলেন। তার কবিতা বিদ্রূপ, চরিত্রায়ণ, হাস্যরস, সামাজিক ভাষ্য, ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনা ইত্যাদি কারণে জনপ্রিয় ছিল। তার বেশিরভাগ কাব্যে গল্পকার হিসাবে একজন বাদক বা চিত্রকরকে দেখা যায়। মূলত রূপক হিসাবে এই চরিত্রগুলো তিনি তার লেখায় ব্যবহার করেছেন।

শৈশব

রবার্ট ব্রাউনিং এর মা ছিলেন একজন পিয়ানোবাদক। তার পিতা ছিলেন একজন ব্যাংক কর্মচারী। তিনি একাধারে একজন শিল্পী, পণ্ডিত ও প্রত্নতাত্ত্বিক হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। তার প্রাচীন ও দুষ্প্রাপ্য চিত্র ও বই এর এক বিশাল সংগ্রহ ছিল। তিনি ল্যাটিন, ফ্রেঞ্চ, গ্রিক, হিব্রু ও ইতালীয় ভাষায় লেখা প্রায় ছয় হাজারেরও বেশি বই এর এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছিলেন। ব্রাউনিং এর শিক্ষার একটি বড় অংশই এসেছিল তার পিতার কাছ থেকে। স্কুলের বাঁধাধরা নিয়ম কানুন তিনি পছন্দ করতেন না। তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব মনোযোগী ছাত্র ছিলেন। ধারণা করা হয় যে, মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই তিনি লিখতে ও পড়তে পারতেন।

সাহিত্য জীবন

ব্রাউনিং এর সাহিত্যজীবনের শুরুটা খুব সফল হলেও তিনি সেই সফলতা খুব বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। তার লেখা প্রথম দীর্ঘ কবিতা পলিন (Pauline) দান্তে গ্রাবিয়েল রসেটির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এর পরের কবিতা প্যারাসেলসাস (Paracelsus) ওয়ারর্ডসওয়ার্থ ও ডিকেন্স কর্তৃক প্রশংসিত হয়। কিন্তু ১৮৪০ সালে তার লিখিত দুর্বোধ্য কাব্য সরডেলো (Sordello) কোন জনপ্রিয়তা পায়নি। ১৮৪৬ সালে ব্রাউনিং আর একজন ইংরেজ কবি এলিজাবেথ ব্যারেটকে বিয়ে করেন। সেই সময়ে এলিজাবেথ তার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। বিয়ের পর তারা ইতালি চলে যান। সেখানে ১৯৪৯ সালে রবার্ট পেন ব্রাউন নামে তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ১৮৬১ সালে এলিজাবেথা মারা যান। এরপর রবার্ট ব্রাউনিং তার ছেলেকে নিয়ে লন্ডনে ফিরে আসেন।

তার উল্লেখযোগ্য লেখাগুলো হল,

Asolando: Fancies and Facts (1889)

Christmas-Eve and Easter-Day (1850)

Complete Poetic and Dramatic Works of Robert Browning (1895)

Dramatic Idyls (1879)

Dramatic Idyls: Second Series (1880)

Ferishtah’s Fancies (1884)

Jocoseria (1883)

La Saisiaz, and The Two Poets of Croisicv (1878)

Men and Women (1855)

New Poems by Robert Browning and Elizabeth Barrett Browning (1914)

Pacchiarotto and How He Worked in Distemper, with Other Poems (1876)

Paracelsus (1835)

Parleyings with Certain People of Importance in Their Day (1887)

Pauline: A Fragment of a Confession (1833)

Red Cotton Night-Cap Country; or, Turf and Towers (1873)

Sordell (1840)

The Brownings to the Tennysons (1971)

The Inn Album (1875)

The Ring and the Book (1868)

Two Poems (1854)

রবার্ট ব্রাউনিং লিখিত গদ্যসাহিত্যের মধ্যে অন্যতম,

Browning to His American Friends (1965)

Dearest Isa: Browning’s Letters to Isa Blagden (1951)

Learned Lady: Letters from Robert Browning to Mrs. Thomas FitzGerald 1876-1889 (1966)

Letters of Robert Browning Collected by Thomas J. Wise (1933)

New Letters of Robert Browning (1950)

Robert Browning and Julia Wedgwood: A Broken Friendship as Revealed in Their Letters (1937)

The Letters of Robert Browning and Elizabeth Barrett, 1845-1846 (1969)

Thomas Jones, The Divine Order: Sermons (1884)

রচিত বিখ্যাত নাটক,

Aristophanes’ Apology (1875)

Balaustion’s Adventure, Including a Transcript from Euripides (1871)

Bells and Pomegranates, No. IV - The Return of the Druses: A Tragedy in Five Acts (1943)

Bells and Pomegranates. No. I - Pippa Passes (1841)

Bells and Pomegranates. No. II - King Victor and King Charles (1842)

Bells and Pomegranates. No. III - Dramatic Lyrics (1842)

Bells and Pomegranates. No. V - A Blot in the ‘Scutcheon: A Tragedy in Five Acts (1843)

মৃত্যু

১২ ডিসেম্বর ১৮৮৯ সালে ইতালির ভেনিসে তার পুত্রের বাড়িতে রবার্ট ব্রাউনিং মারা যান। ওয়েস্ট মিনিস্টার এ্যবের পোয়েটস কর্নারে তার সমাধি আছে। সেখানে তিনি শায়িত আছেন আর এক বিখ্যাত ইংরেজ কবি লর্ড টেনিসনের পাশে।

আজ ১১ ডিসেম্বর রবীন্দ্রপরবর্তী বাংলা কথাসাহিত্যের ইতিহাসে অন্যতম একজন কথাসাহিত্যিক সমরেশ বসু'র জন্মদিন:কথাসাহিত্যিক সমরে...
11/12/2023

আজ ১১ ডিসেম্বর রবীন্দ্রপরবর্তী বাংলা কথাসাহিত্যের ইতিহাসে অন্যতম একজন কথাসাহিত্যিক সমরেশ বসু'র জন্মদিন:

কথাসাহিত্যিক সমরেশ বসু ১৯২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ঢাকা জেলার মুন্সিগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত রাজনগর গ্রামে পৈতৃক বাস্তু ভিটায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম মোহিনী মোহন বসু। মায়ের নাম শৈবলিণী বসু।সমরেশ বসুর জন্মের সময় বাবার এক মাসিমা সদ্যজাত সমরেশকে দেখতে এসে বলেছিলেন, ‘এযে তড়বড় কইরা আইয়া পড়ল’। এতেই ডাক নাম দাঁড়াল ‘তড়বড়ি’। পরে উচ্চারণ পরিবর্তে তরবরি। বাবার দেওয়া নাম ‘সুরথনাথ’। সমরেশ বসুর শৈশব কাটে বাংলাদেশের বিক্রমপুরে আর কৈশোর কাটে কলকাতার উপকণ্ঠ নৈহাটিতে। বিচিত্র সব অভিজ্ঞতায় তার জীবন ছিল পরিপূর্ণ। এক সময় মাথায় ফেরি করে ডিম বেচতেন। ১৯৪৩-৪৯ সাল পর্যন্ত ইছাপুরের কামান ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। প্রবল দারিদ্র্যের মধ্যেও লেখালেখিই ছিল তাঁর একমাত্র পেশা। নিজ আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি তিনি। এক সময় ট্রেড ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টি অবৈধ ঘোষিত হলে ১৯৪৯-৫০ সালে তাকে জেল খাটতে হয়েছিল। জেলে অবস্থানকালে তিনি প্রথম উপন্যাস ‘উত্তরঙ্গ’ লিখেন। মুক্ত হয়ে সমরেশ বসু লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেন। ২১ বছর বয়সে উপন্যাস ‘নয়নপুরের মাটি’ লিখেন। তার প্রথম ছোটগল্প ‘আদাব’।
সমরেশ বসু জীবনকে যেমন বহুভাবে বহু দিক থেকে দেখেছেন, তেমনি সাহিত্যকেও সমৃদ্ধ করেছেন সেভাবে। 'সাহিত্যের যা কিছু দায় সে তো জীবনের কাছেই'-এই ছিল সমরেশ বসুর কথা। তাঁর বই যে খুব বেশি বিক্রি হতো তা নয়। খুব যে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি এমনও বলা যাবে না। তবু কয়েক দশক ধরে সিংহের মতোই তিনি বিচরণ করেছেন সাহিত্যের অঙ্গণে। সমরেশ বসু নিজ নামে এবং কালকূট ছদ্মনামে ২০০ ছোটগল্প এবং ১০০ উপন্যাস রচনা করেন। তার প্রকাশিত গল্প ও উপন্যাস সমূহঃ উত্তরঙ্গ, গঙ্গা, বিবর, প্রজাপতি, দেখি নাই ফিরে, সওদাগর, কোথায় পাবো তারে, নয়নপুরের মাটি, বাঘিনী, চলো মন রুপনগরে, পাতক, মুক্তবেণীর উজানে, টানাপোড়েন, স্বীকারোক্তি, অপদার্থ, সুচাঁদের স্বদেশযাত্রা, যুগ যুগ জীয়ে, মহাকালের রথের ঘোড়া, শেকল ছেঁড়া হাতের খোঁজে, বাঘিনী, বিপর্যস্ত, শাম্ব, বিটি রোডের ধারে, শ্রীমতি কাফে, অবশেষে, আম মাহাতো, কামনা বাসনা, কে নেবে মোরে, খন্ডিতা, গোগোল চিক্কুস নাগাল্যান্ড, ছায়া ঢাকা মন, জঙ্গল মহলের গোগোল, জবাব, তিন পুরুষ, দাহ, নাটের গুরু, নিঠুর দরদী, পথিক, প্রাণ প্রতিমা, বাঘিনী, বিদেশী গাড়িতে বিপদ, ভানুমতী ও ভানুমতীর নবরঙ্গ, মহাকালের রথের ঘোড়া, রক্তিম বসন্ত, শিমুলগড়ের খুনে ভূত, সেই গাড়ির খোঁজে, স্বর্ণচঞ্চু, হৃদয়ের মুখ ইত্যাদি।
বাংলা কথাসাহিত্যে সমরেশ বসুর তুলনা সমরেশ বসুই। " গঙ্গা " সমরেশ বসু রচিত শ্রেষ্ঠ রচনাগুলির অন্যতম একটি ধ্রুপদী বাংলা উপন্যাস। আর্থ-সামাজিক কাহিনির সঙ্গে প্রচুর উপকথা-মিথের ব্যবহার এই উপন্যাসকে বিশিষ্টতা দান করেছে। এই উপন্যাসটি লেখক তথা বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা বলে বিবেচিত হয়। দেশ পত্রিকার বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ২৪টি বাংলা উপন্যাসের তালিকাতেও স্থান পায় গঙ্গা। ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত নদীকেন্দ্রিক এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য বিষয় দক্ষিণবঙ্গ, বিশেষত অবিভক্ত ২৪ পরগনা জেলার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের (মাছমারা) জীবনসংগ্রামের কাহিনি।

বিচিত্র বিষয় এবং আঙ্গিকে নিত্য ও আমৃত্যু ক্রিয়াশীল ক্ষণজন্মা লেখক সমরেশ বসু ১৯৮৮ সালের ১২ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। লেখক হিসেবে সমরেশ আমৃত্যু যে লড়াই করেছেন তার কোনো তুলনা নেই। মৃত্যুকালেও তার লেখার টেবিলে ছিল ১০ বছরের অমানুষিক শ্রমের অসমাপ্ত ফসল শিল্পী রামকিংকর বেইজের জীবনী অবলম্বনে উপন্যাস ‘দেখি নাই ফিরে ’। সমরেশ বসুর নিজের জীবনই আরেক মহাকাব্যিক উপন্যাস। প্রায় ৫ লাখ শব্দের 'চিরসখা' নামের বিশাল উপন্যাসে সেই লড়াইকে স্মরণীয় করে রেখেছেন তারই পুত্র নবকুমার বসু।

আজ ১০ ডিসেম্বর বিখ্যাত মার্কিন কবি এমিলি ডিকিনসন যিনি নির্জনতার কবি হিসাবে পরিচিত তাঁর জন্মদিন: আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ...
09/12/2023

আজ ১০ ডিসেম্বর বিখ্যাত মার্কিন কবি এমিলি ডিকিনসন যিনি নির্জনতার কবি হিসাবে পরিচিত তাঁর জন্মদিন:

আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের আমহার্স্ট নামক একটি ছোটো শহরে ১৮৩০ সালের ১০ ডিসেম্বর এমিলি
ডিকিনসন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আইনজীবী পিতা এডওয়ার্ড
ডিকিনসন ছিলেন একজন নামকরা
কংগ্রেস সদস্য এবং আমহার্স্ট কলেজের কোষাধ্যক্ষ ও ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম
সদস্য। তাঁর পিতা কর্তব্যকর্মে ছিলেন খুবই
সচেতন, আমহার্স্ট শহরের একজন প্রধানব্যক্তি ছিলেন তিনি।তিনি তাঁর কাজকর্মে কখনোই
ভাবাবেগকে প্রশ্রয় দিতেন না।এমিলির প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় নিজ
গৃহে।প্রায় এক বছরকাল তিনি নিজ গৃহেই
শিক্ষা গ্রহণ করেন।মাউন্ট হলিয়ক ফিমেল সেকেন্ডারি
বিদ্যালয়টি তাদের বাড়ি থেকে ছিল প্রায় দশ মাইল দূরে। এমিলি মাউন্ট হলিয়ক ফিমেল
সেকেন্ডারিতে ভর্তি হলেন, কিন্তু
বিদ্যালয়ের কঠোর নিয়মানুবর্তিতা তার সহ্য হলো না, তিনি বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়
ত্যাগ করলেন। এমিলি ছিলেন খোলামেলা মনের মানুষ। বিদ্যালয়ের এতো এতো নিয়মকানুনের
সাথে তিনি নিজেকে মানাতে পারেননি। আমহার্স্টে ফিরে এলেন ডিকিনসন। জানা যায় যে, তিনি তাঁর পিতার
শিক্ষানবিশী বেন নিউটন নামের এক
যুবার প্রেমে পড়েন।সে যুবকটি এমিলিদের গৃহেই থাকত।
বেন নিউটনের প্রতি এমিলি আকৃষ্ট হন যে কারণে তা হলো, যুবকটি শিল্প সাহিত্যের অনুরাগী ছিল। এমিলির বাবা যুবকটির বিয়ের প্রস্তাব
মেনে নেননি, কারণ বেন নিউটন ছিলেন খুবই দরিদ্র। এর পাঁচ বছর পরেই বেন নিউটন ক্ষয় রোগে মারা যান। ১৮৫৪ সালে এমিলি নিউ ইয়র্কে গেলেন তাঁর পিতার সাথে সাক্ষাৎ করতে। ফিলাডেলফিয়াতে এমিলির সাথে চার্লস ওয়ার্ডসওয়ার্থ নামক এক যুবকের সাথে সাক্ষাৎ হয়। জনশ্রুতি অনুযায়ী এমিলি তার প্রেমে
পড়েন এবং বিয়ে করেন।

এমিলির মাঝে শিল্প সাহিত্যের স্পৃহা
জাগ্রত হয় ছেলেবেলা থেকেই। তার পিতার ছাত্র বেন নিউটন এটিকে
আরো অনেক দূর পর্যন্ত অগ্রসর করে
দেয়। পরবর্তীতে চার্লস ওয়ার্ডওয়ার্থকে বিয়ে
করলেও বেনের স্মৃতিকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারেননি এমিলি। সর্বদা একটা বেদনা বোধ ভেতরে ভেতরে কাজ করেছে তার মধ্যে। প্রচুর কবিতা লিখেছেন তিনি। প্রকৃতির ছোটোখাটো বিষয় আর সাধারণ ঘটনাকে অবলম্বন করে। তাঁর কবিতাগুলোতে মধুর এক গীতিধর্মিতা সর্বদা খেলা করে। সাধারণ চোখে দেখা একটি বিষয়কেও তিনি অসাধারণত্ব দান করেছেন।
১৮৬২ সালে এমিলি ডিকিনসনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সময়, এ সময় কম করে হলেও তার ৩৬২টি কবিতা লেখা হয়। ১৮৬১ থেকে ১৮৬৪ সালের মধ্যে এমিলি প্রায় সাতশত পঞ্চাশটি কবিতা রচনা করেন। এমিলির কবিতাগুলোতে তার একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তাচেতনার স্ফুরণ ঘটেছে। ছোটো ছোটো কবিতাগুলোতে তার নিজস্ব জগতের ছায়াপাত ঘটেছে। সাধারণ একটি বিষয়কে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিমার দ্বারা অসাধারণত্বের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
সবচেয়ে অবাক ব্যাপার এই যে, এবং যেটি আজও আমাদের ভাবায় তা হলো, এমিলি তার জীবনকালে তার কোনো কবিতা প্রকাশ করেননি। ১৯২০ সালের পূর্বে তিনি অজ্ঞাত ছিলেন বলা যায়। ১৯২৪ সালে মার্থা বিয়ামচি এমিলির কবিতাগুলো থেকে বেশ কিছু কবিতা বাছাই করে একটি নির্বাচিত কবিতার সংকলন প্রকাশ করেন। ১৯৪৫ সালে এমিলির প্রতিবেশী মিসেস মার্বেল টড ও তার কন্যা মিলিসেন্ট টড ‘বোল্ট অব মেলোডি’ নামে ছয়শত আটষট্টিটি কবিতা নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করেন। জানা যায়, এমিলির জীবিত অবস্থায় কী করে যেন হঠাৎ করে সাতটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর ছোটো ছোটো গীতিধর্মী কবিতাগুলো বিশ শতকের কবিতার প্রবহমান ধারায় যেন হাজারো নক্ষত্রের মতোই দীপ্যমান।১৮৮৬ সালে তিনি আমহার্স্টেই মৃত্যুবরন করেন

আজ ৯ ডিসেম্বর বাংলার নারী আন্দোলনের অগ্রদূত, লেখিকা, শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর জন্ম ও মৃত্যু...
09/12/2023

আজ ৯ ডিসেম্বর বাংলার নারী আন্দোলনের অগ্রদূত, লেখিকা, শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী:

বেগম রোকেয়া ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর বর্তমান বাংলাদেশের রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল জহীরুদ্দিন আবু আলী হায়দার সাবের, মাতার নাম রাহাতুন্নেসা চৌধুরী। রোকেয়া জন্মসূত্রে বাঙালি ছিলেন না, ছিলেন হিন্দুস্থানি, কারণ, তাঁর মাতৃভাষা ছিল উর্দু।
বেগম রোকেয়া যে সময়টায় জন্মগ্রহণ করেন, তখন অবিভক্ত বাংলাদেশের হিন্দু ও মুসলিম সমাজে পর্দাপ্রথা প্রচলিত ছিল। তবে রামমোহন-বিদ্যাসাগরের সৌজন্যে হিন্দু ও ব্রাহ্ম সমাজের মেয়েরা তখন লেখাপড়া শিখতে শুরু করেছেন, স্থাপিত হয়ে চলেছে বালিকা বিদ্যালয়। অন্যদিকে রোকেয়ার জন্মের অব্যবহিত পরেই পূর্ববাংলার ‘ঢাকা সুহৃদ সম্মিলনী’ নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এই উদ্যোগের ফলশ্রুতিতেই এই সময় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অন্তঃপুর নারীশিক্ষাপ্রণালীর প্রবর্তন হয় মুসলিম মহিলাদের জন্য ।
রোকেয়ার পিতা ছিলেন অভিজাত সাবের বংশের সন্তান। আরবি ও ফারসি ভাষায় অত্যন্ত সুপণ্ডিত এই ব্যক্তি ছিলেন অত্যন্ত কুসংস্কারাচ্ছন্ন। তাই রোকেয়ার লেখাপড়া শেখা নিষিদ্ধ ছিল। তবে, ইসলাম ধর্মের ভাষা আরবি এবং খানদানি ভাষা ফারসি এবং মাতৃভাষা উর্দু শেখার ব্যাপারে তাঁর কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও বাংলা ও ইংরেজি শেখার ব্যাপারে তাঁর আপত্তি ছিল। সাবের পরিবারের মেয়েরা টিয়াপাখির মতো কোরান শরিফই পড়তে পারত । তাই, গভীর রাতে বড়দা ইব্রাহিম এবং বড়দি করিমুন্নেসার কাছে বাংলা, ইংরেজি এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাঠ নিয়েছেন দিনের পর দিন বেগম রোকেয়া।
ষোলো বছর বয়সে বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয় তাঁর দ্বিগুণ বয়সি, এক কন্যাসন্তানের পিতা, বিপত্নীক সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। তবে, বিহারের ভাগলপুরের মানুষ সাখাওয়াত ছিলেন বিঃ, এমআরএসি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। ওড়িশার কণিকা স্টেটের তৎকালীন ম্যানেজারও ছিলেন তিনি। বিয়ের পর অবশ্য সাখাওয়াতের প্রথম পক্ষের কন্যা সৎ-মাকে কোনোদিনই মেনে নিতে পারেননি। পরবর্তীকালে রোকেয়া দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেও তাদের অকালমৃত্যু ঘটে। তবে স্বামী সাখাওয়াত অবশ্য বিদুষী স্ত্রী রোকেয়াকে তাঁর মর্মসহচরী করে নিয়েছিলেন। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে তাকে পারদর্শী করে তোলেন সাখাওয়াত। স্বামীর উৎসাহেই লেখালেখি শুরু করেন রোকেয়া । তাঁর লেখা উপন্যাস Sultana’s Dream ছাপাও হয় পত্রিকায়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে রোকেয়া মাত্র ঊনত্রিশ বছর বয়সে বিধবা হন ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে ।
ঊনত্রিশ বছরের সুন্দরী, বিদুষী বিধবা রোকেয়া এবার তাঁর একাকী জীবনটাকে বইয়ে দিলেন মুসলিম নারীসমাজের উন্নতিকল্পে। মুসলিম নারীদের সংঘবদ্ধ করতে, তাদের শিক্ষিত ও সচেতন করতে জীবনপণ করলেন তিনি। তাঁর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যেই লেখনী ধারণ করেন তিনি।

রোকেয়ার লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল মতিচুর প্রথম খন্ড (১৯০৫) [ প্রবন্ধ সংকলন], মতিচুর দ্বিতীয় খন্ড (১৯২১) [প্রবন্ধ সংকলন]। মতিচুর গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে অবশ্য লেখিকার ইংরেজি উপন্যাস Sultana’s Dream-এর বঙ্গানুবাদ সুলতানার স্বপ্ন এবং ডেলিশিয়া হত্যা নামক এক অনুবাদ- আখ্যানও প্রকাশিত হয়। নারীমুক্তি ও নারীজাগরণের দোসরহীন উপন্যাস হল সুলতানার স্বপ্ন। এ ছাড়াও পদ্মরাগ উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ অবরোধবাসিনী এবং পুস্তকাকারে অপ্রকাশিত অসংখ্য প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প লিখেছেন লেখিকা। রোকেয়া রচনাবলির ভূমিকায় আবদুল কাদির যথার্থই বলেছেন―“মুখ্যত উদ্দেশ্যমূলক ও শিক্ষাত্মক হলেও শিল্পবিচারেও প্রায়শ রসোত্তীর্ণ।”
সাহিত্যিক হিসেবে যতটা, তারচেয়েও বেশি সমাজ-সংস্কারক হিসেবে রোকেয়া স্মরণীয়। বিধবা হওয়ার পর কলকাতায় এসে রোকেয়া তাঁর স্বামীর সহায়তা শূন্য টাকা দিয়ে গড়ে তোলেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল (১৯১১ সালে) এবং রুমে রুমে স্কুলটিকে প্রথম শ্রেণির বালিকা বিদ্যালয়ে পরিণত করেন। এরপর বঙ্গদেশের মুসলিম নারীদের মধ্যে শিক্ষা, স্বাবলম্বন এবং বিজ্ঞানমনস্কতার আলো ছড়িয়ে দিতে স্থাপন করেন ‘আঞ্জুমন-ই- খাওয়াতীনে ইসলাম” বা “নিখিলবঙ্গ মুসলিম মহিলা সমিতি’ (১৯১৬ সাল)।

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর, মাত্র তিপ্পান্ন বছর বয়সে রোকেয়া আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও বঙ্গদেশের মুসলিম নারীজগতের শিক্ষা-বিস্তার এবং সমাজ-সংস্কারের ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাল্টে করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া তাঁর পৈতৃক ভিটেয় তৈরি হয়েছে বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র।

আজ ৮ ডিসেম্বর প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক আ.ন.ম. বজলুর রশীদের মৃত্যুবার্ষিকী: পুরো নাম আবু নয়ীম মুহম্মদ বজলুর রশীদ। ...
08/12/2023

আজ ৮ ডিসেম্বর প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক আ.ন.ম. বজলুর রশীদের মৃত্যুবার্ষিকী:

পুরো নাম আবু নয়ীম মুহম্মদ বজলুর রশীদ। ১৯১১ সালের ৮ মে ফরিদপুর শহরে তাঁর জন্ম। পিতা হারুন-অর-রশীদ ছিলেন আইনজীবী।

বজলুর রশীদ ফরিদপুর জি.টি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তারপর তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯২৮), রাজেন্দ্র কলেজ থেকে আইএ (১৯৩১) ও বিএ (১৯৩৩) এবং ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিটি (১৯৩৮) পাস করেন। দীর্ঘকাল পর প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ (১৯৫৪) ডিগ্রি লাভ করেন।

বজলুর রশীদ ১৯৩৪ সালে ঢাকা সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে চাকরি করার পর ১৯৫৫ সালে তিনি ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন এবং এখান থেকেই ১৯৭২ সালে অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৩-৭৫) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (১৯৭৫-৮০) ইংরেজি বিভাগে খন্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে ছিলেন।

বজলুর রশীদ বিভিন্ন আঙ্গিকে সাহিত্যচর্চা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাবলি: কাব্য পান্থবীণা (১৯৪৭), মরুসূর্য (১৯৬০), শীতে বসন্তে (১৯৬৭), রং ও রেখা (১৯৬৯), এক ঝাঁক পাখি (১৯৬৯), মৌসুমী মন (১৯৭০), মেঘ বেহাগ (১৯৭১); নাটক ঝড়ের পাখি (১৯৫৯), উত্তরফাল্গুনী (১৯৬৪), শিলা ও শৈলী (১৯৬৭), ধানকমল (১৯৬৯), রূপান্তর (১৯৭০); ভ্রমণকাহিনী পথ বেঁধে দিল (১৯৬০), দুই সাগরের দেশে (১৯৬৭), পথ ও পৃথিবী (১৯৬৭), ওগো বিদেশিনী; উপন্যাস মনে-মনান্তরে (১৯৬২), নীল দিগন্ত (১৯৬৭); প্রবন্ধ আমাদের নবী (১৯৪৬), জীবন বিচিত্রা (১৯৬২), জীবনবাদী রবীন্দ্রনাথ (১৯৭২) প্রভৃতি। বাংলাদেশের সমাজ ও প্রকৃতি তাঁর রচনার প্রধান বিষয়। সাহিত্যিক অবদানের জন্য তিনি পাকিস্তান সরকারের তমঘা-ই-ইমতিয়াজ (১৯৬৯) উপাধি এবং বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৬) লাভ করেন। ১৯৮৬ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।

গতকাল ৭ ডিসেম্বর ছিলো ভারতীয় বাঙালি লেখক শংকরের  জন্মদিন :শংকর একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তাঁর আসল নাম মণিশংকর মুখোপাধ্যা...
08/12/2023

গতকাল ৭ ডিসেম্বর ছিলো ভারতীয় বাঙালি লেখক শংকরের জন্মদিন :

শংকর একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তাঁর আসল নাম মণিশংকর মুখোপাধ্যায়।
প্রাথমিক জীবন:
১৯৩৩ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের যশোহর জেলার বনগ্রামে তাঁর জন্ম হয়।তাঁর বাবার নাম হরিপদ মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর মায়ের নাম অভয়া মুখোপাধ্যায়। মা বাবার আটটি সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।তাঁর বাবা হরিপদ মুখোপাধ্যায় একজন উকিল ছিলেন। ১৯৪৭ সালের শুরুর দিকে তাঁর বাবার অকাল মৃত্যু ঘটে।
শিক্ষাজীবন:
শংকরের ছাত্র জীবন শুরু হয় হাওড়া জেলা স্কুলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শহর জুড়ে যখন জাপানি বোমার ভয়ে "ইভাকুয়েশন' শুরু হয়েছিল, তখন পরিবারের অন্যরা বনগ্রামে ফিরে গেলেও তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে থেকে যান হাওড়ায়। তারপর নতুন স্কুলের সন্ধানে তিনি নিজেই ব্রতী হন, ভর্তি হন বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনে।পরবর্তীতে তিনি সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ভর্তি হন কিন্তু অর্থাভাবের কারণে কলেজের মাইনে দিতে পারেননি। সে সময় কলেজের একটি সাহিত্যসভায় রম্য রচনা লিখে তিনি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের নজরে পড়েন। তখন প্রিন্সিপাল তাঁর লেখায় খুশি হয়ে তাঁর মাইনে মকুব করে দেন। তিনিই পরে শংকরকে আই এ পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
কর্মজীবন:
শংকর খুব অল্প বয়সেই উপার্জন করতে শুরু করেন।পনেরো বছর বয়সেই তিনি টুকটাক পার্ট টাইম রোজগার করতে শুরু করেন।কখনো তিনি ফেরিওয়ালা, কখনো টাইপরাইটার, ক্লিনার, কখনো প্রাইভেট টিউশনি, কখনো শিক্ষকতা অথবা জুট ব্রোকারের কনিষ্ঠ কেরানিগিরি প্রভৃতি বিভিন্ন কাজ করেছেন। সুধাংশুশেখর ভট্টাচার্য তাঁকে একটি স্কুলে অস্থায়ীভাবে মাস্টারির সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি কলকাতা হাইকোর্টের ব্যারিস্টার নোয়েল বারওয়েলের মুহুরি হিসেবে কাজে যোগ দেন। ১৯৫৩ সালে বারওয়েলের মৃত্যু হলে তিনি ডালহৌসি পাড়ায় একটি চাকরি করতে শুরু করেন। তাঁর জীবনে বার বার এক কর্ম থেকে আরেক কর্মের উৎপত্তি ঘটেছে — এক সময় তিনি দেশ পত্রিকায় জুনিয়র টাইপিস্টের সাহিত্যের নন্দনকাননে বিনা অনুমতিতে প্রবেশের দুঃসাহসও করেন। তাঁর জীবনে এক কর্ম থেকে নিরন্তর আর এক কর্মের চলচ্চিত্র একই গতিতে প্রবাহিত হয়ে চলেছে।
সাহিত্যিক জীবন:
বারওয়েলের অফিসে একটি লাইব্রেরি ছিল। সেখানে নানান ধরনের বই থাকত। বিশ্বসাহিত্যের সাথে শংকরের সেখানেই পরিচয় ঘটে। সেখান থেকেই তিনি আস্তে আস্তে সাহিত্যের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ডালহৌসি পাড়ায় চাকরির সময় থেকেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তাঁর সহকর্মীরাও এই ব্যাপারে তাঁকে খুব উৎসাহ দিতেন। তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাসের নাম "কত অজানারে', এই বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে। অল্প বয়সে এই বইটি লিখে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। এরপর তিনি তার জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে "চৌরঙ্গী' নামক উপন্যাস লিখেন। এই বইটি ১৯৬২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। চৌরঙ্গীকে বাংলা সাহিত্যের একটি ধ্রুপদী উপন্যাসও মনে করা হয়। অরুণাভ সিনহা উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। সেটি ২০০৭ সালে ভোডাফোন ক্রসওয়ার্ড বুক প্রাইজ জয় করে।এছাড়া ২০১০ সালে উপন্যাসটি ইন্ডিপেনডেন্ট ফরেন ফিকশন প্রাইজও জয় করে। "বোধোদয়' উপন্যাস প্রকাশের পর শংকরকে উৎসাহবাণী পাঠান শরবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় : "ব্রাইট বোল্ড বেপরোয়া'। কিশোর সাহিত্যে শংকরের প্রথম পদার্পণ শারদীয়া আনন্দমেলাতে "পিকলুর কলকাতা ভ্রমণ' নামক অণু উপন্যাসটি দিয়ে। পরে আবার এই লেখাটির নাম পাল্টে হয় "খারাপ লোকের খপ্পরে'। এর সঙ্গে আরও দুটি লেখা নিয়ে পড়ে "এক ব্যাগ শংকর' নামে প্রকাশিত হয়। তাঁর অনেক বই ইংরেজি ও বিভিন্ন ভাষায়ও অনুবাদ করা হয়েছে।তিনি স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়াশোনা করেন এবং তাকে নিয়েও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই লেখেন।
উপন্যাস:
১) চৌরঙ্গী (১৯৬২)
২) সীমাবদ্ধ (১৯৭১)
৩) ঘরের মধ্যে ঘর (১৯৯০)
৪) নিবেদিতা রিসার্চ ল্যাবরেটরি (১৯৯৬)
৫) তিন ভুবনের কথা
৬) খবর এখন
৭) অবসরিকা
৮) সহসা
৯) কামনা বাসনা
১০) এবিসিডি লিমিটেড
১১) পটভূমি
১২) বাংলার মেয়ে
১৩) সুখসাগর
১৪) দিবস ও যামিনী
১৫) যেতে যেতে যেতে
১৬) অনেক দূর
১৭) কাজ
১৮) মুক্তির স্বাদ
১৯) মাথার ওপর ছাদ
২০) একদিন হঠাৎ
২১) নবীনা
২২) মানসম্মান
২৩) রূপতাপস
২৪) সোনার সংসার
২৫) জন- অরণ্য
২৬) মরুভূমি
২৭) আশা-আকাঙ্ক্ষা
২৮) সুবর্ণ সুযোগ
২৯) সম্রাট ও সুন্দরী
৩০) বিত্তবাসনা
৩১) বোধোদয়
৩২) নগর নন্দিনী
৩৩) সীমন্ত সংবাদ
৩৪) স্থানীয় সংবাদ
৩৫) পদ্মপাতার জল
৩৬) একা একা একাশি (২০১৪)
যুগল উপন্যাস:
১) তনয়া (নগরনন্দিনী ও সীমান্ত সংবাদ) (১৯৭৮)
২) তীরন্দাজ (তীরন্দাজ ও লক্ষ্যভ্রষ্ট)
৩) মনজঙ্গল (মনোভূমি ও মনজঙ্গল)
ত্রয়ী উপন্যাস:
১) কথা - সাগর (কাজ, এবিসিডি লিমিটেড ও মানসম্মান)
২) কথা - মন্থন (লক্ষ্যভ্রষ্ট, মনজঙ্গল ও খবর এখন)
৩) স্বর্গ মর্ত পাতাল (জন অরণ্য, সীমাবদ্ধ ও আশা-আকাঙ্ক্ষা)
৪) জন্মভূমি (স্থানীয় সংবাদ, সুবর্ণ সুযোগ ও বোধোদয়)
শ্রীরামকৃষ্ণ - বিবেকানন্দকে নিয়ে লিখিত গ্রন্থ:
১) আহারে অনাহারে বিবেকানন্দ
২) আশ্চর্য বিবেকানন্দ
৩) অচেনা অজানা বিবেকানন্দ
৪) অবিশ্বাস্য বিবেকানন্দ
৫) আমি বিবেকানন্দ বলছি
৬) বিবেকানন্দ – পিতা বিশ্বনাথ দত্ত যে উপন্যাস লিখেছিলেন ' সুলোচনা '
৭) শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ রহস্যামৃত
৮) কথামৃতের অমৃতকথা
৯) ঠাকুর, শ্রীমা ও স্বামীজীর দশটি ঐতিহাসিক ছবি ও তার বিস্তারিত পরিচিতি।
তাঁর বিশেষ রচনা:
১) কত অজানারে (১৯৫৫)
২) গাঁয়ের যোগী সাগরপারে : অচেনা শ্রী চিন্ময়
৩) আমাদের চিনচর্চা
৪) বাঙালির বিত্তসাধনা : সাহারার ইতিকথা
৫) লক্ষ্মীর সন্ধানে
৬) বঙ্গ বসুন্ধরা
৭) চরণ ছুঁয়ে যাই (১ম)
৮) চরণ ছুঁয়ে যাই (২ য়)
৯) চরণ ছুঁয়ে যাই (৩ য়)
১০) অনেকদিন আগে
১১) এই তো সেদিন
১২) যোগ বিয়োগ গুন ভাগ
ভ্রমণ সাহিত্য:
১) এপার বাংলা ওপার বাংলা
২) যেখানে যেমন
৩) জানা দেশ অজানা কথা
৪) মানবসাগর তীরে
৫) শংকর ভ্রমণ সমগ্র (১ ম)
৬) শংকর ভ্রমণ সমগ্র (২ য়)
কথাসাহিত্য:
১) পুরোহিত দর্পণ
২) পাত্র-পাত্রী
৩) খাবার বেলায়
৪) চেনা মুখ জানা মুখ
৫) সপ্তরথী
৬) এখানে ওখানে
৭) মানচিত্র
৮) সার্থক জনম
৯) এক দুই তিন
১০) যা বলো তাই বলো
১১) এক যে ছিল
ছোটদের বই:
১) এক ব্যাগ শংকর
২) চিরকালের উপকথা
৩) গল্প হলেও সত্যি
৪) মনে পড়ে
৫) কিশোর রচনা সমগ্র
জীবনযাত্রা:
১) বাঙালির খাওয়া দাওয়া
২) রান্নাঘর, কিচেন, কিংবা রসবতী
সংকলন:
১) চলচ্চিত্রায়িত কাহিনী সংগ্রহ ছায়াছবি
২) শংকর অমনিবাস
৩) সাত দশে
৪) শংকর সারাদিন
চলচ্চিত্র:
শংকর রচিত "সীমাবদ্ধ' এবং "জন অরণ্য' নামক দুটি উপন্যাস নিয়ে সত্যজিৎ রায় দুটি সিনেমা তৈরি করেছেন। শংকরের বিখ্যাত উপন্যাস "চৌরঙ্গী' নিয়েও তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র। "চৌরঙ্গী' চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন পিনাকি ভূষণ মুখোপাধ্যায়। ১৯৬৮ সালে মুক্তি পায় এই ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র। স্বয়ং উত্তম কুমার অভিনয় করেছেন এই চলচ্চিত্রে।চৌরঙ্গী উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র স্যাটা বোসের চরিত্রে অভিনয় করেন এই মহানায়ক।
সম্মাননা:
১) ২০১৬ সালে তিনি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট সম্মানে ভূষিত হন।
২) ২০১৯ সালে তাঁকে এক বছরের জন্য কলকাতার শেরিফ পদে মনোনয়ন করা হয়।
৩) সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার — ২০১৪ সালে প্রকাশিত তাঁর "একা একা একাশি' বইটির জন্য সম্প্রতি ২০২১ সালের ১২ মার্চ (শুক্রবার ) দিল্লিতে "সাহিত্য অ্যাকাডেমির' এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয় । (সংবাদ প্রতিদিন এর সূত্র অনুযায়ী)

আজ ৬ ডিসেম্বর বিংশ শতাব্দীর বাংলা কবিতার শ্রেষ্ঠ নান্দনিক কবিদের মধ্যে অন্যতম কবি সিকদার আমিনুল হক’এর জন্মদিন :কবি সিকদা...
06/12/2023

আজ ৬ ডিসেম্বর বিংশ শতাব্দীর বাংলা কবিতার শ্রেষ্ঠ নান্দনিক কবিদের মধ্যে অন্যতম কবি সিকদার আমিনুল হক’এর জন্মদিন :

কবি সিকদার আমিনুল হক ১৯৪২ সালের ৬ ডিসেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে ঢাকায় চলে আসেন। স্কুল জীবনেই তার লেখালেখি শুরু হয়। কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে বাংলাদেশ ও পশ্চিবঙ্গের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সাহিত্য ম্যাগজিনে তার লেখা প্রকাশ পেতে থাকে। কবিতার পাশাপাশি সাহিত্য বিষয়ে প্রবন্ধ,কলাম লিখেন তিনি। ষাট দশকে পরাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিয়য়েও তিনি অসংখ্য কবিতা লেখেন। তার কবিতায় স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ,সাধারন মানুষের জীবনযাপন, তাদের সুখ-দুঃখ এবং মানবিকবোধের নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
ষাট দশকের খ্যাতিমান কবিদের অন্যতম সিকদার আমিনুল হক সাংবাদিকতা পেশায় ছিলেন। দৈনিক দেশ গ্রুপের‘ বিপ্লব’ নামে একটি সাহিত্য ম্যাগাজিন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। নিজের সম্পদনায় ‘স্বাক্ষর’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা দীর্ঘদিন প্রকাশ করেন।
কবি সিকদার আমিনুল হকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দূরের কার্নিশ’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৫ সালে। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কাব্য ও অন্যান্য গ্রন্থ হচ্ছে -তিন পাঁপড়ির ফুল (১৯৮২), আমি সেই ইলেকট্রা (১৯৮৫), বহুদিন অপেক্ষা বহুদিন অন্ধকার (১৯৪২), পত্রে তুমি, প্রতিদিন জলে (১৯৮৭), এক রাত্রি এক ঋতু (১৯৮৬), সুপ্রভাত এই বারান্দা (১৯৯৩), কাফরার জামা, রুমালের আলো ও অন্যান্য কবিতা, কবিতা সমগ্র, গদ্য সমগ্র, নির্বাচিত কবিতা।
কবি ১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও বেশকিছু পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
কবির লেখালেখি, জীবন ও কর্ম সম্পর্কে কবি নির্মলেন্দু গুণ বাসসকে বলেন, সিকদার আমিনুল হকের কবিতায় বৈচিত্র রয়েছে। নিজম্ব একটা ধারা সৃষ্টি করেন বয়ানে এবং কবিতার নির্মাণে। এটাই হচ্ছে একজন কবির বড় পরিচয়। আমরা একই সময় থেকে লিখতে শুরু করি। সে ছিল নিভৃতের বাসিন্দা। অত্যন্ত খোলামেলা বলতেন সব কথা ও চিন্তার বিষয়গুলো। স্পষ্টভাষী ছিলেন।
২০২০ সালে তিনি মরণোত্তর একুশে পদক অর্জন করেন।
২০০৩ সালের ১৭ মে কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, কলামিষ্ট সিকদার আমিনুল হক ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।

Address

584, West Nakhalpara
Dhaka
1215

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নৃ প্রকাশন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category