Bangladesh Press

Bangladesh Press Official page of Bangladesh Press, a Bengali language 24/7 online news portal from Bangladesh. Bangladesh Press started its journey from 2013.

BANGLADESH PRESS is a Bengali language 24/7 online news portal of Bangladesh. It publishes trusted Bangladeshi and International news that includes business IT, ICT, health, weather, foreign affairs, education, family, sports, movies, jobs, politics, economics, Islamic world History and Heritage and women rights news. Its a sister concern of HAMEY GROUP.

মুক্তিযুদ্ধে আপনি হয়তো পরিবারের কোন সদস্যকেই হারাননি। আর তাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩ লাখ নাকি ৩০ লাখ তা নিয়ে তর্ক ...
13/05/2025

মুক্তিযুদ্ধে আপনি হয়তো পরিবারের কোন সদস্যকেই হারাননি। আর তাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩ লাখ নাকি ৩০ লাখ তা নিয়ে তর্ক করতে আসেন।
কিন্তু ছবির এই মানুষটা কিন্তু সেই তর্কে যাননা। কারন মুক্তিযুদ্ধে তিনি একাই হারিয়েছেন ২৭ জন স্বজনকে। তাও আবার একরাতেই। যার মধ্যে রয়েছেন তাঁর বাবা, মা, পাঁচ ভাই বোন, নানী, দুই মামা, মামী, খালা এবং ফুফা।
.
ফেনীর ফুলগাজীর জামুড়া গ্রামে গেলে আজো দেখা পাবেন শহীদ স্বজন এই করিমুল হকের।
মুক্তিযুদ্ধের এক বছর পর পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির একটি সামরিক হাসপাতালে এক তরুণ পাকিস্তানি অফিসারকে আনা হয়েছিলো মানসিক চিকিৎসার জন্য।
সেই তরুণ অফিসার যুদ্ধ শেষে পাকিস্তান ফিরে যাওয়ার পর গুরুতর মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যুদ্ধের কথা মনে হলেই তার পুরো শরীরে খিঁচুনি দিয়ে জ্বর উঠত। ঘুমাতে গেলেই দুঃস্বপ্নে ভেঙে যেত ঘুম। কেউ যেন তাকে বলত, ফিরে যেতে হবে বাংলাদেশে। সেখানে থাকা হিন্দুদের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। নয়তো তার মুক্তি নেই।’
মূলত দিনের পর দিন ওই অফিসারের নির্দেশে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি সেনারা। পুরো মুক্তিযুদ্ধে তিনি কতো মানুষকে হত্যা করেছিলেন জানেন? একশো কিংবা পাঁচশো নয়।
এই লোকটি একাই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ১৪ হাজারের বেশী নিরীহ মানুষকে। পরে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গওহর আইয়ুবের লেখা 'গ্লিমপসেস ইনটু দ্য করিডর অফ পাওয়ার' বইয়ে এই বর্ণনাটি রয়েছে। গওহর আইয়ুব তার বাবা পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ব্যক্তিগত ডায়েরি থেকে এই তথ্যটি সংগ্রহ করেছিলেন। চাইলে চেক করে নিতে পারেন।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীতে এমন অনেক কিলিং স্কোয়াড ছিলো। যাদের একমাত্র কাজই ছিলো মানুষ হত্যা করা।

মুক্তিযুদ্ধের ২০মে মাত্র এক প্লাটুন পাকিস্তানি সেনা ৪ ঘণ্টায় ব্রাশফায়ার করে হত্যা করেছিল অন্তত ১২ হাজার নিরীহ মানুষকে। ঘটনাটি ঘটেছিলো খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগরে।

আসলে এই গণহত্যায় এরচেয়েও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। চুকনগরের পাশে ভদ্রা নদীর পানিতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া যায়নি। স্থানীয়ভাবেও সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। কারণ ওই গণহত্যায় শহীদদের বেশিরভাগ চুকনগর, ডুমুরিয়া বা খুলনার বাসিন্দা ছিলেন না।

মুক্তিযুদ্ধে আপনার শহরে হয়তো কোন বধ্যভূমি ছিলোনা। কিন্তু এক চট্টগ্রাম শহরেই বধ্যভূমির সংখ্যা ছিল ১১৬টি।
যার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহতম বধ্যভূমি ছিল দামপাড়া বধ্যভূমি। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর গরিবুল্লাহ শাহর মাজার যেখানে, সেখানেই ছিল দামপাড়া বধ্যভূমি। প্রতিদিন রাতে বেশ কয়েকটি ট্রাক ভর্তি করে মানুষ ধরে আনা হতো সেখানে। এরপর তাদের দিয়ে গর্ত খনন করিয়ে তাদেরকেই গুলি করে হত্যা করে মাটিচাপা দিতো পাকিস্তানি বাহিনী।
প্রতিটি গর্ত যখন পূর্ণ হয়ে যেত, তখন খুলি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হতো। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এই বধ্যভূমিতে প্রায় ৪০ হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছিলো পাকিস্তানি সেনারা।
মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের অন্যতম বড় বধ্যভূমি ছিলো পাহাড়তলী বধ্যভূমি। এই বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় প্রায় ১০০ গর্ত। এরমধ্যে একটি গর্তেই পাওয়া যায় ১ হাজার ৮২টি খুলি। বাকি গর্তগুলোর হিসেব আপনিই করুন।
মুক্তিযুদ্ধে ৩০ মার্চ আর পরবর্তী কয়েকদিনে চট্টগ্রামের লালখান বাজারে পাকিস্তানি বাহিনী ও বিহারীরা একত্রিত হয়ে হত্যা করে প্রায় আড়াই হাজার বাঙালিকে। ৩০ মার্চ পানি সরবরাহের আশ্বাসে ওয়াসার মোড়ে গণহত্যা চালানো হয়।
২৫ মার্চ রাতের এক সপ্তাহ পরেই ঢাকার জিঞ্জিরায় পাকিস্তানি গণহত্যায় শহীদ হয়েছিলেন ২ হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মিরপুর যেন জলজ্যান্ত এক কসাইখানা ছিল। এক মিরপুরেই বধ্যভূমি ছিল ২৩টি। এরমধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি। একাত্তরে এই জায়গার একপাশে ছিল জঙ্গল। এই জঙ্গলে হাজার হাজার মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা ভবন থেকে কমার্স কলেজ যেতে যে কালভার্টটি পড়ে, সেখানে স্বাধীনতার পরে পাওয়া গিয়েছিল ৬০ বস্তা মাথার খুলি।
মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে অন্যতম শিরনিরটেক। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেখানে ৩ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা।
মুক্তিযুদ্ধের ২৪ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৫ এপ্রিল দুপুর ১টা পর্যন্ত মিরপুরের আলোকদী গ্রামে পাকিস্তানিরা যে গণহত্যা চালিয়েছিল সেই গণহত্যায় শহীদ হয়েছিলেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। এই গ্রামের মোট ৮টি কুয়া ভরে গিয়েছিলো মানুষের লাশে।
১৯৭২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দিনাজপুর টিঅ্যান্ডটি অফিসের একটি টর্চার সেলের বিবরণ পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে লেখা ছিল, 'দিনাজপুরে টিঅ্যান্ডটি অফিসে একটি টর্চার সেলে প্রায় ১০ হাজার বাঙালিকে নির্যাতন করেছিল পাকিস্তানি সেনারা। সেলের মেঝেতে ৩ ইঞ্চি পুরু রক্ত জমাট বাঁধা ছিল।'
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সারাদেশে কতো বধ্যভূমি ছিল তার প্রকৃত সংখ্যা জানা নেই কারো। তবে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করা ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর এখন পর্যন্ত দেশের ৪০টি জেলায় গণহত্যার যে চিত্র তুলে এনেছে তাতে দেখা গেছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এই ৪০টি জেলায় ১৭৪৫৪টি গণহত্যা সংগঠিত হয়েছ।
৪০টি জেলায় যদি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ১৭৪৫৪টি গণহত্যা সংঘটিত হয় তবে ৬৪ জেলায় কতো গণহত্যা হয়েছে তা একটাবার হিসেব করে নিবেন। আর নিশ্চয়ই জানেন তো একটি গণহত্যা মানে কেবল ওখানে একজন হত্যার শিকার হয়েছেন এমন নয়।
আর হ্যাঁ এই ৪০টি জেলায় মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানিদের টর্চার সেলের সংখ্যা ছিল ১১১৮টি।
মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা ছিলো পৃথিবীর ইতিহাসে বিরলতম এক উদাহরণ যেখানে সমগ্র দেশে নয়টি মাসই ফুল স্কেলে গণহত্যা চালিয়েছিলো পাকিস্তানী হায়েনা ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা।

মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় কতো শহীদ হয়েছেন তা কখনোই নির্ণয় করা সম্ভব হবেনা। গণহত্যায় কতো সংখ্যক শহীদ হয় তা কখনো নির্ণয় করা সম্ভব ও না। যা করা যায় তা হলো গবেষণার মাধ্যমে অনুমান। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩ লাখ বলে যারা স্বর্গসুখ লাভ করতে চান, তাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার জন্য এটি কেবল একটি পরিসংখ্যান।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পিতা জনাব বিল্লাল হোসেনের স্থানী...
23/04/2025

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পিতা জনাব বিল্লাল হোসেনের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি ঠিকাদারি তালিকাভুক্তির কপি হাতে এসেছে।

লাইসেন্সটি যাচাই করে দেখা যায় এ বছরের ১৬ মার্চ নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (কুমিল্লা) লাইসেন্সটি ইস‍্যু করেন।

এ বিষয়ে জানতে আমি উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি প্রথমে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান ও কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি সময় নিয়ে যাচাই করে জানান লাইসেন্সের বিষয়টি সঠিক, কিন্তু এটা তাঁর জ্ঞাতসারে করা হয়নি। স্থানীয় জনৈক ঠিকাদার তাঁর শিক্ষক পিতাকে ঠিকাদারি লাইসেন্সটি করতে প্ররোচিত করেন। তিনি আরো জানান এই লাইসেন্সের ব্যবহার করে কোন ধরনের কাজ করা হয়নি।

-Zulkarnain Saer

20/04/2025

দেশের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও রেমাক্রি উৎসব: বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি চ্যালেঞ্জ

ঢাকায় যখন নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে হইচই চলছে, তখন বান্দরবানে মিয়ানমারের স'ন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান আর্মি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আয়োজন করেছে ‘Arakha Water Festival’। এই উৎসবে অস্ত্রধারী আরাকান আর্মির সদস্যরা মঞ্চে উঠে গান গায়, নাচ করে ও বক্তৃতা দেয়। চারপাশে তাদের পতাকা ও প্রতীক টাঙানো ছিল—যেন এটি বাংলাদেশের মাটিতে এক প্রকার ‘দখলদারিত্বের’ ঘোষণাই।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়, স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একাংশ এই উৎসবে শুধু অংশ নেয়নি, বরং আরাকান আর্মিকে প্রকাশ্যে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। এটি একটি বিপজ্জনক অবস্থান, যা রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের প্রতি চরম অবমাননা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

উৎসবস্থলে বিজিবির উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও কোনো হস্তক্ষেপ না করা এক চরম ব্যর্থতার পরিচায়ক। প্রশ্ন জাগে—তাহলে তারা কী রক্ষা করছে? এটি কি কৌশলগত অক্ষমতা, না কি রাজনৈতিক নির্দেশনার অভাব?

এই আয়োজন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি আরাকান আর্মির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ, যেখানে তারা সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক তিনটি স্তরেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে ছায়া-রাষ্ট্র গঠনের ছক কষছে তারা।

ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও কম জটিল নয়। আরাকান রাজ্যে চীনের কিউকপিউ বন্দরে ৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, বিশাল খনিজ সম্পদ, আর সমুদ্রপথে আধিপত্য—এসব নিয়ে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ভারত সবাই এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী। এই পরিস্থিতিতে ড. ইউনুস চীনে গিয়ে বলেছেন, ‘এই অঞ্চলের সমুদ্রের একক অভিভাবক বাংলাদেশ’। কিন্তু এর মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন—আমাকে ক্ষমতায় রাখলে তোমাদের আধিপত্য নিশ্চিত করবো। এ প্রস্তাব তিনি শুধু চীন নয়, যুক্তরাষ্ট্রকেও দিয়েছেন।

এই ভূরাজনৈতিক খেলা আমাদের দেশকে চারটি পরাশক্তির প্রক্সি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে যাচ্ছে—যেখানে আমাদের মাটি ব্যবহৃত হবে, আমাদের নিরাপত্তা বিপন্ন হবে, কিন্তু লাভবান হবে কেবল বাইরের শক্তিগুলো।

আজ যদি আমরা এই বাস্তবতা না বুঝি, প্রতিরোধ গড়ে না তুলি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ হতে পারে গাজা, আফগানিস্তান বা সিরিয়ার মতো—ধ্বংস, বিভক্তি, এবং দাসত্ব।

সিদ্ধান্ত আমাদের—গণবিপ্লব, না নিঃশব্দ দাসত্ব।

দেশের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও রেমাক্রি উৎসব: বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি চ্যালেঞ্জঢাকায় যখন নির্বাচন ও সংস...
20/04/2025

দেশের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও রেমাক্রি উৎসব: বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি চ্যালেঞ্জ

ঢাকায় যখন নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে হইচই চলছে, তখন বান্দরবানে মিয়ানমারের স'ন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান আর্মি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আয়োজন করেছে ‘Arakha Water Festival’। এই উৎসবে অস্ত্রধারী আরাকান আর্মির সদস্যরা মঞ্চে উঠে গান গায়, নাচ করে ও বক্তৃতা দেয়। চারপাশে তাদের পতাকা ও প্রতীক টাঙানো ছিল—যেন এটি বাংলাদেশের মাটিতে এক প্রকার ‘দখলদারিত্বের’ ঘোষণাই।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়, স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একাংশ এই উৎসবে শুধু অংশ নেয়নি, বরং আরাকান আর্মিকে প্রকাশ্যে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। এটি একটি বিপজ্জনক অবস্থান, যা রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের প্রতি চরম অবমাননা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

উৎসবস্থলে বিজিবির উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও কোনো হস্তক্ষেপ না করা এক চরম ব্যর্থতার পরিচায়ক। প্রশ্ন জাগে—তাহলে তারা কী রক্ষা করছে? এটি কি কৌশলগত অক্ষমতা, না কি রাজনৈতিক নির্দেশনার অভাব?

এই আয়োজন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি আরাকান আর্মির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ, যেখানে তারা সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক তিনটি স্তরেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে ছায়া-রাষ্ট্র গঠনের ছক কষছে তারা।

ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও কম জটিল নয়। আরাকান রাজ্যে চীনের কিউকপিউ বন্দরে ৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, বিশাল খনিজ সম্পদ, আর সমুদ্রপথে আধিপত্য—এসব নিয়ে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ভারত সবাই এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী। এই পরিস্থিতিতে ড. ইউনুস চীনে গিয়ে বলেছেন, ‘এই অঞ্চলের সমুদ্রের একক অভিভাবক বাংলাদেশ’। কিন্তু এর মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন—আমাকে ক্ষমতায় রাখলে তোমাদের আধিপত্য নিশ্চিত করবো। এ প্রস্তাব তিনি শুধু চীন নয়, যুক্তরাষ্ট্রকেও দিয়েছেন।

এই ভূরাজনৈতিক খেলা আমাদের দেশকে চারটি পরাশক্তির প্রক্সি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে যাচ্ছে—যেখানে আমাদের মাটি ব্যবহৃত হবে, আমাদের নিরাপত্তা বিপন্ন হবে, কিন্তু লাভবান হবে কেবল বাইরের শক্তিগুলো।

আজ যদি আমরা এই বাস্তবতা না বুঝি, প্রতিরোধ গড়ে না তুলি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ হতে পারে গাজা, আফগানিস্তান বা সিরিয়ার মতো—ধ্বংস, বিভক্তি, এবং দাসত্ব।

সিদ্ধান্ত আমাদের—গণবিপ্লব, না নিঃশব্দ দাসত্ব।

শুভ নববর্ষ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
14/04/2025

শুভ নববর্ষ
১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আকাশ থেকে চেইন বো'মা হা'ম‘লা হচ্ছে। মানুষের দেহ শুকনো ঝরা পাতার মতো দশতলা পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে।হাসপাতালগুলোতে দেহ আসছে। কো...
06/04/2025

আকাশ থেকে চেইন বো'মা হা'ম‘লা হচ্ছে। মানুষের দেহ শুকনো ঝরা পাতার মতো দশতলা পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে।

হাসপাতালগুলোতে দেহ আসছে। কোনও এনেস্থিসিয়া ছাড়াই পা কা'ট'তে হচ্ছে, হাত কা‘ট'তে হচ্ছে। কাউকে অজ্ঞান করার সুযোগ নেই।

ব্য'থা‘না'শ'ক ঔষুধ ফুরিয়ে গেছে। ডাক্তাররা একই গ্লাভস ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। মানুষ যন্ত্রণার তীব্রতায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। আহত মানুষের চিৎকারে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে😓

05/04/2025
ডিসেম্বরে ৫০৪ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৩৯গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশে ৫০৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৫৩৯ জন এবং আহত...
04/01/2025

ডিসেম্বরে ৫০৪ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৩৯

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশে ৫০৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৫৩৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৭৬৪ জন। নিহতদের মধ্যে ৭৯ জন নারী ও শিশু ৭৭ জন।
এছাড়াও ২১১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০৬ জন, যা মোট নিহতের ৩৮.২১ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪১.৮৬ শতাংশ। দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ১১৪ জন, যা মোট নিহতের ২১.১৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭২ জন, অর্থাৎ ১৩.৩৫ শতাংশ। এই সময়ে ৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। ১৯টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছেন।

অবশেষে চাঁদের আলো খুঁজে পেলেন তাহসান । বাংলাদেশ ও আমেরিকার জনপ্রিয় মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদ এর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ...
04/01/2025

অবশেষে চাঁদের আলো খুঁজে পেলেন তাহসান ।
বাংলাদেশ ও আমেরিকার জনপ্রিয় মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদ এর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান।
নববিবাহিত দম্পতির জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা!

15/12/2024

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী প্রতিটা বাংলাদেশীকে ৫৪ তম বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

আমরা আমাদের পূর্বপুরুষের অবদান, আত্মত্যাগ ভুলবো না। দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ সেই সাহসী বীরপুরুষদের প্রতি অন্তরের অন্তস্তল থেকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

ভিডিও- ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াই...
06/11/2024

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে পা রাখবেন তিনি।
অভিনন্দন ডোনাল্ড ট্রাম্প....
Donald J. Trump

12/10/2024

এখনও যারা কালো পতাকার রাজনীতিটা বুঝতেছেন না, এখনও যারা এই পতাকাকে ইসলামের পতাকা মনে করতেছেন, আপনাদের এই স্টুপিডিটিই হয়তো বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র করার দিকে আগাইয়া নিয়ে যাবে!

https://t.me/eye_on_bangladesh

Address

Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangladesh Press posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bangladesh Press:

Share

Category