Journey To Home

Journey To Home '' উদিত তপন হৈলে অস্ত
দিন গেল বলে হৈবে ব্যস্ত,
তবে কেন এবে অলস হই
না ভজ হৃদয় রাজে।। '' We try to promote Divyanam.

From this platform arose a concerted effort to promote Krishna consciousness. Your kind blessings are desired.
-Haribol


Our Group -
https://www.facebook.com/groups/724784004941684/?ref=share

26/12/2023

কৃষ্ণনাম করো জীব আর সব মিছে
পালাইবার পথ নাই যম আছে পিছে!

18/12/2023

Stop Expecting from others ..... ✊

Mangala vhaba _ amangala hari ❤️
10/12/2023

Mangala vhaba _ amangala hari ❤️

'' উদিত তপন হৈলে অস্তদিন গেল বলে হৈবে ব্যস্ত,তবে কেন এবে অলস হইনা ভজ হৃদয় রাজে।। ''
09/12/2023

'' উদিত তপন হৈলে অস্ত
দিন গেল বলে হৈবে ব্যস্ত,
তবে কেন এবে অলস হই
না ভজ হৃদয় রাজে।। ''

" প্রত্যেক স্ত্রীকে দেবহূতি বা ভবানীর মতো পতিপরায়ণা হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়। আজও হিন্দু-সমাজে অবিবাহিতা কন্যাদের শিবের...
06/12/2023

" প্রত্যেক স্ত্রীকে দেবহূতি বা ভবানীর মতো পতিপরায়ণা হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়। আজও হিন্দু-সমাজে অবিবাহিতা কন্যাদের শিবের মতো পতি পাওয়ার বাসনায় শিবের পূজা করার শিক্ষা দেওয়া হয়। শিব হচ্ছেন আদর্শ পতি, ধন-সম্পদ বা ইন্দ্রিয় সুখের পরিপ্রেক্ষিতে নয়, পক্ষান্তরে তিনি ভগবানের শ্রেষ্ঠ ভক্ত বলে। বৈষ্ণবানাং যথা শম্ভুঃ—“শম্ভু বা শিব হচ্ছেন আদর্শ বৈষ্ণব'।
- শ্রীমদ্ভাগবত ৩.২৩.১ ভক্তিবেদান্ত তাৎপর্য।

06/12/2023

We start our Journey To Home with new spirit. Please stay with us for spreading peace.

প্রত্যেক স্ত্রীলোক দেবী দুর্গার এক রূপ হয়। 🌻
22/10/2023

প্রত্যেক স্ত্রীলোক দেবী দুর্গার এক রূপ হয়। 🌻

: Srila Prabhupad 🌸
20/10/2023

: Srila Prabhupad 🌸

❤️এই বয়সে মহাত্মা দেবী দাসী মাতাজী মেক্সিকোতে নতুন তালাবন খামারে গো–উৎসবে গ্রন্থ প্রচার করছেন।কৃষ্ণের শুদ্ধ ভক্তরা যেকোন...
18/10/2023

❤️এই বয়সে মহাত্মা দেবী দাসী মাতাজী মেক্সিকোতে নতুন তালাবন খামারে গো–উৎসবে গ্রন্থ প্রচার করছেন।
কৃষ্ণের শুদ্ধ ভক্তরা যেকোনো পরিস্থিতিতেই প্রচার চালিয়ে যান।
🙌

অঞ্জলী দেওয়ার সময় নিঃসংকোচে বলুন "পুত্রান দেহি" কোনো রকম প্রোপাগান্ডায় পা দিয়ে ভুল মন্ত্র পাঠ করবেন না 🙏।অতি আধুনিক ...
15/10/2023

অঞ্জলী দেওয়ার সময় নিঃসংকোচে বলুন
"পুত্রান দেহি"
কোনো রকম প্রোপাগান্ডায় পা দিয়ে ভুল মন্ত্র পাঠ করবেন না 🙏।অতি আধুনিক হতে যাবেন না।

নিজের ধর্ম, নিজের সংস্কৃতির উপর আস্থা রাখুন, বিশ্বাস রাখুন।
পুরাকালে মুনি ঋষি রা অনেক ভাবনা চিন্তা করেই এই সব মন্ত্র রচনা করেছিলেন।
সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুযায়ী,

পুত্রম্= পুত্র, পুত্রিম্= পুত্রী, পুত্রান্= পুত্র-পুত্রী উভয়।

তাই মূর্খ অজ্ঞ তথাকথিত নারীবাদীদের প্ররোচনায় না পড়ে উচ্চ স্বরে প্রাণ ভরে মন্ত্র উচ্চারণ করুন,

"ওঁ আয়ুৰ্দেহি যশো দেহি ভাগ্যং ভবতি দেহি মে।
পুত্রান্ দেহি ধনং দেহি সৰ্ব্বান কামাংশ্চ দেহি মে।। "

🌸🥀
11/07/2023

🌸🥀

একজন সনাতনী হিসেবে আপনি পালন করবেন তো অক্ষয় তৃতীয়া তিথি? এ দিন থেকে পরবর্তী ২১দিন ব্যাপি ভগবানের চন্দন শোভাযাত্রা মহোৎস...
23/04/2023

একজন সনাতনী হিসেবে আপনি পালন করবেন তো অক্ষয় তৃতীয়া তিথি?

এ দিন থেকে পরবর্তী ২১দিন ব্যাপি ভগবানের চন্দন শোভাযাত্রা মহোৎসব।২১ দিন সুগন্ধি চন্দন, কর্পূর, ও অগুরু মিশিয়ে ভগবানের শ্রীঅঙ্গে লেপন করা হয়। এতে পরমেশ্বর ভগবান খুবই শীতলতা ও প্রশান্তি অনুভব করেন।

অক্ষয় তৃতীয়া হলো চান্দ্র বৈশাখ মাসের তৃতীয় তিথি। এই বিশেষ তিথীতে অর্জিত পুন্য বা সুকৃতির যেমন ক্ষয় নেই, তেমনি পাপেরও কোন ক্ষয় নেই।তাই এদিন খুব সতর্কতা সহকারে দিন অতিবাহিত করা জরুরি, যেন কোন প্রকার মন্দ কর্ম না হয়, কারো মনে কোন কষ্ট না হয়।

তাই সকলের প্রতি প্রার্থনা ও অনুরোধ এদিন বেশী বেশী হরিনাম জপ, কীর্তন, ভগবৎ ও ভক্ত সেবা করে দিন অতিবাহিত করুন। সকল প্রকার খারাপ কর্ম এরিয়ে চলুন এবং পরমেশ্বর ভগবানের সন্তুষ্টি বিধান করে অন্তে ভগবৎধামে গমন পূর্বক দিব্য চিন্ময় কৃষ্ণপ্রীতি উপভোগ করুন।

#অক্ষয়_তৃতীয়া_কী_এবং_কেন?
""''''''''''''''''''''""""""""""'"""""""""""""""""""""
বাংলাদেশ সময়ানুসারে আসছে আগামী ২৩ এপ্রিল,রবিবার অক্ষয় তৃতীয়া মহোৎসব। অক্ষয় তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। যদি ভালো কাজ করা হয় তার জন্যে আমাদের লাভ হয় অক্ষয় পূণ্য আর যদি খারাপ কাজ করা হয় তবে লাভ হয় অক্ষয় পাপ।

তাই—
৹ আমিষাহার পরিত্যাগ করা উচিত, কেননা প্রাণিহত্যা মহাপাপ।
৹ কৃষ্ণপ্রসাদ গ্রহণ করা উচিত।
৹ কৃষ্ণমন্দিরে ভোগ, চন্দন, ফুল, ফল, অর্থ ইত্যাদি দান করা উচিত।
৹ এদিন খুব সাবধানে প্রতিটি কাজ করা উচিত।
৹ কখনো যেন কটু কথা না বেরোয় মুখ থেকে।
৹ কোনো কারণে যেন কারো ক্ষতি না করে ফেলি বা কারো মনে আঘাত দিয়ে না ফেলি।
৹ তাই এদিন যথাসম্ভব কৃষ্ণকথা বলা উচিত।
৹ এদিন পূজা,জপ,ধ্যান,দান,অপরের মনে আনন্দ দেয়ার মত কাজ করা উচিত।
৹ যেহেতু এই তৃতীয়ার সব কাজ অক্ষয় থাকে তাই প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয় সতর্কভাবে।
এবারের অক্ষয়তৃতীয়া সবার ভালো কাটুক – এই কামনায় করি।

#যে_সকল_তাৎপর্যপূর্ণ_ঘটনা_ঘটেছিল_এ_দিনে—

১) বিষ্ণুর অবতার পরশুরাম আবির্ভূত হন।
২) রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন।
৩) গনেশ বেদব্যাসের মুখনিঃসৃত বাণী শুনে মহাভারত লিখতে শুরু করেন।
৪) চন্দনযাত্রা শুরু হয়।
৫) সত্যযুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়।
৬) কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেন। এদিনই কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।
৭) ভক্তরাজ সুদামা শ্রী কৃষ্ণের সাথে দ্বারকায় গিয়ে দেখা করেন এবং তাঁর থেকে সামান্য চালভাজা নিয়ে শ্রী কৃষ্ণ তাঁর সকল দুঃখ মোচন করেন।
৮) দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে যান এবং ভগবান তার সখীকে রক্ষা করেন শ্রীকৃষ্ণ। শরণাগতের পরিত্রাতা রূপে এদিন শ্রী কৃষ্ণা দ্রৌপদীকে রক্ষা করেন।
৯) পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে রথ নির্মাণ শুরু হয়।
১০) কেদার-বদরী গঙ্গোত্রী-যমুনত্রীর যে মন্দির ছয়মাস বন্ধ থাকে এইদিনেই তার দ্বার উদঘাটন হয়।

হরে কৃষ্ণ🌼🌿

হরেকৃষ্ণ🙏আগামীকাল নতুন বছরের প্রথম একাদশী। কৃপা করে সবাই পালন🥭করবেন।🍍যারা করেন না তারা শুরু করুন।
15/04/2023

হরেকৃষ্ণ🙏
আগামীকাল নতুন বছরের প্রথম একাদশী। কৃপা করে সবাই পালন🥭করবেন।
🍍যারা করেন না তারা শুরু করুন।

28/01/2023
সরস্বতী পূজা, সরস্বতী দেবী কে, সরস্বতী দেবীর আর্বিভাব।==============================সরস্বতী দেবী কে? সরস্বতী শব্দটি ‘সার...
26/01/2023

সরস্বতী পূজা, সরস্বতী দেবী কে, সরস্বতী দেবীর আর্বিভাব।
==============================

সরস্বতী দেবী কে?

সরস্বতী শব্দটি ‘সার’ এবং ‘স্ব’ দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। সেই অনুসারে সরস্বতী শব্দের অর্থ যিনি কারো মধ্যে সারজ্ঞান প্রকাশ করেন। আবার সরস্বতী শব্দটি সংস্কৃত ‘সুরস বতি’ শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ হচ্ছে জলের আধার। সরস্বতী সাক্ষাৎ দেবী মূর্তি এবং নদী-দুইরূপেই প্রকটিত। ঋগবেদে(২/৪১/১৬) বর্ণনা করা হয়েছে-

অম্বিতমে নদীতমে সরস্বতী।

অপ্রশস্তা ইব স্মসি প্রশস্তিমন্ব নস্কৃধি।।

অর্থাৎ “মাতৃগণের মধ্যে শ্রেষ্ট, নদীগণের মধ্যে শ্রেষ্ট, দেবীগণের মধ্যে শ্রেষ্ট হে সরস্বতী, আমরা অসমৃদ্ধের ন্যায় রয়েছি, আমাদের সমৃদ্ধশালী করো।” সরস্বতী দেবী জ্ঞান, সঙ্গীত, কলা এবং বিদ্যার দেবী।

সরস্বতী দেবীর আবির্ভাব

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী গোলোকে শ্রীকৃষ্ণের কন্ঠদেশ থেকে দেবী সরস্বতী উদ্ভূতা হয়েছিলেন। চৈতন্য ভাগবত (আদিলীলা ২/৯-১৪) তে বর্ণনা করা হয়েছে-

পূর্বে ব্রহ্মা জন্মিলেন নাভিপদ্ধ হৈতে।

তথাপিও শক্তি নাই কিছুই দেখিতে।।

তবে যবে সর্ববারে লইলা শরণ,

তবে প্রভু কৃপায় দিলেন দরশন।

তবে কৃষ্ণ কৃপায় স্ফুরিত সরস্বতী।

তবে সে জানিলা সর্ব অবতার স্থিতি।।

এক সময় শ্রীব্রহ্মা সৃষ্টিকার্যের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। শান্তভাবে ধ্যানস্থ আছেন। কী করবেন, কী করা উচিত চিন্তা করছেন। এমন সময় তাঁর শরীর থেকে এক সুন্দরী দেবীমূর্তি প্রকাশিত হয়। দেবী ব্রহ্মাজীকে বললেন, হে বিধাতা আমি আপনার থেকে প্রকাশিত হলাম। এখন দয়া করে আপনি আমার স্থান এবং কী কর্ম তা নির্দেশ করুন। ‘ব্রহ্মা বললেন “তোমার নাম সরস্বতী। তুমি অবস্থান করো সকলের জিহ্বাতে বিশেষভাবে সুশিক্ষিত ব্যক্তিদের জিহ্বাতে তুমি নৃত্য করো।পৃথিবীতে তুমি একটি নদীরূপে প্রকাশিত হও।”



দেবী সরস্বতী প্রশ্ন করলেন- হে বিধাতা, আপনি বললেন, আমি সবার জিহ্বাতে অবস্থান করবো; আবার বললেন, নদীরূপে থাকবো। এর ব্যাখ্যা কী? ব্রহ্মা বললেন-সরস্বতী তুমি যখন লোকের জিহ্বাতে অবস্থান করবে, তথন লোকের জিহ্বা থেকে বাকশক্তি হবে। তাই তোমার নাম বাকদেবী। তুমি আমার মুখ থেকেই প্রকাশিত। তুমি পবিত্রবতী। জগৎ-সংসারে বহু অপবিত্র মানসিকতা সম্পন্ন জীব থাকবে, অপবিত্র মানুষের জিহ্বায় কদর্য বাক্য স্ফুরিত হবে, সেসব জিহ্বাতে তুমি অবস্থান করে সুখি হতে পারবে না।

হে সরস্বতী, তুমি সাক্ষাৎ বুদ্ধি স্বরূপিণী। তুমি বলো, কোথায় তুমি আনন্দ লাভ করবে? সরস্বতী বললেন-যে সমস্ত ব্যক্তি পরম সুন্দর পরমেশ্বর ভগবানের আরাধনা করেন, তাদের জিহ্বায় সর্বদা পরম প্রভুর নাম কীর্তিত হবে। আমি তাঁদের পবিত্র জিহ্বায় অধিষ্ঠান করবো।

ব্রহ্মাজী ব্রহ্মসংহিতায় বর্ণনা করেছেন-সেই পরম সুন্দর ভগবান কে? তিনি বর্ণনা করেছেন, “সেই পরমেশ্বর ভগবান হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর রূপ সচ্চিদানন্দ। তিনি অনাদির আদি এবং সর্বকারণের পরম কারণ। সেই আদি এবং সর্বকারণের পরম কারণ। সেই আদি পুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি।” কলিসন্তরণ উপনিষদে বর্ণনা করা হয়েছে-

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।

হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

ইত ষোড়শকং নাম্নাং কলিকল্মাষ নাশনম্।

নাতো পরতর উপায় সর্ববেদেষু দৃশ্যতে।।

শ্রীমদ্ভাগবতে (১১/৫/৩২) বর্ণনা করা হয়েছে-

কৃষ্ণবর্ণ তিষাকৃষ্রং সাঙ্গোপাঙ্গোঅস্ত্রপার্ষদম্।

যজ্ঞৈঃ সঙ্কীর্তনপ্রায়ৈর্যজন্ত হি সুমেধসঃ।।

কলিযুগে সুমেধাসম্পন্ন মানুষেরা কৃষ্ণনাম কীর্তনের দ্বারা শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন।

পুরাণে সরস্বতী

বেদের যজ্ঞধাত্রী সরস্বতী পুরাণে ধরা দিয়েছেন বিচিত্র লীলাময়ী রূপে। অনেকগুলো পুরাণেই আমরা সরস্বতীর সাক্ষাৎ পাই। কিন্তু বৈদিককালের সরস্বতী মৌলিক ভাবনিচয় পুরাণের বর্ণনায় কোথাও ক্ষুণ্ণ হয়নি বরং হয়েছে অধিকতর সুপ্রকাশিত। দেবী ভাগবতে (৯/৭) বলেন, দেবী সরস্বতী আদ্যা প্রকৃতির অধিষ্ঠাত্রী দেবতা। তিনি বোধস্বরূপিণী, সমুদয় সংশয়ছেদনকারিণী এবং সর্বসিদ্ধি প্রদায়িণী। সঙ্গীতের সন্ধান ও তাল প্রভৃতির কারণ স্বরূপিণীও তিনিই।

দেবী সরস্বতীর উপদেশ

মহর্ষি কশ্যপের এক বংশের ছিলেন তার্ক্ষ্য। সেই তার্ক্ষ্য ঋষি একদিন তপস্যাকালে দেবী সরস্বতীর সাক্ষাৎ পেলেন। শ্বেতবসনা, বীণাধারিণী, দুগ্ধবর্ণা দেবী সরস্বতী। ঋষি তাঁকে প্রণতি নিবেদন করলেন।

দেবী বললেন, হে বৎস, তোমার মনে অনেক প্রশ্ন আছে বলে জানি। তুমি যদি এখন কিছু জানতে চাও, তবে বলো। তার্ক্ষ্য ঋষি জানালেন হে ভদ্রে, দয়া করে বলুন ইহলোকে মানুষের কল্যাণ কীভাবে হবে? দেবী সরস্বতী বললেন, হে তপবোন, যে ব্যক্তির হৃদয় শুদ্ধ, শাস্ত্র নির্দেশ যে যত্ন সহকারে পালন করে, তারই যথার্থ কল্যাণ হয়। কী কর্ম করলে মানুষ এ জীবনের পর উর্ধ্বগতি বা নিম্নগতি লাভ করে? যদি কোনো ব্যক্তি অন্য সাত্ত্বিক ব্যক্তিকে ধন দান, আশ্রয় দান, চিকিৎসা দান, অন্ন দান, বস্ত্র প্রভৃতি দান করে তবে সুখময় স্বর্গীয় গ্রহলোকে উপনীত হবে। যে ব্যক্তি কাম ও ক্রোধ দ্বারা নিরন্তর মোহাচ্ছন্ন থাকে, সে ঘোরতর নরকলোকে নিপতিত হবে।



হে দেবী, কারা বৈকুণ্ঠ বা গোলোক ধামে উপনীত হতে পারবে? যাঁরা যজ্ঞাবশেষ ভোজী অর্থাৎ শ্রীহরির মহাপ্রসাদ যাঁরা ভোজন করেন, যাঁরা সত্যব্রত অর্থাৎ ভগবৎ-ভক্তি অনুশীলন করেন, যাঁরা শ্রদ্ধাবান অর্থাৎ ভগবান ও ভক্তের নির্দেশ মেনে চলতে আগ্রহান্বিত, যাঁরা নিরহংকার অর্থাৎ ভগবৎ সম্বন্ধ ছাড়া অন্য কারো সম্বন্ধে আকৃষ্ট নন, তাঁরাই শ্রীহরির সেবা করার উপযুক্ত হন। পরিণামে তাঁরা অতি পবিত্র ধাম গোলোক লাভ করেন এবং পরম সত্য স্বরূপ শ্রীকৃ্ষ্ণকে তাঁরা নিরীক্ষণ করে থাকেন।

ঋষি তার্ক্ষ্য আবার স্বরসতী দেবীকে প্রশ্ন করলেন, হে পরমাত্মারূপা প্রজ্ঞা, আপনি কে? দেবী সরস্বতী বললেন, আমি পরাপর বিদ্যারূপা দেবী। অর্থাৎ পরা বিদ্যা হচ্ছে ভগবান ও ভক্তি সম্বন্ধীয় বিদ্যা এবং অপরা বিদ্যা হচ্ছে জড়জগতের কর্মকান্ডীয় বিদ্যা। এ উভয় বিদ্যাই আমি জিবকে প্রদান করি

হে ঋষি, যারা বহু বহু বর্ষব্যাপী সুখ ভোগের উদ্দেশ্যে উচ্চতর লোক ব্রহ্মলোক, স্বর্গলোক ইত্যাদি গ্রহে যাওয়ার জন্য কামনা করে, তাদের আমি দান ব্রত ইত্যাদির নানাবিধ পুণ্য পবিত্র কর্মে প্রবৃত্ত করি। আর যাঁরা ভগবদ্ধধামে গোলোকে বৈকুণ্ঠে যাত্রা করবার আকাঙ্ক্ষা করেন, তাঁদের আমি ভক্তি বিদ্যা দান করি।

তার্ক্ষ্য বললেন, হে দেবী সকল পন্ডিত ব্যক্তি বিশ্বস্ত মনে যাকে শ্রেয় জ্ঞান করে ইন্দ্রিয় সংযম প্রভৃতি কঠোর ব্রত অনুষ্ঠান করেন, সেই দুঃখশোক শূন্য মোক্ষ কী? সাংখ্য শাস্ত্রে যাঁকে চিরন্তন ও শ্রেষ্ঠ বলে নির্দেশ করে, সেই পরমাত্মা কে? আমি জানি না, তাই আপনি দয়া করে সেই বিষয়ে উপদেশ দিন।

দেবী সরস্বতী বললেন, হে তার্ক্ষ্য, বিচক্ষণ পন্ডিত ব্যক্তিরা শোকরহিত ও বিষয় বাসনা শূন্য হয়ে ব্রতপরায়ণ হন এবং ভক্তিযোগে যে আদি পুরুষকে প্রাপ্ত হয়ে থাকেন, তিনি হচ্ছে সেই পরম ব্রহ্ম, পরমাত্মা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। হে ঋষি, যে স্থানে ভক্তরা সেই পরম পুরুষ শ্রীকৃষ্ণের প্রীতির উদ্দেশ্যে যাবতীয় কর্ম করেন, সেই স্থান আমার আশ্রয়স্বরূপ।

সরস্বতী পূজার বর্তমান প্রেক্ষাপট

বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে, মানুষ ধর্মের নামে নিজের ইন্দ্রিয় তৃপ্তিতে ব্যস্ত। এমনকি মানুষ মনে করছে তারা ধর্ম করছে, কিন্তু দেব-দেবীদের সামনে যে আচরণ করছে, তা এমনকি সভ্য সমাজে অপাঙক্তেয়। যুবক-যু্বতী, মধ্য বয়স্করা বলিউডের গানের তালে তালে নিজেদের ইন্দ্রিয় তোষণের চেষ্টা করছে, আর ভাবছে সে মায়ের বা দেবীর আরাধনা করছে। যে ধরনের আচরণ সে এমনকি নিজের মায়ের সম্মুখে করতে পারে না, সেই অসদাচরণ জগজ্জননী মায়ের তথাকথিত পূজার ছলে করছে।

এমনকি শোনা যায়, মায়ের পূজার জন্য যে অর্থ সংগ্রহ করনে, তা তারা নিজেদের ইন্দ্রিয় তোষণের জন্য বিভিন্ন জাগতিক (তথা যৌন উদ্দীপক) গানের আসরের আয়োজন করছে। কখনো কখনো মদ্যপানের জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই যথার্থ মনোভাব ও ভাগগাম্ভীর্য নিয়ে পূজা সম্পাদন করা। সর্বতোভাবে সন্তুষ্ট করে না এমন সব গান বা কার্য থেকৈ সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকা। পূর্বেই বর্ণনা করা হয়েছে, কোন কার্য মাতা সরস্বতীকে সন্তুষ্ট করতে পারে। আমরা পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করব কোন মনোভাবে আমাদের মায়ের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করা উচিত, কোন বাহ্যিক বিষয় মায়ের প্রার্থনায় গুরুত্ব বহন করে না, কোন প্রতিমায় মা অবস্থান গ্রহণ করেন।

সরস্বতী পূজা কি লৌকিক প্রথা?

আমরা বেশির ভাগই ধর্ম করি, পূর্বপুরুষের ধারা অনুযায়ী অথবা সকল কর্মের ফল লাভের জন্য অথবা না বুঝে আনন্দ পাই বলে পূজার লৌকিক প্রয়াস করি। এধরনের প্রয়াসের ফলে মনের শান্তি অনুভব হয় বটে; কিন্তু তা কি আমাদের বিদ্যা লাভের প্রকৃত উদ্দেশ্যে সাধিত হয়? এ ধরণের লৌকিক প্রয়ােসই লৌকিকতা বা প্রথাগত ধর্মাচার বলে পরিগণিত হয়।



উইকিপিডিয়া-এর সংজ্ঞানুযায়ী, লৌকিকতা ও কর্তব্যবোধে আচরিত অনুভূতিবিহীন ধর্মাচরণকে Ritual বলা হয়। আমরা হয়তো বেশির ভাগই লৌকিকতার কারণেই পূজা করছি; কিন্তু কীভাবে ধর্মাচরণ করলে বা পূজা করলে লৌকিকতা মুক্ত হয়ে প্রকৃত অর্থেই বিদ্যা লাভের পথে এগিয়ে যেতে পারব, সেভাবে এগিয়ে যাওয়া উচিত। প্রার্থনা বলতে শাস্ত্রে বলা হয়েছে-“প্রার্থনা হলো এমন একটি কার্য যার দ্বারা একজন ব্যক্তি তার মন ও চিত্তকে ভগবানে/দেবতার কাছে নির্দিষ্ট করতে পারে। প্রার্থনার মাধ্যমে আমরা ভগবানের/দেবতার কাছে আমাদের অসহায়ত্ব ও ক্ষুদ্রত্ব স্বীকার করে তাঁর চরণে সমর্পিত হই। প্রার্থনা মগ্ন হওয়ার অর্থ, পরমেশ্বর ভগবান/আরাধ্য দেবতার কথা স্মরণ করা, তাঁকে দর্শন করা, তার সঙ্গে কথা বলা অথবা তাঁর বিষয়ে চিন্তা করা। শ্রীমদ্ভাগবতে প্রার্থনায় আমাদের যা করতে বলঅ হয়েছে তা হলো:
১. তাঁর মহিমা কীর্তন, ২. কৃতজ্ঞতা স্বীকার, ৩. হৃদয়ের আকুলতা, ৪. ক্ষমা প্রার্থনা
প্রার্থনা আমাদের হৃদয় থেকে উৎসারিত হওয়া উচিত। যদি প্রার্থনা হৃদয় থেকে না আসে, তবে সেটা শুধুমাত্র মুখের কসরত ছাড়া আর কিছু হবে না। প্রাথমিক অবস্থায় হৃদয় থেকে প্রার্থনা করা কঠিন হতে পারে, তাই ভগবান/দেবতার কাছে আমাদের বিনীত হওয়ার অক্ষমতার জন্য অনুতপ্ত হয়ে বিনীত প্রার্থনা করা উচিত।

আমরা কোন বিদ্যা চাইব?

ভক্তগণও সরস্বতী পূজা করেন। কিন্তু মায়াবদ্ধ ও মায়ামুক্ত জীবের মধ্যে পার্থক্য আছে বলে তাদের পূজায়ও পার্থক্য আছে। মায়াগ্রস্ত জীবের মায়িক বস্তুতে আসক্তি থাকে। যখন জীব মায়ার সেবায় প্রবৃত্ত হন, তখন তিনি কর্মী; আবার যখন মায়ার বিদ্যাবৃত্তির সেবায় রত হন, তখন তিনি জ্ঞানী। ঈশোপনিষদে (শ্লোক-৯) বলা হয়েছে- “যারা অবিদ্যা অনুশীলন করে, তারা অজ্ঞানের ঘোর অন্ধকারময় লোকে প্রবেশ করে, যারা তথাকথিত বিদ্যা অনুশীলনে রত, তারা আরও ঘোরতর অন্ধকারময় স্থানে গতি লাভ করে।”

অর্থাৎ, অবিদ্যা বা অজ্ঞানতা নিঃসন্দেহে বিপজ্জনক, তবে বিপথচালিত বা ভ্রান্ত বিদ্যা তার চেয়ে আরো ভয়ংকর। গণশিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমান সভ্যতা যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে। কিন্তু জীবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পারমার্থিক বিদ্যা বা পর বিদ্যা। সেখান থেকে বিমুখ হয়ে জড়-জাগতিক উন্নতিতে অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করায়, মানুষ পূর্বাপেক্ষা আরও অধিক অসুখী হয়ে পড়ছে। বিদ্যাবৃত্তি জড় বিষয়ে আসক্তি বৃদ্ধি করে।

জড় জগতে বন্ধনে আবদ্ধ জীবগণ অবিদ্যায় অবস্থিত। অবিদ্যার আবরণে তাদের প্রকৃত স্বরূপ আচ্ছাদিত। যারা মায়ামুক্ত, তাঁরা বিদ্যা ও অবিদ্যা উভয়ের স্বরূপ সম্যক প্রকারে অবগত আছেন। তারা নিজেদের ভগবানের দাস জ্ঞান করে ভগবানের সেবায় প্রকৃত হন। মায়াবশীভূত জীবগণ সত্ত্ব, রজ ও তমো গুণে আবদ্ধ হয়ে দেবতাদের ভজনা করেন। বিভিন্ন গুণসম্পন্ন জীবগণ তাদের নিজ নিজ রুচি অনুসারে শান্ত, শৈব, সৌর, গাণপত্র বা বৈষ্ণব নামে অভিহিত হন।

তারা ভোগবাসনা চরিতার্থ করার জন্য ধন কামনায় লক্ষ্মী এবং বিদ্যালাভ করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য লৌকিক প্রথা অনুসারে দেবী স্বরস্বতীর পূজা করেন। তারা যে বিষয় কামনায় পূজা করেন তা সবই নশ্বর। আমি ধনী হবো, পন্ডিত হবো, সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবো, সমগ্র জগতে আমার যশ কীর্তিত হবে। এসমস্ত বাসনা সবই নশ্বর। চারবেদ, ষড় দর্শন অধ্যয়ন করেও যদি ভগবানের প্রতি অহৈতুকী ভক্তির উদয় না হয় তবে সবই বৃথা। শাস্ত্রে বর্ণনা করা হচ্ছে- আচারহীনং ন পুনন্তি বেদা....। যে বস্তু দেহত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্যাগ করে সেসমস্ত বিষয় নিয়ে নিত্য আত্মার কতটুকু স্বার্থসিদ্ধি হতে পারে।

তাই যারা উন্নত বিচারবোধসম্পন্ন, তারা কখনো নশ্বর বিষয়ে মুগ্ধ হয়ে দুর্লভ মনুষ্য জীবনের সুযোগটুকু হেলায় হারাতে ইচ্ছা করেন না। ঐকান্তিকী ভক্তগণ সরস্বতী দেবীকে চিৎ-শক্তিরূপে পূজা করেন। ভাগবত কীর্তনের প্রারম্ভে শ্রীল সূত গোস্বামী মঙ্গলাচরণের মধ্যে পরাবিদ্যাস্বরূপিণী সরস্বতীর প্রণাম করছেন যে, “দেবীং সরস্বতীং ব্যঅসং ততো জয়মুদীরয়েৎ”। আদিগুরু শ্রীব্রহ্মার হৃদয়ে সৃষ্টি বিষয়ক স্মৃতি প্রকাশের জন্য যে সরস্বতী দেবী ভগবানের প্রেরণায় প্রকটিত হন, তিনি শ্রীকৃষ্ণকেই উপাস্য মনে করেন।
(লেখক : শ্রীপাদ মিত্রগোপা কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী)

❏ শ্রীশ্রী সরস্বতীর প্রণাম মন্ত্রঃ-

ॐ জয়- জয় দেবী চরাচরসারে।
কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীণাপুস্তক রঞ্জিত হস্তে ভগবতি ভারতী দেবী নমস্তে ।
সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে ।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্ত্ত তে ॥

╔═════ஜ•⊰❉⊱•ஜ═════╗

কষ্ট কখন হয়? যখন কৃষ্ণের বিধি-বিধান আমরা পালন করিনা তখন কষ্ট হয়। কখন কষ্ট হয়না? যখন আমরা ভগবানের নির্দেশ পালন করি তখন...
24/01/2023

কষ্ট কখন হয়? যখন কৃষ্ণের বিধি-বিধান আমরা পালন করিনা তখন কষ্ট হয়। কখন কষ্ট হয়না? যখন আমরা ভগবানের নির্দেশ পালন করি তখন কষ্ট হয় না॥
~শ্রীপাদ নাড়ুগোপাল প্রভু

কৃষ্ণ ভুলি' সেই জীব অনাদি- বহির্মুখ ।
অতএব মায়া তারে দেয় সংসার-দুঃখ॥
এই জড় জগতে বদ্ধ জীব যখন পরমেশ্বর ভগবানের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা ভুলে যায় এবং কৃষ্ণভক্তির অনুশীলন করে না, তখন সে নানা রকম দুষ্কর্ম এবং পাপে প্রবৃত্ত হয়। তখন তাকে ত্রিতাপ দুঃখ ভোগ করতে হয়, এবং মৃত্যুরূপ হস্তীর ভয়ে ভীত হয়ে সে অন্ধকার গিরিকন্দরে পতিত হয়।

সেই জন্য বিধি-নিষেধগুলি পালন করতে হয়,
তাঁর নাম এবং বাণী শ্রবণ ও কীর্তন করতে হয়।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ॥
জয় শ্রীল প্রভুপাদ
হরে কৃষ্ণ 🌷🌷🌷🙏🙏🙏🥰🥰🥰

বৃহৎসাম তথা সাম্নাং গায়ত্রী ছন্দসামহম্। মাসানাং মার্গশীর্ষোহহমৃতূনাং কুসুমাকরঃ।।৩৫।।অনুবাদঃ সামবেদের মধ্যে আমি বৃহৎসাম এ...
03/01/2023

বৃহৎসাম তথা সাম্নাং গায়ত্রী ছন্দসামহম্।
মাসানাং মার্গশীর্ষোহহমৃতূনাং কুসুমাকরঃ।।৩৫।।

অনুবাদঃ সামবেদের মধ্যে আমি বৃহৎসাম এবং ছন্দসমূহের মধ্যে আমি গায়ত্রী। মাসসমূহের মধ্যে আমি অগ্রাহয়ণ এবং ঋতুদের মধ্যে আমি বসন্ত।

তাৎপর্য : ভগবান পূর্বেই বলেছেন যে, সমস্ত বেদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন সামবেদ। সামবেদ বিভিন্ন দেবতাদের দ্বারা গীত অপূর্ব সুন্দর সঙ্গীতসমূহের দ্বারা সমৃদ্ধ। এই সঙ্গীতগুলির একটিকে বলা হয় বৃহৎসাম, যার সুর অপূর্ব মাধুর্যমণ্ডিত এবং মধ্যরাত্রে গীত হওয়ার রীতি।

সংস্কৃত ভাষায় কবিতাকে ছন্দোবদ্ধ করার কতকগুলি বিশেষ নিয়ম আছে। ছন্দ ও মাত্রা আধুনিক কবিতার মতো খামখেয়ালীভাবে লেখা হয় না। সুসংবদ্ধ কবিতার মধ্যে গায়ত্রী মন্ত্র হচ্ছে শ্রেষ্ঠ, যা সুযোগ্য ব্রাহ্মণেরা গেয়ে থাকেন। শ্রীমদ্ভাগবতে গায়ত্রী মন্ত্রের উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু গায়ত্রী মন্ত্রের মাধ্যমে ভগবানকে উপলব্ধি করা যায়, তাই তা হচ্ছে ভগবানের প্রতীক। অধ্যাত্মমার্গে বিশেষভাবে উন্নত মানুষদের জন্যই গায়ত্রী মন্ত্র এবং কেউ যদি এই মন্ত্রে সিদ্ধি লাভ করেন, তবে তিনি ভগবৎ-ধামে প্রবেশ করতে পারেন। গায়ত্রী মন্ত্র উচ্চারণ করতে হলে, প্রথমে জড়া প্রকৃতির সত্ত্বগুণে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির গুণ অর্জন করা প্রয়োজন। বৈদিক সভ্যতায় গায়ত্রী মন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাঁকে ব্রহ্মের শব্দ অবতার বলে গণ্য করা হয়। ব্রহ্মা হচ্ছেন এর প্রবর্তক এবং এই মন্ত্র গুরু- শিষ্য পরম্পরায় তাঁর থেকে নেমে এসেছে।

সমস্ত মাসের মধ্যে অগ্রহায়ণ মাসকে বছরের শ্রেষ্ঠ সময় বলে গণ্য করা হয়। কারণ, ভারতবর্ষে এই সময়ে ক্ষেতের ফসল সংগ্রহ করা হয় এবং তাই জনসাধারণ সকলেই এই সময় গভীর সুখে মগ্ন থাকে। অবশ্যই বসন্ত এমনই একটি ঋতু যে, সকলেই তা পছন্দ করে, কারণ বসন্ত ঋতু নাতিশীতোষ্ণ এবং এই সময় গাছপালা ফুলে-ফলে শোভিত হয়। বসন্তকালে শ্রীকৃষ্ণের লীলাসমূহকে স্মরণ করে অনেক মহোৎসব উদযাপিত হয়; তাই বসন্ত ঋতুকে সর্বাপেক্ষা আনন্দোচ্ছ্বল ঋতু বলে গণ্য করা হয় এবং এই ঋতুরাজ বসন্ত হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের প্রতিনিধি।

Happy New Year everyone, stay happy with family. Forget the days of old sorrow and pain and move forward with new enthus...
01/01/2023

Happy New Year everyone, stay happy with family. Forget the days of old sorrow and pain and move forward with new enthusiasm. 🌻🙏

কৃষ্ণভক্তিপরায়ণ চন্ডাল-ভক্তিহীন ব্রাহ্মণ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ [ প্রামাণিক শাস্ত্র প্রমাণ -৭ ]শ্রীমদ্ভাগবতমে ভক্তশ্রেষ্ঠ শ্রীপ...
31/12/2022

কৃষ্ণভক্তিপরায়ণ চন্ডাল-
ভক্তিহীন ব্রাহ্মণ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ
[ প্রামাণিক শাস্ত্র প্রমাণ -৭ ]

শ্রীমদ্ভাগবতমে ভক্তশ্রেষ্ঠ শ্রীপ্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন-

বিপ্রাদ দ্বিষড়গুণযুতাদরবিন্দনাভ-
পাদারবিন্দবিমুখাৎ শ্বপচং বরিষ্ঠম্
মন্যে তদর্পিতমনোবচনেহিতার্থ-
প্রাণং পুনাতি স কুলং ন তু ভূরিমানঃ ॥
[ শ্রীমদ্ভাগবতম ৭।৯।১০ ]
বঙ্গানুবাদঃ
ভগবানের শ্রীপাদপদ্ম-বিমুখ অভক্ত-ব্রাহ্মণ যদি বারোটি ব্রাহ্মণোচিত গুণে ভূষিতও হন তথাপি তার অপেক্ষা যাঁর মন, বাক্য, কর্ম, ধন এবং প্রাণ ভগবানে অর্পিত, সেই চণ্ডালও শ্রেষ্ঠ। এই প্রকার চন্ডালভক্ত-ও সেই রকম ব্রাহ্মণ অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ, কারণ ভক্ত তাঁর কুল পবিত্র করতে পারে, কিন্তু সেই অতি গর্বান্বিত ব্রাহ্মণ নিজেকেও পবিত্র করতে পারে না, নিজের ব্রাহ্মণকূল উদ্ধার তো দূরের কথা।
(উল্লেখ্য: এ শ্লোকটি 'সনৎসুজাত গ্রন্থে'-ও বর্ণিত আছে)

।।হরে কৃষ্ণ।।

" যারা ভাবছেন আমার জীবন বিফলে গেল, তাদের বলবো, আজ আপনার যা আছে, এর সঠিক ব্যাবহার করুন। এটা মনে রাখা মূল্যবান কারন, কেবলম...
23/09/2022

" যারা ভাবছেন আমার জীবন বিফলে গেল, তাদের বলবো, আজ আপনার যা আছে, এর সঠিক ব্যাবহার করুন। এটা মনে রাখা মূল্যবান কারন, কেবলমাত্র অসম্পূর্ণ এবং ক্ষণস্থায়ী জিনিসগুলিই সত্যই সুন্দর হতে পারে। কেবলমাত্র সেই জিনিস গুলিই প্রাকৃতিক জগতের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যাবে আসবে। আপনার এই মুহূর্তটি শুধুমাত্র এখন বিদ্যমান এবং আর আসবে না।বন্ধু, পরিবার, বা অপরিচিত - অনন্য কেউ কখনই পুনরাবৃত্তি হবে না ।
অতীতের জন্য অনুশোচনা করা বন্ধ করুন এবং ভবিষ্যতের ভয় মনে আনবেন না। বর্তমানের প্রতিটি মুহূর্ত সঠিক ব্যবহার করুন তবেই দীর্ঘ আয়ু পাবেন"।

-শ্রীপাদ সদকীর্তি কেশব দাস 🙏

আমি ব্রহ্মচারীও নই, গৃহস্থও নই.... এই পরিচয় থেকে আমার সবচেয়ে বেশি যেটা ভাবতে ভালো লাগে, সেটা হলো- "আমি একজন ভগবানের নগণ্...
20/09/2022

আমি ব্রহ্মচারীও নই, গৃহস্থও নই.... এই পরিচয় থেকে আমার সবচেয়ে বেশি যেটা ভাবতে ভালো লাগে, সেটা হলো- "আমি একজন ভগবানের নগণ্য দাস, তাঁর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এক অংশ।" কারণ প্রকৃতপক্ষে এটাই আমার আসল পরিচয়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এই পরিচয়ের মাঝেও কোন না কোনদিন আমাকে একটা আশ্রমে যেতেই হবে।

আমার কাছে মনে হয়, আমরা যেমন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে আলাদা কোচিং করি কিংবা চাকরীর ক্ষেত্রে আলাদা প্রিপারেশন নেই, ঠিক সেরকম জীবনের একটা সময় আমাকে নিজেকে সেইভাবে পারফেক্ট হওয়ার জন্য সর্বদা ট্রেনিং নিতে হবে।

আমার যদি গৃহস্থ হবার ইচ্ছাই থাকে তবে আমার উচিত শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর, কিংবা শ্রীল প্রভুপাদের বহু আদর্শ গৃহস্থ শিষ্য-শিষ্যা আছে তাঁদেরকে অনুসরণ করা, তাঁরা কীভাবে লাইফটাকে লিড করছে। শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর থ্রি-এইট ফর্মূলা মেনে চলতেন।

যেমন: দিনের ২৪ ঘন্টাকে তিনি তিন ভাগে ভাগ করতেন! তার মধ্যে আট ঘন্টা তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠাসহকারে উনার অফিশিয়াল ডিউটি পালন করতেন, বাকী আট ঘন্টা তিনি কৃষ্ণভাবনাময় সাংসারিক নিয়ে বিজি থাকতেন এবং অবশিষ্ট আট ঘন্টা তিনি প্রচার, গ্রন্থ অধ্যয়ন, বৈষ্ণবীয় ভজন লেখালেখির জন্য ব্যয় করতেন। যার ধরুন, তিনি একাধারে একজন পারফেক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, আদর্শ গৃহস্থ এবং তেজস্বী প্রচারক হিসেবে জগতে প্রসিদ্ধ।

এইটা হচ্ছে পারফেক্ট গৃহস্থ হবার মানদণ্ড! এই নীতি অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই একজন আদর্শ প্রচারকের পাশাপাশি পারফেক্ট একজন গৃহস্থ হোল্ডার হবেন। এটা গ্যারান্টি, নো কনফিউজড!

আর আমি যদি সত্যিকার অর্থেই পারফেক্ট একজন ব্রহ্মচারী হতে চাই তবে এট লিস্ট আমার উচিত সেইরকমভাবে নিজেকে গড়ে তোলা। শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর ছিলেন এন্ডড্রয়েড-বিহীন একজন আদর্শ ব্রহ্মচারী। তিনি বলেছেন,

"সামান্য একটা কাঠের তৈরি স্ত্রীলোকের প্রতিকৃতি দেখেও আমি পতিত হতে পারি।" কারণ কলির মায়া প্রছন্দরকম আমাদের গ্রাস করে থাকে, তাহলে এর থেকে বড় কিছু হলে আমার কী হতে পারে সেটা একবার ভেবে দেখা উচিত। আমার তো পারফেক্ট ব্রহ্মচারী হতে হলে আইফোন-১৪ এর দরকার নাই, ওয়াটসআপ-ফেসবুকেরও দরকার নাই।

আমার সামান্য নকিয়া-১১০০ হলেও চলে তো, ২০ বছর পূর্বে এন্ডড্রয়েড ছিল না কিন্তু পারফেক্ট ব্রহ্মচারী ছিল। অর্থাৎ এক হাজার টাকা দিয়ে কিনা মোবাইল দিয়েই আমি আদর্শ ব্রহ্মচারী হতে পারি। শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন,

"তুমি যতো বেশি আধুনিকতার দিকে পৌঁছাবে, ততো তুমি ভগবানের থেকে দূরে সরে যাবে।" এবং এটা হচ্ছেও.... আমরা মোবাইল ফোন ছাড়া দিব্যি পেটভরে খো্ত (এক ধরনের প্রাচীন খাদ্যবস্তু) খেয়েছি, আর এখন ছোট বাচ্চাদের মোবাইলের কার্টুন না দেখে তার প্রিয় খাবারটিও পর্যন্ত খায় না।

এ দোষ কার? আমাদের! যাঁরা এতো দামী মোবাইল কিনতে পারছে না, তাঁদের সন্তানদের মোবাইলে কার্টুন দেখাতে পারছে না, তাঁদের সন্তানরা কী মানুষ হচ্ছে না? হচ্ছে তো... চেষ্টা করলে আমিও পারবো! চেষ্টায় সব হয়।

ভালো থাকুন!

জীবনের যেকোনো পর্যায়ে কৃষ্ণার মতো আমাদের স্বধর্মকে নিয়ে গর্বিত হওয়ার মতো সাহস হোক। অভিনন্দন কৃষ্ণা!  🌻Krishna Rani Sarka...
19/09/2022

জীবনের যেকোনো পর্যায়ে কৃষ্ণার মতো আমাদের স্বধর্মকে নিয়ে গর্বিত হওয়ার মতো সাহস হোক।
অভিনন্দন কৃষ্ণা! 🌻

Krishna Rani Sarkar

"ভক্তিচারু মহারাজ যখন থেকে ইসকনে যোগদান করেছিলেন তখন থেকেই আমি তাকে চিনি। প্রথম থেকেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে,তিনি একজন ব...
17/09/2022

"ভক্তিচারু মহারাজ যখন থেকে ইসকনে যোগদান করেছিলেন তখন থেকেই আমি তাকে চিনি। প্রথম থেকেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে,তিনি একজন বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি এবং তাঁকে পেয়ে শ্রীল প্রভুপাদ অত্যন্ত খুশী হবেন। কিন্তু শ্রীল প্রভুপাদ যে এমনভাবে তার উপর কৃপাবর্ষণ করবেন, তা আমি তখন কল্পনাও করতে পারিনি। আমার মনে হয়না কেউই এত তাড়াতাড়ি, কেবল তিন মাসের মধ্যে, শ্রীল প্রভুপাদের কাছ থেকে হরিনাম দীক্ষা, গায়ত্রী দীক্ষা এবং সন্ন্যাস পেয়েছেন।"

~ শ্রীল জয়পতাকা স্বামী

 #ঈর্ষা_অবজ্ঞা_ও_মিথ্যা_গর্ব_থেকে_মুক্ত_হবার_উপায়_কি?নারদ মুনি বললেন," সকলেরই কর্তব্য নিজের থেকে অধিক গুণসম্পন্ন ব্যক্ত...
17/09/2022

#ঈর্ষা_অবজ্ঞা_ও_মিথ্যা_গর্ব_থেকে_মুক্ত_হবার_উপায়_কি?

নারদ মুনি বললেন," সকলেরই কর্তব্য নিজের থেকে অধিক গুণসম্পন্ন ব্যক্তিকে দর্শন করে অত্যন্ত আনন্দিত হওয়া; নিজের থেকে কম গুণ সম্পন সম্পন্ন ব্যক্তিকে দর্শন করে তার প্রতি কৃপা পরায়ন হওয়া এবং নিজের সমান গুণযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন করা, তাহলে এই জড় জগতের ত্রিতাপ দুঃখ কখনোই তাকে অভিভূত করতে পারবে না।" ভাগবত-৪/৮/৩৪।

তাৎপর্যঃ সাধারনত আমরা যখন আমাদের থেকে অধিক গুণসম্পন্ন কাউকে দেখি, তখন আমরা তার প্রতি ঈর্ষা পরায়ন হই। যখন আমরা আমাদের থেকে কম গুণসম্পন্ন কাউকে দেখি, তখন তাকে অবজ্ঞা করি এবং যখন আমরা আমাদের সমান গুণসম্পন্ন কাউকে দেখি, তখন আমরা আমাদের কার্যকলাপের গর্বে অত্যন্ত গর্বিত হয়। এই হচ্ছে সমস্ত দুঃখ দুর্দশার কারণ। কিন্তু আমরা যদি নারদ মুনি পরামর্শ মেনে চলি তবে আমরা এই জগতে সুখী হতে পারব।

🌹

16/09/2022

HG Amogha Lila Das Brahmachari

এই ভাবেই আমরা মাতৃগর্ভে ছিলাম,আর এই অবস্থাতেই আমরা পরমেশ্বর ভগবানের দিব্য দর্শন পেয়েছিলাম।এবং কথাও দিয়েছিলাম হে পরমেশ্...
12/09/2022

এই ভাবেই আমরা মাতৃগর্ভে ছিলাম,
আর এই অবস্থাতেই আমরা পরমেশ্বর ভগবানের দিব্য দর্শন পেয়েছিলাম।

এবং কথাও দিয়েছিলাম হে পরমেশ্বর তুমি আমাকে ভূমিষ্ঠ করো,
হে পরমেশ্বর আমি ভূমিষ্ঠ হয়ে পৃথিবীতে তোমার নাম প্রচার করব,
তোমার গুনো গান করব তোমার সেবা করব গোবিন্দ।

অথচ আজ আমরা ভূমিষ্ঠ হয়ে পৃথিবীতে ভগবান কে ভুলে গিয়েছি এই জড়জগৎ নামক অন্ধকূপে পড়ে আমরা পাপে লিপ্ত হচ্ছি।

আমাদের চলার পথের জন্য আমরা গাড়ি বাড়ি টাকা পয়সা সবকিছু করছি, কিন্তু যে আমাদেরকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন যেই জন্য পাঠিয়েছে সেই কাজ কি আমরা করতে পারছি?

৮৪ লক্ষ যোনি ভ্রমণ করে দুর্লভ মানব জনম আমরা পেয়েছি,
এ মানব জনম যদি আমরা সার্থক করতে না পারি,
আমরা যদি মুক্তি লাভ করতে না পারি,
তাহলে বারংবার আমাদের এই পৃথিবীতে,
এই অন্ধকূপে আমাদের বারবার পতিত হতে হবে।

তাই আসুন আমরা মাতৃগর্ভে ভগবানকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া যে প্রতিজ্ঞা সেটা পূর্ণ করি।
সদ্গুরুর শরণাপন্ন হয়ে আমরা কৃষ্ণভাবনায় যুক্ত হয়ে ভগবানের নিত্য সেবায় নিজেকে নিয়োযিত রাখি।

হরিবোল 🙏

 #বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের মা এবং সহধর্মিণীর ইসকন স্বামীবাগ মন্দির পরিদর্শন। অত্যন্ত আনন্দের সহিত মন্দ...
11/09/2022

#বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের মা এবং সহধর্মিণীর ইসকন স্বামীবাগ মন্দির পরিদর্শন। অত্যন্ত আনন্দের সহিত মন্দির পরিদর্শন এবং শ্রীবিগ্রহ দর্শন করলেন।

08/09/2022

Our Beloved ~ HH Radhanath Swami Maharaja 🥀🖤

যদি কেউ প্রত্যক্ষভাবে শর্তহীনভাবে ভগবানের সেবা করে, নিঃশর্তভাবে “হে ভগবান, আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্য আপনার সেবা করছি, আম...
08/09/2022

যদি কেউ প্রত্যক্ষভাবে শর্তহীনভাবে ভগবানের সেবা করে, নিঃশর্তভাবে “হে ভগবান, আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্য আপনার সেবা করছি, আমি চাই, আপনি যা চান, আমাকে দিয়ে তাই করান।” যদি আমরা এইভাবে করি তখন আশ্চর্যের যে বিষয়টি ঘটে তা হল ভগবান আমাদের উপর খুবই প্রসন্ন হন। সর্বময় ভগবান আমাদের জন্য সব কিছু দিতে পারেন। আমরা তাঁর জন্য কি করতে পারি ? যখন আমরা মহিমা কীর্তন করি, তিনি কত মহান এবং কৃতজ্ঞতা অনুভব করি এটাই শুদ্ধ ভক্তির সূচনা।

-শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ🙏❤️
জুলাই ১৩, ২০০৪, লস এঞ্জেলস, আমেরিকা

🌻পার্শ্ব একাদশী(মহাদ্বাদশী) মাহাত্ম্য🌻ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে শুক্লপক্ষের পার্শ্ব একাদশী মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদ...
07/09/2022

🌻পার্শ্ব একাদশী(মহাদ্বাদশী) মাহাত্ম্য🌻

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে শুক্লপক্ষের পার্শ্ব একাদশী মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই রকম বলা হয়েছে।
যুধিষ্ঠির মহারাজ জিজ্ঞাসা করলেন--হে কৃষ্ণ! ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি এবং এই ব্রত পালনের বিধি কি, ব্রত পালনেই বা কি পুণ্য লাভ হয়?
উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে ধর্মরাজ! মহাপুণ্যপ্রদা, সমস্ত পাপহারিনী, এবং মুক্তিদায়িনী এই একাদশী বাজপেয় যজ্ঞ থেকেও বেশি ফল প্রদান করে। যে ব্যক্তি এই তিথিতে ভক্তি সহকারে ভগবান শ্রী বামনদেবের পূজা করেন, তিনি ত্রিলোকে পূজিত হন। পদ্মফুলে পদ্মলোচন শ্রী বিষ্ণুর অর্চনকারী বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হন। শায়িত ভগবান এই তিথিতে পার্শ্ব পরিবর্তন করেন। তাই এর নাম পার্শ্ব একাদশী বা পরিবর্তিনী একাদশী।
যুধিষ্ঠির মহারাজ বললেন--হে জনার্দন! আপনার এসকল কথা শুনেও আমার সন্দেহ পূর্ণরূপে দূর হয়নি। হে দেব! আপনি কিভাবে শয়ন করেন, কিভাবেই বা পার্শ্ব পরিবর্তন করেন, আর চাতুর্মাস্য ব্রত পালনকারীর কি কর্তব্য এবং আপনার শয়নকালে লোকের কি করণীয়? এসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আমাকে বলুন। আর কেনই বা দৈত্যরাজ বলিকে বেঁধে রাখা হয়েছিল, তা বর্ণনা করে আমার সকল সন্দেহ দূর করুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে রাজন! দৈত্য কুলে আবির্ভূত প্রহ্লাদ মহারাজের পৌত্র 'বলি' আমার অতি প্রিয় ভক্ত ছিল। সে আমার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য গো-ব্রাহ্মণ পূজা ও যজ্ঞাদি ব্রত সম্পাদন করত। কিন্তু ইন্দ্রের প্রতি বিদ্বেষবশত সকল দেবলোক সে জয় করে নেয়। তখন দেবতাগণসহ ইন্দ্র আমার শরণাপন্ন হয়েছিল। তাদের প্রার্থনায় আমি ব্রাহ্মণ বালক বেশে বামনরূপে বলি মহারাজের যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হলাম। তার কাছে আমি ত্রিপাদভূমিমাত্র প্রার্থনা করেছিলাম। সেই তুচ্ছ বস্তু থেকে আরও শ্রেষ্ঠ কিছু সে আমাকে দিতে চাইলেও আমি কেবল ত্রিপাদ ভূমি গ্রহণেই স্থির থাকলাম। দৈত্য গুরু শুক্রাচার্য আমাকে ভগবান রূপে জানতে পেরে বলি মহারাজকে ঐ দান দিতে নিষেধ করল। কিন্তু সত্যাশ্রয়ী বলি গুরুর নির্দেশ অমান্য করে আমাকে দান দিতে সংকল্প করল। তখন আমি এক পদে নীচের সপ্তলোক, আরেক পদে উপরের সপ্তভুবন অধিকার করে নিলাম। পুনরায় তৃতীয় পদের স্থান চাইলে সে তার মাথা পেতে দিল। আমি তার মস্তকে তৃতীয় পদ স্থাপন করলাম। তার আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে আমি সর্বদা তার কাছে বাস করার প্রতিশ্রুতি দিলাম।
ভাদ্র শুক্লপক্ষীয়া একাদশীতে ভগবান শ্রী বামনদেবের এক মূর্তি বলি মহারাজের আশ্রমে স্থাপিত হয়। দ্বিতীয় মূর্তি ক্ষীর সাগরে অনন্তদেবের কোলে শয়ন একাদশী থেকে উত্থান একাদশী পর্যন্ত চারমাস শয়ন অবস্থায় থাকেন। এই চার মাস যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট নিয়ম, ব্রত বা জপ-তপ ব্যতীত দিন যাপন করে।, সেই মহামূর্খ জীবিত থাকলেও তাকে মৃত বলে জানতে হবে।
শ্রাবণ মাসে শাক, ভাদ্র মাসে দই, আশ্বিনে দুধ, কার্তিক মাসে মাসকলাই বর্জন করে এই চার মাস শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করতে হয়। প্রতিটি একাদশী ব্রত যথাযথ পালন করতে হয়। শায়িত ভগবান পার্শ্ব পরিবর্তন করেন বলে এই একাদশী মহাপুণ্য ও সকল অভিষ্ট প্রদাতা। এই একাদশী ব্রত পালনে এক সহস্র অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ করা যায়।

হরে কৃষ্ণ🙏

জয়পতাকা মহারাজের শুদ্ধতা.....🥀একজন বিদেশী মহিলা, তিনি গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু তাঁর গর্ভে একটা ক্যন্সার টিউমার সৃষ্টি হয়েছি...
07/09/2022

জয়পতাকা মহারাজের শুদ্ধতা.....🥀

একজন বিদেশী মহিলা, তিনি গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু তাঁর গর্ভে একটা ক্যন্সার টিউমার সৃষ্টি হয়েছিল। ডাক্তাররা বললেন,"এই বাচ্চা আর বাঁচবে না।" ডাক্তাররা পরামর্শ দিলেন তাড়াতাড়ি করে গর্ভপাত করানোর জন্য। তা না হলে হয় বাচ্চা মারা যাবে, না হয় মা মারা যাবে। তাঁরা অত্যন্ত দুঃখিত ছিলেন। তারপর যখন গুরুমহারাজ এসেছিলেন, আমি তাঁদেরকে ডেকেছিলাম। গুরুমহারাজের কাছে এসে এই দম্পতি কান্নাকাটি করতে লাগলো। গুরুমহারাজ তাদেরকে বললেন,"দেখ, এসব ব্যাপারগুলো ভগবানের হাতে। এগুলোতে আমাদের কোন হাত নেই। আমি তোমাকে যেটা বলতে পারি তা হল, আজকে থেকে তুমি হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা শুরু কর। তাহলে তোমার গর্ভে যে শিশু আছে, সেও কৃষ্ণনাম শ্রবন করতে পারবে। এর দ্বারা ওই শিশুর তো লাভ হবেই, সাথে সাথে তোমার মনও পবিত্র হবে।" তখন ওই দম্পতি খুব দৃঢ়তার সাথে, আন্তরিকতার সাথে জপ, কীর্তন করতে শুরু করলেন। তাঁরা প্রতিমাসে চেকাপের জন্য যেতেন। টিউমার যেটা শিশুর থেকেও আরো আকারে বড় ছিল, সেটা আস্তে আস্তে আরো ছোট হতে লাগলো। আর গর্ভে শিশুটি বড় হতে লাগল। অবশেষে শিশুটি ভূমিষ্ট হল। আর এদিকে টিউমারটি ভেনিস হয়ে গেল। এটা বিশাল এক আশ্চর্যজনক ঘটনা ছিল। ডাক্তাররা বললেন যে এই রকম ঘটনা তাঁরা আগে কখনও দেখেননি। এই হচ্ছে গুরুমহারাজের শক্তি। গুরুমহারাজের এতই শুদ্ধতা যে তিনি কিছু বললেন আর তা সত্য হয়ে গেল।

~শ্রীপাদ বৈকুণ্ঠপতি দাস

শ্রীমতি রাধা ঠাকুরাণীর দিব্য চরণ দর্শন করুন পুন্ডরীক বিদ্যানিধি ঠাকুরের  প্রিয় পুত্রী যিনি বার্ষভানবী দেবী নামে জগৎ বিখ্...
06/09/2022

শ্রীমতি রাধা ঠাকুরাণীর দিব্য চরণ দর্শন করুন
পুন্ডরীক বিদ্যানিধি ঠাকুরের প্রিয় পুত্রী যিনি বার্ষভানবী দেবী নামে জগৎ বিখ্যাত ।

রাধাষ্টমী উৎসব ২০২২
ইসকন পুন্ডরীক ধাম❤️

রাধাষ্টমী মহা অভিষেক 🖤🙏
05/09/2022

রাধাষ্টমী মহা অভিষেক 🖤🙏

RADHAASTAMI Mohaavisekh 🖤
05/09/2022

RADHAASTAMI Mohaavisekh 🖤

🙏🌺
31/08/2022

🙏🌺

30/08/2022

Enthusiastic KIRTON // Amarendra Das 🌺

Today's Darshan 30th August 2022ISKCON Sri Dham Mayapur.
30/08/2022

Today's Darshan 30th August 2022
ISKCON Sri Dham Mayapur.

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Journey To Home posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Journey To Home:

Videos

Share

Category

Nearby media companies